নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার
এনসিপির নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার প্রকাশ
২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবির এক বছর পূর্তিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বহুল আলোচিত ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
‘জুলাই আন্দোলনের’ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দলটি বিচার প্রতিষ্ঠা, কাঠামোগত সংস্কার এবং একটি নবতর রাজনৈতিক দর্শনের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন আন্দোলনের সময়কার ছয় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের একজন ও বর্তমানে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এনসিপির ঘোষণায় বলা হয়েছে—নতুন সংবিধান তৈরি, গত বছরের জুলাই গণআন্দোলনের স্বীকৃতি, সেই সময় নিপীড়নের শিকারদের বিচার, বিচারব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহি এবং দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
দলটির নেতারা বলেন, ‘জুলাইতে ছাত্র আন্দোলনের ডাকের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সরকার পতন হয়েছিল। এবার সেই জুলাই ঘোষণাপত্রকে সংবিধানে যুক্ত করতে হবে।’
তারা গত এক বছরে গুম, হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় বিচার নিশ্চিত না করায় জনগণের কাছে প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করেন।
দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র অবশ্যই সংবিধানে জায়গা পেতে হবে। জনগণই এখন নতুন বাংলাদেশের রক্ষক।’
তিনি বলেন, ‘বিচারব্যবস্থা যেন আর কোনো রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে না থাকে। সরকার যা করবে, তা জনগণের জানার অধিকার নিশ্চিত করে করতে হবে।’
দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যদি আমাদের ভয় দেখানো হয়, আমরা রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ করব। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব।’
এনসিপির ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা
১২৩ দিন আগে
এনসিপির ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বহুল আলোচিত ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে। এ উপলক্ষে রবিবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা সমবেত হন।
‘জুলাই আন্দোলনের’ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দলটি বিচার প্রতিষ্ঠা, কাঠামোগত সংস্কার এবং একটি নবতর রাজনৈতিক দর্শনের কথা তুলে ধরে।
হাজার হাজার নেতাকর্মী, সমর্থক ও বিশ্লেষকের পাশাপাশি শিক্ষার্থী এবং প্রথমবারের মতো ভোটার হতে যাওয়া বিপুলসংখ্যক তরুণ এতে অংশ নেন। এতে দেশের রাজনৈতিক পরিসরে তরুণ প্রজন্মের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা প্রতিফলিত হয়।
দলীয় নেতারা বলেন, বিচার, মর্যাদা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় উদ্যোগ প্রয়োজন।
পড়ুন: ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না: ফখরুল
তারা ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’-কে জনগণকেন্দ্রিক একটি রোডম্যাপ হিসেবে উল্লেখ করেন, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জবাবদিহিমূলক শাসনের প্রতিশ্রুতি দেয়।
অনুষ্ঠানের প্রতীকী মঞ্চে লেখা ছিল— ‘বিচার। সংস্কার। ভবিষ্যৎ।’
আয়োজনে গত বছরের দুর্নীতি, বৈষম্য ও রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে ছাত্র ও তরুণদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ‘জুলাই আন্দোলনে’ নিহতদের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি ছিল কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু।
‘নতুন বাংলাদেশ ঘোষণা’ শিরোনামে ৪৮ পৃষ্ঠার একটি নীতিপত্র ডিজিটাল ও মুদ্রিত—উভয় মাধ্যমেই প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ছয়টি মূল স্তম্ভের ভিত্তিতে এনসিপির নীতিগত অঙ্গীকার ও দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হয়েছে।
১২৩ দিন আগে