ডেমরা
ডেমরায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ৫০, কবি নজরুল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
ঢাকার ডেমরায় কবি নজরুল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
এমনি প্রেক্ষাপটে কবি নজরুল কলেজকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কলেজের নোটিশ বোর্ডে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হয়েছে।
এর আগে রবিবার ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে কবি নজরুল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এদিন সকালে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করে এবং বেলা ১২টার দিকে ভাঙচুর চালায়। তারা কলেজ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায়।
দুপুর ১টার দিকে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত হলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে তারা একে অপরের ওপর হামলা চালালে অর্ধশতাধিক আহত হয়। সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা।
আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ৩০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
এছাড়া সংঘর্ষের পর যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ছয় প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রবিবারের সংঘর্ষের পর সকাল ৭টা থেকে সূত্রাপুর থেকে ডেমরা পর্যন্ত অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে এমন আশঙ্কায় পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এরপরও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, হামলা ও লুটপাটে জড়িয়ে পড়ে।
এতে ওই এলাকায় কয়েক দফার সংঘর্ষে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ডিএমপি।
হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রবিবার রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশীবাজারের ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
গত ১৬ নভেম্বর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ডেমরার ডাক্তার মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এইচএসসির ছাত্র অভিজিৎ হালদার হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। ১৮ নভেম্বর তিনি মারা যান।
এরপরই রবিবার হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চালায় শিক্ষার্থীরা।
তাদের অভিযোগ, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সমর্থন জানিয়ে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্ররা তাদের ওপর হামলা চালায়।
পরে রবিবার কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও দুই কলেজের সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হন।
কলেজগুলো হলো- ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা আইডিয়াল কলেজ, সিটি কলেজ, গিয়াসউদ্দিন কলেজ, সরকারি তোলারাম কলেজ, ইম্পেরিয়াল কলেজ, বোরহানউদ্দিন কলেজ, বিজ্ঞান কলেজ, দনিয়া কলেজ, লালবাগ সরকারি কলেজ, উদয়ন কলেজ, আদমজী, নটরডেম, রাজারবাগ কলেজ, নূর মোহাম্মদ, মুন্সী আব্দুর রউফ কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, গ্রিন লাইন পলিটেকনিক, ঢাকা পলিটেকনিক, মাহবুবুর রহমান সাইন্স অ্যান্ড টিকনোলজী ইনস্টিটিউট, সহ রাজধানীর অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তবে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ছাত্র, এবং আমরা ছাত্রদের সমর্থন করি। আমরা কাউকে আক্রমণ করিনি।’
ভাঙচুরের বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, 'আমি প্রথমে তাদের ফেরত পাঠাই। পরে তারা দলবল নিয়ে আসে। তারা অনেক কম্পিউটার লুট করে ধ্বংস করেছে, এমনকি এনসিসির কাছ থেকে রাইফেলও নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘তারা ১৭টি বিভাগ ভাঙচুর করে এবং শিক্ষকদের ব্যক্তিগত চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।’
সোহরাওয়ার্দী কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, 'অধ্যক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে কিছুই হবে না, কিন্তু হামলা হয়েছে। পুরো কলেজে হামলা হয়েছে, এমনকি আমার কক্ষও ভাঙচুর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলাকারী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
৩ সপ্তাহ আগে
শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ডেমরার ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে ভাঙচুরের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ছয় প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক জনের মৃত্যুর অভিযোগে ছাত্র বিক্ষোভের জেরে এই অস্থিরতা শুরু হয়।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে বিজিবি মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নূর হোসেন দিবস ঘিরে উত্তেজনা: সারাদেশে বিজিবি মোতায়েন
গত ১৬ নভেম্বর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হওয়া ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ছাত্র অভিজিৎ হালদার। পরে গত ১৮ নভেম্বর তার মৃত্যুর পর সহপাঠীদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়। তারা অভিজিতের চিকিৎসায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনেন।
এর প্রতিবাদে রবিবার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সমর্থনে কবি নজরুল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতাদের দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য বিজিবি এককভাবে দায়ী নয়: ডিজি
রবিবারের হামলার প্রতিশোধ নিতে সোমবার ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সামনে জড়ো হলে সহিংসতা আরও বেড়ে যায়। দুপুরের মধ্যে দলটি কলেজের সম্পত্তি ভাঙচুর শুরু করে। এতে এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায়।
রবিবারের সংঘর্ষে এরই মধ্যে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
৩ সপ্তাহ আগে
ডেমরার মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ
ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি ভাঙচুর ও হামলায় সোমবার ফের উত্তপ্ত ঢাকার ডেমরা। রবিবারের হামলার জের ধরে ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে ভাঙচুর চালান কবি নজরুল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে।
এ সময় কলেজের কম্পিউটারসহ মূল্যবান কাজগপত্র লুটপাটের অভিযোগ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এর আগে রবিবার (২৪ নভেম্বর) ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দীর কলেজের সঙ্গে ৩৫ কলেজের সংঘর্ষে ৫০ এর বেশি আহত হয়। এর একদিন পরই সোমবার (২৫ নভেম্বর) আবারও উত্তপ্ত হয়েছে পুরান ঢাকা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ডেঙ্গু শক সিনড্রমে আক্রান্ত হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদার। ১৬ নভেম্বর সকালে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন তিনি। ১৮ নভেম্বর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। অভিজিৎ এইচএসসি-২৪ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ২০ ও ২১ নভেম্বর হাসপাতাল অবরোধ করেন মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ এদিন ন্যাশনাল মেডিকেলের পক্ষ নিয়ে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের উপর আক্রমণ করেন। পরে প্রায় ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে গত রবিবার কবি নজরুল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর চালান ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। গতকাল সন্ধ্যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও আজ আবারও দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালান।
আরও পড়ুন: ‘ভুল চিকিৎসায়’ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, হাসপাতাল ও কলেজে ভাঙচুর
এই কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিজিতের ভুল চিকিৎসা করেছে। তারা এর বিচার চাইতে আসেন। কিন্তু ছাত্রদল তাদের ওপর হামলা করে। এর প্রতিবাদেই অন্য সব কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানাতে এসেছেন। দুপুরে পূর্বঘোষিত 'সুপার সানডে' কর্মসূচির অংশ হিসেবে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সামনে জড়ো হন ৩৫ কলেজের শিক্ষার্থীরা। "ইউনাইটেড কলেজ অব বাংলাদেশ" নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে সংহতি জানান।
আন্দোলনে ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা আইডিয়াল কলেজ, সিটি কলেজ, গিয়াসউদ্দিন কলেজ, সরকারি তোলারাম কলেজ, ইমপেরিয়াল কলেজ, বোরহানউদ্দিন কলেজ, বিজ্ঞান কলেজ, দনিয়া কলেজ, লালবাগ সরকারি কলেজ, উদয়ন কলেজ, আদমজী, নটরডেম, রাজারবাগ কলেজ, নূর মোহাম্মদ, মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, গ্রিন লাইন পলিটেকনিক, ঢাকা পলিটেকনিক, মাহবুবুর রহমান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ঢাকা দনিয়া কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ অংশ নেয়।
মৃত শিক্ষার্থী অভিজিতের এক বন্ধু বলেন, ‘আমাদের উপর কেন হামলা হলো? আমরা এখানে এসে কারো সঙ্গে কথা বলব তেমন কেউ নেই। সবাই পালিয়েছে। কথা বলার কেউ থাকলে আমরা আমাদের দাবি জানিয়ে চলে যেতে পারতাম। কিন্ত একজন গার্ডও নেই। আমরা অভিযুক্ত ডাক্তারের লাইসেন্স বাতিল করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। এছাড়া আমাদের উপর যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তবে শিক্ষার্থীরা কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের উপর অভিযোগ করলেও এ ঘটনায় তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানান কবি নজরুল কলেজের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের পক্ষে। আমরা কোনো হামলা করিনি।’
কলেজ ভাঙচুরের বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তাদের একবার বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। পরে দলবল নিয়ে আবার এসেছে। অনেক কম্পিউটার নিয়ে গেছে, ভেঙে ফেলেছে। বিএনসিসির রাইফেল নিয়ে গেছে। ১৭টি ডিপার্টমেন্টই ভাঙচুর করেছে।এক শিক্ষকের কার, চারটা মোটরসাইকেল ভেঙেছে।’
সোহরাওয়ার্দী কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘কাল ওই কলেজের প্রিন্সিপাল ও আমাদের প্রিন্সিপাল একটা সমঝোতায় এসেছিলেন। আমরা আশ্বস্ত ছিলাম এমন কিছু হবে না। কিন্ত তারপরও হামলা হলো। পুরো কলেজে হামলা চালিয়েছে। আমার রুম পর্যন্ত ভেঙে ফেলেছে।’
সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আজ পরীক্ষা ছিল। গতকাল রাত পর্যন্ত কলেজের প্রিন্সিপাল সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বললেন শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছেন। অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা বললেন কিছু হবে না। সোয়া ১টার দিকে কিছু বোঝার আগেই সিসিটিভিতে দেখি প্রচুর ছেলেমেয়ে এসেছে। গেট ভেঙে ঢুকেছে। ইচ্ছামতো ভাঙচুর করেছে। গাড়ি ভাঙচুর করেছে। গ্যাস লাইন ছেড়ে দিছে।’
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের মার্কশিট, খাতা, ল্যাপটপ কিছুই নেই। আমি ঢাবিতে জানিয়েছে। প্রোভিসি বলেছিলেন অ্যাপ্লিকেশন পাঠাতে। ভাঙচুরের জন্য তাও পাঠাতে পারিনি। এরা কি ছাত্র হতে পারে? এতো নাশকতা তো ছাত্র করতে পারে না।’
এদিকে লালবাগ জোনের ডিসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘গত ১৮ নভেম্বর মাহবুবুর রহমান কলেজের একজন মারা যান। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান আমরা জানতে পারি। গত বুধবার কলেজের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের এখানে এসেছিল। এ ঘটনায় একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু এরপরেও গত বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা অধিক সংখ্যায় এসেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি অবহেলাজনিত মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বার বার বলেছে আমরা শিক্ষার্থী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঙ্গে নিয়ে তদন্ত করব। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চাপের মুখে রাখা হয়।’
৩ সপ্তাহ আগে
ডেমরায় ছেলের আঘাতে বাবার মৃত্যুর অভিযোগ
ঢাকার ডেমরায় ছেলের আঘাতে ৬৫ বছর বয়সী এক বাবা নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত উন্মেষ সরকার রাজধানীর ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার সুরেশ সরকারের ছেলে।
আরও পড়ুন: কাভার্ডভ্যানের পেছনে ধাক্কা, পিকআপ চালক নিহত
সোমবার (২৭ মে) বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের নাতি অঙ্গন মিত্র জানান, তিনি শুনেছেন উম্মেশ সরকারকে তার নিজের ছেলে বিষ্ণু সরকার আঘাত করেছিলেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, নিহতের বুকের বাম পাঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিহতের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে ডেমরা থানা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: যশোরে বাস উল্টে নিহত ২, আহত ৪
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে নিহত ৭
৬ মাস আগে
ডেমরায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যু
রাজধানীর ডেমরায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে নিচে পড়ে শরীফ নামে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বজ্রপাতে মাছচাষির মৃত্যু
নিহত শরীফের (২৬) বাড়ি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ উপজেলায়।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, শরীফ ডেমরা এলাকায় সাত তলা ভবনে কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও রবিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নওয়াজ শরিফকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
শরীফের ভাই মো. সুজন মিয়া তাদের পরিবারের আকস্মিক ও মর্মান্তিক ক্ষতির কথা তুলে ধরে ঘটনার মর্মান্তিক ঘটনা তুলে ধরেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, শরীফের লাশ ময়নাতদন্তের অপেক্ষায় জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
কালবৈশাখীতে বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু, আহত ৮
৮ মাস আগে
ডেমরায় ট্রাকের ধাক্কায় পথচারী নিহত, চালক আটক
রাজধানীর ডেমরা থানার স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় লাবনী আক্তার নামে একজন পথচারী হয়েছেন।
নিহত পথচারী লাবনী আক্তার বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বট বালিগা এলাকার মো. বাবুল গাজীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় নির্মাণ শ্রমিক নিহত
ডেমরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান জানান, স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকটি তাকে ধাক্কা দেয়।
অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১টা ৩০ মিনিটে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাকচালককে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
বগুড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা চালকের মৃত্যু
১১ মাস আগে
ডেমরায় বাসে আগুন, ঘুমন্ত চালকের সহকারী নিহত
রাজধানীর ডেমরা এলাকায় রবিবার (২৯ অক্টোবর) অসিম পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় চালকের সহকারী নিহত হয়েছেন।
ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান বলেন, দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. নাঈম (২২) বরিশালের কোতোয়ালি উপজেলার আলম চকিদারের ছেলে। তিনি ডেমরার হাজীনগর এলাকায় থাকতেন।
রবিউল (২৫) নামের বাসটির চালক দগ্ধ হয়ে বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এসআই সাইদুর বলেন, দুর্ঘটনার সময় বাসটি রাস্তার পাশে পার্ক করা ছিল এবং চালক ও সহকারী উভয়েই ভেতরে ঘুমিয়ে ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, দুর্বৃত্তদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড হাসপাতাল) মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালে ঢাকার সড়ক ফাঁকা, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর
মানিকগঞ্জে দেশব্যাপী হরতাল চলাকালে বাসে আগুন
১ বছর আগে
ডেমরায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
রাজধানীর ডেমরায় নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের ৭ম তলা থেকে পড়ে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত মো. মাহফুজুর রহমান মাসুম (৩০) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পূর্ব চড়া মনিমোহন গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে। তিনি ওই ভবনেই থাকতেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ডেমরা থানার উত্তর সানারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ডেমরায় ক্রেন দুর্ঘটনায় ৩ নির্মাণ শ্রমিক নিহত
নিহতের সহকর্মী মো. জুয়েল বলেন, বেলা ১১টার দিকে নাস্তা করে ১০ তলা ভবনের ৭ম তলায় কাজ শুরু করেন মাসুম।
হঠাৎ ভবনের ৭ম তলা থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন মাসুম।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট থানায় খবর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
পাবিপ্রবির নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত, আহত ১
১ বছর আগে
ডেমরায় ক্রেন দুর্ঘটনায় ৩ নির্মাণ শ্রমিক নিহত
রাজধানীর ডেমরায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে ক্রেন চাপায় শনিবার তিন নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- জাফর (৫০), মোস্তফা (৪২) ও মিজান (৩২)।
যোগাযোগ করা হলে ডেমরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আউয়াল বলেন, দুপুর ২টার দিকে ডেমরার নোয়াপাড়ার নূর-ই-মদিনা মসজিদের পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ফের এলজিইডির নির্মাণাধীন ব্রিজের শাটারিং ধস
এসআই আউয়াল বলেন, হঠাৎ নির্মাণ সামগ্রী উত্তোলনকারী একটি ক্রেন থেকে লোড লাইন ছিঁড়ে গেলে শ্রমিকদের ওপর পড়লে জাফর, মোস্তফা ও মিজান ঘটনাস্থলেই মারা যান।
লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাড্ডায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
যশোরে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের নির্মাণাধীন ভবনধসে ৯ শ্রমিক আহত
১ বছর আগে
ডেমরায় আম বাগানে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
রাজধানীর ডেমরায় আম বাগানে খেলতে খেলতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে ডেমরায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-আরিয়ান(৭) ও তার ভাই রায়হান(২)। তাদের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথের দন্ডমানিকপুর এলাকায়।
এছাড়া বাচ্চাদের মা একটি কারখানায় কাজ করেন, বাবা পেশায় একজন ড্রাইভার।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
শিশুটির বাবা মারফত আলী জানান, দুই ভাই প্রতিবেশী দীপুর আম বাগানে খেলতে গিয়েছিল। কেউ যাতে আম নিতে না পারে সেজন্য বাগান মালিক আম বাগানের চারপাশে বৈদ্যুতিক তার লাগিয়েছিলেন।
তিনি আরও জানান, বাগানে খেলতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় দুই শিশু। তাদের পা পুড়ে গেছে। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক সাইদুর রহমান জানান, লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
চাঁদপুরে বৃষ্টির সময় খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কিশোরের মৃত্যু
১ বছর আগে