লি জিমিং
রওশন এরশাদের সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা এবং জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় গুলশানের একটি হোটেলে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি না দিলে সংসদে যাবে না জাপা
সাক্ষাৎকালে বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় বিরোধীদলীয় নেতা চীনের সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য রাহগির আল মাহি (সাদ) এরশাদ এবং বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ্।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছেন রওশন এরশাদ, জাপায় ঐক্যের ডাক
২ বছর আগে
চীন ভারতকে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে না: রাষ্ট্রদূত লি
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, এই অঞ্চলে উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি প্রতিশ্রুতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির পূর্বাভাস দেখছি (বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে)। আমরা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’
রাষ্ট্রদূত লি বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে চীন বাংলাদেশের মতোই একই মত পোষণ করে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য সংলাপ ও আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: ডিক্যাবের নতুন সভাপতি লোটাস, সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত লি বলেন, চীন রোহিঙ্গাদের দ্রুত তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত ঋণ ব্যবস্থাপনা, বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চীনা ঋণের কোনো ফাঁদ নেই। বিশ্বব্যাপীও চীনা ঋণের কোনো ফাঁদ নেই।’
তিনি আরও বলেন, চীন কখনোই দেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাজ করে না এবং তাদের কোনো গোষ্ঠীর প্রতি ঘৃণা বা বৈষম্য করার কোনো বিশেষ কারণ নেই।
লি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ ভুয়া খবর (উইঘুর মিডিয়াতে যা দেখা যায়)।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে: রাষ্ট্রদূত লি জিমিং
ভারত-চীন সম্পর্কের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা ভারতকে কখনোই কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিযোগী হিসেবে দেখি না। ব্যক্তিগতভাবে, আমি ভারতের একজন বড় ভক্ত। অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারি।’
তিনি সমস্যা সমাধানের ‘এশিয়ান ওয়ে’ অনুসরণ করার ওপর জোর দেন।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এর ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রামের আয়োজন করে। চীনা রাষ্ট্রদূতের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ইউএনবির কূটনৈতিক সংবাদদাতা একেএম মঈনুদ্দিন।
আরও পড়ুন: কারিগরি সমস্যা হুবেই থেকে বাংলাদেশিদের আনার ক্ষেত্রে বাধা: লি জিমিং
২ বছর আগে
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বীমা ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বীমা ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
রাষ্ট্রদূত লি বৃহস্পতিবার সিনোসফট কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।
বাংলাদেশ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জয়নুল বারী, প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. কামরুজ্জামান এবং সিনোসফট কোম্পানি লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সান জিজি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, ‘এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের বীমা শিল্পের তথ্যায়ন ও ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে।’
আরও পড়ুন: বীমা সেবায় মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে যা বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তি সহযোগিতার আরেকটি বড় পদক্ষেপ।
রাষ্ট্রদূত আরও উল্লেখ করেন, চীনের জাতীয় পুনর্জাগরণের ‘চীনা স্বপ্ন’ ও বাংলাদেশের ‘সোনার বাংলা’ লক্ষ্যগুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ও ভিশন ২০৪১ পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনা আরও একীভূত হবে।
তিনি এই প্রকল্পের সাফল্য কামনা করেন এবং আশা করেন যে দুই দেশ প্রযুক্তি সহযোগিতা বাড়াতে এবং জনগণকে আরও ভালো সেবা প্রদানে একসঙ্গে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে চেষ্টা করছে চীন: রাষ্ট্রদূত লি জিমিং
জয়নুল বারী বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বড় প্রকল্প এবং প্রযুক্তিতে চীনের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
ঢাকায় চীনা দূতাবাস তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
বাংলাদেশসহ বিদেশের মাটিতে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করবে না চীন: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশসহ অন্য দেশে কোনো সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করবে না চীন।
‘বাংলাদেশে মিসাইল তৈরির কারখানা তৈরি করছে চীন, উদ্বিগ্ন ভারত’ জাপানি সংবাদমাধ্যম ‘নিক্কেই এশিয়া’য় প্রকাশিত এমন প্রতিবেদনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে বাংলাদেশকে যে সারফেস টু এয়ার মিসাইল দিয়েছে, তা রক্ষণাবেক্ষণে চীন এমন ব্যবস্থা তৈরি করছে, যাকে ‘হাব’ হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
লি জিমিং বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে চীন রাশিয়ার পক্ষ নিচ্ছে না, বরং বেইজিং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
চীন রাশিয়ার পক্ষ নিচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে বিষয়টি ঠিক নয়, রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ই আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের বক্তব্য উল্লেখ করে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, এ ইস্যুতে বাংলাদেশ শান্তি চায় এবং চীনও ঠিক একই বিষয় চায়।
পড়ুন: ইউক্রেন নিয়ে চীনা ও রুশ প্রেসিডেন্টের মতবিনিময়
রবিবার (১৩ মার্চ) চীনাস্থ দূতাবাস আয়োজিত প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘স্প্রিং ডায়লগ উইথ চায়না’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক ইনাম আহমেদ।
এসময় বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট, অবকাঠামো, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কোয়াড, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল এবং তাইওয়ান পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাষ্ট্রদূত কথা বলেন।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে চীন: ইউক্রেন যুদ্ধের আগুনে ঘি দিয়েন না
২ বছর আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস বেইজিংয়ের
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের চাওয়া পূরণে চীন সব সময় দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের সেতু হিসেবে কাজ করে যাবে।’
কসমস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনায় তিনি বলেন, ‘প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য বাংলাদেশের আগ্রহ আমরা পুরোপুরি বুঝতে পেরেছি এবং দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানে দুই বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীকে সহায়তার ব্যাপারে আমাদের প্রচেষ্টা কখনই বদলাবে না।’
মূল বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত লি বলেন, ’এই বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে মিয়ানমারে হঠাৎ করে সেনা অভ্যুত্থান সবাইকে অবাক করে দিয়েছে এবং যে কারণে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।’
তিনি বলেন, চীন মিয়ানমারের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, আশা করছি শিগগিরই দেশটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন: কসমস সংলাপ: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা
বৃহস্পতিবার রাতে ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: ভবিষৎতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক এই সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
এতে আলোচক প্যানেলে ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম, সিপিডির বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মুবিন চৌধুরী, ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী গবেষক ড. জু ইওংমেং, চীনা ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সহকারী গবেষণা ফেলো ড. নিং শেংনান, সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর।
সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম বলেন, ‘বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ও উপ আঞ্চলিক ইস্যুতে সহযোগিতা বাড়াতে আমি চীনকে অনুরোধ করব, বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে চীন সহায়তা করার ক্ষমতা রাখে।’
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশটিতে বর্তমানে যে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে তার প্রভাব চীন, বাংলাদেশ, ভারত এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর ওপরও পড়তে পারে।
তারিক এ করিম বলেন, ‘তাই, আমি এই ইস্যুটিকে নতুন করে দেখার এবং তাদের প্রভাব ব্যবহার করে দ্রুত সমাধানে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ কখনও ঋণের ফাঁদে পড়বে না: চীনা রাষ্ট্রদূত
রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত লি’র মন্তব্যের বিষয়ে শমসের মুবিন বলেন, এই ইস্যুর সন্তোষজনক সমাধানের জন্য বাংলাদেশ অনেক প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি মানবিক সমস্যা, এই সম্প্রদায়ের সম্মানের কথা মাথায় রেখে এর সন্তোষজনক সমাধান না হলে এটি নিরাপত্তা ইস্যুতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
সাবেক এই কূটনীতিক মনে করেন, এই ইস্যুর সমাধান যে দেশগুলো সঠিক ভূমিকা পালন করতে পারে তাদের আর দেরি না করে শান্তিপূর্ণ সমাধানের সন্ধান করা উচিত।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, রোহিঙ্গরা কি আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতি এবং ভূ-তাত্ত্বিক স্বার্থের শিকার? আমি মনে করি এ প্রশ্নটিই এই অঞ্চলের প্রভাবশালী রাষ্ট্রদের খুব খোলামেলা ও আন্তরিকতার সাথে জিজ্ঞাসা করা দরকার। এটি অনেক বেশি মানবিক সমস্যা এবং আমি মনে করি এর কার্যকর এবং সময়োপযোগী সমাধান হওয়া উচিত।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সার্বজনীন প্রশংসা পেয়েছে বলেও সাবেক এই কূটনীতিক উল্লেখ করেন।
রাখাইন রাজ্যের সঙ্কটকে একটি জটিল ও ঐতিহাসিক উল্লেখ করে ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, চীন মিয়ানমার সরকারকে রক্ষা করছে।
এই বিশ্লেষক বলেন, ভারতও মিয়ানমারে প্রভাবের জন্য প্রতিযোগিতা করছে এবং চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) সমালোচনা করছে।
৩ বছর আগে
কসমস সংলাপ: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা
ভূ-রাজনীতির এই টানাপোড়েনের সময়ে ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রেখে দুই দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ার বিষয়ে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত একটি অনলাইন সংলাপে তারা দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান সকল সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ ও চীনের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেন। উভয় দেশের বিশেষজ্ঞরা দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের অবস্থা মূল্যায়ন করেন এবং এই সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলো চিহ্নিত করেন।
আরও পড়ুন: সন্ধান মেলেনি পদ্মায় নিখোঁজ চীনা প্রকৌশলীর
‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: ভবিষৎতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক এই সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান। সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। আলোচক প্যানেলে ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম, সিপিডির বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের এম চৌধুরী, ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী গবেষক ড. জু ইওংমেং, চীনা ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সহকারী গবেষণা ফেলো ড. নিং শেংনান, সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর।
আরও পড়ুন: কসমস সেন্টারে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রদর্শনী দেখলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
সম্পর্ক উন্নয়নে পাঁচ বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ চীনা রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং মূল বক্তব্যে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে আমরা চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদারিত্ব প্রত্যাশা করি।’ রাষ্ট্রদূত লি পাঁচটি বিষয় তুলে ধরেন যেখানে বাংলাদেশ ও চীন বর্তমান অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে পারে। এগুলো হলো মহামারি রোধে সহযোগিতা আরও বাড়ানো, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে এগিয়ে নেওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করা, তাৎক্ষণিক উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করা এবং বহুপাক্ষিকতা বহাল রাখা।
চীনা রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, মহাসচিব শি জিমিংয়ের নেতৃত্বে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) শিগগিরিই তার শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করবে। বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী এবং আরও প্রাণবন্ত করতে সিপিসি বাংলাদেশের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: তিন নভোচারী নিয়ে চীনের প্রথম মহাকাশ যাত্রা
ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া
উদ্বোধনী বক্তব্যে চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান চীন ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান আমাদের হৃদয়ে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই রাষ্ট্র দুটির জনগণের মধ্যে যোগাযোগের যে ব্যাপ্তি ও প্রসার রয়েছে তা প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। এ সময় তিনি অনেক আগে তার নেওয়া চীনের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সাক্ষাৎকারের কথা স্মরণ করেন।ওয়াং ইয়েকে অন্যতম জ্ঞানী ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করে এনায়েতুল্লাহ খান বলেন, তিনি (ওয়াং ইয়ে) আমাকে বলেছিলেন, চীনের মূলনীতি হল ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক সুশীল এবং উভয় পক্ষের অংশীদাররা এই সম্পর্ককে আরও প্রশস্ত ও গভীর করতে সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা করছেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী চীনের বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যন্য রাষ্ট্রের অভূতপূর্ব উত্থানে এর প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, “চীনের উত্থান সম্ভবত সমসাময়িক সময়ের বড় ঘটনা। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুততম সময়ে প্রথম হতে প্রস্তুত।
ড. চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চেয়ে চীনের দৃষ্টি আরও বেশিকিছুর দিকে। ভ্যাকসিন কূটনীতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যেটি জানান দিচ্ছে। বিশ্ব রাজনীতিতে সর্বদাই উদীয়মান শক্তি এবং বর্তমানে এগিয়ে যাওয়াদের মধ্যে দ্বন্দ্বের আশঙ্কা থাকে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব আশা করে যে এ ধরনের সংঘাত এড়ানো যায় এবং শেষ পর্যন্ত বড় শক্তিগুলো যেমন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বকে স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। চীনের স্বপ্ন বলতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যা বলেছেন তা এভাবেই বাস্তবায়িত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ৯৭ ভাগ পণ্য রপ্তানিতে বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে চীন: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ভূ-রাজনৈতিক বিন্যাস
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কূটনীতিকে প্রথম প্রতিরক্ষা লাইন হিসাবে এবং বিরোধ নিষ্পত্তির প্রধান হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারে বিশ্বাসী। বাংলাদেশ পারস্পরিক লাভজনক এবং বহুপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তঃদেশীয় সম্পর্ক রক্ষায় সচেষ্ট। চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদকে দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ সার্মথ্য এবং সংকল্পের পরিচয় দিয়েছে।’
সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিশ্লেষকরা অবশ্যই এই অঞ্চলের প্রতিযোগিতারত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সর্ম্পকের ওপর দৃষ্টি রাখতে চান। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটিকে একটি স্বাস্থ্যকর বিকাশ হিসাবে দেখছি যা সকলের, বিশেষত সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর উপকার করতে পারে।’
যেহেতু রাষ্ট্রদূত লি জিমিং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তাই শমসের মনে করেন যে বিষয়টি সবার মাথায় রাখা খুব জরুরি। তিনি আরও বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত জটিল এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ, এ ক্ষেত্রে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে। আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই যে আমরা যোগাযোগ বৃদ্ধিতে বিশ্বাসী। আমরা কেবল দ্বিপক্ষীয়ভাবে নয়, এশীয় প্রশান্ত মহাসগারীয় সীমান্তের ক্ষেত্রেও ঘনিষ্ঠ কৌশলগত অংশীদারিত্বে বিশ্বাসী।’তিনি রাষ্ট্রদূত লি এর সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদকে ভ্যাকসিন আন্তর্জাতিকতায় প্রতিস্থাপন করা উচিত। ‘আমি মনে করি এই বিষয়ে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে এবং একসাথে আমাদের ভূমিকা পালন করতে হবে, কারণ ভাইরাস কমপক্ষে আরও বেশ কিছু সময়ের জন্য থাকবে।’
চীনা বিশেষজ্ঞ ড. জু বলেছেন, ‘সাধারণ লক্ষ্য এবং পারস্পরিক সুবিধার মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিজস্বতা অর্জন করেছে।’ তিনি বলেন, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে আমরা চীনা ও বাংলাদেশিরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, মতামত, ভরসাপূর্ণ বন্ধুত্ব ভাগ করে নিয়েছি; যা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করছে।’ ড. জু আশা প্রকাশ করেন যে সহযোগিতার অভিজ্ঞতা দু'দেশকে আত্মবিশ্বাস ও প্রত্যাশার সাথে হাতে হাত রেখে ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাবে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ককে ভূ-রাজনীতির টানাপোড়েনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেয়া যাবে না, কারণ তাদের দূরদৃষ্টি অনুযায়ী আগামী দিনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বেশি রাজনৈতিক সম্পর্কে পরিণত হবে। এই রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সম্পর্কের আওতায় কীভাবে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে নিজস্ব ভিত্তিতে রক্ষা করতে পারে তা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। ড. দেবপ্রিয় আরও বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের জন্য নীতিনির্ধারণের স্বাধীনতা এবং নীতিনির্ধারণের সার্বভৌমত্ব আরও জটিল হবে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের ফলে চীনের অগ্রাধিকারযোগ্য বাজারে প্রবেশাধিকার অব্যাহত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: গ্যালারি কসমসের মাসব্যাপী ভার্চুয়াল চিত্র প্রদর্শনী ‘দ্য ব্ল্যাক স্টোরি’ শুরু
কূটনৈতিক সর্ম্পকের বাইরে
চীনা বিশেষজ্ঞ ড. নিং শেংনান বলেন, তারা বিশ্বাস করেন যে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে বাংলাদেশ উন্নয়নের মডেল হিসাবে আর্বিভূত হচ্ছে। তিনি বলেন, চীন-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব কেবল তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যেই নয়, একই উন্নয়ন ফিলোসফির মধ্যে নিহিত। চীন এবং বাংলাদেশ উভয়ই শ্রমঘন শিল্প থেকে শিল্পায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বায়ন বিরোধী এই শক্তিশালী তরঙ্গের মুখোমুখি হয়ে চীন ও বাংলাদেশের যৌথভাবে বিশ্বব্যাপী মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থার পক্ষে অবস্থান করা এবং একে রক্ষা করা প্রয়োজন।
সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম বলেন, এই পূর্বাভাস এমন একটি পথের সন্ধান দিচ্ছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীন ভবিষ্যতে চমৎকার সহযোগিতা প্রত্যাশা করতে পারে।
ড. রাশেদ আল তিতুমীর বলেন, প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য কমপক্ষে তিনটি প্রয়োজনীয় শর্ত রয়েছে যা হল: দুই দেশের মধ্যে উৎপাদন নেটওর্য়াক তৈরি, ঝুঁকি-ভাগ করে নেওয়ার ভিত্তিতে বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তির স্থানান্তর।সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক করিম বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’-বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। তিনি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, মর্যাদা ও আত্মসম্মান অক্ষুণ্ন রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশ-চীন: একই স্বপ্ন দেখে
চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান তার সমাপনী বক্তব্যে চীনের রোড এবং বেল্ট ইনিশিয়েটিভের কথা উল্লেখ করেন, যা দূর ও নিকটবর্তী দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশাল প্রতিশ্রুতি বহন করে। তিনি বলেন, সারাবিশ্বের মধ্যে চীনের উন্নয়ন বাংলাদেশিদের কাছে গর্ব এবং আনন্দের অন্যতম উৎস। আমরা জানি যে চীনের জনগণের একটি স্বপ্ন আছে; বাংলাদেশের জনগণেরও সেই স্বপ্ন রয়েছে। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টায় রয়েছি আমরা।
৩ বছর আগে
টিকা উপহার: বন্ধু চীনের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
চীন সরকারের উপহার স্বরূপ চাইনিজ সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের ৫ লাখ ডোজ টিকা পেয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে. আব্দুল মোমেন। চীনের বন্ধুত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আরও অধিক পরিমাণে টিকা সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
বুধবার বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে চীনের তৈরি করোনার সিনোফার্ম টিকা হস্তান্তর করেন। এর আগে বুধবার সকালেই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি ফ্লাইটে চীন আনা টিকা বাংলাদেশে পৌঁছায়।
টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চীনের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা সবসময়ই বন্ধু প্রতিম দেশ চীনের সহায়তা পেয়ে এসেছি। তাই চীনের কাছে থেকে আরও অধিক পরিমাণে করোনার টিকা পাওয়ার আশা করছি। আমরা জানি, চীনের সক্ষমতা অনেক বেশি এবং তারা আমাদের সহায়তা করবে।’
এ সময় ড. মোমেন চীনের সক্ষমতা প্রশংসার পাশাপাশি বাংলাদেশে চীনের টিকা উৎপাদনের আহ্বান জানান এবং এতে দুই দেশের লাভবান হবার দিকগুলোও তুলে ধরেন।
চীনের টিকার অনুমোদনের বিলম্বের কারণ ব্যাখা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,‘আমরা কিছু নিয়ম মেনে চলি। আগে চীনের তৈরি ভ্যাকসিনর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন ছিল না, তাই আমরা জনস্বাস্থ্য নিয়ে কিছুটা চিন্তিত ছিলাম। এই কারণে চীনের টিকা অনুমোদনে দেরি হয়েছে। বর্তমানের চীনের টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত।’
এ সময় পররাষ্টমন্ত্রী বিগত বছরগুলোতে চীন-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখা আশা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: চীনের উপহার ৫ লাখ টিকা বাংলাদেশে
অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বন্ধু রাষ্ট্র চীনের উপহার পেয়ে ধন্যবাদ জানান। চীন থেকে অধিক পরিমাণে টিকা ক্রয়ের বাংলাদেশের আগ্রহের কথাও উল্লেখ করেন।
টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে চীনের পক্ষে উপস্থিত থাকা চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আজ বিশ্ব নার্স দিবসের এই দিনটিতে বাংলাদেশকে টিকা উপহার দিতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। এই পদক্ষেপের মাধ্যমেই চীন সরকার করোনা ভ্যাকসিনকে বিশ্ব নাগরিকদের সহজলভ্য পণ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ধাপে এগিয়ে গেল।’
নিজেদের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিকা ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও চীন বাংলাদেশের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে ঈদ উপহার হিসেবে ৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাঠায়।
চীন এ পর্যন্ত প্রায় ৮০টি উন্নয়নশীল দেশকে ভ্যাকসিন সহায়তা দিয়েছে।
৩ বছর আগে
কোভিড ভ্যাকসিন সহায়তা নিয়ে আলোচনা করছে বাংলাদেশ, চীন: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং শুক্রবার বলেছেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সহায়তা নিয়ে তারা বাংলাদেশের সাথে এখন ঘনিষ্ঠ আলোচনা করছেন।
৩ বছর আগে
করোনাভাইরাস: চীনকে চিকিৎসা সামগ্রী দিল বাংলাদেশ
চীনের প্রতি বাংলাদেশের শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের কাছে মঙ্গলবার কিছু চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
৪ বছর আগে
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন ‘আরও গঠনমূলক ভূমিকা’ রাখবে: রাষ্ট্রদূত
ঢাকা, ২৯ আগস্ট (ইউএনবি)- রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন ‘আরও গঠনমূলক ভূমিকা’ রাখবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে দেশটির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
৫ বছর আগে