বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের দপ্তরে মন্ত্রীর সঙ্গে তার প্রথম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের পথ খোঁজাসহ ‘বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে’ তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
গত ২২ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের মাতৃভমি মিয়ানমারের রাখাইনে প্রত্যবাসনের ব্যাপারে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়। কিন্তু রোহিঙ্গাদের অনিচ্ছার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সর্বশেষ প্রত্যাবাসন চেষ্টায় বাংলাদেশের সাথে চীনও মাঠে ছিল। দ্বিতীয় দফাও ভেস্তে যাওয়ায় প্রত্যবাসন প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করতে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে পথ খোঁজার চেষ্টা চলছে।
বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। যাদের মধ্যে ৭ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে এসেছে।
শুরুতে মানবিক কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিলেও অধীক জনসংখ্যার ছোট দেশে তাদের দীর্ঘসময় ধরে আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়।
এর আগে অনেক প্রচেষ্টা ও প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর প্রথম পর্যায়ে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত যাওয়ার কথা থাকলেও সেবারও রোহিঙ্গাদের অনিচ্ছার কারণে প্রত্যাবাসন আটকে যায়।