কর্ণফুলী
কর্ণফুলীর ওপর ১১৫৬০ কোটি টাকার রেল-সড়ক সেতুর অনুমোদন একনেকে
কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কর্ণফুলী নদীর ওপর ১১ হাজার ৫৬০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে রেল-সড়ক সেতু নির্মাণের উল্লেখযোগ্য অবকাঠামো প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
কালুরঘাট এলাকায় অবস্থিত সেতুটি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন সহজতর করবে এবং এই অঞ্চলের যানবাহন ও রেল যোগাযোগ উভয়ই উন্নত করবে।
সম্প্রতি সংস্থাটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে চলতি অর্থবছরের তৃতীয় একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় অনুমোদিত চারটি প্রকল্পের মধ্যে এটি একটি। এটির সম্মিলিতভাবে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৪১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি সেক্টরে গ্রহণযোগ্য সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা
পুরনো কালুরঘাট সেতুর অতি প্রয়োজনীয় প্রতিস্থাপন
সভা শেষে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ পুরাতন কালুরঘাট সেতুটি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
বর্তমান সেতুটি খারাপ অবস্থায় রয়েছে, ট্রেনের গতি প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ১০ কিলোমিটারে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন এই সেতু কেবল স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থাই উন্নত করবে না, বরং কক্সবাজারকে একটি প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন আরও জোর দিয়েছিলেন যে নতুন সেতুটি মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং পারিপার্শ্বিক অর্থনৈতিক অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে। ২০৩০ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১১ হাজার ৫৬০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার মধ্যে ৪ হাজার ৪৩৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার এবং বাকি ৭ হাজার ১২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) ও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটি (ইডিপিএফ) থেকে জোগান দেওয়া হবে।
আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, নতুন সেতুটি দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সঙ্গে একটি দক্ষ সংযোগ তৈরি করে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে, যা চীন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশকে ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।
প্রকল্পের আওতায় ৭০০ মিটার সেতু, ৬ দশমিক ২০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, ২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার সড়ক ভায়াডাক্ট, ৪ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ এবং ১১ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হবে।
নতুন সেতুটি চট্টগ্রামের শিল্পগুলোকেও উপকৃত করবে। যা দেশের ৭০ শতাংশ আমদানি ও রপ্তানি পরিচালনা করে। উন্নত পরিবহন সংযোগ চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পরিবহন সহজতর করার পাশাপাশি এই অঞ্চলের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে সমর্থন করবে।
অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্প
রেল-সড়ক সেতু ছাড়াও ৬ হাজার ৫৭৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩৭৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২ (এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেন আপগ্রেডেশন) এর দ্বিতীয় সংশোধনী প্রকল্প এবং ৫ হাজার ৯০১ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে রেজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (আরইইউটিডিপি)।
আরও পড়ুন: ঢাকায় শুধু মেগা প্রজেক্ট করলেই হবে না, সবুজায়নও বাড়াতে হবে: উপদেষ্টা
সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
১ মাস আগে
কর্ণফুলীতে নৌকায় ফেরির ধাক্কা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতিসহ ২ যাত্রী নিখোঁজ
চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীতে ফেরির সঙ্গে নৌকার ধাক্কায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতিসহ দুই যাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন।
শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কালুরঘাটের পশ্চিম পাড় থেকে পূর্ব পাড়ে আসার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নৌকাডুবিতে নিখোঁজ অভিবাসীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ইতালির কোস্টগার্ড
কালুরঘাট ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বাহার উদ্দিন বলেন, বোয়ালখালী থেকে চট্টগ্রামে আসার সময় ফেরির সঙ্গে একটি নৌকার ধাক্কা লাগে। এ সময় নৌকার দুইজন ফেরির নিচে পড়ে যায়।
বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তির মধ্যে একজন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি। তাদের উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তিস্তায় নৌকাডুবি: নিখোঁজের ৩ দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
তিস্তায় নৌকাডুবি: শিশুর লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ৭
৪ মাস আগে
চট্টগ্রামে ফের আগুন, এবার দুটি গরুসহ পুড়ল ১৮ ঘর
চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলায় ফের আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ভয়াবহ আগুনে এস আলম সুগার মিল পুড়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় এবার পুড়েছে ১৮টি বসতবাড়ি ও দুটি গরু।
সোমবার দিবাগত রাত (৫ মার্চ) সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর গ্রামের সৈন্যার গুষ্ঠির বাড়িতে (৮ নম্বর ওয়ার্ড) এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। গরুর গোয়ালে মশা তাড়ানোর কয়েল থেকে আগুন ছড়িয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শোয়েব হোসাইন মুন্সী। তিনি জানান, ওই গ্রামের মো. ইসলামের গোয়াল ঘরে লাগানো মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
আরও পড়ুন: এস আলম সুগার মিলের আগুন সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে, ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
তিনি আরও বলেন, আগুন নিমিষেই ছড়িয়ে পড়ে পাশের মো. তাহের, দিল আহম্মদ, আবুল হোসেন, মো. শুক্কুর, মো. সৈয়দ, আব্দুস সালাম, মো. টিপু, শাহ আলম, বদিউল আলম, আলা উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, মো. ফয়েজ, মো. ছবির, আব্দুল গণি, ওমর আলী, মো. রফিক, সোনা মিয়া ও মো. শুক্কুর এর বাড়িতে। এই ১৮টি বাড়িতে প্রায় ৪০-৫০ পরিবারের বসবাস ছিল। যারা বেশ অসহায় ও গরিব বলে জানা গেছে।
আগুনে তাদের সবার টিনের ও বেড়ার ঘর, নগদ টাকা, আসবাবপত্রসহ প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় দুটি গরু অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। যার আনুমানিক মূল্যও প্রায় আড়াই লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এস আলম সুগার মিলের আগুনে পুড়ে গেছে এক লাখ টন চিনি
তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে কর্ণফুলী ফায়ার সার্ভিস দমকল বাহিনীর একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে ফায়ার সার্ভিস আসায় আগুন আশেপাশে বেশি বিস্তার করতে পারেনি বলে জানান স্থানীয়রা।
কর্ণফুলী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মাহমুদুল হক সুমন বলেন, ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই অনেকটা পুড়ে যায়। যেহেতু সবার বেড়া ও টিনের ঘর ছিলো।
প্রসঙ্গত, গতকাল ৪ মার্চ বিকাল ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন ইছানগর এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ নামের ওই চিনি কারখানায় আগুন লাগে। আগুন নেভাতে ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায় । এতে ১ লাখ মেট্টিক টন চিনি পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার দাবি করা হয়। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ৪ ঘণ্টার মাথায় আবারও একই এলাকায় অগ্নিকাণ্ড ঘটল।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ঝিনাইদহে কয়েলের আগুনে ১১টি গবাদি পশুর মৃত্যু
৮ মাস আগে
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের কালুরঘাট এলাকার কর্ণফুলী নদীর তীরে পড়ে থাকা অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরের সিংড়ায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
কালুরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হৃদয় মাহমুদ লিটন জানান, লাশ পড়ে থাকার খবর পাওয়ার পর লাশ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যাই। যেহেতু লাশটি নদীর তীরে আটকে ছিল, তাই নৌ-পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, এখনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরনে ছিল লম্বা প্যান্ট ও হলুদ রঙের শার্ট। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরসরাই থেকে ফেনীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের লাশ উদ্ধার
লক্ষ্মীপুরে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
কর্ণফুলী নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের (৩০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৭ আগস্ট) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) নৌ পুলিশের পরিদর্শক মো. একরাম উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় চীনা নাগরিকের লাশ উদ্ধার
তিনি বলেন, শনিবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টায় কর্ণফুলী নদীর সদরঘাট থানাসংলগ্ন লঞ্চঘাটে লাইটার জাহাজের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
একরাম উল্লাহ জানান, লাশের পরনে হাফ হাতা গোল গলার কালো গেঞ্জি এবং কালো জিন্স প্যান্ট ছিল। রাতে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ঢাবি হল থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
রবিবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টা পর্যন্ত কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন হয়েছে ২০৫ মেগাওয়াট। যেটি চলতি বছরে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সর্বাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন।
কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের
তিনি বলেন, দিন দিন কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ছে। এ ছাড়া কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ যদি বাড়তে থাকে তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বাড়লেও দেশে তীব্র লোডশেডিং
এদিকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা জানান, বছরের এই সময় কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ রুল কার্ভ অনুযায়ী ৯৩ দশমিক ৬৫ ফুট সিন সি লেভেল (এমএসএল) থাকার কথা থাকলেও রবিবার কাপ্তাই হ্রদে পানি পরিমাণ রয়েছে রুলকার্ভ অনুযায়ী ১০১ দশমিক ৮১ ফুট এমএসএল। যা গত কয়েক দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ পানির লেভেল। তবে কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।
উল্লেখ্য, কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বমোট ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, একসঙ্গে চালু হলো ৫ ইউনিট
চলতি বছর দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩০ হাজার মেগাওয়াট অতিক্রম করবে
১ বছর আগে
কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেষে হবে দৃষ্টিনন্দন বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেষে গড়ে তোলা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ। নগরীর ফিরিঙ্গিবাজারে বিশাল এলাকা জুড়ে এসব পার্ক ও খেলার মাঠ বাস্তবায়নে যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও জেলা প্রশাসন।
কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী উন্মুক্ত সরকারি খাস জমিতে অপদখল ও নদী দূষণ প্রতিরোধে প্রায় ১২ দশমিক ৪৫ একর সরকারি খাস জমিতে নির্মিত হতে যাওয়া এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কর্ণফুলী লুকআউট’।
এখানে পার্ক ও খেলার মাঠ গড়ে উঠলে কর্ণফুলী নদীর তীর দখল ও দূষণের কবল থেকে রক্ষা পাবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: শাহবাগ শিশু পার্ক: আধুনিকায়নের নামে ৩ বছরের বেশি সময় বন্ধ
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সূত্র জানায়, নগরবাসীর চিত্ত বিনোদনের চাহিদা পূরণ এবং কর্ণফুলী নদীর অপার সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের উদ্যোগে কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী উন্মুক্ত সরকারি খাস জমির দখল প্রতিরোধে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ পার্কে থাকবে ফেরিস হুইল (বিশালাকার নাগরদোলা)। থাকবে কিডস্ জোন থেকে শুরু করে বিনোদনের নানা উপকরণ। প্রকল্পটি ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা। প্রকল্পটি হবে কর্ণফুলী নদীর পাশ ঘেঁষে বিআইডব্লিউ ঘাট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত। পার্কের পাশাপাশি থাকবে খেলার মাঠও। এ ছাড়া চিত্তবিনোদনের জন্য টেনিস, বাস্কেটবল, ভলিবল কোর্ট, ক্লাব হাউস তৈরি করা হবে। থাকবে- মুক্তমঞ্চ, বোট মিউজিয়াম, কিডস্ জুন, ফুট কোর্ট, পার্কিং, পিকনিক স্পট ও ওয়াকওয়ে।
আরও পড়ুন: সাফারি পার্কে মারামারিতে আঘাত পেয়ে হাতির মৃত্যু
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও দুই ছেলে নিহত
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর বড়উঠানে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও তার দুই ছেলে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে দুইজন এবং ঘটনাস্থলে একজন মারা যান।
এর আগে রাত ৮টার দিকে (আনোয়ারা থানাধীন) কর্ণফুলী বড়উঠান ইউনিয়নের ডাকপাড়া এলাকার পিএবি সড়কে এ দুঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ।
তিনি বলেন, যে এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে তা আনোয়ারা থানায় পড়েছে। আমরা লাশ আনোয়ারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। তবে নিহত নারী ও তার দুই ছেলের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কাভার্ডভ্যান-পিকআপ সংঘর্ষে দম্পতিসহ নিহত ৩
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মইজ্জ্যারটেক থেকে যাত্রী নিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনীর দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই ওই নারী নিহত হন।
তিনি আরও বলেন, এ সময় নারী ও শিশুসহ আরও তিনজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ঘটনার পর এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে বড়উঠান রাস্তার মাথা এলাকায় বাসটি স্থানীয়রা আটক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
দুর্ঘটনার পর আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মঞ্জুর আলম নামের স্থানীয় একজন জানিয়েছেন, নিহতদের একজন মা, অন্য দুইজন তার ছেলে। আহত অন্যজন তার মেয়ে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেলে আনা হলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। তাদের মধ্যে একজনের নাম মানিক। মানিকের বয়স ১৭ বছর। অন্যজনের নাম জানা যায়নি, তার বয়স আনুমানিক ২৩ বছর।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে পিকআপভ্যান-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
১ বছর আগে
বাংলাদেশ নৌবাহিনী 'ক্রেতা' থেকে 'নির্মাতা' হতে চলেছে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সততা, নেতৃত্ব এবং আত্মত্যাগের গুণাবলিতে উৎসাহিত হয়ে আপনাদের সর্বদা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার পাশাপাশি যে কোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে হবে।বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির (বিএনএ) মিডশিপম্যান ২০২০ আলফা ব্যাচ এবং ডিরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২২ ব্রাভো ব্যাচের উত্তীর্ণ ক্যাডেটদের প্রেসিডেন্ট প্যারেডে ভাষণ দিচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে থাকে এবং দক্ষতার সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই আমাদের কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করুক।’
গ্র্যাজুয়েট অফিসারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় আপনারা আমাদের নৌবাহিনীর ভবিষ্যত নেতৃত্বদানকারী।
তিনি তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এবং শৃঙ্খলা ও সততার অনুভূতিতে সজ্জিত হয়ে দেশের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে বলেছিলেন।
আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণ করছে উল্লেখ করে
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধে সক্ষম করার লক্ষ্যে তাদের আধুনিকায়নের কাজ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না, বরং সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে। ‘একটি স্বাধীন দেশ হওয়ায় আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং উন্নত সরঞ্জামে সজ্জিত করতে চাই, যাতে আমরা বাইরের শত্রুদের যে কোনও আক্রমণ প্রতিহত করতে পারি এবং যে কোনও যুদ্ধে জয়ী হতে পারি।’
তিনি বলেন, তার সরকার সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছে এবং এ লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ক্রেতা থেকে নির্মাতা হতে চলেছে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী সামরিক জাহাজ ও ব্যবস্থার নির্মাতা হয়ে উঠছে যা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব ব্যবহারের জন্য স্থানীয় শিপইয়ার্ডে জাহাজ নির্মাণ করছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী খুলনা শিপইয়ার্ডে পাঁচটি পেট্রোল ক্রাফট এবং দুটি বৃহৎ পেট্রোল ক্রাফট নির্মাণের কাজ শেষ করেছে। তিনি বলেন, আরও পাঁচটি টহল কারুশিল্প তৈরির কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নৌবাহিনী তিন বাহিনীর জন্য আইএফএফ (বন্ধু ও শত্রুর পরিচয়) ব্যবস্থা প্রস্তুত করেছে। এখন নৌবাহিনী ‘ক্রেতা’ থেকে ‘নির্মাতা’ (সামরিক জাহাজ ও ব্যবস্থার) বাহিনীতে পরিণত হতে যাচ্ছে। এটি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করবে, স্থানীয় প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং দক্ষতা বাড়াবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় এ ধরনের প্রথম টানেল।
তিনি বলেন, বিএনএস শের-ই-বাংলার নির্মাণ কাজ চলছে এবং কক্সবাজারের পেকুয়ায় একটি স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি তৈরি করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছে এবং এখন তা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে চারটি ফ্রিগেট, ছয়টি করভেট, চারটি বড় পেট্রোল ক্রাফট, পাঁচটি পেট্রোল ক্রাফট এবং দুটি প্রশিক্ষণ জাহাজসহ মোট ৩১টি যুদ্ধজাহাজ যুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক সংকটে মানুষ যাতে কষ্ট না পায় তা নিশ্চিত করুন: স্থানীয় প্রতিনিধিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
তিনি বলেন, সরকার দক্ষ কমান্ডো ও উদ্ধারকারী দল হিসেবে 'স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ কমান্ড' এবং নেভাল এভিয়েশন উইং প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ২০১৭ সালে দুটি সাবমেরিন যুক্ত করেছি। ফলস্বরূপ, আমাদের নৌবাহিনী আজ একটি ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় বাণিজ্যিক জাহাজ, ফিশিং ট্রলার, নৌকা এবং ব্লু ইকোনমি-সম্পর্কিত মেরিটাইম প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মোংলা কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্টের অবকাঠামো উন্নয়ন করছি। নৌবাহিনীতেও ডিজিটাল প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ নৌবাহিনী সম্প্রতি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে 'ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউ-২০২২'-এর আয়োজন করেছে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নৌবাহিনীর জন্য ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি জমকালো কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে ২০২০ আলফা ব্যাচের মোট ৩৫ জন মিডশিপম্যানকে কমিশন দেয়া হয়, আর ২০২২ ব্রাভো ব্যাচের ছয়জন সরাসরি প্রবেশকারী কর্মকর্তা স্নাতক হন।
প্রধানমন্ত্রী দুই সেরা অলরাউন্ড মিডশিপম্যানকে সম্মানের তরবারি এবং সিএনএস স্বর্ণপদক এবং সরাসরি প্রবেশকারী সেরা কর্মকর্তাকে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সকল ধর্মীয় বিশ্বাস সমান অধিকার ভোগ করে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ পাশের কাজ শেষ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে যাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ টিউবের সাধারণ কাজ সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার এ উপলক্ষে সেতু বিভাগের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন (গণভবন) থেকে যোগ দিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ প্রান্তের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে এবং টানেলের উত্তর প্রান্তের ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নদীর তলদেশের টানেল, যা কর্মসংস্থান, পর্যটন এবং শিল্পায়ন বৃদ্ধির সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতি বৃদ্ধিতে শূন্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্ণফুলী টানেল চট্টগ্রামের যানজট পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দুটি পাঁচ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করা হচ্ছে। টানেলের দৈর্ঘ্য তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরতায় এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
কর্মকর্তাদের মতে, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৪ শতাংশ। বাকি কাজ শেষ করতে আরও দুই মাস সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী টানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে কর্ণফুলী টানেল। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের (জি টু জি) যৌথ অর্থায়নে টানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এবং বাকি অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রামকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। চীনের সাংহাইয়ের মতো ‘এক নগরী দুই শহর’ মডেল অনুসরণ করে নির্মিত এই টানেলটি উত্তরের বন্দর শহরটিকে দক্ষিণে আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করবে।চীন এই প্রকল্পে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। বর্তমানে, টানেলের ভিতরে অগ্নিনির্বাপণ, আলো এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়াও, ৫২টি সেচ পাম্পও স্থাপন করা হচ্ছে যাতে বর্ষাকালে পানির স্তর বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে টানেলটি আটকে না যায়, প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল সংলগ্ন দুটি টিউব নির্মাণ করা হয়েছে। টানেলে একই সঙ্গে লাইট, পাম্প এবং ড্রেনেজ সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে এবং একটি ৭৭২ মিটার ফ্লাইওভারও নির্মিত হয়েছে।
বর্তমানে টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে টোল প্লাজা নির্মাণের কাজ পুরোদমে চলছে।
কর্ণফুলী টানেল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় টানেলের অ্যাপ্রোচ রোডের দুই পাশে নতুন নতুন শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে এরই মধ্যে ভাগ্যের পরিবর্তনের সাক্ষী হতে শুরু করেছে।
কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যমতে, কর্নফুলীর দক্ষিণ তীরে অন্তত ১০টি বড় শিল্প গ্রুপ এবং ১৫০ জন ব্যবসায়ী বিভিন্ন সেক্টরে - বিদ্যুৎ, পেট্রোলিয়াম, পোশাক, জাহাজ নির্মাণ, মাছ প্রক্রিয়াকরণ, ইস্পাত, সিমেন্ট এবং তেল শোধনাগার - কারখানা স্থাপনের জন্য অগ্রিম জমি কিনেছে।
টানেলটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে কর্ণফুলী টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
২০১৫ সালের নভেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আট হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মাল্টি-লেন রোড টানেল প্রকল্পটি অনুমোদন করে এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নির্ধারণ করা হয়েছিল।পরবর্তীতে খরচ বাড়িয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকা করা হয় এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
প্রকল্পের সর্বশেষ সংশোধনীতে ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এবং ব্যয় ১৬৪ কোটি টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
২০১৩ সালে পরিচালিত জরিপ অনুসারে টানেল নির্মাণের আগে বছরে ৬৩ লাখ যানবাহন টানেল দিয়ে চলাচল করতে সক্ষম হবে। সে হিসাবে দিনে প্রায় ১৭ হাজার ২৬০টি গাড়ি চলতে পারে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন কর্ণফুলী টানেল দিয়ে যাতায়াত করবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকটের আশঙ্কা করছেন না প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে