আমীর খসরু
সুবিধাভোগীরা ছাড়া সবাই সরকারের বিপক্ষে কথা বলছে: আমীর খসরু
আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা ছাড়া সবাই সরকারের বিপক্ষে কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, একটি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ আজকে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। দেশে-বিদেশে সবার মধ্যে একটি প্রশ্ন- বাংলাদেশ কোথায় আছে?
সোমবার (১ এপ্রিল) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর নাসিরাবাদ কনভেনশন হলে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম শাখার চিকিৎসক সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। ৭ জানুয়ারি তো কোনো নির্বাচন হয়নি, হয়েছে গণভোট। বিএনপির পক্ষ থেকে ডাক দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ যাতে নির্বাচনে না যায়। সেদিন বাংলাদেশের ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ নির্বাচনে না গিয়ে গণভোটে শেখ হাসিনার নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রত্যাখান করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ গণভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান আবার পরিষ্কার করেছে। তারা এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে চায়। তারা তাদের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। গণমাধ্যমের অধিকার ফিরে পেতে চায়। ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ সেদিন জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। পাঁচ শতাংশেরও কম মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সুশীল সমাজ, যারা আগে মুখ খুলত না, তারাও পরিষ্কার ভাষায় এ অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে, তারা আজ গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে।
চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়েজুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন- ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে : আমীর খসরু
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে : আমীর খসরু
বাংলাদেশে এখন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের নেভাল এভিনিউয়ের মেরিটাইম মিউজিয়াম ক্যাফেতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র যেভাবে চলছে, রাষ্ট্রের অঙ্গগুলো যেভাবে চলছে, এতে সাংবাদিকতা ভালো অবস্থানে নেই। বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী এখানে সৃষ্টি করা হয়েছে, যাদের সাংবাদিকতা পরিচালিত হয় সরকারি ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যারা চলে তারা সাংবাদিকতা করতে পারে না। সাংবাদিকদের হতে হবে ওয়াচডগ (পর্যবেক্ষণকারী)। এখন তারা হয়ে গেছে ল্যাপডগ মানে কোলের কুকুর। ওরা ওয়াচডগের বদলে এখন ল্যাপডগ হয়ে গেছে বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির
বিএনপি নেতা বলেন, যারা সাহস করে কথাবার্তা বলছে, লিখছে, তাদের বিরুদ্ধে একটা বড় ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। যেসব সাংবাদিক সংগঠন, মিডিয়ায় কিছু কথা বলার চেষ্টা করছে তারা কিন্তু এখন বড় চাপের মধ্যে আছে। ফ্যাসিস্ট শাসনের (রেজিম) বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এখনও যে সাংবাদিকরা দাঁড়িয়ে আছে, বিশেষ করে আজ এখানে যারা আছে, এখানে অনেক সাংবাদিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনেক সাংবাদিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা কিন্তু অনেক বাধা অতিক্রম করে যাচ্ছে, সাহসিকতার সঙ্গে করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগে ভারতে আমরা শুনতাম ইন্দিরা গান্ধীর ইমার্জেন্সির সময় সরকার থেকে সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল একটু বাঁকা হয়ে সরকারের পক্ষে কথা বলতে। কিন্তু তারা বাঁকা হয়ে হামাগুড়ি দিচ্ছিল। সরকার বলেছিল একটু ব্যাং হয়ে আমাদের পক্ষে লিখেন, কিন্তু অতি উৎসাহী সাংবাদিকরা হামাগুড়ি দিচ্ছিল। বাংলাদেশ সরকার বলেছে হামাগুড়ি দাও, এরা সিজদায় পড়ে গেছে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অবস্থা।’
আমীর খসরু বলেন, আওয়ামী লীগের বেনিফিশিয়ারি সাংবাদিকরা ছাড়া বাংলাদেশের সাধারণ সাংবাদিকরা মুক্ত হতে চাচ্ছে। তারা মুক্তির পথ খুঁজছে। তারা যদি মুক্ত হতে না পারে এখন, তাহলে আগামী দিনে বাংলাদেশে সাংবাদিকতা বলে কোনো কিছু থাকবে না। সাংবাদিকতা পেশা বলে যে কিছু আছে, এটাও ভুলে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে: আমীর খসরু
গণতন্ত্র ফেরানোর দায়িত্ব বিএনপির একার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি গুম হবে, খুন হবে, মৃত্যুর মুখে যাবে, চাকরি হারাবে, ব্যবসা হারাবে- শুধু বিএনপির একার দায়িত্ব না। সাংবাদিকদের দায়িত্ব আছে, পেশাজীবীদের দায়িত্ব আছে, সর্বস্তরের মানুষের আজ দায়িত্ব আছে। ৯৫ শতাংশ মানুষ যারা ভোটকেন্দ্রে যায়নি, তারা কিন্তু তাদের একটা দায়িত্ব পালন করেছে। বিএনপি এবং বিরোধী দলের ডাকে তারা দায়িত্ব পালন করেছে, তারা কথা বলেছে, ঘরে বসে কথা বলেছে।
সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী ও মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের কাছে সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী: আমীর খসরু
আরও ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, সিএমইউজের সাবেক সভাপতি ইস্কান্দার আলী চৌধুরী, শামসুল হক হায়দরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কপিল উদ্দিন চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নছরুল কাদির, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক নেতা অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন ও আলী আব্বাস প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আ’লীগ: আমীর খসরু
চট্টগ্রামে সংঘর্ষ : আমীর খসরুসহ ৪৫৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ৪৫৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
বুধবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রামের সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সামশুল আরেফীনের আদালতে এই অভিযোগ গঠন করা হয়।
এর আগে আসামিপক্ষ মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি কাজীর দেউড়ির নুর আহমদ সড়কের বিএনপির মহানগর কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই সময় বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পরে পুলিশ তাদের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে ৩৮৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
পরে ২০১৭ সালের ২৭ জুন পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আরও ৭৬ জনকে অভিযোগপত্রে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। ওই সময় মামলার এজাহার থেকে বাদ দেওয়া হয় ১২ জনকে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মফিজুল হক বলেন, ‘২০১৫ সালে বিস্ফোরক আইনে করা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল বুধবার। আমরা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করলে আদালত সেটি না মঞ্জুর করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি ড. শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করসহ ৪৫৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে।’
আগামী জুনে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর
২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল নিহতের মামলাসহ দুই মামলায় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরু একদিনের রিমান্ডে
এদিকে বুধবার রমনা ও পল্টন মডেল থানার পৃথক আট মামলায় তার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জেল হোসেনের আদালতে গ্রেপ্তার ও জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এ জন্য শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত।
গত রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
তারও আগে আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ গ্রেপ্তার ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আমীর খসরু আটক
জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। দু’টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এজন্য অপর আট মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ আট মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে রমনা মডেল থানায় চার এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে।
গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গত ৩ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে দুদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আমীর খসরু জামিনে মুক্ত
নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
গত ২৮ অক্টোবর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী জামিনের আবেদন নাকচ করে জেল গেটে পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেন।
নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের রিমান্ডের আবেদনও খারিজ করে দেন আদালত।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুমিত কুমার তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: শুধু সরকারপন্থী দলগুলোই 'পাতানো' নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে: বিএনপি
গত ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৩০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
এদিকে, ৩ নভেম্বর সহিংসতার সময় এক পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যার মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবারের বদলে মঙ্গলবার হরতাল পালন করবে বিএনপি
৭ সপ্তাহ পর বিজয় দিবসে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে: ডিবি প্রধান হারুন
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন-অর-রশীদ জানিয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার সময় পুলিশ কনস্টেবল হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি: সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের জামিন ১ বছর বাড়লো
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি নেতাকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান এসব কথা বলেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরে আমীর খসরু মাহমুদকে খুঁজছিলাম।’
তিনি জানান, ‘তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং আমরা গত রাতে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করি। পল্টন থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি বলেন, আমির খসরু পুলিশ হত্যা মামলার চতুর্থ আসামি এবং পুলিশ তার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি আসামিদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করবে।
ডিবি প্রধান বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) জানেন যে একজন পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং আরও অনেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবনের সঙ্গে লড়াই করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এ মামলার আসামিদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শাজাহানপুর এলাকা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে ও কাকরাইলে সহিংস সংঘর্ষের পর রবিবার দুই নেতার বাড়িতে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে ঢাকা মহানগর হাকিম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত
ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি
আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা তো কোনো সময় বলি না তলে তলে সবকিছু ম্যানেজ করে নিয়েছি। বিএনপি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। বেগম খালেদা জিয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তারেক রহমান সবচেয়ে ডায়ানামিক লিডার। কারও উপর নির্ভর করতে হবে না বিএনপিকে। যারা নির্ভরশীল তাদের হৃদয়ে কম্পন শুরু হয়েছে। কারণ তারা দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের কাছে সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী: আমীর খসরু
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর কাজির দেউরি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলনকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতা করে একটি উপায় বের করা উচিত' জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, এখানে আওয়ামী লীগ বিএনপি বিষয় না। বিষয়টি হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরে পাওয়ার বিষয়। তার ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার বিষয়। এখানে কোনো দলের বিষয় না। সেটা একমাত্র সম্ভব আজ জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে বিধান ছিল সেটা আওয়ামী লীগ এককভাবে বাতিল করেছিল। সেটা ফেরত এনে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। কাদের মধ্যে সমঝোতা হবে এটা কোনো আলোচনার বিষয় না। বাংলাদেশের মালিক বাংলাদেশের জনগণ। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। একমাত্র সমঝোতা হবে বাংলাদেশের মানুষের প্রতাশা প্রয়োগে।
আমীর খসরু বলেন, বলেছিলাম ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের রোড মার্চে সুনামি হবে। সেদিন চট্টগ্রামের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে। সুনামির থেকেও বেশি কিছু করেছে। চট্টগ্রামে সেদিন মানুষের ঝড় তুলেছে। আমাদের আগামী দিনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের জন্য, মানুষের জন্য ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে একদফা আন্দোলন শেষ হবে: আমীর খসরু
সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে একদফা আন্দোলন শেষ হবে: আমীর খসরু
শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে বিএনপির একদফা আন্দোলনের শেষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমাদের রোডমার্চের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটাই (শেখ হাসিনার পদত্যাগ)। এটা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। দাবি না মানা পর্যন্ত বাড়ি ফিরে যাব না কেউ। এ ছাড়া ভোট চোরদের দিন শেষ, জনগণের বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের ক্ষমতায় গেলে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে: আমীর খসরু
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে নগরীর কাজির দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে সরকারের পদত্যাগ ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির একদফা দাবিতে আগামী ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে ফেনী, মিরসরাই হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোড় মার্চ কর্মসূচি সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভোট চোরদের বিদায় করতে ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সুনামি তৈরি করতে হবে। শেখ হাসিনা বিদায় হও, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দাও।
তিনি বলেন, এই বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোট চোরদের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে। এদের এবার ছাড় দেওয়া যাবে না।
আমীর খসরু বলেন, রোডমার্চে কুমিল্লায় একটি বড় জনসভা হবে ও চট্টগ্রামে একটি হবে। আর মাঝখানে যেগুলো হবে সেগুলো পথসভা। আমাদের পথসভাগুলো জনসভার মতোই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জেলখানায় বর্তমানে কী হচ্ছে সে ব্যাপারে জনগণের সন্দেহ জেগেছে। বেগম খালেদা জিয়ার শরীর কী পর্যায়ে এভাবে এসেছে এটা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। অনেকেই জেলখানায় মারা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অনেকে জেলখানা থেকে বের হয়ে মারা যাচ্ছে। তাহলে বাংলাদেশের জেলের ভেতরে কী হচ্ছে? এই প্রশ্নগুলো জনমনে এসেছে আজ।
আরও পড়ুন: জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের কাছে সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী: আমীর খসরু
‘অবৈধ’ সরকার যদি আরও কিছুদিন থাকে আমরা কেউ বাঁচবো না: আমীর খসরু
মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু বলেন, ভোট কারচুপির সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে তাদের দলের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বৃহস্পতিবার দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই, কারণ এটি (আগামী সাধারণ) নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের উদ্বেগের কথা বিবেচনা করে করা হয়েছে। আমি মনে করি এই পদক্ষেপ অন্তত আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে আয়োজনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান খসরু আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ একটি বার্তা দিয়েছে যে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না এবং তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকা অবস্থায় তাদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই; আমরা অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা চাই না: মোমেন
বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ভোট কারচুপি চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি আগামী দিনে নির্বাচনী কারচুপি বন্ধে একটি বড় বার্তা।
খসরু বলেন, জনগণের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার না করে ক্ষমতাসীন দল আবারও ভোট কারচুপিতে লিপ্ত হলে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের উদ্বেগের প্রতিফলন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিয়েছে। ‘আমাদের প্রতিবেশি দেশসহ অন্যান্য দেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। মার্কিন ভিসা নীতি শুধুমাত্র বাংলাদেশ এবং এর নির্দিষ্ট সংস্থা ও ব্যক্তিদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে।’
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রচারের লক্ষ্যে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষণা করেন, ‘এই নীতির অধীনে আমরা কোনো ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারি, যদি তারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে সহায়তা করতেই নতুন ভিসা নীতি: যুক্তরাষ্ট্র
জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের কাছে সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী: আমীর খসরু
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় বসতে বিদেশিদের অনুগ্রহ খুঁজছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সফরে বেরিয়েছেন। যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন তারা এখন (ক্ষমতায় থাকার জন্য) বিদেশিদের আনুকূল্য খুঁজছে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এবং রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা রাষ্ট্রের কিছু যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এবং ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য অন্যান্য শক্তির উপর নির্ভরশীল। সুতরাং, তারা দেশ থেকে দেশে এবং দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে একটি অনুগ্রহের জন্য। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে শেরেবাংলা জাতীয় যুব স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানে চার দিনের সরকারি সফরের শুরুতে মঙ্গলবার টোকিও যান।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠানোই সরকারের মূল পরিকল্পনা: ফখরুল
প্রধানমন্ত্রীর দুই সপ্তাহের তিন-দেশীয় সরকারি সফরের সময় টোকিও হলো প্রথম স্টপেজ। এরপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে যাবেন।
খসরু প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আপনি যত দেশেই যান না কেন, রাজনৈতিক কোনো লাভ করতে পারবেন না। ‘আপনাকে পরাজিত হতে হবে। দেশের মানুষ যখন সিদ্ধান্ত নেয় এবং রাজনৈতিক অবস্থান নেয়, তখন কোনো শক্তি তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের দলের চলমান আন্দোলন জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অবশ্যই সফল হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, দেশের জনগণ সব কিছু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যে তারা সরকার ও ভোট কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খুলনায় নাশকতা মামলায় বিএনপির ৮ নেতাকর্মী কারাগারে