সেঞ্চুরি
কোহলির সেঞ্চুরি, পাকিস্তানকে বিপদে ঠেলে সেমির পথে ভারত
ম্যাচের ফল একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। শেষ পর্যন্ত বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি করতে পারেন কিনা, তা-ই দেখার বাকি ছিল। জয়ের জন্য যখন ২ রান দরকার, শতক হাঁকাতে কোহলির দরকার তখন ৪। তবে চার মেরেই সব হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে দিলেন তিনি।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর ভারতীয় বোলারদের প্রতাপ সামলে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতেই ২৪১ রান তুলে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।
২৪২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৬ উইকেট হাতে রেখে ২৪৪ রান করে জয়োল্লাস করে ভারত। ইনিংসের ৪৫ বল বাকি ছিল তাদের।
ভারতের এই জয়ে মূল কাজটি করেন তাদের বোলাররা। দীর্ঘ সময় উইকেট না পেলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাকিস্তানের রানের গতি এমনভাবে তারা কমিয়ে দেন যে প্রথম ইনিংসে একেকটি বাউন্ডারি দেখতেই ৪০-৪৫ বলের মতো অপেক্ষা করতে হয়েছে দর্শকদের।
শেষের দিকে রানরেট বাড়াতে গিয়ে একের পর এক উইকেট বিলিয়ে শেষ পর্যন্ত অলআউট হওয়ার লজ্জাও বরণ করতে হয় তাদের।
অপরদিকে, ফিল্ডিং চলাকালে বোলারদের পাশাপাশি ভারতের ফিল্ডারদেরও খানিকটা কৃতিত্ব দিতে হয়। তাদের পরিশ্রমী মানসিকতার কারণেই অনেকগুলো এক পাকিস্তানি ব্যাটাররা দুইয়ে রূপ দিতে পারেননি, অনেকগুলো সম্ভাব্য চার আটকে গেছে তিনে। এরপর রান তাড়ায় নেমে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাই উপহার দিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটাররা।
অবশ্য শুরুর দিকে (পঞ্চম ওভারের শেষ বলে) রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে দিয়ে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও সময় যত গড়িয়েছে, জয়ের পাল্লা ততই ভারতের পক্ষে ভারী হয়েছে।
৩১ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর পাকিস্তান দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পায় ১০০ রানের মাথায়। ৫২ বলে ৪৬ রান করা শুভমান গিল এদিন অল্পের জন্য হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও কোহলির সঙ্গে দারুণ একটি জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে কোহলির ১১৪ রানের জুটিটি পাকিস্তানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়।
৬৭ বলে ৫৬ রান করে শ্রেয়াস ফেরার অল্প সময় পর হার্দিক পান্ডিয়াও আউট হলে ভারতের তখন প্রয়োজন ৬০ বলে মাত্র ১৯ রান। এরপর শেষ মুহূর্তে সেঞ্চুরির মাধ্যমে দলকে জেতানোর পথে অনন্য এক কীর্তি গড়েন কোহলি।
৬৯ দিন আগে
দুই সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের সামনে নিউজিল্যান্ডের রানপাহাড়
অষ্টম ও নবম ওভারে দুই রানের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের দুই উইকেট তুলে নিয়ে ভালো বোলিংয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল পাকিস্তান। তবে সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ইঙ্গিত আর জোরালো হয়ে বাস্তবে ধরা দেয়নি, বরং কিউই ব্যাটারদের কাছে নাকানিচুবানি খেয়ে খরুচে এক ইনিংস শেষ করেছে স্বাগতিকরা।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানকে ৩২১ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
এই ম্যাচে রাচিন রবীন্দ্রর চোটে একাদশে ডাক পেয়েই ওপেনিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি করেছেন উইল ইয়াং। ১১৩ বলে একটি ছক্কা ও ১২ চারে ১০৭ রান করে ফেরেন তিনি।
এরপর উইকেটরক্ষক-ব্যাটার টম ল্যাথামের ব্যাট থেকে আসে ইনিংস-সর্বোচ্চ অপরাজিত ১১৮ রান। ১০৪ বলে তিনটি ছক্কা ও ১০ চারে এই রান করেছেন তিনি। এছাড়া,৩৯ বলে চারটি ছক্কা ও তিনটি চারে ৬১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন গ্লেন ফিলিপস।
এদিন টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও প্রথম উইকেটের জন্য অষ্টম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় পাকিস্তানকে। ওভারের তৃতীয় বলে আবরার আহমেদের ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ১০ রান করে ফেরেন ডেভন কনওয়ে। পরের ওভারেই আরেকটি সাফল্য পায় পাকিস্তান। এবার নাসিম শাহের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ২ বলে ১ রান করে ফেরেন কেইন উইলিয়ামসন।
এরপর ডেরিল মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে উইকেটের পতন ঠেকানোর চেষ্টা করেন ইয়াং। তাতে খানিকটা সফলও হন তিনি। তবে সপ্তদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে ২৪ বলে ১০ রান করে মিচেলও ফিরে গেলে ল্যাথামের সঙ্গে বড় সংগ্রহের পথে এগোন ওপেনার ইয়াং।
নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর ১১৮ রানের জুটি গড়ে ইয়াং যথন ফিরে যান, তখন তিন উইকেটে ৭৩ রান থেকে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ চার উইকেটে ১৯১।
২০৭ রান নিয়ে শেষ দশ ওভারে প্রবেশ করে কিউইরা। এরপর রানের চাকার গতি বাড়িয়ে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন ল্যাথাম। তারপর ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে আরও বড় সংগ্রহের দিকে ছোটেন ফিলিপসও। তবে যখন মনে হচ্ছিল, এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করেই ইনিংস উৎরে যাবে নিউজিল্যান্ড, ঠিক তখনই স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে ধরা পড়েন ফিলিপস।
ইনিংসের তখন আর দুই বল বাকি। এ সময় ব্যাটিংয়ে নেমে একটি লেগ বাই রান নিয়ে ল্যাথামকে স্ট্রাইক দেন মিচেল ব্রেসওয়েল, আর শেষ বলে তিন রান নিয়ে ৩২০ রানে ইনিংস শেষ করেন কিউই উইকেটরক্ষক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৩২০/৫ (ল্যাথাম ১১৮*, ইয়াং ১০৭, ফিলিপস ৬১; নাসিম শাহ ২/৬৩, হারিস রউফ ২/৮৩, আবরার আহমেদ ১/৪৭)।
৭৩ দিন আগে
সিলেট টেস্টে শান্তর সেঞ্চুরিতে ২০০ রানের লিড পেল বাংলাদেশ
নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্বের অভিষেক ঘটে সেঞ্চুরি দিয়ে। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। এই অসাধারণ সেঞ্চুরিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ তৃতীয় দিনের শেষে ২০৫ রানের লিড অর্জন করে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) তৃতীয় দিন শেষে নাজমুল ১০৪ ও মুশফিকুর রহিম ৪৩ রানে অপরাজিত থাকায় তিন উইকেটে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২১২ রানে।
২৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারে টেস্ট ক্রিকেটে শান্তর পঞ্চম সেঞ্চুরি। উল্লেখ্য, শান্তর পাঁচটি টেস্ট সেঞ্চুরির তিনটিই চলতি বছরে হয়েছে।
প্রথম ইনিংসে উইকেটের পাশাপাশি কয়েকটি বাউন্ডারি মেরে শক্তিশালী শুরু করেন শান্ত। তবে তিনি গ্লেন ফিলিপসের ফুল টসের শিকার হন, যার সঙ্গে তিনি সঠিকভাবে মানিয়ে নিতে পারেননি।
তৃতীয় দিনে রান আউটে দুটি উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন: সিলেট টেস্ট: নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, শাহাদাতের অভিষেক
কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ড ৩১৭ রান নিয়ে আগের ইনিংসটি শেষ করে।
বাংলাদেশের অসাধারণ বোলার হিসেবে তাইজুল ইসলাম ৪টি ও মুমিনুল হক ৩টি উইকেট নেন।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদুল হাসান জয়ের ৮৬ রানের জুটিতে ৩১০ রান তোলে বাংলাদেশ।
গ্লেন ফিলিপস নিউজিল্যান্ডের হয়ে চার উইকেট নিয়ে তার দুই ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংয়ের মর্যাদায় আসীন হন।
আরও পড়ুন: সিলেট টেস্ট: মুমিনুলের ৩ উইকেটে ৩১৭ রানে ইনিংস শেষ করেছে নিউ জিল্যান্ড
৫২০ দিন আগে
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: শচীনকে টপকে ৫০তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি কোহলির
শচীন টেন্ডুলকারকে টপকে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৫০ সেঞ্চুরির মালিক হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের সত্যিকারের রাজা হিসেবে নিজের রাজত্ব আরও মজবুত করলেন বিরাট কোহলি।
বুধবার মুম্বাইয়ের ওয়ানডে ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ৫০তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ইতিহাস গড়েন কোহলি।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে পরাজয় বাংলাদেশের
এদিকে ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের অবদানে দ্রুত শুরু করে ভারত।
পায়ে চোট পেয়ে গিল অবসর নেওয়ার পর উইকেটে প্রবেশ করেন বিরাট।
তিনি ১০৫ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন, যা শচীন টেন্ডুলকারের দীর্ঘদিনের রেকর্ডকে অতিক্রম করে।
শচীন ৪৬৩টি ম্যাচে ৪৯টি সেঞ্চুরি করেছিলেন, যেখানে কোহলি মাত্র ২৯১টি ম্যাচ এবং ২৮৮ ইনিংসে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।
কোহলি যখন ইতিহাস ভাঙা সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন, তখন মুম্বাইয়ের গ্যালারিতে টেন্ডুলকার তার জন্য হাততালি দিচ্ছিলেন।
তার পাশাপাশি আরও অনেক ক্রিকেটার ও বলিউড তারকারা বিরাট কোহলির ৫০তম সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন।
তার স্ত্রী ও বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মাকেও গ্যালারিতে দেখা গিয়েছিল।
একই ম্যাচে বিশ্বকাপের এক সংস্করণে সবচেয়ে বেশি রানের টেন্ডুলকারের রেকর্ড ভেঙে দেন কোহলি।
২০০৩ সালে টেন্ডুলকার করেছিলেন ৬৭৩ রান। বুধবার বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটসম্যানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন কোহলি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হোম সিরিজের পাশাপাশি টি-স্পোর্টসে দেখা যাবে বিপিএল
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাট করছে ভারত
৫৩৫ দিন আগে
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: মালানের সেঞ্চুরি বাংলাদেশি বোলারদের চাপে ফেলেছে
২০২৩ সালের আইসিসি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ধর্মশালায় বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন দাউদ মালান।
মালানের ব্যতিক্রমী ফর্মের উপর ভর করে ইংল্যান্ড ৩৬ ওভারে মধ্যে ২৫০ রানের মাইলফলক অতিক্রম করে এই ম্যাচে শক্তিশালী স্কোরের দিকে এগোচ্ছে তারা।
বাংলাদেশ জনি বেয়ারস্টোরের মাত্র একটি উইকেট নিতে পেরেছে, যিনি ৫২ রান সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বোলিংয়ে নেদারল্যান্ডস
বেয়ারস্টো আউট হওয়ার পর জো রুট ক্রিজে আসেন এবং হাফ সেঞ্চুরি করেন, যা বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের উপর চাপ বাড়িয়ে তোলে।
৩৭তম ওভারে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় এক উইকেটে ২৬২, মালান ও রুট যথাক্রমে ১৩৬ ও ৬৯ রান করেন।
টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া বাংলাদেশ প্রথম একাদশে পরিবর্তন আনে, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের জায়গায় মাঠে নামেন মাহেদী হাসান।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু বাংলাদেশের
৫৭১ দিন আগে
এশিয়া কাপ: মেহেদি-শান্তর সেঞ্চুরি, আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড রান
পাকিস্তানের লাহোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ এশিয়া কাপে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাঁচ উইকেটে ৩৩৪ রান করেছে।
আগের রেকর্ড ৩০৬ রান ছাড়িয়ে এটি এখন আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওয়ানডে স্কোর।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে পরাজয় মেনে নিয়ে এশিয়া কাপে তাদের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয় নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে এই ম্যাচে খেলেছে বাংলাদেশ।
শান্ত-মিরাজ পঞ্চম জুটি হিসেবে এক ওয়ানডে ইনিংসে সেঞ্চুরি অর্জন করেছেন।
আরও পড়ুন: ঈশান-হার্দিকের পার্টনারশিপে ভর করে ভারতের সংগ্রহ ২৬৬ রান
এর আগে, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।
তারপরে ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।
২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস এবং ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লিটন দাস ও তামিম এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।
মেহেদি ও নাজমুল দুজনের জন্যই এটি ছিল তাদের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
মেহেদি ১১৫ বলে তার শতরান ছুঁয়েছেন এবং ১১২ রান করার পর ইনজুরির কারণে বিশ্রামে গেছেন।
অন্যদিকে, নাজমুল ১১২ রানে রানআউট হওয়ার আগে ১০১ বলে শতরান অর্জন করেছিলেন।
প্রথম ম্যাচে অভিষেকে রান করতে ব্যর্থ হওয়া তানজিদ হাসান তামিমের জায়গায় মেহেদি ইনিংস শুরু করেন।
তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ একটি নির্ভরযোগ্য ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে লড়াই করলেও মেহেদি স্বস্তি জাগিয়েছে।
মেহেদি তার ইনিংসের শুরু থেকেই সংযম বজায় রেখেছিলেন। তার দ্বিতীয় ওডিআই সেঞ্চুরিতে তিনি দুটি ছক্কা এবং ছয়টি চার হাকান।
ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশ দল দুটি উইকেট হারায়। এরপর মিরাজ শান্তর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে তোলেন।
রানআউটে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
অতীতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সাফল্য উপভোগকারী রশিদ খান আজ ৬৬ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
অন্য আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানও প্রতি ওভারে ছয়ের বেশি রান দিয়ে একটি উইকেট নিতে সক্ষম হন।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ: আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করছে বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ের কিংবদন্তি ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিক আর নেই
৬০৮ দিন আগে
নারী ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশি ফারজানা
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ডানহাতি ওপেনার ফারজানা হক পিংকি শনিবার (২২ জুলাই) প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নারীদের ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করার ইতিহাস গড়েছেন।
ঢাকার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে তিনি এই মাইলফলক অর্জন করেন।
ফারজানার সেঞ্চুরির আগে ২০১৩ সালে ভারতের বিপক্ষে নারী ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক সালমা খাতুন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৭৫ রান সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন: তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দলের জয়
শনিবারের ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ৫০ ওভারে চার উইকেটে ২২৫ রান করে।
ফারজানা ১৬০ বলে ১০৭ রান করেছেন। শারমিন সুলতানার সঙ্গে ওপেনিং পার্টনারশিপে এই জুটি ৯৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। এটি ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ ওপেনিং সংগ্রহ।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ভারতের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও এটি তাদের প্রথম ওয়ানডে জয়।
তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে সিরিজে সমতা আনে সফরকারীরা।
আরও পড়ুন: নারী টি-টোয়েন্টি: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৮ রানে জিতল ভারত
আফগানিস্তানের বিপক্ষের বাকি ম্যাচগুলো থেকে বাদ পড়েছেন এবাদত
৬৫১ দিন আগে
ঢাকা টেস্ট: মুশফিকের দশম টেস্ট সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের লিড ১০৩
চলমান ঢাকা টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দশম টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম। তার সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় দিনের চা বিরতি শেষে ১০৩ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে ক্রিজে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। এই জুটিতে মিরাজের সংগ্রহ ১৮ রান এবং মুশফিক করেন ১২৪ রান।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দল ঘোষণা বিসিবির
দুই উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ৩৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের শুরুতেই আউট হন মুমিনুল হক। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে মুশফিক ও সাকিব আল হাসান যোগ করেন ১৫৯ রান। যা স্বাগতিকদের প্রাথমিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিল।
সাকিব মাত্র ১৩ রানের কারণে তার সেঞ্চুরি মিস করেন। কারণ একটি রেগুলেশন ক্যাচে তিনি অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের হাতে আউট হয়েছিলেন। পরের জুটিতে মুশফিক ও লিটন দাস যোগ করেন ৮৭ রান। তবে, সাত রানের জন্য লিটন তার হাফ সেঞ্চুরি মিস করেন।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে দুইটি করে উইকেট নেন মার্ক অ্যাডেয়ার ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন।
এর আগে আয়ারল্যান্ড টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের প্রথম টেস্ট ইনিংসে ২১৪ রান করে। এছাড়া বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম পাঁচ উইকেট লাভ করেন। যা টেস্টে তার ১১তম উইকেট।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: তাইজুলের ৫ উইকেট শিকারে ২১৪ রানে প্যাকেট আয়ারল্যান্ড
ঢাকা টেস্ট: টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত আয়ারল্যান্ডের
৭৫৯ দিন আগে
চট্টগ্রাম টেস্ট: জাকির অভিষেকে সেঞ্চুরি করলেও সমস্যায় বাংলাদেশ
বাঁ-হাতি ব্যাটার জাকির হাসান চট্টগ্রামে ভারতের বিরুদ্ধে চলমান টেস্টে তার অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানোর সঙ্গে সঙ্গে তার অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্যারিয়ারের একটি অসাধারণ সূচনা তার।
তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখনও ভয়াবহ সংকটে রয়েছে। তাদের হয় পঞ্চম দিনের পুরোটা সময় মাত্র চার ইউকেটে ব্যাট করতে হবে। অথবা একটি অসম্ভাব্য জয় ছিনিয়ে আনতে আরও ২৪১ রান করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টেও অনিশ্চিত তাসকিন
চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশ ছয় উইকেটে ২৭২ রানে ব্যাট করছে। সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ অপরাজিত আছেন ৪০ ও ৯ রানে।
নাজমুল হোসেন শান্ত এবং জাকির জুটি ১০০ রানের একটি চিত্তাকর্ষক ওপেনিং স্ট্যান্ড তৈরি করেন। তারা চট্টগ্রামে পুরো সকালের সেশন জুড়ে ব্যাটিং করে ভারতের বোলারদের পরিশ্রম করায়।
প্রথম ইনিংসে গোল্ডেন ডাকের শিকার হওয়া শান্ত এবার ৬৭ রান করেন। উমেশ যাদব শান্তকে সরিয়ে দিলে ভারত প্রথম সাফল্য পায়। শান্তর আউটের পর ইয়াসির আলীকে দ্রুত হারায় বাংলাদেশ। পাঁচ রান করতে মাত্র ১২ বল খেলেন তিনি।
লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম দুজনেই ভালো শুরু করলেও দুজনই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। কুলদীপ যাদবের কাছে উইকেট হারানোর আগে লিটন ৫৯ বলে ১৯ রান করেন, আর অক্ষর প্যাটেলের বলে আউট হওয়ার আগে মুশফিক ৫০ বলে ২০ রান করেন।
মুশফিকের আউট হওয়ার আগে জাকির ২২৪ বলে একটি অসাধারণ সেঞ্চুরি করেছিলেন, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আশরাফুল এবং আবুল হাসানের পরে চতুর্থ বাংলাদেশি অভিষেকে সেঞ্চুরি করেন। তিনি ২৬৯টি ডেলিভারির মুখোমুখি হন, যা জাভেদ ওমরের ৩০৬ রানের পরে দ্বিতীয়, যা তাকে বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট অভিষেকের দ্বিতীয়-সবচেয়ে প্রাণবন্ত ওপেনার করে তোলে।
টেস্ট ক্রিকেটে জাকিরের অভিষেকের দিনে ৫০ রানে তিন উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার অক্ষর ছিলেন। তাদের হয়ে একটি করে উইকেট নেন উমেশ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
এর আগে টস জিতে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ভারত ৪০৪ রান করেছিল। চেতেশ্বর পূজারা দুর্দান্ত ৯০ রানের স্কোর করেছিলেন। তাইজুল ইসলাম এবং মেহেদি উভয়েই এই ম্যাচে চারটি করে উইকেট নেন।
কুলদীপ পাঁচ উইকেট নিয়ে তাদের ব্যাটিং লাইন আপকে ধ্বংস করার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ১৫০ রানের জবাব দেয়। ভারত তখন দুই উইকেটে ২৫৮ রান করে এবং তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। ৫১২ রানের বিশাল লিড তৈরি করে।
আরও পড়ুন: প্রথম ইনিংসে মেহেদী ও তাইজুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪০৪ রানে অলআউট ভারত
ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
৮৬৮ দিন আগে
ঈশান কিশাণের ডাবল সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সংগ্রহ ৪০৯ রান
ভারতীয় বাঁ-হাতি ব্যাটার ঈশান কিশাণ চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে তার ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। বিরাট কোহলির সঙ্গে তিনি ২৯০ রানের এক দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়েন এবং ব্যক্তিগত ২১০ রানে আউট হন।
তার রেকর্ডভাঙা এই সেঞ্চুরির ফলে আজকের ম্যাচে ভারত ৪০৯ রানের এক বিশাল সংগ্রহ করে।
ঢাকায় আগের ম্যাচে রোহিত শর্মা চোট পাওয়ায়, আজকের ম্যাচের একাদশে শর্মার বদলে ঈশানকে নেয়া হয়।
শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করেন ২৪ বছর বয়সী ঈশান। তবে, শেষ পর্যন্ত মেহেদি হাসান মিরাজের বলে আউট হয়ে সাঁজঘরে ফেরেন ঈশান।
বাংলাদেশ বনাম ভারতের ওয়ানডে খেলায় লিটন দাস ও তামিম ইকবালের ২৯২ রানের দানবীয় জুটির পর এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে ৩য় ওয়ানডেতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ঈশান ও বিরাটের ২৯০ রানের জুটি ২০১৭ সালে কিম্বার্লিতে হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি ককের মধ্যে ২৮২ রানের পার্টনারশিপকে টপকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ওয়ানডে জুটি।
শিখর আউট হওয়ার পর ঈশান ১৩১ বলে ২১০ রান করেন। যার মধ্যে ২৪টি চার এবং ১০টি ছক্কা ছিল।
তিনি ৪৯ বলে একটি ফিফটি এবং ৮৫ বলে একটি সেঞ্চুরি (১৪ চার ও ২ ছক্কা) করেন।
ঈশানের আউটের পর বিরাটও ওয়ানডেতে তার ৪৪তম সেঞ্চুরি করেন।
শেষ পর্যন্ত, ভারত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৪০৯ রান করে।
বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন ও সাকিব আল হাসান দুটি করে উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: টাইগারদের লক্ষ্য ভারতকে ক্লিন সুইপ করা
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় বাংলাদেশের
৮৭৫ দিন আগে