বাণিজ্য
ফরিদপুরে পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন, ৫০০ কোটি টাকার বাণিজ্যের সম্ভাবনা
দীর্ঘ সময় ধরে পেঁয়াজ চাষাবাদের সুনাম রয়েছে ফরিদপুর জেলার। পেঁয়াজ উৎপাদন করে থাকে এ জেলার চাষিরা। পাটের পরে ধান ও পেঁয়াজ আবাদে চাষিদের আগ্রহ রয়েছে। কারণ এ জেলার মাটি পাট পেঁয়াজ ও ধান উৎপাদনে উৎকৃষ্ট। পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলার স্থানটি দখলে রেখেছে ফরিদপুর।
গত এক যুগ ধরে পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন হচ্ছে ফরিদপুরে। দেশের সরকারি পেয়াঁজ বীজের চাহিদার মোট ৫০ শতাংশ বেশি বীজ সরবরাহ করে ফরিদপুরের চাষীরা। আর এই কৃষি পণ্যটি উৎপাদন করে অর্থনৈতিকভাবে জীবন মানের উন্নয়ন ঘটিয়েছে তারা ( জেলার পেঁয়াজ বীজ চাষিরা)।
এজন্যই এই বীজকে 'কালো সোনা' বলে এ অঞ্চলের মানুষ। সেই বীজ (কালো সোনা) উৎপাদনে ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে এখন চাষিরা। চলতি মৌসুমে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা কৃষি বিভাগের।
জেলার সদর, বোয়ালমারী, ভাঙ্গা, মধুখালী ও সদরপুর উপজেলার মাঠগুলোতে যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই শুধু, সাদা কদম ফুলের সমারোহ।
সরজমিনে ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠজুড়ে পেঁয়াজের সাদা ফুল দেখা মেলে। এই খেতগুলোতে এখন কৃষক কৃষানিরা পরিবারেরর সদস্য ও শ্রমিক নিয়ে সাদা কদমে হাত দিয়ে পরাগায়নের কাজ করছেন। কোথাও আবার আগাছা পরিষ্কার ও কদম পচা রোথে ঔষধ স্প্রে করছে।
এ মৌসুমে পেঁয়াজের ভালো উৎপাদনের পর ফরিদপুরে বাম্পার ফলন হয়েছে পেঁয়াজ বীজ আবাদেও।
অম্বিকাপুরের কৃষানী শাহেদা বেগম ও লাভলী পারভিন জানান কিভাবে কালো সোনা খ্যাত পেয়াঁজ বীজ উৎপাদন হয়, ছোট শিশুর মতো যত্ন করতে হয় এই বীজ উৎপাদনে। নভেম্বর-ডিসেম্বরে আবাদ শুরু হয়ে ফলন উঠবে এপ্রিল-মে’তে। এরপর এক বছর বীজ সংরক্ষণ করে পরবর্তী বছরে করা হয় আবাদ ও বিক্রি। তবে চলতি মৌসুমে মৌমাছি না থাকায় হাত দিয়েই পরাগায়ন করতে হচ্ছে।
পেঁয়াজের এই মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পেঁয়াজ বীজের ক্ষেতে কাজ করতে আসে শ্রমিকরা। তারা জানায় বীজের খেতে কাজ করেই চলে তাদের সংসার ও সন্তানদের পড়ালেখা।
পাবনা থেকে ফরিদপুরে পেয়াঁজ বীজ খেতে কাজ করতে আসা আনোয়ার, কুষ্টিয়া থেকে আসা আব্দুর রহমান প্রামানিক, রহিম মোল্লা, শইব্রাহিম শেখ'র মতো বেশ কয়েজন শ্রমিক জানান, এ মৌসুমে বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা পেঁয়াজ চাষাবাদের কাজে যুক্ত হতে ফরিদপুর অঞ্চলে গত এক যুগের বেশি সময় ধরে আসছে।
তারা জানান, আমরা দিনরাত পরিশ্রম করি পেঁয়াজের বীজ ঘরে তোলা পর্যন্ত। ভালো দানা উৎপাদন করতে পারলে মালিকের যেমন লাভ হয়, তেমনি আমাদেরও আর্থিক পরিবর্তন আসে জীবনমানের।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে: ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক
এদিকে মাঠের পর মাঠ বীজের সাদা ফুলের সৌর্ন্দয্য দেখতে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা আসছে মাঠগুলোতে। নানা অঙ্গ ভঙ্গিতে তুলছেন সেলফি। আবার দলবেধে এসে করছেন সুটিং।
কৃষি বিভাগ জানায়, দেশের চাহিদার অর্ধেক বীজ উৎপাদন হয়ে থাকে এ জেলায়। এবছর পেঁয়াজ বীজের আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৮৫৪ হেক্টর জমিতে, যা থেকে উৎপাদিত বীজের বাজার মূল্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনোয়ার হোসেন বলেন, গুণগত মান ভালো হওয়ায় ফরিদপুরের বীজেরে চাহিদা সর্বত্র রয়েছে। প্রকার ভেদে এর বাজার মূল্য দুই লাখ থেকে পাঁচ লাখ পর্যন্ত ওঠে। এই কৃষি পণ্যটির বাজারমূল্য অধিক হওয়ায় ‘কালো সোনা’ বলে অভিহিত করে।
সম্প্রতি কয়েক বছর হলো পেঁয়াজ বীজ খেতে মৌমাছির উপস্থিতি কমে গেছে। এ কারণে পরাগায়নের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা চাষিদের ফুলের উপর হাত দিয়ে পরাগায়ন কিভাবে করতে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামান বলেন, এবছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বীজের আবাদ হয়েছে। দিন দিন পেয়াঁজ বীজ আবাদের চাষির সংখ্যা বাড়ছে।
তিনি জানান, এবারের আবহাওয়া ভালো থাকায় ১ হাজার ৮৫৪ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬৪ টন। যার বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে পেঁয়াজের চাষ বেড়ে দ্বিগুণ
৪০ দিন আগে
যশোরে অবৈধ ইটভাটার রমরমা বাণিজ্য
অবৈধ ইটভাটায় সয়লাব হয়ে গেছে যশোর। জেলায় মোট ১৪৪টি ইটভাটা থাকলেও সেগুলোর ১১৪টিই অবৈধ বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পরিবেশ আইনের ব্যত্যয় ও ডিসির লাইসেন্স না থাকায় ওই ভাটাগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার বৈধতা নেই। এমনকি জেলার কোনো ভাটাই সব শর্ত পূরণ করেনি।
পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে বেশিরভাগ ভাটা। জিগজ্যাগ পদ্ধতির মাত্র ৩০টি ইটভাটা এখন পর্যন্ত মোটামুটি আইনসিদ্ধভাবে চলছে বলে দাবি পরিবেশ অধিদপ্তর যশোরের।
যশোরের বেশিরভাগ ভাটার বৈধতা না থাকায় বিষয়টি এর আগে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকেও উঠে আসে। তবে সম্প্রতি অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এমদাদুল হক জানিয়েছেন, গত এক মাসে ১৮টি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। শিগগিরই অবৈধ ভাটাগুলো উচ্ছেদে কাজ শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ৮ ইটভাটাকে ৪৭ লাখ টাকা জরিমানা
২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে সংশোধনী এনে ইটভাটার জন্য লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়। নির্দিষ্ট এলাকায় ইটভাটার জায়গা, ভাটার দূরত্ব ও সংখ্যা নির্ধারণের নির্দেশনাও সে সময় দেওয়া হয়। এমনকি, লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা চালালে দুই বছরের জেল ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান সংযোজন করে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা (নিয়ন্ত্রণ) সংশোধন আইন, ২০১৯’ বিল সংসদে পাস হয়।
ধারা-৪ এ সংশোধন এনে প্রতিস্থাপন করে বলা হয়, চলমান যেকোনো আইনে যা কিছুই থাক না কেন, ইটভাটা যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলার জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণ না করলে কোনো ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করতে পারবে না। কিন্তু যশোরের প্রেক্ষাপটে এ সবের ব্যত্যয় ঘটে আসছে ২০১৩ তো পরের কথা, ২০১৯ সালের সংশোধনী আইনের পর থেকেও।
পবিবেশ আইন অনুযায়ী, এক কিলোমিটারের মধ্যে আবাসিক এলাকা, সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, বাগান জলাভূমি, কৃষি জমি, বিশেষ কোনো স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা অনুরূপ কোন স্থান বা প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে ১ কিলোমিটার বা ১ হাজার মিটার দূরত্বে ভাটা স্থাপন করতে হবে। একইসঙ্গে ভাটাগুলো এখন জিগজ্যাগ পদ্ধতির হতে হবে। ১২০ ফিট চিমনীর সনতনি ভাটা এখন আর আইনসিদ্ধ নয়, কিন্তু যশোর জেলার অধিকাংশ ভাটার ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটে চলেছে।
আইনের ব্যত্যয় ঘটলেও অনেকে এর আগে ছাড়পত্র সংগ্রহ করেছেন। যদিও বিধি অনুযায়ী, পরিবেশ আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে নিষিদ্ধ এলাকার সীমানার ভেতরে ইটভাটা স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কোনোপ্রকার অনুমতি বা ছাড়পত্র বা লাইসেন্স দিতে পারবে না। অথচ এর আগে অনেকেই নানা বাঁকা পথে হাসিল করেছেন ছাড়পত্র।
জেলায় এমন ভাটাও রয়েছে, যেখানে এক কিলোমিটার তো দুরের কথা, ২০ গজের মধ্যেই রয়েছে বসতবাড়ি, ১০০ গজের মধ্যে ঘনবসতি গ্রাম রয়েছে। ভাটা নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো শর্তই মানা হয়নি।
আবার সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবেও চলছে কয়েকটি ইটভাটা। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই, আবাসিক এলাকায় ধানি ও কৃষি জমি নষ্ট করে নির্মাণ করা হয়েছে ইটভাটা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান ও মসজিদ, শতাধিক পরিবারের বসতি গ্রামসহ রয়েছে স্পর্শকাতর অনেক প্রতিষ্ঠান। বিগত সময়ে পরিবেশ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ভাটা নির্মাণ করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এক কিলোমিটারের মধ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে—জেলায় এমন ভাটার সংখ্যা রয়েছে ১১০টি। এর অনেকগুলো জিগজ্যাগ হলেও পরিবেশ আইন মানা হয়নি। শর্ত পূরণ না করেই চলছে এসব ভাটার কার্যক্রম। যে কারণে অবৈধ ভাটার তালিকায় পড়েছে সেগুলো। ওই তালিকা থেকে বছর কয়েক আগে ৩৩টি ভাটার ব্যাপারে যশোর পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা সদর দপ্তরের মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট শাখায় প্রতিবেদন পাঠিয়েছিল। আইনগত বৈধতা না থাকায় ওই ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল প্রতিবেদনে। তারপরও ভাটাগুলোর অধিকাংশই এখন চলছে বহাল তবিয়তে।
সুত্রের দাবি, ডিসির লাইসেন্স ও পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই ভাটাগুলো চলায় সেগুলোর বেশিরভাগের পাশেই রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা; নষ্ট হয়েছে কৃষি জমি; নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে আবাসিক এলাকায়।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জেলার অবৈধ ১১৪টি ভাটার ওপর সম্প্রতি নজরদারি শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গত ২৭ ডিসেম্বর ও ৮ জানুয়ারি জেলার ১৮টি অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে অধিদপ্তর। আইনগতভাবে না হলেও পরিবেশ আইনের ব্যত্যয় ঘটলে একে একে সেগুলো উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এছাড়া জেলায় খাতা-কলমে এখন যে ৩০টি বৈধ ভাটা আছে, তাদের ব্যাপারেও নতুন করে খোঁজখবর নেবে অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ৪ ইটভাটায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা
এ ব্যাপারে এমদাদুল হক ইউএনবিকে বলেন, ভাটা-সংক্রান্ত সব অসঙ্গতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মাঠে নামা হচ্ছে। সব ধরনের দেন-দরবার উপেক্ষা করে জনস্বার্থে এবং এলাকার পরিবেশ সমুন্নত রাখতে অবৈধ সব ভাটা উচ্ছেদে কাজ শুরু হয়েছে। অনেক ভাটার আংশিক ভেঙে দেওয়াও হয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করা হচ্ছে।
তার ভাষ্যে, যশোরে (পরিবেশ নিয়ে) কোনো অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। আগে কী হয়েছে সেটি বিবেচ্য নয়, এখন সব ভাটাই বিধি অনুযায়ী চালাতে হবে। পরিবেশ আইনের ব্যত্যয় ঘটলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৮৩ দিন আগে
স্পেনের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চান ড. ইউনূস
বছরের পর বছর ধরে শোষণের পর দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তার জন্য বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে স্পেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বাংলাদেশ থেকে কারিগরি ও অন্যান্য খাতে আরও কর্মী নিয়োগের জন্য স্পেনের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্তিয়াগা বুধবার (৯ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বর্তমানে স্পেনে প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি কর্মরত।
স্পেনের রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছিলেন যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তার সংস্কার উদ্যোগে স্পেন তার অভিজ্ঞতার আলোকে সহায়তা করতে পারে কিনা।
প্রধান উপদেষ্টা এই প্রস্তাবের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে যেসব সংস্কার বাস্তবায়ন করছে তা এগিয়ে নিতে স্পেনের যেকোনো সহযোগিতাকে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে।
আরও পড়ুন: ইতালির ভিসা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে, আশা উপদেষ্টা তৌহিদের
অধ্যাপক ইউনূস স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টো রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘স্পেন আমাদের বিভিন্নভাবে সমর্থন দিতে পারে। এখানে আরও বিনিয়োগ আনতে পারে এবং আমাদের পোশাক পণ্যের আমদানি সম্প্রসারণ করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি আমাদের উন্নয়ন খাতে স্পেনের সহায়তা পেলে তা লাভজনক হবে।’
রাষ্ট্রদূত সিস্তিয়াগা স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজের একটি চিঠি ড. ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাকে অভিনন্দন জানান স্পেনের প্রেসিডেন্ট।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, রাষ্ট্রদূত ২০২৫ সালের ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত স্পেনে অনুষ্ঠিতব্য উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্পেনের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
প্রধান উপদেষ্টা স্পেনের রানী সোফিয়ার কাছে তার শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান এবং তার বাংলাদেশ সফরকালে তার সঙ্গে তার মধুর স্মৃতির কথা স্মরণ করেন।
তিনি তাকে আবারও বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা ড. ইউনূসের
১৮৯ দিন আগে
বাণিজ্য বহুমুখীকরণে চামড়া শিল্প গুরুত্বপূর্ণ: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাণিজ্য বহুমুখীকরণে চামড়া শিল্পের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই শিল্পের অনেক সম্ভাবনা আছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই ছাত্র জনতার আত্মত্যাগ: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, চামড়া শিল্পের নানাবিধ সম্ভাবনার পাশাপাশি কিছু সমস্যাও আছে। আমরা তাদের (ব্যাবসায়ী) সঙ্গে আলোচনা করেছি।
তিনি আরও বলেন, তাদের ট্যানারি স্থানান্তর করা হয়েছে সাভারে। ওখানকার পরিবেশ, অর্থায়ন ও বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে সার্টিফিকেশন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মোট কথা আমরা চামড়াজাত দ্রব্য ও ফুটওয়্যার শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি।
চামড়া শিল্পকে সম্পূর্ণ দেশীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর কাঁচামাল দেশীয়, গার্মেন্টসের জন্য বিদেশ থেকে সুতা আনতে হয়, তুলা আনতে হয়।
তিনি বলেন, চামড়া শিল্পের সঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের লিংকআপ রয়েছে। আমরা এটাকে উৎসাহিত করব।
উপস্থিত ছিলেন- শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাভিদ সফিউল্লাহ, ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিন আহমেদ, ফিনিশড লেদার গুডস অ্যাসোসিয়েনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য: উপদেষ্টা নাহিদ
১৯২ দিন আগে
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
গণভবনে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. নলিনী তাভিসিনের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে জোর দেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: জাতীয় অগ্রগতিতে খেলাধুলার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
এসময় থাই বিনিয়োগকারীদের তাদের পর্যটন ব্যবসার বিকাশের জন্য কক্সবাজারে একটি বিশেষ জমি বরাদ্দের প্রস্তাব করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'থাই বিনিয়োগকারীরা যাতে তাদের পর্যটন ব্যবসা বিকশিত করতে পারে সেজন্য কক্সবাজারে একটি পৃথক জমি দিতে পারে বাংলাদেশ।’
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান।
থাই ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি দল নিয়ে চার দিনের সরকারি সফরের অংশ হিসেবে শনিবার ঢাকায় পৌঁছেছেন থাইল্যান্ডের মন্ত্রী ও থাই বাণিজ্য প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড. নলিনী।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হলে থাইল্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হবে। সুনীল অর্থনীতির জন্য দেশের সমুদ্রসীমাকে কাজে লাগানোর ওপরও জোর দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রসীমা প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় আমাদের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। থাই বিনিয়োগকারীরা এখানে তাদের দক্ষতা কাজে লাগাতে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ নিতে পারে।’
এসময় ড. নলিনী বলেন, তারা বাংলাদেশে জ্বালানি, লজিস্টিকস, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, সামুদ্রিক খাদ্য এবং পর্যটন খাতে সম্ভাবনা খুঁজে বের করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, 'তারা এখানে সক্রিয়ভাবে অংশীদার খুঁজছেন এবং সে লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন।’
হালাল খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে আগ্রহ প্রকাশ করে থাই প্রতিনিধিদল জানায়, তাদের হাজার হাজার হালাল খাদ্য পণ্য রয়েছে এবং বৈশ্বিক ও জাতীয় উভয় বাজার ধরতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার একটি চমৎকার সুযোগ দেখতে পায়।
নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, 'এই খাতে সহযোগিতা করার এবং বৈশ্বিক ও জাতীয় বাজারে যুক্ত হতে বাংলাদেশের জন্য একটি অসাধারণ সুযোগ রয়েছে।’
বৈঠকে আরও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ও অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন।
আরও পড়ুন: আদালতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কিছু করার নেই: কোটা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার অনুসন্ধান করতে রপ্তানিকারকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
২৭৬ দিন আগে
বাংলাদেশ ও মরোক্কোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি-সংক্রান্ত ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্প্রসারণসংক্রান্ত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে একটি ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।
মরোক্কোয় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বাংলাদেশ ও মরোক্কোর ব্যবসায়িক নেতাদের মধ্যে এ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদ, এফবিসিসিআই সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আমিন হেলালী।
আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে যুক্তরাষ্ট্রের ‘নীতি সহায়তা’ চায় বাংলাদেশ
স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন মরোক্কোর রাবাত-সালেহ-কেনিত্রা অঞ্চলের চেম্বারের প্রেসিডেন্ট হাসান সাকি।
ওয়েবিনারে দুই পক্ষের তরফ থেকে বাংলাদেশ ও মরোক্কোয় ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধাসমূহের উপর আলোকপাত করে দুটি প্রেজেন্টেশন করা হয়। এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সেক্রেটারি জেনারেল মো. আলমগির বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগের সুযোগ-সংক্রান্ত বিশদ তথ্যাবলী উপস্থাপন করেন।
এ ছাড়াও বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায় থেকে তৈরি পোশাক, পাট, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক শিল্পের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
মরোক্কোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই ওয়েবিনারে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য-পর্যটন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কতগুলো পদক্ষেপের বিষয় আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল বিনিময়, বাণিজ্য মেলার আয়োজন, দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি।
রাষ্ট্রদূত হারুন আল রশিদ বলেন, তার মিশন দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করছে। দুই দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি-সংক্রান্ত দূতাবাসের উদ্যোগসমূহ সফল করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসার জন্য তিনি দুই দেশের ব্যাবসায়িক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
ওয়েবিনারটি সফল করার জন্য রাষ্ট্রদূত এফবিসিসিআই ও রাবাত চেম্বারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ দেন। গৃ
হীত প্রক্রিয়াটি যাতে অব্যাহত থাকে সে ব্যাপারেও তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সম্মত বাংলাদেশ-মেক্সিকো
২৮৫ দিন আগে
বাংলাদেশ-স্পেনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পারস্পরিক সহযোগিতা ও সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে চাই।’
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) গণভবনে স্পেনের রাষ্ট্রদূত গাব্রিয়েল মারিয়া সিস্তিয়াগা ওচোয়া দে চিনচেত্রুর সঙ্গে বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
প্রেস সচিব জানান, বর্তমানে স্পেন বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করে জানিয়ে সিমেন্ট খাতে স্প্যানিশ বিনিয়োগের কথাও উল্লেখ করেন স্পেনের রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: দুই দেশের অর্থনীতিতেই অবদান রাখছেন ওমানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে স্পেনের বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি সারা দেশে প্রায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য তার সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্পেনের বিনিয়োগকারীরাও এই অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ করতে পারে। আমরা স্পেন থেকে আরও বিনিয়োগ দেখতে চাই।’
স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে উন্নীত হওয়ার পরও বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য স্পেনের রাষ্ট্রদূতকে এসময় অনুরোধ করেন তিনি।
বৈঠকে জানা গেছে, সেপ্টেম্বরে দুই দেশের মধ্যে একটি অংশীদারত্ব চুক্তির জন্য আলোচনা শুরু হবে।
বর্তমানে ৬০ হাজার বাংলাদেশি স্পেনে বসবাস করছেন। প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আরও বাংলাদেশিকে স্পেনে কর্মসংস্থানের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশের বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা করেন স্পেনের রাষ্ট্রদূত। তিনি শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সরকারের মনোযোগের কথাও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ২০৩৫ সালের মধ্যে হাইড্রোজেন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় বাংলাদেশ: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত গাব্রিয়েল বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আপনার আগ্রহ এবং বরাদ্দ আমাদের দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
আসন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আমন্ত্রণের জন্য প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন।
২৮৬ দিন আগে
অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোর দিয়ে করেছেন প্রধানমন্ত্রী: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোরারোপ করেছেন জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘তার নির্দেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।’
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সভায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: বোতলজাত পানির দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রপ্তানির বাজার বহুমুখী করতে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে আমাদের সক্ষমতাও বাড়াতে হবে।’
বাংলাদেশের ট্রেড নেগোশিয়েশনে সক্ষমতা বাড়াতে ইউএনডিপি, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান সহযোগিতা করতে আগ্রহী বলে এসময় জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এছাড়া ট্যারিফ কমিশনকে আরও সক্ষম করে গড়ে তুলতে বিশ্বব্যাংক আগ্রহ দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সকলকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন নতুন অর্থবছরের প্রথম দিন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী যে ভিশন দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে সকলে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
এসময় মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা সেলের যুগ্মসচিব শায়লা ইয়াসমিন, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম, উপসচিব ফিরোজ আল মামুনসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শহরের নির্ধারিত আয়ের মানুষ খুব বেশি চাপে আছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
নিত্যপণ্য আমদানি করতে ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমারের সঙ্গেও চুক্তি হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
২৮৯ দিন আগে
সরাসরি বিমান যোগাযোগ বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে ভূমিকা রাখবে: বিমানমন্ত্রী
সরাসরি বিমান যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্যসহ সহযোগিতার আরও নতুন ক্ষেত্র তৈরি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
রবিবার (৯ জুন) সচিবালয়ে বাংলাদেশের নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিকের সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তিতে গুরুত্ব দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া
বিমানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, জনশক্তি রপ্তানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করতে এভিয়েশন খাতে সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে চার্টার্ড ফ্লাইট চলাচল করলেও এক্ষেত্রে বিদ্যমান ‘এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট’ সংশোধন করে নিয়মিত ফ্লাইট চালুর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। নিয়মিত সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে এ দেশের ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন।
সাক্ষাৎকালে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া সংশোধিত এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্টের কপি বাংলাদেশকে পাঠিয়েছে। শিগগিরই দুই পক্ষ বিদ্যমান বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাবে এবং চুক্তি সই করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালুর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। সরাসরি বিমান যোগাযোগ দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
৩১১ দিন আগে
বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়ার সহকারী বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী সিনেটর টিম আয়ার্স।
অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দীকীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সহকারী মন্ত্রী টিম আয়ার্স বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য বিষয়ক প্রতিনিধিদলের সফরের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ক্যানবেরাস্থ অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট হাউসে সহকারী মন্ত্রী সিনেটর টিম আয়ার্সের অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. যশোদা জীবন দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে এফবিসিসিআইয়ের ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অস্ট্রেলিয়া সফর করছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিকালে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন
বুধবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ হাইকমিশন ও সিডনিস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের সহযোগিতায় এফবিসিসিআই বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদারকরণ শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজন করে। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দীকী।
তিনি অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকে দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের আরও একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশকে একটি অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে তুলে ধরেন তিনি।
এ সেমিনারে অস্ট্রেলিয়ার বাজার আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য কতিপয় সম্ভাবনাময় খাত যেমন- পাট ও পাটজাতদ্রব্য, চামড়া, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিক শিল্পকে তুলে ধরা হয়। এসময় এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. যশোদা জীবন দেবনাথ ও সেক্রেটারি জেনারেল ড. আলমগীর দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে উভয় দেশের যৌথ উদ্যোগ ও অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে নিউসাইথ ওয়েলসের ক্ষুদ্রশিল্প ও বহুসংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী স্টিফেন ক্যাম্পার, শিল্প বিষয়ক মন্ত্রী সফি কটসিস, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিষয়ক বিভাগের দক্ষিণ ও মধ্য এশীয় সহকারী সচিব ব্রুস সত্তর, অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী, বিভিন্ন চেম্বার্স, অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য সংগঠন, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ ১২০ জন উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিদল গত ২৮ মে ক্যানবেরায় অস্ট্রেডের প্রধান নির্বাহী, ক্যানবেরার বিজনেস চেম্বারস, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিষয়ক বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি জর্জ মিনার সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া সিডনিতে বিজনেস নিউ সাউথ ওয়েলসের সঙ্গেও বৈঠক করেন তারা।
আরও পড়ুন: এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশি পণ্যের ডিউটি-কোটা ফ্রি সুবিধা থাকবে: অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩২১ দিন আগে