হইচই
হইচইতে ১৭ আগস্ট আসছে নিশোর ‘সাড়ে ষোল’
ছোটপর্দার দিয়ে তারকাখ্যাতি পেলেও আফরান নিশোর জনপ্রিয়তা এদেশের অনেক বড় পর্দার তারকাদের চেয়ে বেশি। অভিনয়ের মুন্সিয়ানাও তিনি দেখিয়েছেন অনেক কাজে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন চরিত্রে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ তিনি পেয়েছেন। অবশেষে বড় পর্দায় এসেই ‘টক অব দ্য টাউন’ হয়ে থেকেছেন।
‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার রেশ না কাটতেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে আফরান নিশোকে।
হইচই এর পর্দায় ইয়াসির আল হক পরিচালিত ‘সাড়ে ষোল’ সিরিজে মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই তারকা। যা উন্মুক্ত হবে ১৭ আগস্ট।
আরও পড়ুন: সাড়ে ষোলো: হইচই ওটিটিতে আফরান নিশোর নতুন ওয়েব সিরিজ
রোমাঞ্চকর অরিজিনাল সিরিজ ‘সাড়ে ষোল’, এই সিরিজ একটি হোটেলের রহস্যময় ফ্লোরকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে। সিরিজটি দর্শকদের এমন একটি অভিজ্ঞতার মধ্যে নিয়ে যাবে যেখানে তারা নিজেকে আবিষ্কার করবে ঐশ্বর্য এবং প্রতারণার বেড়াজালের অন্যরকম এক গোপন ঘটনায়।
এই সিরিজে অভিনয় প্রসঙ্গে প্রতিভাবান অভিনেতা আফরান নিশো বলেন, ‘রেজা একজন অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং সফল আইনজীবী, পাশাপাশি সে খুবই চতুর কিন্তু একজন ফ্যামিলি ম্যান। এটি এমন একটি চরিত্র যা আমাকে খুব আকর্ষণ করেছে এবং আমাকে রেজা হিসেবে দেখার পর দর্শকদের কি প্রতিক্রিয়া হয় তা জানার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’
কিছুদিন আগে ‘সাড়ে ষোল’ সিরিজে আফরান নিশো’র লুক প্রকাশ্যে এসেছিল। এবার বাকি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের লুক সামনে এলো। এই সিরিজে কর্পোরেট ম্যানেজার রাকিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইন্তেখাব দিনার, সাংবাদিক রিনি চরিত্রে জাকিয়া বারী মম, এ.ডি.সি আলতাফ চরিত্রে ইমতিয়াজ বর্ষণ, গাফফার চরিত্রে শাহেদ আলী এবং পাবলিক রিলেশনস অফিসার চরিত্রে আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ।
আরও পড়ুন: সে খুবই চতুর কিন্তু একজন ফ্যামিলি ম্যান: নতুন চরিত্র সম্পর্কে আফরান নিশো
১ বছর আগে
সাড়ে ষোলো: হইচই ওটিটিতে আফরান নিশোর নতুন ওয়েব সিরিজ
ভক্ত থেকে শুরু করে নাট্যপাড়া; সর্বত্র আফরান নিশো মানেই এক বৈচিত্র্যপূর্ণ অভিনেতার নাম। আর বর্তমান সময়ের ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ)ঘরানার কন্টেন্টগুলো সেই বিচিত্রতায় যেন জোয়ার এনেছে। সেই দক্ষতারই আরও এক ঝলক ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এর ওয়েব সিরিজ ‘সাড়ে ষোলো’। দর্শক ইতোমধ্যে নিশোর অভিনয়ের ষোলকলায় মশগুল হয়ে আছে। তাদের সম্বিত ফেরার আগেই আগামী ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘সাড়ে ষোলো’। নতুন এই হইচই অরিজিনাল সিরিজটি নিয়েই আজকের বিনোদন কড়চা।
ওয়েব সিরিজ সাড়ে ষোলোর গল্প
ধূর্ত শব্দটি একজন ব্যক্তি রেজার জন্য নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য হিসেবে জাহির করা যাবে না। কেননা ভালো-খারাপ নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ মানুষ। তবে এতটুকু নিশ্চিত করে বলা যায়, পরিবারের প্রতি নিবেদিত রেজা বেশ বুদ্ধিমান।
অন্যদিকে পেশাগত জীবনে তিনি বেশ প্রতিভাবান ও সফল একজন আইনজীবী। তাই মামলার জটিলতা, শুনানির চাপ, বাদি-বিবাদি নিয়ে চিন্তা তার কাছে কোন নতুন ব্যাপার নয়। কিন্তু হঠাৎ এক মামলার শুনানির দিনের আগের রাতে রহস্যময় কিছু ঘটনা আমূল বদলে দেয় তার জীবনকে।
এমনি গল্প নিয়ে এগিয়েছে ৬ পর্বের মিনি থ্রিলার সিরিজ ‘সাড়ে ষোলো’। পুরো সিরিজের কাহিনী একটি হোটেল আর রেজার শুনানিতে যাবার আগের সেই রাতের মধ্যেই আবদ্ধ থাকবে। আর সাড়ে ষোলো হচ্ছে ফ্লোরের সংখ্যা। এখানে ১৬ ও ১৭-তম ফ্লোরের মাঝামাঝি কোনো জায়গা বা ফ্লোরের রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: সে খুবই চতুর কিন্তু একজন ফ্যামিলি ম্যান: নতুন চরিত্র সম্পর্কে আফরান নিশো
সাড়ে ষোলোর নেপথ্যের মানুষ
মিনি থ্রিলার সিরিজটির পরিচালকের নাম ইয়াসির আল হক। আর এই সিরিজটির মাধ্যমেই ওটিটি জগতে তার অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে। এছাড়া এটি তার নির্মিত প্রথম ওয়েব সিরিজও। মূল পরিচালনায় নব্য হলেও এই তরুণ নির্মাতা বেশ প্রতিশ্রুতিশীল এবং কাজের ব্যাপারে নিবেদিতপ্রাণ। তিনি ৭৪-তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘আন সার্তেন রিগার্দ’ পুরষ্কার প্রাপ্ত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর কাস্টিং ডিরেক্টর ও সহকারি পরিচালক ছিলেন।
সাড়ে ষোলোর আফরান নিশো
জীবনের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘কাইজার’ দিয়েই বাজিমাত করে দিয়েছিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকা আফরান নিশো। তারপর সবেমাত্র এক বছর পেরিয়েছে। কাইজার জ্বর এখনো কাটেনি নিশো ভক্তদের। এর মধ্যে আবার গত ঈদুল আযহায় মুক্তি পেলো তার অভিনীত সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’।
জীবনের প্রথম সিনেমাতেই বুঝিয়ে দিলেন, তিনি শুধু ছোট পর্দায় আরামপ্রিয় নন। এছাড়া ভিকি জাহেদের পূনর্জন্ম ফ্র্যাঞ্চাইজিতে তার অভিনয়ের রেশ এখনো কাটেনি দর্শকদের মন থেকে।
চরিত্রের কর্মকান্ডকে আলাদা করে শুধুমাত্র তার আচরণ বা দৃষ্টিভঙ্গিকে বিবেচনা করলে, পুনর্জন্মের রাফসান ও সুড়ঙ্গের মাসুদ বেশ থ্রিলিং ও সাসপেন্সে ভরপুর ছিলো।
এবার সাড়ে ষোলোতেও কি ভক্তরা সেই রাফসান বা মাসুদকে দেখতে যাচ্ছেন কিনা তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে হৈচৈ অরিজিনাল সিরিজটির স্ট্রিমিং পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্ক মাতাচ্ছে 'সুড়ঙ্গ'
সাড়ে ষোলোর নির্মাণ ও হইচই যাত্রা
সিরিজটি মহা সমারোহে এর নির্মাণ যাত্রার সূচনা ঘটায় চলতি বছরের ১২ জুন ঢাকাতে শুটিং-এর মাধ্যমে। ১৪ দিন পর চিত্রগ্রহণের শেষ দিনটি ছিলো ২৬ জুন। এরপর গত ১৬ জুলাই রবিবার হইচই সিরিজটির ফার্স্ট লুক প্রকাশ করে। সেই সাথে ঘোষণা করা হয় আগামী ১৭ আগষ্টে এর মুক্তির দিনক্ষণও।
নির্মাতাগণ এখনো সিরিজটির বাকি কলাকুশলী ও অভিনয় শিল্পীদের কথা গোপন রেখেছেন। শিগগিরই প্রচারণার সময় তা প্রকাশ করা হবে, আর সেই সঙ্গে থাকবে সাড়ে ষোলো সংখ্যাটিকে ঘিরে আরও কিছু রহস্যের খোরাক।
শেষাংশ
ওটিটির কাজগুলো আফরান নিশোর অভিনয় ক্যারিয়ারের জন্য এক বিশাল মাইলফলক। সেই যাত্রায় হইচই ওটিটি প্লাটফর্মে আসন্ন ওয়েব সিরিজ ‘সাড়ে ষোলো’ এক অভাবনীয় পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে। এ কথা বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের নাটক এমনকি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্যও এ ধরনের কন্টেন্ট বিপুল প্রভাব বিস্তার করছে। ইতিবাচক এই পরিবর্তনে আশা করা যায়, বাংলাদেশ শিগগিরই বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সিরিজ নির্মাণের তালিকায় শামিল হতে পারবে।
আরও পড়ুন: এমআর-৯ ডু অর ডাই: মাসুদ রানা আসছেন রূপালি পর্দায়
১ বছর আগে
সে খুবই চতুর কিন্তু একজন ফ্যামিলি ম্যান: নতুন চরিত্র সম্পর্কে আফরান নিশো
১৭ আগস্ট থেকে হইচই-এর পর্দায় দেখা যাবে ইয়াসির আল হক পরিচালিত প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘সাড়ে ষোল’। এতে ‘রেজা’ চরিত্রে অভিনয় করবেন আফরান নিশো।
হইচই তাদের আসন্ন অরিজিনাল সিরিজে সুপারস্টার আফরান নিশোর নতুন লুক প্রকাশ করেছে।
তারপর থেকেই দর্শকদের মধ্যে বিপুল কৌতূহল আর রোমাঞ্চের জন্ম দিয়েছে। আফরান নিশো’র সাবলীল এবং বহুমুখী অভিনয়ের দক্ষতা তাকে স্ট্রিমিং জগতে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে, যা বিনোদন জগতে একটি সম্পূর্ণ নতুন মাত্রা যোগ করবে।
আফরান নিশো তার প্রতিটি চরিত্রকে সম্পূর্ণরূপে নিজের মধ্যে ধারণ করে, তার এই অভিনয়ের দক্ষতাই তাকে বাকি সবার থেকে আলাদা স্থান করে দিয়েছে। নতুন সিরিজে আফরান নিশো স্বনামধন্য একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির পক্ষে একটি হাই-প্রোফাইল মামলা পরিচালনাকারী একজন আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আইনজীবীর মতো জটিল চরিত্রটি নিজেকে খুব সুন্দরভাবে আবর্তিত করেছে নিশো।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদে আসিফ ইকবালের বাজিমাত
পরিচালক ইয়াসির আল হকের প্রথম ওয়েব সিরিজ 'সাড়ে ষোল’ –তে আইনজীবী রেজার গল্প বলা হয়েছে। তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেসটির শুনানিতে যাবার আগের রাতে তার জীবন একটি জটিল মোড় নেয়। আফরান নিশোকে কাইজার চরিত্রে অভিনয়ের পর আবারও এই সিরিজের মাধ্যমে দেখা যাবে হইচই-এর পর্দায়।
এই সিরিজে অভিনয় প্রসঙ্গে প্রতিভাবান অভিনেতা আফরান নিশো বলেন, ‘রেজা একজন অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং সফল আইনজীবী, পাশাপাশি সে খুবই চতুর কিন্তু একজন ফ্যামিলি ম্যান। এটি এমন একটি চরিত্র যা আমাকে খুব আকর্ষণ করেছে এবং আমাকে রেজা হিসেবে দেখার পর দর্শকদের কি প্রতিক্রিয়া হয় তা জানার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’
নিশো আরও বলেন, ‘ইয়াসির খুব তরুণ, প্রতিভাবান এবং প্রতিশ্রুতিবান একজন পরিচালক। প্রচুর সম্ভাবনা নিয়ে তার সে পরিচালনার ক্যারিয়ার শুরু করছে। ইয়াসির খুবই দক্ষ এবং কাজের প্রতি খুবই নিবেদিত প্রাণ। আসলে, পুরো ‘সাড়ে ষোল’ টিমের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত এবং এই কাজের জন্য তাদেরকে আমি শুভকামনা জানাই।’
ওয়েব সিরিজটির পরিচালক বলেন, ‘এটি আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ এবং আমি ওটিটি-তে অভিষেকের জন্য হইচই-য়ের সঙ্গে কাজ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। আসলে কোনো শব্দই আমার এই উত্তেজনা সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘‘সাড়ে ষোল’ সিরিজটি একেবারে আমার কমফোর্ট জোনের বাইরে ছিল এবং এ কারণেই আমি এই সিরিজটি দিয়ে আমার ওটিটি যাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হইচইকে ধন্যবাদ আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য।’
আরও পড়ুন: তারকাদের স্মৃতিচারণে ‘বাবা’
১ বছর আগে
ঈদ উপলক্ষে হইচই’র পর্দায় ‘মহানগর-২’
‘মহানগর’ ওয়েব সিরিজ এদেশের ওটিটি কনটেন্টের বাজারে নতুন এক মাইলফলক। কলকাতার অনেক তারকা পর্যন্ত এর প্রশংসায় বুদ ছিলেন। এমনকি নির্মাতা আশফাক নিপুণকে ফোন করে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
২০২১ সালের সবচেয়ে আলোচিত কনটেন্ট ছিল ‘মহানগর’। ধারণা করা হচ্ছিল ২০২২ সালে মুক্তি পাবে ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় কিস্তি। সেই অপেক্ষায় ছিলেন দর্শক। কিন্তু তা আর হলো না।
আরও পড়ুন: শিবলী-নিপা ও দেড় শতাধিক নৃত্যশিল্পী নিয়ে ইত্যাদি’র ত্রিমাত্রিক নৃত্য
সেই অপেক্ষা শেষ হচ্ছে এবার রোজার ঈদে। বিশেষ দিনকে কেন্দ্র করেই ২০ এপ্রিল হইচই-এ ‘মহানগর-২’ মুক্তির ঘোষণা এলো। সেটি ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে জানালেন নির্মাতা নিজেই।
‘মহানগর-২’ নিয়ে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে আশফাক নিপুণ বলেন, ‘মহানগর আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ। আর এটির প্রথম কিস্তি যখন বানাই তখন এতটা চাপ ছিল না। কিন্তু এটি দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় পর দ্বিতীয় কিস্তি নির্মাণে এক ধরনের চাপ তো কাজ করেছে। সেজন্যই একটু বেশি সময় নেওয়া। চেষ্টা করেছি মহানগর-২-এ দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ হবে।’
আশফাক নিপুণ পরিচালিত ‘মহানগর-২’-এ মোশাররফ করিম ছাড়াও অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, জাকিয়া বারী মম, শ্যামল মাওলা,নাসির উদ্দিন খান, খায়রুল বাসার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নিপুণকে চিঠির জবাব দিলেন জায়েদ খান
যে পরিশ্রম করছি দর্শক তা পর্দায় দেখতে পাবে: নিশো
১ বছর আগে
রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার শিকার সবচেয়ে বেশি হয় নারীরা: আশফাক নিপুণ
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘হইচই’-এ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘সাবরিনা’। ৮ পর্বের এই ওয়েব সিরিজকে নারীকেন্দ্রিক গল্প বলা হলেও এতে উঠে এসেছে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক চিত্র। দুই নারীর গল্পের মধ্য দিয়ে যা দেখানো হয়েছে। ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে এ নিয়ে কথা বলেন ওয়েব সিরিজটির নির্মাতা আশফাক নিপুণ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোস্তাফিজ মিঠু
‘সাবরিনা’র গল্পের পাশাপাশি আপনার লোকেশন নির্বাচনও বেশ প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু শুটিং ঠিক কোথায় করেছেন সেটি জানা যায়নি। এ নিয়ে শুরুতে জানতে চাইব।
লোকেশনের বিস্তারিত আমি ইচ্ছে করেই জানাতে চাইনা। কারণ যখন আমরা স্ক্রিনে কোন দৃশ্য দেখি, তার লোকেশনও আমাদের আন্দোলিত করে। পরিচিত হলে কানেক্ট করে কোথাও, অপরিচিত হলে উৎসুক করে। যদি বলেই দেই কোথায় কোথায় শ্যটিং করেছি তাহলে সেই আগ্রহ শেষ হয়ে যায়। আমরা মেট্রোপলিটান শহরের আবহের বাইরে গিয়ে একটি গল্প দেখাতে চেয়েছি। তাই ঢাকার বাইরে দূরে কিছু লোকেশনে আমরা ২১ দিন শুটিং করেছি।
ওয়েব সিরিজটিকে শুরু থেকেই শুধু নারীকেন্দ্রিক গল্প বলা হচ্ছে। যদিও আপনি পুরো গল্পে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন। তাহলে কী কেন্দ্রিয় চরিত্রে নারী কাস্টিং থাকায় এমনটা হয়েছে?
গল্পটা আসলে সাবরিনাকে নিয়েই। এখানে মূল যে দুটি চরিত্র তারা নারী এবং তারাই কেন্দ্রীয় চরিত্র। নামকরণও তাই করা হয়েছে ‘সাবরিনা’। তবে আমি যখন গল্প বলি, সেটি ‘মহানগর’ ওয়েব সিরিজ হোক বা টেলিভিশনে শেষ যে কয়টি কাজ করেছি সেখানেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার প্রতিফলন রাখার চেষ্টা ছিল সবসময়। সেই জায়গা থেকে ‘সাবরিনা’তে দুই নারীর গল্পের মাধ্যমে দেশের বর্তমান সামাজিক রাজনৈতিক চিত্র তুলে ধরেছি। একটা দেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার শিকার সবচেয়ে বেশি হয় নারীরা। অতি সম্প্রতি টিপ পরা নিয়েও একজন নারী হেনস্থার শিকার হয়েছেন। পুরো বিষয়টাই আসলে রাজনৈতিক। কখনো হয়তো ধর্মীয় রাজনৈতিক, কখনো সামাজিক রাজনৈতিক, আবার কখনো রাষ্ট্রীয় রাজনীতির শিকার আমরা। ‘সাবরিনা’ র পটভূমি এবং গল্পও তাই। আর এটি এখন পর্যন্ত আমার নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী পলিটিক্যাল গল্প। আমি চেয়েছিলাম দর্শক নিজেই আবিস্কার করুক সেটা সিরিজ দেখতে দেখতে। তাই হয়েছে। দর্শকই বলছে সমকালীন রাজনৈতিক দুর্বিত্তায়নের প্রেক্ষাপটের মধ্য দিয়ে দুই নারীর এক শক্তিশালী গল্প ‘সাবরিনা’।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আসার পর আপনি দেশের গল্পে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যেভাবে দেখাতে পারছেন, টেলিভিশনে এমনটা দেখাতে পারতেন?
অবশ্যই না। আমাদের এখানে টেলিভিশন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের টেলিভিশনের মত স্বাধীনচেতা না। একটা ভয়ের সংস্কৃতি এখন অনেক বেশি চলমান। রাষ্ট্রীয় সেন্সরশীপ এর ভয়ে সেল্ফ সেন্সরশীপ জেঁকে বসেছে টেলিভিশনের মাঝেই। তাই মূলত সংবাদ আর নিছক বিনোদন নির্ভর কন্টেন্ট দিয়েই তাই চলছে টেলিভিশন। কারণ যেকোনো সময় যেকোনো কনটেন্টের ওপর রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক বাঁধা আসার আশঙ্কাও রয়েছে। এছাড়া টেলিভিশন এখন পুরোটাই স্পনসর নির্ভর। স্পনসররাও রিস্কি কন্টেন্টের চ্যালেঞ্জ নিতে চান না, ফাইন্যান্স করতে চান না। আর ওটিটির সুবিধা এটি দর্শককে সাবস্ক্রিপশন নিয়ে দেখতে হয়। এখানে দর্শক স্বেচ্ছায় টাকা খরচ করে এমন কিছু দেখতে চান যা ফ্রি মিডিয়ামে (টিভি, ইউটিউব) এ সে দেখতে পায় না। এখানে দর্শক প্রিমিয়াম কন্টেন্ট খোঁজে। তাই এখানে কানেক্ট করতে পারে এমন সাহসী এবং ভিন্ন ধরনের গল্পের চাহিদা বেশি।
মহানগর’-এর মতো ‘সাবরিনা’ও শেষ করলেন না। দ্বিতীয় সিজন নিয়ে কী পরিকল্পনা?
‘সাবরিনা’ নির্মাণের শুরু থেকেই এটি দ্বিতীয় সিজনের পরিকল্পনা করেই এগোনো। প্রথম সিজন ছিল সূত্রধরের মত। যে কয়টি গল্প দেখানো হয়েছে সবগুলো আরও খোলতাই করে পরবর্তীতে দেখা যাবে। আসলে একটা গল্পকে তো চাইলে যেকোন সময় শেষ করা যায়। ‘সাবরিনা’কেও হয়ত ৮ পর্বে শেষ করতে পারতাম। কিন্তু সেটা চাইনি আমি কারণ ‘সাবরিনা’র ব্যাপ্তি অনেক বড়। পরবর্তী সিজন এলে দর্শক সেটা আরও ভালো বুঝতে পারবেন। শিগগিরই দ্বিতীয় সিজনের গল্প লেখার কাজ শুরু করব।
ছোটপর্দায় এই ধরনের গল্প দেখার পর দর্শকদের মধ্যে আপনার সিনেমাও দেখার আগ্রহও তৈরি হয়েছে। সেই খবর কবে দিচ্ছেন?
আমার প্রথম সিনেমা ‘গোল্লা’ নিয়ে ২০১৯ থেকে কাজ শুরু করি। কিন্তু মহামারির কারণে এর সব পরিকল্পনা ওলোটপালট হয়ে যায়। ‘সাবরিনা’ পোস্ট প্রোডাকশনের কাজের সময় ‘গোল্লা’ নিয়ে আবারও পরিকল্পনা শুরু করি। এখন তো ‘মহানগর’ এবং ‘সাবরিনা’ দুটি সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের কাজ বাকি। আরও কিছু ওটিটি কন্টেন্টের ব্যাপারেও কথা চলছে। দেখা যাক কবে নাগাদ পুরোপুরি সিনেমার কাজে হাত দিতে পারি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ নাটক ‘নিহত নক্ষত্র’
ওয়েব দুনিয়ায় আফসানা মিমির অভিষেক
বিয়ে বাড়িতে হলো ‘গুণিন’ সিনেমার প্রিমিয়ার!
২ বছর আগে
আসছে হইচইয়ের নতুন ওয়েব সিরিজ ‘একাত্তর’
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ জনপ্রিয় অনলাইন এন্টারটেইনমেন্ট প্লাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পাচ্ছে নতুন অরিজিনাল ওয়েব সিরিজ ‘একাত্তর’ ।
৪ বছর আগে