জানুয়ারি
ঢাবিতে ক্লাস নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জানুয়ারিতে গঠিত মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে ক্লাস নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’ বিষয়ক কোর্সের ক্লাস নেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে দুই ঘণ্টাব্যাপী তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে কোর্সের উপরে লেকচার দেন। ২০১৮ সাল থেকেই ড. হাছান মাহমুদ ঢাবির সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে খণ্ডকালীন অধ্যাপনা করে আসছেন।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা বন্ধে ‘প্রাণঘাতী নয়’ এমন অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে ঢাকা-দিল্লি আলোচনা করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বিভাগের সপ্তম এবং অষ্টম সেমিস্টারের ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট চেঞ্জ’ ও ‘ইভ্যুলেশন অ্যান্ড আর্থ বায়োস্ফিয়ার’ এ দুইটি কোর্সে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন।
সরকারি ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যস্ততা, প্রতি সপ্তাহে নির্বাচনি এলাকায় যাওয়, বিদেশ সফর ইত্যাদি ব্যস্ততার মধ্যেও নিয়মিত ঢাবির সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে খণ্ডকালীন অধ্যাপনা করেন আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে এদিন প্রথম সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগে ক্লাস নিতে গেলে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ড. হাছানকে অভিনন্দন জানান।
এর আগে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে অধ্যাপনায় যুক্ত ছিলেন।
তার আগে তিনি পরিবেশ বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিষয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
শিক্ষাজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে রসায়ন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন ড. হাছান মাহমুদ।
এরপর বেলজিয়ামের ব্রিজ ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলস থেকে হিউম্যান ইকোলজি এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবহা দু ব্রাসেলস থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষে পরিবেশ রসায়ন বিষয়ে বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাম থেকে পিএইচডি করেন ড. হাছান মাহমুদ।
শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি ব্রাসেলসের ইউরোপিয়ান ইন্সটিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে ভিজিটিং ফেলো এবং অ্যাকাডেমিক বোর্ড মেম্বার হিসেবে মনোনীত হন।
আরও পড়ুন: নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়া বিএনপির রাজনীতি আর কখনো সচল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ মাস আগে
জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ বই উৎসব হবে: দীপু মনি
জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ বই উৎসব হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে আমাদের বই উৎসব হবে। উৎসব করার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করবে না: দীপু মনি
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর শহরের কদমতলায় মন্ত্রীর বাসবভনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের মনোনয়নবোর্ড যাকেই মনোনয়ন দেবে, দেশের যে এলাকায় দেবে, সেই নৌকার প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে।
তিনি জানান, তারা নৌকার বিজয় যেমন নিশ্চিত করবে এবং দলীয় ঐক্যকে আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যাশা করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং উৎসবমুখর পরিবেশে একটি নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। যাতে করে ভোটাররা আগামী দিনে দেশ পরিচালনার জন্য তাদের দল পছন্দ করতে পারে।
তিনি বলেন, এমনিতে আওয়ামী লীগ দেশের প্রাচীন বড় রাজনৈদিক দল।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সবসময় নির্বাচন করেছে এবং করবে। যখন প্রয়োজন হয়েছে জোটবদ্ধ নির্বাচন করেছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের জোট সবসময় আদর্শিক জোট হয়েছে। কখনো কখনো আমরা নির্বাচনী জোট করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের মনোনয়ন নির্ধারণ করার কাজ শেষে হলে বোঝা যাবে আমরা কি জোটবদ্ধ কিংবা জোট ছাড়া নির্বাচন করব। কারণ তখন বোঝা যাবে কোন দল বেশি শক্তিশালী।
আরও পড়ুন: পর্যটন পরিকল্পনার বড় অংশ হচ্ছে চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দর: দীপু মনি
নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে: দীপু মনি
১ বছর আগে
নভেম্বরে তফসিল, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন: ইসি আনিছুর
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রগুলোতে ভোট হবে ব্যালট পেপারে। এবার নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনের দিন সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ‘বাজেট স্বল্পতা’র কারণে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ: ইসি সচিব
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
উদ্বোধনের প্রথম দিনে ৩০জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্মার্টকার্ড দেওয়া হয়। এই উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচান কমিশন সব ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এ জন্য সব দলের সঙ্গে সংলাপের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেকের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। আমাদের সঙ্গে সংলাপের পর নির্বাচন কমিশনের ওপর সবার আস্থা আরও দৃঢ় হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা চেয়ে ইইউ'র চিঠির জবাব দিলেন সিইসি
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহায়তা দিন: ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
জানুয়ারিতে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
জানুয়ারি মাসে দেশে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত এবং ৮৯৯ জন আহত হয়েছেন। একই সময় রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত এবং ৭৮ জন আহত হয়েছেন।
আর নৌ-পথে ১৩টি দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত, একজন আহত এবং ছয়জন নিখোঁজ হয়েছেন।
সবমিলে জানুয়ারি মাসে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ৬৫০টি দুর্ঘটনায় ৬৪২ জন নিহত এবং ৯৭৮ জন আহত হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ২১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৫ জন নিহত এবং ১১৪ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় প্রাণ গেলো কিশোরের
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া, দেশের বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
এতে দেখা গেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের চেয়ে ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে সড়কে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ এবং দুর্ঘটনায় আহত ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়লেও প্রাণহানী ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে ২০৬ জন চালক, ১০৯ জন পথচারী, ৩৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫৩ জন শিক্ষার্থী, ১০ জন শিক্ষক, ১৩ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১১৫ জন নারী, ৬২ জন শিশু, পাঁচজন সাংবাদিক, একজন মুক্তিযোদ্ধা, দুইজন আইনজীবী, তিনজন প্রকৌশলী এবং ১৪ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।
এর মধ্যে নিহত হয়েছে ০৯ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ছয়জন পুলিশ সদস্য, একজন বিজিবি সদস্য, দুইজন আনসার সদস্য, ১৫৩ জন চালক, ৮৪ জন পথচারী, আটজন নারী, ৪৬ জন শিশু, ৪৬ জন শিক্ষার্থী, ২৬ জন পরিবহন শ্রমিক, একজন সাংবাদিক, ০৯ জন শিক্ষক, দুইজন প্রকৌশলী, দুইজন আইনজীবী ও আটজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
এ সময়ে সংগঠিত দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৮১৬টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে, যার ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বাস, ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৫ দশমিক ০২ শতাংশ কার-জীপ-মাইক্রোবাস, ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ২৭ দশমিক ৩২ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ২
সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা, ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ বিবিধ কারণে, শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং ১ দশমিক ১ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই বছর মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ২৯ দশমিক ৫১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৮ দশমিক ৬১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে।
এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫ দশমিক ২২ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১ দশমিক ১৮ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে, ১ দশমিক ১ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৭ জানুয়ারি। এদিন ৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২ জানুয়ারি। এদিন ১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় একদিনে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে ১১ জানুয়ারি। এদিন ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছে ৫ জানুয়ারি। এদিন ১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৭১ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় পথচারী নিহত
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ-
১। বেপরোয়া গতি।
২। বিপদজনক অভারটেকিং।
৩। ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল।
৪। যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা।
৫। চালকের অদক্ষতা।
৬। চালকের বেপরোয়া মনোভাব।
৭। চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার।
৮। মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো।
৯। রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা।
১০। ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও ট্রাফিক আইন অমান্য করা।
১১। ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি।
১২। সড়কে চাঁদাবাজি।
১৩। রাস্তার পাশে হাট-বাজার।
১৪। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো।
১৫। চালকের নিয়োগ ও কর্মঘন্টা সুনির্দিষ্ট না থাকা।
১৬। দেশব্যাপী নিরাপদ ও আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার পরিবর্তে ইজিবাইক-ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশানির্ভর গণপরিবহন ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হওয়ার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ১
১ বছর আগে
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।২০২২ সালের ২২ জুলাই সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর এ বছরের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় ওই আসনের জন্য নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন: সিইসি
কিন্তু নির্বাচনের দিন ব্যাপক অনিয়মের কারণে নির্বাচন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের প্রার্থীরা হলেন- মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (বিকল্প ধারা), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র)।সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার রয়েছেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বাতিল: ১২৫টি কেন্দ্রের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে ইসি
২ বছর আগে
জানুয়ারি মাসে ২১১ কোটি টাকার মাদক ও চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত জানুয়ারি মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২১১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য ও মাদক জব্দ করেছে।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিজিবি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজিবি জানায়, ১৭ লাখ ৫২ হাজার ৯৯১টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২১ দশমিক ২৩ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ৩২ হাজার ১৯৪ বোতল ফেনসিডিল, ১৬ হাজার ৪২৭ বিদেশি মদ, দুই হাজার ১০৯ ক্যান বিয়ার, দুই হাজার ১২৬ কেজি গাঁজা, ৭ দশমিক ১৩ কেজি হেরোইন, দুই হাজার ২৪৯ ইনজেকশন, ছয় হাজার ৭৬১ বোতল ইসকাফ সিরাপ ও অন্যান্য মাদক জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৯ কেজি আইস জব্দ
এছাড়া ২ দশমিক ৭ কেজি স্বর্ণ, ৫৯ দশমিক ৭ কেজি রূপা, এক লাখ ৩৮ হাজার ২২৮টি কসমেটিক্স, ১৩ হাজার ৪২৯ ইমিটেশন জুয়েলারি, আট হাজার ৪৯০ শাড়ি, এক হাজার ৬২৫টি রেডিমেড গার্মেন্টস, তিন হাজার ৬০ ঘনফুট কাঠ, সাত হাজার ৭১৪ কেজি চাপাতা, ১৩ হাজার সাতশ কেজি কয়লা, ১২টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, পাঁচটি প্রাইভেট কার/ব্যাটারিচালিত গাড়ি, ১৮টি পিকআপ, ৩০টি সিএনজি/ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং ৬৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এছাড়া তিনটি পিস্তল, দুটি ভিন্ন বন্দুক, পাঁচটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি মর্টার শেল, ১৬ রাউন্ড গুলি, ছয়টি ডেটোনেটরস ও ছয়টি আইডি উদ্ধার করা হয়েছে।
চোলচালানের অভিযোগে ২৬৭ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ২১৮ জন বাংলাদেশি ও ১৩ জন ভারতীয় নাগরিককে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ১৮ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
ঢাকা বিমানবন্দরে ৩০ স্বর্ণের বার জব্দ, বিমানের নিরাপত্তা কর্মীসহ আটক ২
২ বছর আগে
ইউপি নির্বাচন: জানুয়ারি মাসে সহিংসতায় ২৯ জনের প্রাণহানি
সারাদেশে পঞ্চম ও ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুধু জানুয়ারি মাসে ১০৯টি সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) গণমাধ্যম থেকে নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সহিংসতার ১০৯টি রিপোর্টের ওপর সংগৃহীত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো থেকে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
এমএসএফের মতে, এ বছর উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সহিংসতা আগের সব বারের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
এমএসএফ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন প্রতিপক্ষের গুলিতে এবং অন্য চারজনকে আইন প্রয়োগকারী বাহিনী গুলি করেছে।
বগুড়া জেলায় সর্বোচ্চ সাতজন, ঝিনাইদহে পাঁচজন, চাঁদপুরে তিনজন ও নরসিংদীতে দুজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ ধাপে ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
সম্প্রতি ৫ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালালে পুলিশ ২৫টি গুলি ছুঁড়ে।
এমএসএফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই সংঘর্ষের সময় নারীসহ চারজন মারা যান এবং আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
একই দিন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার একটি ভোট কেন্দ্রে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৫০ বছর বয়সী সুমেলা খাতুন মারা যান।
গত ১২ জানুয়ারি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যের নির্যাতনে ৩০ বছর বয়সী আনোয়ারুল ইসলাম নিহত হন।
এমএসএফ-এর মতে, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২ জন এবং আহতের সংখ্যা চার হাজারের বেশি। দুর্বল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, পদ ও মনোনয়ন সংক্রান্ত দুর্নীতি দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে অপব্যবহার করেছে এবং স্থানীয় নির্বাচনে এ ধরনের সহিংসতাকে বৃদ্ধি করেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রাণহানি কমাতে এবং এ ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে ক্ষমতাসীন দল, নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে রায়পুরায় নিহত ২, আহত ২০
ইউপি নির্বাচন: বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সাতকানিয়ায় ১৮ জনকে আ’লীগ থেকে বহিষ্কার
২ বছর আগে
খুলনায় ১১ জানুয়ারি থেকে রাত ৮টার পর মার্কেট-দোকান বন্ধ থাকবে
আগমী ১১ জানুয়ারি থেকে রাত ৮টার পরে খুলনা মহানগরীতে মার্কেট ও দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে ‘খুলনা জেলা ও মহানগর করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি’র সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, ‘মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। প্রতিবেশি দেশ ভারতে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ এর বিস্তারের কারণে আমরা ঝুঁকির মধ্যে আছি। ভাইরাসের নতুন ধরণ ছড়িয়ে পড়ার আগেই আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে সচেতন থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। আগমী ১১ জানুয়ারি থেকে রাত ৮টার পরে নগরীতে মার্কেট-দোকান খোলা রাখা যাবে না। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল পরিবহন ও কাঁচামালের আড়তের ক্ষেত্রে এসময়সীমা প্রযোজ্য নয়।’
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘কিশোর গ্যাং’র ৫ সদস্য আটক
সভায় সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, বর্তমানে খুলনা জেলায় করোনা শনাক্ত হওয়া একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত জেলায় এক লাখ ৬১ হাজার সাতশত ২০টি পরীক্ষার বিপরীতে ২৮ হাজার ১৯ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হয়। গত নভেম্বর মাসে জেলায় তিন জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ডিসেম্বর মাসে করোনায় জেলায় কোনো প্রাণহানি হয়নি। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সকল স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক পরিধাণের বিকল্প নেই। টিকা নেয়ার পরে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে মৃত্যুহার অনেক কম। তাই টিকা গ্রহণে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন।
সভায় খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলামসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় খুলনা শিশু হাসপাতালে রোগীর ভিড়
২ বছর আগে
জানুয়ারি থেকে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে টিকা দেয়া হবে
আগামী মাস (জানুয়ারি) থেকেই দেশের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘আগামী মাস থেকে প্রতি মাসে আমরা অন্তত চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেয়ার কাজ শুরু করছি। এর জন্য আগামী মাস থেকেই আমরা দেশের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন দেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি। এতে করে আশা করা যায়, আগামী মে-জুনের মধ্যেই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবো।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে বিডিসিএল’র আয়োজিত বিডিসিএল এর বার্ষিক জেনারেল মিটিং এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই ৩১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন জোগানের ব্যাবস্থা করেছি। এই ভ্যাকসিন থেকে প্রতি মাসেই প্রয়োজনীয় পরিমাণে ভ্যাকসিন আমাদের হাতে চলে আসছে। এর মধ্যেই সাত কোটি প্রথম ডোজ, পাঁচ কোটি ডাবল ডোজসহ মোট ১২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে বুস্টার ডোজসহ মোট ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের ৩১ ডোজ ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার সংস্থান করা গেছে। কাজেই বুস্টার ডোজসহ আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন লাগলেও আমাদের হাতে আরও তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন হাতেই থাকবে। আর ইতোমধ্যে আমরা স্কুল পর্যায়ে সহ বস্তিতে গিয়েও ভ্যাকসিন দিয়েছি। ’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে বিডিসিএল এর উৎপাদন চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নানারকম ওষুধের উৎপাদনের চাহিদাও পাচ্ছে বিডিসিএল। কিন্তু সে তুলনায় বিডিসিএল স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। অবকাঠামো দুর্বলতা, যন্ত্রপাতির ঘাটতি, ফ্যাক্টরির জায়গা স্বল্পতাসহ এখানে নানারকম সমস্যা রয়েছে। এজন্য বিডিসিএল এর জন্য একটি অত্যাধুনিক মানের কারখানা নির্মাণের বিল এখন একনেকে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন মোকাবিলায় বুস্টার ডোজ সহায়ক হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এটি দ্রুতই সম্পন্ন হয়ে যাবে। এসব উদ্যোগ সম্পন্ন করার পর বিডিসিএল আরও বেশি শক্তিশালী হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও জানান, বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিশ্ববাসীর প্রশংসা পেয়েছে। সাউথইস্ট এশিয়াতে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে। ব্লুমবার্গ প্রশংসা করেছে। ১২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন করা হয়েছে। ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়েছে। হাসপাতাল বেড বাড়ানো হয়েছে। দেশে করোনার সময় কোথাও ওষুধ বা অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়নি। সঠিক চিকিৎসা গাইডলাইন ছিল বলেই করোনা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সামনে ওমিক্রনে আবার চাপ বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে শুধু ভ্যাকসিন ওমিক্রন ঠেকাবে না। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি যথার্থ নিয়মে মানতে হবে। তাহলেই ওমিক্রন ছড়াবে না বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ওমিক্রন মোকাবিলায় সবাইকে মুখে মাস্ক পড়ারও আহ্বান জানান জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর শারফুদ্দিন আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, ডিজিডিএ এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য বক্তারা। সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইডিসিএল এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবির।
আরও পড়ুন: পর্যটন স্পটে মাস্ক না পরায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশংকা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
মহাখালী বিসিপিএসএ থেকে বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
জানুয়ারি মাসের মধ্যে ১৫ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জানুয়ারি মাসের মধ্যে ১৫ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হবে বলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে করোনার ৯ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দিয়ে ফেলেছি। আগামী জানুয়ারির মধ্যে আশা করা যায় আরও ছয় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। মোট ১৫ কোটি ভ্যাকসিন দেয়া হলে দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন পেয়ে যাবেন।’
শনিবার বিকালে মানিকগঞ্জ শহীদ মিরাজ তপন স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রিমিয়ার ডিভিশন জেলা ফুটবল লীগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘এখন বাংলাদেশে করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা এখন সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। সংক্রমণের হারও কমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাইড লাইনে আমাদের চেস্টায় দেশের অবস্থা ভালো আছে। যাদের ভ্যাকসিন দেয়ার কথা ছিল তাদের অনেকেই ভ্যাকসিন পেয়ে গেছেন।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে মোট ১৩ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। এর মধ্যে এক কোটি মানুষ দেশের বাইরে রয়েছে। ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে সাড়ে সাত কোটি মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেয়া হলে বাকী সাড়ে তিন কোটি মানুষকে পর্যায়ক্রমে টিকা দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে ইনসুলিন দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাকসিন দেয়ার কারণে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। যার ফলে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে, খেলাধুলা সচল হয়েছে, দেশে বিদেশে যাওয়া আসা শুরু হয়েছে। টিকা দেয়ার কারণে মানুষ আর করোনা নিয়ে আগের মতো ভয় পান না। তবে করোনাকে অবহেলা করা যাবে না। করোনা এখনো চলে যায়নি। সকল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।’
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রিমিয়ার ডিভিশন জেলা ফুটবললীগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব সাহা প্রমূখ। ফুটবল লীগের মোট ৮টি দল অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনী খেলায় পল্লী মঙ্গল সমিতি ৩-০ গোলে হরিরামপুর সাকুচিয়া ক্লাবকে পরাজিত করে।
আরও পড়ুন: এ মাসেই তিন কোটি ডোজ টিকা দেয়া যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভোটার আইডি কার্ড না থাকলেও টিকা নেয়া যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে