জানুয়ারি
জানুয়ারি মাসে সড়কে ৬০৮ প্রাণহানি
২০২৫ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে মোট ৬২১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৮ জন নিহত ও ১ হাজার ১০০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭২ জন নারী ছাড়াও রয়েছে ৮৪টি শিশু।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৪৬৭ জনের প্রাণহানি: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। এছাড়া যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৩ জন (১২ শতাংশ)। এ সময় চারটি নৌ-দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন। ২২টি রেল দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ৭ জন।
নিজেদের পর্যবেক্ষণে সংস্থাটি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছে— দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী মিলে মোট ২৬৪ জন (৪৩ দশমিক ৪২ শতাংশ), বাসের যাত্রী ২৮ জন (৪ দশমিক ৬০ শতাংশ), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৩৪ জন (৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ১৯ জন (৩ দশমিক ১২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) যাত্রী ৯০ জন (১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ), নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-টমটম ১৮ জন (২ দশমিক ৯৬ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ১২ জন (১ দশমিক ৯৭ শতাংশ)।
তাদের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে জাতীয় মহাসড়কে ২১৪টি (৩৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ), আঞ্চলিক সড়কে ২৬৫টি (৪২ দশমিক ৬৭ শতাংশ), গ্রামীণ সড়কে ৯৬টি (১৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ), শহরের সড়কে ৪২টি (৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ) ও অন্যান্য স্থানে ৪টি (শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়াও সংঘর্ষে ১৩৩টি (২১ দশমিক ৪১ শতাংশ), নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২৫৮টি (৪১ দশমিক ৫৪ শতাংশ), পথচারীকে চাপা/ধাক্কা ১৪১টি (২২ দশমিক ৭০ শতাংশ), যানবাহনের পেছনে আঘাত ৭৫টি (১২ দশমিক ৭ শতাংশ) ও অন্যান্য কারণে ১৪টি (২ দশমিক ২৫ শতাংশ) ঘটেছে।
৩০৩ দিন আগে
জানুয়ারিতেই বই পাবে প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা: উপদেষ্টা
চলতি জানুয়ারির মধ্যেই প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা বই পাবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। জানুয়ারির মধ্যেই প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা বই পাবে।
‘স্বাধীনতার পর অনেক শিক্ষানীতি করা হয়েছে। সেজন্য বিভিন্ন প্রকার প্রস্তাবও পেশ করা হয়েছে, কিন্তু তা কখনো কার্যকর হয়নি। এটা মূলত আমাদে জাতীয় সমস্যা। এর জন্য আমাদের দেশের অগ্রসর নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে বলে আমি মনে করি,’ বলেন বিধান রঞ্চন।
আরও পড়ুন: জাতীয় বন্দর ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়নে জাইকার সহযোগিতা চাইলেন উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সমৃদ্ধ দেশগুলোতে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে প্রণয়ন করে, যেন দেশের প্রতিটি নাগরিক এ শিক্ষাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যায়।
‘এ জন্যই তাদের মধ্যে একই ধরণের মূল্যবোধের সঞ্চার হয়। অথচ আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দিন দিন বিভক্তির দিকে যাচ্ছে। আমি জানি, এ দুরবস্থা এত কম সময়ে সমাধান করা সম্ভব নয়। সে জন্যই আজকে মাঠপ্রশাসনের সাথে মতবিনিময় করেছি আপনাদের পরামর্শ নিয়েছি। আশা করছি এ আলোচনা সভা ফলপ্রসূ হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হাকিম।
৩১২ দিন আগে
১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দিতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকাকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেছেন, ‘সরকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের ব্যবস্থা করা। যেখানে সরকার থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিল কিন্তু তাও নেওয়া হয়নি।’
হাসনাত বলেন, আমরা এই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে গিয়েছি। কিন্তু সরকার যেহেতু নিজেই দায়িত্ব নিয়েছে, তাই সকল রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করবে। তাই আমরা ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্রটি ঘোষণা করিনি।
বুধবার (০৮ জানুয়ারি) কুমিল্লা নগরীতে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সমর্থনে জনসংযোগ শেষে শহরের টাউন হল মাঠে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে পুলিশ লাইন থেকে শুরু করে কান্দিরপারসহ নগরীর বিভিন্ন সড়কে জনসংযোগ করেন হাসনাত।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, আমরা রাজনৈতিক ঐকমত্যকে প্রাধান্য দিয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো ৩১ ডিসেম্বরের পর এতদিন কেটে গেলেও সরকার এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি।
হাসনাত বলে, ‘আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, যারা এই ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছিল, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিল ও সকল শ্রেণির পেশার মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: জুলাই বিপ্লবের ঘোষণার মাধ্যমে ১৯৭২’র সংবিধানের কবর হবে: হাসনাত
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ঘোষণাপত্রে অবশ্যই শহীদ ও আহতদের স্বীকৃতি দিতে হবে। ৪৭, ৭১ ও ২৪ এর যে ধারাবাহিকতা সেখানে সুস্পষ্ট তার বর্ণনা থাকতে হবে। আর সেটাতে আমরা কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছি তার বর্ণনা থাকতে হবে। যে রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করেছে তাদের অংশগ্রহণের স্বীকৃতি সেখানে থাকতে হবে। জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে সে আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এই ঘোষণাপত্র থাকতে হবে। আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে ঘুরে বেড়াব এবং সাধারণ মানুষ যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল তারা এই ঘোষণাপত্রের কি চায় আমরা তুলে ধরব। যাতে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদ মাথা চাড়া না দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে আহত ও শহীদদের পরিবারকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা ছিল। কিন্তু আমরা এখনো আহতদের ও শহীদ পরিবারের আর্তনাদ শুনি। যেটি অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। আমরা চাই এই সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে আহত ও শহীদদের প্রতি। আমরা দেখেছি, আহত ও শহীদদের পরিবারের জুলাই ফাউন্ডেশন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার শিকার হয়েছিল। আমরা বলতে চাই, ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশের যেন কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা না থাকে।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মাঝেমধ্যে দোহাই দিয়ে বলতে শুনি, সিন্ডিকেটের হাত পরিবর্তন হয়েছে, চাঁদাবাজির হাত পরিবর্তন হয়েছে, টেন্ডারবাজির হাত পরিবর্তন হয়েছে। আপনাদের আমরা দোহাই দেওয়ার জন্য এখানে আনি নাই। এক্সকিউজ দেওয়ার জন্য এখানে আনি নাই। আপনাদের এখানে এনেছি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। যেই হাত চাঁদাবাজি করে, টেন্ডারবাজি করে, সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। এক্সকিউজ দেওয়ার সুযোগ আপনাদের নেই। আপনাদের যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। ৫ আগস্টের পূর্বে আমাদের যে অবস্থান ছিল, আমাদের সে অবস্থান অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষকদের সর্বোচ্চ মর্যাদায় ভূষিত করতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
৩৩০ দিন আগে
ঢাবিতে ক্লাস নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জানুয়ারিতে গঠিত মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে ক্লাস নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’ বিষয়ক কোর্সের ক্লাস নেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে দুই ঘণ্টাব্যাপী তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে কোর্সের উপরে লেকচার দেন। ২০১৮ সাল থেকেই ড. হাছান মাহমুদ ঢাবির সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে খণ্ডকালীন অধ্যাপনা করে আসছেন।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা বন্ধে ‘প্রাণঘাতী নয়’ এমন অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে ঢাকা-দিল্লি আলোচনা করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বিভাগের সপ্তম এবং অষ্টম সেমিস্টারের ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট চেঞ্জ’ ও ‘ইভ্যুলেশন অ্যান্ড আর্থ বায়োস্ফিয়ার’ এ দুইটি কোর্সে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন।
সরকারি ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যস্ততা, প্রতি সপ্তাহে নির্বাচনি এলাকায় যাওয়, বিদেশ সফর ইত্যাদি ব্যস্ততার মধ্যেও নিয়মিত ঢাবির সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে খণ্ডকালীন অধ্যাপনা করেন আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে এদিন প্রথম সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগে ক্লাস নিতে গেলে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ড. হাছানকে অভিনন্দন জানান।
এর আগে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে অধ্যাপনায় যুক্ত ছিলেন।
তার আগে তিনি পরিবেশ বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিষয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
শিক্ষাজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে রসায়ন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন ড. হাছান মাহমুদ।
এরপর বেলজিয়ামের ব্রিজ ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলস থেকে হিউম্যান ইকোলজি এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবহা দু ব্রাসেলস থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষে পরিবেশ রসায়ন বিষয়ে বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাম থেকে পিএইচডি করেন ড. হাছান মাহমুদ।
শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি ব্রাসেলসের ইউরোপিয়ান ইন্সটিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে ভিজিটিং ফেলো এবং অ্যাকাডেমিক বোর্ড মেম্বার হিসেবে মনোনীত হন।
আরও পড়ুন: নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়া বিএনপির রাজনীতি আর কখনো সচল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৬৬০ দিন আগে
জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ বই উৎসব হবে: দীপু মনি
জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ বই উৎসব হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে আমাদের বই উৎসব হবে। উৎসব করার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করবে না: দীপু মনি
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর শহরের কদমতলায় মন্ত্রীর বাসবভনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের মনোনয়নবোর্ড যাকেই মনোনয়ন দেবে, দেশের যে এলাকায় দেবে, সেই নৌকার প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে।
তিনি জানান, তারা নৌকার বিজয় যেমন নিশ্চিত করবে এবং দলীয় ঐক্যকে আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যাশা করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং উৎসবমুখর পরিবেশে একটি নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। যাতে করে ভোটাররা আগামী দিনে দেশ পরিচালনার জন্য তাদের দল পছন্দ করতে পারে।
তিনি বলেন, এমনিতে আওয়ামী লীগ দেশের প্রাচীন বড় রাজনৈদিক দল।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সবসময় নির্বাচন করেছে এবং করবে। যখন প্রয়োজন হয়েছে জোটবদ্ধ নির্বাচন করেছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের জোট সবসময় আদর্শিক জোট হয়েছে। কখনো কখনো আমরা নির্বাচনী জোট করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের মনোনয়ন নির্ধারণ করার কাজ শেষে হলে বোঝা যাবে আমরা কি জোটবদ্ধ কিংবা জোট ছাড়া নির্বাচন করব। কারণ তখন বোঝা যাবে কোন দল বেশি শক্তিশালী।
আরও পড়ুন: পর্যটন পরিকল্পনার বড় অংশ হচ্ছে চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দর: দীপু মনি
নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে: দীপু মনি
৭৪৩ দিন আগে
নভেম্বরে তফসিল, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন: ইসি আনিছুর
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রগুলোতে ভোট হবে ব্যালট পেপারে। এবার নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনের দিন সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ‘বাজেট স্বল্পতা’র কারণে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ: ইসি সচিব
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
উদ্বোধনের প্রথম দিনে ৩০জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্মার্টকার্ড দেওয়া হয়। এই উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচান কমিশন সব ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এ জন্য সব দলের সঙ্গে সংলাপের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেকের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। আমাদের সঙ্গে সংলাপের পর নির্বাচন কমিশনের ওপর সবার আস্থা আরও দৃঢ় হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা চেয়ে ইইউ'র চিঠির জবাব দিলেন সিইসি
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহায়তা দিন: ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৮০০ দিন আগে
জানুয়ারিতে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
জানুয়ারি মাসে দেশে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত এবং ৮৯৯ জন আহত হয়েছেন। একই সময় রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত এবং ৭৮ জন আহত হয়েছেন।
আর নৌ-পথে ১৩টি দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত, একজন আহত এবং ছয়জন নিখোঁজ হয়েছেন।
সবমিলে জানুয়ারি মাসে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ৬৫০টি দুর্ঘটনায় ৬৪২ জন নিহত এবং ৯৭৮ জন আহত হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ২১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৫ জন নিহত এবং ১১৪ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় প্রাণ গেলো কিশোরের
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া, দেশের বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
এতে দেখা গেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের চেয়ে ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে সড়কে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ এবং দুর্ঘটনায় আহত ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়লেও প্রাণহানী ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে ২০৬ জন চালক, ১০৯ জন পথচারী, ৩৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫৩ জন শিক্ষার্থী, ১০ জন শিক্ষক, ১৩ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১১৫ জন নারী, ৬২ জন শিশু, পাঁচজন সাংবাদিক, একজন মুক্তিযোদ্ধা, দুইজন আইনজীবী, তিনজন প্রকৌশলী এবং ১৪ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।
এর মধ্যে নিহত হয়েছে ০৯ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ছয়জন পুলিশ সদস্য, একজন বিজিবি সদস্য, দুইজন আনসার সদস্য, ১৫৩ জন চালক, ৮৪ জন পথচারী, আটজন নারী, ৪৬ জন শিশু, ৪৬ জন শিক্ষার্থী, ২৬ জন পরিবহন শ্রমিক, একজন সাংবাদিক, ০৯ জন শিক্ষক, দুইজন প্রকৌশলী, দুইজন আইনজীবী ও আটজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
এ সময়ে সংগঠিত দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৮১৬টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে, যার ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বাস, ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৫ দশমিক ০২ শতাংশ কার-জীপ-মাইক্রোবাস, ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ২৭ দশমিক ৩২ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ২
সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা, ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ বিবিধ কারণে, শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং ১ দশমিক ১ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই বছর মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ২৯ দশমিক ৫১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৮ দশমিক ৬১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে।
এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫ দশমিক ২২ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১ দশমিক ১৮ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে, ১ দশমিক ১ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৭ জানুয়ারি। এদিন ৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২ জানুয়ারি। এদিন ১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় একদিনে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে ১১ জানুয়ারি। এদিন ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছে ৫ জানুয়ারি। এদিন ১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৭১ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় পথচারী নিহত
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ-
১। বেপরোয়া গতি।
২। বিপদজনক অভারটেকিং।
৩। ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল।
৪। যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা।
৫। চালকের অদক্ষতা।
৬। চালকের বেপরোয়া মনোভাব।
৭। চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার।
৮। মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো।
৯। রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা।
১০। ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও ট্রাফিক আইন অমান্য করা।
১১। ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি।
১২। সড়কে চাঁদাবাজি।
১৩। রাস্তার পাশে হাট-বাজার।
১৪। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো।
১৫। চালকের নিয়োগ ও কর্মঘন্টা সুনির্দিষ্ট না থাকা।
১৬। দেশব্যাপী নিরাপদ ও আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার পরিবর্তে ইজিবাইক-ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশানির্ভর গণপরিবহন ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হওয়ার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ১
১০৩৪ দিন আগে
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।২০২২ সালের ২২ জুলাই সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর এ বছরের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় ওই আসনের জন্য নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন: সিইসি
কিন্তু নির্বাচনের দিন ব্যাপক অনিয়মের কারণে নির্বাচন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের প্রার্থীরা হলেন- মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (বিকল্প ধারা), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র)।সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার রয়েছেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বাতিল: ১২৫টি কেন্দ্রের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে ইসি
১০৯৫ দিন আগে
জানুয়ারি মাসে ২১১ কোটি টাকার মাদক ও চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত জানুয়ারি মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২১১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য ও মাদক জব্দ করেছে।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিজিবি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজিবি জানায়, ১৭ লাখ ৫২ হাজার ৯৯১টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২১ দশমিক ২৩ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ৩২ হাজার ১৯৪ বোতল ফেনসিডিল, ১৬ হাজার ৪২৭ বিদেশি মদ, দুই হাজার ১০৯ ক্যান বিয়ার, দুই হাজার ১২৬ কেজি গাঁজা, ৭ দশমিক ১৩ কেজি হেরোইন, দুই হাজার ২৪৯ ইনজেকশন, ছয় হাজার ৭৬১ বোতল ইসকাফ সিরাপ ও অন্যান্য মাদক জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৯ কেজি আইস জব্দ
এছাড়া ২ দশমিক ৭ কেজি স্বর্ণ, ৫৯ দশমিক ৭ কেজি রূপা, এক লাখ ৩৮ হাজার ২২৮টি কসমেটিক্স, ১৩ হাজার ৪২৯ ইমিটেশন জুয়েলারি, আট হাজার ৪৯০ শাড়ি, এক হাজার ৬২৫টি রেডিমেড গার্মেন্টস, তিন হাজার ৬০ ঘনফুট কাঠ, সাত হাজার ৭১৪ কেজি চাপাতা, ১৩ হাজার সাতশ কেজি কয়লা, ১২টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, পাঁচটি প্রাইভেট কার/ব্যাটারিচালিত গাড়ি, ১৮টি পিকআপ, ৩০টি সিএনজি/ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং ৬৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এছাড়া তিনটি পিস্তল, দুটি ভিন্ন বন্দুক, পাঁচটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি মর্টার শেল, ১৬ রাউন্ড গুলি, ছয়টি ডেটোনেটরস ও ছয়টি আইডি উদ্ধার করা হয়েছে।
চোলচালানের অভিযোগে ২৬৭ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ২১৮ জন বাংলাদেশি ও ১৩ জন ভারতীয় নাগরিককে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ১৮ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
ঢাকা বিমানবন্দরে ৩০ স্বর্ণের বার জব্দ, বিমানের নিরাপত্তা কর্মীসহ আটক ২
১৪০২ দিন আগে
ইউপি নির্বাচন: জানুয়ারি মাসে সহিংসতায় ২৯ জনের প্রাণহানি
সারাদেশে পঞ্চম ও ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুধু জানুয়ারি মাসে ১০৯টি সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) গণমাধ্যম থেকে নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সহিংসতার ১০৯টি রিপোর্টের ওপর সংগৃহীত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো থেকে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
এমএসএফের মতে, এ বছর উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সহিংসতা আগের সব বারের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
এমএসএফ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন প্রতিপক্ষের গুলিতে এবং অন্য চারজনকে আইন প্রয়োগকারী বাহিনী গুলি করেছে।
বগুড়া জেলায় সর্বোচ্চ সাতজন, ঝিনাইদহে পাঁচজন, চাঁদপুরে তিনজন ও নরসিংদীতে দুজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ ধাপে ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
সম্প্রতি ৫ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালালে পুলিশ ২৫টি গুলি ছুঁড়ে।
এমএসএফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই সংঘর্ষের সময় নারীসহ চারজন মারা যান এবং আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
একই দিন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার একটি ভোট কেন্দ্রে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৫০ বছর বয়সী সুমেলা খাতুন মারা যান।
গত ১২ জানুয়ারি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যের নির্যাতনে ৩০ বছর বয়সী আনোয়ারুল ইসলাম নিহত হন।
এমএসএফ-এর মতে, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২ জন এবং আহতের সংখ্যা চার হাজারের বেশি। দুর্বল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, পদ ও মনোনয়ন সংক্রান্ত দুর্নীতি দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে অপব্যবহার করেছে এবং স্থানীয় নির্বাচনে এ ধরনের সহিংসতাকে বৃদ্ধি করেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রাণহানি কমাতে এবং এ ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে ক্ষমতাসীন দল, নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে রায়পুরায় নিহত ২, আহত ২০
ইউপি নির্বাচন: বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সাতকানিয়ায় ১৮ জনকে আ’লীগ থেকে বহিষ্কার
১৪০২ দিন আগে