এনজিও
নির্বাচনে ভয় পেলে রাজনীতি নয়, এনজিওতে যোগ দিন: আমীর খসরু
নির্বাচনে যারা ভয় পান, তাদের রাজনীতিতে না থেকে এনজিও বা প্রেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচনে ভয় পান, তাদের রাজনীতি করার দরকার নেই। তারা চাইলে প্রেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করতে পারেন, এনজিওতে যেতে পারেন। আপনি রাজনীতি করবেন, নির্বাচন এড়াবেন, আবার একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত করবেন—এটা চলতে পারে না।’
রবিবার (২৭ জুলাই) ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আয়োজিত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’–এর প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, যেসব দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর নির্বাচন বিলম্বিত হয়েছে, সেখানে বিভাজন, গৃহযুদ্ধ ও রাষ্ট্র হিসেবে ব্যর্থতার উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু যারা দ্রুত নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্রে ফিরে গেছে, তারা অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে উন্নতি করেছে।
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে তিনি বলেন, এই আন্দোলন নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও, একে কেউ ‘হাইজ্যাক’ করার সুযোগ পাবে না। এই আন্দোলন নতুন কিছু নয়, কারণ অধিকার আদায়ের আন্দোলন বাংলাদেশের জনগণের রক্তে রয়েছে।
পড়ুন: স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে একমত রাজনৈতিক দলগুলো: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘৫ আগস্ট শেখ হাসিনা না গেলে আমরা বাড়ি ফিরতাম না। আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকত।’
তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল দেশের ওপর জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তাদের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।
যদিও বিএনপি নেতাকর্মীরা এই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তবে বিএনপি কখনও এর কৃতিত্ব দাবি করেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই এই গণ-অভ্যুত্থান সফল হবে।
আমীর খসরু বলেন, সব বিষয়ে পূর্ণ ঐকমত্য প্রয়োজন নেই।
‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত ও বিশ্বাস থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জাতীয় স্বার্থে ঐক্য জরুরি। মতপার্থক্য ছাড়া গণতন্ত্র টিকে না। আমরা একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আসিনি।’
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার ‘পলায়নের’ পর দেশের জনগণের মনোভাবে পরিবর্তন এসেছে।
‘যারা এই পরিবর্তন বুঝতে পারছে না, তাদের কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, একটি নির্বাচিত সরকার না থাকায় অনেক পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাই সঠিকভাবে কাজ করছেন না এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষায় আছেন।
১৩০ দিন আগে
এনজিওর ভুয়া কার্যালয় খুলে প্রায় ৩০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও
বাড়ি ভাড়া নিয়ে ‘ঊষার আলো ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিওর ভুয়া কার্যালয় খুলে মাত্র দুই দিনে শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ উঠেছে, সহজ শর্তে ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে এনজিওটির নামে ওই কার্যালয় খুলে শহরের নিলু শেখের পাড়ার নাজমুল হাসানের বাড়ি ভাড়া নিয়ে ঋণ প্রদানের প্রচারণা চালাচ্ছিল।
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক নাজমুলের স্ত্রী প্রান্তি সুলাতানা বলেন, ‘তিন ব্যক্তি মাসিক ৭ হাজার টাকায় ৩ বছরের জন্য আমাদের বাড়ির নিচতলা ভাড়া নেন। চুক্তিপত্র চাইলেও সময় চেয়ে তারা কালক্ষেপণ করছিলেন। পরে ১৭ মার্চ সকালে জানতে পারি তারা পালিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: জিয়ারত করতে গিয়ে দেখলেন মা-ভাতিজার কবর ফাঁকা, দেহাবশেষ উধাও
গোয়ালন্দ বাজারে প্রায় ১১ বছর ধরে ‘জননী সঞ্চয় সমিতি’ নামক এনজিও খুলে ব্যবসা করছেন ইমরান শেখ সুমন।
তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমার সঙ্গে পরিচয় হয় ঊষার আলো ফাউন্ডেশনের শাখা ব্যবস্থাপক রুবেল হাসানের। এ সময় রুবেলের কাছে ১০ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণের কথা জানালে সঞ্চয় বাবদ ১ লাখ টাকা জমা দিতে বলে আমাকে। ১৬ মার্চ বিকালে রুবেলের হাতে ১ লাখ টাকা জমা দেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু তাই নয় কয়েকজন নারী কর্মকর্তা অফিস পরিদর্শনে আসবেন বলে ৪৯ হাজার টাকা মূল্যের ১২টি থ্রিপিস বাকিতে কেনেন। পরে ১৬ মার্চ সন্ধ্যার পর থেকে মনটা আনচান করছিল। তাই রাতে ফোন দিলে সিনিয়র কর্মকর্তাদের নিয়ে ব্যস্ত আছেন বলে ফোন রেখে দেন। পরের দিন ১৭ মার্চ ৫ লাখ টাকা ঋণসহ থ্রিপিসের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল ৯টার দিকে সংস্থাটির অফিসে গিয়ে দেখি স্থানীয় এক তরুণ ছাড়া অফিসে আর কেউ নেই। এ সময় রুবেলসহ অন্যান্যদের ফোন নাম্বারও বন্ধ পাওয়া যায়। ওই দিন অনেককে ঋণ দেওয়ার কথা, তাই বেলা বাড়ার সঙ্গে অফিসে সবাই ভিড় করতে থাকেন।’
গোয়ালন্দের চাল ব্যবসায়ী ও পৌরসভার সদ্যবিদায়ী ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুজন মোল্লা বলেন, ‘২ লাখ টাকা ঋণ পাওয়ার আশায় ২০ হাজার টাকা সঞ্চয় দিয়েছিলাম।’
‘গত সপ্তাহে ৪-৫ জন লোক বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে ঋণ প্রদানের জন্য গ্রাহক তৈরি করেন। প্রলোভনে পড়ে আমিও ১৬ মার্চ ২০ হাজার টাকা দেই। ১৭ মার্চ ২ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা থাকায় সকাল ১০টার দিকে গিয়ে দেখি অফিস তালাবদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘১৩ ও ১৬ মার্চ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় তারা। ১৮ মার্চ গোয়ালন্দ ঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: বাড়িভাড়া নিতে এসে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও
২৫৬ দিন আগে
এনজিওর মতো নয়, শাসকের ভূমিকায় দেশ চালাতে হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে চরমোনাই পীর
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন ফ্যাসিবাদের জন্ম দেবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেছেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতা অর্থবহ করতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত জেলা ও নগর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে লক্ষ্য করে ফয়জুল করীম বলেন, ‘এনজিওর মতো দেশ চালালে হবে না, সরকারপ্রধানকে অবশ্যই শাসকের ভূমিকায় কথা বলতে হবে। নরম নরম কথা বলে অপরাধীদেরকে সোজা করা যাবে না। এখনও পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের দোসররা নানা সেক্টরে তাদের অবস্থান করছে। তাদের বিরুদ্ধে বজ্রকঠিন ভূমিকা রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এনজিও স্টাইলে কথা বললে খারাপ মানুষ ভালো হবে না। ইনসাফভিত্তিক স্থানভেদে নরম ও গরম ভূমিকা পালন করুন।’
নায়েবে আমির বলেন, ‘আপনার দিকে গোটা দেশের জনগণ তাকিয়ে আছে। আমরা সবুজ বাংলা, সোনার বাংলা ও ডিজিটাল বাংলা দেখেছি, এবার ইসলামের বাংলা দেখেতে চাই, যেখানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিচারালয়ে স্বাধীনতা থাকবে। আইন অনুযায়ী বিচার হবে। কোনো স্বজনপ্রীতি বা দলীয় প্রভাব থাকবে না, নারী তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে, শ্রমিক তার সঠিক পাওনা বুঝে পাবে, কেউ অত্যাচারিত হবে না, মানুষ তার মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে। ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হলে একজন মাদকসেবী সে নিজের গরজেই ভালো হয়ে যাবে। তখন সেই পরিবেশের প্রভাবেই সে নিজে নিজে মাদক ছেড়ে দেবে।’
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘বাংলার মানুষ কারও কাছে মাথানত করতে জানে না। সীমান্তে দেখেছেন, তারা কাচি নিয়ে বিএসএফের অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। বাংলাদেশের ওপর কেউ আঙুল তুললে সেটা ভেঙে দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ইসলামি দলগুলোর ঐক্য চান জামায়াত আমির ও চরমোনাই পীর
জেলা সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম সাহেবের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী। বিশেষ বক্তার বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সহসভাপতি যথাক্রমে হাফেজ মুহাম্মদ আমিন উদ্দিন ও মুফতি হাবিবুল্লাহ হাবিব, জেলা ও নগর সেক্রেটারি যথাক্রমে জাহাঙ্গীর কবির ও সুলতান মাহমুদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি যথাক্রমে হাজী আমান উল্লাহ ও ডা. সাইফুল ইসলাম, জেলা ও নগর সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে ফারুক আহমেদ মুন্সী ও মাও. শামসুল আলম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সভাপতি মুহা. যোবায়ের হোসেন ও নগর সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি যথাক্রমে মুহাম্মদ আলী ও এইচ এম শাহীন আদনান, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাকসুদুর রহমান ও মুহা. আমির হোসেন, ওলামা মাশায়েক আইম্মা পরিষদের জেলা সভাপতি মুফতি আ. হাকিম আদ দিফায়ী নগর।
৩১৩ দিন আগে
ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ে এনজিওগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তিনি এ বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতীয় হাইকমিশনারের
বন্যা মোকাবিলায় সরকারের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে এনজিওগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
আলোচনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানের জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টার উপর জোর দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়।
এ সময় উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, রাশেদা কে চৌধুরী, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের প্রধান ফারাহ কবির, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল
বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ-ভারত উচ্চ পর্যায়ের কর্মপরিকল্পনা তৈরির প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার
৪৬৭ দিন আগে
সুপেয় পানি নিশ্চিতে এনজিও’র সঙ্গে কাজ করবে সরকার: সাবের হোসেন
পানি সম্পদ রক্ষা এবং সবার জন্য পানির অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার সংশ্লিষ্ট এনজিও’র সঙ্গে একযোগে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, সরকারি, বেসরকারি সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করে আমরা পানির সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। সবার জন্য পানি নিশ্চিতে এবং সুরক্ষিত বিশ্বের জন্য আমাদের সবাইকেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) গুলশানের সিক্স সিজন হোটেলে ‘ওয়াটার, রিভারস, অ্যান্ড ক্লাইমেট চেইঞ্জ ক্রিয়েটিং স্পেস ফর রেজিলেন্স’ প্রতিপাদ্যে অ্যাকশনএইড আয়োজিত নবম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সুপেয় পানির সংকট একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, কিন্তু এটি স্থানীয়ভাবে সমাধান করতে হবে। সরকার এজন্য পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। সমাজের সব শ্রেণির ব্যক্তিদের একযোগে কাজ করে প্রত্যেকের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পানি যাতে পেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের তরুণদের নদী রক্ষা ও পানির অধিকার নিশ্চিতে এগিয়ে আসতে হবে।’
আরও পড়ুন: সব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সেরা কাজ করব: সাবের হোসেন চৌধুরী
পানি সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন, অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারপারসন ইব্রাহিম খলিল আল-জায়াদ এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।
'জলবায়ু পরিবর্তনের রাজনীতির মোকাবিলা' শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।
আরও পড়ুন: সাবের হোসেন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর ‘জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত’ নিযুক্ত
৬৮০ দিন আগে
জাতীয় যুবনীতি-২০১৭ বাস্তবায়নে এনজিওর ভূমিকা শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত
যুবদের ক্ষমতায়ন ও জাতীয় যুবনীতি-২০১৭ বাস্তবায়নে এনজিওদের ভূমিকা শীর্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর হল রুমে রূপান্তরের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক শেখ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, যুবদের ক্ষমতায়নের মূল সূত্র হলো নিজের অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি যুবদের ক্ষমতায়ন, অংশগ্রহণ ও চেতনায় সমৃদ্ধ করে যুব অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে মূল উন্নয়ন ধারায় অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে চীনা অর্থ ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে: অর্থমন্ত্রী
সভায় বিশেষ অতিথি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, যুব পলিসি তৈরি ও পাঠ্য পুস্তুকে নতুন কার্যক্রম তৈরি করার সময় যুবদের সম্পৃক্ত করতে হবে। এতে করে তাদের শেখার আগ্রত বিকশিত হবে।
তিনি আরও বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে প্রান্তিক যুবারা অনেক পিছিয়ে আছে। যুবদের বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যম তৈরি করতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম বলেন, তরুণদের বেশি বেশি সামাজিক কাজে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে হবে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক প্রিয়সিন্ধু তালুকদার বলেন, আইসিটি, সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর একত্রে কাজ করলে যুবদের চাকরির ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি হবে যাতে যুবরা ক্ষমতায়িত হবে।
আরও উপস্থিত ছিলেন- এনজিও বিষয়ক পরিচালক তপন কুমার বিশ্বাস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের হেড অব কো-অপারেশন করিন হেনচোজ পিগনানি, রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে: ধর্মমন্ত্রী
মির্জা আব্বাস ও এ্যানীর জামিন আবেদন শুনানির নির্দেশ
৬৮৩ দিন আগে
এনজিওর ঋণের চাপে রাবি কর্মচারীর আত্মহত্যার অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক কর্মচারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারেরর দাবি এনজিওর ঋণের চাপ সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পরিবারের লোকজন নিজ বাড়ির বাথরুম থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা: প্রেমিকের মৃত্যু, প্রেমিকা হাসপাতালে
নিহত রাজন কুমারের বাড়ি নগরীর রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুর বাকির মোড় এলাকায়। তার বাবার নাম অসিত কুমার। রাজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সুইপার পদের চাকরি করতেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে কর্মরত ছিলেন।
রাজনের স্ত্রী রাখি রানী জানান, মানব সেবা উন্নয়ন নামে একটি এনজিও থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেন। এর বিপরীতে মাসে ১০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হয়। আরও সাতটি কিস্তি বাকি আছে। সোমবার কিস্তি দেওয়ার দিন ছিল। কিন্তু তার কাছে কিস্তি দেওয়ার কোনো টাকা ছিল না।
তিনি আরও জানান, আইডি বাগানপাড়া এলাকার একরাম আলীর ছেলে দাদন ব্যবসায়ী সাদির কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নেন রাজন। সুদ ও আসল মিলে তাকে ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এরপর সাদি আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এর মধ্যে ৩০ হাজার টাকাও দেন। ২০ হাজার টাকার জন্য সাদি ও তার ভাই রকি চাপ দিচ্ছিলেন। রবিবার রাতে ফোন করে আজকের মধ্যে ২০ হাজার টাকা না দিলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন সাদি। এ কারণে রাজন আত্মহত্যা করে বলে দাবি করেন তার স্ত্রী রাখি।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, রাজন বাড়ি করার জন্য সুদের উপর একটি এনজিওসহ কয়েকজনের কাছ থেকে ৫-৬ লাখ টাকা ঋণ নেন। এর মধ্যে কিছু টাকা পরিশোধ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তবে বাকি টাকার জন্য পাওনাদাররা চাপ দিচ্ছিল। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ মৃত্যুর পেছনে আর কোনো কারণ আছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি তিশা, আত্মহত্যাচেষ্টার গুঞ্জন
বিয়ের ভয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইতালিয় কিশোরীর আত্মহত্যা
৭৩১ দিন আগে
যশোরে ট্রাকচাপায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত
যশোরের অভয়নগরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে গোপাল চদ্র ভক্ত (৪৬) নামে এক এনজিও কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
রবিবার(১৫ অক্টোবর) রাত নয়টার দিকে যশোরের অভয়নগর উপজেলার যশোর-খুলনা মহাসড়কের ধোপাদি মোড় সংলগ্ন নওয়াপাড়া মহাশ্মশানের সামনে এ দুর্ঘনা ঘটে।
নিহত গোপাল চদ্র ভক্ত যশোরের চুড়ামনকাঠি এলাকার নিমাই চদ্র ভক্তের ছেলে। চাকুরির সুবাদে তিনি অভয়নগরের নওয়াপাড়া গরুহাটখোলা এলাকায় বসবাস করতেন।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় এলজিইডি কর্মকর্তা নিহত, আহত ৪
এলাকাবাসীরা জানান, রবেবার রাত ৯টার সময় এনজিও আশার চেঙ্গুটিয়া শাখার সহকারী ম্যানেজার গোপাল চদ্র ভক্ত মোটরসাইকেলে নওয়াপাড়ার বাসায় ফেরার পথে তাকে পিছন থেকে চাপা দেয়।
নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হামিদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, আহত ২
৭৮১ দিন আগে
খুলনায় ট্রাকচাপায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত
খুলনার রূপসা উপজেলায় কয়লাবোঝাই ট্রাকের চাপায় এক এনজিও কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আলাইপুর ছোট ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত খন্দকার ফিরোজ আহমেদ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের খন্দকার মফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি রূপসা উপজেলায় আরআরএফ নামে একটি এনজিও এর বিজনেস ডেভলপমেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চলতি মাসে তিনি রূপসা শাখায় যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ভ্রমণের পূর্ব প্রস্তুতি এবং দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু সতর্কতা
রূপসা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তারেক রহমান জানান, অফিসে যাওয়ার পথে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফিরোজ আলাইপুর ছোট ব্রিজের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা কয়লাবোঝাই একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
এ ঘটনায় ট্রাকের চালক পালিয়ে গেলেও ট্রাক ও এর সহকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান এসআই।
১৩১৫ দিন আগে
শার্শায় ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেট আটক
যশোরের শার্শায় এক ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেটকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার উলাশি বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করে শার্শা থানা পুলিশ।
আটক ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়দানকারী সুরাইয়া আক্তার মিষ্টি (২০) সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের চারা বটতলার পুটনি গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আটক
উলাশী বাজার কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন পিপুল জানান, সুরাইয়া বাজারে এসে নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে দোকান পরিদর্শন শুরু করেন। তার আচরণ ও কথাবার্তায় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে দোকান মালিকদের একজন শার্শা থানা পুলিশকে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবহিত করেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় থানার একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরাইয়াকে আটক করে। তার কাছ থেকে একটি ডায়েরি, একটি নোটবুক ও একটি এনজিওর দেয়া পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়েছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, এ ব্যাপারে শার্শা থানায় একটি মামলা হয়েছে। আজ বুধবার তাকে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে মাদক জব্দ, ‘ভুয়া পুলিশ’ আটক
১৩৭৪ দিন আগে