এনজিও
ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ে এনজিওগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তিনি এ বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতীয় হাইকমিশনারের
বন্যা মোকাবিলায় সরকারের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে এনজিওগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
আলোচনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানের জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টার উপর জোর দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়।
এ সময় উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, রাশেদা কে চৌধুরী, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের প্রধান ফারাহ কবির, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল
বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ-ভারত উচ্চ পর্যায়ের কর্মপরিকল্পনা তৈরির প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার
২ মাস আগে
সুপেয় পানি নিশ্চিতে এনজিও’র সঙ্গে কাজ করবে সরকার: সাবের হোসেন
পানি সম্পদ রক্ষা এবং সবার জন্য পানির অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার সংশ্লিষ্ট এনজিও’র সঙ্গে একযোগে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, সরকারি, বেসরকারি সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করে আমরা পানির সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। সবার জন্য পানি নিশ্চিতে এবং সুরক্ষিত বিশ্বের জন্য আমাদের সবাইকেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) গুলশানের সিক্স সিজন হোটেলে ‘ওয়াটার, রিভারস, অ্যান্ড ক্লাইমেট চেইঞ্জ ক্রিয়েটিং স্পেস ফর রেজিলেন্স’ প্রতিপাদ্যে অ্যাকশনএইড আয়োজিত নবম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সুপেয় পানির সংকট একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, কিন্তু এটি স্থানীয়ভাবে সমাধান করতে হবে। সরকার এজন্য পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। সমাজের সব শ্রেণির ব্যক্তিদের একযোগে কাজ করে প্রত্যেকের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পানি যাতে পেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের তরুণদের নদী রক্ষা ও পানির অধিকার নিশ্চিতে এগিয়ে আসতে হবে।’
আরও পড়ুন: সব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সেরা কাজ করব: সাবের হোসেন চৌধুরী
পানি সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন, অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারপারসন ইব্রাহিম খলিল আল-জায়াদ এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।
'জলবায়ু পরিবর্তনের রাজনীতির মোকাবিলা' শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।
আরও পড়ুন: সাবের হোসেন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর ‘জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত’ নিযুক্ত
৯ মাস আগে
জাতীয় যুবনীতি-২০১৭ বাস্তবায়নে এনজিওর ভূমিকা শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত
যুবদের ক্ষমতায়ন ও জাতীয় যুবনীতি-২০১৭ বাস্তবায়নে এনজিওদের ভূমিকা শীর্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর হল রুমে রূপান্তরের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক শেখ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, যুবদের ক্ষমতায়নের মূল সূত্র হলো নিজের অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি যুবদের ক্ষমতায়ন, অংশগ্রহণ ও চেতনায় সমৃদ্ধ করে যুব অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে মূল উন্নয়ন ধারায় অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে চীনা অর্থ ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে: অর্থমন্ত্রী
সভায় বিশেষ অতিথি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, যুব পলিসি তৈরি ও পাঠ্য পুস্তুকে নতুন কার্যক্রম তৈরি করার সময় যুবদের সম্পৃক্ত করতে হবে। এতে করে তাদের শেখার আগ্রত বিকশিত হবে।
তিনি আরও বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে প্রান্তিক যুবারা অনেক পিছিয়ে আছে। যুবদের বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যম তৈরি করতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম বলেন, তরুণদের বেশি বেশি সামাজিক কাজে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে হবে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক প্রিয়সিন্ধু তালুকদার বলেন, আইসিটি, সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর একত্রে কাজ করলে যুবদের চাকরির ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি হবে যাতে যুবরা ক্ষমতায়িত হবে।
আরও উপস্থিত ছিলেন- এনজিও বিষয়ক পরিচালক তপন কুমার বিশ্বাস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের হেড অব কো-অপারেশন করিন হেনচোজ পিগনানি, রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে: ধর্মমন্ত্রী
মির্জা আব্বাস ও এ্যানীর জামিন আবেদন শুনানির নির্দেশ
১০ মাস আগে
এনজিওর ঋণের চাপে রাবি কর্মচারীর আত্মহত্যার অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক কর্মচারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারেরর দাবি এনজিওর ঋণের চাপ সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পরিবারের লোকজন নিজ বাড়ির বাথরুম থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা: প্রেমিকের মৃত্যু, প্রেমিকা হাসপাতালে
নিহত রাজন কুমারের বাড়ি নগরীর রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুর বাকির মোড় এলাকায়। তার বাবার নাম অসিত কুমার। রাজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সুইপার পদের চাকরি করতেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে কর্মরত ছিলেন।
রাজনের স্ত্রী রাখি রানী জানান, মানব সেবা উন্নয়ন নামে একটি এনজিও থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেন। এর বিপরীতে মাসে ১০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হয়। আরও সাতটি কিস্তি বাকি আছে। সোমবার কিস্তি দেওয়ার দিন ছিল। কিন্তু তার কাছে কিস্তি দেওয়ার কোনো টাকা ছিল না।
তিনি আরও জানান, আইডি বাগানপাড়া এলাকার একরাম আলীর ছেলে দাদন ব্যবসায়ী সাদির কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নেন রাজন। সুদ ও আসল মিলে তাকে ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এরপর সাদি আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এর মধ্যে ৩০ হাজার টাকাও দেন। ২০ হাজার টাকার জন্য সাদি ও তার ভাই রকি চাপ দিচ্ছিলেন। রবিবার রাতে ফোন করে আজকের মধ্যে ২০ হাজার টাকা না দিলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন সাদি। এ কারণে রাজন আত্মহত্যা করে বলে দাবি করেন তার স্ত্রী রাখি।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, রাজন বাড়ি করার জন্য সুদের উপর একটি এনজিওসহ কয়েকজনের কাছ থেকে ৫-৬ লাখ টাকা ঋণ নেন। এর মধ্যে কিছু টাকা পরিশোধ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তবে বাকি টাকার জন্য পাওনাদাররা চাপ দিচ্ছিল। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ মৃত্যুর পেছনে আর কোনো কারণ আছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি তিশা, আত্মহত্যাচেষ্টার গুঞ্জন
বিয়ের ভয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইতালিয় কিশোরীর আত্মহত্যা
১১ মাস আগে
যশোরে ট্রাকচাপায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত
যশোরের অভয়নগরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে গোপাল চদ্র ভক্ত (৪৬) নামে এক এনজিও কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
রবিবার(১৫ অক্টোবর) রাত নয়টার দিকে যশোরের অভয়নগর উপজেলার যশোর-খুলনা মহাসড়কের ধোপাদি মোড় সংলগ্ন নওয়াপাড়া মহাশ্মশানের সামনে এ দুর্ঘনা ঘটে।
নিহত গোপাল চদ্র ভক্ত যশোরের চুড়ামনকাঠি এলাকার নিমাই চদ্র ভক্তের ছেলে। চাকুরির সুবাদে তিনি অভয়নগরের নওয়াপাড়া গরুহাটখোলা এলাকায় বসবাস করতেন।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় এলজিইডি কর্মকর্তা নিহত, আহত ৪
এলাকাবাসীরা জানান, রবেবার রাত ৯টার সময় এনজিও আশার চেঙ্গুটিয়া শাখার সহকারী ম্যানেজার গোপাল চদ্র ভক্ত মোটরসাইকেলে নওয়াপাড়ার বাসায় ফেরার পথে তাকে পিছন থেকে চাপা দেয়।
নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হামিদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, আহত ২
১ বছর আগে
খুলনায় ট্রাকচাপায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত
খুলনার রূপসা উপজেলায় কয়লাবোঝাই ট্রাকের চাপায় এক এনজিও কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আলাইপুর ছোট ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত খন্দকার ফিরোজ আহমেদ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের খন্দকার মফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি রূপসা উপজেলায় আরআরএফ নামে একটি এনজিও এর বিজনেস ডেভলপমেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চলতি মাসে তিনি রূপসা শাখায় যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ভ্রমণের পূর্ব প্রস্তুতি এবং দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু সতর্কতা
রূপসা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তারেক রহমান জানান, অফিসে যাওয়ার পথে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফিরোজ আলাইপুর ছোট ব্রিজের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা কয়লাবোঝাই একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
এ ঘটনায় ট্রাকের চালক পালিয়ে গেলেও ট্রাক ও এর সহকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান এসআই।
২ বছর আগে
শার্শায় ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেট আটক
যশোরের শার্শায় এক ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেটকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার উলাশি বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করে শার্শা থানা পুলিশ।
আটক ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়দানকারী সুরাইয়া আক্তার মিষ্টি (২০) সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের চারা বটতলার পুটনি গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আটক
উলাশী বাজার কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন পিপুল জানান, সুরাইয়া বাজারে এসে নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে দোকান পরিদর্শন শুরু করেন। তার আচরণ ও কথাবার্তায় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে দোকান মালিকদের একজন শার্শা থানা পুলিশকে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবহিত করেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় থানার একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরাইয়াকে আটক করে। তার কাছ থেকে একটি ডায়েরি, একটি নোটবুক ও একটি এনজিওর দেয়া পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়েছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, এ ব্যাপারে শার্শা থানায় একটি মামলা হয়েছে। আজ বুধবার তাকে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে মাদক জব্দ, ‘ভুয়া পুলিশ’ আটক
২ বছর আগে
আখাউড়ায় গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও ভুয়া এনজিও
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ঋণ দেয়ার নামে প্রতারণা করে কয়েক শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে‘গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্র’নামে একটি এনজিও উধাও হয়ে গেছে। ঋণ গ্রহীতা গ্রাহকরা সোমবার সকালে ঋণ নিতে এসে দেখেন অফিসে তালা ঝুলানো। পরে ভুয়া এনজিও’র খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত ঋণ গ্রহীতারা থানায় অভিযোগ জানান।
ভুক্তভোগীরা জানায়, প্রায় এক মাস আগে ‘গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্র’এনজিও সংস্থার কয়েকজন মাঠ কর্মী ঋণ দেয়ার নামে পৌরশহরসহ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে প্রচারণা করে। তারা আগ্রহী গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম সঞ্চয় বাবদ ১০, ২০, ৫০ ও ৮০ হাজার টাকা নেয়। সোমবার পৌরশহরের মসজিদ পাড়ার একটি তিনতলা ভবনে অফিস উদ্বোধন করে ঋণ দেয়ার দিন ধার্য করেন। সকালে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা ঋণগ্রহীতারা অফিসে এসে দেখেন তলাবদ্ধ এবং পালিয়ে গেছে ওই এনজিওর কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ভিক্ষুকের টাকা আত্মসাৎ, চট্টগ্রামে কথিত এনজিও কর্মকর্তা আটক
উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের কৃষক শরীফ মিয়ার স্ত্রী শরীফা বেগম জানান, এক লাখ টাকা ঋণ দেয়ার পাশাপাশি স্বামীকে কর্মসংস্থান করে দেয়ার অজুহাত দেখিয়ে সঞ্চয় বাবদ তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়। সোমবার ঋণ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা ঋণ নিতে এসে দেখেন অফিস ঘরে তালাবন্ধ। কর্মীদের মোবাইল ফোনও বন্ধ করে রেখেছেন।
উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের বীরচন্দ্র পুর গ্রামের কৃষক সাদেক মিয়া জানান, তারা দুই লাখ টাকা ঋণ দেয়ার কথা বলে গত দুই দিন আগে আমার কাছ থেকে একটি বইয়ের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা নেয়। সকালে ঋণ নিতে এসে দেখি অফিসে তালা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর পৌরশহরের মসজিদ পাড়ায় তিনতলা ভবনের তৃতীয় তলায় অফিস ভাড়া নিয়ে ‘গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্র’ নামের একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান প্রতারণা ব্যবসা শুরু করে।
ভবনের মালিক দুবাই প্রবাসী আলেক মিয়া। তার স্ত্রী সেতু আক্তার জানায়, চলতি মাসের ৪ তারিখ ভবনের তিন তলার একটি কক্ষ মাসিক ৬ হাজার টাকায় তারা ভাড়া নেয়। নতুন বছরের ১ জানুয়ারি অফিসটি উদ্বোধন করে আমাদের ভাড়া পরিশোধ করার কথা। আমরা বুঝতে পারিনি তারা এতো বড় প্রতারক।
আরও পড়ুন: গ্রাহকের ৪ কোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও পরিচালক
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার জানান, এ ধরনের এনজিও প্রতিষ্ঠানের নাম সরকারি তালিকায় নেই। অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে মানুষের সচেতন হওয়া উচিত।
২ বছর আগে
নির্যাতনে হত্যা: মিয়ানমারে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
জুলাই মাসে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী পরিচালিত বেসামরিক লোকদের উপর ধারাবাহিক গণহত্যায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে বিবিসির এক অনুসন্ধানে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন সৈন্যরা (যাদের মধ্যে অনেকের বয়স মাত্র ১৭) গ্রামবাসীদের জড়ো করে তাদের মধ্য থেকে পুরুষদের আলাদা করে হত্যা করেছে।
ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ছবিতে দেখা গেছে, নিহতদের বেশিরভাগকে প্রথমে নির্যাতন করা হয় এবং পরে অগভীর কবরে মাটি চাপা দেয়া হয়।
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের সাগাইং জেলায় বিরোধীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কানি শহরাঞ্চলে জুলাই মাসে চারটি পৃথক ঘটনায় এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস জাপানের
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির নেতৃত্বে গঠিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ফেব্রুয়ারিতে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের প্রতিরোধের মুখে পড়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী ।
বিবিসি কানির অন্তত ১১ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলেছে এবং তাদের অ্যাকাউন্টের সাথে মোবাইল ফোনের ফুটেজ ও দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করা যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি এনজিওর মিয়ানমার উইটনেসের সংগৃহীত ফটোগ্রাফের সাথে তুলনা করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
২ বছর আগে
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে এখনও কোনো অগ্রগতি হয়নি। কক্সবাজারের পরিবেশ ও বনজ সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে নেদারল্যান্ডসের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত অ্যান জেরার্ড ভ্যান লিউয়েন দেখা করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা আমাদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন: খাদ্য অপচয় বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি শরণার্থী ও এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন লোকের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের সকলেই মনে করেন যে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান মিয়ানমারই দিতে পারে।
শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে নেদারল্যান্ডসের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেদারল্যান্ডসের মতো ভূমি পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিকাশের অবস্থানের কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ডেল্টা প্ল্যান ২০২১ প্রণয়নে সহযোগিতার জন্য নেদারল্যান্ডকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় অপরাধীদের খুঁজে বের করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি তার নেদারল্যান্ডস সফরের কথাও স্মরণ করেন এবং বলেন যে,কৃষি সামগ্রী উৎপাদন ও সংরক্ষণের জন্য গ্রিন হাউস ব্যবস্থা দেখে তিনি অভিভূত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি কৃষিভিত্তিক দেশ এবং আমরা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি।’
৩ বছর আগে