রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক কর্মচারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারেরর দাবি এনজিওর ঋণের চাপ সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পরিবারের লোকজন নিজ বাড়ির বাথরুম থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা: প্রেমিকের মৃত্যু, প্রেমিকা হাসপাতালে
নিহত রাজন কুমারের বাড়ি নগরীর রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুর বাকির মোড় এলাকায়। তার বাবার নাম অসিত কুমার। রাজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সুইপার পদের চাকরি করতেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে কর্মরত ছিলেন।
রাজনের স্ত্রী রাখি রানী জানান, মানব সেবা উন্নয়ন নামে একটি এনজিও থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেন। এর বিপরীতে মাসে ১০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হয়। আরও সাতটি কিস্তি বাকি আছে। সোমবার কিস্তি দেওয়ার দিন ছিল। কিন্তু তার কাছে কিস্তি দেওয়ার কোনো টাকা ছিল না।
তিনি আরও জানান, আইডি বাগানপাড়া এলাকার একরাম আলীর ছেলে দাদন ব্যবসায়ী সাদির কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নেন রাজন। সুদ ও আসল মিলে তাকে ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এরপর সাদি আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এর মধ্যে ৩০ হাজার টাকাও দেন। ২০ হাজার টাকার জন্য সাদি ও তার ভাই রকি চাপ দিচ্ছিলেন। রবিবার রাতে ফোন করে আজকের মধ্যে ২০ হাজার টাকা না দিলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন সাদি। এ কারণে রাজন আত্মহত্যা করে বলে দাবি করেন তার স্ত্রী রাখি।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, রাজন বাড়ি করার জন্য সুদের উপর একটি এনজিওসহ কয়েকজনের কাছ থেকে ৫-৬ লাখ টাকা ঋণ নেন। এর মধ্যে কিছু টাকা পরিশোধ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তবে বাকি টাকার জন্য পাওনাদাররা চাপ দিচ্ছিল। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ মৃত্যুর পেছনে আর কোনো কারণ আছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।