রবি
রবির কলড্রপের হার দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম: সিইও
২০২২ সালের অক্টোবরে রবি আজিয়াটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাজীব শেঠি। এর আগে তিনি মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটর ওরেডুর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি এয়ারটেল আফ্রিকার প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ভোডাফোন, এইচপি, হাচিসন টেলিকম ও এশিয়ান পেইন্টসের মতো বিখ্যাত কোম্পানিগুলোতেও নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কেটিং, ফাইন্যান্স ও অপারেশনে এমবিএ করা শেঠির পরিচয় নতুন নয়। এর আগে তিনি গ্রামীণফোনের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউএনবির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে রবির প্রবৃদ্ধি, বাংলাদেশের টেলিকম খাতে তার অভিজ্ঞতা এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে কথা বলেন শেঠি।
ইউএনবি: ২০২৩ সালে রবির আয় ১৬ শতাংশ বেড়েছে। মুনাফাও বেড়েছে ৭৪ শতাংশ। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন কি?
রাজীব শেঠি: রেকর্ড গড়া জরুরি নয়। ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য প্রতি বছর নিজস্ব রাজস্ব রেকর্ড ভাঙা সাধারণ। তবে ২০২৩ সালে রবির ব্যবসা সম্প্রসারণের হার চোখে পড়ার মতো। প্রতিষ্ঠানটির ২৭ বছরের ইতিহাসে গত বছর সর্বোচ্চ রাজস্ব ও মুনাফা প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালে রবির প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের অন্য সব টেলিকম কোম্পানিকে ছাড়িয়ে গেছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবির প্রবৃদ্ধি ছিল অতুলনীয়।
ইউএনবি: এই সাফল্যের পেছনে কোন বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে আপনি মনে করেন?
রাজীব শেঠি: এটা নিরন্তর প্রচেষ্টার ফল। আমরা আমাদের নেটওয়ার্ক উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছি। আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, বর্তমানে ভয়েস কল ও ইন্টারনেট ব্যবহার উভয়ের জন্যই রবির উন্নত নেটওয়ার্ক রয়েছে। এটি আমাদের সাফল্যের একটি মূল কারণ। আমরা আমাদের ইন্টারনেট ও মিনিট প্যাকেজগুলো ব্যবহাকারীবান্ধব ও সহজ করেছি। আমাদের গ্রাহকদের চাহিদাগুলো পূরণ করে এমন প্যাকেজগুলো সরবরাহ করার চেষ্টা করেছি। আমাদের ব্র্যান্ডিং প্রচেষ্টাও সফল হয়েছে। আমরা 'পারবে তুমিও' নামে একটি নতুন ব্র্যান্ডিং ক্যাম্পেইন চালু করেছি।
ইতিবাচক ব্যবসায়িক ফলাফল এই সমস্ত প্রচেষ্টার চূড়ান্ত পরিণতি।
ইউএনবি: ১৯৯৭ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করা সত্ত্বেও রবি কেন তার প্রতিযোগীদের মতো একই পর্যায়ে মুনাফা অর্জন করতে পারছে না?
আরও পড়ুন: অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবে ইভ্যালি: সিইও রাসেল
রাজীব শেঠি: এখানে একাধিক ফ্যাক্টর কাজ করে। সংখ্যা ও গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর বিষয় এখানে জড়িত। গ্রাহক সংখ্যা যত বেশি, রাজস্ব ও মুনাফা তত বেশি। গ্রাহকের সংখ্যা বেশি হলে গ্রাহকপ্রতি পরিচালন ব্যয় কমে যায়। টেলিকম খাতের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায়, ছোট অপারেটরদের পক্ষে মুনাফা বাড়ানো চ্যালেঞ্জিং।
বিশ্বব্যাপী, এই ছোট সংস্থাগুলো রক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে এ বিষয় উত্থাপন করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটা শুধু কোনো একক অপারেটরের লাভ-লোকসানের বিষয় নয়। বাজারে কোনো প্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া আধিপত্য থাকলে গ্রাহকরাই লোকসানে পড়েন।
ইউএনবি: বাংলাদেশের টেলিকম সেক্টরের অভিজ্ঞতা আপনার আছে। এই খাতের নিয়মকানুন, নীতিমালা ও অন্যান্য বিধিবিধান সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
রাজীব শেঠি: এই প্রশ্ন বিভিন্ন উপায়ে করা যেতে পারে। একটি দৃষ্টিকোণ হলো, জনসংখ্যার অধিক ঘনত্বের কারণে বিনিয়োগের জন্য এই দেশের টেলিকম খাত আকর্ষণীয়, যা টেলিকম অবকাঠামো স্থাপনের জন্য সুবিধাজনক। জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ তরুণ এবং নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনে তারা আগ্রহী। অনেক বাড়িতেই ব্রডব্যান্ড সংযোগ ছাড়াই টেলিকম খাতের জন্য বেশ সুযোগ করে দেওয়া হয়। তবে এই খাত অত্যন্ত উচ্চ করের বোঝায় জর্জরিত। ১০০ টাকা আয়ের বিপরীতে ৫৬ টাকা যায় সরকারের হাতে, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় দ্বিগুণ। বিভিন্ন স্তরে টেলিকম পরিষেবা দেওয়ার জন্য সমন্বিত লাইসেন্সের অনুপস্থিতির কারণে কোনো সংস্থা স্বাধীনভাবে সব পরিষেবা সরবরাহ করতে পারে না এবং অবশ্যই টাওয়ার কোম্পানির উপর নির্ভর করতে হবে। এই নির্ভরশীলতা শুধু ব্যয়ই বাড়ায় না বরং পরিষেবার মানেও প্রভাব ফেলে।
ইউএনবি: বাংলাদেশে বসবাসরত একজন ভারতীয় হিসেবে আপনি দুই দেশের নেটওয়ার্কের মানের তুলনা কীভাবে করবেন?
রাজীব শেঠি: আসলে মানের উপর তুলনার নির্ভর করে। তবে এটুকু বলতে পারি, ঢাকায় আমি যে নেটওয়ার্কের যে মান অনুভব করি তা দিল্লির নেটওয়াকের মানকে ছাড়িয়ে গেছে।
ইউএনবি: বাংলাদেশে গ্রাহকদের কাছ থেকে সেবার মান নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে বাড়িতে নেটওয়ার্ক কভারেজের অভাব ও কল ড্রপ। এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?
রাজীব শেঠি: মানুষ যখন কোনো পরিষেবা নিয়ে অসন্তুষ্ট হয় তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের অভিযোগগুলো প্রকাশ করে এটি খুবই সাধারণ, যখন তারা সন্তুষ্ট থাকে এর ঠিক বিপরীত হয়। প্রতিদিন করা লাখ লাখ কল দেওয়া, ত্রুটিপূর্ণ রেডিও তরঙ্গের কারণে কয়েকটি কল ড্রপ অনিবার্য। কলড্রপের হার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় মানের চেয়ে বেশি কি না তা মূল্যায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন রবির কলড্রপের হার ০.২, যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। যাইহোক, আমরা ক্রমাগত আমাদের সেবা উন্নত করার চেষ্টা করি। আমরা কক্সবাজারের উখিয়ার মতো কিছু চ্যালেঞ্জিং স্থানে টাওয়ার স্থাপনের চেষ্টা করছি, কিন্তু টাওয়ার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
ইউএনবি: ঢাকায় টাওয়ারের সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কি?
রাজীব শেঠি: অবশ্যই। আমাদের কাছে প্রায় ৬০০টি টাওয়ার স্থাপনের সরঞ্জাম রয়েছে, তবে স্থানের সীমাবদ্ধতার কারণে সেগুলো বর্তমানে আমাদের গুদামে অব্যবহৃত রয়েছে। আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও টাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছি। টাওয়ার বিনিময়ের ধারণাটি আশাব্যঞ্জক বলে মনে হচ্ছে এবং আমরা সেই সম্ভাবনা খুঁজছি।
ইউএনবি: বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়াতে কী কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে?
রাজীব শেঠি: বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ তাদের স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য, স্মার্টফোনগুলোকে আরও সাশ্রয়ী করা বা সামথ্যের মধ্যে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; বর্তমানে এ দেশে এটি বেশ ব্যয়বহুল। স্থানীয় কোম্পানিগুলো স্মার্টফোন উৎপাদন শুরু করেছে এবং কীভাবে তাদের দাম কমানো যায় সে বিষয়ে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: এজেন্ট ব্যাংকের আউটলেটে ১৪,৩০৫ কোটি টাকা জমা: ইসলামী ব্যাংকের সিইও
ইউএনবি: সরকার উচ্চগতির ৫-জি ইন্টারনেট পরিষেবা বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা করছে। পরিষেবা সরবরাহকারীরা কি প্রস্তুত এবং বাজারে কি ৫-জি’র চাহিদা রয়েছে?
রাজীব শেঠি: আমরা সার্ভিস প্রোভাইডাররা ৫জি-র জন্য তৈরি। তবে বাজারের প্রস্তুতি আলাদা বিষয়। তবে ৫-জি গড় ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে না, কারণ বর্তমান ইন্টারনেটে মুভি দেখার অভিজ্ঞতার মতোই হবে। ৫-জির আসল প্রয়োজনীয়তা শিল্প ও সেবা খাতে। এই খাতগুলোতে অটোমেশনের পরিমাণ মূল্যায়ন করা দরকার।
ইউএনবি: সম্প্রতি অ্যাক্সেনটেক ও আর-ভেঞ্চারস নামে রবির দুটি সাবসিডিয়ারি ফার্ম প্রতিষ্ঠা কারণ কী?
রাজীব শেঠি: এই সহায়ক সংস্থাগুলোর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ব্যবসায়িক সংস্থাগুলোতে ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করা। বর্তমানে, এই খাত থেকে আয় ন্যূনতম, তবে ভবিষ্যতে পরিষেবাগুলো প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং একজন নতুন সিইও নিয়োগ করা হয়েছে। এটি লক্ষণীয় যে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এরকম ব্যবসায়িক রাজস্ব উল্লেখযোগ্য বেড়েছে।
ইউএনবি: রবি কি পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত শেয়ার ইস্যু করার কথা ভাবছে?
রাজীব শেঠি: এটা পরিচালনা পর্ষদের আওতাভুক্ত। তবে আমার জানামতে আপাতত বিষয়টি বিবেচনায় আনা হচ্ছে না।
ইউএনবি: বাংলাদেশে বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা সম্পর্কে কোন কোন বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করবেন?
রাজীব শেঠি: বিনিয়োগকারীরা একটি স্থিতিশীল নীতিভিত্তিক পরিবেশ পছন্দ করে কারণ এটি কৌশলগত পরিকল্পনাকে সহজতর করে। বিনিয়োগ সম্পর্কিত সরকারি নীতিতে আকস্মিক পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। তৃতীয় পক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার উপস্থিতি ব্যবসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এটি সাধারণত আদালতের মাধ্যমে করা হয়। বিনিয়োগের জন্য মৌলিক প্রয়োজন নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা। টেলিকম খাতে বিনিয়োগের জন্য যদি একটি দেশ নির্বাচন করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ হবে প্রধান পছন্দ। দেশটিতে বিনিয়োগের জন্য অসংখ্য সুবিধা রয়েছে।
ইউএনবি: দীর্ঘ সময় ধরে এখানে কাজ করার পর বাংলাদেশিদের সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?
রাজীব শেঠি: বাংলাদেশের প্রতি আমার গভীর অনুরাগ রয়েছে। এখানকার লোকেরা অবিশ্বাস্যভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং জ্ঞান অর্জন ও শেখার জন্য তাদের গভীর আগ্রহ রয়েছে। ক্রিকেটের প্রতি তাদের আবেগ প্রগাঢ়। দেশটিতে অনেক প্রতিভা রয়েছে, যা বিশ্ব এখনো আবিষ্কার করতে পারেনি। আমরা ডিজিটাল সেক্টরে প্রতিভা অনুসন্ধানে কাজ করেছি এবং আমরা যে ব্যতিক্রমী তরুণ প্রতিভা পেয়েছি তা দেখে অবাক হয়েছি। তারা আমার মতো ৪০ থেকে ৫০ বয়সী নয়, এরা ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ। তাদের দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য উপযুক্ত একটি প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন।
২০২৩ সালের জন্য রবির আর্থিক তথ্য
রবির রাজস্ব আয় হয়েছে ৯৯.৪২ বিলিয়ন এবং কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৩.২১ বিলিয়ন টাকা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত কোম্পানিটির মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৩৮০ বিলিয়ন টাকা। কোম্পানিটির গ্রাহক সংখ্যা ৫৫.৭ মিলিয়ন। এটি ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়, যার শেয়ার বাজার মূল্য ৩১.২০ টাকা এবং এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়।
রবির সংক্ষিপ্ত বিবরণ
রবিতে মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের ৬১ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ভারতের ভারতী এয়ারটেলের হাতে রয়েছে ২৮ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার, বাকি ১০ শতাংশ বাংলাদেশের সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের হাতে। ১৯৯৭ সালে টেলিকম মালয়েশিয়া এবং এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানি অব বাংলাদেশ একটেল ব্র্যান্ড নামে যৌথভাবে এই কোম্পানি চালু করে। ২০০৮ সালে এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানি তাদের শেয়ার বিক্রি করে দেয়। ২০১০ সালে কোম্পানিটির নাম একটেল থেকে রবিতে পরিবর্তন করে পুনরায় ব্র্যান্ডিং করা হয়।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যান বরখাস্ত
৯ মাস আগে
রবির ৫ কোটি ৭৬ লাখ গ্রাহকের আস্থায় কর পরবর্তী মুনাফা ১০৬ কোটি টাকা
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রবি আজিয়াটা লিমিটেডের রাজস্ব আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
অর্জিত আয়ের ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে কোম্পানিটি, যার পরিমাণ ১ হাজার ৩৬৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ফলে রবি আজিয়াটা লিমিটেড কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১০৬ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এল২৬০০ স্পেকট্রাম স্থাপনের মাধ্যমে সারাদেশে রবি'র নেটওয়ার্ক সেবা আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। ফলে রবি’র নেটওয়ার্কের প্রতি গ্রাহকের আস্থা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এ কারণে তৃতীয় প্রান্তিকে ৩৭৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। ফলে তৃতীয় প্রান্তিকে ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ মার্জিন সহ রবি'র আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন এবং এমোর্টাইজেশন (ইবিআইটিডিএ) ১ হাজার ১৮৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) শূন্য দশমিক ২০ টাকা।
আরও পড়ুন: সেলার ও উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে দারাজ সেলার সামিট-২০২৩
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এবছর তৃতীয় প্রান্তিকে ১২ লাখ নতুন গ্রাহক যুক্ত হওয়ায় রবি’র মোট গ্রাহক এখন ৫ কোটি ৭৬ লাখ যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ৩০ শতাংশ।
একইসঙ্গে এই প্রান্তিকে রবি নেটওয়ার্কে ১১ লাখ নতুন ডেটা ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছে। ফলে রবি’র মোট ডেটা ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ৪ কোটি ৪২ লাখ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, রবি নেটওয়ার্কে ১৮ লাখ নুতন ফোরজি গ্রাহক যুক্ত হওয়ায় রবি’র ফোরজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ৩ কোটি ৪২ লাখ যা মোট গ্রাহকের ৫৯ শতাংশ এবং মোট ডেটা ব্যবহারকারীর ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
এই প্রান্তিকে রবি’র ডেটা গ্রাহকরা প্রতি মাসে গড়ে ৬ দশমিক ৬৭ জিবি ডেটা ব্যবহার করেছেন এবং রবি’র মোট রিচার্জের ৪৬ শতাংশ ডিজিটালভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও এমডি নিয়োগ ওয়ালটনের
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি বলেন, দৃঢ় আর্থিক ভিত্তি, ফোরজি নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ এবং ব্যতিক্রমী উদ্ভাবনী সেবার মাধ্যমে আমরা সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছি। নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ক্রমাগত বিনিয়োগের ফলে রবি'র ওপর গ্রাহকের আস্থাও বাড়ছে। যার বড় প্রমাণ হলো এই প্রান্তিকে আমাদের সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছেন ১২ লাখ গ্রাহক।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আরও বেগবান করতে এবং ফাইভজিসহ প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের ধারায় তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের সামগ্রিক নীতিমালা ও কর আদায় প্রক্রিয়া সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবস্থাপনা এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবিষয়ে নজর দেবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এবছরের তৃতীয় প্রান্তিক ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যে তুলনা দেখানো হয় যেখানে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন,২০২৩) তুলনায় এবছরে তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) রবির আয় শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ত্রৈমাসিকের তুলনায় ডাটা আয় ৬ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, ইবিআইটিডিএ গত ত্রৈমাসিকের তুলনায় ৪ দশমিক ৮ শতাংশ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম প্রান্তিকে ২০২.০৭ কোটি টাকা মুনাফাসহ প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে ওয়ালটন
১ বছর আগে
রবি’র এলিট গ্রাহকদের জন্য ‘জাওয়ান’ এর বিশেষ প্রদর্শনী
রবি তার লয়ালিটি প্রোগ্রাম এলিট এর বিশেষ গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতার অঙ্গীকার হিসাবে বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র ‘জাওয়ান’ এর বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
রবির এলিট গ্রাহকরা বলিউড কাঁপানো ‘জাওয়ান’ সিনেমাটি ঢাকার বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে দুটি এবং মিরপুরে স্টার সিনেপ্লেক্সে একটিসহ তিনটি বিশেষ প্রদর্শনীর মাধ্যমে উপভোগ করেন। এছাড়া চট্টগ্রামে দুটি এবং রাজশাহীতেও একটি বিশেষ শো’র আয়োজন করা হয়েছে।
সুযোগটি রবি'র সকল ডায়মন্ড, প্লাটিনাম এবং নির্বাচিত এলিট গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
দক্ষিণ ভারতের পরিচালক অ্যাটলি কুমার পরিচালিত-‘জাওয়ান’সিনেমায় শাহরুখের বিপরীতে রয়েছেন দক্ষিণের তারকা নয়নতারা। অল্প কিছু দৃশ্যে রয়েছে শাহরুখের ‘পাঠান’–এর নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন। দক্ষিণি সুপারস্টার বিজয় সেতুপতি ও অতিথি চরিত্রে রয়েছেন সঞ্জয় দত্ত।
আরও পড়ুন: অনেকেই বলবেন নেত্রী সিনেমার গল্প 'জাওয়ান' থেকে নেওয়া: বর্ষা
বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে এখন‘জওয়ান’ সিনেমাটি। বিশ্বজুড়ে ৭ সেপ্টেম্বর হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ভাষায় মুক্তি পায় সিনেমাটি। প্রথমবারের মতো ভারতের কোনো সিনেমা একই দিনে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ায় উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ে শাহরুখভক্তদের মধ্যে।
রবি'র হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেট কমিউনিকেশন, শামীম উজ জামান বলেন, ‘এই ইভেন্টের লক্ষ্য আমাদের গ্রাহকদের সাথে রবি'র সম্পর্ক জোরদার করা এবং আমাদের লয়ালটি প্রোগ্রাম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। রবি আগামী দিনে আরও স্ক্রিনিং এবং এক্সক্লুসিভ ইভেন্ট হোস্ট করার পরিকল্পনা করেছে।’
রবি এলিট গ্রাহকদের জন্য সবসময় বিশেষ কিছু করার জন্য সচেষ্ট। রবি নিজেকে এমন একটি কোম্পানি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে যা গ্রাহকের জীবনে একটি নতুন অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: জাওয়ান: বাদশাহ তার ‘মুকুট’ নিয়ে ফিরল
বাংলাদেশেও আজ মুক্তি পাচ্ছে 'জাওয়ান'
১ বছর আগে
ই-সিম চালু করল রবি
স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে গ্রাহকদের জন্য ই-সিম চালু করল রবি। রবির ৪.৫জি ই-সিমের মাধ্যমে দেশের সেরা ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা।
ই-সিম ব্যবহার করে রবির সকল প্রি-পেইড এবং পোস্ট-পেইড গ্রাহকরা সরাসরি তাদের স্মার্টফোন থেকে কাঙ্ক্ষিত রবির পণ্য ও সেবাগুলো সক্রিয় করতে এবং উপভোগ করতে পারবেন।
ই-সিম চালু করতে গ্রাহকদের রবি সার্ভিস সেন্টার অথবা অনলাইনে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের জন্য আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঢাকার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি নজিরবিহীন বৈষম্যমূলক: টিআইবি
ই-সিম যেহেতু ভার্চুয়াল ধরনের তাই গ্রাহকদের সিম হারিয়ে যাওয়া নিয়ে আর দুশ্চিন্তা থাকবেনা। পাশাপাশি স্মার্টফোনে সিম কার্ড প্রবেশ করানো এবং খোলার ঝামেলা এড়াতে পারবেন গ্রাহকরা।
শুধু তাই নয়, ব্যবহারকারীরা তাদের ফোনে একাধিক ই-সিম সংরক্ষণ করতে এবং প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন। ই-সিমের কিউআর কোড হারিয়ে গেলে যতবার প্রয়োজন তা ডাউনলোড করা যাবে।
এছাড়া ই-সিম কাজ করে এমন হ্যান্ডসেট দিয়ে রবি গ্রাহকরা সর্বাধিক সুরক্ষিত এই স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন।
গ্রাহক পর্যায়ে ব্যবহারের পাশাপাশি মানুষ থেকে মেশিন এবং মেশিন থেকে মেশিনের মধ্যে সর্বোত্তম ডিজিটাল সংযোগ নিশ্চিত করার ভিত্তি স্থাপনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ই-সিম।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেবেন
মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার রবিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
তিন মোবাইল কোম্পানিকে পরিশোধ করতে হবে আড়াই হাজার কোটি টাকা
তিন মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবির কাছে পাওনা দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এছাড়া সরকার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এই টাকা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিচারকের বিরুদ্ধে অশ্লীল স্লোগান: ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রায়ে গ্রামীণফোনের এক হাজার ৪০০ কোটি, রবির ৫০০ কোটি ও বাংলালিংকের ৬৫০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধের আদেশ দেয়া হয়।
আদালতে সরকারের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বিটিআরসির পক্ষে ব্যারিস্টার রেজা-ই রাকিব ও মোবাইল কোম্পানির পক্ষে ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান শুনানি করেন।
আদালতের আদেশের বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের জন্য সরকার যে তরঙ্গ বরাদ্দ করে তার ওপর চার্জ করা হয়। এর সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত করা হয়। এই ভ্যাটযুক্ত করার কারণে তারা (তিন কোম্পানি) হাইকোর্টে এসে মামলা ফাইল করে। হাইকোর্ট তাদের রিট খারিজ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে তারা আপিলে আবেদন করা হলে আদালত শুনানি নিয়ে তাদের আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে এখন এসব প্রতিষ্ঠান থেকে এনবিআর এবং বিটিআরসি ভ্যাটসহ তরঙ্গ বরাদ্দ ফি হিসেবে পাওনা আদায় করবে।
এর আগে, ২০১২ সালে সরকার বেশি ভ্যাট-ট্যাক্স নিচ্ছে মর্মে হাইকোর্টে রিট করে তিন মোবাইল অপারেটর কোম্পানি। তবে ওই তিন কোম্পানির রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
এরপর কোম্পানিগুলো আপিল বিভাগে আবেদন করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার আপিল বিভাগও তাদের আবেদেন খারিজ করে দেয়।
আরও পড়ুন: এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের এমডির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
১ বছর আগে
রবির নতুন সিইও রাজীব শেঠি
রাজীব শেঠিকে চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। মিয়ানমারের শীর্ষ অপারেটর উরিডুতে সিইও হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পর রবিতে যোগ দিলেন তিনি। এর আগে তিনি এয়ারটেল আফ্রিকার চিফ কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সোমবার প্রতিষ্ঠানটির এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২১ সালের আগস্ট থেকে রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে দায়িত্বপালকারী এম. রিয়াজ রশীদের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। এখন থেকে চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার হিসেবে তার নিজস্ব ভূমিকা পালন করবেন রিয়াজ রশীদ।
আরও পড়ুন: ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য টাটা পাওয়ার ডিডিএল ও ব্লকনটসের মধ্যে চুক্তি
আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের যৌথ ভারপ্রাপ্ত গ্রুপ সিইও ড. হানস বিজয়াসুরিয়া এবং বিবেক সুদ বলেন, ‘আজিয়াটা গ্রুপ ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে রবি পরিবারে রাজীবকে স্বাগত জানাই। ফোরজি সেবা ও ডিজিটাল উদ্ভাবনের দিক থেকে বর্তমানে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে রবি এবং পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হওয়ার জন্য সামগ্রিকভাবে প্রস্তুত অপারেটরটি। এমন সময় রবিতে রাজীবের মতো বলিষ্ঠ ও দক্ষ নেতৃত্ব পেয়ে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনার ২৫ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছে রবি। এই মুহূর্তে রাজীবের নেতৃত্ব বাংলাদেশের বাজারে রবির প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে নতুন মাত্রা দেবে।’
দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ব্যবসায়িক লক্ষ্যে দৃঢ় থাকার জন্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিইও ও বর্তমান সিএফও এম. রিয়াজ রশীদের প্রশংসা করেন ড. বিজয়াসুরিয়া।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়ে রবি টিমকে সংঘবদ্ধ রাখতে দারুণ ভূমিকা পালন করেছেন রিয়াজ। পাশাপাশি তিনি যে পাঁচ প্রান্তিক দায়িত্ব পালন করেছেন সেই সময়টিতে রবির ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে তার অবদান অসামান্য। কোম্পানিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানকে সঠিক অবস্থানে রেখে রাজীবের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন তিনি।’
স্টার্টআপ থেকে শুরু করে সুপ্রতিষ্ঠিত দেশি-বিদেশি কোম্পানিতে কাজের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ রাজীব শেঠি; বৈচিত্র্যময় ও চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মার্কিন কোম্পানির জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই’র
রবির সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে রাজীব শেঠি বলেন, ‘বাংলাদেশের শীর্ষ ডিজিটাল কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। বছরের পর বছর ধরে উদ্ভাবনী শক্তির বদৌলতে সত্যিকার অর্থে একটি ডিজিটাল টেলকোতে রূপান্তরিত হয়েছে রবি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই উদ্ভাবনই মূল শক্তি যা রবির কাজের সংস্কৃতিতে মিশে গেছে। টিম রবির সহায়তায় আগামী দিনগুলোতে আমরা বাজারে নিজেদের অবস্থান আরো সৃদৃঢ় করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।’
তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পে কাজের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ রাজীব ভোডাফোন, এইচপি, হাচিসন টেলিকম ও এশিয়া পেইন্টসের মতো কোম্পানিতে নেতৃত্বস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। লখনৌয়ের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে মার্কেটিং, ফিন্যান্স অ্যান্ড অপারেশনস-এ এমবিএ করেছেন শেঠি।
বাংলাদেশে রাজীব টেলিনরের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটন স্মার্ট টিভিতে ব্যাপক সাড়া
২ বছর আগে
তিন অপারেটর থেকে পৌনে তিন কোটি টাকা জরিমানা আদায় বিটিআরসি’র
অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল) পরিচালনার অভিযোগে দেশের তিনটি মোবাইল ফোন অপারেটরের কাছ থেকে ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বৃহস্পতিবার বিটিআরসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রবি, গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের কাছ থেকে মোট ২ কোটি ৭৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
১২ থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে রবি ২ কোটি ১০ লাখ টাকা, গ্রামীণফোন ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং বাংলালিংক ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে।
১০ এপ্রিল, অবৈধ ভিওআইপিতে ব্যবহৃত সিম (সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল) ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট, ২০০১ এর ধারা ৬৫ এর উপ-ধারা ৫ এর অধীনে কমিশনের শুনানির পর অপারেটরদের জরিমানা দিতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ৪ মোবাইল অপারেটরকে ৭.৬৫ কোটি টাকা জরিমানা বিটিআরসির
গ্রামীণ ফোনের কল ড্রপ সবচেয়ে বেশি: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
২ বছর আগে
শুক্রবার ঢাকা ছেড়েছেন ৩৫ লাখের বেশি সিম ব্যবহারকারী
বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ৩৫ লাখেরও বেশি সিম ব্যবহারকারী ঈদুল আযহা উদযাপন করতে শুক্রবার রাজধানী ছেড়েছেন।
শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ৮ জুলাই মোট ৩৫ লাখ ৩০ হাজার ৭৩২জন সিম ব্যবহারকারী রাজধানী ছেড়েছেন।
এর মধ্যে গ্রামীণফোনের সিমের সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৩৩২। রবির ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৬১৩, বাংলালিংকের ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬০ ও টেলিটকের ১ লাখ ২২ হাজার ৩২৭ সিম এদিন ঢাকার বাইরে গেছে।
পড়ুন: বোন ও নাতনির সঙ্গে ঈদের দিন কাটাবেন খালেদা জিয়া
দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
মোবাইলের আনলিমিটেড ডাটা প্যাকেজ চালু
মোবাইলের আনলিমিটেড (মেয়াদবিহীন) ডাটা প্যাকেজ এবং নিরবচ্ছিন্ন মাসিক ইন্টারনেট প্যাকেজের উদ্বোধন করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিটিআরসি প্রধান কার্যালয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
প্রাথমিকভাবে আনলিমিটেড ডাটা প্যাকেজের মধ্যে গ্রামীণফোনে ১ হাজার ৯৯ টাকায় ১৫ জিবি ও ৪৪৯ টাকায় ৫ জিবি প্যাকেজ কিনতে পারবেন।
রবিতে ৩১৯ টাকায় ১০ জিবি, বাংলালিংকে ৩০৬ টাকায় ৫ জিবি এবং টেলিটকে ৩০৯ টাকায় ২৬ জিবি ও ১২৭ টাকায় ৬ জিবি পাওয়া যাবে।
আনলিমিটেড (মেয়াদবিহীন) ডাটা প্যাকেজের মেয়াদ হবে এক বছর।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং বিভিন্ন অপারেটরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ
টেলিটকের ইন্টারনেট ডাটার মেয়াদের সীমাবদ্ধতা থাকবে না: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
২ বছর আগে
ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই উপায় অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন বাংলালিংক গ্রাহকরা
কোনো ধরনের ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান উপায় এর মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন বাংলালিংক গ্রাহকরা।
এছাড়াও, বাংলালিংক গ্রাহকরা গুগল প্লে-স্টোর এবং অ্যাপ-স্টোর থেকে উপায় অ্যাপ ডাউনলোড করে সেলফ-রেজিস্ট্রেশন করে উপায় গ্রাহক হলে পাবেন ৫০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ-রিওয়ার্ড এবং ১ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট। পাশাপাশি, বাংলালিংক গ্রাহকরা উপায় অ্যাপের মাধ্যমে ৪৪ টাকায় ১ জিবি এবং ২৫ মিনিট টকটাইমের একটি বিশেষ প্যাক কিনলে পাবেন আরও ১ জিবি বোনাস ইন্টারনেট।
উপায় এর সর্বশেষ এই পার্টনারশিপের ফলে, দেশের প্রধান তিনটি মোবাইল ফোন অপারেটর- গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক এর গ্রাহকরা কোনো ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই উপায় অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি ‘ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেড’ এর মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্র্যান্ড উপায় এর যাত্রা শুরু হয় ১৭ মার্চ ২০২১ থেকে।
আরও পড়ুন: ফিনটেক ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড পেল ‘উপায়’
ইন্টারনেট ছাড়াই ‘উপায়’ অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন রবি গ্রাহকরা
৩ বছর আগে