বিশ্বব্যাংক
২০২৬ সাল থেকে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার চালু করবে তিতাস
আগামী ২০২৬ সাল নাগাদ স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপন করতে যাচ্ছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিসট্রিবিউশন পিএলসি। এ লক্ষ্যে এরইমধ্যে একটি প্রকল্প ব্যবস্থাপনা পরামর্শক (পিএমসি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ।
বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপনের প্রকল্পটি শুরু করতে পারবো।’
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পটিতে শিগগরই আরও একটি পিএমসি নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এরইমধ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পে ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট লিমিটেডকে (ডিটিসিএল) পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিতাস স্মার্ট প্রিপেইড মিটার প্রকল্পে অগ্রগতি সামান্য
এর আগে ২০১১ সালে প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম শুরু করে তিতাস। পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করার পর এ পর্যন্ত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী এলাকায় মোট চার লাখ ২০ হাজার প্রিপেইড মিটার বসিয়েছে তিতাস। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে এই মিটারগুলো বসানো হয়েছিল।
তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘এবারের প্রকল্পটি এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে এবং সব মিটারই স্মার্ট প্রিপেইড হবে। আগের মিটারগুলো প্রিপেইড হলেও স্মার্ট ছিল না।’
তিনি জানান, ‘প্রিপেইড ও স্মার্ট প্রিপেইড মিটারের মধ্যে পার্থক্য হলো—প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করতে ব্যবহারকারীকে নির্দিষ্ট ভেন্ডর পয়েন্টে যেতে হয়, কিন্তু স্মার্ট প্রিপেইড মিটারে স্মার্টফোনের মাধ্যমে যেকোনো স্থান থেকেই রিচার্জ করা যাবে।’
নতুন প্রকল্পের আওতায় তিতাসের আওতাধীন এলাকায় মোট সাড়ে ১৭ লাখ স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বসানো হবে বলে জানান তিনি। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ১৮ মাস আগে এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দুটি পৃথক চুক্তি সই হয়েছে বলে তিতাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ল ৩৩ শতাংশ
সরকারি তথ্য মতে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে এই ঋণ চুক্তি করেছে তিতাস।
নতুন এই প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকা দক্ষিণ ও নারায়ণগঞ্জে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। আর এডিবির অর্থায়নে স্মার্ট মিটার বসানো হবে ঢাকা উত্তর ও গাজীপুরে।
তিতাস গ্যাস বর্তমানে ২৮ লাখ ৭৮ হাজার গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে ২৮ লাখ ৫৩ হাজার আবাসিক, ১২ হাজার ৭৮টি বাণিজ্যিক, ৫ হাজার ৪২৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠান, ১ হাজার ৭৫৫টি ক্যাপটিভ পাওয়ার প্লান্ট এবং ৩৯৬টি সিএনজি স্টেশন রয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তিতাস গ্যাস দেশের মোট গ্যাস বিতরণ বাজারের ৫৫ শতাংশ দখলে রেখেছে। বাকি ৪৫ শতাংশ বিতরণ করছে অন্য পাঁচটি কোম্পানি।
২ দিন আগে
ঈদে দীর্ঘ ছুটি হলেও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতেও অর্থনীতিতে কোনো স্থবিরতা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সব উপদেষ্টা ও বেশিরভাগ সচিব ঢাকাতেই থাকবেন। যেকোন প্রয়োজনে আলোচনা হবে, দরকার হলে জুমে মিটিং করা হবে।’
এবার ঈদে দীর্ঘ ছুটি হচ্ছে অর্থনীতির কোনো স্থবিরতা দেখা দেবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘না, না, না, অর্থনীতিতে কোন স্থবিরতা আসবে না। সবকিছু সচল থাকবে। উপদেষ্টা পরিষদের বেশিরভাগ সদস্য আমরা ঢাকায় থাকব।’
‘দরকার হলে বন্ধের মধ্যে আমরা মিটিং করবো। এটা আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। আর ছুটিতে যদি যাই-ও দেশে থাকলে তো সমস্যা নেই, বিদেশে গেলে আমরা জুমের মাধ্যমে মিটিং করবো। আমি বিশ্বব্যাংকে থাকতে জুমে অনেকগুলো মিটিং করেছি। এগুলো কোনো সমস্যা হবে না। কোনো স্থবিরতা তৈরি হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আজকেও চাল আনতে বলেছি। আমরা তো খুব সজাগ। আর টিসিবির মাধ্যমে একটা পক্ষকে তো আমরা এনশিওর করছি। আজকে একটা প্রস্তাব আসছে আলু এতো অতিরিক্ত, সেটা কিভাবে দেয়া যায়। কিন্তু একটা সমস্যা আছে, বেশি দামে কিনে, স্বস্তা দামে দেওয়া ডিফিকাল্ট।’আরও পড়ুন: আমরা একশ চাপের মধ্যে আছি, খুরের ওপর দিয়ে হাঁটছি: অর্থ উপদেষ্টা
ওয়ান/ইলেভেনের সময় সাবেক তত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম একটা প্রোগ্রাম করেছিলেন ১০০ দিনের গ্যারান্টি কর্মসংস্থান। আপনারা এ ধরনের কোনো প্রকল্প নেবেন কি না? এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখি, আমরা এটা দেখবো। তবে ১০০ দিনের প্রকল্পের থেকে ভালো হবে রেগুলার প্রকল্পের মাধ্যমে লোকাল বেজ কর্মসংস্থান।’
বৈঠকের বিষয়ে তিনি জানান, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ১১টি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
২০ দিন আগে
ডিএনসিসির খালগুলোর টেকসই উন্নয়নে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন খাল খনন, পানি দূষণ রোধ এবং খালগুলোর টেকসই উন্নয়নে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে ডিএনসিসির নগরভবনে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ডিএনসিসির আওতাধীন খালগুলোর উন্নয়ন এবং খালের পানি দূষণ রোধকল্পে খালের ময়লা অপসারণ (ফিক্যাল স্ল্যাজ ম্যানেজমেন্ট) ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা হবে।
ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে সমন্বিতভাবে খালের উন্নয়নে কাজ শুরু করেছি। বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ঢাকার জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসনে এবং খালের দূষণ রোধ করে পরিবেশবান্ধব শহর গড়তে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে ডিএনসিসির শিশুপার্কে বিনা টিকিটে প্রবেশের সুযোগ
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ওয়াটার স্পেশালিস্ট ও টাস্ক টিম লিডার হার্শ গোয়েল, লিড ওয়াটার স্পেশালিস্ট ডেভিড ম্যালকম লর্ড, সিনিয়র ওয়াটার সাপ্লাই ও স্যানিটেশন স্পেশালিস্ট আরিফ আহমেদ প্রমুখ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফারুক হাসান মো. আল মাসুদ প্রমুখ।
৪৯ দিন আগে
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে আরও ৩ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে আরও তিন কোটি ডলার দেবে বিশ্ব ব্যাংক। 'এনহ্যান্সমেন্ট অ্যান্ড স্ট্রেংদেনিং অব পাওয়ার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ইন ইস্টার্ন রিজিয়ন প্রজেক্ট' এর আওতায় বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থায়ন হিসেবে ৩ কোটি ডলারের একটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ।
বৃহত্তর কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
বিশ্বব্যাংকের স্কেল-আপ ফ্যাসিলিটির (এসইউএফ) আওতায় ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল ৪৫ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলারের এই প্রকল্পের প্রাথমিক অর্থায়ন চুক্তি সই হয়। কোভিড মহামারির সময় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত প্রকল্পে পুনঃব্যবহারের জন্য মূল প্রকল্পের পরিমাণ থেকে ৫ কোটি মার্কিন ডলার বাতিল করা হয়।
৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৩০ বছর।
এই ঋণ চুক্তির সুদের হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সার্ভিস চার্জ শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। সর্বোচ্চ কমিটমেন্ট চার্জ শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।
তবে বিশ্বব্যাংক বোর্ড এ বছরের জন্য কমিটমেন্ট চার্জ মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: জরুরি সংস্কারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে ফিরতে পারে বাংলাদেশ: বিশ্ব ব্যাংক
৮৩ দিন আগে
বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতার অঙ্গীকার
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত প্রধান সংস্কার উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অবকাঠামো, জলবায়ু সহনশীলতা, সেবা প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পে সহায়তার জন্য সিককে ধন্যবাদ জানান।
সেক প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, বিশ্বব্যাংক ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নগরীতে স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং পানি ও স্যানিটেশন সেবার উন্নতির পাশাপাশি জলবায়ুর সহনশীলতা এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য তিনটি অর্থায়নে প্রায় ১২০ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে।
রবিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ৯০ কোটি ডলারের দুটি অর্থায়ন সই হয়েছে।
এর মধ্যে একটি প্রকল্প দক্ষিণে কক্সবাজার থেকে উত্তরে পঞ্চগড় পর্যন্ত অর্থনৈতিক করিডোর বরাবর জলবায়ু-সহনশীল এবং জেন্ডার-প্রতিক্রিয়াশীল অবকাঠামো নির্মাণ করে সেকেন্ডারি শহরগুলোর উন্নয়ন করবে।
অন্য অর্থায়ন, সবুজ প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করার জন্য ৫০ কোটি ডলারের উন্নয়ন নীতি ঋণ, এই মাসের মধ্যে জাতীয় কোষাগারে বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশন গঠন
১৯৭২ সাল থেকে বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন পোর্টফোলিও দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি ডলার, যা বাংলাদেশের উন্নয়ন গতিপথে বিশেষ করে দারিদ্র্য হ্রাস, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
প্রধান উপদেষ্টা জানুয়ারিতে অবসরে যাওয়া সেকের ও এবং তার পরিবারের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১১৪ দিন আগে
এডিবি-বিশ্বব্যাংক থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১১০ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ: অর্থসচিব
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৬০ কোটি ডলার এবং বিশ্বব্যাংক ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে পাওয়া ঋণের প্রতিশ্রুতির পরিমাণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মজুমদার বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থাগুলো অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের বাস্তবায়িত নীতিগুলোকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: এডিবি-ইডিসিএফের অর্থায়নে একসঙ্গে কৃষি গবেষণা করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
অর্থ সচিব বলেন, ‘আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নীতিগত পদক্ষেপগুলো ভাল ফলাফল দিয়েছে। তহবিলের ক্ষেত্রে আমাদের প্রাথমিক প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা এডিবির সঙ্গে ৬০ কোটি ডলার ঋণ নিয়ে সফলভাবে আলোচনা করেছি এবং ডিসেম্বরের মধ্যে এই তহবিল পাওয়ার আশা করছি।’
একই সময়সীমার মধ্যে ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিতে সম্মত হওয়া বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন তিনি। ‘শুরুতে, এই ঋণগুলো যথাক্রমে ৩০ কোটি ডলার এবং ২৫ কোটি ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল, তবে পরে অনুকূল আলোচনার কারণে তা দ্বিগুণ হয়।’
সরকার আইএমএফের কাছে আরও আর্থিক সহায়তা চেয়েছে উল্লেখ করে ড. মজুমদার বলেন, 'আমরা এ বছর আইএমএফের সহায়তায় অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলার চেয়েছি। ৪ ডিসেম্বর আইএমএফ’র প্রতিনিধি দল সফরের সময় আলোচনা শেষ হবে এবং আমরা আশাবাদী।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হবে ১০.১ শতাংশ: এডিবির পূর্বাভাস
অর্থ সচিব তার নীতিগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে অব্যাহত সমর্থন নিশ্চিত করতে সরকারের সক্ষমতায় আস্থা প্রকাশ করেন।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.১ শতাংশে নামাল এডিবি
১৪৮ দিন আগে
বাংলাদেশকে ক্লিন এয়ার প্রকল্পে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রজেক্টে (বিসিএপি) ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।
এ প্রকল্পে আইডিএ ক্রেডিটের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে, পাশাপাশি জাতীয় বায়ু মান নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরিচ্ছন্ন রান্নার উদ্যোগগুলোর জন্য সম্ভাব্য অনুদানও দেওয়া হবে।
রবিবার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ বিষয়ক কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেকের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
বৈঠকে পরিবেশ উপদেষ্টা 'ব্লু নেটওয়ার্ক' তৈরিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ঢাকার খালগুলো পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার আহ্বান জানান।
তিনি ক্ষয়ক্ষতি তহবিলে সহায়তার পাশাপাশি জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) বাস্তবায়নে সহায়তার সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন।
পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে সমন্বিত পদ্ধতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন রিজওয়ানা।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার উন্নত পরিবেশ নীতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে বৈশ্বিক সেরা অনুশীলনের সঙ্গে এই প্রচেষ্টার সমন্বয়ে তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে তুলতে পারিনি: উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ
আবদৌলায়ে সেক দীর্ঘমেয়াদি টেকসই লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং কৌশলগত বিনিয়োগের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছিলেন।
বৈঠকে পরিবেশ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশের টেকসই ভবিষ্যতের দিকে কাজ করার পারস্পরিক লক্ষ্য নিয়ে পরিবেশগত শাসন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় গভীর সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আলোচনা শেষ হয়।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ও মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে: উপদেষ্টা
১৯৯ দিন আগে
বাংলাদেশের সংস্কারে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক: অজয় বাঙ্গা
বাংলাদেশে আর্থিক খাত সংস্কারসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগে বিশ্বব্যাংক ৩.৫ বিলিয়ন ডলার দেবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা।
নিউইয়র্ক সময় বুধবার বিকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এ সহায়তার ঘোষণা দেন।
অধ্যাপক ইউনূসের দীর্ঘদিনের বন্ধু বাঙ্গা জানান, কমপক্ষে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার নতুন ঋণ দেওয়া হবে। আর আগে প্রতিশ্রুত দেড় বিলিয়ন ডলার নতুন করে যুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে পাকিস্তানের সমর্থন চাইলেন অধ্যাপক ইউনূস
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বিশ্বব্যাংক ডিজিটাইজেশন, তারল্য, জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ ও পরিবহন খাতে সংস্কারে সহায়তা করবে।
অজয় বাঙ্গার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত ব্যাপক সংস্কারের জন্য বিশ্বব্যাংকের সমর্থন চান অধ্যাপক ইউনূস।
বিশ্বব্যাংককে ঋণ কর্মসূচির বিষয়ে সৃজনশীল হতে বলেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, 'দেশ পুনর্গঠনের এটি একটি বড় সুযোগ।’
দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি খাতে সহযোগিতা এবং নেপাল ও ভুটানে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ কীভাবে ভারত ও বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশীদের মধ্যে ভাগাভাগি করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট।
বৈঠকে আরও ছিলেন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সোলার প্যানেল উৎপাদনে বিনিয়োগ এবং সম্পর্ক গভীর করতে আগ্রহী চীন
২০৩ দিন আগে
পাট, বস্ত্র ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিশ্বব্যাংককে বিনিয়োগের আহ্বান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াতের
পাট ও বস্ত্র এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিশ্বব্যাংককে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে এ আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্য অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব এবং দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যের অংশ। একটা সময় ছিল দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত ছিল পাট। বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার বৃদ্ধিতে এ ধারায় কিছুটা ছেদ পড়লেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশ বিপর্যয়রোধে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: অভিন্ন নদীতে পানির অধিকার ও হিস্যা নিয়ে শিগগিরই ভারতের সঙ্গে আলোচনা হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা আরও বলেন, পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব সোনালী ব্যাগ ও জুট জিও টেক্সটাইল বহুমুখী পাটপণ্য ইত্যাদি উদ্ভাবনের ফলে দেশে-বিদেশে পাটের ব্যাপক চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে উৎপাদিত পাটের ৭০ ভাগ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় একটি খাত।
এম সাখাওয়াত বলেন, আমাদের ২৫টি সরকারি পাটকল ও ২৫টি বস্ত্রকল উৎপাদন কার্যক্রম কয়েক বছর পূর্বেই বন্ধ হয়েছে। বর্তমানে মিলগুলোতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমাদের শিল্প কারখানাগুলো কৌশলগতভাবে যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক স্থানে অবস্থিত। সে কারণে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা অত্যন্ত সহজে এখানে বিনিয়োগ করতে পারে। এছাড়াও বাংলাদেশের বস্ত্র ও পোশাক শিল্প ক্রমশ উন্নতি করছে।
বিশ্ব বিখ্যাত মসলিন কাপড়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মসলিন কাপড় একসময় জগৎ বিখ্যাত ছিল। সরকার মসলিনের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে একটি প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করেছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মসলিন কাপড় তৈরির সুতা তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। শিগগিরই কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’ শুরু করতে প্রধান উপদেষ্টাকে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
উপদেষ্টা বলেন, জাহাজ নির্মাণ দেশের একটি সম্ভাবনাময় ও ক্রমবিকাশমান শিল্প। স্থানীয়ভাবে তৈরি জাহাজ রপ্তানি করার মাধ্যমেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাহাজ নির্মাণ প্রধান প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী। বিশ্বব্যাংক দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের জনগণের জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে বিশ্বব্যাংক অঙ্গীকারাবদ্ধ। দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করায় আবদৌলায়ে সেক উপদেষ্টাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
এসময় তিনি বলেন, পাট, বস্ত্র, শিপিংসহ সব সেক্টরেই নতুন নতুন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক আগামীতে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী।
বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয় এবং উপদেষ্টা চলমান প্রকল্পগুলোকে যথাসময়ে সমাপ্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিকসহ মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নতুন যাত্রা সফল করতে বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা কামনা প্রধান উপদেষ্টার
২০৩ দিন আগে
'আমাদের ওপর আস্থা রাখুন, আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত': ইউনূসকে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট
বিশ্বব্যাংক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন সংস্থাটির প্রধান বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, দুর্নীতি দূর এবং বিচার বিভাগের মতো ক্ষেত্রে মূল সংস্কার গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদক্ষেপে বৃহত্তর সমর্থনের আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। এর জবাবে মার্টিন বলেন, ‘আমাদের উপর নির্ভর করুন। আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: জাতি পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান ইউনূস
রেইজার বলেন, সরকারের সংস্কার এজেন্ডায় বিশ্বব্যাংক 'উচ্ছ্বসিত' এবং তিনি মনে করেন 'এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সফর করা গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক প্রত্যাশা আছে।’
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ব্যাংকিং, কর, শুল্ক, ভ্যাট, ডিজিটালাইজেশন, দুর্নীতি প্রতিরোধের মতো পদক্ষেপের সংস্কারে সহায়তা করতে প্রস্তুত বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তাকে স্বাগত জানিয়ে ইউনূস বলেন, দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেতে এবং নতুন করে শুরু করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের কাছ থেকে একটি বৃহত্তর ম্যান্ডেট পেয়েছে।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান বিদ্যমান ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কারের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন থেকেই শুরু করতে চাই।এখন সংস্কারের মৌসুম।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ফিরে যেতে চাই না। অতীত সম্পূর্ণরূপে বাতিল। এটি একেবারে নতুন ক্ষেত্র।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, সরকার এ পর্যন্ত যেসব সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তার উল্লেখ করে ইউনূস বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দুর্নীতি, শ্রম সংস্কার ও যুবসমাজকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, শ্রম সংস্কারে আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়ন করবে সরকার। এতে বাংলাদেশের প্রতি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে এবং স্থানীয় উৎপাদকদের আন্তর্জাতিকভাবে অবস্থান বাড়াতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে কাজ করুন, বিশ্বে কার্যকর প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়ান: শীর্ষ ব্যবসায়ীদের প্রতি ড. ইউনূস
তৈরি পোশাক ছাড়া অন্যান্য খাতে বাংলাদেশকে বৈশ্বিক ক্রীড়নক হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা এটি করতে চাই।’
সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পদক্ষেপের প্রশংসা করে রেইজার বলেন, বাংলাদেশে বার্ষিক এফডিআই দেশের জিডিপির প্রায় অর্ধেক শতাংশ এবং এটি এই অঞ্চলের মধ্যে সর্বনিম্ন।
রাইজার বলেন, বিশ্বব্যাংক রোহিঙ্গা মানবিক সংকট এবং কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্যও ৭০০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা লাখ লাখ তরুণের সমর্থনে আগ্রহী। তিনি বলেন, 'আমাদের এ বিষয়ে নজর দিতে হবে।’
প্রধান আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা লুৎফে সিদ্দিকী; সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান লামিয়া মোরশেদ, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক; অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী বৈঠকে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা হবে: ড. ইউনূস
২০৯ দিন আগে