সোশ্যাল মিডিয়া
হিরো আলম: আসল ঝামেলাটা কি গান না শ্রেণি?
সোশ্যাল মিডিয়া না থাকলে হইতো হিরো আলমকে নিয়ে এতো সব যে ঘটছে তার কিছুই ঘটতো না। হইতো কেউ জানতোও না তার কথা। বড় জোর মফস্বল পর্যায়ের হাস্য-রস উদ্রেককারী একজন মানুষ হিসেবেই থাকতেন তিনি। কিন্তু পাল্টে গেছে দুনিয়া, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে। এতেই হিরো আলম জাতীয় পর্যায়ের একজন ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।
২
কেউ তাকে নিয়ে হাসে। কিন্তু অনেকেই আবার তাকে পছন্দ করে, বিশেষ করে তার ফলোয়াররা। তারা আমার-আপনার মতো সুশীল ভদ্রলোক না, তাদের বলা যায় নিম্ন পদস্থ মানুষ। তাদের কোনোদিনই আমাদের সাথে দেখা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু গণযোগাযোগ মাধ্যম এমনি বাস্তবতা, (আমরা না চাইলেও) আমাদের ঘরে অনেক মেহমান এনে দেয়।
আরও পড়ুন: ভারতে এতো ঝামেলা হচ্ছে কেন?
যেমন- হিরো আলম। আমি অনেক কিছুই সহ্য করি এসবের মধ্যে এটাও একটা। কিন্তু ডিবি পুলিশের কাছে অভিযোগ দেই না। তবে কয়েকজন দিয়েছেন। তাই রবীন্দ্র-নজরুলের গান গাইবেন না- এই মর্মে তার (আলম) কাছ থেকে মুচলেকা নিয়েছে পুলিশ।
৩
সবই ঠিক ছিল। তবে এখানেও এসে দাঁড়ায় সোশ্যাল মিডিয়া। একজন গায়ককে পুলিশ দিয়ে শাসানো অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীর পছন্দ হয়নি। বিশেষ করে পুলিশ দিয়ে গান বন্ধ করা। আর এতেই শুরু হলো গালি বর্ষণ, ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ, তিরস্কার। যারা তাকে মুচলেকা দিয়ে অপমানিত করে মুখ বন্ধ করতে চেয়েছিল তাদের চেষ্টার ফল হলো উল্টো। হিরো আলম বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সকল রাজনীতিবিদ ও সংস্কৃতি-কর্মীর চেয়ে পরিচিত ও জনপ্রিয়। এখন তিনি প্রতিবাদের প্রতীক। তার রবীন্দ্র-নজরুল দরকার নেই। আজ হিরো আলম একাই যথেষ্ট।
৪
যারা তাকে ঝামেলায় ফেললো শোনা যাচ্ছে তারা শিল্প সংগীতের মানুষ। আবার তাদের মধ্যে টেলিফোনে এক নারীকে হেনস্তার অভিযোগে পদ হারানো সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদও রয়েছেন। তার একাধিক ভিডিও আছে যেখানে তিনি বলেন, ‘কী করে সাহস হয় এই লোকের আমার সামনে গান গাইবার? যখন তার কোনো সংগীত জ্ঞান নাই। আল্লাহ যে একখান গলা ও চেহারা দিয়েছে তাকে। তার গান নিচু শ্রেণির মানুষেরা শোনে। সে তাদের জন্য গাক। কিন্তু গুলশানে এসে গাইবে কেন?’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ইতিহাসে তাদের স্থান কি হবে?
৫
অতএব শ্রেণির বিষয়টা পরিষ্কার। ওপর তলা চায় না নিচের শ্রেণির মানুষ একই পরিসরে সংস্কৃতি চর্চা করুক। কিন্তু কপাল এমনি যে সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে নিম্নদের কালচার তাদের ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ছে। এটা সহ্য না হবারই কথা!
আরেকটা বিষয় হলো সোশ্যাল মিডিয়াতে কিন্তু প্রায় সকলেই হিরো আলমের পক্ষে লিখেছেন, কিছু মানুষ ছাড়া। অর্থাৎ ‘রাবীন্দ্রিক’ নাক উঁচু শুদ্ধবাদী সুশীলের চেয়ে বিপক্ষ সুশীলের সংখ্যা অনেক বেশি। এদের পুরনো রক্ষণশীলতা নেই। ‘রবি-রক্ষা’ প্রথম অগ্রাধিকার না। বরং তারা মনে করে যে ভাবে গাক করুক না কেন সবার জায়গা আছে।
আগে গান হতো মজলিশে। কিন্তু সে দিন শেষ। ডিজিটাল দুনিয়ায় সবার জায়গা হয়। অধিকাংশই এটা মেনে নেয়, কয়েকজন ছাড়া।
(প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
২ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক শক্তির ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
সাম্প্রদায়িক শক্তির ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, কোনও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে তাদের ঘৃণ্য উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার সুযোগ দেবে না সরকার।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনের সময় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, অসাধু গোষ্ঠী এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো দেশের ১০-১২ জায়গায় হিন্দু মন্দিরে হামলা চালিয়েছে এবং হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: ওবায়দুল কাদের
দেশের জনগণকে সাম্প্রদায়িক ঐক্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা দেশের উন্নয়ন চায়না তারাই হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজার শান্তিপূর্ণ উদযাপন নষ্ট করেছে। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংস করে দেশকে পিছনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের ঘৃণ্য অনেক আচরণের মধ্যে একটি হল হিন্দু-মুসলিম বিভেদ সৃষ্টি করা।’
সেতুমন্ত্রী জনগণকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো অপশক্তির ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির জন্য একদল লোক সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়াচ্ছে। তাদের কথায় বিশ্বাস করবেন না।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং মানুষকে শান্ত ও নিরাপদে থাকতে বলেছেন।
তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, উগ্রপন্থী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দেশের শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, পূজা শেষ হওয়ার পরও এই সহিংসতা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তবে, সরকারও যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক থাকবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে
থটস অফ শামস: মজার সব চরিত্রে এককভাবে অভিনয়কারী প্রতিভাবান কন্টেন্ট নির্মাতা
সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে অভিনব ও ফ্রেশ কন্টেন্ট নির্মাণ বাংলাদেশে নতুন নয়। কিন্তু এর উপর ভিত্তি করে ক্যারিয়ার গঠনের ধারণাটি একই সাথে চমকপ্রদ ও সম্ভাব্যতার প্রশ্নের যোগান দিচ্ছে। তাই বিশ্বমানের এই ক্যারিয়ারের সাথে বাংলাদেশ কেবল মানিয়ে নিতে শুরু করেছে। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই ইউটিউব ও ফেসবুকে কন্টেন্ট নির্মাণের মাধ্যমে সফলতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে। থটস অফ শামস তেমনি একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ, যেটি মজার সব ভিডিওর মাধ্যমে ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
আজকের ফিচারটি এই থটস অফ শামসকে কেন্দ্র করেই।
বাংলাদেশি নারী ইউটিউবার শামস-এর ব্যক্তি জীবন
থটস অফ শামস-এর নেপথ্যের মানুষটি সবার নিকট শামস নামেই পরিচিত; পুরো নাম শামস আফরোজ চৌধুরী। কাছের প্রিয়জনরা তাকে প্রভা নামে ডাকে।
আরও পড়ুন: হৈচৈ বাংলা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম: বিশ্বজুড়ে বাঙালির কোটি প্রাণের স্পন্দন
কুমিল্লার মেয়ে শামস ২০০৯-এ এইচএসসি’তে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বিবিএ’তে ভর্তি হন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে গ্রাজুয়েশন শেষ করে ২০১৩ সালে একটি বেসরকারি ব্যাংকে যোগ দেন ইন্টার্নীর জন্য।
২০১৮তে এই মেধাবী ছাত্রী এমবিএ সম্পন্ন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কর্মজীবনের শুরুতে শামস একটি বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
কন্টেন্ট নির্মাণ এবং দাম্পত্য জীবন একসাথে শুরু হলেও দুটোর কোনটাই পরস্পরের জন্য কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি শামসের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: রেহানা মরিয়ম নূর: কানের সম্মানজনক তালিকায় বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
শামসের কন্টেন্ট নির্মাতা হয়ে ওঠার গল্প
এমবিএ চলাকালে বিসিএস ও ব্যাংকে চাকরীর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকেন শামস। একের পর এক জবের জন্য আবেদনের পরেও কোথাও থেকে আশানুরূপ কোন সাড়া আসছিলো না। বরং প্রতিটি ইন্টারভিউ থেকে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছিলো।
বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে কর্মরত অবস্থায় নিজের কাজের সঠিক মূল্যায়ন পাচ্ছিলেন না। এভাবে বাংলাদেশের চাকরীর চিরাচরিত দৌরাত্ম্যে জড়িয়ে গিয়ে ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ হতাশায় পড়ে যান শামস।
২০১৭ এর ২৩ আগষ্ট থটস অফ শামস নামে ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেখানে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন। একদিন হঠাৎ চিন্তা আসে যে, লেখা কন্টেন্টগুলো নিয়ে ভিডিও বানালে কেমন হয়! এই ভাবনা থেকেই নিজের লেখা কন্টেন্টগুলোতে দারুণ হাস্যরস মিশিয়ে ভিডিও বানাতে শুরু করে দেন। ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি থটস অফ শামস টাইটেল দিয়ে খুলে ফেলেন একটি ইউটিউব চ্যানেল।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহার শীর্ষ ১০ জনপ্রিয় বাংলা নাটক
শামস বর্তমানে ৪৩০ হাজার গ্রাহকের ইউটিউব চ্যানেল এবং ২.৩ মিলিয়ন ফলোয়ার-এর ফেসবুক পেজ-এর মালিক।
৩ বছর আগে
তালেবান মাস্ক না পরলে কি কিছু এসে যায়
এই দেশের মানুষের কাজ অনেক কম। অনেকের এত সময় আছে যে তালেবান মাস্ক পরে কি পরে না এবং কেন পরে না তা নিয়েও তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবাদে জড়িয়ে পড়ছে । সোশ্যাল মিডিয়ার প্রসার দিন দিন বাড়ছে, নাকি দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে? সম্ভবত বেকারের সংখ্যাই বাড়ছে। তাই তালেবান ও মাস্ক নিয়ে চলছে বাহাস।
এই তালেবান কি সেই জঙ্গি তালেবান
পুরোনো তালেবান নিয়ে কিছু হালকা স্মৃতি আছে সবার। তারা পাহাড় থেকে নামা বর্বর, নারী বিদ্বেষী। তারা পৃথিবীর নানা দেশে তালেবানি রপ্তানি করতে চাইতো। তাদের আমেরিকানরা পিটিয়ে বের করে দিয়েছে। বিষয় হলো, এবার কোনো মারামারি হয়নি। আমেরিকানরা ও তাদের বসানো সরকার নিজেরাই চলে গেছে। কোনো যুদ্ধই হলো না!
তফাৎ কেন হলো
আসল কথা মার্কিনিরা থাকতে চায় না, আর আফগান সেনারা লড়তে চায় না। অতএব তালেবানরা লড়বে কাদের সাথে। শত্রুর অভাবে এত আরামে তারা দেশ দখল করলো! দুই একটা খুচরো ঝামেলা বাদ দিলে ভয় ও দুর্ভাবনা বেশি ছিল। তবে খুনোখুনি অনেক কম হয়েছে গতবারের তুলনায়। এটা কেন? প্রতিরোধের অভাব,নাকি প্রতিপক্ষ ছিল না?
তালেবান কী বলে এখন
তালেবানরা সহজ সরলভাবে বলতে গেলে সেই সব কথাই বলছে, যাতে আগের তালেবান আর এখনকার তালেবানদের মধ্যে তফাৎটা ধরা যায়। তারা বলছে: কারো ওপর প্রতিশোধ নেবে না, নারীদের অধিকার দেবে, নারীরা কাজ করতে ও পড়তে পারবে, তবে তাদের হিজাব পরতে হবে ইরানিদের মতো, সংখ্যালঘুদের অধিকার দেবে, বিদেশিদের সম্মান করবে ইত্যাদি। তবে ততটাই করবে যতটা ‘ইসলাম’ অনুমতি দেয়। সেটা কতটা আমরা জানি না। আগামী দিনগুলিই কেবল বলতে পারবে কী হবে? তবে এটা ঠিক, ২০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার পর তারা আরেক দফা ক্ষমতা হারাতে চাইবে না। বাড়াবাড়ি করলে যে বিপদ হতে পারে এটা তারা জানে, তাই সতর্ক।
কে তাদের সহায়
এটাই আসল কথা। এককালের শত্রু এবং এখনকার মিত্র চীন ও রাশিয়ার খেলা এটা। তারা সাত বছর ধরে পরিকল্পনা করেছে কীভাবে এদেরকে দিয়ে মার্কিনীদের হটানো যায় এবং সেই দিক থেকে তারা সফল। রাশিয়াও চায় না, উভয় দেশেই মুসলমান জঙ্গি আছে, অতএব জঙ্গিবাদ দমানোতে তাদের স্বার্থ আছে। এই অঞ্চলের রাজনীতিকে সুস্থির করতে চায় তারা, যাদের আগের তালেবান উস্কে দিয়েছিল। এবার সই করা চুক্তি আছে। কিছু করবে না। তার চেয়ে বেশি ভয় যে ফাজলামো করলে রাশিয়া ও চীনের সাথে এক সাথে যুদ্ধ করতে হবে। আর সেটা করার ক্ষমতা তালেবান কেন, এই অঞ্চলের কেন, পৃথিবীর কোন দেশই রাখে না। এটাই মূল কথা।
তাহলে ?
রাশিয়া আর চীন চাইবে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি। দেশের ভেতরে কী হচ্ছে সেটার দিকে নজর থাকবে, কিন্তু বেশি না। যদি তালেবান কিছু করে তাহলে বিপদ তাদের। আর অর্থনৈতিক উন্নতি হলে তালেবানেরই বেশি লাভ।
তাই ‘অধিকারের’ বিষয়টা বড় হবে না। হবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়- এই সব। মার্কিনিদের অধীনে গত দুই দশকে নারী সমাজ অনেক বেশি দৃশ্যমান। কিন্তু কোনো খাতেই লক্ষ্য-কোটি ডলার খরচের পরও তেমন কিছু উন্নতি হয়নি। এটা মার্কিন সরকারেরই হিসাব। উন্নয়ন প্রকল্পে অপচয়, চুরি, অদক্ষতা সবই হয়েছে, যে কারণে এই হাল।
রাশিয়া-চীন আসলে কী চায়
রাশিয়া-চীন জানে যে মার্কিনিরা কিছুটা দুর্বল। তাই তাদের টপকে নিজেদের ‘বিশ্বের হুজুর’ বানাতে চায়। তাই খেলাটা ক্ষমতার, বিষয়টা অর্থনীতির, উদ্দেশ্য ওপরে উঠার। পৃথিবী জুড়ে ‘অধিকার ভিত্তিক’ যে প্রশাসন ব্যবস্থা, যেটা নিয়ে মার্কিনিরা আর এনজিওরা কথা বলে, সেটা ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে। এখন যে করেই হোক অর্থিনীতিতে ওপরে ওঠার প্রতিযোগিতা, রাজনীতির দুনিয়া অনেকটা ক্ষীয়মান। অতএব কে মাস্ক পরলো, আর না পরলো তাতে কিছু আসবে যাবে না, যদি না তাতে অর্থনীতির ক্ষতি হয়।
আফসান চৌধুরী: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
৩ বছর আগে
স্মার্টফোন ব্যবহারে ভিন্নমাত্রা দিতে এসেছে গ্যালাক্সি এম৩১
তরুণদের স্মার্টফোন ব্যবহারে ভিন্নমাত্রা দিতে শক্তিশালী ব্যাটারি, চমকপ্রদ মোবাইল ফটোগ্রাফি এবং দুর্দান্ত মাল্টিমিডিয়াসহ এম সিরিজের নতুন স্মার্ট ডিভাইস গ্যালাক্সি এম৩১ নিয়ে এসেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।
৪ বছর আগে
হোয়াটসঅ্যাপে অবশ্যই এড়িয়ে চলুন ৭ ভুল
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে খুব সহজেই আমরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারি। বিশ্বজুড়ে যোগাযোগের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় মেসেঞ্জার অ্যাপলিকেশন (অ্যাপ) ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ।
৪ বছর আগে