ধ্বংস
দুর্নীতি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে ধ্বংস করেছে: শ্বেতপত্র
বাংলাদেশের অর্থনীতির শ্বেতপত্রে সরকারি ও বেসরকারি খাতে ব্যাপক দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে। এসব দুর্নীতির কারণে প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করেছে এবং বার্ষিক অবৈধ অর্থ ব্যয় হয়েছে গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈদেশিক সাহায্য ও বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগের (এফডিআই) পরিমাণের দ্বিগুণেরও বেশি।
রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন কমিটি শ্বেতপত্র উপস্থাপন করে। এই তদন্ত প্রতিবেদনে বিভিন্ন খাতে পদ্ধতিগত জালিয়াতি, অব্যবস্থাপনা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে।
খাতভিত্তিক দুর্নীতি
১. ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত
ব্যাংকিং খাতকে সবেচেয়ে দুর্নীতিবিধ্বস্ত খাত হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ঋণ কেলেঙ্কারি, অবৈধ অধিগ্রহণ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঋণদানে জর্জরিত এ খাত।
প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে ১৪টি ঢাকা মেট্রো সিস্টেম বা ২৪টি পদ্মা সেতুর মতো একাধিক বড় আকারের অবকাঠামো নির্মাণের ব্যয়ের সমান সম্পদ নষ্ট হয়েছে।
রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত ঋণ এবং হাইপ্রোফাইল খেলাপি আস্থা কমিয়ে দিয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ তহবিলগুলোকে উৎপাদনশীল বিনিয়োগ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
২. ভৌত অবকাঠামো
সরকারি পরিকাঠামো প্রকল্পগুলো অতিরিক্ত ব্যয়, তহবিলের অপব্যবহার ও স্বজনপ্রীতিমূলক নিয়োগে জর্জরিত।
প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়, সরকারি প্রকল্পগুলোতে গড়ে ৭০ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে দুর্নীতির কারণে। পাঁচ বছরেরও বেশি দেরি করেছে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে। গত ১৫ বছরে ঘুষ ও সম্প্রসারিত বাজেটের মাধ্যমে ১৪ বিলিয়ন থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে। এর ফলে অবকাঠামোগত বিনিয়োগের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনা কমে গেছে।
৩. জ্বালানি ও বিদ্যুৎ
রাজনৈতিক ও আর্থিক লাভের জন্য জ্বালানি চুক্তি ও বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে কারসাজি করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিযোগিতাহীন দরপত্র প্রক্রিয়া এবং প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো, সম্পদ পাচার এবং পদ্ধতিগত অদক্ষতা সৃষ্টি জ্বালানি সরবরাহে বাধা দেয়।
৪. শ্রম অভিবাসন
গত এক দশকে অনিয়ন্ত্রিত নিয়োগ ও অবৈধ হুন্ডি লেনদেনের মাধ্যমে অভিবাসী শ্রমিকদের ১৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার অপচয় হয়েছে। এটি ঢাকা এমআরটি-৬ প্রকল্প নির্মাণের ব্যয়ের চেয়ে চারগুণ বেশি। এ কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো সম্ভ হয়নি।
৫. সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী
প্রতিবেদনে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে পদ্ধতিগত অদক্ষতার বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এ খাতে ৭৩ শতাংশ সুবিধাভোগীকে দরিদ্র নয় বলে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এভাবে আর্থিকভাবে দুর্বল লাখ লাখ ব্যক্তিকে সহায়তা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
৬. আইসিটি খাত
আইসিটি খাতের প্রযুক্তিগত নতুনত্ব এটিকে অপারেশনাল অদক্ষতা এবং দুর্নীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। জোটবদ্ধ হয়ে দুর্নীতি এবং অতিরিক্ত ক্রয় খরচের ঘটনা এই খাতের প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ
কমিটি চমকপ্রদ পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে:
অবৈধ আর্থিক বহিঃপ্রবাহ: ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বার্ষিক গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বৈদেশিক সাহায্য ও এফডিআইয়ের পরিমাণের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি।
সরকারি বিনিয়োগ: উন্নয়ন প্রকল্পের ৩০ শতাংশ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। যার ফলে ক্ষতি হয়েছে ১.৬১-২.৮ লাখ কোটি টাকা।
বিকৃত সরবরাহ শৃঙ্খল: উৎপাদন ও ক্রয়ের ক্ষেত্রে কারসাজির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারগুলো অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। সেখানে কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠী লাভবান হচ্ছে, অথচ ভোক্তারা এর ভার বহন করতে বাধ্য হচ্ছে।
দুর্নীতির বহিঃপ্রকাশ
এগুলোর মধ্যে রয়েছে:
ব্যাংকিং ঋণ কেলেঙ্কারি: অপব্যবহার ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত খেলাপি।
বর্ধিত ও অতিরিক্ত প্রকল্প ব্যয়: তহবিল পাচার করতে পদ্ধতিগত খরচ বাড়ানো।
জমির অপব্যবহার: রাজনৈতিকভাবে দুর্বল জমির মালিকদের লক্ষ্য করে জোরপূর্বক অধিগ্রহণ চর্চা।
ঘুষ ও স্বজনপ্রীতি: প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও জনসেবায় বিস্তৃত।
জরুরি সংস্কার প্রয়োজন
শ্বেতপত্রে সুশাসন ও অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা পুনরুদ্ধারের জন্য পদ্ধতিগত সংস্কারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি মোকাবিলার জন্য জবাবদিহি ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারের প্রতিক্রিয়া
রবিবার প্রতিবেদনটি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অর্থনৈতিক স্বচ্ছতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে চিহ্নিত দুর্নীতির মাত্রা নীতিনির্ধারকদের জন্য একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২ সপ্তাহ আগে
বিএনপিকে যারা থামাতে গিয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপিকে যারা যখনই থামাতে গিয়েছে, তখনই তারা ধ্বংস হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি আজ কোথায়, আর যারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারা আজ কোথায়?
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে চট্টগ্রামের ষোলশহরের বিপ্লব উদ্যানে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিপ্লব উদ্যান থেকে কালুরঘাট অভিমুখী যুব পদযাত্রার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় যুবদল।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি
তিনি বলেন, বিগত দিনগুলোতে আমরা রাজপথে রক্ত দিয়েছি, জেলে গিয়েছি, অনেক নেতাকর্মীসহ অনেক কিছুই হারিয়েছি জীবনে। কিন্তু একটা জায়গায় ভালো কাজ করেছি। বিএনপির নেতাকর্মীরা জ্বলে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। এজন্য বিএনপিকে ভাঙতে পারে নাই। বিএনপি আজ অনেক শক্তিশালী।
আমীর খসরু বলেন, আবারও বলছি, বিএনপিকে থামানোর চেষ্টা করবেন না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সরকার, তাদের সংসদ দেখতে চায়। এটা বাধাগ্রস্ত করার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপির জন্য বিগত দিনে অনেক ত্যাগ শিকার করেছি, প্রয়োজনে আবার ত্যাগ শিকার করতে আমরা রাজি আছি।
দেশের রাজনীতি কেমন হবে তার সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। কেউ বলে দিতে পারে না আগামী দিনের বাংলাদেশের রাজনীতি কী হবে! এ সিদ্ধান্ত দেবে বাংলাদেশের জনগণ। এ সিদ্ধান্ত অন্য কেউ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জনগণের সিদ্ধান্ত অন্য কেউ দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণের সিদ্ধান্ত অনেকে অনেকবার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবও চেষ্টা করেছিলেন, তিনি কি সফল হয়েছেন? এরপর এরশাদ চেষ্টা করেছিল, শেখ হাসিনা চেয়েছিল, তারা কি পেরেছে? তাই সেদিকে না গিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত তাদের দিতে দেন।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বিদেশে চিকিৎসার দাবি বিএনপির
১ মাস আগে
ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে জব্দ ৩৫ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস
ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে জব্দ করা ৩৫ কোটি টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে মহেশপুরের খালিশপুর ৫৮ বিজিবি।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে খালিশপুর ৫৮ বিজিবির সদর দপ্তরে এসব মাদক ধ্বংস করা হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মাদকদ্রব্য জব্দ, গ্রেপ্তার ২
বিজিবি জানায়, গত বছরের ১৪ মার্চ থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে এসব মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে- ১২ হাজার ৪৬৩ বোতল ফেনসিডিল, ১৩ বোতল সিরাপ, ৪৯ হাজার ৮০ বোতল মদ, ৭৬ কেজি গাঁজা ও ৮৭১টি ইয়াবা।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার: বিজিবি
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবির কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মারুফুল আবেদীন ও ৫৮ বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মো. আজিজুস শহীদি।
আরও উপস্থিত ছিলেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাস, জেলা মাদক অধিদপ্তর কর্মকর্তা গোলক মজুমদারসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজিবির সাড়ে ৫৮ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস
২ মাস আগে
গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ইসি দায়ী: রিজভী
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য যারা দায়ী তাদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনও রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবিধানিক ব্যবস্থা লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
রিজভী বলেন, 'আপনি, সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল একতরফাভাবে কারচুপি-ডাকাতির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছেন। কেন পদত্যাগ করলেন না? দেশ ও জাতির চেয়ে চাকরির গুরুত্ব কি আপনার কাছে বেশি ছিল? আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য যারা দায়ী তাদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন অন্যতম।’
গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কৃষিবিদ সমিতি (এ্যাব)।
রিজভী বলেন, তরুণ ও কিশোরদের নেতৃত্বে পৃথিবী কাঁপানো আন্দোলনের মাধ্যমে এক ভয়ংকর দানবকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি, ২০ দলীয় জোটসহ সমমনা দলগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পথ সুগম করতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তার ওপর ভিত্তি করেই ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে।’
স্বৈরাচারের দোসরদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন শহীদদের আত্মত্যাগের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিশ্বাসঘাতকতা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বিএনপি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতি গভীরভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ একটি রাজনৈতিক দল। 'আমরা সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।'
তিনি বলেন, ‘অতীতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল এমন একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা ক্ষমার কথা বলছেন। যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের আমরা কীভাবে ক্ষমা করতে পারি?’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গুমের ঘটনা জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের আহ্বান ফখরুলের
সব অফিস-আদালত-আদালতে শেখ হাসিনার ভূত এখনো বিদ্যমান উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন একটি বিশেষ মহলের লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করলে চারটি ছাড়া বাকি সব পত্রিকা বন্ধ করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরের ক্ষমতায় থাকাকালে কিছু সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দিয়ে এবং মিডিয়ার মালিকানা দলের অনুগতদের কাছে হস্তান্তর করে ভিন্নভাবে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। ‘তাই এসব গণমাধ্যমগুলো ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে।’
রিজভী বলেন, গণমাধ্যমের প্রাথমিক কাজ হচ্ছে সত্য উদঘাটন ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা। ‘গণতন্ত্রের জন্য এটা অপরিহার্য। গণমাধ্যম যখন এই ভূমিকায় ব্যর্থ হয়, তখন তা গণতন্ত্রের স্তম্ভের পরিবর্তে স্বৈরশাসকদের হাতিয়ার হয়ে ওঠে। সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশে স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য গণমাধ্যমের গুরুত্ব অপরিসীম।’
দেশে গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য স্বাধীন গণমাধ্যম অত্যাবশ্যক উল্লেখ করে তিনি সাংবাদিকদের সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: অপরাধীদের ক্ষমা নয়, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত: রিজভী
৩ মাস আগে
দেশপ্রেম থাকলে তারা উন্নয়ন কাঠামো ধ্বংস করত না: প্রধানমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলে তারা উন্নয়ন কাঠামো ধ্বংস করত না।
সোমবার (২৯ জুলাই) গণভবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নারী নেত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তাদের যদি এত দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ থাকে, তাহলে তারা উন্নয়ন কাঠামো ধ্বংস করতে পারত না।’
শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে তার সরকারের প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে আমরা দিনরাত পরিশ্রম করেছি। আমি বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে এসিছি এবং তারা এটিকে ধ্বংস করেছে। এটা দুঃখজনক।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন তুলে বালে,‘এত টাকা তারা কোথায় পায়? তাদের দৈনন্দিন চলাফেরায় অর্থায়ন করছে কারা?'
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার সারা দেশে শোক
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও জনগণের কল্যাণে এর নেতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই আন্দোলনের ফল আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট এবং মানুষের মৌলিক চাহিদা ধ্বংস হচ্ছে।
বিএনপি-জামায়াতের 'সন্ত্রাসীরা' কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নিজেদের এজেন্ডা হাসিলের জন্য ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এই আন্দোলনের ঘাড়ে ভর করে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা সুযোগ নিয়েছিল। এখন আমার প্রশ্ন, আমি কী অপরাধ করেছি?'
নিজের অর্জনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি বাংলাদেশকে সম্মান বয়ে এনেছি। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আজকে যদি দেখেন বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে, সেটা সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে। তাদের আন্দোলন কীভাবে বাংলাদেশকে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে এবং আমাকে হেয় করছে তারা তা চিন্তাও করে না।’
আরও পড়ুন: শিবির-ছাত্রদল, বিএনপি ও জামায়াত জঙ্গি, কোটা সংস্কার ইস্যু ছিল না: প্রধানমন্ত্রী
৪ মাস আগে
সরকারের দুঃশাসন দেশকে ধ্বংস করছে: ফখরুল
সরকার দুঃশাসনের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশাল শাসন কায়েম করে। তারা এখন ভিন্নভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।’
ক্ষমতাসীনরা নির্বাচনি ব্যবস্থা, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে এবং প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনীতিকরণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘দেশ এখন ধ্বংসের পথে। এই আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন বাংলাদেশ আরও দ্রুত অতল গহ্বরে যাবে।’
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে এবং অর্থনীতি, শিক্ষাসহ সব খাত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদের এখন প্রয়োজন হলো সবার মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলা। সেই ঐক্যকে কাজে লাগিয়ে আমরা রাজপথের আন্দোলনকে বেগবান করে তাদের (আওয়ামী লীগ) পরাজিত করব।’
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করে রাজধানীর নয়াপল্টনের মওলানা ভাসানী মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
আরও পড়ুন: অসুস্থ খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকিতে: ফখরুল
ফখরুল বলেন, বিদেশে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তাকে কোনো শর্ত ছাড়াই কারাগার থেকে মুক্ত করতে কঠোর আন্দোলন অপরিহার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রীর (খালেদা জিয়া) মুক্তি ও গণতন্ত্রকে পৃথক ইস্যু হিসেবে দেখার কোনো কারণ নেই। আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে এবং দেশ সুরক্ষিত হবে।’
ফখরুল আরও বলেন, দেশের সমস্যা সমাধান ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্য অর্জনে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। আমরা সবাই মিলে কাজ করলে কেউ আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।
বিএনপি উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের নবগঠিত কমিটির নেতাদের অভিনন্দন জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটিগুলোর নেতৃত্বে সংগঠনগুলো আরও শক্তিশালী হবে এবং এই সরকারকে পরাজিত করতে ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: চলমান আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে বিএনপি, সরকারের এ অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন ফখরুল
৫ মাস আগে
সরকার সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ 'চরমভাবে' দেউলিয়া হওয়ার পর থেকে দুর্নীতিবাজ আমলা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা সৃষ্টি করে ক্ষমতায় আছে।
বর্তমান সরকার মেগা প্রকল্পের নামে চীন থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে এবং কমিশন হিসেবে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন বেনজীর (সাবেক আইজিপি) ও আজিজের (সাবেক সেনাপ্রধান) দল। আওয়ামী লীগ চরমভাবে দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় এখন আর রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান নয়। তাই দুর্নীতিবাজ আমলা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে তাদের ক্ষমতায় থাকতে হবে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (১১ জুন) গিলন্ডোর মুন্না সিটিতে ঢাকা বিভাগীয় শাখা এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ এখন শুধু আধিপত্যবাদই নয়, ফ্যাসিবাদেরও কবলে। ‘এখন যারা দেশ শাসন করছে তাদের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই।’
তিনি বলেন, ভোটার ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিযোগিতার বাইরে রেখে সরকার নিজস্ব স্টাইলে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার সব রাষ্ট্রযন্ত্র দখল করে রেখেছে, সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে গণতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দেবে মোদি সরকার: ফখরুল
বিএনপি নেতা উল্লেখ করেন, সোমবার নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত এক সেমিনারে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা দেশের অর্থনীতি বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে বলে সতর্ক করেছেন।
ফখরুল আরও বলেন, ‘সরকার এটা মানতে নারাজ। তারা সবসময় দাবি করে যে অর্থনীতি খুব ভাল করছে। কিন্তু তাদের দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার নতুন নতুন উপায় খুঁজছে। মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে তারা মেগা দুর্নীতি করছে।’
ফখরুল বলেন, এটা বিস্ময়কর যে মেগা প্রকল্পের অধিকাংশই চীন অর্থায়ন করে।
তিনি বলেন, 'তারা (চীন) বাংলাদেশ সরকারকে তহবিল দেয়, যারা তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে টেন্ডার দেয়। সরকার সমর্থিত এক বা দুজন ব্যক্তি তহবিল সুরক্ষিত করার জন্য পাঁচ শতাংশ কমিশন পান এবং বাকি ৫ শতাংশ প্রকল্পে কাজ বণ্টনের জন্য দেওয়া হয়। আমরা অনেকেই জানি না যে চীন থেকে আনা তহবিল কমিশনের অধীন।’
বর্তমান শাসকগোষ্ঠী কমিশন না নিয়ে কিছু করে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ‘‘শুধু তাই নয়, এখানে বেশ কয়েকটি নতুন আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এমনই একটি প্রতিষ্ঠানের নাম 'নগদ'।’’
ফখরুল বলেন, 'নগদ'-এর প্রতিটি লেনদেন থেকে কমিশনের একটি নির্দিষ্ট অংশ বিদেশে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, 'আমি কারও নাম উল্লেখ করতে চাই না, তবে এই অর্থ বিদেশে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে যায়। এবং এটি কেবল একটি একক ঘটনা নয়; এরকম আরও অনেক উদাহরণ আছে।’
দেশের এমন পরিস্থিতিতে দেশ বাঁচাতে এবং বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সর্বস্তরের জনগণ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এখন পুলিশ-লুটেরাদের ওপর নির্ভরশীল: রিজভী
৬ মাস আগে
লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংক ধ্বংস করছেন আ. লীগ নেতারা: বিএনপি নেতা নজরুল
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ব্যাপক লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো লুট করা হচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে লাল, সবুজ ও হলুদ (আর্থিক অবস্থার ভিত্তিতে) শ্রেণিকরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। লাল মানে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। মালিকরা এসব ব্যাংক লুট করেছে। তারা যাকে খুশি তাকে ঋণ দিয়ে ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া হওয়ার দিকে ঠেলে দিয়েছে।’
সোমবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসব লুটেরা মালিকদের রক্ষায় ধ্বংসের দ্বাপ্রান্তে থাকা ব্যাংকগুলোকে সরকারি বা লাভজনক ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
অর্থনৈতিক অবস্থা অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অর্থের মূল্য প্রতিনিয়ত কমছে। ‘কিছুদিন আগে এক ডলারের বিপরীতে বিনিময় দর কমেছে সাত টাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমাদের টাকা এত বড় অবমূল্যায়ন কখনো ঘটেনি। বর্তমানে এক ডলার কিনতে লাগে প্রায় ১২৫ টাকা।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, দেশের ঋণের পরিমাণ একশ’ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় সরকার জাতির বোঝা ভারী করে তুলছে। ‘এটা আমাদের সবার ঋণ। কিন্তু আমরা তা উপভোগ করছি না। হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ এটি ব্যবহার করে মিলিয়নিয়ার এমনকি বিলিয়নিয়ারাও হয়েছেন।’
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকসহ গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের উপকূলীয় অঞ্চল যখন ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষার দিকে মনোনিবেশ না করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনার কথা বলছেন।
আরও পড়ুন: আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার জন্য দায়ী সরকার, সেনাবাহিনীর সুনাম কলঙ্কিত: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরূপ প্রভাব থেকে জনগণকে রক্ষা করা তাদের(সরকারের) প্রধান কাজ নয়। কারণ সরকার সমর্থিত সিন্ডিকেট ও দুর্নীতিবাজরা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, মানুষের পকেট কাটছে। এটা তাদের জন্য কোনো সমস্যা নয়।’
তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোটের প্রয়োজন নেই বলে সরকার জনদুর্ভোগ এবং জনঅসন্তোষ নিয়ে ন্যূনতমও উদ্বিগ্ন নয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানের ওপর ক্ষুব্ধ, কারণ তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১০ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যাননি।
তিনি আরও বলেন, 'কেন ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, ব্যাংক লুটপাট, ক্রমবর্ধমান জাতীয় ঋণ, দুর্নীতি, অরাজকতা এবং সাবেক সেনাপ্রধান ও সাবেক পুলিশ প্রধানের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তার সরকারের প্রধান উদ্বেগের বিষয় নয়। তাদের একমাত্র কাজ হলো তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে শাস্তি দেওয়া।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে জনগণ বিরক্ত: ফখরুল
৬ মাস আগে
নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ ধ্বংস করতে ফার্মা সল্যুশনসকে হাইকোর্টের নির্দেশ
বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির মোড়কে থাকা নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ (আকু চেক) ধ্বংস করতে ফার্মা সল্যুশনস বাংলাদেশ লিমিটেড (পিএসবিএল) নামের প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২০ মে) এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও রিট আবেদনকারীপক্ষের (ক্যাব) প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ওই স্ট্রিপগুলো (ব্যাচ নম্বর–২৬০৭৬১৫৬) ধ্বংস করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে আদালত প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোর-নড়াইল মহাসড়কে গাছ না কাটার উপর স্থিতাবস্থা
রুলে নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ (আকু চেক) ধ্বংস করতে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণা করা হবে না এবং বাংলাদেশের ফার্মেসিগুলোতে নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ (আকু চেক) বিক্রি বন্ধে বিবাদীদের পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ফার্মা সল্যুশন বাংলাদেশ লিমিটেডসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে ‘নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ– সংক্রান্ত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি’ শীর্ষক একটি বিজ্ঞপ্তি দেয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, বিভিন্ন ফার্মেসিতে নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ পাওয়া যাচ্ছে। বাজার তদারকিতে প্রাপ্ত করতে ফার্মা সল্যুশনস বাংলাদেশ লিমিটেডের বাজারজাত করা সব ডায়াবেটিস স্ট্রিপ (আকু চেক) ব্যাচ নম্বর–২৬০৭৬১৫৬ এবং সব ধরনের নকল স্ট্রিপ, ওষুধ, মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ক্রয়–বিক্রয়, প্রস্তুত, সরবরাহ ও মজুত করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করা হলো।
নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বিক্রি প্রতিরোধে গত ১১ ফেব্রুয়ারি অধিদপ্তরে এক মতবিনিময় সভা হয়, যেখানে নকল স্ট্রিপের প্রসঙ্গ আলোচনায় উঠে।
নকল ওই স্ট্রিপ সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাছে গত ৩ মার্চ আবেদন করে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
এতে ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে আইনি নোটিশ পাঠায় ক্যাব। এতে ফল না পেয়ে ১৯ মে ক্যাবের পক্ষে ওই রিট করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।
আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ (আকু চেক) ফার্মা সল্যুশনস বাংলাদেশ লিমিটেড (পিএসবিএল) বাজারে ছাড়ে। এই নকল স্ট্রিপ লাজ ফার্মার কাকরাইল শাখায় ধরা পড়ে। পিএসবিএলের ই–মেইল অর্ডারের পরিপ্রেক্ষিতে ‘প্রিন্ট ওয়ান’ নামের ছাপাখানা ৩ হাজার ৫০০টি নকল মোড়ক প্রিন্ট করে দেয়, যা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার অভিযানে ধরা পড়ে। নকল স্ট্রিপ সরবরাহ করার কথা পিএসবিএল স্বীকার করেছে। যদিও পিএসবিএল ৮ ফেব্রুয়ারিতে তার বিপণন প্রতিনিধিদের কাছ থেকে স্টেস্ট স্ট্রিপ (আকু চেক) প্রত্যাহারের চিঠি দেয়। তবে সাড়ে তিন হাজারের মধ্যে স্ট্রিপের কতগুলো প্যাকেট বিক্রির জন্য বিতরণ করা হয়েছে, কতটি মজুত আছে ও কতটি প্রত্যাহার করা হয়েছে— এমন কোনো তথ্যই পাওয়া যায়নি। এমনকি জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যে কারণে ক্যাব ওই রিট করে। সোমবার রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বিবিএস কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা
৭ মাস আগে
কৃষিপণ্যের মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশে কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, যে পদ্ধতি অনুসরণ করলে মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া যাবে আমরা সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাই। আমরা ভোক্তাদের জন্য মার্কেট স্ট্যাডি করতে চাই।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:
এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার। সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।
তিনি আরও বলেন, মার্কেট দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে এখনই তার কোনো ডেডলাইন দেওয়া যাচ্ছে না।
মন্ত্রী বলেন, কত দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে সে বিষয় ডেডলাইন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য যতগুলো সেক্টর আছে সবাই একত্রিত হয়ে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা নেব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়েই আমরা বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে চাই।
তিনি বলেন, বেশি মুনাফার জন্য মানুষের বুকে চাকু মারলাম, সেটা তো হয় না। বাজার নিয়ন্ত্রণে বাজার বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এগিয়ে যাওয়া। এগিয়ে যাওয়ার জন্য উন্নত প্রযুক্তির চাষাবাদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। এখানে অনেক বিজ্ঞানী রয়েছেন, আমরা তাদের কাজে লাগাতে চাই।
তিনি আরও বলেন, উৎপাদন যাতে বেশি হয়, ফসল যাতে বেশি হয়, সেজন্য আমরা কোনো জমি খালি রাখতে চাই না। যেসমস্ত জায়গায় ফসল ফলানো যায়, সেখানে যাতে কৃষকরা উৎপাদনে উৎসাহিত হয়, আমরা সে পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে আমরা উঠান বৈঠক করব। গ্রাম পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণের কর্মকর্তারা রয়েছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা প্রতিটি এলাকায় ঘুরে ফসলের সমস্যা কী, কীটনাশক সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা ও সঠিক মাত্রায় সার দিচ্ছে কি না- তা তদারকি করে থাকেন। সেই তদারকি আরও জোরদার করা হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের মুক্তি নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত: আইনমন্ত্রী
জামার্নির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেন, স্বাধীনতার সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে আমাদের একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। জার্মানি উন্নত দেশ, কৃষিতে উন্নত। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করবে। পূর্বাচলে আমরা একটি আন্তর্জাতিকমানের প্যাকিং হাউজ ও ল্যাব করতে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে জার্মানির কারিগরি সহযোগিতা দরকার। এ বিষয়েও তারা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা জার্মানিতে আম, আনারস, শাকসবজি রপ্তানি করতে চাই। তাদের বলেছি, কোয়ালিটির ব্যাপারে আমরা কোনো আপস করব না। উৎপাদনের ক্ষেত্রে মানের প্রশ্নে আপস করা হবে না। এক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স।
আরও পড়ুন: আলু আমদানি হলে দাম কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে: কৃষিমন্ত্রী
১১ মাস আগে