বনবিভাগ
নিম্নচাপে প্লাবিত সুন্দরবন, বন্যপ্রাণী নিয়ে শঙ্কায় বনবিভাগ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপের পরিণত হওয়ায় মোংলা বন্দরসহ সুন্দরবন উপকূলে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে,টানা বৃষ্টি আর বৈরি আবহাওয়ার কারণে পশুর চ্যানেল ও বনের নদ-নদীতে ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত তিন দিন যাবত প্লাবিত হচ্ছে সুন্দরবনের সরকারি বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন পর্যটক স্পট এবং গোটা সুন্দরবন। করমজলের রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সুন্দরবনে ভ্রমনে আসা দর্শনার্থীদের।
বন বিভাগ বলছে, রক্ষিত সকল প্রাণীই নিরাপদে রয়েছে, তবে পানি আরও বৃদ্ধি পেলে কেন্দ্রে রাখা প্রাণীসহ বনের গহিনের বন্যপ্রাণীর ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
জানা যায়, পানি বৃদ্ধির কারণে বন্দরের বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য খালাস কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে নদী ও খাল পাড়ি দিয়ে চলাচল করছে কর্মজীবী সাধারণ মানুষ।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় মোংলা বন্দর ও সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে।
জানা গেছে,বনের করমজলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষনের জন্য ১২টি আধা পাকা সেড রয়েছে। যার মধ্যে বাচ্চাসহ ৩৬ টি হরিণ, ৯১ টি ছোট বড় কুমির ও বিলুপ্ত প্রজাতির ৪৩৬টি বাটাগুর বাস্কা কচ্ছপ রযেছে। এছাড়াও এর আশপাশে উম্মুক্তভাবে রয়েছে হরিণ, বানর, গুইসাপ ও আজগর সাপ, তক্ষকসহ নাম না জানা বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও হরেক রকমের পাখি রয়েছে। এদিকে নদীতে পানি আরও বৃদ্ধি পেলে আর জোয়ারের পানিতে বন্যপ্রাণী সম্ভাব্য চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বন বিভাগ।
বনবিভাগ বলছে, গত শনিবার থেকে এবারের পূর্ণিমার গ্রহণের কারণে সুন্দরবনে এবার বেশি পানি হয়েছে। গত তিন দিন প্রায় চার ফুট পানিতে তলিয়েছে বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ পুরো বন। এতে যে সকল বন্যপ্রাণী গাছে উঠে বসবাস করতে পারেনা এবং মাটিতে ডিম পাড়ে সে সকল বন্যপ্রাণী বা তাদের বাচ্চাগুলো মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী বলে জানান তারা।
তারা আরও বলেন, বনে পানি ঢুকে যাওয়ায় উম্মুক্ত ভাবে থাকা বিভিন্ন বন্যপ্রাণীকে বনের মধ্যে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। করমজলেও এসে আশ্রয় নিয়েছে বনের হরিণ, বানর, শুকরসহ অন্যান্য প্রাণী। তবে এখন পর্যন্ত বনের কোথাও তেমন কোন প্রাণীর মৃত্যু বা ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সুন্দরবনে পর্যটক আসতে পারছেনা। ফলে গত তিন দিনে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা-কচিখালী, দুবলা, নিলকমলসহ অন্যান্য পর্যটক স্পটগুলো।
তবে বিপুল পরিমাণ দর্শনার্থীদের আসার আগ্রহ রয়েছে বলে জানায় কমরজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার হওলাদার আজাদ কবির।
অপরদিকে, বন্দরে অবস্থানরত বিভিন্ন পণ্য বোঝাই দেশি-বিদেশি বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক জাহাজ পণ্য খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। জাহাজের কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চললেও সার ও খাদ্যবাহী জাহাজের পণ্য খালাস-বোঝাই কাজ বৃষ্টির সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
বন্দরকেন্দ্রিক চলাচলরত বিভিন্ন নৌযান ও সুন্দরবন সংলগ্ন সাগর নদীতে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। মোংলা বন্দরের ও পশুর নদীর দুই পাড়ে কয়েকশ’ পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ ও ট্যুরিস্ট বোর্ডও নিরাপদে ও শক্ত অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া বন্দর সংলগ্ন আশপাশের বিভিন্ন খালেও নৌযানগুলো নিরাপদে নোঙ্গর করে রয়েছে।
২ বছর আগে
রাঙ্গুনিয়ায় বিলের কাদায় আটকে পড়া হাতি ৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়নের তৈলা ভাঙ্গা বিলের কাদায় আটকে পড়া একটি হাতি সাত ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে বনবিভাগ।শনিবার (৩০ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে হাতিটি কাদায় আটকে যায়। সকালে খবর পেয়ে বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলা ১২টার দিকে হাতিকে উদ্ধার করে।স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম জানান, হাতিটি ভোররাত থেকে প্রায় ৭ ফিট নরম কাদামাটিতে আটকে যায়। মধ্যবয়সী হাতিটির চিৎকার পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা জানতে পারে৷ বিষয়টি বনবিভাগকে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বন্য হাতির আক্রমণে মানসিক প্রতিবন্ধীর মৃত্যুবনবিভাগের রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাসুম কবির বলেন, বিলে কাদায় বন্যহাতি আটকে যাওয়ার খবরে বনবিভাগের কর্মী ও চিকিৎসকরা সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে যায়। বন্যহাতিটিকে পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ওষুধ দেয়া হয়। পরে দড়ি বেঁধে কৌশলে এটিকে উদ্ধার করা হয়। হাতিটিকে বনে ছেড়ে দেয়া হয়।শিলক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, প্রায় সময় শিলকসহ দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার পাহাড় বেষ্ঠিত চার ইউনিয়নে লোকালয়ে নেমে আসে বন্যহাতির দল। বিশেষ করে ধান পাকার মৌসুমে হাতির দল লোকালয়ে এসে বেপরোয়া হয়ে উঠে। বন্যহাতির আক্রমণে ফসলের ক্ষতি ও প্রানহানির ঘটনাও ঘটেছে। বন্যহাতির তাণ্ডব কমাতে বনবিভাগের আরও তৎপরতা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে আরেকটি মৃত বন্যহাতি উদ্ধার
২ বছর আগে
বাঁচানো যায়নি ভারতীয় হরিণটি
অবশেষে ভারত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা হরিণটি মারা গেছে। বনবিভাগ মৃত হরিণটিকে ময়নাতদন্ত শেষে মাটি চাপা দিয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম সিকটিহারিতে প্রবেশ করে। স্থানীয়রা হরিণটিকে ধরতে প্রানপণ চেষ্টা করেও ধরতে পারেনি। দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বনবিভাগ এবং উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়।
আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুল আলম হালিম ও সামাজিক বন বিভাগ পঞ্চগড়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা ঋষিকেষ রায় জানান, খাবারের খোঁজে পথ ভুলে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে হরিণটি বাংলাদেশের সিকটিহারি গ্রামে প্রবেশ করে। উৎসুক জনতার ধাওয়ায় হরিণটির পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হয়। হরিণ দেখতে সেখানে শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হরিণটিকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আমাদের সামনেই হরিণটি মারা যায়। রাতে হরিণটিকে আটোয়ারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে এসে ময়নাতদন্ত শেষে মাটি চাপা দেয়া হয়।
আটোয়ারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শামীমা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হরিণটিকে ধরার জন্য স্থানীয়রা ধাওয়া করায় পা কেটে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ভয়ে হরিণটি মারা যায়।
আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুশফিকুল আলাম হালিম জানান, হরিণটির পা থেকে অনবরত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। বনবিভাগ ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মিলে হরিণটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রাণীটিকে বাঁচানো যায়নি।
আরও পড়ুন: শরণখোলায় ২ হরিণের চামড়া উদ্ধার
কয়রায় হরিণ ধরার ফাঁদসহ গ্রেপ্তার ৪
বাগেরহাটে হরিণের ৫ চামড়াসহ পাচারকারি আটক
২ বছর আগে
বরিশালে ৭ ফুট লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার
বরিশালে পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে বিশাল একটি অজগর সাপ ধরেছে স্থানীয়রা। সাপটিকে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে বরিশাল নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সাপটি হস্তান্তর করেন বন বিভাগে।
স্থানীয় জয়ন্ত শীল জানান, শনিবার দুপুরে নতুনহাট এলাকায় একটি পুকুরে মাছ শিকার করছিল তিন যুবক। এ সময় আবুল কালাম নামে এক যুবক মনে করেন বড় একটি মাছ শিকার করেছেন। কিন্তু সেটি পানির উপরে উঠিয়ে দেখেন বিশাল আকারের একটা অজগর সাপ। সাপটি এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমান স্থানীয়রা।
বরিশাল সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা গাজী মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান, দেশীয় প্রজাতির এই অজগর সাধারণত সুন্দরবন এলাকায় থাকে। হয়তো পানিতে ভেসে এখানে এসেছে। খুলনা বন্যপ্রাণী বিভাগকে খবর দেয়া হয়েছে, তারা এসে সাপটি সুন্দরবনে অবমুক্ত করবে । সাপটির দৈর্ঘ্য সাত ফুট। বয়স ৭/৮বছর হবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় বিরল প্রজাতির বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপ
লালমনিরহাটে বিশাল আকৃতির অজগর সাপ উদ্ধার
২ বছর আগে
কক্সবাজারের বনাঞ্চলে এক বছরে এশিয়ান হাতির ১৬টি বাচ্চা প্রসব
গত এক বছরে প্রায় ১৬টি এশিয়ান বাচ্চা হাতি প্রসব হয়েছে কক্সবাজারের দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন বনাঞ্চলে। সর্বশেষ ২ আগস্ট মা হাতি একটি বাচ্চা হাতি প্রসব করে টেকনাফের হোয়াইক্যং বনে। হাতির আবাস্থল দখল করে বসবাস করা রোহিঙ্গাদের আগ্রাসনের মধ্যেও হাতিদের বাচ্চা প্রসবের খবরে পরিবেশবাদীদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুর কবির জানান, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন বনাঞ্চলে গত এক বছরে এক বছর বয়সী প্রায় ১৬টি বাচ্চা দেখা গেছে। হিমছড়ি, ধোয়াপালং, পানেরছড়া, ইনানী, হোয়াইক্যং, শীলখালী রেঞ্জের বনাঞ্চলের পকেটে এসব বাচ্চা প্রসব করে মা হাতি।
তিনি জানান, সর্বশেষ ২ আগস্ট কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের হোয়াইক্যং বিটের মংলা জাইন চাকমার ঘোনা এলাকার বনের অভ্যন্তরে একটি হাতি বাচ্চা প্রসব করেছে। মা এবং বাচ্চা হাতিটি সুস্থ আছে। মা ও হাতির চলাচল নির্বিগ্ন রাখতে হোয়াইক্যং রেঞ্জ সিপিজি সদস্যদের নিয়ে পাহারার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
হুমায়ুর কবির জানান, ২০১৭ সালের সর্বশেষ জরিপে কক্সবাজারের এই দক্ষিণ বনে মোট এশিয়ান হাতি রয়েছে ৬৩টি। এসব হাতি থেকে প্রজনন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পড়ুন: কাপ্তাইয়ে বন্যহাতির আক্রমণে বৌদ্ধ ভিক্ষুর মৃত্য
রাঙামাটিতে বন্য হাতির আক্রমণ আতঙ্কে গ্রামবাসী
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শেখ নাজমুল হুদা বলেন, হাতির আবাস্থলের এসব এলাকায় আগের পরিবেশ ফিরে এসেছ। এখনো হাতির নিরাপদ আবাস্থল জোন হিসাবে রয়েছে এসব বনাঞ্চল। খাদ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ এবং সহনীয় পরিবেশ রয়েছে বলে এখনো হাতিরা এসব এলাকায় নির্বিঘ্নে বিচরণ করছে এবং হাতি বাচ্চা প্রসব করছে।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু বলেন, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৬৩টি এশিয়ান হাতি রয়েছে। অধিকাংশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে এসব হাতির আবাসস্থলে। ফলে এসব হাতির জীবন সংকটে পড়ে। তাদের চলাচলের করিডোর বন্ধ হয়ে যায়।
পড়ুন: মিয়ানমার থেকে এলো ২ বুনো হাতি
তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালে রোহিঙ্গা আসার পর থেকে খাদ্য আবাসস্থল, সংকট নানাভাবে বিপদে পড়ে এসব হাতি। এর মধ্যে হাতি বাচ্চা প্রসব করার খবর অত্যন্ত সুখকর। এই অবস্থায় হাতিদের যে আবাস্থল রয়েছে তা নিরাপদ রাখতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তাসহ নানাভাবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
৩ বছর আগে
বাঘ শিকারি ‘বাঘ হাবিব’ আটক
সুন্দরবনে দুর্ধর্ষ বাঘ শিকারি বাঘ হাবিবকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার ভোর রাতে পুলিশের হাতে আটক হন দুর্ধর্ষ এই বাঘ শিকারী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বনবিভাগ ও স্থানীয়দের কাছে বাঘ হাবিব নামেই পরিচিত তিনি। বাঘ শিকার করাই তার নেশা।
বিভিন্ন সূত্রমতে, গত ২০ বছরে কমপক্ষে ৭০টি বাঘ মারা পড়েছে তার হাতে। তার নামে রয়েছে ৯টি বন অপরাধের মামলা। এর মধ্যে তিনটিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এতোগুলো মামলাও শিকারের নেশা থেকে ফেরাতে পারেনি তাকে। সুন্দরবনে বাঘ হাবিবের প্রবেশ নিষিদ্ধ, তবুও গোপনে ঢুকে একের পর এক শিকার করেন বাঘ-হরিণ-কুমির।
আরও পড়ুন: বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের শিকারি চক্র
আটক বাঘ হাবিব ওরফে হাবিব তালুকদারের (৫০) বাড়ি বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন মধ্যে সোনাতলা গ্রামে। তারা বাবার নাম কদম আলী তালুকদার। বাঘ হাবিব বর্তমানে বাগেরহাট জেলা কারাগারে বন্দি রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাঘ হাবিব দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। মাঝেমধ্যে গোপনে বাড়িতে এসে অন্যের ঘরে ঘুমাতেন। শনিবার ভোর রাতে প্রতিবেশী রফিকুলের বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন হাবিব। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঐদিন রাত আড়াইটার দিকে শরণখোলার মধ্য সোনাতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে রফিকুলের বারান্দা থেকে তাকে আটক করা হয়।
কে এই বাঘ হাবিব
তার বাবা কদম আলী তালুকদার সুন্দরবনের এক সময়ের দুর্ধর্ষ বনদস্যু ছিলেন। ৫ থেকে ৬ বছর আগে মারা যান সাবেক বনদস্যু বাবা। বনের পাশে বাড়ি হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই সুন্দরবনে মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করতেন তারা। সেই থেকে বনের সব এলাকা তার নখদর্পণে। তাছাড়া, বাবা বনদস্যু হওয়ায় জন্মসূত্রেই অপরাধী এই বাঘ শিকারী হাবিব। তার গোটা পরিবারই বন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। বন্যপ্রাণি শিকারের সহযোগী হিসেবে এখন কাজ করেন তার ছেলে হাসান (২০) ও জামাই মিজান (২৫)। তাদের নামেও একাধিক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
হাবিবের নামে যতো মামলা
তার নামে মামলা রয়েছে মোট ৮টি। গত ২০ বছর ধরে ৭০ টির মতো বাঘ হত্যা করলেও তার নামে বাঘ শিকারের ৩টি এবং হরিণ শিকারের ৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩টিতে রয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এর পরও তিনি বাঘ-হরিণ শিকার থেকে ফিরতে পারেননি।
বাঘ শিকার করেই চালান বাঘের মামলা
হাবিব এসব মামলা ও গ্রেপ্তারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে নিজের বাড়িতে থাকতেন না। বেশিরভাগ সময় বনেই কাটে তার জীবন। মাঝেমধ্যে রাতে এলাকায় এসে অন্যের বাড়িতে ঘুমাতেন। কোনো মামলাকেই পাত্তা দেন না। এ বছরের ১৯ জানুয়ারি শরণখোলার রাজৈর বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বাঘের চামড়াসহ গাউস ফকির নামে এক পাচারকারী আটক হয়। ওই চামড়াটিও হবিবের হাতে শিকার হওয়া বাঘের। ওই মামলায় তাকেও আসামি করা হয়েছে। এর চার দিনের মাথায় ২৩ জানুয়ারি একই এলাকা থেকে ১৯টি হরিণের চামড়াসহ দুই পাচারকারীকে আটক করে র্যাব। সেখানেও এই শিকারী হাবিব জড়িত। বনের বাঘ, হরিণ, কুমির শিকার করেই এসব মামলা পরিচালনা করেন এই দুর্ধর্ষ হাবিব।
৩ বছর আগে
সরকারি বনায়ন ধ্বংসের অপচেষ্টা, পদক্ষেপ নিচ্ছে না বনবিভাগ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের চরাঞ্চলে সরকারি খালে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এর ফলে ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে সরকারি বনায়নের গাছগুলো।
এদিকে সরকারি বনায়ন রক্ষায় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
জানা যায়, উপজেলা পদ্মা নদীর চর হরিরামপুর ইউনিয়নের চর শালেপুর চরাঞ্চলে ১০৮ একর জমির ওপর সরকারি বনায়ন করেছে বন বিভাগ। বনায়ন সংলগ্ন একটি খালের মধ্যে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে গত একমাস যাবৎ দিনরাত বালু উত্তোলন করছেন ওই চরের বাসিন্দা প্রভাবশালী ফেরদৌস খান (৪৮)।
বনায়ন সংলগ্ন এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার কারণে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীর কড়াল স্রোতে উপজেলার বৃহৎ সরকারি বনায়নটি বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন যাবৎ ওই প্রভাবশালী সরকারি বনায়ন ঘেষে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে রমরমা বাণিজ্য করলেও স্থানীয়রা তার ভয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না।
উপজেলা বন বিভাগ সূত্র জানায়, ২০০৬ সালে উপজেলার চরশালেপুর মৌজায় ১০৮ একর খাস জমির উপর বৃহৎ সামাজিক বনায়নটি গড়ে ওঠে। উক্ত বাগানে মোট ৯০ হাজার বনজ বৃক্ষ রোপন করা হয়। এসব বৃক্ষের মধ্যে আকাশ মনি, শিশু গাছ, রেন্ডি কড়াই ও বাবলা বৃক্ষ রয়েছে।
গত ১৫ বছরে চরাঞ্চলের উর্বর ভূমিতে বেশিরভাগ বনজ বৃক্ষগুলো ভারী হয়ে ওঠেছে। কিন্তু পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে বনায়নটি গড়ার ফলে প্রতি বছর স্থানীয় জেলেরা এবং গৃহস্থ্যরা উক্ত বনায়নের ডালপালা কেটে উজার করলেও কেউ তদারকি করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি ওই চরের প্রভাবশালী ফেরদৌস খান বনায়ন ঘেষে খালের মধ্যে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বনায়নটি ধ্বংসের পাঁয়তারায় মেতে উঠেছেন বলে অভিযোগ করে এলাকাবাসী।
চরের বাসিন্দা আসলাম শেখ বলেন, 'চরাঞ্চলের বেশিরভাগ জায়গা জমি ওই ড্রেজার মালিকের দখলে। ফেরদৌস খানের এসকল অবৈধ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে আমরা আর এই চরে বসবাস করতে পারব না। তাই সকলেই মুখ বুঝে মেনে নিয়েছি।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চরাঞ্চলের এক বাসিন্দা বলেন, ওই প্রভাবশালী চরের সরকারি জমি দখল করে রেখেছে। আমরা ভয়ে কোনো প্রতিবাদ করি না। এর আগে এক ব্যাক্তি প্রতিবাদ করায় তাকে মারপিট করেছিল প্রভাবশালী ফেরদৌস খান। এ কারণে এখন আর কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলে না।
তিনি বলেন, যেভাবে সরকারি বনায়নের পাশে খালের মধ্যে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, তাতে বর্ষা মৌসুমে বনায়নের অনেকাংশই ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যাবে। বন বিভাগের লোকজন এখানে না আসায় আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ফেরদৌস খান।
এ ব্যাপারে ড্রেজার মালিক ফেরদৌস খান বলেন, ‘সরকারি বনায়ন ঘেষে খালের মধ্যে আমাদের নিজস্ব জায়গায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু মাটির ব্যবসা করছি, তাতে কারো কোনো আপত্তি থাকার কথা না।
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার সবচেয়ে বৃহৎ বনায়নটি পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের বিস্তৃর্ণ ভূমিতে গড়ে উঠার কারণে উপজেলার সামাজিক বনায়ন বিভাগের কেউ সেটি তদারকি করতে যান না। ফলে ওই এলাকার প্রভাবশালীরা উন্মুক্ত সামাজিক বনায়নটি নিজেদের প্রয়োজনে উজার করে চলেছেন।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, সরকারি বনায়ন ঘেষে খালের মধ্যে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে সেখানে আমি কি করব?
তিনি বলেন, 'ওই সরকারি বনায়নে আমি একবার গিয়েছিলাম। দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় আর যাওয়া হয়নি।'
৩ বছর আগে
কক্সবাজারে পাহাড় থেকে পড়ে বন্য হাতির মৃত্যু
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে পাহাড় থেকে পড়ে একটি বয়স্ক মাদি (নারী) হাতির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ঈদগাঁও রেঞ্জ এর পানেরছড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঈদগাঁও রেঞ্জ'র পানেরছড়া নামক ঢালায় গতকাল রাতে হাতির একটি পাল আসে।
তার মধ্যে এটি বয়স্ক মাদি হাতি পাহাড়ের উচু থেকে পা পিছলে নিচে সড়কে পড়ে গেলে মাথা আঘাত পাওয়ায় তখনি হাতিটি মারা যায়।
খবর পেয়ে ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসেন খান ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মঙ্গলবার সকালে পশু চিকিৎসকের মাধ্যমে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যহাতির আক্রমণে বৃদ্ধা নিহত
স্থানীয় বাসিন্দা ছিদ্দিক জানান, রাতে বেশ কয়েকটি হাতি পানেরছড়া এলাকায় এসেছিল। এই হাতির পাল প্রায় সময় এই দিকে আসে। খুব সম্ভবত বয়স্ক মাদি হাতি হওয়াতে পাহাড় থেকে পড়ে মারা গেছে।
ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসেন খাঁন জানান, রাত ১টার দিকে পানেরছড়া এলাকায় পাহাড় থেকে পা পিছলে হাতি পড়ে গেছে এমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বয়স্ক হাতিটি মারা গেছে। পরদিন সকালে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম জানান, একটি বয়স্ক হাতি ঈদগাঁও পানেরছড়া এলাকায় পড়ে আছে খবর পেয়ে ঈদগাঁও রেঞ্জ ও কক্সবাজার অফিস থেকে একটি বিশেষ টহলটিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে হাতিটি মারা গেছে।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে হাতিটি কিভাবে মারা গেছে।’
‘প্রাথমিকভাবে ধারণা কার হচ্ছে বয়স্ক মাদি হাতি হওয়াতে পাহাড়ে চলাচলের সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে,’ বলেন তহিদুল ইসলাম।
৩ বছর আগে
একদিনের ব্যবধানে ভেসে এলো আরও একটি মৃত তিমি
একদিনের ব্যবধানে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে আরও একটি মৃত তিমি ভেসে এসেছে।
শনিবার ভোরে এই মৃত তিমি সৈকতের বালুচরে দেখতে পায় স্থানীয়রা।
পরে জেলা প্রশাসন, বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিমিটির প্রাথমিক তদন্ত করেন। এই সময় তারা তিমিটির মাপ, ওজন নির্ণয় করেন। সেই সাথে তিমিটির শরীরে আঘাত আছে কিনা তা দেখেন।
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশরাফুল হক জানান, এই তিমিটিও এর আগের দিন পাওয়া তিমির প্রায় সমান সাইজ। ওজন প্রায় আনুমানিক আড়াই টন। এটি ৪৬ ফুট দৈর্ঘ্য , ডায়া (প্রস্থ) ২০ ফুট ও উচ্চতা ৯ ফুট। আগের দিনের তিমিটি ৪৪ ফুট দীর্ঘ ও ২৬ ফুট ডায়া ছিল।
এর আগে, ৯ এপ্রিল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মেরিনড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি সৈকতে ভেসে এসেছে বিশালাকৃতির মৃত তিমি। তখনো পুরোপুরি জোয়ারের পানি নেমে যায়নি। জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার পর পূর্ণ ভাটায় সাগরের বালুতটে পড়ে থাকা মৃত তিমি স্পষ্ট দৃশ্যমান হয়। আনুমানিক ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী এ তিমি দুইটি হয়তো সপ্তাহ পূর্বে মারা গেছে বলে জানান মেরিন লাইফ বিশেষজ্ঞ জহিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে ভেসে উঠেছে বিশালাকৃতির মৃত নীল তিমি
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কক্সবাজারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুরর রহমান জানান,এই দুইটি নীল তিমি নয়। এরা কুঁজো (হাম্পব্যাক হোয়েল) তিমি। বিশ্বেএই কুঁজো তিমি বিরল। বিরল প্রজাতির এই তিমি মহাসাগরে বিচরণ করে। দলবেঁধে বিচরণ করাই তাদের স্বভাব। একে অপরের প্রতি তাদের খুব মায়া মমতা থাকে।
তিনি ধারণা করেন, এই তিমি দুইটি দলছুট হয়ে যাওয়ায় মৃত্যু হয়। এরা খুব অভিমানি হয় তাই তাদের দল থেকে বের করে দেয়ায় এই তিমি হয়তো আত্মহত্যা করেছে। নিজেদের বিচরণ স্থান ত্যাগ করে খাদ্য গ্রহণ না করাসহ নানা বিপদের সম্মুখীন হয়ে মৃত্যু হতে পারে। বাংলাদেশের জলসীমার বাইরে মৃত্যু হয়ে পরে বঙ্গোপসাগর হয়ে কক্সবাজারের হিমছড়িতে ভেসে এসেছে।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু ধারণা করে বলেন, সাগরে কোনো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই তিমি দুইটির মৃত্যু হতে পারে। অথবা বড় কোনো জাহাজ থেকে ফেলা বিস্ফোরক দ্রব্য খেয়ে তাদের মৃত্যু হতে পারে। এছাড়া সাগরে পরিবেশ দূষণের কারণে এসব জলজ প্রাণীর মৃত্যু হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ভেসে আসা বিশাল আকারের এই দুইটি তিমি পঁচে গন্ধ ছড়াচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি মাটিতে পুঁতে ফেলা না হলে দুর্গন্ধে পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। তিনি তার আগে তিমি দুইটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের দাবি জানান।
কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান বলেন, এ প্রজাতির তিমি আমাদের বঙ্গোপসাগরে রয়েছে। বিশেষ করে সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এসব তিমি দেখা যায়।
তিনি বলেন, 'মৃত তিমিটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে কি কারণে মারা গেছে সেটি জানা যাবে ময়নাতদন্তের পর।'
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ মৃত তিমি পরিদর্শন শেষে বলেন, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি করে মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করা হবে। তবু কোন কারণে তিমি দুইটি মারা গেছে, তা নির্ণয়ের চেষ্টা করা হবে।
৩ বছর আগে
সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনায় সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বনবিভাগ।
শুক্রবার থেকে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। তবে মৌয়াল বা জেলেরা এ নিষেধাজ্ঞার বাহিরে থাকবে।
খুলনা সার্কেলের বনসংরক্ষক মো. মঈনুদ্দিন খান জানান, করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একে একে সবগুলো পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সুন্দরবনের পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: করোনা: অনির্দিষ্টকালের জন্য মিরপুর ও রংপুর চিড়িয়াখানা বন্ধ
তিনি জানান, সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম জোন মিলিয়ে সাতটি পর্যটন স্পট রয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমে দুটি ও পূর্বে পাঁচটি স্পট অবস্থিত। এগুলো সবই আজ থেকে বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
বনসংরক্ষক মো. মঈনুদ্দিন খান জানান, প্রতি বছর দেশি-বিদেশি প্রায় ২ লাখ পর্যটক সুন্দরবনে ঘুরতে আসেন। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছরও সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ছিল। তারপরও গতবছর ১ লাখ ৭২ হাজারের মতো পর্যটক এসেছিল। মূলত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটনের মৌসুম। এ সময়ে সুন্দরবনে পর্যটকরা বেশি আসে। সেটি মার্চ পর্যন্ত গড়ায়।
আরও পড়ুন: সব পর্যটন স্পট ২ সপ্তাহ বন্ধের ঘোষণা সিলেটে
৩ বছর আগে