ভোমরা স্থলবন্দর
শ্রমিকদের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ভোমরা স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ
ব্যবসায়ীরা শ্রমিকদের দাবিকৃত লেবার বিল দিতে রাজি না হওয়ায় ও শ্রমিক কর্তৃক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের মারধরের ঘটনায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রবিবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে স্থলবন্দরে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হাদিউজ্জামান বাদশা জানান, শনিবার অযৌক্তিক দাবিতে হঠাৎ করে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। শনিবার সন্ধ্যায় ভারত থেকে বন্দরে আসা একটি ফলবাহী ট্রাক থেকে কিছু পণ্য অন্য ট্রাকে লোড করছিলেন আন্দোলন না মানা কিছু শ্রমিক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা। এ সময় অপর পক্ষের শ্রমিকরা তাদের ওপর হামলা করেন।
তিনি বলেন, ওই ঘটনায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের দু’জন সদস্য গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তারা হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনার সঠিক বিচার ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমরা কলম বিরতির ঘোঘণা দিয়েছি।
ভোমরা স্থলবন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের এক পক্ষের নেতা হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা পণ্য খালাস বাবদ ট্রাক প্রতি ১২শ টাকা দাবি করে গতকাল কাজ বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা আমাদের কিছু শ্রমিককে সঙ্গে নিয়ে কয়েকটি ট্রাক থেকে নিজেরাই পণ্য খালাস শুরু করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদের বাধা দিলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এজাজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, প্রতি ট্রাক পণ্য খালাসে লেবার বিল বাবদ ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়। তবে শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা ১১শ টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি হয়েছি। ৪টি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে ২টি সংগঠন এটি মেনে নিয়ে গতকাল কাজ শুরু করে। কিন্তু অপর দুটি সংগঠনের শ্রমিকরা ১২শ টাকা দাবি করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে গতকাল বিকালে হঠাৎ করে কিছু শ্রমিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের মারধর করেছে। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, শনিবার বিকালে বন্দরের ভেতরে প্রবেশ করে কর্মরত এক পক্ষের শ্রমিক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের মারধর করে কাজ বন্ধ করে দেয় অন্য পক্ষ। ওই ঘটনায় আজ সকাল থেকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা কলম বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আহত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
আরও পড়ুন:বেশি পারিশ্রমিকের চেয়ে ভালো কাজের গুরুত্ব সবসময় বেশি: সুনেরাহ
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক: চা-শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ
ঈদের ছুটি শেষে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর বুধবার সকাল থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। এর ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে।
এর আগে গত ৮ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত টানা পাঁচদিন ঈদের ছুটিতে বন্দরের সকল ধরনের আমাদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিলো। তবে, এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করেছেন।
ভোমরা স্থলবন্দর সি অ্যান্ড এফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাকসুদ খান জানান, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট কার্গো অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যৌথ আলোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে গত ৮ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত টানা পাঁচদিন দুই দেশের বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ছুটি শেষে আবারও দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়েছে।
ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার আমীর মামুন জানান, টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর আবারও বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দর দিয়ে প্রায় তিনশ’ থেকে সাড়ে তিনশ’ পণ্যবাহী ট্রাক এই বন্দরে প্রবেশ করে।
ভোমরা স্থলবন্দর থেকে প্রতিদিন বাংলাদেশ সরকারের দুই কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয় বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু
ঈদ: সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
নির্বাচন ও দুর্গাপূজা: ভোমরা স্থলবন্দর টানা ৫ দিন বন্ধ
শারদীয় দুর্গাপূজা ও কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের আমাদানি-রপ্তানি কার্যক্রম টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) থেকে আগামী ১৬ অক্টোবর (শনিবার) পর্যন্ত বন্ধ থেকে আগামী ১৭ অক্টোবর (রবিবার) থেকে আবারও বন্দরের আমাদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
তবে, এই সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভোমরা স্থলবন্দরে ট্রাক থেকে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ
ভোমরা স্থল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ১২ অক্টোবর থেকে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত টানা চার দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের একটি পত্রের মাধ্যমে জানিয়েছেন ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কার্গো ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সে দেশের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলে কার্যত ভোমরা বন্দরেরও কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ২ মাস পর ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু
এছাড়া, আগামী ১৬ অক্টোবর (শনিবার) ভোমরা স্থলবন্দর কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের কারণে সে দিনও বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান।
ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এই সময়ে বন্দর দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভোমরা স্থলবন্দরে শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সরবরাহ
ভোমরা স্থলবন্দরে ট্রাক থেকে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ব্যবসায়ীরা দু’বার লেবার বিল দিতে রাজী না হওয়ায় ট্রাক থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো বন্ধ রয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাসে লেবারদের না ডাকায় এ অচলাবস্থা তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: ভোমরা বন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভোমরা স্থলবন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ট্রাক প্রতি লেবার ঠিকাদাররা তাদের বিল দেন ৩৮০ টাকা। প্রায় ৪০ টন পণ্য খালাসে এই টাকা তাদের কাছে কিছুই না। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় শ্রমিকদের। এতদিন ট্রাক প্রতি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বকশিস দিতেন ব্যবসায়ীরা। এই বখশিসের টাকা বন্ধ করে দেয়াতে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়া সকাল থেকে তাদের কোনো দলকে কাজে ডাকাও হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ২ দিন ধরে ভোমরা বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ
এব্যাপারে ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, প্রতি টন পণ্য খালাসে ৭২ টাকা করে পরিশোধ করতে হয় ব্যবসায়ীদের। এর সাথে লেবারদের ট্রাক প্রতি বকশিস দিতে হয় ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। বাড়তি এই বকশিসের টাকা দেয়া সম্ভব নয় বিধায় তারা লেবার ডাকা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ভোমরা বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় পেঁয়াজের ১৫০ ট্রাক
ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু, কমছে দাম
দেশে সাড়ে তিন মাস ধরে আমদানি বন্ধ থাকার পর শনিবার পুনরায় ভারতীয় পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে।
ভোমরা স্থলবন্দরে ফের আমদানি-রপ্তানি শুরু
সনাতন ধর্মাবলম্বী বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আবারও শুরু হয়েছে।
ভোমরা দিয়ে ৪ দিন পর আবার পেঁয়াজ আসা বন্ধ
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বুধবার কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।
ভোমরা দিয়ে আসা পেঁয়াজের অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গত তিন দিনে ৯২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে, ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে ট্রাক আটকে থাকায় এসব পেঁয়াজের অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে।
ভোমরা দিয়ে ২ দিনে এসেছে ৮২৯ টন পেঁয়াজ
ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত দুই দিনে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে মোট ৮২৯ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে।
দেশে আসতে শুরু করেছে ভারতীয় পেঁয়াজ
ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে কেনা পেঁয়াজের চালান শনিবার বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আসতে শুরু করেছে।