ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব
ডেঙ্গু সম্পর্কে ১০টি প্রচলিত ধারণা: জেনে নিন সঠিক তথ্য
সুনির্দিষ্ট অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে শুরু হওয়া ডেঙ্গু মহামারি এখন একটি বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ। এই মহাসংকটের ভেতরে আবার সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু ও এর চিকিৎসা নিয়ে নানা ধরনের ভুল ধারণা।
সরাসরি চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হয়ে অনেকেই নির্ভর করা শুরু করেছেন এই প্রচলিত ধারণাগুলোর ওপর। এই বিপথগামীতার সাপেক্ষে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে অবিলম্বে গণসচেতনা সৃষ্টি। এই সচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে চলুন জেনে নেওয়া যাক, ডেঙ্গু সম্পর্কে ১০টি প্রচলিত ধারণা।
ডেঙ্গু নিয়ে ১০টি ভুল ধারণা
ডেঙ্গু ছোঁয়াচে রোগ
এই ভুল ধারণার কারণে অধিকাংশ মানুষই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলেন। কিন্তু ডেঙ্গু সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে অন্য কোনো ব্যক্তি এলে তিনি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হন না। ডেঙ্গু রোগ মূলত ডেঙ্গু বা ডেঙ্গি ভাইরাস বহনকারি এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়।
তবে সংক্রামিত গর্ভবতী মায়ের থেকে ভ্রূণে চলে যেতে পারে এই ভাইরাস। এছাড়া রক্ত ও অঙ্গদানের মাধ্যমেও এই স্থানান্তরটা হতে পারে। তবে এরকম সংক্রমণের দৃষ্টান্ত বিরল।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, নির্ণয়ের প্রক্রিয়া, চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
ডেঙ্গু শুধু গ্রাম এলাকা বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে হয়
গ্রামাঞ্চলে খেত-খামার, বন-জঙ্গলের আধিক্যের কারণে অনেকেই এরকমটা ভেবে থাকেন। এছাড়া উন্নত দেশগুলোর তুলনায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বেশি দেখা যায়। তাই বলে উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় কম ডেঙ্গু ঝুঁকিপূর্ণ হবে, ব্যাপারটি তা নয়। উন্নত দেশগুলোতে দ্রুত চিকিৎসা নেয়ার সুবিধা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা থাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপটা কম বলা যেতে পারে।
প্রকৃতপক্ষে শহর-গ্রাম উন্নত বা উন্নয়নশীল দেশ; যে স্থানই হোক না কেন, ডেঙ্গু ভাইরাস বাহিত এডিস মশা রয়েছে এমন যে কোনো স্থানই ঝুঁকিপূর্ণ।
শুধুমাত্র শিশু ও বয়স্কদের ডেঙ্গু হয়
শিশু আর বৃদ্ধরাই শুধু ডেঙ্গুর শিকার হয়- তা যে একদম অমূলক তা সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোতেই প্রমাণ পাওয়া যায়। আসলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য বয়স কোনো কারণ নয়। এখানে মূল বিষয়টি হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। অনেক বয়স্ক লোকদের মধ্যেও বেশ ভালো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখা যায়। অন্যদিকে, এই ক্ষমতার দিক দিয়ে দুর্বল হওয়ার কারণে যৌবনে পদার্পণকারি সুঠাম দেহের মানুষও ডেঙ্গুর শিকার হতে পারেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধ: বাড়িকে মশামুক্ত রাখার প্রাকৃতিক উপায়
যে কোনো মশা কামড়ালেই ডেঙ্গু হয়
এটি একদমই ভুল ধারণা। ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে এডিস ইজিপ্টি (Aedes aegypti) ও এডিস অ্যালবোপিকটাস (aedes albopictus) নামক প্রজাতির স্ত্রী মশা। এই এডিস ইজিপ্টি প্রজাতিটি অনেক বড়। এদের পা বা উপাঙ্গুলোতে সাদা দাগ থাকে।
ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে এই মশা কামড়ালে এটি সেই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়। এ অবস্থায় প্রায় এক সপ্তাহ বা তার পরে মশাটি কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ালে তার ডেঙ্গু রোগ হবে।
ডেঙ্গু মশা শুধু দিনেই কামড় দেয়
ডেঙ্গু ছড়ানো মশা দিনের বেলায় সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। বেশিরভাগ সময় সূর্যোদয়ের দুই ঘণ্টা পরে এবং সূর্যাস্তের কয়েক ঘণ্টা আগে। কিন্তু তাই বলে যে এগুলো রাতে কামড়ায় না- এমনটি নয়।
রাতের বেলা সাধারণত অফিস, মল এবং ইনডোর অডিটোরিয়ামের ভেতরে অধিক আলোকিত জায়গায় এই মশার উৎপাত বেশি থাকে।
আরও পড়ুন: মশা কেন আপনাকেই কামড়ায়?
ডেঙ্গু জীবনে কেবল একবারই হয়
অনেকেই ভেবে থাকেন যে, যার একবার ডেঙ্গু হয়েছে তার আর কখনো ডেঙ্গু হবে না। এটি একদমই সঠিক নয়।
ডেঙ্গু ভাইরাস চার ধরনের হয়ে থাকে। এগুলোকে ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ এবং ডেন-৪ নামে চিহ্নিত করা হয়। এখানে ডেন-১ কামড়ানোর পর সংক্রমিত ব্যক্তি সঠিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে গেলে তিনি ডেন-১ থেকে অনাক্রম্যতা পাবেন। কিন্তু পরবর্তীতে ডেন-২-এর কামড় খাওয়ার পর তিনি আবার সংক্রমিত হয়ে যাবেন। অর্থাৎ সুস্থ হওয়ার পর এক ধরনের মশা থেকে রক্ষা পেলেও অন্যান্য ধরণগুলোর জন্য ঝুঁকি থেকে যাবে। তাত্ত্বিকভাবে বিবেচনা করলে, এভাবে জীবনে ৪ বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ছাগলের দুধ, গিলয় ও পেঁপে পাতার রস খেলে ডেঙ্গু নিরাময় হয়
ছাগলে দুধ, গিলয় ও পেঁপে পাতার রসের বিপুল স্বাস্থ্যগুন থাকায় অনেকেই এরকমটা দাবি করেন। কিন্তু ডেঙ্গুর নিরাময়ে এদের সরাসরি কোনো ভূমিকা নেই।
পেঁপের রস প্লাটিলেট উৎপাদনে সাহায্য করতে পারে। তবে তা অনেক অল্প পরিমাণে এবং এটি কোনো তাৎক্ষণিক প্রক্রিয়া নয়। বিশেষজ্ঞদের নির্দেশনা অনুসারে ওষুধের পাশাপাশি সম্পূরক হিসেবে ছাগলের দুধ, পেঁপে বা গিলয়ের নির্যাস খাওয়া যেতে পেতে পারে। তবে ডেঙ্গু নিরাময়ের জন্য পুরোপুরি এগুলোর উপর নির্ভর করা যাবে না।
আরও পড়ুন: শিশুকে ডেঙ্গু থেকে রক্ষার উপায়
এমনকি কিছু ক্ষেত্রে এগুলো উল্টো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। পেঁপে এবং গিলয়ের রস খেলে গ্যাস্ট্রিক এবং বমি হতে পারে। ডেঙ্গুর সময় এই বমি বা বমি ভাব এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসকগণ প্লাটিলেটের হ্রাস-বৃদ্ধি তদারক করে থাকেন। এ সময় শরীরের অভ্যন্তরে অতিরিক্ত চাপ-সৃষ্টি হয়- এমন বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
১ বছর আগে
ডেঙ্গু প্রতিরোধ: বাড়িকে মশামুক্ত রাখার প্রাকৃতিক উপায়
সাম্প্রতিক ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গ্রাম ও শহর সব পরিবেশেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাসায়নিক প্রতিরোধে দ্রুত সমাধান মিললেও অনেকেই খুঁজছেন তার নিজ বাড়িকে মশা মুক্ত রাখার প্রাকৃতিক উপায়। এই নির্দেশিকাটিতে রোগ-জীবাণু বহনকারী মশা থেকে পরিত্রাণ পেতে কিছু ব্যবহারিক কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হবে। চলুন, আপনার আশ্রয়টিকে মশামুক্ত রাখার জন্য এমন কিছু উপায় জেনে নেওয়া যাক, যেখানে আপনার স্বাস্থ্য ও চারপাশের পরিবেশ দুই-ই ভালো থাকবে।
বাড়িকে মশামুক্ত রাখার ১০টি প্রাকৃতিক উপায়
জমে থাকা পানি ফেলে দেওয়া
মশা যে কোনো স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় জমে থাকা স্থির পানিতে বংশবিস্তার করে। তাই আপনার বাড়ির চারপাশে উন্মুক্তভাবে জমে থাকা পানির উৎসগুলো নির্মূল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য ফুলের পাত্র, পোষ্য প্রাণির ঘরে থাকা পাত্রের মতো যাবতীয় পানির পাত্রগুলো নিয়মিত খালি ও পরিষ্কার করতে হবে।
এখানে বিশেষ নজর দিতে হবে নর্দমার দিকে, যেন মশা ডিম পাড়তে না পারে। পুকুর বা ফেলে দেওয়া জিনিসগুলোতে জমে থাকা খুব অল্প পরিমাণ পানিও মশার প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করতে পারে।
প্রয়োজনীয় সতর্কতা
- মশার ডিম বা ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শ রোধ করার জন্য জমে থাকা পানি অপসারণের সময় প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ও গ্লাভস পরুন।
- স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় পা পিছলে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সম্ভাব্য মশার প্রজনন স্থান, বিশেষ করে নর্দমার মতো জায়গাগুলো থেকে পানি সরানোর সময় সতর্ক থাকুন।
মশা প্রতিরোধকারী ফ্যান ও আলোর ব্যবহার
মশা তাড়ানোর এক্সস্ট ফ্যানের শক্তিশালী বাতাস মশা ও অন্যান্য পোকামাকড়কে বাড়ির কাছাকাছি উড়তে দেয় না। বায়ু প্রবাহের এই প্রতিরক্ষামূলক বেষ্টনীটি বাড়ির বাইরে কাছাকাছি এলাকায় কৌশলে স্থাপন করুন।
পাশাপাশি বাড়ির আঙ্গিনায় ব্যবহৃত আলোতে হলুদ বা এলইডি লাইট ব্যবহার করা মশা তাড়ানোর কার্যকারিতা আরও বাড়িয়ে দিবে। এ ধরনের আলো মশার কাছে কম আকর্ষণীয়। বাড়ির আশেপাশে যে জায়গায় মশা বেশি জড়ো হয় সে স্থানগুলোতে এই আলো স্থাপন করুন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬৭৮
প্রয়োজনীয় সতর্কতা
- ফ্যানগুলো এমন জায়গায় স্থাপন করুন যেন তা আপনার ও পরিবারের মানুষদের জন্য দুর্ঘটনার ঝুঁকির কারণ না হয়।
- লাইটগুলো মশা তাড়ানোর পাশাপাশি বাড়ির বাইরের নির্দিষ্ট এলাকায় আলো দিতেও কাজে লাগে। তাই এগুলোর ভালো মানের হওয়া উচিত। তাছাড়া কোনো ত্রুটি দেখা দিলে মেরামতের জন্য আপনার সহজসাধ্য হয় তা নিশ্চিত করুন। এ ধরনের ফ্যান ও লাইট উভয়ের ক্ষেত্রে দক্ষ টেকনিশিয়ানের সাহায্য নেওয়া উত্তম।
জানালায় পর্দা টাঙানো
মশাকে বাড়ির বাইরে রাখার জন্য জানালার পর্দা টাঙানো যেতে পারে। জানালা ও দরজাতে যেন কোনো রকম গর্ত বা ফাঁক না থাকে। মশা এবং অন্যান্য পোকামাকড়কে বাইরে রাখার জন্য নেট সবচেয়ে কার্যকর হতে পারে। কেননা এটি ঘরের ভেতর তাজা বাতাস চলাচল করতে দেয়। সন্ধ্যায় এবং ভোরবেলা যখন মশার উপদ্রব সবচেয়ে বেশি থাকে, তখন জানালাগুলোর পর্দা টেনে দিলে ভালো কাজ দিতে পারে।
প্রয়োজনীয় সতর্কতা
- নিয়মিত জানালার পর্দাগুলোর যত্ন নিন। অল্প ছেঁড়া বা গর্ত থাকলেও তা দ্রুত ঠিক করুন।
- বাতাস চলাচলে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন ধুলো অপসারণ করতে নিয়মিত পর্দা পরিষ্কার করুন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় বছরের সর্বোচ্চ ৫০০ জন হাসপাতালে ভর্তি
জানালা ও দরজায় মশা প্রতিরোধী নেট ব্যবহার
এটি আপনার ঘর থেকে মশা দূরে রাখার একটি কার্যকর প্রাকৃতিক পদ্ধতি। নেটের সূক্ষ্ম ছিদ্রগুলো শুধু মশার জন্য প্রতিবন্ধকতাই তৈরি করে না, ঘরের ভেতর তাজা হাওয়াও ঢুকতে বাধার কারণ হয় না। টেকসই নেটটি সঠিকভাবে স্থাপন করা হলে এর কার্যকারিতা থেকে সর্বোচ্চ উপকারিতা পাওয়া যাবে।
১ বছর আগে
নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩১ রোগী হাসপাতালে
এডিশ মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বাড়ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৮৬ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ৩০ জনই ঢাকা বিভাগের। ঢাকার বাইরে একজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুন: নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৯ রোগী হাসপাতালে
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি বর্তমানে ১৮৬ জনের মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১৪৫ জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে ৪১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬১০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে এক হাজার ৪২৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাছাড়া এই বছরে এখন পর্যন্ত একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রোধে বুধবার থেকে অভিযান শুরু: তাপস
তবে গত বছর দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এবং সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে মশাবাহিত এ রোগে তখন ১০৫ জন মারা যান।
২ বছর আগে
নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৯ রোগী হাসপাতালে
এডিশ মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বাড়ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত ১২১ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ২৯ জনই ঢাকা বিভাগের। ঢাকার বাইরে কোনো ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়নি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ২২ রোগী হাসপাতালে
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি বর্তমানে ১২১ জনের মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১১৩ জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে আট জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৩৭৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১২৫৪ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাছাড়া এই বছরে এখন পর্যন্ত একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রোধে বুধবার থেকে অভিযান শুরু: তাপস
তবে গত বছর দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এবং সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে মশাবাহিত এ রোগে তখন ১০৫ জন মারা যান।
২ বছর আগে
দেশে নতুন ২০ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
নতুন আক্রান্তের মধ্যে ১৯ জনই ঢাকা বিভাগে এবং ঢাকার বাইরে একজন হাসপালাতে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: রাজধানীর অর্ধশতাধিক এলাকায় চিরুনি অভিযান
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৫৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৫২ জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে একজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৪ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩৮১ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৩২৮ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাছাড়া এই বছরে এখন পর্যন্ত কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায়নি।
২ বছর আগে
ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন একজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্ত একজন ঢাকা বিভাগের।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৫ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে আটজন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ছয়জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে ভর্তি আছেন দুজন ডেঙ্গু রোগী।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৭ রোগী হাসপাতালে
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১৯৭ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১৮৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত মারা যায়নি।
২ বছর আগে
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ১১ জন হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১১ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৮৪ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় ৫১ জন ও ঢাকার বাইরে ৩৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা দক্ষিণ সিটি সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুমুক্ত হবে, আশা মেয়রের
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৩৬৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২৮ হাজার ১৮০ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১০৪ জন মারা গেছেন।
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়: কাদের
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
২ বছর আগে
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়নি।
৩ বছর আগে
হাসপাতালে ২৪ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন তিন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
৪ বছর আগে
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১৬ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ১৬ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
৪ বছর আগে