প্রিমিয়ার লিগ
গ্রীষ্মে প্রিমিয়ার লিগে ২ দফায় দলবদলের সিদ্ধান্ত
প্রতি বছরের মতো নয়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আসন্ন গ্রীষ্মে নির্ধারিত সময়ের আগেই শুরু হবে দলবদল। শুধু তা-ই নয়, গ্রীষ্মকালীন দলবদলে এবার দুই দফায় খেলোয়াড় দলে ভেড়ানোর সুযোগ পাবে ক্লাবগুলো।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের পরিবর্তিত ফরম্যাট ও সূচির কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ।
আগামী ১৫ জুন পর্দা উঠবে ক্লাব বিশ্বকাপের যা চলবে ১৩ জুলাই পর্যন্ত। অথচ প্রিমিয়ার লিগে গ্রীষ্মকালীন দলবদল সাধারণত শুরু হয় ১৪ জুন এবং তা চলে আগস্টের শেষ বা ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
চলতি মৌসুম থেকে নতুন আঙ্গিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগসহ উয়েফার প্রতিযোগিতাগুলোর পরিসর বাড়ানোর ফলে ইউরোপীয় ফুটবলের সূচি এমনিতেই ঠাঁসা। তার ওপর নেশন্স লিগ, ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচও অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফাঁকে ফাঁকে। সব মিলিয়ে ফুটবলারদের একদমই দম ফেলার জো নেই।
আরও পড়ুন: ক্লাব বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত: মুখোমুখি ভিনিসিউস-নেইমার
দুই ম্যাচের মাঝে শরীর পুনরুদ্ধারের পর্যপ্ত সময়ও অনেকে পাচ্ছেন না গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা। ফলে ইউরোপীয় লিগগুলোতে এ মৌসুমে বারবার দেখা যাচ্ছে চোটের ছোবল।
এ অবস্থায় লিগগুলোর মৌসুম শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হতে চলেছে ক্লাব বিশ্বকাপ। ফলে একদিকে যেমন খেলোয়াড়দের ছুটির সময়ে কাটছাঁট হবে, তেমনই কতজন খেলোয়াড় শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার মতো সুস্থ থাকবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই ক্লাব বিশ্বকাপ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত পরিসরে ক্লাবগুলোকে খেলোয়াড় কেনার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এ প্রস্তাবের ওপর প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো ভোট দেয়। তাতে দুই দফায় দলবদলের সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালের ভেন্যুতেই হবে ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫ জুন ক্লাব বিশ্বকাপ শুরুর আগে ১ থেকে ১০ জুন ছোট্ট পরিসরে দলবদল চলবে। এরপর দ্বিতীয় দফায় নিয়মিত গ্রীষ্মকালীন দলবদল অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জুন থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এ বিষয়ে গত বছরের অক্টোবরেই কথা ওঠে। সে সময় একটি অন্তর্বর্তী দলবদলের নিয়ম করার প্রস্তাব দেয় ফিফা। এতে করে ৩০ জুন যেসব খেলোয়াড়ের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে, তারা ফ্রি এজেন্ট হয়ে নতুন ক্লাবে ভিড়তে পারবেন বলে জানানো হয়।
সেই ঘোষণার পর এবার দলবদলের আঙ্গিকেই পরিবর্তন নিয়ে এলো প্রিমিয়ার লিগ।
২১ দিন আগে
ইউনাইটেডকে হারিয়ে ৩৫ বছর আগের স্মৃতি ফেরাল টটেনহ্যাম
জয়ের বিকল্প ছিল না চলতি মৌসুমে ভুগতে থাকা দুই দলেরই, তবে শেষমেষ জয় তুলে নিয়ে কোনোরকমে চাকরি বাঁচিয়েছেন আগ্নে পোস্তেকোগ্লু।
বলছি, টটেনহ্যাম হটস্পার ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কথা। টানা ব্যর্থতায় প্রিমিয়ার লিগের বড় দল হিসেবে খ্যাতিমান ক্লাবদুটির অবস্থা এ মৌসুমে বিপর্যয়কর। বারবার কোচ পরিবর্তন করেও ফল পাচ্ছে না ইউনাইটেড। এর মধ্যে আবার হটস্পারদের কাছে হেরে বসল তারা।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রিমিয়ার লিগে ২৫তম রাউন্ডের ম্যাচটি ১-০ গোলে হেরেছে রুবেন আমোরিমের শিষ্যরা।
চোট কাটিয়ে প্রায় এক মাস পর আজ টটেনহ্যামের শুরুর একাদশে থেকে খেলতে নামেন জেমস ম্যাডিসন। আর নেমেই জয়সূচক গোলটি করে নায়ক বনে গেছেন তিনি।
এই ম্যাচের আগে চোটের কারণে একাদশ সাজানোই কঠিন হয়ে পড়ে ইউনাইটেডের জন্য। যুবা দল থেকে ৮ খেলোয়াড়কে বেঞ্চে রেখে শিষ্যদের খেলতে পাঠান আমোরিম।
তবে ম্যাচের ত্রয়োদশ মিনিটেই টটেনহ্যামকে এগিয়ে নেন ম্যাডিসন। বক্সের ভেতর থেকে লুকাস বার্গভালের শট ইউনাইটেড গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা ঠেকালেও দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি তিনি। এরপর কাছ থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন ২৮ বছর বয়সী ইংলিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
এর আগে-পরে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড়রা, সুযোগ পেয়েছিল টটেনহ্যামও; তবে কেউই আর লক্ষ্যভেদ করতে না পারলে ১-০ গোলেই শেষ হয় ম্যাচ।
আরও পড়ুন: উলভসকে হারিয়ে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নিল লিভারপুল
এই জয়ের ফলে লিগে চলতি মৌসুমে ইউনাইটেডের বিপক্ষে দুই লেগই জিতল টটেনহ্যাম। সবশেষ ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে এই কীর্তি গড়েছিল উত্তর লন্ডনের দলটি।
এছাড়া চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিনবার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়ে সবগুলো ম্যাচই জিতল পোস্তেকোগ্লুর শিষ্যরা। ডিসেম্বরে লিগ কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ইউনাইটেডকে ৪-৩ গোলে হারিয়ছিল তারা।
এ নিয়ে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া ইউনাইটেড টানা দুটিসহ লিগে সবশেষ ১২ ম্যাচের ৮টিতেই পেল হারের তেতো স্বাদ (৩ জয়, ১ ড্র)।
এছাড়া লিগে প্রথম ২৫ ম্যাচের ১২টিই হেরেছে দলটি, যা ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম এমন ব্যর্থতার ঘটনা। ২৫ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৮টি জিততে পেরেছে তারা; সেটিও ক্লাবের ইতিহাসে সর্বনিম্ন জয়ের রেকর্ড।
অন্যদিকে, টটেনহ্যামের সময়টাও ভালো কাটছে না। এই জয়ের আগে লিগে সবশেষ ১১ ম্যাচের ৮টিই হারে তারা। কেবল ঘরের মাঠেই সাড়ে তিন মাস (১০৫ দিন) পর পেল জয়ের দেখা।
আরও পড়ুন: সিটিকে বিধ্বস্ত করে লিভারপুলের ওপর চাপ অব্যাহত রাখল আর্সেনাল
অবশ্য, ২৫ ম্যাচে ৯ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১২তম স্থানে উঠে এসেছে টটেনহ্যাম। সমান ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে ১৫তম স্থানে নেমে গেছে ইউনাইটেড।
২৫ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় রয়েছে লিভারপুল; দিনের অপর ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটনকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা। ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনালের অবস্থান দ্বিতীয়।
৫৯ দিন আগে
উলভসকে হারিয়ে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নিল লিভারপুল
চোটজর্জর দল নিয়েও লেস্টার সিটির বিপক্ষে জিতে লিভারপুলের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমিয়ে চারে নিয়ে এসেছিল আর্সেনাল। তবে নিজেদের ম্যাচটি জিতে সেই ব্যবধান আবারও সাতে নিয়ে গেছে লিভারপুল।
প্রিমিয়ার লিগের ২৫তম রাউন্ডের ম্যাচে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) অ্যানফিল্ডে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আর্নে স্লটের শিষ্যরা।
ম্যাচের প্রথমার্ধে লুইস দিয়াস ও মোহাম্মদ সালাহর দুই গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল শোধ করেন উলভসের মাথেউস কুনিয়া।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই উলভসকে চেপে ধরে লিভারপুল। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে তারা। তবে বারবার তাদের আক্রমণগুলো কাটা পড়ছিল উলভারহ্যাম্পটনের জমাট রক্ষণে। এভাবে মিনিট পনেরো চলার পর আর পেরে ওঠেনি ভিতর পেরেইরার শিষ্যরা। পঞ্চদশ মিনিট পড়তেই লুইস দিয়াসের গোলে এগিয়ে যায় অল রেডরা।
এ সময় দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে উঠে বাঁ পাশ থেকে বিপরীত দিক দিয়ে সঙ্গ দিতে দিতে এগোতে থাকা সালাহকে পাস দেন দিয়াস। এরপর বল নিয়ে সালাহ প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে পেনাল্টি স্পটের কাছাকাছি থাকা দিয়োগো জোতার উদ্দেশে ক্রস দেন। তবে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে তা চলে যায় বক্সের মধ্যেই বাঁ দিকে থাকা দিয়াসের কাছে। আর শরীর দিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে নিতে তিনি গোলপোস্টের ভেতর ঢুকে যান।
আরও পড়ুন: মেরিনোর জোড়া গোলে ব্যবধান কমাল আর্সেনাল
২২তম মিনিটে দুর্দান্ত জোতা-সালাহয় দ্বিতীয় গোলটি পেয়েই গিয়েছিল লিভারপুল, তবে কোনোমতে তাদের আটকে ব্যবধান বাড়তে দেননি উলভসের ডিফেন্ডাররা।
আক্রমণ অব্যাহত রেখে ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে পেনাল্টি পায় লিভারপুল, আর তা থেকে গোল করে দলের প্রত্যাশিত ব্যাবধান বাড়ান সালাহ।
দিয়াসের দৌঁড় অনুমান করে মাঝমাঠে নিজেদের অর্ধ থেকে বল বাড়ান এক সতীর্থ। এরপর প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন দিয়াস। এ সময় বল ধরতে ছুটে এসে ঝাঁপ দেন উলভস গোলরক্ষক হোসে সা, আর সঙ্গে সঙ্গে তার হাতে পা বেধে পড়ে যান দিয়াস। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এরপর ৩৭তম মিনিটে পানেনকা শটে ব্যবধান বাড়ান সালাহ।
এ নিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চলতি মৌসুমে তার গোলসংখ্যা হলো ২৮টি। আর অ্যাসিস্ট মিলিয়ে মোট ৪৭ গোলে অবদান রেখেছেন এই মিসরীয় তারকা।
প্রথমার্ধে আক্রমণ ও বলের দখলে পরিষ্কার ফেবারিট ছিল লিভারপুলই। তার ফলস্বরূপ দুটি গোলও আদায় করে নেয় তারা।
আরও পড়ুন: সিটিকে বিধ্বস্ত করে লিভারপুলের ওপর চাপ অব্যাহত রাখল আর্সেনাল
৬০ দিন আগে
মেরিনোর জোড়া গোলে ব্যবধান কমাল আর্সেনাল
আক্রমণভাগের বেশিরভাগ খেলোয়াড় চোটে পড়ায় জোড়াতালি দিয়ে দল সাজিয়ে লেস্টারের মাঠে খেলতে নামে আর্সেনাল। আর তার ফায়দা তুলে নিতে দারুণ লড়াইও চালায় রুড ফন নিস্টেলরয়ের শিষ্যরা। তবে শেষের দিকে রক্ষণ এলোমেলো হয়ে গেল তাদের, আর জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল আর্সেনাল।
কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে মিকেল আর্তেতার দলের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে লেস্টার সিটি।
আর্সেনালের পক্ষে দুটি গোলই করেন দলটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মিকেল মেরিনো।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে কয়েকবার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি দুই দল। প্রত্যেকেই মাত্র একটি করে শট লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয়। ফলে স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন না এনেই বিরতিতে যায় দুদল।
আরও পড়ুন: কোপা দেল রে: আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনালের সম্ভাবনা
বিরতি থেকে ফিরে গোল পাওয়ার চেষ্টা কিছুটা বাড়িয়ে দেয় লেস্টার। এর সঙ্গে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে আর্সেনালও। এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে আর্সেনালের ১৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ইথান নোয়ানেরির শট পোস্টে লাগে।
তবে এ ঘটনার পর বেশিক্ষণ জাল অক্ষত রাখতে পারেনি লেস্টার।
ম্যাচের ৮১তম মিনিটে লেস্টারের ডি-বক্সের বাইরে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে গোলমুখে ক্রস উড়িয়ে দিলে তা ফিরিয়ে দেন দলটির ডিফেন্ডাররা। এরপর ফিরতি বল ধরে ডানপাশে মেরিনোকে পাস দেন নোয়ানেরি। বল ধরে বক্সে ঢোকার মুখেই জায়গা করে নিয়ে দূরের পোস্ট বরাবর বাঁকানো শট নেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার, আর গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জড়িয়ে যায় জালে।
নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট আগে দ্বিতীয় গোলে আর্সেনালের জয় নিশ্চিত করেন মেরিনো।
নিজেদের বক্সের ভেতর থেকে নিউক্যাসলের আক্রমণ প্রতিহত করার পর বল ধরে দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে ওঠে আর্সেনাল। বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে মাঝমাঠ থেকে এগোতে থাকা লেয়ান্দ্রো ত্রোসাকে পাস বাড়ান রিকার্দো কালাফিওরি। এরপর ত্রোসা বাঁ দিকে মেরিনোর উদ্দেশে বাড়ালে তা ধরে বক্সে ঢুকে কাছের পোস্ট ঘেঁষে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
ফলে ড্রয়ের আশাটুকুও শেষ হয়ে যায় লেস্টারের। আর পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্তেতার শিষ্যরা।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের চূড়ায় থাকা লিভারপুলের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে চারে নামিয়েছে আর্সেনাল। ২৫ ম্যাচে ১৫ জয় ও ৮ ড্রয়ে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়েই রয়েছে আর্সেনাল। লিভারপুলের পয়েন্ট ৫৭, অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলেছে তারা।
আরও পড়ুন: আবারও সমতায় শেষ মাদ্রিদ ডার্বি, বার্সেলোনার হাসি
অন্যদিকে, চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই ভুগতে থাকা লেস্টার এ নিয়ে লিগে ১৬টি হারের স্বাদ পেল। ২৫ ম্যাচে মাত্র চার জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে টেবিলের ১৮ নম্বরে।
৬১ দিন আগে
ঝড়ের কারণে মার্সিসাইড ডার্বি স্থগিত
ডারাঘ নামের একটি ঝড় ধেয়ে আসায় এভারটন ও লিভারপুলের মধ্যকার মার্সিসাইড ডার্বি স্থগিত করা হয়েছে। এভারটনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গুডিসন পার্কে স্থানীয় সময় শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল লিভারপুল ও এভারটনের। কিন্তু সকাল থেকেই বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকায় ম্যাচটি আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে এভারটন ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে এভারটন জানিয়েছে, উভয় ক্লাবের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মার্সিসাইড পুলিশ ও লিভারপুল সিটি কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে একটি সভা হয়। সেখানেই নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়ায় ওই এলাকায় বসবাসকারীদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শও দিয়েছে মার্সিসাইড পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিটি-আর্সেনালের সঙ্গে লড়াই-ই করতে পারবে না চেলসি: মারেসকা
চলতি মৌসুম শেষে গুডিসন পার্ক ছেড়ে নবনির্মিত ‘এভারটন স্টেডিয়ামে’ উঠবে ক্লাবটি। ফলে প্রিমিয়ার লিগে এই ম্যাচটিই ছিল গুডিসন পার্কে শেষ মার্সিসাইড ডার্বি। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ম্যাচটি স্থগিত হয়ে গেল।
পরবর্তীতে কবে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ।
ঝড়ের কারণে এ সপ্তাহের বেশ কয়েকটি ক্রীড়া আয়োজন ভেস্তে গেছে। শনিবার অনুষ্ঠিত হতে চলা চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি ম্যাচও শুক্রবার স্থগিত করা হয়।
লিগে ১৪ ম্যাচে ১১ জয় ও ২ ড্রয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় রয়েছে লিভারপুল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চেলসির চেয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে তারা। অপরদিকে, চলতি মৌসুমে উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছে এভারটন। ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৫তম স্থানে রয়েছে ক্লাবটি।
লিভারপুলের পরবর্তী ম্যাচ আগামী মঙ্গলবার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে জিরোনার মুখোমুখি হবে আর্নে স্লটের দল। এরপর আগামী শনিবার অ্যানফিল্ডে ফুলহ্যামকে আতিথ্য দেবে তারা।
অন্যদিকে, এভারটনের পরবর্তী ম্যাচ আগামী শনিবার, প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের মুখোমুখি হবে শন ডাইসের শিষ্যরা।
১৩১ দিন আগে
ইউনাইটেড নিয়ে লক্ষ্যের কথা জানালেন আমোরিম
এক দশকের বেশি সময় ধরে ভুগতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হারানো ঐতিহ্য ফেরানোর গুরুদায়িত্ব পড়েছে তরুণ কোচ রুবেন আমোরিমের কাঁধে। আর দায়িত্ব নিয়েই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাবটি নিয়ে নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন এই কোচ।
পোর্তার পাঠ চুকিয়ে সোমবার ম্যানচেস্টারে পৌঁছেছেন আমোরিম। ইতোমধ্যে ক্লাবটির খেলোয়াড়, স্টেডিয়াম ও পরিবেশের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে তার। আগামী ২৪ নভেম্বর ইপসউইচ টাউনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ইউনাইটেড ক্যারিয়ার শুরু করবেন তিনি। তার আগে ক্লাবের আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকারে নিজের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন ৩৯ বছর বয়সী এই কোচ।
তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতার যে পর্যায়ে ইউনাইটেডের থাকার কথা, সেখানে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করব। আমার বিশ্বাস, অনেক কিছুতেই আমরা সাফল্য পেতে যাচ্ছি।’
১৩টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতিয়ে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ডাগআউট ছাড়ার পর গত ১১ বছরে পাঁচজন অভিজ্ঞ কোচ নিয়োগ দিয়েছে ইউনাইটেড। ডেভিড ময়েস, লুই ফন খাল, হোসে মরিনিয়ো, ওলে গুনার সোলশার ও এরিক টেন হাগের মতো বড় বড় নামের ওপর ক্লাব কর্তারা আস্থা রাখতে চাইলেও তাদের সে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি কেউই।
আরও পড়ুন: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ আমোরিম
এবার কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুতেই আলোচনার জন্ম দেওয়া তরুণ আমোরিমের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে রেড ডেভিলদের ব্যাটন। আর এমন সময় তিনি ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েছেন, যখন ১৯৮৬ সালের পর প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বাজে শুরু করেছে ইউনাইটেড। তবে এ নিয়ে কোনো অজুহাত দেখাতে চান না তিনি।
‘আমি জানি যে সবকিছু ঠিক করতে সময় প্রয়োজন। তবে আমাকে সময় দেওয়া হোক তা চাই না, বরং সময় আদায় করে নিতে চাই। জয়ের মাধ্যমেই তা করত হবে; মাঠের খেলা দিয়ে সময় আদায় করে নিতে হবে।’
১৫২ দিন আগে
অবশেষ জয়যাত্রা থামল সিটির
হারতে যেন ভুলেই গিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। গত মৌসুম থেকে টানা অপরাজিত থেকে আরও একবার প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা জাগাচ্ছিল ছিল তারা। তবে বোর্নমাউথের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের।
ভাইটাইলিটি স্টেডিয়ামে শনিবার সন্ধ্যায় প্রিমিয়ার লিগের দশ রাউন্ডের ম্যাচে সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বোর্নমাউথ।
ঘরের মাঠে ম্যাচের নবম মিনিটে আন্সো সেমেনিয়ো গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে বোর্নমাউথের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইভানিলসন। এরপর ৮০তম মিনিটে ইয়োশকো গেভার্দিওল একটি গোল শোধ করেন। পরে স্বাগতিকদের চেপে ধরেও হার এড়াতে ব্যর্থ হয়েছে গার্দিওলার দল।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত জয়ে নিজেদের রেকর্ড ছুঁয়েছে সিটি
চোটজর্জর দল নিয়ে এদিন সিটি খেলতে নামার পর শুরু থেকেই এই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে থাকে বোর্নমাউথ; যার ফলও তারা পেয়েছে। ম্যাচে শেষে একই কথা ঝরেছে গার্দিওলার কণ্ঠেও।
‘ম্যাচের রাশ বারবার টেনে ধরতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছি আমরা। আজকে ওদের (প্রতিপক্ষের) গতি ছিল অন্যরকম। আমরা চেষ্টা করেও ওই গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারিনি।’
এই হারে প্রিমিয়ার লিগে টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হরের মুখে দেখল সিটি। এটি অবশ্য লিগে সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড। গত ৫ অক্টোবর ফুলহ্যামকে ৩-২ গোলে হারিয়ে নিজেদেরই ৩০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড স্পর্শ করে দলটি। এরপর উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স ও সাউথহ্যাম্পটনের বিপক্ষে জিতে রেকর্ডটি আরও উঁচুতে তোলে তারা। তবে ৩২ ম্যাচ পর আর তা লম্বা করা হয়ে উঠল না গার্দিওয়ালার শিষ্যদের।
এই হারে লিগের পয়েন্ট টেবিলেও অবনমন হয়েছে সিটির। দশ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে তারা। আর একই দিন একই সময়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে ব্রাইটনকে হারিয়ে সিটির চেয়ে ২ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়ে শীর্ষে উঠেছে লিভারপুল।
আরও পড়ুন: নিউক্যাসলের বিপক্ষে হেরে পিছিয়ে পড়ল আর্সেনাল
দিনের অপর ম্যাচে নিউ ক্যাসলের মাঠে হেরে শিরোপার দৌড় থেকে খানকিটা পিছিয়ে পড়েছে আর্সেনাল। তবে চমক দেখিয়ে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে টেবিলের তিনে উঠেছে ইউলেন লোপেতেগির নটিংহ্যাম ফরেস্ট।
রবিবার একে অপরের মুখোমুখি হবে টটেনহ্যাম হটস্পার ও অ্যাস্টন ভিলা এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসি।
১৬৫ দিন আগে
নিউক্যাসলের বিপক্ষে হেরে পিছিয়ে পড়ল আর্সেনাল
সেই অক্টোবরের ১৯ তারিখ থেকে শুরু। ওইদিন থেকে দুঃস্বপ্নের শুরু আর্সেনালের। প্রিমিয়ার লিগে তখন থেকে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেললেও একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। উল্টো দুই ম্যাচ হেরে শিরোপার দৌড়ে হঠাৎ করেই খেই হারিয়ে ফেলল তারা।
নিউ ক্যাসলের মাঠে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের দশম রাউন্ডের ম্যাচটি ১-০ গোলে হেরেছে আর্সেনাল।
ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে আলেকজান্ডার ইসাকের চমৎকার এক হেডারে এগিয়ে যায় নিউক্যাসল, এরপর দুদলের কেউই আর লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। অবশ্য ম্যাচজুড়ে বল দখলে দাপট দেখালেও গোলে শট রাখতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে আর্সেনালের খেলোয়াড়রা। পুরো ম্যাচে মাত্র একটি শট লক্ষ্যে ছিল তাদের।
আরও পড়ুন: লেস্টারের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর শেষ সময়ের গোলে জিতল আর্সেনাল
এর ফলে, লিগে সবশেষ তিন ম্যাচের দুটিই হারল গানাররা, দুটিই প্রতিপক্ষের মাঠে। মাঝে লিভারপুলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করে তারা।
গত মৌসুমেও নিজেদের মাঠে আর্সেনালকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল দ্য ম্যাগপাইস।
অথচ চলতি মৌসুমের প্রথম সাত ম্যাচ অপরাজিত থেকে টেবিলের শীর্ষে আরোহণ করে সিটি-লিভারপুলদের সমানে টক্কর দিয়ে আসছিল আর্তেতার শিষ্যরা। শুধু তা-ই নয়, চলতি বছর প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ২৫ ম্যাচে আর্সেনালের হার ছিল কেবল একটি (বাকি ২১ ম্যাচে জয় ও ৩টিতে ড্র)।
এই হারে দশম রাউন্ড শেষে ৫ জয় ও ৩ ড্রয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে আর্সেনাল। আর সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে আটে নিউক্যাসল।
অপরদিকে, দশ রাউন্ডের খেলা শেষে শনিবার চমক দেখিয়েছে নটিংহ্যাম ফরেস্ট। একইদিনে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দশ ম্যাচের পাঁচটি জিতে ও চারটি ড্র করে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে উঠেছে ইউলেন লোপেতেগির দল।
অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলা অ্যাস্টন ভিলা ও চেলসির পয়েন্ট যথাক্রমে ১৮ ও ১৭। রবিবার স্ব স্ব ম্যাচে ইতিবাচক ফল আনতে পারলে নটিংহ্যামকে পেছনে ফেলে দেবে দুই দলই। সেক্ষেত্রে আরও পেছনে পড়ে যাবে আর্সেনাল।
১৬৫ দিন আগে
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে স্যার ফার্গুসনের
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে অবশেষে সম্পর্কচ্ছেদ হতে চলেছে ক্লাবটির ইতিহাসের সেরা ম্যানেজার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের। খরচ কমানোর অংশ হিসেবে তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্লাবটির মালিকদের অন্যতম অংশীদার স্যার জিম র্যাটক্লিফ।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দীর্ঘ ২৬ বছর (১৯৮৬-২০১৩) কোচিং করানোর পর থেকে ক্লাবটির বৈশ্বিক শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন ৮২ বছর বয়সী এই ফুটবলবোদ্ধা। তবে চলতি মৌসুম শেষে অবশেষে ইউনাউটেডের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হচ্ছে তার।
শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ইউনাইটেড থেকে প্রতি বছর ২৬ লাখ (২.৬ মিলিয়ন) পাউন্ড করে পারিশ্রমিক নিতেন স্যার ফার্গুসন। পাশাপাশি ক্লাবের পরিচালকের পদেও ছিলেন এই কিংবদন্তি কোচ।
তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে স্যার র্যাটক্লিফ ইউনাইটেডের শেয়ার কেনার পর থেকে ক্লাবের খরচ কমানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্লাবের আড়াইশ জনের বেশি কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার স্যার ফার্গুসনের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন হতে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
অবশ্য স্যার জিম র্যাটক্লিফের সঙ্গে স্যার ফার্গুসনের সরাসরি আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
খেলোয়াড়দের উন্নয়নে আরও বেশি বিনিয়োগ করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্লাবের একটি সূত্র।
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের গোলে ব্রাইটনের কাছে হারল ইউনাইটেড
গত মাসে ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তারা ১১৩ মিলিয়ন পাউন্ড লোকসানে আছে, যা প্রিমিয়ার লিগের তিন বছরের লোকসান সীমার (১১৫ মিলিয়ন পাউন্ড) খুব কাছাকাছি।
এ বিষয়ে ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিয়ম মানতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
১৮৪ দিন আগে
দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে আর্সেনালের অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত
প্রথমার্ধে আধিপত্য বিস্তার করেও জলের দেখা পেল না আর্সেনাল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে শুরুতেই গোল খেয়ে বসল তারা। তবে হতাশা ঝেড়ে ফেলে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে মিকেল আর্তেতার দল।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে সাউদ্যাম্পটনকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আর্সেনাল।
ম্যাচের সবকটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৫তম মিনিটে ফরোয়ার্ড ক্যামেরন আর্চারের গোলে এগিয়ে যায় সাউদ্যাম্পটন। এর তিন মিনিট পরই আর্সেনালকে সমতায় ফেরান কাই হাভার্টস। এরপর ৬৮তম মিনিটে গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির গোলে এগিয়ে যায় দলটি। আর ৮৮তম মিনিটে তৃতীয় ও শেষ গোলটি করেন আগের দুই গোলে অবদান রাখা বুকায়ো সাকা।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত জয়ে নিজেদের রেকর্ড ছুঁয়েছে সিটি
এই জয়ের পর ৭ ম্যাচে পাঁচটি জয় ও দুটি ড্রয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে আর্সেনাল। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে, এমনকি গোল ব্যবধান এক থাকার পরও দ্বিতীয় স্থানে সিটি; আর ৬ জয়ে ১৮ পয়েন্ট চূড়ায় লিভারপুল।
আজকের ম্যাচটি জিতে চলতি মৌসুমে নিজেদের অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত রাখল আর্সেনাল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দশ ম্যাচের কোনোটিতে হারের মুখে দেখেনি মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচ ড্র করা ছাড়া তারা জিতেছে বাকি সাতটি।
দশ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই ক্লিনশিট ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে আর্সেনাল। এই সময়ে প্রতিপক্ষের জালে ২২ বার বল পাঠিয়ে মাত্র ৭ গোল হজম করেছে গানাররা।
আরও পড়ুন: শীর্ষস্থান সংহত করার ম্যাচে আলিসনকে হারাল লিভারপুল
১৯৪ দিন আগে