বায়ার্ন মিউনিখ
বায়ার্নের শিরোপা জয়ের অপেক্ষা বাড়িয়ে দিল লেভারকুজেন
বুন্দেসলিগায় চলতি মৌসুমে ম্যাচ বাকি আছে আর তিনটি। এই সময়ে টেবিলের শীর্ষে আট পয়েন্টের ব্যবধান নিয়ে মাঠে নেমেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। নিজেদের ম্যাচটি জয় ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা বায়ের লেভারকুজেন পয়েন্ট হারালে আজই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত দলটি। কিন্তু জিতে বাভারিয়ানদের শিরোপা জয়ের অপেক্ষা বাড়িয়ে দিয়েছে শাবি আলোনসোর দল।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) মাইন্সের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতলেও এক মৌসুম পর ঘরের মাঠে শিরোপা উদযাপন-বঞ্চিত হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। এই ম্যাচে দলটির তিন গোলদাতা ছিলেন লেরয় জানে, মাইকেল অলিস ও এরিক ডায়ার।
এই জয়ে ৩১ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই রয়েছে বায়ার্ন। তবে তাদের কাছে এবার লিগ শিরোপা ছেড়ে দিতে হলেও শেষে এসে দলটিকে বাঁদর নাচ নাচাচ্ছে লেভারকুজেন।
আজ একই সময়ে ঘরের মাঠে আউগসবুর্গের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ভালো রকমের চ্যালেঞ্জ জানালেও লেভারকুজেনের মাঠ থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারেনি আউগসবুর্গ। হেরেছে ২-০ গোলে। ফলে বায়ার্নের সমান ৩১ ম্যাচে লেভারকুজেনের পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৬৭। আর তাতেই হতাশ হতে হয়েছে ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যদের। কারণ কাগজে-কলমে এখনও লিগে টিকে রয়েছে শাবি আলোনসোর দল।
শিরোপা জয় একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেলেও তাই আরও এক ম্যাচ অপেক্ষা করতে হবে কোম্পানির শিষ্যদের। আগামী ৩ মে লাইপসিগের মাঠে খেলতে যাবে বায়ার্ন। ওই ম্যাচে হার এড়ালেই এক মৌসুম পর ফের বুন্দেসলিগার শিরোপা স্পর্শ করার সুযোগ মিলবে জার্মানির সবচেয়ে সফলতম দলটির।
এর ফলে ক্লাব ক্যারিয়ারের প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ পেতে চলেছেন বায়ার্নের ইংলিশ তারকা স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন। এটি হতে চলেছে ১৬ বছরের পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে তার প্রথম দলীয় শিরোপা জয়।
টটেনহ্যাম হটস্পারের একাডেমিতে বেড়ে উঠে ২০০৯ সালে ক্লাবটির জার্সিতেই ক্যারিয়ার শুরু করেন ৩২ বছর বয়সী এই তারকা। এরপর বেশকিছু ব্যক্তিগত অর্জন হলেও ক্লাব হোক বা জাতীয় দল, দলীয় পর্যায়ে এখনও কোনো সাফল্যের দেখা পাননি তিনি।
টটেনহ্যামের প্রতি অনুগত থাকলেও ক্যারিয়ার শিরোপা-সমৃদ্ধ করতে ২০২৩ সালে ইংল্যান্ড ছেড়ে জার্মানিতে পাড়ি জমান তিনি। জার্মানির সফলতম ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দিলেও ২০২৩/২৪ মৌসুমে শিরোপা বঞ্চিত হন এই স্ট্রাইকার।
কেইন দলে ভেড়ার পর শাবি আলোনসোর অধীনে অভাবিতভাবে জ্বলে ওঠে বায়ের লেভারকুজেন এবং গত মৌসুমে ইতিহাস গড়ে ঘরোয়া সব শিরোপা পকেটে পুরে নেয় দলটি। ফলে দেশ, ক্লাব বদল করেও শিরোপা জয়ের স্বপ্ন আরও দীর্ঘায়িত হয় হ্যারি কেইনের।
তবে গত মৌসুমের ব্যর্থতা মুছে ফেলে চলতি মৌসুমে ফের স্বরূপে ফিরেছে বায়ার্ন মিউনিখ। নিজেদের সেরাটা উপহার দিয়ে চলেছেন কেইনও। আর সব ঠিক থাকলে আগামী শনিবারই হয়তো আরাধ্য শিরোপা ধরা দেবে তার হাতে।
৭ দিন আগে
বায়ার্নকে বিদায় করে সেমিফাইনালে ইন্টার মিলান
ইন্টারের ডেরা থেকে জয় নিয়ে যাওয়া যে ভীষণ কঠিন, তা জেনেও অদম্য উদ্যোমে সেই অসাধ্য সাধন করতে চেয়েছিলেন হ্যারি কেইন-থমাস মুলাররা। তবে শত চেষ্টা করেও সাফল্যের দেখা পাননি তারা। এগিয়ে যাওয়ার পর উল্টো পিছিয়ে পড়ে পরে ম্যাচ ড্র করলেও সামগ্রিক ফলাফলে পিছিয়ে থাকায় বিদায় নিতে হয়েছে বাভারিয়ানদের।
বুধবার রাতে ইতালির সান সিরো স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
তবে প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে বায়ার্নের ২-১ গোলের হারই দুই লেগের এই লড়াইয়ে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। আর ৪-৩ অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে উঠে গেছে সিমোনে ইনজাগির শিষ্যরা।
এদিন প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে পরিষ্কার এগিয়ে থাকলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় বায়ার্ন। ইন্টার মাত্র একটি শট লক্ষ্যে রাখলেও তা থেকে সফলতা পায়নি। ফলে স্কোরবোর্ড অপরিবর্তিত রেখেই বিরতিতে যায় দুদল।
বিরতি থেকে ফিরেই গোল করে দলকে অগ্রগামিতায় সমতায় ফেরান কেইন। তবে ৫২ মিনিটে করা ওই গোলের আনন্দ ম্লান হয়ে যায় ছয় মিনিট পরই। ম্যাচের ৫৮ ও ৬১তম মিনিটে যথাক্রমে লাউতারো মার্তিনেস ও বায়ার্ন ছেড়ে গত গ্রীষ্মে ইন্টারে যোগ দেওয়া বেনিয়ামিন পাভার্দ বল জালে পাঠালে চকিতে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে জার্মানরা।
ইন্টারের জার্সিতে এদিন প্রথম গোলের দেখা পান পাভার্দ, আর সেটিও তার পুরনো ক্লাবের বিপক্ষে। আর টানা পাঁচ ম্যাচ জালের দেখা পেয়ে ইন্টার খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড গড়ে ফেলেন লাউতারো। ক্লাবটির ইতিহাসের প্রথম কোনো খেলোয়াড় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করার কীর্তি গড়ল।
৭৬তম মিনিটে অবশ্য এরিক ডায়ার গোল পেলে ফের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বায়ার্ন, কিন্তু ইন্টারের অভেদ্য রক্ষণ আর সুযোগ পেলেই পাল্টা আক্রমণ দলটিকে অলআউট আক্রমণে উঠতে দেয়নি। ফলে গোলও আর পাওয়া হয়নি। এর ফলে হতাশা সঙ্গী করে ঘরে ফিরতে হয় ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যদের।
আর এর সঙ্গে শেষ হলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে থমাস মুলারের বর্ণিল এক অধ্যায়। বায়ার্ন মিউনিখে এটিই যে শেষ মৌসুম, তা তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন আগেই। এবার হেরে বিবর্ণ বিদায় নিতে হলো বছরের পর বছর ধরে বায়ার্নকে সেবা দিয়ে আসা এই সৈনিককে।
১৭ দিন আগে
টাইব্রেকারে হেরে লিভারপুলের বিদায়, শেষ আটে পিএসজি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বে দাপুটে পারফরম্যান্স দিলেও নকআউটে এসে নিজেদের হারিয়ে ফেলল লিভারপুল। প্রথম লেগে কোনোমতে জিতলেও ফিরতি লেগে আর পারল না। এরপর টাইব্রেকারেও হেরে বিদায় নিতে হলো আর্নে স্লটের দলকে।
অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে ইউরোপের এলিটদের প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে পিএসজির কাছে ১-০ গোলে হারে লিভারপুল। এরপর ১-১ অগ্রগামিতায় ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও ব্যবধান গড়তে ব্যর্থ হয় উভয় দল। পরে টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে লুইস এনরিকের দলের কাছে হেরেছে মার্সিসাইড কাউন্টির দলটি।
এর ফলে প্রথম পর্বের শুরুর দিকে তিনটি ম্যাচে হেরে এবং একটিতে ড্র করে যেখানে শেষ ষোলো খেলার সম্ভাবনাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল পিএসজির। নতুন বছরে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারাই টুর্নামেন্টের সেরা দলকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল।
অপরদিকে, টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচ হেরেই বিদায় নিতে হলো লিভারপুলের।
প্রথম লেগে ১-০ গোলে হারের পর জিততে মরিয়া হয়ে ফিরতি লেগে মাঠে নামে পিএসজি। শুরু থেকেই স্বাগতিকদের চেপে ধরে তারা। এর ধারাবাহিকতায় ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে গোল করে অগ্রগামিতায় দলকে সমতায় ফেরান উসমান দেম্বেলে।
আরও পড়ুন: ২৭ শট নিয়েও ব্যর্থ পিএসজি, লিভারপুলের বাজিমাত
এরপর দুই দলই চেষ্টা করেছে বেশ কয়েকবার, বারবার ভীতি ছড়িয়েছে প্রতিপক্ষের রক্ষণে, কিন্তু জয়সূচক গোলের দেখা আর পাওয়া হয়ে ওঠেনি। পরে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও অব্যাহত থাকে একই ধারা। শেষে টাইব্রেকারের দারস্থ হতে হয়।
টাইব্রেকারে প্রথম শটে উভয় দলই সফল হলেও লিভারপুলের পরের দুটি শট ঠেকিয়ে দেন জানলুইজি দোন্নারুম্মা। আর পিএসজি তাদের প্রথম চারটি শটের সবগুলো গোলে পরিণত করলে ৪-১ ব্যবধানে তাদের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
এখন আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে চলা ক্লাব ব্রুজ ও অ্যাস্টন ভিলার মধ্যকার ম্যাচটির দিকে তাকিয়ে থাকবে এনরিকের শিষ্যরা। যদিও প্রথম লেগে ৩-১ গোলে এগিয়ে থাকায় ভালো অবস্থানে রয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলা, তারপরও দুই লেগ মিলিয়ে বিজয়ী দলটির সঙ্গে আগামী ৮ বা ৯ এপ্রিল কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে মাঠে নামবে প্যারিসের দলটি।
দিনের অপর ম্যাচে বেনফিকাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৪-১ অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। এছাড়া ২-০ গোলে জিতে অগ্রগামিতায় ৫-০ ব্যবধানে লেভারকুজেনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
আরও পড়ুন: লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
শেষ আট নিশ্চিত করেছে ইন্টার মিলানও। ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ডে বিপক্ষে ফিরতি লেগে ২-১ গোলে জিতেছে সিমোনে ইনজাগির দল। এর ফলে ৪-১ অগ্রগামিতায় পরের ধাপে পৌঁছেছে মিলানের দলটি। ৮ বা ৯ এপ্রিল সেমিফাইনালের লড়াইয়ে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখকে।
৫২ দিন আগে
দুর্দান্ত বায়ার্নের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল লেভারকুজেন
সেই ২০২২ সালের অক্টোবরে শাবি আলোনসো দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বুন্দেসলিগায় দাপট দেখানো বায়ার্নের বিপক্ষে অজেয় হয়ে উঠেছিল লেভারকুজেন। তবে আড়াই বছরের বেশি সময় পর দলটি এমনভাবে হারল যে তা অসহায় আত্মসমর্পণের মতো হয়ে গেল।
আলিয়ান্স আরেনায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে বায়ের লেভারকুজেন।
এই হারের ফলে দলটির কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার স্বপ্নও মলিন হয়ে গেছে। টুর্নামেন্টে নিজেদের যাত্রা আরও দীর্ঘায়িত করতে হলে আগামী মঙ্গলবার ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে অসাধ্য সাধন করতে হবে আলোনসোর শিষ্যদের।
এদিন ম্যাচে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেনি লেভারকুজেন। ম্যাচজুড়ে মাত্র ৩৫ শতাংশ পজেশন ধরে রাখা লেভারকুজেন প্রথমার্ধে তিনটি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে কোনো শটই নিতে পারেনি। অন্যদিকে, ৬৫ শতাংশ সময় বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ রেখে ম্যাচজুড়ে মোট ১৭টি শট নেয় বায়ার্ন। এর মধ্যে লক্ষ্যে রাখা ৬টি শটের তিনটি থেকে গোল আদায় করে নেয় তারা।
ম্যাচের নবম মিনিটেই হ্যারি কেইনের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ওই এক গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করার পর দ্বিতীয়ার্ধে (৫৪তম মিনিটে) ব্যাবধান বাড়ান জামাল মুসিয়ালা।
এর আট মিনিট পর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে নর্ডি মুকিয়েলে মাঠ ছাড়লে বাকি সময়ের জন্য ১০ জনের দলে পরিণত হয় লেভারকুজেন। পরে পেনাল্টি থেকে তৃতীয় গোলটি করে আলোনসোর শিষ্যদের আরও হতাশ করেন কেইন।
দিনের অপর ম্যাচে শুরুর দিকে দশজনের দলে পরিণত হয়েও বেনফিকার মাঠ থেকে ১-০ গোলে জিতে ঘরে ফিরেছে বার্সেলোনা। এছাড়া, ম্যাচ একপেশে করে ফেলেও লিভারপুলের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে পিএসজি।
এর আগে, দিনের প্রথম ম্যাচে ফেয়েনুর্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টারের পথ পরিষ্কার করেছে ইন্টার মিলান।
আরও পড়ুন:
> অসীম ধৈর্য্য ও স্টান্সনির কৃতিত্বে জিতে ফিরল দশজনের বার্সেলোনা
> ২৭ শট নিয়েও ব্যর্থ পিএসজি, লিভারপুলের বাজিমাত
> ফেয়েনুর্ডকে হারিয়ে শেষ আটে এক পা ইন্টারের
৫৮ দিন আগে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নকআউট ড্র: মুখোমুখি দুই মাদ্রিদ, বার্সেলোনার স্বস্তি
প্লে-অফ থেকে ১৬টি দল চূড়ান্ত হওয়ার পর এবার হয়ে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ড্র। নতুন নিয়মের এই ড্রয়ে বেশ কয়েকটি বড় দল তুলনামূলক দূর্বল প্রতিপক্ষ পেলেও সেয়ানে সেয়ানে লড়াইও দেখা যাবে কয়েকটি।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় সুইজারল্যান্ডের নিয়নে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শুধু শেষ ষোলো নয়, ফাইনাল পর্যন্ত যেতে কোন দলের কী সমীকরণ, সে পথও স্পষ্ট করা হয়েছে।
নতুন ফরমেটে অনুষ্ঠিত এবারের টুর্নামেন্টে নতুন নিয়মেই হয়েছে ড্র। এতে দুটি ‘লিগ ক্লাসিক’ লড়াই দেখার সুযোগ মিলবে দর্শকদের। তার মধ্যে একটি হচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ ও বায়ের লেভারেকুজেন। শাবি আলোনসোর হাতের ছোঁয়ায় গত মৌসুম থেকে জ্বলে ওঠা লেভারকুজেনই বর্তমানে বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন মিউনিখের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ড্র হয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদের। ফলে লা লিগা, কোপা দেল রের পর এ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাবে।
তবে বার্সেলোনার সামনে পিএসজির মতো সম্প্রতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা দল পড়ার সম্ভাবনা থাকলে এ যাত্রায় সেই বিপদ কেটেছে দলটি। অপর সম্ভাব্য দল বেনফিকাই পড়েছে তাদের সামনে। ফলে ফাইনালের আগে আর বার্সেলোনার সঙ্গে তাদের দেখা হওয়ার সুযোগ নেই।
আর এতে করে চলতি মৌসুমে অপ্রতিরোধ্য লিভারপুলের সঙ্গী হয়েছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা। তাই চরম হাইভোল্টেজ এই ম্যাচের দিকে বিশেষ নজর থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের।
এ ছাড়াও অনেক বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেওয়া অ্যাস্টন ভিলার প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে ক্লাব ব্রুজের নাম। আর আর্সেনাল, ইন্টার মিলান ও ডর্টমুন্ড পেয়েছে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ।
এক নজরে শেষ ষোলোর ড্র
• ক্লাব ব্রুজ-অ্যাস্টন ভিলা • লিল-বরুশিয়া ডর্টমুন্ড • রিয়াল মাদ্রিদ-আতলেতিকো মাদ্রিদ • বায়ার্ন মিউনিখ-বায়ের লেভারকুজেন • পিএসভি আইন্ডহোভেন-আর্সেনাল • ফেয়েনুর্ড-ইন্টার মিলান • পিএসজি-লিভারপুল • বেনফিকা-বার্সেলোনা
(পরের দলটি ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগ খেলার সুবিধা পাবে।)
৭১ দিন আগে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: নকআউটে গেল কারা, কে হচ্ছে কার প্রতিপক্ষ, ড্র কবে
নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম আট দল নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। গত দুদিন প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগ শেষে চূড়ান্ত হয়েছে বাকি আট দলও।
দুটি অঘটনের জন্ম দিয়ে শেষ হয়েছে প্লে-অফ পর্ব। ওই দুই ম্যাচে দুই ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ড ও পিএসভি আইন্ডহোভেনের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে ইতালির দুই ক্লাব এসি মিলান ও ইউভেন্তুস।
এছাড়া, ক্লাব ব্রুজের কাছে হেরে আতালান্তা, বেনফিকার কাছে হেরে মোনাকো, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে স্পোর্তিং এবং রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটির মতো বড় বড় ক্লাবগুলোর।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে ফের অঘটন, এবার ইউভেন্তুসের বিদায়
যাইহোক, যোগ্যতার লড়াইয়ে নকআউট পর্বের শেষ আট দল চূড়ান্ত হয়েছে। সেগুলো হলো— ফেয়েনুর্ড, ক্লাব ব্রুজ, বায়ার্ন মিউনিখ, বেনফিকা, ডর্টমুন্ড, আইন্ডহোভেন, পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ।
আগামীকাল শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের নিয়নে শেষ ষোলোর ড্র অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই জানা যাবে শীর্ষ আট দলের কার প্রতিপক্ষ হচ্ছে কোন দল।
তবে উয়েফার নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি দলেরই সম্ভাব্য দুই প্রতিপক্ষের নাম আগেই নিশ্চিত হয়েছে। এই দুই দলের ভেতর থেকেই এক দল নির্দিষ্ট দলের বিপক্ষে খেলবে।
শেষ ষোলোতে কে কার প্রতিপক্ষ
লিভারপুল: পিএসজি/বেনফিকা
বার্সেলোনা: বেনফিকা/পিএসজি
আর্সেনাল: পিএসভি/ফেয়েনুর্ড
ইন্টার মিলান: ফেয়েনুর্ড/পিএসভি
আতলেতিকো মাদ্রিদ: বায়ার্ন মিউনিখ/রিয়াল মাদ্রিদ
বায়ের লেভারকুজেন: রিয়াল মাদ্রিদ/বায়ার্ন মিউনিখ
লিল: ক্লাব ব্রুজ/ডর্টমুন্ড
অ্যাস্টন ভিলা: ডর্টমুন্ড/ক্লাব ব্রুজ
রিয়াল মাদ্রিদ: লেভারকুজেন/আতলেতিকো মাদ্রিদ
পিএসজি: বার্সেলোনা/লিভারপুল
বায়ার্ন মিউনিখ: আতলেতিকো মাদ্রিদ/লেভারকুজেন
বরুশিয়া ডর্টমুন্ড: অ্যাস্টন ভিলা/লিল
বেনফিকা: বার্সেলোনা/লিভারপুল
পিএসভি: আর্সেনাল/ইন্টার মিলান
ক্লাব ব্রুজ: লিল/অ্যাস্টন ভিলা
ফেয়েনুর্ড: ইন্টার মিলান/আর্সেনাল
উল্লেখ্য, শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ৪ ও ৫ মার্চ এবং দ্বিতীয় লেগ অনুষ্ঠিত হবে এক সপ্তাহ পর ১১ ও ১২ মার্চ।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত সিটি, শেষ ষোলোয় রিয়াল
শীর্ষ আট দল দ্বিতীয় লেগ ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পাবে এবং প্লে-অফ থেকে নকআউট পর্বে ওঠা দলগুলোকে প্রথম লেগই ঘরের মাঠে খেলতে হবে।
এক নজরে শেষ ষোলোর শীর্ষ আট দল
লিভারপুল, বার্সেলোনা, আর্সেনাল, ইন্টার মিলান, আতলেতিকো মাদ্রিদ, বায়ের লেভারকুজেন, লিল ও অ্যাস্টন ভিলা।
প্লে-অফ থেকে আসা বাকি আট দল
ফেয়েনুর্ড, ক্লাব ব্রুজ, বায়ার্ন মিউনিখ, বেনফিকা, ডর্টমুন্ড, আইন্ডহোভেন, পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ।
বাদ পড়ল যারা
এসি মিলান, আতালান্তা, সেল্টিক, মোনাকো, স্পোর্তিং, ইউভেন্তুস, ব্রেস্ত ও ম্যানচেস্টার সিটি।
৭২ দিন আগে
ডেভিসের শেষ মুহূর্তের গোলে সেল্টিকের হৃদয় ভাঙল বায়ার্ন
এক গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগ শুরু করলেও প্রথমে গোল করে পরের রাউন্ডে ওঠার স্বপ্ন দেখেছিল সেল্টিক। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে বায়ার্ন মিউনিখকে তাদের মাঠেই হারানোর স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে স্কটিশ ক্লাবটির। সেইসঙ্গে তাদের শেষ ষোলোয় ওঠার স্বপ্নও ডুবেছে হতাশার অন্ধকারে।
মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বের প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগে সেল্টিকের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন।
এর ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ অগ্রগামিতায় পরের ধাপে উঠেছে বাভারিয়ানরা। গত সপ্তাহে স্কটিশ দলটির মাঠে ২-১ গোলে জিতেছিল ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যরা।
এদিন জমাট রক্ষণে ম্যাচের প্রথমার্ধে ব্রেন্ডন রজার্সের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয় তার শিষ্যরা। এর ফলও পায় তারা। ৬৫ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে ৭টি শট নিলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারে না বায়ার্ন, অর্থাৎ প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের আটকে রাখতে সমর্থ হয় সেল্টিক।
একই পরিকল্পনা ধরে রেখে দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ খানিকক্ষণ বায়ার্নকে আটকে রাখে দলটি। এরপর ৬৩তম মিনিটে গোল পেয়ে অগ্রগামিতায় ২-২ সমতা টেনে বায়ার্নকে হারানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করে সেল্টিক।
তবে গোল দেওয়ার পর বায়ার্নের আক্রমণের তোড়ে সেল্টিকের দুই লাইনের ডিফেন্স ভেঙে চুরমার হওয়ার উপক্রম হয়। তারপরও নির্ধারিত সময়, এমনকি যোগ করা চার মিনিটের প্রায় সবটুকুই কেইন-মুসিয়ালাদের আটকে রেখে ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল স্কটিশরা। তবে ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক আগে বায়ার্নের ২৩তম শটটি আর ফেরাতে পারেনি সেল্টিক।
এ সময় লিওন গোরেটস্কার শট আটকে দিলেও দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি সেল্টিক গোলরক্ষক কাস্পার স্মাইকেল। ফিরতি বল তাদের একজন ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন, তবে সেখানে ছুটে যাওয়া ডেভিসের পায়ে লেগে বল গোললাইন পেরিয়ে যায়।
শেষ মুহূর্তের গোলে উল্লাসে ফেটে পড়ে আলিয়ান্স আরেনা। আর ভগ্ন হৃদয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমের তৎকালীন ইউরোপীয় কাপ জয়ীদের।
এদিকে, দিনের প্রথম ম্যাচে চমক দেখিয়েছে ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ড। প্রথম লেগে ১-০ গোলে স্মরণীয় জয়ের পর দ্বিতীয় লেগ সান সিরোতে এসি মিলানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ২-১ অগ্রগামিতায় শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে দলটি। আর এতে করে প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে মিলানকে।
আরও পড়ুন: এসি মিলানকে প্লে-অফ থেকে বিদায় করে শেষ ষোলোয় ফেয়েনুর্ড
এছাড়া, আসরের শুরুর কয়েক ম্যাচ অপরাজিত থেকে দীর্ঘ এক যাত্রার ইঙ্গিত দিলেও প্রথমে শুরুর আট দল থেকে ছিটকে যাওয়া এবং তারপর প্লে-অফে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ ব্যবধানে হেরে প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে গাস্পেরিনির আতালান্তাকে। একই সঙ্গে প্রথম লেগে ২-১ গোলে জেতার পর দ্বিতীয় লেগেও দুর্দান্ত ৩-১ গোলের জয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে ক্লাব ব্রুজ।
অপর ম্যাচে মোড়ের পর মোড় ঘুরিয়ে শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলের ড্রয়ে শেষ হয়েছে বেনফিকা ও মোনাকোর মধ্যকার দ্বিতীয় লেগ। তবে প্রথম লেগে মোনাকোর মাঠ থেকে ১-০ গোলে জিতে থাকায় ৪-৩ অগ্রগামিতায় শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে বেনফিকাই।
এর ফলে শেষ ষোলোর ১২ দল নিশ্চিত হয়েছে। বুধবার রাতে অবশিষ্ট চার ম্যাচ থেকে বাকি চার দল চূড়ান্ত হবে। এই দিনের সবচেয়ে বড় আর্ষণ থাকবে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির মধ্যকার লড়াই।
৭৩ দিন আগে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: শেষ ষোলো ও প্লে-অফে উঠল যারা
নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। বুধবার রাতে একযোগে মাঠে নামে ৩৬ দল, যেখানে জিতেছে ১৬টি দল আর বাকি দুই ম্যাচ ড্র হয়েছে।
অষ্টম ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচের আগে সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট কাটে কেবল লিভারপুল ও বার্সেলোনা। এছাড়া বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় ৯ দলের। বাকি ২৫ দলের ভাগ্য ঝুলে ছিল শেষ ম্যাচের ওপর।
বাদ পড়ার শঙ্কায় থাকলেও এদিন দারুণ জয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে সিটির কাছে ৩-১ গোলেও হেরেও ছিটকে যেতে হয়নি ক্লাব ব্রুজকে। আবার শীর্ষ আটে থেকে বার্সেলোনার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে মাঠে নেমে ড্র করেও সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট কাটা হয়নি আতালান্তার। একইভাবে টেবিলের নিচে থেকেও সেল্টিককে ৪-২ গোলে উড়িয়ে শীর্ষ আটে জায়গা করে নিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা।
এমন বেশ কয়েকটি দারুণ ঘটনা শেষে চূড়ান্ত হয়েছে কারা সরাসরি শেষ ষোলোতে উঠেছে, কাদের প্লে-অফের কঠিন পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে এবং কাদেরই-বা বিদায় নিতে হচ্ছে প্রথম পর্ব থেকেই।
আরও পড়ুন: জেতাও পর্যাপ্ত হলো না রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্নের
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ আট দল সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট কেটেছে। বাকি আটটি স্পটের জন্য দুই লেগের প্লে-অফ খেলবে নবম থেকে ২৪তম স্থানে থাকা ১৬টি দল। বাকি দলগুলো ঘরে ফিরে যাবে।
শীর্ষ আট দল
ক্রমানুসারে: লিভারপুল, বার্সেলোনা, আর্সেনাল, ইন্টার মিলান, আতলেতিকো মাদ্রিদ, বায়ের লেভারকুজেন, লিল ও অ্যাস্টন ভিলা।
প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে যাদের
ক্রমানুসারে: আতালান্তা, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ, এসি মিলান, পিএসভি আইন্ডহোভেন, পিএসজি, বেনফিকা, মোনাকো, ব্রেস্ত, ফেইনুর্ড, ইয়ুভেন্তুস, সেল্টিক, ম্যানচেস্টার সিটি, স্পোর্তিং লিসবন ও ক্লাব ব্রুজ।
বাদ পড়ল যারা
ক্রমানুসারে: দিনামো জাগরেব, স্টুটগার্ট, শাখতার দোনেৎস্ক, বোলোনিয়া, রেড স্টার বেলগ্রেড, স্ট্রুম গ্রাৎস, স্পার্তা প্রাহা, লাইপসিগ, জিরোনা, রেড বুল জালৎসবুর্গ, স্লোভান ব্রাতিস্লাভা ও ইয়াং বয়েজ।
আরও পড়ুন: লিভারপুলের ‘প্রথম’ হার কাজে লাগাতে পারল না বার্সেলোনা
৯৩ দিন আগে
জেতাও পর্যাপ্ত হলো না রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্নের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শীর্ষ আট নিশ্চিত করে সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট পেতে শুধু জিতলেই হতো না প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসের সফলতম দুটি দল—রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখের, সঙ্গে শীর্ষ আটে থাকা দলগুলোর পয়েন্ট খোয়ানোরও দিকেও চেয়ে ছিল তারা। তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ পেয়ে নিজেদের কাজ সারলেও শেষমেষ ভাগ্য সহায় হয়নি দলদুটির প্রতি। ফলে প্লে-অফের কঠিন পথেই যেতে হচ্ছে তাদের।
বুধবার রাতে লিগ পর্বের অষ্টম ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ফরাসি ক্লাব ব্রেস্তের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। রিয়ালের হয়ে দুই অর্ধে দুটি গোল করেন রদ্রিগো, মাঝে আরেকটি গোল করেন জুড বেলিংহ্যাম। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে (৫১তম মিনিটে) ব্রেস্তের একটি গোল বাতিল হয়।
এই জয়ে ৫ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানের কারণে টেবিলের একাদশ স্থানে ঠাঁই হয়েছে রিয়ালের। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বাদশ স্থানে বায়ার্ন মিউনিখ, গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দশম স্থানে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও পিছিয়ে থেকে ত্রয়োদশ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে এসি মিলান। বার্সেলোনার সঙ্গে ড্র করে ১৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে আরও আতালান্তাও, তাদের অবস্থান নবম।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: শেষ ষোলো ও প্লে-অফে উঠল যারা
বায়ার্ন নিজেদের ম্যাচটি জিতেছে ৩-১ গোলে, স্লোভান ব্রাতিস্লাভার বিপক্ষে। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে থমাস মুলারের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ৬৩তম মিনিটে হ্যারি কেইন ও ৮৪তম মিনিটে গোল করেন কিংসলি কোমান। এরপর ৯০তম মিনিটে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন ব্রাতিস্লাভার মার্কো তোলিচ।
এই হারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোনো পয়েন্ট সংগ্রহ না করেই ঘরে ফিরতে হচ্ছে স্লোভাকিয়ার ক্লাবটিকে। তাদের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসরে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে সুইস ক্লাব ইয়াং বয়েজও।
এছাড়া, শাখতার দোনেৎস্ককে ৩-১ গোলে ডর্টমুন্ড হারালেও দিনামো জাগরেবের কাছে ২-১ গোলে হেরে ১৫ পয়েন্টে থিতু হয়েছে এসি মিলান। তবে জিতেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় প্লে-অফ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে জাগরেব। প্লে-অফের সর্বশেষ দলের ঠিক পরেই (২৫তম স্থানে) জায়গা পেয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: লিভারপুলের ‘প্রথম’ হার কাজে লাগাতে পারল না বার্সেলোনা
৯৩ দিন আগে
বায়ার্নকে হারিয়ে ফেয়েনুর্ডের চমক
ম্যাচজুড়ে ৮০ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে ৩০টি শট নিয়েও গোলের দেখা পেল না বায়ার্ন মিউনিখ। অপরদিকে, আটটি শট নিয়ে তিনবার বল জালে পাঠিয়ে দারুণ এক জয় তুলে নিল ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ড।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে শক্তিশালী বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ফেয়েনুর্ড।
দলটির হয়ে মেক্সিকান ফরোয়ার্ড সান্তিয়াগো হিমেনেস জোড়া গোল করেন, আর তৃতীয় গোলটি করে দলের জয় নিশ্চিত করেন জাপান ফরোয়ার্ড আয়াসে উয়েদা।
পুরো ম্যাচে স্বাগতিকদের ওপর ছড়ি ঘোরালেও শুরু থেকে কিছুটা এলোমেলো খেলতে থাকে ভিনসেন্ট কোম্পানির দল। এই সুযোগে বায়ার্নকে চমকে দিয়ে ২১তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন হিমেনেস।
নিজেদের অর্ধ থেকে খেইস স্মালের উঁড়ন্ত পাস নামিয়ে নিয়ে দুর্দান্ত এক শটে জাল খুঁজে নেন ২৩ বছর বয়সী মেক্সিকান ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে সিটিকে বাদ পড়ার শঙ্কায় ফেলে জিতল পিএসজি
এরপর সমতায় ফিরতে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে বায়ার্ন। বারবার আক্রমণে উঠে প্রতিপক্ষের রক্ষণ তটস্থ করে রাখে তারা। তবে লো-ব্লক ডিফেন্সে ব্যবধান ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে ফেয়েনুর্ডের খেলোয়াড়রা।
এরই ধাবাহিকতায় প্রথমার্ধের যোগ করা নবম মিনিটে প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি দিয়ে বসেন বায়ার্নের পর্তুগিজ লেফট ব্যাক রাফায়েল গেরেইরো। এরপর স্পট কিক থেকে নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বিরতিতে যায় হিমেনেস অ্যান্ড কোং।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে আরও আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে মিউনিখের দলটি। একের পর এক আক্রমণ আর শটে প্রতিপক্ষকে একেবারে কোণঠাসা করে রাখে তারা, কিন্তু ফেয়েনুর্ডের জমাট রক্ষণ ভেঙে কোনোভাবেই লক্ষ্যভেদ করতে পারছিলেন না হ্যারি কেইন- জামাল মুসিয়ালারা। সেইসঙ্গে গোলপোস্টে অসাধারণ পারফর্ম করেন ডাচদের গোলরক্ষক জাস্টিন বাইলোভ।
বায়ার্নের আক্রমণের হলকা সামলে ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে দলটির সমতায় ফেরার আশাও শেষ করে দেন উয়েদা। আন্তোনি মিলাম্বোর কাছ থেকে বল পেয়ে ঠান্ডা মাথায় ঠিকানা খুঁজে নেন এই জাপানি ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন: ভাগ্যের পালাবদলের রাতে ৯ গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি বার্সেলোনার
এই জয়ে সাত ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট (৪ জয়, ১ ড্র) নিয়ে টেবিলের ১১তম স্থানে উঠে এসেছে ফেয়েনুর্ড। সেইসঙ্গে বাঁচিয়ে রেখেছে প্লে-অফ এড়িয়ে সরাসরি শেষ আট নিশ্চিতের আশা। অপরদিকে, ম্যাচটি হেরে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নম্বরে নেমে গেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে আগামী বুধার ফরাসি ক্লাব লিলের মোকাবিলা করবে ফেয়েনুর্ড, আর স্লোভাকিয়ার ক্লাব স্লোভান ব্রাতিস্লাভার বিপক্ষে মাঠে নামবে ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যরা।
দিনের অপর ম্যাচে পিএসজির বিপক্ষে ২-০ এগিয়ে গিয়েও ৪-২ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এছাড়া প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান, এসি মিলান ও আর্সেনাল।
১০০ দিন আগে