বায়ার্ন মিউনিখ
ক্যারিয়ারের প্রথম লাল কার্ডের পর দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ নয়ার
প্রায় দুই দশকের ফুটবল ক্যারিয়ারে প্রথমবার লাল কার্ড দেখার পর এবার অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের দায়ে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখ অধিনায়ক মানুয়েল নয়ার।
এর ফলে ঘরোয়া ফুটবলে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক পরের দুই ম্যাচ অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন (ডিএফবি)।
আলিয়ান্স আরেনায় মঙ্গলবার রাতে জার্মান কাপের শেষ ষোলোর ম্যাচের সপ্তদশ মিনিটে বক্স থেকে বেরিয়ে বায়ের লেভারকুজেন উইংব্যাক জেরেমি ফ্রিম্পংকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন নয়ার। ২০০৪ সালে পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরুর পর ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে সেটিই ছিল তার প্রথম লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার অভিজ্ঞতা।
আরও পড়ুন: এবার বিদায় বলে দিলেন নয়ার
শুরুতেই দশজনের দলে পরিণত হওয়ার পর ম্যাচজুড়ে আধিপত্য ধরে রাখলেও শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে হেরে যায় বায়ার্ন মিউনিখ। ফলে এবারও জার্মান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর ওঠা হয়ে ওঠেনি সর্বোচ্চ ২০ বারের চ্যাম্পিয়নদের।
ওই ঘটনার ভিডিও বিশ্লেষণ করে বৃহস্পতিবার তাকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধের কথা জানিয়েছে ডিএফবি। তবে শুধু ঘরোয়া কাপে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় আগামী মৌসুমের জার্মান কাপে কার্যকর হবে তার এই শাস্তি।
এদিকে, চলতি মৌসুম শেষেই বায়ার্নের সঙ্গে নয়ারের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তিনি যদি আর তা নবায়ন না করেন কিংবা জার্মান ফুটবল ছেড়ে অন্য কোনো দেশে পাড়ি জমান, তাহলে এই শাস্তি আর তাকে ভোগ করতে হবে না।
১ সপ্তাহ আগে
ক্লাব বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত: মুখোমুখি ভিনিসিউস-নেইমার
২০০০ সালে যাত্রা শুরুর পর ২০০৫ সাল থেকে প্রতি বছর ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের আয়োজন করে এলেও ২০২৫ আসর থেকে এই আয়োজন সত্যিকার অর্থে বৈশ্বিক রূপ পেতে যাচ্ছে। নতুন আঙ্গিকের ৩২ দলের এই লড়াইয়ের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে, আর তাতে দেখা গেছে চমকপ্রদ কিছু লড়াইয়ের আভাস।
বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে নতুন আঙ্গিকের ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম আসরের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ড্রয়ের আগে বিশ্বকাপের নতুন ট্রফি উন্মাচন করেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্তি ইনফান্তিনো ও ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভকামনা জানিয়ে বার্তা দেন যুক্তরাষ্ট্রে সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রেকর্ড করা শুভেচ্ছাবার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘এটি অবিশ্বাস্য এক আসর হতে চলেছে।… শুধু এটুকু বলতে চাই যে, অসাধারণ একজন আপনাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যার নাম জিয়ান্নি।’
‘আমি তাকে জিয়ান্নি হিসেবেই জানি, তিনি একজন বিজয়ী। পরস্পরকে আমরা দীর্ঘদিন ধরে চিনি। তার সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় আমি গর্বিত, কারণ ফুটবল খেলাটি ক্রমেই নতুন উচ্চতা স্পর্শ করছে।… যুক্তরাষ্ট্রেও এটি ছড়িয়ে পড়ছে।’
আরও পড়ুন: ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালের ভেন্যুতেই হবে ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল
এ পর্যন্ত ৬ দল নিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করে এলেও এবারই প্রথম সব মহাদেশের সেরা ক্লাবগুলোকে নিয়ে ৩২ দলের টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে। তবে বরাবরের মতো এবারও এই আসরে রয়েছে ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর দাপট।
১ সপ্তাহ আগে
রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে সবশেষ বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়েছিল বার্সেলোনা। তারপর থেকে এই বায়ার্নই হয়ে ছিল দলটির কাছে এক আতঙ্কের নাম। পরে যতবার দেখা হয়েছে, বড় ব্যবধানে বার্সাকে হারিয়ে জয়োল্লাস করেছে বাভারিয়ানরা। তবে ৯ বছর পর দুর্দান্তভাবে জিতে সেইসব ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বুধবার রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বায়ার্ন মিউনিখকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বার্সেলোনা।
এদিন রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি অন্য গোলটি করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। আর বায়ার্নের একমাত্র গোলটি আসে হ্যারি কেইনের পা থেকে।
ইউরোপ সেরার এ প্রতিযোগিতায় বায়ার্নের বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচ হারের পর জয়ের মুখ দেখল বার্সেলোনা। তাদের সবশেষ জয়টি ছিল প্রায় সাড়ে ৯ বছর আগে; ২০১৫ সালের মে মাসে কাম্প নউয়ে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে নেইমারের একটি ও লিওনেল মেসির জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল কাতালানরা।
আরও পড়ুন: সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সব মিলিয়ে বায়ার্নের সঙ্গে ১৪ বারের দেখায় বার্সেলোনার মাত্র তৃতীয় জয় এটি; এছাড়া একটি ম্যাচ ড্র এবং হেরেছে ১০টি।
ম্যাচের তখনও এক মিনিট পার হয়নি, এর আগেই গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন রাফিনিয়া।
মাঝমাঠ থেকে ফের্মিন লোপেসের বাড়ানো বল ধরে বায়ার্নের হাই লাইন ডিফেন্স ভেঙে এগিয়ে যান রাফিনিয়া। এরপর ম্যাচের ৫৭তম সেকেন্ডে মানুয়েল নয়ারকে পরাস্ত করেন তিনি।
১ মাস আগে
সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
বার্সেলোনার পরবর্তী দুই ম্যাচ বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। ম্যাচদুটির আগে নিজেদের মানসিক অবস্থা চনমনে রাখতে যেমন জয়ের প্রয়োজন ছিল, আজ তা-ই করে দেখিয়েছেন হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
কাতালুনিয়ার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে লা লিগার অষ্টম ম্যাচে রবিবার রাতে সেভিয়াকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে হাই ভোল্টেজ ম্যাচদুটির ভালো প্রস্তুতি সেরেছে বার্সেলোনা।
বার্সেলোনার পক্ষে রবের্ট লেভানডোভস্কি ও পাবলো তোরে জোড়া গোল করেন। অন্য গোলটি আসে পেদ্রির পা থেকে। অন্যদিকে, সেভিয়ার পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন দলটির তরুণ বেলজিয়ান মিডফিল্ডার স্টানিস ইদুম্বো-মুজাম্বো।
মাঠের খেলায় এদিন বার্সেলোনার ধারেকাছেও ছিল না সেভিয়া। ৬৭ শতাংশ সময় বলের দখল নিজেদের কাছে রেখে মোট ২১টি শট নেয় বার্সা, যার ৯টি লক্ষ্যে ছিল। অন্যদিকে, ৭টি শট নিলেও গোল করা ওই একটি মাত্র শট লক্ষ্যে রাখতে পারে সেভিয়া।
আরও পড়ুন: লেভানডোভস্কির হ্যাটট্রিকে দারুণ জয় বার্সেলোনার
ম্যাচের শুরু থেকেই পজেশনাল ফুটবলে সেভিয়াকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। তবে নবম মিনিটে প্রথম বিপজ্জনক আক্রমণে ওঠে সফরকারীরাই। ডান পাশ ধরে ক্ষিপ্র গতিতে পাল্টা আক্রমণে উঠে বার্সার বক্সের সামান্য বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শট হানেন সেভিয়া উইঙ্গার দদি লুকেবাকিও। তবে তার শটটি ক্রসবারে বেশ ওপর দিয়ে চলে যায়।
সপ্তদশ মিনিটে প্রথম সুযোগ তৈরি করে বার্সেলোনা, কিন্তু আনসু ফাতির শটটিও পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
দুই মিনিট পর বার্সার হাই লাইন ডিফেন্স ভেঙে আরও একটি দারুণ আক্রমণে ওঠে সেভিয়া, এবারের আক্রমণটি কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করেন বার্সা ডিফেন্ডাররা।
২২তম মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে মধ্যে রাফিনিয়াকে ফেলে দিয়ে পেনাল্টি দিয়ে বসেন সেভিয়ার এক খেলোয়াড়। তা থেকে বার্সাকে ম্যাচের প্রথম গোলটি এনে দেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
এরপর পেদ্রির গোলে ২৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয় কাতালানদের। ডান পাশ ধরে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে বক্সের বাইরে মাঝামাঝি থাকা জুল কুন্দেকে পাস দেন লামিন ইয়ামাল। পেছনে পেদ্রিকে দেখে ডামি দেন কুন্দে, আর বল পেয়েই ডান পায়ের জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ২১ বছর বয়সী এই তরুণ মিডফিল্ডার।
১ মাস আগে
বেকেনবাওয়ারের সম্মানে বায়ার্নের স্টেডিয়ামের ঠিকানা পরিবর্তন
ব্রাজিলের পেলে, আর্জেন্টিনার দিয়েগো মারাদোনার মতোই জার্মানির গর্ব ফ্রানৎস বেকেনবাওয়ার। বিশ্ব ফুটবলে জার্মানিকে তুলে ধরতে তার অবদানের কথা অনস্বীকার্য। এবার এই কিংবদন্তির সম্মানে দারুণ এক পদক্ষেপ নিয়েছে মিউনিখের স্থানীয় সরকার।
বেকেনবাউয়ারের সম্মানে বায়ার্ন মিউনিখের হোম স্টেডিয়াম আলিয়ান্স আরেনার ঠিকানা পরিবর্তন করে ‘বেকেনবাওয়ার স্কয়ার’ নামকরণ করা হয়েছে।
কিংবদন্তি এই ফুটবলারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিন ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে নতুন এই নাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে মিউনিখ প্রশাসন।
এ বিষয়ে মিউনিখের মেয়র ডিটার রাইটার বলেছেন, ‘সড়কের নাম পরিবর্তন করে বেকেনবাওয়ারের প্রতি মরণোত্তর সর্বোচ্চ সম্মান জানানো হচ্ছে। তার প্রতি আমাদের যে গভীর শ্রদ্ধা ও ভক্তি রয়েছে, তারই বহিঃপ্রকাশ এই নামকরণ।’
আরও পড়ড়ুন: ৯-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একগাদা রেকর্ডে বায়ার্ন মিউনিখ
তিনি বলেন, ‘এই শহরের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদদের একজন বেকেনবাওয়ার। ফুটবলের প্রতি প্রতিশ্রুতি ও সাফল্যের মাধ্যমে জার্মানির ক্রীড়া ক্ষেত্রকে তিনি একটি দীর্ঘস্থায়ী রূপ দিয়ে গেছেন।’
১৯৭৪ সালে খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জেতেন বেকেনবাওয়ার। এরপর ১৯৯০ সালে তার কোচিংয়ে আবারও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মানি।
কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা তিন ফুটবলারের একজন বেকেনবাওয়ার। বাকি দুজন হলেন ব্রাজিলের মারিও জাগালো ও ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশম।
ক্লাব ফুটবলেও অসামান্য সাফল্যের দেখা পান এই ফুটবলার। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ১৯৭৩-৭৪, ১৯৭৪-৭৫ ও ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে টানা তিনটি ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) উঁচিয়ে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরমেট: যা জানা প্রয়োজন
মিডফিল্ডার হিসেবে ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করলেও ডিফেন্ডার হিসেবে খ্যাতির চূড়ায় ওঠেন বেকেনবাওয়ার। তবে বিভিন্ন ভূমিকায় খেলার সামর্থ্য ছিল এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের। রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণেও তাকে অবদান রাখতে দেখা গেছে অনেক সময়। এর মাধ্যমে আধুনিক ফুটবলে ‘অ্যাটাকিং সুইপার’ পজিশন সৃষ্টি করেন এই কিংবদন্তি।
৭৮ বছর বয়সে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ব্যালন দ’র জেতা এই ফুটবল মহারথী।
২ মাস আগে
রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার গুঞ্জনে জল ঢাললেন মুসিয়ালা
শিরোপাহীন গত মৌসুম কাটনোর পর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে গড়িমসি করায় জামাল মুসিয়ালার রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার গুঞ্জন চাউর হয়। তবে সব গুঞ্জনে জল ঢেলে তিনি জানিয়েছেন, এখনই বায়ার্ন ছাড়ার পরিকল্পনা নেই তার।
অসাধারণ খেলায় বয়সভিত্তিক ফুটবল থেকেই মুসিয়ালাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু হয়ে যায়। শুরুতে ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেললেও আন্তর্জাতিক ফুটবলে জার্মানির হয়ে নাম লেখান ২১ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান উইঙ্গার।
পেশাদার ফুটবলে মাত্র ১৭ বছর ১১৫ দিন বয়সে অভিষিক্ত হয়ে বুন্দেসলিগায় বায়ার্নের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। তারপর থেকে নিজের পারফরম্যান্সের গ্রাফ ক্রমেই উপরের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন এই তরুণ। তাই দলবদলের মৌসুম এলেই তাকে ঘিরে গুঞ্জন ডালপালা মেলতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: মৌসুমের শুরুতেই বেলিংহ্যামকে হারাল রিয়াল মাদ্রিদ
বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ রয়েছে মুসিয়ালার। তাকে আলিয়ান্স আরেনায় থিতু করতে এখন থেকেই তোড়জোড় শুরু করেছে বাভারিয়ান ক্লাবটি। চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে জামালের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান ক্লাবটির কর্তারা। তবে আলোচনায় বসতে দেরি করছেন এই অ্যাটাকার।
আসলে নতুন মৌসুমে ক্লাবের প্রজেক্ট, বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের পারফরম্যান্স- এসব বিবেচনায় নিয়েই মূলত ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান তিনি।
এরই মধ্যে গুঞ্জন ওঠে, তার ওপর নজর পড়েছে নতুন দিনের গ্যালাক্টিকো তৈরির চেষ্টায় থাকা রিয়াল মাদ্রিদের। আর এই কাজে সহায়তা করছে ইংলিশ ফুটবল খেলার সময় জামালের তৎকালীন সতীর্থ জুড বেলিংহ্যাম।
তবে সাংবাদিকের এমন প্রশ্ন আসতেই ডালপালাসহ গুঞ্জনটি উপড়ে ফেলেছেন মুসিয়ালা।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের মন্তব্যে ‘চটেছে’ রিয়াল মাদ্রিদ
জার্মান দৈনিক ভেল্ট আম জনটাগকে তিনি বলেছেন, ‘বায়ার্নে আমি খুবই সুখে আছি। এখানে আমার পরবর্তী লক্ষ্যগুলো পূরণেই আপাতত কাজ করছি। বেলিংহ্যামের মতো বিদেশের ক্লাবে খেলব কি না, তা নিয়ে এখন ভাবছি না।’
‘আগামী পাঁচ বছরে আমি কোথায় থাকব, তা নিয়ে ভাবার সময় এখন নয়। ফুটবলে যে কোনোকিছুই দ্রুত বদলে যেতে পারে।’
উয়েফা নেশন্স লিগের গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছেন মুসিয়ালা। শনিবার রাতে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ৫-০ গোলে জয়ের ম্যাচে একটি গোল ও অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করে আরও একবার নিজের প্রতিভা ও সামর্থ্যের সাক্ষর রেখেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রতিশোধের ম্যাচে হাঙ্গেরির জালে জার্মানির গোল উৎসব
৩ মাস আগে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ড্র: আবারও বায়ার্নের সামনে বার্সা, লিভারপুলকে পেল রিয়াল
নতুন আঙ্গিকের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বের ড্র কেমন হয়, তা দেখতে মুখিয়ে ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। তবে ড্রয়ের পর নিশ্চয়ই হাসি লেগে আছে সবার মুখে।
নতুন পদ্ধতিতে গ্রুপপর্বেই এবার দেখা মিলবে নকআউট পর্বের উত্তেজনা। বড় বড় দলগুলোর প্রত্যেকেরই একাধিক কঠিন প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করে নকআউট পর্বে জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাই ক্লাবগুলোর দুশ্চিন্তা বাড়লেও সমর্থকদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই উপভোগ করার সুযোগ মিলবে এবার।
নতুন আঙ্গিকের গ্রুপপর্বে এবার দেখা মিলবে গতবারের দুই ফাইনালিস্টের লড়াই। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ছাড়াও ২০১৮ ও ২০২২ সালের ফাইনালের প্রতিপক্ষ লিভারপুলকেও মোকাবিলা করতে হবে রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের।
অন্যদিকে, বার্সেলোনার বায়ার্ন মিউনিখ দুঃস্বপ্ন যেন শেষই হচ্ছে না। গত বেশ কয়েক মৌসুম ধরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জার্মান ক্লাবটির সঙ্গে নিয়মিত দেখা হয়, আর হতাশাজনক পরাজয় স্বীকার করে বারবার মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
২০২০ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মান জায়ান্টদের বিপক্ষে ৮-২ ব্যবধানের হার এখনও পোড়ায় ব্লাউগ্রানা সমর্থকদের। বায়ার্ন ছাড়াও এবার তাদের প্রতিপক্ষের মধ্যে রয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন আতালান্তার মতো দল।
প্রসঙ্গত, গত মৌসুমের নিয়ম ভেঙে, চারটি দল বাড়িয়ে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু করতে যাচ্ছে উয়েফা।
নতুন ফরমেটে গ্রুপপর্ব হবে অন্যরকম, কম্পিউটার দিয়ে দ্বৈবচয়ন করে প্রত্যেক দলের প্রতিপক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরমেট: যা জানা প্রয়োজন
লিগ পর্বে প্রতিটি দল খেলবে আটটি করে ম্যাচ। এই আট ম্যাচের চারটি তারা খেলবে ঘরের মাঠে এবং বাকি চারটি প্রতিপক্ষের মাঠে।
চলুন দেখে নেই পাত্র-১ এ রাখা ইউরোপীয় ফুটবলের বড় দলগুলোর গ্রুপপর্ব কেমন হলো‑
রিয়াল মাদ্রিদ: বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, লিভারপুল, এসি মিলান, আতালান্তা, জালসবুর্গ, লিল, স্টুটগার্ট ও ব্রেস্ত।
ম্যানচেস্টার সিটি: ইন্টার মিলান, পিএসজি, ক্লাব ব্রুজ, ইউভেন্তুস, ফেয়েনুর্ড, স্পোর্তিং লিসবন, স্পার্তা প্রাহা ও স্লোভান ব্রাতিস্লাভা।
বায়ার্ন মিউনিখ: পিএসজি, বার্সেলোনা, বেনফিকা, শাখতার দোনেৎস্ক, দিনামো জাগরেব, ফেয়েনুর্ড, স্লোভান ব্রাতিস্লাভা ও অ্যাস্টন ভিলা।
পিএসজি: ম্যানচেস্টার সিটি, বায়ার্ন মিউনিখ, আতলেতিকো মাদ্রিদ, আর্সেনাল, পিএসভি আইন্দহোভেন, জালসবুর্গ, জিরোনা ও স্টুটগার্ট।
লিভারপুল: রিয়াল মাদ্রিদ, লাইপসিগ, বায়ের লেভারকুজেন, এসি মিলান, লিল, পিএসভি আইন্দহোভেন, বোলোনিয়া ও জিরোনা।
ইন্টার মিলান: লাইপসিগ, ম্যানচেস্টার সিটি, আর্সেনাল, বায়ের লেভারকুজেন, রেড স্টার বেলগ্রেড, ইয়াং বয়েজ, মোনাকো ও স্পার্তা প্রাহা।
বরুশিয়া ডর্টমুন্ড: বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, শাখতার দোনেৎস্ক, ক্লাব ব্রুজ, সেল্টিক, দিনামো জাগরেব, স্ট্রাম গ্রাজ ও বোলোনিয়া।
লাইপসিগ: লিভারপুল, ইন্টার মিলান, ইউভেন্তুস, আতলেতিকো মাদ্রিদ, স্পোর্তিং লিসবন, সেল্টিক, অ্যাস্টন ভিলা ও স্ট্রাম গ্রাজ।
বার্সেলোনা: বায়ার্ন মিউনিখ, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, আতালান্তা, বেনফিকা, ইয়াং বয়েজ, রেড স্টার বেলগ্রেড, ব্রেস্ত ও মোনাকো।
উল্লেখ্য, প্রতিটি দল বিজোড় সংখ্যার দলগুলোর সঙ্গে ঘরের মাঠে এবং জোড় সংখ্যায় অবস্থান করা প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাদের মাঠে গিয়ে খেলবে।
গ্রুপপর্বের পর শেষ ষোলো থেকে ফাইনাল পর্যন্ত ফরমেটে কোনো পরিবর্তন আসেনি। আগে যেভাবে নকআউট পর্ব হতো, সেভাবেই প্রতিটি ধাপের খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে গ্রুপপর্বের খেলা। এর মধ্যে শেষ দিন সবগুলো দল একযোগে একই সময় মাঠে নামবে।
৩ মাস আগে
‘মাদ্রিদে এটা প্রায়ই হয়’- গোল বাতিল প্রসঙ্গে মুলার
ম্যাচে তখন অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের ১৩ মিনিটের খেলা চলছে। এরইমধ্যে গোল পেয়ে ম্যাচে সমতা টানে বায়ার্ন। কিন্তু গোলে শট করার আগমুহূর্তে অফসাউডের বাঁশি বাজিয়ে দেন রেফারি। ফলে টিভি রিভিউতে আপাতঃদৃষ্টিতে অফসাইড মনে না হলেও গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
গোলের সামনে বল থাকলে সেটি গোল বা খেলার মোড় পরিবর্তন না করা পর্যন্ত অফসাইডের পতাকা তুলতে বা বাঁশি বাজাতে অপেক্ষা করবেন রেফারি। উয়েফার অফসাইড আইনে এমনটি থাকলেও বায়ার্ন মিউনিখের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।
আরও পড়ুন: অফসাইডের সিদ্ধান্ত টুখেলের কাছে ‘চরম বিপর্যয়কর’
রেফারির এমন সিদ্ধান্তে রীতিমতো হতবাক বায়ার্ন মিউনিখ স্কোয়াড। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন কোচ টমাস টুখেলসহ অনেকে।
খেদ ঝরতে দেখা গেল টমাস মুলারের কণ্ঠেও। ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি। রিয়ালের প্রতি অভিযোগের আঙুল তুলে বায়ার্ন-অন্ত প্রাণ মুলার বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে মাদ্রিদে এটা প্রায়ই হয়। ২০১৭ সালেও আমাদের সঙ্গে এটা ঘটেছে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো দুই গোল করেছিল। সেটা অবশ্য ভিএআরের আগে।’
তিনি বলেন, ‘রেফারি ভিএআর-এর সাহায্য নেননি। তিনি এটা দেখার সুযোগও পাননি। অথচ দ্রুত বাঁশি বাজিয়ে দিলেন! সত্যিই অদ্ভুত, অবিশ্বাস্য সিদ্ধান্ত।
‘সাধারণত বাঁশি বাজানোর আগে খেলোয়াড়দের অন্তত তিন মিটার দৌড়ানোর সুযোগ দেওয়া হয়। অথচ… জানি না আসলে কী ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: চিরায়ত শেষের মিরাকলে ফাইনালে রিয়াল
এ বিষয়ে গোলদাতা ডি লিখট বলেন, ‘হোসেলুও গোল করার সময় প্রায় অফসাইড ছিল, কিন্তু তখন তারা খেলা চালিয়ে গেছেন। তাহলে আমাদের বেলায় কেন নয়?’
বায়ার্ন বস এটিকে ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ সামিল বলে মন্তব্য করেছেন।
৭ মাস আগে
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রাতে মুখোমুখি পিএসজি-বায়ার্ন
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফুটবলের ফাইনালে রাতে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ফরাসী ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইন-পিএসজি এবং জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ।
৪ বছর আগে
চ্যাম্পিয়নস লিগ: সেমির দুই ম্যাচেই মুখোমুখি ফ্রান্স, জার্মানির ৪ ক্লাব
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ টুর্নামেন্ট গড়াতে চলেছে ফাইনাল ম্যাচের দিকে।
৪ বছর আগে