মোজাম্মেল হক
রাজাকারের তালিকার বিষয়ে দুই ভাগে কাজ করা হচ্ছে: মোজাম্মেল হক
রাজাকারের তালিকার বিষয়ে দুই ভাগে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, একটি হলো- সক্রিয়ভাবে যারা কাজ করেছে তাদের নিয়ে এবং আরেকটি হলো- জীবন বাঁচানোর জন্য যারা রাজাকার হিসেবে নাম লিখিয়েছিলেন তাদের নিয়ে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪ এর তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মুক্তিযুদ্ধ, আইন, বিচার বিভাগ ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে এ কথা জানান তিনি।
মোজাম্মেল হক বলেন, বদ্ধভূমি, যুদ্ধকালীন ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাসের কাজকর্ম যেন যথাযথভাবে হয়, সেজন্য তাদের (ডিসি) তদারকি-তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সব মুক্তিযোদ্ধার কবর একইরকম হবে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব সমস্যা আছে, বা কিছু নিয়ে গেলে সেগুলোর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রাজাকারের তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজাকারের তালিকার জন্য আলাদা কমিটি আছে। সরকারিভাবে যে তালিকা ছিল, সেটা কিন্তু আমরা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিলাম।
তখন দেখা গেল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা যুদ্ধের পক্ষে ছিল এমন মানুষের নাম তালিকায় এসেছে। তখন দেশবাসী এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু রেকর্ডে তাদের নাম ছিল। এখন আমরা দুই ভাগে ভাগ করেছি।
তিনি আরও বলেন, একটি হলো সক্রিয়ভাবে যারা কাজ করেছে। যেমন- পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে রাস্তাঘাট চিনিয়ে নিয়ে বাড়িঘর পোড়ানোর জন্য সহযোগিতা করেছে, লুটপাট করার জন্য সহযোগিতা করেছে, অস্ত্র নিয়ে-ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তাদের একটি তালিকা।
আরেকটি হচ্ছে- যারা রাজাকার হিসেবে নাম দিয়ে রেখেছে জীবন বাঁচানোর জন্য। তখন হয়তো কিছু বলার ছিল না। এগুলো নিয়ে এখন খুবই বিভ্রান্তি-দ্বিমত হচ্ছে। কাজেই এটা একটি জটিল ব্যাপার। তারপরও শাজাহান খানের নেতৃত্বে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওনারা কাজ করছেন। ওই কমিটি আমাদের কাছে তালিকা পাঠালে আমরা সেটি প্রকাশ করব।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি, রমজান মাসের পরেই শিডিউল ঘোষণা করা হবে এবং মে মাসের মধ্যেই নির্বাচন হয়ে যাবে। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নতুন আইন প্রণয়নের দাবি মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর
ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ৩০ সদস্যকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবর্ধনা
৮ মাস আগে
পূজায় আইনশৃঙ্খল বাহিনী নজর রাখছে: মোজাম্মেল হক
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, পূজার সময় যাতে আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজর রাখবে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
মোজাম্মেল হক বলেন, পূজা আসন্ন, সে সময় যাতে আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন না হয়, নির্বিঘ্নে যাতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারেন; সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজর রাখবে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছি। এটি নিশ্চিত করতে ডিসি-ইউএনওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রবেশ রোধে অভিযান পরিচালনা করা হবে: মোজাম্মেল হক
মন্ত্রী বলেন, আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ। বিশ্বের তুলনায় আমরা ভালো অবস্থায় আছি। মুসলিম অধ্যুষিত অন্যান্য দেশে যেভাবে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেই জঙ্গিবাদকে পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভবিষ্যতেও যাতে না ঘটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে। জনগণও চায় না এমন ঘটনা আর ঘটুক।
তিনি বলেন, এখন নির্বাচনের সময়, পত্রপত্রিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বাইরে থেকে অস্ত্র আসতে পারে। সেজন্য বিজিবিসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, হুন্ডি ব্যবসার কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এ ব্যবসাকে বন্ধ করার জন্য আরও তৎপর হওয়া এবং কীভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে আমরা বলেছি। জুয়ার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে। পত্রপত্রিকায় যেসব তথ্য এসেছে সেই আলোকে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অল্পসংখ্যক এনজিও আছে যারা এ দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য অ্যালার্মিং। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় তাদের যে কর্মকাণ্ড সেটি খুব উদ্বেগের বিষয়। রোহিঙ্গাদের কিন্তু মিয়ানমার নিতে আগ্রহী ছিল, আমরাও পাঠাতে রাজি হয়েছি। বিদেশিরাও কিছুটা কনভিন্স করেছে। যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, কিছু এনজিও আছে তারা নিরুৎসাহিত করছে, গুজব রটায় যে সেখানে গেলে নিগৃহীত হবে, আবার নির্যাতন করা হবে। এই অপপ্রচারের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে। গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশে থেকে সাইবার ক্রাইম বন্ধ করতে পারছি না। মিথ্যাচার ও গুজব রটানো হচ্ছে। এনটিএমসিকে আরও সক্রিয় হয়ে গুজবের পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। সত্যি ঘটনা তুলে ধরে প্রচার করার জন্য বলা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক দল বুঝবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব না কোনো দলকে নিয়ন্ত্রণ করা। তাদের দায়িত্ব জনগণের সব কিছু যাতে স্বাভাবিক হয় সেটি দেখা।
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার সমালোচনা করলেন মোজাম্মেল হক
তিনি বলেন, সংবিধান অনুসারে সাধারণ নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে টেনটেটিভ সময় ঘোষণা করেছে, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে তারা নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করবে। এরপর সরকার নতুন কোনো পরিকল্পনা নিতে পারবে না, শুধু রুটিন ওয়ার্ক করে যাবে। অন্তবর্তীকালীন সরকার হিসেবে কাজ করে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে সব কিছু থাকে। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা করবে, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যা যা করার তা পালন করবে। ভোটের পরিবেশ যাতে সুষ্ঠু থাকে সেটি নিশ্চিত করার জন্য সচেতন থাকবে।
এদিকে চাকরিরতদের সন্দেহ হলে যেকোনো সময় মাদক শনাক্তকরণ টেস্ট (ড্রাগ অ্যাবিউজ) করা হবে বলে জানান মোজাম্মেল হক।
তিনি জানান, মাদক গ্রহণের ৭২ ঘণ্টা পার হলে ডোপ টেস্টে আর শনাক্ত করা যায় না। সেজন্য এ পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি বলেন, ইতোপূর্বে সিদ্ধান্ত ছিল চাকরিতে ডোপ টেস্ট হবে। তবে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে, ৭২ ঘণ্টা পরে এটা পরীক্ষা করলে বোঝা যায় না। সেজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে চাকরিরত যারা আছেন যেকোনো সময় সন্দেহজনক হলে টেস্ট করা হবে। এর নাম দেওয়া হবে ড্রাগ অ্যাবিউজ টেস্ট। এজন্য নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, মাদক ও নেশার দ্রব্য যাতে দেশে প্রবেশ না করে সেজন্য যেসব রুটে এসব আসে সে রুটগুলো বন্ধ করার জন্য কমিটি নির্দেশনা দিয়েছে।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে অভিভাবকদের কাছে আবেদন থাকবে তাদের সন্তানরা কী করেন সে ব্যাপারে তারা যেন সচেতন থাকেন। মসজিদ, মন্দিরসহ থর্মীয় উপাসানলয় থেকেও যেন মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করা যায় সে ব্যাপারে তারাও কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নেবে সরকার: মোজাম্মেল হক
১ বছর আগে
অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রবেশ রোধে অভিযান পরিচালনা করা হবে: মোজাম্মেল হক
অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করতে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে প্রচুর অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ আসছে। অবৈধ অস্ত্র অভিযান চালিয়ে ধরা হবে। যে এরিয়াতে চোরাকারবারী থাকবে, শুধু সেখানেই অভিযান চালানো হবে। শুধু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হবে।’
রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ: মোজাম্মেল হক
এসময় তিনি বলেন, অনেকে বন্দুকের জাল লাইসেন্স বানিয়ে নিয়েছে। এসব ফেক লাইসেন্স যাচাই বাছাই করা হবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেসব এনজিও কাজ করছে, তাদের বিষয়টি দেখা হবে। তাদের স্টাফদের বেতন দেয়ার বাইরে অর্থ দিয়ে কি করছে। অভিযোগ রয়েছে উগ্রপন্থী ও টেররিস্টদের অর্থায়ণ করা হচ্ছে। উগ্রবাদীদের অর্থায়ন করার বিষয়টি সঠিক কি না দেখা হবে।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা এ দেশ থেকে যেতে চায় না। এজন্য তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি ক্যাম্পে যে মারামারি-হানাহানি সৃষ্টি হয় সেসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে। এজন্য এমটিএমসির সদস্যদের মিটিংয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন এনজিও কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা কত টাকা পেলো তার স্টেটমেন্ট দিতে হবে। একই সঙ্গে কত টাকা রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় করে এবং কত টাকা কর্মকর্তাদের জন্য ব্যয় হয় সে হিসেব দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য কতো টাকা আসলো সেটা বিভিন্ন পত্রপত্রিকাতে দেখি। সেখানে একজন রোহিঙ্গা ১২ ডলার করে পায়। এরপর কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাদে কিছু খরচ করে কিনা। কারণ অভিযোগ আছে তারা উগ্রবাদীদের অর্থায়ন করে। সেটা পরিস্কার হওয়ার জন্য এটা লাগবে। আইনানুগভাবে যেটা সম্ভব তাদের হিসেব পত্র জানতে চাওয়া।
আরও পড়ুন: তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নেবে সরকার: মোজাম্মেল হক
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যারা ফান্ডিং করে তাদের কাছে হিসাব চাওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। আমাদের সচেতনার জন্য আমরা তাদেরকে জানিয়েছি যে, যেসকল টাকা দেয়া হয় তার সঠিক ব্যবহার হলে সবাই উপকৃত হবে। যে ফান্ড আসে সেটা ১২ লাখ দিয়ে ভাগ দিলে বেরিয়ে যায়। এরমধ্য থেকে ২৫ শতাংশ তাদের (এনজিওগুলোর) বিভিন্ন ব্যয় রয়েছে সেটা বাদ দেন, তাহলেতো মূল কতো টাকা দেয়া হচ্ছে তা বেরিয়ে যাবে। বাকি ৭৫ ভাগ টাকা রোহিঙ্গাদের কাজে ব্যয় হয় কিনা সেটা তদন্ত করে দেয়ার জন্য হিসাব চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে আমরা ব্যর্থ। আইনশৃঙ্খলা কমিটি বার বার চেষ্টা করেছে। যারা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নানা চ্যানেলকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে তারা তেমন কোন সাড়া দেয় না। তার প্রধান কারণ হিসেবে আমরা ধরেছি, তাদের কোন হেড অফিস না থাকাতে আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ সেভাবে করতে পারি না।
তিনি বলেন, তাই আমরা চাই এইসকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অফিস বাংলাদেশে স্থাপিত হোক। যাতে আমরা প্রচলিত আইনের মধ্যে থেকে মিথ্যাচার নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
তিনি বলেন, আমাদের পাশের দেশ ভারতে এসব চ্যানেলের অফিস আছে, সেখানে কোন অন্যায় হলে জবাবদিহি করতে হয়। অথচ আমাদের দেশে ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে মিথ্যাচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। যদি তাদের অফিস থাকতো তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যেতো। কিন্তু সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমরা চাই এইসকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অফিস বাংলাদেশে স্থাপিত হোক।
মাদক গোটা জাতির জন্য শঙ্কার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদক কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে মাদক ব্যবসায়ী, সেবনকারী ও পাচারকারীদের তালিকা করে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছেন। সেসকল তালিকা ক্রস চেক করা হবে। তারপর আমরা একটি স্থায়ী তালিকা করবো। সব সংস্থা আলাদা আলাদা তালিকা করবে, পরে সমন্বয় করা হবে। তবে এই তালিকা প্রকাশ করা যাবে না।
২১ ফেব্রুয়ারির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ২১ ফেব্রুয়ারি পালন করা হয়। এখানে রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার অনুসারে বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য সেফটি সিকিউরিটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য কমিশনারকে বলা হয়েছে। তারা যাকে সুন্দরভাবে শহীদবেদিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে পারেন। এসময় যেন অতিরিক্ত ভিড় না হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না:মোজাম্মেল হক
মন্ত্রী বলেন, দেশে এখন আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক আছে। এজন্য আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আত্মরক্ষার জন্য মারমুখী হয়ে থাকবে বলে আমাদের জানিয়েছেন। এরপ্রেক্ষিতে আমরা বলেছি এগুলোর প্রমাণসহ জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে। এবিষয়ে তাদেরকে সচেতন করে দেয়া হয়েছে। তারা যাতে এমন কোন কিছু না করে যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
১ বছর আগে
তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নেবে সরকার: মোজাম্মেল হক
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করে সময়োপযোগী করতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণের স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন ফর টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) সঙ্গে সামঞ্জস্য করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে সংশোধনের অঙ্গীকার করেছেন।’
রবিবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দ্য রুরাল পূয়র (ডরপ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সময়োপযোগীকরণে নীতি-নির্ধারকদের কাছে প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না:মোজাম্মেল হক
এসময় মন্ত্রী সরকারের পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করে সময়োপযোগী করার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
আলোচনা সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সময়োপযোগীকরণে ৬টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ডরপ’র উপ-নির্বাহী পরিচালক মো. যোবায়ের হাসান।
উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো হলো-সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক দ্রব্যের প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা, তামাক পণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার প্যাকেটের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট বা কৌটায় নূন্যতম পরিমাণ নির্ধারণসহ মোড়কীকরণে কঠোর নিয়ম আরোপ করা তথা প্লেইন প্যাকেজিং বাস্তবায়ন করা।
হাসান আরও উল্লেখ করেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সময়োপযোগী করার প্রস্তাবসমূহ আইনে অন্তর্ভুক্ত হলে সাধারণ মানুষ তামাকজনিত রোগের অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ: মোজাম্মেল হক
ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়রের (ডরপ) চেয়ারম্যান মো. আজহার আলী তালুকদার সভাপতিত্ব ও ডরপের উপ-নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সাংবাদিক, সুশীল সমাজের সদস্যরা, বিড়ি শ্রমিক ও নেতা এবং যুব ফোরামের সদস্যরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে ছয়টি সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন এবং সংসদ সদস্যরা ও নীতি-নির্ধারকদেরকে উক্ত প্রস্তাব সমূহকে সমর্থন ও আইনটি পাশ করার ক্ষেত্রে সংসদ ও সংসদের বাইরে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
২ বছর আগে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনআইডির কার্যক্রম চালু হবে: মন্ত্রী
আগামী দুই মাসের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) কার্যক্রম চালু হবে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটির সভা শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ. ক. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এ সভা হয়।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া স্বাধীনতা পরিপূর্ণ হয় না: মোজাম্মেল হক
মোজাম্মেল হক বলেন, এনআইডি বিষয়ে অনেকে অনেক কিছু কথা বলছেন, এনআইডির কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকছে। এনআইডি আবেদনের ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। না হলে কেন দেয়া যাচ্ছে না এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। অনেকেই ভুগছেন এ ব্যপারে।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাজ ভোটার তালিকা ও নির্বাচন করা। কোন দেশে ইসি এনআইডি করে না।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠবে এ সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, হেফাজতে ইসলাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের খুবই নগন্য সংখ্যক নেতা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছে। সুনির্দিষ্ট অপরাধের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে নয় অপরাধের ভিত্তিতে কিছু নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেউ যেন হয়রানি না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মোজাম্মেল হক বলেন, আমি মন্ত্রী, এমপি যেই হই অপরাধ করলে বিচার হবে। কোনো দল বা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিচার করা হচ্ছে না।
মন্ত্রী বলেন, কিছু বিদেশি নাগরিক আছে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ তারা দেশে অবস্থান করছে। গোয়েন্দা তথ্যে দেখা যায় এদের অনেকে অপরাধের সাথে জড়িত। তাদেরকে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। প্রয়োজনে সরকার টিকেটের ব্যবস্থা করবে।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সুবিধা ও ৫ হাজার টাকা দাবি করে গত কয়েকদিনে কিছু বিক্ষোভ হয়েছে। পৃথিবীর কোন দেশেই শরণার্থীরা এই সুবিধা পায় না। কারো প্ররোচনায় তারা এটা করছে। ভাসানচরে কেউ পর্যটনের জন্য বা অনুমতি ছাড়া যেতে পারবে না। ক্যাম্পে যারা মাদকের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, গুগল ও আমাজন করের আওতায় এসেছে। এর বাইরে যারা আছে তাদেরকেও করের আওতায় আনা হবে। অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও এভাবে জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা থাকলে, কেউ অপরাধ করলে তাকে ধরা যাবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম যে লেনদেন হয়, তা বৈধভাবে হয় নাকি অবৈধভাবে হয় এর জন্য প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ইউটিউব, ফেসবুকের অফিস বাংলাদেশে থাকতে হবে। এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ।
মাদক নিরাময় কেন্দ্রে অত্যাচার করা হয় অভিযোগ এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এমন কেন্দ্র কয়টি রয়েছে, নিয়মমাফিক চলছে কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহীনিকে।
এলএসডি নিয়ে তিনি বলেন, এলএসডিসহ নতুন মাদক নিয়ে ১৫টি গ্রুপ এই ব্যবসায় জড়িত। এর মধ্যে দুটি গ্রুপকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বাকিদেরও ধরা হবে।
কোরবানীর চামড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোরবানীর চামড়ার দাম নির্ধারণ ও পাচার যেন না হয় সেজন্য সীমান্তে আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর চার খুনীর খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গেজেট দ্রুত হবে।
জিয়াউর রহমানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিয়ার খেতাব নিয়ে একটা উপকমিটি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনের সাথে সে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রমাণ সাপেক্ষে তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনেকের মন্তব্য পেয়েছি। আমরা কোন প্রতিবেদন এখনও উপকিমিটির কাছ থেকে পাইনি।
৩ বছর আগে
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোজাম্মেল হক মারা গেছেন
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মো. মোজাম্মেল হক মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
৪ বছর আগে