পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার রাত ৮ টার দিকে শেরপুর জেলা শহরের বাগরাকসা এলাকায় নিজ বাসায় মোজাম্মেল হক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি লিভার জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
রবিবার বেলা আড়াইটায় শেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে নামাজে জানাযা শেষে মোজাম্মেল হকের লাশ শহরের চাপাতলি পৌর কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক তৎকালীন শেরপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সভা করার অপরাধে ১৭ মাস তিনি ময়মনসিংহ জেলা কারাগারে ছিলেন।
২০১৯ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার জন্য ২১ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেছিলেন।
মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন। এছাড়া তার মৃত্যুতে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল পিপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনসহ অনেকে শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: আ’লীগ এমপি মোজাম্মেল হোসেন মারা গেছেন