লন্ডন
চিকিৎসার জন্য শিগগিরই লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে লন্ডন এবং পরে তৃতীয় কোনো দেশে নিয়ে যাওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, 'তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আমরা যত দ্রুত সম্ভব তাকে বিদেশের একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি হাসপাতালে স্থানান্তরের প্রস্তুতি শুরু করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আমরা একটি দূরপাল্লার বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করছি এবং প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করছি। প্রাথমিকভাবে তাকে (খালেদা জিয়া) বিমানযোগে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির পর তাকে বহুমুখী চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে এমন কোনো দেশে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা আশা করছি শিগগিরই সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারব, যাতে ম্যাডাম দ্রুত বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন।’
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের জন্য ২ লাখ টাকা অনুদান দিলেন খালেদা জিয়া
জাহিদ আরও বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বজনদের বিস্তারিত তথ্য ইতোমধ্যে তার কার্যালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া ও লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিপস প্রসিডিউর) নামে পরিচিত হেপাটিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫।
২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার সাজা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে ৭৭৬ দিন পর তাকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়। তবে শর্ত দেওয়া হয় যে তিনি গুলশানের বাসায় থাকবেন এবং দেশত্যাগ করতে পারবেন না।
৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে খালেদা জিয়াকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৫ মামলা থেকে খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
৩ সপ্তাহ আগে
লন্ডনে নিজ বাড়িতে ৩ নারীকে হত্যা, ক্রসবো সজ্জিত ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ
লন্ডনের কাছে একটি বাড়িতে তিন নারী নিহত হওয়ার পর ক্রসবো-সশস্ত্র এক ব্যক্তিকে খুঁজছে ব্রিটিশ পুলিশ।
মঙ্গলবার(৯ জুলাই) সন্ধ্যায় লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বুশে এলাকার একটি বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।
হার্টফোর্ডশায়ার পুলিশ জানিয়েছে, তিন খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন ২৬ বছর বয়সী কাইল ক্লিফোর্ডকে খুঁজছেন তারা।
হারফোর্ডশায়ার পুলিশের চিফ সুপারিনটেনডেন্ট জন সিম্পসন বলেন, ক্লিফোর্ড ওই নারীদের হত্যা করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিম্পসন বলেন, ‘একটি ভয়াবহ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সশস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞ অনুসন্ধান দলও দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। এই হত্যাকাণ্ডে ক্রসবো এবং অন্যান্য অস্ত্রও ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২, আহত ৩
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার(৯ জুলাই) সন্ধ্যায় লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বুশে এলাকার একটি বাড়িতে ২৫, ২৮ ও ৬১ বছর বয়সী তিন নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করলেও ঘটনাস্থলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।
লন্ডনের বাসিন্দা ক্লিফোর্ড ওই নারীদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানায়নি পুলিশ।
ক্লিফোর্ড এখনও সশস্ত্র থাকতে পারে এবং জনগণকে তার কাছে না যেতে সতর্ক করা হয়েছে।
সিম্পসন বলছিলেন, 'কাইল, আপনি যদি এসব দেখে বা শুনে থাকেন, তাহলে দয়া করে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকিতে বাসভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
৪ মাস আগে
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ: লন্ডনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শান্তিপূর্ণ ও সংঘাতমুক্ত বিশ্ব প্রতিষ্ঠা এবং গাজা ও ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের অবসানে সহযোগিতা করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
লন্ডনের স্থানীয় সময় বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় চার্চিল হলে বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত কূটনৈতিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজা ও ইউক্রেনসহ বিশ্বব্যাপী সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনের ওপর জোর দিয়ে বলেন, মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরীহ মানুষ হত্যা বন্ধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় বৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল। হাউস অব কমন্সের নেতা পেনি মর্ডান্ট, যুক্তরাজ্যের মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও জাতিসংঘের এফসিডিও মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ, পরিবেশ, খাদ্য ও গ্রামীণবিষয়ক ছায়াসচিব স্টিভ রিড এবং বাংলাদেশ নিয়ে সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের চেয়ারম্যান রুশনারা আলী বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সমর্থনের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার, সেদেশের নাগরিক এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে উষ্ণ অভ্যর্থনাকারী এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শোক প্রকাশকারী প্রয়াত সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার হ্যারল্ড উইলসনকে কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাজ্যকে বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে অভিহিত করেন এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহায়তার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের নজর এখন ২০৩০ সালের মধ্যে নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে প্রযুক্তিনির্ভর 'স্মার্ট বাংলাদেশ' হতে চলা আমাদের দেশের দিকে।
আরও পড়ুন: এডিবির বার্ষিক সভা: এডিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান এ সময় ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন পত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়ায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি 'বঙ্গবন্ধু-অ্যাডওয়ার্ড হিথ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড' এবং 'বঙ্গবন্ধু-হ্যারল্ড উইলসন ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড' চালু করার জন্য যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের প্রশংসা করেন।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। পেনি মর্ডান্ট এমপি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। লর্ড তারিক আহমেদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
‘মুজিব অ্যান্ড ব্রিটেন’ প্রকাশনা উদ্বোধন, 'বঙ্গবন্ধু-এডওয়ার্ড হিথ ফ্রেন্ডশিপ' এবং 'বঙ্গবন্ধু-হ্যারল্ড উইলসন' অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের স্পিকার, হাইকমিশনার ও বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে ‘মুজিব অ্যান্ড ব্রিটেন’ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন। বাংলাদেশের দুই বন্ধু লর্ড মারল্যান্ড এবং লর্ড স্বরাজ পলের হাতে যথাক্রমে বঙ্গবন্ধু-এডওয়ার্ড হিথ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড এবং বঙ্গবন্ধু-হ্যারল্ড উইলসন অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর বিশেষ প্রদর্শনী, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিল্পীদের বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী শাড়ি প্রদর্শনীতে যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ, হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূত, কমনওয়েলথ ও ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সিনিয়র প্রতিনিধি, কূটনীতিক, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, মিডিয়া, একাডেমিয়া এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের সদস্যরা যোগ দেন।
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ায় ওআইসি সম্মেলনে যোগ দেবেন হাছান মাহমুদ
৬ মাস আগে
লন্ডনে তলোয়ার নিয়ে হামলায় কিশোরের মৃত্যু, আহত ৪
পূর্ব লন্ডনের একটি শহরতলীতে এক ব্যক্তি তলোয়ার নিয়ে জনসাধারণ ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার ভোরের এ ঘটনায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়। আরও ৪ জন আহত হয়।
ছুরিকাঘাতে আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় হাইনল্ট আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনের কাছে একটি আবাসিক এলাকা থেকে ৩৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই আক্রমণকে সন্ত্রাস সংশ্লিষ্ট বা 'টার্গেটেড অ্যাটাক' হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: কেনিয়ায় চলমান বন্যায় অন্তত ৭০ জন মারা গেছেন, আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস
চিফ সুপারিনটেনডেন্ট স্টুয়ার্ট বেল এই ঘটনাকে 'সত্যিকার অর্থেই ভয়ংকর' বলে বর্ণনা করেছেন।
পূর্ব লন্ডনের ওই বাড়ির বাইরে তিনি বলেন, 'আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবস্থা কেমন, আমি কল্পনাও করতে পারছি না।’
মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে হাইনল্ট আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনের কাছে একটি আবাসিক এলাকা থেকে ফোন আসে যে একটি গাড়ি ওই এলাকায় একটি বাড়িতে ঢুকে লোকজনকে ছুরিকাঘাত করছে।
তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ব্রিটিশ গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, হলুদ হুডি পরা এক ব্যক্তি লম্বা তলোয়ার বা ছুরি হাতে ওই এলাকার বাড়িগুলোর পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ চিৎকার করে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে অস্ত্র নামিয়ে রাখার আহ্বান জানাচ্ছিল বলে শুনেছেন তারা।
এই ঘটনাকে 'মর্মান্তিক' উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, 'আমাদের রাস্তায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অ্যাডে অ্যাডেলেকান বলেন, এ ঘটনায় বড় আকারের কোনো হুমকি রয়েছে বলে পুলিশ বিশ্বাস করে না।
তিনি আর বলেন, ‘আমরা আর কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজছি না। এই ঘটনা সন্ত্রাসের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে হচ্ছে না।’
ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন জানিয়েছে, ওই এলাকায় পুলিশি তদন্তের কারণে হাইনল্ট আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৪ কর্মকর্তা নিহত
গাজায় মৃত মায়ের গর্ভ থেকে উদ্ধারের ৫ দিন পর মারা গেছে শিশুটি
৬ মাস আগে
লন্ডন থেকে দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছে বিএনপি-জামায়াত: সিলেটে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি তৎপরতার উস্কে দেওয়ার জন্য বিএনপি-জামায়াতের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতেই এই ধরনের কর্মকাণ্ড করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: বুধবার সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী
লন্ডন থেকে দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী বিএনপি-জামায়াত কাজ করছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এ ধরনের অপরাধ সহ্য করবে না।
নাগরিকদের সাংবিধানিক ভোটাধিকারের উপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগে কেউ যেন অন্যকে বাধা না দেয় বা ক্ষতি না করে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সব ধরনের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করে।
তিনি আস্থা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের জনগণ শেষ পর্যন্ত এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের প্রত্যাখ্যান করবে।
সম্প্রতি ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি অপরাধীদের উদ্দেশে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার এবং ভোটারদের অংশগ্রহণ ব্যাহত করার প্রচেষ্টার সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: চীনে ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক
তিনি বলেন, বিএনপির ধর্মঘটে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা কী অর্জন করবে? বরং জনগণ শেষ পর্যন্ত তাদের ঘৃণা করবে।
আওয়ামী লীগের অতীতের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের কথা স্মরণ করেন এবং জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, বাকি চাহিদাও পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ যদি ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ ‘নৌকা’ মার্কায় ভোট দেয় এবং আমরা আবার সরকার গঠন করতে পারি।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাতিজার উপর প্রতিপক্ষের হামলা, আহত ৩
তিনি বলেন, আমরা একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নিশ্চিত করব এবং কেউ বাড়ি ও ভূমিহীন থাকবে না।
শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্নপূরণে দরিদ্রদের সুখী করার তার সরকারের লক্ষ্য স্মরণ করেন এবং দেশ উন্নয়নশীল জাতির মর্যাদায় উন্নীত হওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
বিএনপি'র নির্বাচন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি অগ্নিসংযোগের মতো সহিংস কৌশল অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এগুলোকে তিনি ‘সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের সাম্প্রতিক সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেন, সম্প্রতি বেসামরিক নাগরিক, পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপর হামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি: কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের
আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, দলটি সব সদস্যকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয় এবং সংসদ সদস্যদের পছন্দের বিষয়টি ভোটারদের উপর ছেড়ে দেয়।
মঙ্গলবার ঢাকায় ট্রেনে অগ্নিসংযোগে মা ও শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে এ ধরনের সহিংসতার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, এর চেয়ে বেদনাদায়ক আর কিছু হতে পারে না... কিভাবে একজন মানুষ আরেকজনের সঙ্গে এমন করতে পারে?
তিনি ২০১৩ ও ২০১৪ সালে একই ধরনের ব্যর্থ প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে নির্বাচন বিঘ্নিত করার জন্য ব্যবহৃত কৌশলের বিরুদ্ধে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: আমি যা বলেছি, কোনো ভুল বলিনি: কৃষিমন্ত্রী
১১ মাস আগে
বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করুন: লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী
বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাজ করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য আমি আপনাদের সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষ হচ্ছে আজ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিদেশে বসবাসরত একদল লোক ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের বিরুদ্ধে অপবাদ দিচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, কিছু লোক; যারা বিভিন্ন অপরাধ বা অপকর্ম বা দুর্নীতি করে দেশ ত্যাগ করেছে এবং অবৈধ কর্মকাণ্ডের কারণে চাকরি হারিয়েছে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তারা (সরকারের) কোনো ভালো ও উন্নয়নমূলক কাজ দেখতে পায় না, বরং সবসময় ত্রুটি খুঁজে বের করে।
এই ঘৃণ্য অপপ্রচার মোকাবিলায় ডিজিটাল ও সামাজিক প্লাটফর্মে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য দলীয় সদস্যদের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সমালোচকদের (সরকার ও এর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের) সারা বাংলাদেশে ভ্রমণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ বাংলাদেশে কোনো অভিযোগ শোনা যায় না। আমি দাবি করতে পারি, বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তাদের উন্নত জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজ আমরা করব।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশে দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে। চরম দারিদ্র্য মাত্র ৫ শতাংশে নেমে এসেছে এবং বেকারত্বের হার এখন মাত্র ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ও অন্যান্য সামরিক স্বৈরশাসকরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করায় তারা ১৯৮০ সালে লন্ডন থেকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের আগে আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ ঘটলে সহ্য করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করায় ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা প্রত্যক্ষ করছে।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ফলে দেশে এই অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দেশের অভ্যন্তরে অগ্নিসন্ত্রাসের মতো স্থানীয় ও বৈশ্বিক বিভিন্ন প্রতিকূলতা অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, এই স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করা যাবে না। এই স্বাধীনতার সুফল দেশের সব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, আর এ জন্যই আমার সংগ্রাম।
প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের কথা শোনেন।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সর্বসম্মতিক্রমে সম্মেলন ও নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।
এসময় বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মঞ্চে ছিলেন লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। এছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আ.লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আ.লীগ নেতা আল মামুনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
১ বছর আগে
লন্ডনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে প্রবাসীদের ফুলেল শুভেচ্ছা
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে যাত্রা বিরতি করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যাত্রা বিরতিকালে লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম ড. মোমেনকে স্বাগত জানান।
এছাড়া লন্ডনে প্রবাসী বাংলাদেশি প্রতিনিধিরা, লন্ডন আওয়ামী লীগ ও যুব লীগের নেতারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান এবং কুশল বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ ঢাকায়, আজই বৈঠকে বসবেন মোমেনের সঙ্গে
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেটের নব নির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক ড. মিসবাহুর রহমান মিসবাহ, লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।
আরও উপস্থিত ছিলেন- লন্ডন মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি জুবায়ের সেলিম, নর্থ লন্ডন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান, নিউহ্যাম আওয়ামী লীগের জয়েন্ট সেক্রেটারি আব্দুল বাছিত, যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ খান
আরও পড়ুন: আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান মোমেনের
বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চান বাইডেন: মোমেন
১ বছর আগে
নাসরিন মুক্তির মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) নাসরিন মুক্তির মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক শোক বার্তায় বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন নাসরিনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘ক্যান্সারের মতো চ্যালেঞ্জিং ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করেও নাসরিন তার দায়িত্ব পালনে অসাধারণভাবে নিবেদিত ছিলেন। অসুস্থতার সত্বেও অফিসিয়াল দায়িত্বের প্রতি তার অটল অঙ্গীকার সত্যিই প্রশংসনীয়।’
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনও নাসরিন মুক্তির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
সোমবার বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ব্রিকলেন মসজিদে বাদ আসর পবিত্র কোরআন খতম ও বাদ-মাগরিব বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাদ-জোহর ব্রিকলেন মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: রেবেকা মমিন ও আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুতে সংসদে শোকপ্রস্তাব গৃহীত
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোকর্বাতায় তিনি বলেন, ‘নাসরিন মুক্তি ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডনের মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) পদে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সার্বিক সম্পর্ক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য দায়িত্ব ও ভূমিকা পালন করে গেছেন। যার জন্য আমি তার কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।’
বিসিএস ২০তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য নাসরিন (৪৯) দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে লন্ডনের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিনের (বীর উত্তম) কন্যা নাসরিন তার স্বামী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: চিত্রগ্রাহক আফজাল চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ড. কাজী এম বদরুদ্দোজার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
১ বছর আগে
লন্ডনে গানে গানে মাতালো 'সোলস'
লন্ডনের মাইল অ্যান্ড স্টেডিয়ামে হাজার হাজার দর্শক-শ্রোতাদের গানে গানে মাতালো দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল সোলস।
রবিবার (৯ জুলাই) লন্ডনে ঈদ আনন্দমেলা আয়োজনে অংশ নেয় সোলস। প্রায় ২০ হাজার দর্শক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন লন্ডনে বাংলাদেশের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম। এ সময় তিনি সোলসের সদস্যদের হাতে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ সম্মাননা তুলে দেন।
‘এ এমন পরিচয়’ গানটি দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করে ব্যান্ডটি। এরপর একে একে ‘বৃষ্টি দেখে অনেক কেঁদেছি, কেন এই নিঃসঙ্গতা, ব্যস্ততা দেয় না অবসরসহ জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করেন। এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই সোলসের ৫০ বছর পূর্তির আয়োজন শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে লন্ডনবাসীদের সিলেটি ভাষার ‘কিতা ভাইসাব’ গানটি উপহার দেয় ব্যান্ডটি। এ সময় হাজারো কণ্ঠে গানটি স্টেডিয়াম জুড়ে অন্যরকম উন্মাদনা সৃষ্টি করে। এই আয়োজনে প্রয়াত ব্যান্ড লিজেন্ড আইয়ূব বাচ্চুকে উৎসর্গ করে ‘একদিন ঘুম ভাঙা শহরে’ গানটি পরিবেশন করেন সোলস সদস্যরা।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদে আসিফ ইকবালের বাজিমাত
১ বছর আগে
১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষ করে দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষ করে সোমবার দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ১১টা ২৫ মিনিটে) লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
গত ২৫ এপ্রিল শেখ হাসিনা তার তিন দেশ সফরের প্রথম ধাপে জাপানে চার দিনের সরকারি সফরে টোকিওর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। তিনি তার জাপানি সমকক্ষ কিশিদা ফুমিওর আমন্ত্রণে জাপানে যান।
টোকিওতে অবস্থানকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে দেখা করেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিওর সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেন।
তিনি এবং তার জাপানি সমকক্ষ আটটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে, যা কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প-উন্নয়ন, জাহাজ-রিসাইক্লিং, শুল্কবিষয়ক, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত।
তিনি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি কমিউনিটি রিসেপশনে যোগদানের পাশাপাশি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য দুই জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া শেখ হাসিনা জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রেসিডেন্ট ড. তানাকা আকিহিকো, জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল এন্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন (জেবিসিসিইসি) চেয়ারম্যান ফুমিয়া কোকুবু, জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইশিগুরো নোরিহিকো এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো অ্যাসোর সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন।
২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে যোগ দিতে তার তিন দেশ সফরের দ্বিতীয় ধাপে যুক্তরাষ্ট্রে ছয় দিনের সরকারি সফরে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে টোকিও ত্যাগ করেন।
তিনি ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছরের প্রতিফলন’- শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা এবং ইউএস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সুজান পি. ক্লার্কের সঙ্গেও আলাদাভাবে বৈঠক করেন।
এছাড়াও, তিনি মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কার্যনির্বাহী গোলটেবিল বৈঠক এবং একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় অংশ নেন।
৪ মে প্রধানমন্ত্রী ৬ মে বাকিংহাম প্যালেসে আয়োজিত যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করেন।
লন্ডনে শেখ হাসিনা রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
তিনি কমনওয়েলথ লিডারস ইভেন্ট, বাকিংহাম প্যালেসে রাজা ও রাণী কনসোর্টের রাজ্যাভিষেক পূর্ব অনুষ্ঠান, রাজার সংবর্ধনা এবং একটি কমিউনিটি রিসিপশনে যোগ দিয়েছিলেন।
তিনি সেখানে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক এবং রানী জেটসুন পেমার সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিশর ও রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট, সিয়েরা লিওন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, গাম্বিয়া, নামিবিয়া ও উগান্ডার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সঙ্গে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
ওয়াশিংটনের উদ্দেশে টোকিও ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে