বই
সময়মতো বই দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা এখনো আশাবাদী এবং বিশ্বাস করি সময়মতো বই দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।
এ ছাড়া বছরের শুরুতে বই পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি গণমাধ্যমে দুই রকম হেডলাইন দেখেছি। একটি বলছে- পহেলা জানুয়ারিতে বই দেওয়া যাবে কোনো শঙ্কা নেই। অপরটি বলেছে- পহেলা জানুয়ারিতে বই দেওয়া নিয়ে শঙ্কা। কীসের উপর ভিত্তি করে এই সংবাদ প্রকাশ করছেন এবং কেন করছেন (!) আমি জানি না।
আরও পড়ুন: দেশে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় চান শিক্ষামন্ত্রী
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে নতুন শিক্ষাক্রমের সংস্কার ও বাতিলের দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম একেবারে রূপান্তর। আপনারা-আমরা কিন্তু একটি মুখস্থ বিদ্যার জগৎ পার করে এসেছি। আমরা যখন পড়াশুনা করেছি, তখন একটি নতুন প্রযুক্তি এসেছে ১০-১৫ বছর বিরতিতে।
তিনি আরও বলেন, এখন ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। এখন আমাদের শিক্ষার্থীরা যে জগতে বড় হবে, সেখানে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বয় করে নেতৃত্বের জায়গায় টিকে থাকতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা কি সারা জীবন পিছিয়ে থাকব? নিশ্চয়ই না।
তিনি বলেন, এখন পৃথিবীতে মূল জিনিস হচ্ছে দক্ষতা। সেই কারণে আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম রূপান্তর। এখন বিশ্বের অনেক দেশ এটি করেছে। বাকি দেশগুলো করার চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা একটি খুব ভালো জায়গায় নিজেদের নিয়ে আসতে পেরেছি, এটি হুট করে হয়নি। ২০১৭-১৮ সালে অনেকগুলো গবেষণার পর ২০১৯ সালে সিদ্ধান্ত হয়ে আজকে আমরা এই অবস্থায় এসেছি। এটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, একটি দীর্ঘ সময় নিয়ে, অসংখ্য বিশেষজ্ঞদের কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের এই জায়গায় এসেছি এবং এটি আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন।
সুতরাং এটি নিয়ে যারা আজকে তথাকথিত আন্দোলন করছে, তাদের বেশিরভাগ কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। যারা একেবারে স্কুল পর্যায় গিয়ে কমিশনে গাইড বই বিক্রি করেন, তারা এসবের সঙ্গে জড়িত এবং দুঃখজনক হলেও সত্য কোনো কোনো শিক্ষকও এর সঙ্গে জড়িত।
মন্ত্রী বলেন, তারা অনেক অভিভাবককেও বিভ্রান্ত করছেন। এত বড় রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমরা একটি বছর পার করে এসেছি। এটি কম সময় নয়। আমাদের অভিভাবকরা অভ্যস্ত হবেন, শিক্ষকরা ক্রমাগত প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন এবং প্রশিক্ষণ চলবে। কাজেই আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং বাস্তবায়ন হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বইগুলো এখনো বলছি পরীক্ষামূলক সংস্করণ। আমরা ক্রমাগত এর পরিমার্জন ও পরিশীলন করব। কিন্তু এই পদ্ধতির পরিবর্তন হবে না। বইগুলো আরও উন্নত করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এ এস এম মোসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বেপারী, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আইনজীবী হুমায়ুন কবির সুমনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়ে সজাগ থাকুন: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপাতে কোনো ধরনের সমস্যা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী শিক্ষাবর্ষের বই ছাপাতে কোনো ধরনের সংকট কিংবা সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, গত বছর কাগজ, বিদ্যুৎসহ অন্য সংকট থাকলেও এ বছর তা নেই। ইতোমধ্যে প্রাথমিকের বই ছাপানোর টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে: শিক্ষামন্ত্রী
এসময় মন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিকেরও টেন্ডার কাজ চলছে। টেন্ডার কাজ সম্পন্ন করার জন্য কমিটি রয়েছে। সেসব কমিটিতে এসব টেন্ডারগুলো যাচ্ছে এবং অনুমোদন হয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, আশা করছি আগামী শিক্ষাবর্ষে যথাসময়ে সকল বই উপজেলাগুলোতে পৌঁছে যাবে এবং জানুয়ারির ১ তারিখে আমরা বই উৎসব করতে পারব।
এ সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চাঁদপুর পৌর সভার মেয়র জিল্লুর রহমান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
১৭ আগস্টেই এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর ২০০ ভাষণ সম্বলিত ‘ভায়েরা আমার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভায়েরা আমার’ শিরোনামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২০০টি ভাষণ সম্বলিত একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের শুরুতেই মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।
‘ভাইয়েরা আমার’ নামটি প্রধানমন্ত্রীর নিজের দেওয়া। এছাড়া বইটির ভূমিকাও লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভাষণসমগ্রটির সংগ্রহ, সংকলন ও সম্পাদনা করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম। বইটি প্রকাশ করেছে জিনিয়াস পাবলিকেশন্স।
জাতির পিতার এই ভাষণ সমগ্রের প্রধান বৈশিষ্ট হলো এতে এখন পর্যন্ত পাওয়া সকল ভাষণ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। বইটির ২০০ ভাষণের মধ্যে বাংলাদেশ বেতারের আর্কাইভস থেকে প্রাপ্ত টেপ-সিডি হতে ১০০টিরও বেশি ভাষণ সংগ্রহ করা হয়; যা শ্রুতিলিখনের মাধ্যমে বইটিতে সংযোজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে বই তুলে দিলেন গাজীপুরের আ.লীগ নেতা আজমত উল্লাহ
প্রতিটি ভাষণের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা যথাযথভাবে যাচাই করা হয়েছে। বইটিতে প্রতিটি ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হাইলাইট করে আলাদাভাবে প্রদর্শন করা হয়েছে।
এছাড়া সূচিতে ভাষণের বিষয়বস্তু, সাল ও তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতির পিতার ভাষণ শুধু বাংলাদেশেই নয় সমগ্র বিশ্বে এক অমূল্য দলিল।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ভালো: রাষ্ট্রপতি
ভাষণসমগ্রটির ভূমিকাতে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু পড়া নয়, সেগুলোর মর্মার্থ অনুধাবন করে নিজ নিজ জীবনে অনুশীলন করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন। সেই সোনার মানুষ হতে হলে জাতির পিতার আদর্শ ও জীবনাচরণ চর্চা করা অত্যাবশ্যক।
ভাষণসমগ্রটি রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী, ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে মর্মে মন্তব্য করেন এর সম্পাদক নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস নিয়ে চলচ্চিত্রকার অনার্য মুর্শিদের বই
জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস নিয়ে চলচ্চিত্রকার অনার্য মুর্শিদের বই
কোরিয়ার জনপ্রিয় পপ সংগীতের দল বিটিএসের আদ্যোপান্ত নিয়ে ‘বিটিএস: সিউল টু সোল’- শিরোনামে নিবন্ধধর্মী একটি বই লিখেছেন চলচ্চিত্রকার অনার্য মুর্শিদ। শুক্রবার (১৯ মে) থেকে বইটি বাজারে পাওয়া যাবে।
বিটিএসের সাত তারকার জীবনবৃত্তান্ত, বিটিএসের সংকট-সংগ্রাম, শো, অ্যালবাম এবং পুরস্কারেরও একটি তালিকা রয়েছে এই বইতে।
কোরিয়ার ‘কালচারাল ওয়েভ’ এবং সফট পাওয়ার চর্চা বিষয়েও একটি গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধও প্রকাশিত হয়েছে এই বইয়ে।
বইয়ের লেখক অনার্য মুর্শিদ বলেন, আমি একজন বাংলাদেশি বিটিএস ভক্তের সাংস্কৃতিক সংকটকে কেন্দ্র করে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করছি। চলচ্চিত্রটির প্রি-প্রোডাকশন করতে গিয়ে কে-পপ বিষয়ে একটি বইয়ের খুব প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। এর মধ্যে প্রকাশক একদিন বললেন যে তিনিও এই ধরনের কিছু কালচারল ডিপ্লোমেটিক বই প্রকাশ করতে চান। ইতোপূর্বে তার প্রকাশনী এই ধরনের বই প্রকাশও করেছে। আমি আশা করি দীর্ঘদিন থেকে কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের যে সাংস্কৃতিক সেতু নির্মাণ হচ্ছে সেখানেও বইটি একটি ভূমিকা পালন করবে। বইটির মাধ্যমে প্রবীণরাও এই প্রজন্মকে একটি ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পাবেন।
প্রায় দেড়শ পৃষ্ঠার পেপার ব্যাকের এই বইটি প্রকাশ করেছে উজান। প্রচ্ছদ করছেন লায়লা ফেরদৌসী। মুদ্রিত মূল্য রাখা হয়েছে ৩৫০ টাকা। ৩০% কমিশনে বইটি বিক্রি করছে বিটিএস আর্মি পেইজ (FB/BTSARMYFILM)।
এছাড়াও উজানের পেইজ, রকমারিসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিবঙ্গের বিটিএস ভক্তরা বইটি ‘তবুও প্রয়াস’, ‘লালন’ ও ‘চন্ডাল বুকস’ থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: প্রথম সোলো অ্যালবাম 'ইন্ডিগো' নিয়ে আসছে বিটিএসের আরএম
কে-পপ আইডল ভি’র জন্মদিন: ঢাকা থেকে নিউইয়র্কের আর্মিরা কিভাবে তার জন্মদিন উদযাপন করছে
জাপানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জাপানি চিত্রকলা বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান
বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সংগ্রামী জীবন নিয়ে জাপানের টোকিওতে জাপানি চিত্রকলা 'মাঙ্গা' ফর্মের কমিক বই 'ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু' এর দ্বিতীয় প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে এ প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, 'ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু' বইটিতে ছবি ও বর্ণনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদান সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। শিশু ও কিশোররা বইটি পড়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে যেমন জানতে পারবেন তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
বিশেষ অতিথি লেখক ও সাংবাদিক মনজুরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন কমিক বই আর হয়নি। এই কমিক বই তিন ভাষায় প্রকাশিত হওয়ায় বাংলাদেশের তরুণদের পাশাপাশি জাপানি তরুণদের আকৃষ্ট করবে। এছাড়া ইংরেজি পাঠকদেরও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে। এই বই থেকে অ্যানিমেশন মুভি হলে তা আরেকটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জাপানি চিত্রকলা 'মাঙ্গা' ফর্মে কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এই মাঙ্গা কমিক বই প্রকাশ করা একটি দারুণ ব্যাপার। এর ফলে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আরও একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ হলো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাপান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের বাংলা রেডিও বিভাগের প্রধান শিখা মুরাকামি, বইটির লেখক ও প্রকাশক স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা এম ই চৌধুরী শামীম, বইটির সহ-লেখক শাইন পার্টনারস করপোরেশন জাপানের প্রধান নির্বাহী ইয়েমতো কিয়েতা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা।
শুক্রবার জাপানের রাজধানী টোকিও'র আকাসাকা প্যালেসে জাপান সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোনের হাতে বইটি তুলে দেন বইটির লেখক ও প্রকাশক স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা এম ই চৌধুরী শামীম ও বইটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক স্কলার্স বাংলাদেশের সোসাইটির উপদেষ্টা, ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান, বুয়েট গ্র্যাজুয়েটস ক্লাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। এ সময় পাঁচ পর্বে প্রকাশিতব্য বইটির বাকি চার পর্বের প্রকাশ ও প্রকাশনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী তার মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
বইটি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা, সহ-লেখক শাইন পার্টনারস করপোরেশন জাপানের প্রধান নির্বাহী ইয়েমতো কিয়েতা, শাইন পার্টনারস করপোরেশনের সিএফও ইয়েমতো এআই, লেখক ও অভিনেতা আল মনসুর বেলাল, তথ্যচিত্র নির্মাতা কায়সার কাদের সেলিম।
গত ৫ এপ্রিল ঢাকায় বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি। বইটি প্রকাশ করেছে স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহপ্রতিষ্ঠান এনএস পাবলিশার্স।
প্রকাশনা সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস ও ম্যাক্স গ্রুপ।
জাপানিদের কমিক ও কার্টুন ধাঁচের চিত্রকলার একটি সৃজনশীল এবং সুপরিচিত ধরন হচ্ছে মাঙ্গা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস মাঙ্গা ফর্মে তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। বইটিতে বর্ণনা এবং ব্যতিক্রমী ছবির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবদানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
জাপানি আর্ট ফর্ম 'মাঙ্গা' চিত্রকলার একটি ব্যতিক্রমী ধারা, যা নিজ বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র। এর সঙ্গে পাশ্চাত্য ধারা বা অন্য কোনো ফর্মের সম্পৃক্ততাও নেই। জাপানি কমিকের অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ফর্মটি জাপানি চিত্র ও প্রকাশনা শিল্পে স্থায়ী আসন করে নিয়েছে। অভিযান কাহিনি থেকে ফ্যান্টাসি, শিশুপাঠ থেকে বরণীয় ব্যক্তিত্বের জীবনী, লোককথা থেকে শুরু করে আধুনিক বাস্তব ও পরাবাস্তববাদী উপন্যাস, ইতিহাস থেকে শুরু করে রোমাঞ্চ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী থেকে শুরু করে রহস্যভেদী কাহিনি সবই অল্পকথায় এবং অসনাতন ছবিতে মাঙ্গায় মূর্ত হয়ে থাকে।
‘ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু' বইটি মাঙ্গা ফর্মে বাংলা, ইংরেজী এবং জাপানি ভাষায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে চিত্রশিল্পের এই ফর্মটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত হওয়ার প্রয়াস পাবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সংগ্রামী জীবন সুপাঠ্য আকারে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো ৭টি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘে শিশু-কিশোর আনন্দমেলা
একুশে বইমেলার শিকড়ের সন্ধান
বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা সবসময়ই অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছে। অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বইমেলা হয়।
এটি দেশের বৃহত্তম বইমেলা, যেখানে প্রকাশকরা বিভিন্ন ধারায় লেখা মুদ্রিত বই প্রদর্শন ও বিক্রি করেন।
এই মেলা পাঠকদের জন্য তাদের প্রিয় লেখক, কবি, ঔপন্যাসিক ও প্রকাশকদের সঙ্গে মুখোমুখি দেখা করার দুর্দান্ত সুযোগ করে দেয়। পাঠকদের বই পড়তে ও কিনতে উৎসাহিত করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিবেশন করার পাশাপাশি বইমেলা মাসব্যাপী একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে– যা বাংলাদেশের বৈচিত্র্যকে তুলে ধরে।
অমর একুশে বইমেলার ইতিহাসের শিকড় অনুসন্ধান করা যাক-
চিত্তরঞ্জন সাহা
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি মাঠ থেকে বইমেলা শুরু হয়। চিত্তরঞ্জন সাহা ১৯২৭ সালে নোয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার বাংলাবাজারে অবস্থিত তার প্রকাশনা সংস্থা পুঁথিঘর প্রকাশনী ১৯৭১ সালে পুড়িয়ে দেয়া হয়। চিত্তরঞ্জন সাহা ২৬ মার্চের পর ঢাকা ছেড়ে যান। তিনি আগরতলায় আশ্রয় নেন এবং তারপরে মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় চলে আসেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অনেক বিশিষ্ট লেখক, শিল্পী, সাংবাদিককে শরণার্থী হিসেবে কলকাতায় থাকতে হয়েছিল।
সেই সময়কালে চিত্তরঞ্জন কলকাতায় বসবাসরত কয়েকজন বিশিষ্ট সাহিত্যিকের সঙ্গে একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করেন। তারা বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ওপর হওয়া অন্যায় ও যুদ্ধ নিয়ে লেখার ও তা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন। এভাবেই মুক্তধারার জন্ম হয়।
১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চিত্তরঞ্জন সাহা বাংলা একাডেমি ভবনের সামনে গাছের নিচে একটি মাদুর বিছিয়ে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রায় ৩২টি (কিছু সূত্র অনুসারে ৩৩টি) বই প্রদর্শন করেন।
যদিও চিত্তরঞ্জন সাহা প্রথমদিককার উদ্যোক্তা হিসেবে বইমেলার সূচনা করেছিলেন, তবে কিছু সূত্র অনুসারে তিনিই প্রথম ব্যক্তি নন যিনি ফেব্রুয়ারিতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বই বিক্রি শুরু করেছিলেন। স্ট্যান্ডার্ড পাবলিশার্সের রুহুল আমিন নিজামী রাশিয়ান বই প্রদর্শন শুরু করেন। এই বইগুলো তাদের সমৃদ্ধ বিষয়বস্তু এবং সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য সেসময়ে খুব জনপ্রিয় ছিল।
আরও পড়ুন: দুই বছর পর ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হচ্ছে বইমেলা
বাংলাদেশে প্রথম বইমেলার পেছনের ইতিহাস
চিত্তরঞ্জন সাহা একুশের বইমেলার প্রবর্তক হিসেবে স্বীকৃত হলেও বইমেলার শিকড় আরও গভীরে প্রোথিত।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৫ সালে।
উদ্যোগটি নিয়েছিলেন সরদার জয়েনউদ্দীন। তিনি ১৯১৮ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন।১৯৬৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) গ্রন্থাগারের নিচতলায় কিছু শিশুতোষ বই প্রদর্শন শুরু করেন। তখন তিনি শিশুদের বই নিয়ে ইউনেস্কোর একটি প্রকল্পে কাজ করছিলেন।
১৯৭০ সালে জয়েনউদ্দীন নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জে একটি বইমেলার আয়োজন করেন।
ইউনেস্কো ১৯৭২ সালকে ‘আন্তর্জাতিক বই বর্ষ’ ঘোষণা করায়, ডিসেম্বরে জয়েনউদ্দীন বাংলা একাডেমিতে বইমেলার আয়োজনের উদ্যোগ নেন। এরপর থেকে বাংলা একাডেমি বইমেলার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়।
একুশে বইমেলার যাত্রা
চিত্তরঞ্জন সাহা আরও কয়েক বছর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বই প্রদর্শন ও বিক্রি চালিয়ে যান। ১৯৭৬ সালে বই বিক্রির এই ধারণা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যান্য প্রকাশকরা একত্র হন এবং এতে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়।
আশরাফ সিদ্দিকী সে সময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন এবং বইমেলার সঙ্গে একাডেমির যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এরপর ধীরে ধীরে বাংলা একাডেমির আয়োজক সমিতি বইমেলাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।
১৯৭৯ সালে বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণে ‘বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি’ (চিত্তরঞ্জন সাহা প্রতিষ্ঠিত) এবং বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় একটি বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: এবার একুশে বইমেলায় সাড়ে ৫২ কোটি টাকার বই বিক্রি
ধর্ষণের অভিযোগের বইয়ের কোনো অংশ কখনো পড়েননি ট্রাম্প
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি এমন কোনও বইয়ের কোনও অংশ পড়েননি যেখানে কলামিস্ট ই. জিন ক্যারল তাকে ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ড্রেসিং রুমে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন।
বুধবার প্রকাশিত আদালতের রেকর্ড এ তথ্য উঠে এসেছে।
রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে মামলাকারী ক্যারলের আইনজীবীরা অক্টোবরে ট্রাম্পকে শপথের অধীনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। সাড়ে ৫ ঘন্টার জবানবন্দিতে ট্রাম্প বলেছিলেন যে তিনি ক্যারলের ‘আমাদের জন্য পুরুষদের কী দরকার?’ বইটি পড়েননি এবং ২০১৯ সালে যখন বইটি প্রকাশিত হয়েছিল তখন নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত নিবন্ধে এর উদ্ধৃতিগুলোও দেখেননি।
আরও পড়ুন: কেমব্রিজে বাংলাদেশি-আমেরিকান শিক্ষার্থী নিহত: বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
ট্রাম্পের জবানবন্দির ট্রান্সক্রিপ্টের কিছু অংশ আদালতের রেকর্ডে সীলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এক বিচারক যিনি বিচারকাজের নেতৃত্ব দিবেন।
এলি ম্যাগাজিনের সাবেক পরামর্শক কলামিস্ট ক্যারল বইটিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালের শেষের দিকে বা ১৯৯৬ সালের প্রথম দিকে ম্যানহাটনের একটি অভিজাত পোশাকের দোকানে তার ওপর যৌন হামলার অভিযোগ করেছেন।
বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরে, ট্রাম্প বলেছিলেন যে কখনও আক্রমণের ঘটনা ঘটেনি এবং দাবি করেছিলেন যে ক্যারল বই বিক্রির জন্য এই অভিযোগ করছেন। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘কখনও ক্যারলের সঙ্গে দেখা হয়নি এবং সে আমার সমকক্ষ নয়।’
ক্যারলের অ্যাটর্নি, রবার্টা কাপলান ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি বইটি বা এর কোনও অংশ পড়েছেন কিনা।
উত্তরে ট্রাম্প বলেছেন, ‘না, কখনোই নয়। আমি আসলে বইটি দেখিনি।’
বুধবার প্রকাশিত চার ডজন পৃষ্ঠায় অনুলিপির উদ্ধৃতিগুলো আদালত কর্তৃক আরও কয়েক ডজন পৃষ্ঠা সীলমুক্ত করার এক সপ্তাহ পরে এসেছে।
বুধবার তাৎক্ষণিকভাবে হাব্বা কোনো মন্তব্য করেননি। কাপলান মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।
জবানবন্দিটি ভিডিওতে রেকর্ড করা হয়েছিল, তবে ক্যারল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনীত অনির্দিষ্ট ক্ষতির জন্য দু’টি মামলার জন্য রেকর্ডিংটি পাবলিক রেকর্ডে রাখা হয়নি।
ক্যারল প্রথমে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন যে তার (ট্রাম্প) বক্তব্য তার খ্যাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। নভেম্বরে তিনি ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি পৃথক মামলা করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ফের কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার অভিযোগ
নতুন প্রণীত আইনে অপ্রাপ্ত বয়সে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অনেক বছর পরেও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন।
গত বুধবার ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ‘হাস্যকর বলে অভিহিত করে বলেন, ‘শারীরিকভাবে সে আমার পর্যায়ের নয়, এবং এখন যেহেতু আমি তার সম্পর্কে পরোক্ষভাবে কিছু শুনতে পেয়েছি, সে কোনোভাবেই আমার সমকক্ষ, আকৃতি বা ফর্ম কোন দিক দিয়ে না।’
ট্রাম্প ক্যারলকে ‘অসুস্থ নারী’ হিসাবে চিহ্নিত করার পর জবানবন্দির শেষের দিকে, কাপলান তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা দুই ডজন নারীর প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন করেন, ‘তারা সবাই অসুস্থ, তাই না?’
ট্রাম্প উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমি এই লোকদের কাউকে বা তাদের অনেকের সম্পর্কে জানি না। আমি বলতে চাচ্ছি, প্রতিটি সময় একবার, আপনি পাবেন— আমি মনে করি অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন এবং তাদের মধ্যে অনেকগুলো মিথ্যা এবং কিছু সত্য। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে…’
‘এর কোনটি সত্য?’ কাপলান বাধা দেয়।
প্রতিলিপি অনুসারে ট্রাম্প উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমি বলব.. আমি বোঝাতে চাচ্ছি, আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি না।আপনি আমাকে কিছুই দেখাননি।’
আরও পড়ুন: গুয়াতেমালার রেইন ফরেস্টের নিচে ২ হাজার বছর পুরনো মায়া শহর আবিষ্কৃত
জানুয়ারির ১ তারিখেই নতুন বই পাবে শিক্ষার্থীরা: দীপু মনি
জানুয়ারির এক তারিখেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সরকার এই কাজে বদ্ধ পরিকর।
শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে কাজী বশির মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) ৪১ তম সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের যা কিছু ভাল তা আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য তুলে রাখি। সন্তানদের শিক্ষার বিষয়টি যেখানে জড়িত সেখানে কোন কিছুর সঙ্গে আপোষ করার কোন প্রশ্নই উঠে না। নতুন বছরে বই আমাদের লাগবেই। এবং তা এক তারিখেই লাগবে। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা আমাদেরকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। আশ্বাস দিয়েও যদি তারা কথা না রাখেন তবে বাধ্য হয়েই আমাদেরকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
শেখ হাসিনার প্রশংসা করে দীপু মনি বলেন, আমরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনাকে পেয়েছি। এমন বিশ্বনেতা সারাবিশ্বে খুঁজলে পাওয়া খুব শক্ত হবে। কারণ তিনি এতটাই বই ভালবাসেন। তিনি একজন সুলেখক, নিজে একজন সম্পাদক, ইতিহাসের জন্য অসামান্য কিছু বই তিনি নিজে সম্পাদনা করেছেন। তিনি বইয়ের পাঠক। বাংলাদেশে প্রকাশনা শিল্পের প্রতি কারও ভালবাসা যদি বেশি থাকে, তাহলে আমার মনে হয় শেখ হাসিনার নাম বলতে হবে। তার সময়ে প্রকাশনা শিল্প খারাপ অবস্থায় থাকবে এটা হতে পারে না।
দীপু মনি বলেন, পুস্তক প্রকাশনার কাজ ব্যবসা এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে এই শিল্পের মানুষ জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ নির্মাণের কাজটিও করছে। দেশে বইয়ের ছাপা, বইয়ের বিষয়, প্রচ্ছদ এখন আন্তর্জাতিক মানের। মানুষ যত বেশি ডিভাইসে আসক্ত হোক না কেন একটা ভাল বই পড়ার আনন্দ কোন কিছু থেকে পাওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষাকে প্রতিটি নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ্যভ্যাস তৈরির উদ্যোগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠ্য অভ্যাস তৈরি করতে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। মাত্র ৩০০ বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিল। আমরা এখন ৩৩ হাজার বিদ্যালয়ে এই কার্যক্রম নিয়ে যেতে চাই। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিজিটালি কানেক্টেড করার চেষ্টা করছি। যেন একটি জায়গা থেকে তাদেরতে নিয়মিত দেখা ও মনিটর করা যায়। কোন বিদ্যালয়ের পাঠাগার যেন আলমারির মধ্যে বই আটকে ধূলাবালির কক্ষে পরিণত না হয় এ বিষয়েও তিনি সতর্ক করেন।
পুস্তক শিল্প সমিতির উদ্যেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে বই পোকা মানুষ। এখনো কাজের চাপে বই পড়ার সুযোগ না পেলেও একটা যদি প্রতিদিন না ধরতে পারি তাহলে মনে হয় আমার দিনটি ঠিক হল না। আমার সঙ্গে সব সময় বই থাকে। আপনারা যেমন বইয়ের মানুষ আমি মনে করি সবাই একই পরিবারের মানুষ।
দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি সারা বিশ্বের কাছে বিষ্ময়কর। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতি, আমাদের সামাজিক উন্নতি আমাদের মানব উন্নয়ন সূচক সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়েছে। একইভাবে আমাদের জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ তৈরির যে প্রচেষ্টা সেখানেও আমরা উন্নতি করেছি। আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি তখনও আমরা বই থেকে দূরে যাওয়ার কথা বলছি না। ঠিক তেমনি প্রকাশনা শিল্প গত কয়েক বছরে উন্নত হয়েছে, আধুনিক হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা একটি কষ্টের সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। করোনার সময় সারা বিশ্ব থমকে ছিল। করোনার পরবর্তী সময়ে আমরা মানবিক দৃশ্য দেখবো বলে আমরা আশা করেছিলাম। কিন্তু এই চিত্র পালটিয়ে দানবীয় পরিস্থিতি দেখছি। সারাবিশ্বে জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। মানুষের আয়-রোজগার কমে যাচ্ছে। সারাবিশ্ব একটি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপের মত উন্নত দেশ আর্থিক সংকটের মধ্যে আছে। বিশ্বে যুদ্ধের যে দামামা বাজছে এর মধ্যে আমাদের টিকে থাকতে হবে।
এদিন বার্ষিক সাধারণ সভা ও আয়োজিত বইমেলা উদ্বোধন করেন ডা. দীপু মনি। তিনি বই মেলার দুটি স্টল ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-সহসভাপতি কায়সার-ই-আলম, শ্যামল পাল, মির্জা আলী আশরাফ কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান, মাজহারুল ইসলাম ও সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন। প্রকাশনা শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভাবনা তুলে ধরেন শ্যামল পাল।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্ক চর্চা শুরু করতে চাই: শিক্ষামন্ত্রী
ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম: শিক্ষামন্ত্রী
রানির জন্য শোক বই খুলছে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক বই প্রকাশ করেছে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন। রবিবার এ শোক বই খোলা হয়।
আরও পড়ুন: এটি বাংলাদেশের জন্য বড় এক বছর: ব্রিটিশ হাইকমিশনার ডিকসন
চলতি সপ্তাহের রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাই কমিশনারের বাসভবনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শোক বই খোলা থাকবে বলে জানা গেছে।
৯৬ বছর বয়সে মারা যাওয়া রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি বিভিন্ন বিশ্বনেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তারা রানির গভীর কর্তব্যবোধ, দৃঢ়তা, রসবোধ ও দয়াদ্রতার কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে বিভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
জলবায়ু কার্যক্রম যুক্তরাজ্যের জন্য অগ্রাধিকার: ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসএসসি পরীক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে: শিক্ষামন্ত্রী
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার এসএসসিপরীক্ষার্থীদের মাঝে আগামী ২৪ জুলাইয়ে মধ্যে নতুন বইপত্র সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সোমবার সকালে সিলেট সার্কিট হাউজে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অ্যাসেসমেন্ট করেছি, কতজন শিক্ষার্থীর বই নষ্ট হয়েছে বা হারিয়ে গেছে। সেই অ্যাসেসমেন্ট অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বইগুলো নিয়ে এসে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। এই মাসের ২৪ তারিখের মধ্যে আমাদের সকল এসএসসি পরীক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে যাবে। এসএসসি ছাড়াও অন্যান্য ক্লাসের শিক্ষার্থীরা যারা আছে, তাদের হাতেও বই পৌঁছে যাবে।’
মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে যে লার্নিং গ্যাপটা হয়েছে, সেটা পূরণের জন্য আমরা গবেষণা করে বের করেছি যে কোথায় কোথায় সমস্যা আছে। সেটার পূর্ণ একটা পরিকল্পনা করে রেমেডিয়াল ক্লাসের পরিকল্পনা হয়তো আমরা এক সপ্তাহ-দশদিনের মধ্যে প্রকাশ করবো। তেমনি পরীক্ষার্থী যারা, বিশেষ করে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় পরীক্ষার্থী যারা, তারা একটু হয়তো পিছিয়ে পড়েছে। শিক্ষকরা সহযোগিতা করলে তাদের সুবিধা হবে।
আরও পড়ুন: স্কুল থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, ‘সিলেটের নেতৃবৃন্দের কাছে শুনলাম প্রায় ১২০ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। হঠাৎ করেই হয়েছে (বন্যা)। বহু কিছু, বহু সম্পদ রক্ষা করা যায়নি। এই বন্যার মধ্যে আমাদের পড়াশোনা বন্ধ রাখতে হয়েছে, আমাদের পরীক্ষা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এখানে আমাদের শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আছেন, তারা সেগুলোর (ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের) একটা অ্যাসেসমেন্ট করে আমাদের কাছে দ্রুত পাঠাবেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা চেষ্টা করবো ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার কাজ করতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাচ্ছে, তবে এখনও অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন। সবাই আশা করছেন, তারা দ্রুত ফিরে যাবেন (নিজেদের বাড়িতে)। আমরা যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে পারি, সেটার চেষ্টা করতে হবে। তার আগে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত করতে হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, আমাদের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটি অর্জন করতে হলে এর মূল হাতিয়ার কিন্তু শিক্ষা। আমাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য যতো চ্যালেঞ্জ আছে, যতো সম্ভাবনা আছে, এসব মোকাবিলা করে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে শিক্ষাই মূল হাতিয়ার। আমরা কিন্তু এখন আর শিক্ষায় আধুনিকায়ন, পরিবর্তন বা সংস্কার করতে বলছি না। এখন আমরা বলছি একেবারে রূপান্তর ঘটাতে হবে, ট্রান্সফরমেশন হতে হবে। শুধু চেইঞ্জ বা রিফর্ম না। সেজন্য আমরা নতুন কারিকুলাম করেছি।’
আরও পড়ুন: দেশবিরোধী অপশক্তি পাঠ্যবই নিয়ে গুজব ছড়িয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছে: শিক্ষামন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে ৬২টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন কারিকুলামের পাইলটিং চলছে। এর মধ্যে সিলেটের তিনটি প্রতিষ্ঠান আছে।’
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে যা কিছু করা প্রয়োজন, তা করার আশ্বাস প্রদান করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এছাড়াও সভায় বন্যাপরবর্তী সময়ে সিলেট জেলার শিক্ষা কার্যক্রম, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা, এসএসসি’র নতুন পাঠ্যক্রম, এমপিওভুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (মাউশি) সিলেটের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল মান্নান খান, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান রমা বিজয় সরকার এবং এ বিভাগের চার জেলার শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা: শিক্ষামন্ত্রী