সাংবাদিকতা
পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও পেশাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও পেশাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত “জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: মরিশাসে মাদক রোধবিষয়ক সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে যেসব সাংবাদিক কাজ করে যাচ্ছেন, তারা যদি কোনো প্রভাবশালী মহল দ্বারা আক্রান্ত হন, সরকার সেক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, একদিকে যেমন সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা সরকারের দায়িত্ব, অন্যদিকে পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো অপচেষ্টা সরকার বরদাস্ত করবে না।
তিনি আরও বলেন, সরকার টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে পরিবেশ রক্ষা করে এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। তথ্যপ্রকাশে সাহসী প্রতিবেদনের জন্য সাহসী সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা আরও জোরদার করা হবে। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সাংবাদিকরা যাতে সঠিক উপায়ে তথ্য পেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেমিনার, মিট দ্য প্রেস ও আন্তর্জাতিক লিয়াঁজো উপকমিটির আহ্বায়ক জুলহাস আলম।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ব্র্যাকের জলবায়ু পরির্বতন কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী।
আরও পড়ুন: অপতথ্য রোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার কথা জানালেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার একটি বৈজ্ঞানিক ও তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
লিয়াকত বলেন, উন্নত বিশ্বের দেওয়া প্রতিশ্রুতির ১০০ বিলিয়ন ডলারের গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠন এখনও কার্যকর হয়নি। বাংলাদেশের ন্যায্য দাবিগুলো আদায়ে ক্রমাগত তথ্যউপাত্তভিত্তিক নানা প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যেতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেসব বিষয় তুলে ধরে ভবিষ্যতেও গণমাধ্যম তার ভূমিকা পালন করে যাবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ ও ডিকাবের সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা, যুগ্ম সম্পাদক মো. আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, সদস্য ফরিদ হোসেন, কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা, কল্যাণ সাহা, শাহনাজ বেগম পলি ও মোহাম্মদ মোমিন হোসেন।
আরও পড়ুন: মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
৫ মাস আগে
সাংবাদিকতায় অনেক সময় নিরপেক্ষতার কথা বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া হয়: দীপু মনি
সাংবাদিকতায় অনেক সময় নিরপেক্ষতার কথা বলতে গিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া হয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকালে চাঁদপুর প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে প্রেস ক্লাবের ২০২৪ সালের কার্যকরী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা হয় না। কারণ হত্যা ও হত্যাকারীর বিষয়ে অপরাধীর পক্ষ নেওয়া যাবে না। তখন সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা যেন বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখি। অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দেব না।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ বই উৎসব হবে: দীপু মনি
তিনি আরও বলেন, সত্যের পথ অনেক কষ্টের। সত্য সে যে বড় কঠিন বলেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যেকোনো পেশার লোকজনের জন্যই সত্যের পথে থাকা খুবই কঠিন।
দীপু মনি বলেন, যুগ পরিবর্তন হচ্ছে, পেশাগত কাজে আমাদের পরিবর্তন আসছে। তাই যারা গণমাধ্যমে কাজ করছেন তাদের প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেদের দক্ষ করে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো নিশ্চয়ই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় অনুধাবন করেন এবং তা সমাধান করবেন।
দীপু মনি বলেন, সাংবাদিকরা আমার খুবই আপনজন। কারণ বাবার কারণে শৈশব কেটেছে দৈনিক ইত্তেফাকের ছাপাখানায় ছুটাছুটি করে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ইত্তেফাকে জড়িত ছিলেন।
আমি যখন চাঁদপুরে এসেছি তখন থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার সু-সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত সেই সম্পর্ক অটুট রয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের চেষ্টার পাশাপাশি সবারই সহযোগিতা প্রয়োজন: দীপু মনি
বিএনপি অসহযোগের নামে মানুষ হত্যা করছে: দীপু মনি
৮ মাস আগে
সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের দাবির সঙ্গে সরকার একমত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণে সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে সরকার একমত বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের দাবি অনুযায়ী সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের কিছু একটা থাকা দরকার। সরকার যখনই এটা বলবে তখনই বলা হবে সরকার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এজন্য এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদেরই আওয়াজ তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: অনলাইন গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর শাহবাগে বিএসআরএফ’র আয়োজনে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালার প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে ও বিদেশের সব জায়গায় এ বিষয়ে লিখতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আপনাদের এ বক্তব্য তুলে ধরতে হবে যে এটা আপনারাই চান। সরকার সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত। সরকারের এ বিষয়ে কোনো অসুবিধা নেই। সরকার এ বিষয়টির সমাধান করবে।
৮ মাস আগে
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং: সাংবাদিকতার আড়ালে আবারও গণমাধ্যমের স্বীকৃতির অপব্যবহার
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করার অজুহাতে বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক এক প্রেস কর্মকর্তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে একটি মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
শিক্ষাবিদদের একটি অংশ বলছে, এ ধরনের সংবাদ সম্মেলনে সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতির বিষয়টিই তুলে ধরেছে এ ঘটনা।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক হিসেবে প্রশ্ন করার আগে মুশফিকুল ফজল আনসারি দুটি অনুচ্ছেদের পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন। সাংবাদিকরা মনে করেন, ওই পর্যবেক্ষণে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি যেকোনো পেশাদার সাংবাদিকেরই এড়ানো উচিত।
আনসারি বলেন, 'শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের বিষয়ও প্রকাশ পেয়েছে। জয়ের জন্য ভারতের সমর্থন নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাস্তবে বাংলাদেশের নির্বাচনে যেসব দেশ জনগণের ম্যান্ডেট মেনে নিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু তাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন।’
সিনিয়র সাংবাদিকরা আরও বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার চেষ্টা একটি পুরোনো তৎপরতা। এটিকে কোনোভাবেই সাংবাদিকতা বলা যায় না, কারণ তিনি এই প্রশ্নগুলোর জবাবও চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- তিনি যে পোর্টালটি প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন, তা দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী সমর্থিত প্রচারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মিথ্যা তথ্যের ভ্যানগার্ড হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছে।
জাস্টনিউজ নামে পরিচিত ওই পোর্টালের বিষয়বস্তু মিথ্যা বিবরণের আরেকটি উদাহরণ এটি। অগ্নিসংযোগকারীদের রক্ষা করার চেষ্টা, ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবেদন ও তারেক রহমানকে তার অপরাধ থেকে অব্যাহতি দিতে তারা বিভিণ্ন প্রতিবেদন করে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্য করার চেষ্টা করে।
এর আগেও, আনসারি প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তখন শিক্ষাবিদরা মিথ্যার উপর ভিত্তি করে এবং রাজনৈতিক এজেন্ডায় চালিত হয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, সেই আনসারিকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের মিথ্যা দোষারোপ করতে এবং সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে দাবি করতে দেখা যায়। যা বিরোধীরা তাদের অগ্নিসংযোগের সহিংস কাজ এবং নির্বাচনি প্রচার বর্জনের মতো অগণতান্ত্রিক দাবির ন্যায্যতা দেয়।
নির্বাচনের আগে গণমাধ্যমের মালিক ও সাংবাদিকদের 'বিরোধীদের পক্ষে' কাজ করানোর উদ্দেশ্যে আনসারি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে 'স্বাধীন গণমাধ্যম আউটলেটগুলোকে' 'সরকারপন্থী' হিসেবে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অধ্যাপক তাবিউর রহমানের মতে, এই কৌশলটি খুবই অশুভ।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তার সামনে তিনি সরকারের ভুল উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের কক্ষ থেকে বের হয়ে লোকটিকে মার্কিন কর্মকর্তাদের ভুল উদ্ধৃতি দিয়ে মিথ্যা প্রচার করতে দেখা যায়।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই সাংবাদিকতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না বলে দাবি তাবিউরের।
তাবিউর রহমান বলেন, 'অগ্নিসন্ত্রাসে ইন্ধন জোগাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের লম্বা লম্বা দাবি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার সুযোগলাভের এ ধরনের নির্লজ্জ অপব্যবহার অব্যাহত থাকা উচিত নয়।’
আনসারির অতীতের একের পর এক মিথ্যা বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, 'এ ধরনের প্রচারণাকে সাংবাদিকতার কাজ হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়- কেবল কর্মীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা চালাতে পারে। এ ধরনের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য স্বাধীন সাংবাদিকতা একটি ভালো হাতিয়ার।’
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৮ মাস আগে
সাংবাদিকতা এখন সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পেশা: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতি সংকটময় সময় পার করায় সাংবাদিকতা এখন সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পেশা।
তিনি বলেন, ‘জাতির দুঃসময়ে সাংবাদিকতা যখন সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পেশা, তখন ব্যক্তিগত সততার সঙ্গে পেশাগত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া জরুরি। আমরা সবাই যদি এটা করতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমরা দেশের বর্তমান (রাজনৈতিক) সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।’
শনিবার (৭ অক্টোবর) চলতি বছরের ২২ আগস্ট ৪২ বছর বয়সে মারা যাওয়া দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার হাবিবুর রহমান খানের স্মরণে এক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) প্রয়াত হাবিবুর রহমান খানের বন্ধু ও সহকর্মীরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় ফখরুল বলেন, এত অল্প বয়সে হাবিবের মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার মতো একজন স্পষ্টভাষী সাংবাদিকের খুব প্রয়োজন ছিল।
আরও পড়ুন: ‘ওয়াকওভার’ করে আওয়ামী লীগকে আর সরকার গঠন করতে দেওয়া হবে না: ফখরুল
হাবিবকে একজন 'সাহসী, দেশপ্রেমিক, সৎ ও পেশাদার রিপোর্টার' হিসেবে আখ্যায়িত করে বিএনপির এই নেতা সাংবাদিকের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
এছাড়াও তিনি পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, দলের চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, দলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, দলটির নেতা নাসির উদ্দিন অসীম, বজলুল চৌধুরী আবেদ, তাবিথ আউয়াল, যুবদল নেতা মাহবুব হোসেন ভূঁইয়া, বিএফইউজে সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন হাবিবের স্ত্রী ফারজানা মাহমুদ সনি।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিআরইউর সাবেক যুগ্ম সচিব মঈন উদ্দিন খান ও মঈনুল আহসান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে: রিজভী
আ. লীগ ছাড়া বাকি সবাই এ সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে: ফখরুল
১ বছর আগে
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম: স্পিকার
নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানাতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতায় বজলুর রহমান স্মৃতিপদক প্রদান এক অনন্য উদ্যোগ। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানাতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সেমিনার কক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সঙ্গে সফররত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ
স্পিকার বলেন, দৈনিক সংবাদের আমৃত্যু সম্পাদক বজলুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সফল সংগঠক। যিনি মুক্তিযুদ্ধের ক্রান্তিকালে "মুক্তিযুদ্ধ " নামে বহুল প্রচারিত পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বলেন, সৎ ও সাহসী সাংবাদিক হিসেবে বজলুর রহমান শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন এবং শত প্রতিকূলতায়ও তার লেখনি স্তব্ধ হয়নি।
তিনি বলেন, তার জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে সাংবাদিকদের সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে উদ্যোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অজানা অমূল্য ইতিহাস সারাদেশেই ব্যাপৃত আছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গবেষণার মাধ্যমে সাংবাদিকেরা খুঁজে বের করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পরিবেশগত ঝুঁকি রোধে টেকসই সমাধান খুঁজতে হবে: স্পিকার
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজের জন্য প্রিন্ট মিডিয়ার ২০২২ সালের সেরা প্রতিবেদক হিসেবে ডেইলি স্টার পত্রিকার আমিরুল রাজীব এবং দৈনিক সমকাল পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি রাজীব নূর যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার শ্রেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে যমুনা টেলিভিশনের হাবিব রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের হাতে পুরস্কার ও সম্মাননা তুলে দেন স্পিকার।
অনুষ্ঠানে বিচারক বোর্ডের সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানে জুরি বোর্ডের সদস্য নওয়াজেশ আলী খান ও এ এস এম সামসুল আরেফীন প্রশংসাবচন পাঠ করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি সারওয়ার আলী সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পীরগঞ্জ: স্পিকার
১ বছর আগে
মুক্ত সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হতাশাজনক ব্যর্থতার স্বাভাবিকতার দৃষ্টান্ত: টিআইবি
ক্ষমতাশালীদের অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করার জেরে সাংবাদিকদের ওপর অবারিতভাবে চলমান হামলা, মামলা, নির্যাতনও হত্যা বাংলাদেশে স্বাভাবিকতায় পরিণত হয়েছে এবং এহেন ঘটনা ঘটিয়ে ক্ষমতার আনুকূল্যে বিচারহীনতা ভোগ করাও স্বাভাবিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে মন্তব্য করে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিক নির্যাতন ও নিষ্ঠুর হত্যার সর্বশেষ শিকার গোলাম রব্বানি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকারের সদিচ্ছার উদাহরণ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যম ও সাংবাদিক গোলাম রব্বানির পরিবারের সূত্রে জানা যায় যে সংবাদ প্রকাশের জেরে বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের একজন জনপ্রতিনিধি তাকে নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করেছেন এবং তার লোকজনই তাকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পর ফেরার পথে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, শুধু তাই নয় গত ১১ এপ্রিল গোলাম রব্বানিকে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাও মারধর করেছিলেন বলে বিভিন্ন সংবাদে জানা যায়।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের জেরে গোলাম রব্বানি হত্যাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, অনিয়ম, অন্যায় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলেই সংশ্লিষ্ট ক্ষমতাবান ও তাদের যোগসাজসকারী কর্তৃক সাংবাদিকের ওপর হামলা-নির্যাতন, আটক, গুম ও এমনকি হত্যা এখন নিয়মিত হয়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে সাংবাদিকদের ওপর সংঘঠিত বিভিন্ন হামলা, মামলা ও নির্যাতনের প্রতিরোধে প্রশাসনিক ও আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সাফল্যের ঘাটতি, নির্লিপ্ততা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের একাংশের প্রচ্ছন্ন সমর্থন পাওয়ায় হামলাকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে, যার সর্বশেষ নিদর্শন জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে, জাতীয় থেকে স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্নভাবে ক্ষমতাধররা নিজেদের দুর্নীতি-অন্যায় লুকিয়ে রাখতে কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।’
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন: টিআইবি
তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি সাংবাদিক নির্যাতনের জন্য যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দায়ী, তারা কোনোভাবে ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হলেই বিচারহীনতা ভোগ করবেন, এমন পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। মুক্ত সাংবাদিকতার এই সংকট নিরসনে সরকারের যদি সদিচ্ছা থাকে তবে তার দৃষ্টান্ত হিসেবে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক সরাসরি জড়িতদের পাশাপাশি যাদের নির্দেশে, যোগসাজসে ও যাদের স্বার্থ সুরক্ষায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানিকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।’
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক ২০২৩-এ ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আগের বছর থেকে এক ধাপ নেমে ১৬৩ এ- উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘গত দুই বছরে বাংলাদেশ ১১ ধাপ ও ১৪ বছরে ৪২ ধাপ নিচে নেমেছে। যে বিষয়গুলোর ওপর এই সূচক নির্ধারিত হয়, তার অন্যতম একটি হলো সাংবাদিকের নিরাপত্তা। আর ঠিক সেখানেই বাংলাদেশের স্কোর হতাশাজনকভাবে কম। সূচকের পাশাপাশি প্রায় নিয়মিতভাবে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশ মুক্ত সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে কী ধরনের বিব্রতকর অবস্থানে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক নির্যাতন করলে এমনকি হত্যা করলে যে কোনো শাস্তি হয় না, এমন ধারণা এক প্রকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে সর্বশেষ জামালপুরে গোলাম রব্বানি হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে এমন ধারণাও প্রতিষ্ঠিত হওয়া অমূলক নয় যে, গণমাধ্যমের কণ্ঠস্বর রোধে যে কোনো কিছুই করা যায়। যার মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তো রয়েছেই। এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের দায় সরকারের।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গোলাম রব্বানিসহ সকল সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে, অবিলম্বে অভূতপূর্ব নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।’
পাশাপাশি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সাংবিধানিক অঙ্গীকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ২০১৮ সালে জাতিসংঘের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউয়ের (ইউপিআর) অধীনে বাংলাদেশের তৃতীয় পর্যালোচনার সময় সরকার সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সম্পর্কিত যে আটটি সুপারিশ সমর্থন করেছিল, সেগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নে সরকারের দায়ের কথা আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: আরপিও সংশোধনী বিল মড়ার ওপর খাড়ার ঘা: টিআইবির উদ্বেগ
ওয়াসা চেয়ারম্যানকে অপসারণের নিন্দা টিআইবি’র
১ বছর আগে
উন্নত সাংবাদিকতার লক্ষ্যে ইএমকে-বিজেএস ফেলোশিপ চালু
বিল্ডিংঅ্যাসেটস জার্নালিজম স্কুল (বিজেএস) ঢাকাস্থ অ্যাডওয়ার্ড মারো কেনেডি (ইএমকে) সেন্টারের পৃষ্ঠপোষকতায় মধ্য-ক্যারিয়ারে থাকা সাংবাদিকদের জন্য একটি ফেলোশিপ চালু করেছে।
সোমবার (৫ জুন) থেকে ইএমকে সেন্টারে ফেলোশিপের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিল্ডিংঅ্যাসেটস জার্নালিজম স্কুল (বিজেএস) বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম)-এর একটি অলাভজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার ও ফেলোশিপ প্রদান
সাংবাদিকতা বিকশিত করার উদ্যোগ
‘উন্নত সাংবাদিকতার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মশালা’- নামক ফেলোশিপটিতে ৪০ জন সাংবাদিকদের একটি অত্যন্ত কঠোর ও নিরপেক্ষ যাচাইবাছাইয়ের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে। এই মিশ্র সাংবাদিক ব্যাচে রয়েছেন প্রতিবেদক, ফটোসাংবাদিক এবং ভিডিওসাংবাদিক। কারণ এই ফেলোশিপের অন্যতম মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিটি পেশাদার সাংবাদিকের বহুমুখী কর্মপ্রতিভা শাণিত করে তোলা। ইএমকে সেন্টার প্রদত্ত স্মল গ্র্যান্ট ২০২২-২৩ বিজয়ী হয়ে বিজেএস আক্ষরিক অর্থেই দেশের সাংবাদিকতা বিকশিত করে তোলার উদ্যোগে এই ফেলোশিপ পরিচালনা করছে।
সাতটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাবেন
ফেলোগণ এই কর্মশালায় সাতটি বিষয়ে শিক্ষা পাবেন। যেমন- মোবাইলফোন সাংবাদিকতা, গল্পবলা ও সংবাদ উৎস সংগ্রহ-সংরক্ষণ, সংবাদ নীতি ও অনসুন্ধানী সাংবাদিকতা, দীর্ঘলেখনী সাংবাদিকতা, ভুয়া নিউজ ও ভুল তথ্য খুজেঁ বের করার সাধারণ কিছু নিয়মাবলী, বহুমুখী সাংবাদিকতা এবং প্রতিকূল পরিবেশে সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ।
এই কর্মশালায় প্রতিজন প্রশিক্ষকই একেকজন স্ব-স্ব স্থানে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপকারী সাংবাদিক। এএফপি ব্যুরোপ্রধান শফিকুল আলম, প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলাম, আল-জাজিরা প্রতিনিধি ফয়সাল মাহমুদ, এএফপি ফ্যাক্টচেক সম্পাদক কদরউদ্দিন শিশির, ডি ডাব্লিউ একাডেমি প্রশিক্ষক মাকসুদা আজিজ, পুলিৎজারজয়ী একমাত্র বাংলাদেশি সাংবাদিক মোহাম্মদ পনির হোসেন এবং আন্তর্জাতিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক স্যাম জাহান।
দশ সপ্তাহব্যাপী এই অনাবাসিক কর্মশালা শেষে অন্তত ৭০ শতাংশ নম্বর ওঠাতে পারলে ফেলোগণ পাবেন একটি সনদ এবং প্রথম তিনজন পাবেন আকর্ষণীয় ক্রেস্ট।
আরও পড়ুন: ইউজিসির পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ পেলেন শাবিপ্রবি অধ্যাপক ফারুক মিয়া
বিজেএস-এর প্রধান প্রশিক্ষক স্যাম জাহান বলেন, 'স্থানীয় পর্যায়ের শীর্ষ প্রশিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত এই ধরনের ফেলোশিপ এবং প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলো আসলেই সহসা দেখা যায় না। এটি আমাদের ফেলোদের জন্য তাদের দক্ষতা বাড়াতে এবং আরও ভালো সাংবাদিক হওয়ার একটি দুর্দান্ত সুযোগ হবে। আমরা আশা করি আমরা ভবিষ্যতেও এই ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারব।'
এই ফেলোশিপে অংশ নেওয়া ফেলোগণ হচ্ছেন- বীর সাহাবী, কাজী মুস্তাফিজ, আবদুল্লাহ আল জোবাইর, ঝুমুর সাহা, মারজিয়া হাশমি মম, নাসিমুল আহমেদ শুভ, সাইমুন মুবিন, মনিরুজ্জামান, সবুজ মাহমুদ, ফারিজা সাবরিন, রাফিয়া খানম চৌধুরি, ফৌজিয়া সুলতানা, শরীফা সুলতানা, ইফফাত জাহান, ফারহানা হক, মো. হেদায়েত উল্লাহ, মো. আরশাদ আলী, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী, মো. মিরাজ হোসেন, শেখ শাহরুখ ফারহান, মো. মিনহাযুল আবেদিন রিয়াজ চৌ., এম এম হাশমি, নায়েম শান, মো. তানজিল আহমেদ, মো. ওসমান গণি, মো. তাজনুর ইসলাম, তাসলিমুল আলম তৌহিদ, শোয়েব আব্দুল্লাহ, মাহফুজুর রহমান মানিক, স্টেফান রোজারিও, নূর মোহাম্মদ, অমিত বণিক, মো. আসাদুজ জামান, হাসান আল মানজুর, মো. মারিফুল হাসান, ক্যারি আশীর্বাদ বিশ্বাস, নাজমুস সাকিব এবং ইয়াসির আরাফাত।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন শাবিপ্রবির ৬০ শিক্ষার্থী
১ বছর আগে
অপরাধ-অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অপরাধ ও অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে মেলাবেন না।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'সাংবাদিকরা সমাজের অনুন্মোচিত বিষয় তুলে আনে, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। অপরাধ ও অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে মেলাবেন না।'
দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেপ্তার হওয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে একটি ১০ বছরের ছেলেকে ১০ টাকা দিয়ে ফুসলিয়ে তাকে দিয়ে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কথা বলানোর চেষ্টা এবং সে না বললেও তার বক্তব্য হিসেবে সেটি প্রচার করা শুধু বাংলাদেশের সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী নয়, সারাবিশ্বে যে সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতি রয়েছে, সেগুলোরও পরিপন্থী।'
আরও পড়ুন: ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র করছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, 'এখানে স্পষ্টত জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ লংঘিত হয়েছে এবং দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতি কটাক্ষ করা হয়েছে। এ সব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলেই মামলা হয়েছে। এর সঙ্গে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর অনুরোধ জানাই। তবে কারও কোনো হয়রানি যেন না হয়, সেদিকে আমরা নজর রাখছি।'
মন্ত্রী বলেন, 'দ্রব্যমূল্য নিয়ে, সরকারের সমালোচনা করে প্রায় প্রতিদিন দেশের পত্র-পত্রিকায় লেখা হয়, টেলিভিশনে রিপোর্ট প্রচার হয়। এ নিয়ে কোনো মামলা তো দূরের কথা, কোনোদিন কাউকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশ্নও করা হয়নি। অথচ এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট পত্রিকা থেকে বিদেশি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে যে দ্রব্যমূল্য নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে তাদের সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বলে তাদেরকে উস্কানি দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট এই অসত্য অপপ্রচার আসলে দেশবিরোধিতা।'
ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল আহসান সোহেল সভায় শুভেচছা বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সহসভাপতি দীপু সারোয়ারসহ বর্তমান ও অতীত নির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে শিমুল ও নুর
চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যালামনাইএসোসিয়েশনের ২০২৩-২৫ কার্যকরী পরিষদের সভাপতি ও সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (শিমুল নজরুল) ও নুর উদ্দিন আলমগীর।
শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গাস্থ বোটক্লাবে আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভা পরবর্তী অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: চবির চারুকলায় পুলিশের অভিযান, ছাত্র হোস্টেল থেকে ছাত্রী আটকের দাবি
উক্ত কমিটিতে প্রথম সহ-সভাপতি (ঢাকা) পদে ফজলুল করিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি হামিদ উল্লাহ, সহ-সভাপতি (চট্টগ্রাম) মিয়া মুহাম্মদ আরিফ, সহ-সভাপতি (ঢাকা) পারভেজ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (চট্টগ্রাম) আসিফুল হাসনাত সিদ্দিকী আসিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (ঢাকা) তন্ময় মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রাশেদ এইচ চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক রাশেদুল হাসান তুষার, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম (রাশেদ পারভেজ), ছাত্রকল্যাণ ও সমাজসেবা সম্পাদক মাসুদ মিলাদ এবং কার্যকরী সদস্য (চট্টগ্রাম) দিলরুবা আকতার রেণু ও কার্যকরী সদস্য (ঢাকা) পদে ফাহাদ ফেরদৌস নির্বাচিত হয়েছে।
এবারের বার্ষিক সাধারণ সভা ও বনভোজন উপলক্ষ্যে আয়োজিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ছিল অ্যালামনাই সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নৌবিহার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র।
আরও পড়ুন: চবিতে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ
চবির চারুকলা সংস্কারকাজে এক মাস বন্ধ ঘোষণা
১ বছর আগে