অনুসন্ধান ফলাফল - অপহরণ
মোট - 165
অপহরণের ২ দিন পর মুক্তি পেলেন টেকনাফের ৭ কৃষক ও ২ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে অপহৃত ৭ কৃষক ও ২ রোহিঙ্গাসহ ৯ জনকে অপহরণের ২ দিন পর ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা।
পুলিশের দাবি, সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে অভিযানের কারণে অপহরণকারী চক্র এই ৯ জনকে ছেড়ে দেয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে যুবককের কারাদণ্ড
অপহৃতরা হলেন- আনোয়ার ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, আবু বকর, মুহাম্মদ আলম, কফিল ও নুরুল হোসেন। ২ রোহিঙ্গার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে অপহরণের শিকার হওয়া ভিকটিম মো. আনোয়ার ইসলামের ভাই ছৈয়দ কামাল দাবি করেন, ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার বিনিময়ে ডাকাতের কবল থেকে বাড়িতে ফিরে এসেছেন অপহৃতরা।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৫ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে ৭৮ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, শনিবার অপহরণের বিষয়টি জানার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পুলিশ পাহাড়ে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রাখায় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা অপহৃতদের ছেড়ে দিয়েছে।
এরআগে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজরপাড়ার করাচিপাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে ওই নয়জনকে অপহরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ফেরার পথে চালকসহ তিন পর্যটককে অপহরণের চেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে যুবককের কারাদণ্ড
নাটোরের সিংড়ায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে আরিফ নামে এক যুবককে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও তা আদায় করে ভুক্তভোগীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলার ১৩ বছর পর ১৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের ২৪ মে সিংড়া উপজেলার সোহাগবাড়ি গ্রামের আনোয়ারা উচ্চ বিদ্যলায়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার সময় স্থানীয় বখাটে আরিফ তার বন্ধুদের নিয়ে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে বগুড়ায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদি হয়ে মামলা করলে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ২ জনের কারাদণ্ড
১ মাস আগে
সাজেক থেকে ফেরার পথে চালকসহ তিন পর্যটককে অপহরণের চেষ্টা
সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি ফেরার পথে দুই পর্যটকসহ গাড়ি চালাককে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় অপহরণকারীরা তাদের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিও করেছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপরই পুলিশের তৎপরতায় অপহরণকারীরা ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র অপহরণ-হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
ভুক্তভোগী পর্যটকরা হলেন, এসএম নাহিদ উজ্জামান (৩৮), মামুন ফকির(৩৮) এবং জোবায়ের আলম (২৮)। সকলের বাড়ি ফরিদপুর জেলায়।
মঙ্গলবার বিকালে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী এসএম নাহিদ উজ্জামান।
দীঘিনালার এলাকায় পৌঁছালে তাদের গাড়ি গতিরোধ করে কয়েকজন অচেনা ব্যাক্তি। গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে তাদের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। দরকষাকষি করে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকার কথা বললে পরিবারের লোকজন খাগড়াছড়ি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পুলিশ সুপার অপহরণকারীদের নাম্বারে যোগাযোগ করলে ট্রু কলারে পুলিশ সুপারের নাম দেখে তাদের ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, এ বিষয়ে একটি অপহরণ মামলা হবে। অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে অপহরণ-হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
১ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র অপহরণ-হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গা স্কুলছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে (১৫) অপহরণ করে হত্যার দায়ে মামুন (৩০) নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক মাসুদ আলী এ রায় দেন।
মাহফুজ চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র এবং দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টেও ‘সিরিয়াল কিলার’ রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি মো. মামুনসহ চারজন ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে অপরহরণ করে। তারপর তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিয়ে পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশ ও র্যাবকে জানায়। পরে অপরহণের দুদিন পর মাহফুজের লাশ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিএন্ডবি পাড়ার একটি বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় নিহত সজিবের মামা মো. আব্দুল হালিম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মামুনসহ চারজনকে আসামি করা হয়।
মামলা দায়েরের পর মামলার তিনজন আসামি ক্রসফায়ারে নিহত হন। জীবিত থাকে একমাত্র মো. মামুন। সে দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দেন।
মামলার মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামুনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন এবং একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর শরীফ উদ্দিন হাসু বলেন, ‘রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’
আরও পড়ুন: ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লায় জোড়া খুনের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
৩ মাস আগে
শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা
প্রায় ৯ বছর আগে উত্তরার এক আইনজীবীকে অপহরণের অভিযোগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোহেল রানা।
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার: ডিএমপি
অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত উত্তরা পশ্চিম থানাকে মামলাটি রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। এছাড়া র্যাবের কিছু সদস্যকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন এস এম আমির হামজা নামে এক ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনে হওয়া সব মামলা ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে: আইন উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
নড়াইলে অপহরণ-হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
নড়াইলে হত্যা ও অপহরণ মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ করে টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১২ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলমাচ হোসেন মৃধা এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল এলকার মৃত আবুল খায়ের মোল্যার ছেলে আনারুল মোল্যা,মরিচপাশা এলকার মৃত মোক্তার সর্দারের ছেলে জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া ও আড়পাড়া এলাকার মো. আবু বকর শিকদারের ছেলে নাজমুল শিকদার।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়,২০১৮ সালের ২৩ জুন সকাল ৭টায় লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের আব্দুস সালাম মোল্যার ছেলে পলাশ মোল্যাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান পার্শ্ববর্তী গ্রামের আনারুল মোল্যা,জিনারুল ইসলাম এবং মো.নাজমুল শিকদার। তারা ৪০ হাজার টাকায় ইজিবাইক কিনে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে পলাশ মোল্যাকে অপহরণ করে। পরে ২৬ জুন মাগুরা জেলার সদর থানার ধানখোলা গ্রামের জাহাঙ্গীরের পাটক্ষেত থেকে অজ্ঞাত হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: যশোরে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
পরে ৮ জুলাই পলাশ মোল্যার পরিবার লাশ শনাক্ত করে।
এ ঘটনায় নিহত পলাশের ভাই আহাদ আলী বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করে।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এমদাদুল ইসলাম বলেন,অপহরণ ও হত্যা মামলায় আনারুল মোল্যা,নাজমুল শিকদার ও তারা মিয়াকে ৩০২ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
৫ মাস আগে
নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের লালপুরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে ছাব্বির নামে এক আসামিকে যাবজ্জীন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পৃথক আরেকটি ধারার ১৪ বছরের অতিরিক্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
একই সঙ্গে মামলার অপর ২ আসামি আব্দুল মান্নান ও মুক্তার হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাদের খানের ৪ বছরের কারাদণ্ড
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান,প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আসামি ছাব্বির ২০২০ সালের ২০ নভেম্বরে দলবল নিয়ে লালপুর উপজেলার দুরদুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে অমরপুর গ্রামের বাড়ি থেকে অপহরণ করে। এরপর ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা সাদেকুল আলম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
পরে বিচার কাজের প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন শেষে আজ এ রায় দেন বিচারক।
রায়ে আসামিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে মানব পাচারের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৬ মাস আগে
গাজীপুরে অপহরণের এক মাস পর উদ্ধার ৮ মাসের শিশু
গাজীপুরে অপহরণের এক মাস পর আট মাসের শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমানকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান উপকমিশনার আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান।
শিশু অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন- বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার পাইকরতলী গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আবু সাঈদ ওরফে সুমন (৪০) ও তার স্ত্রী মোসা. আইরিন (৩৪)।
পুলিশ জানায়, শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমানের মা মনিরা আক্তার রুমা ও অভিযুক্ত আইরিন সিটি করপোরেশনের বাসন থানার নাওজোড় এলাকায় স্থানীয় মোক্তার হোসেনের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন। গত ৩ এপ্রিল দুপুরে রুমা তার শিশু সন্তানকে গোসল শেষে রুমে শুইয়ে রেখে জামা-কাপড় ধুতে বাথরুমে যান। রুমে ফিরে সন্তানকে দেখতে না পেয়ে আশেপাশের ভাড়াটিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে দেখতে পান তার পাশের রুমের ভাড়াটিয়া আইরিন তার রুমে নেই এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় শিশু অপহরণের অভিযোগে বাসন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা দায়েরের পর আসামি আইরিনের স্বামী আবু সাঈদ ওরফে সুমনের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।
৬ মাস আগে
অপহরণের ৬ দিন পর মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অপহরণের ৬ দিন পর মারুফ হাসান নামে এক মাদরাসা ছাত্রের লাশ সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঈদের দিন বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ভোর ৫ টার দিকে ঝুরঝুরি বাজারের তালুকদার মার্কেটের পিছনে সেপটি ট্যাংকের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মারুফ হাসান ঝুড়ঝুড়ি গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে ও সলঙ্গা থানার একটি মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
গ্রেপ্তারা হলেন- মো. আবুল হাশেম হাসু, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. আল আমিন হোসেন, মো. ওমর ফারুক ও মো. কাওছার হোসেন।
র্যাব-১২’র অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মারুফ হোসেনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৫ তারিখ বিকেল ৩টার দিকে ঝরঝুরি বাজার থেকে আর বাড়ি ফেরেনি মারুফ।ওই রাতে তাড়াশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নিখোঁজ ছাত্রের বাবা মোশারফ হোসেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর মারুফকে উদ্ধারের জন্য অভিযানে নামে র্যাব-১২। এক পর্যায়ে অপহরণের সন্দেহে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে গ্রেপ্তারদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ হোসেনকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান।
উদ্ধার করা মারুফ হাসানের লাশ ও গ্রেপ্তারদের তাড়াশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
৭ মাস আগে
চট্টগ্রামে ৫ দিন ধরে ব্যবসায়ী নিখোঁজ, থানায় অপহরণ মামলা
বোয়াখালী উপজেলা থেকে চট্টগ্রাম শহরে মালামাল কিনতে এসে নিখোঁজ হয়েছেন মো. আহসান হাবিব সাগর (৩১) নামের এক ব্যবসায়ী। গত ৫দিন ধরে তার কোন খোঁজ মিলছে না।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সিএমপির চাঁন্দগাও থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবারের ধারণা মহানগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে ৩ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ হন ব্যবসায়ী সাগর।
তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানাধীর মধ্যম শাকপুরা ইয়াছিন তালুকদার পাড়ার মৃত ডা. হাবিবুর রহমানের ছেলে।
শাকপুরা চৌমুহনী বাজারে তার থাই এ্যালুমিনিয়ামের দোকান রয়েছে।
সাগরের পরিবারের দাবি, ৩ এপ্রিল বেলা ১১টায় নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথায় এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন সাগর। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। তার মোবাইলও বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে নিখোঁজ সাগরের স্ত্রী রুমি আকতার চান্দগাঁও থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা করেন।
পাশাপাশি ৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম র্যাব-৭ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগও দেন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলার ডুবে নিহত ১, পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন নিখোঁজ
স্ত্রী রুমি আকতার বলেন, রবিবার রাত (৭ এপ্রিল) অবধি আমার স্বামী সাগরের কোনো খোঁজ পায়নি। আমরা সমস্ত আত্মীয় স্বজন ও সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ নিয়েছি। কোথাও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে পরিবারের সবাই উৎকণ্ঠায় রয়েছে। সাগর ৩ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার একটি দোকান থেকে মালামাল আনার জন্য। তিনি ওই দোকানে গিয়েছিলেন। তবে মালামাল কেনেননি।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, নিখোঁজ সাগরের ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ রয়েছে। যে কারণে তার অবস্থান শনাক্ত করতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু নিখোঁজ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। সে কারণে কিডন্যাপ এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, শিগগির তাকে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: রূপসা রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে কার্গো জাহাজ ডুবে নিখোঁজ ২
৭ মাস আগে