ব্যবসা-বাণিজ্য
ইসলামী ব্যাংক-রিয়া মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স উৎসবে বিজয়ীদের মোটরসাইকেল প্রদান
রিয়া মানি ট্রান্সফার ক্যাশ রেমিট্যান্স ফেস্টিভ্যালের জন্য মোটরসাইকেল হস্তান্তর করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল)।
মঙ্গলবার আইবিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মনিরুল মওলা প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যাংকের ঢাকা সেন্ট্রাল, সাউথ ও নর্থ জোনের ৯ জন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রিয়া মানি ট্রান্সফারের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর (দক্ষিণ এশিয়া) সুহেল শামসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে ফিনটেক ও শরী‘আহ বিষয়ক ওয়েবিনার
বিজয়ীরা হলেন কাপাসিয়া শাখার গ্রাহক মো. সুমন ও আহসান উল্লাহ, ভুলতা শাখার মাসুদ মৃধা, ফার্মগেট শাখার আসমা ইয়াসমিন, মাধবদী শাখার মো. রবিউল ইসলাম, পলাশ শাখার সুমা বেগম, আটিবাজার শাখার হারুন রশিদ, সামসুন্নাহার বেগম। রায়পুরা শাখা ও মেরাদিয়া উপ-শাখার জেসমিন পারভিন।
এই ক্যাম্পেইনটি আগামী ১৪ মে পর্যন্ত চলবে যাতে আইবিবিএল-এর ক্যাশ রেমিট্যান্স গ্রাহকদের মধ্যে যেকোন দেশ থেকে রিয়া মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য একজন ব্যক্তি প্রতিদিন একটি মোটরসাইকেল জিততে পারবেন।
আরও পড়ুন: ঋণ কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফার শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক
নিটওয়্যার খাতে ১ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার অর্থসহায়তা ছাড় অর্থ মন্ত্রণালয়ের
রপ্তানিমুখী নিটওয়্যার খাতে ১ হাজার কোটি টাকার নগদ প্রণোদনার অর্থসহায়তা ছাড় দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
ঈদুল ফিতরের আগে বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়ার জন্য আর্থিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) আবেদন পাওয়ার ১১ দিন পর মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ৩০ মার্চ বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমানের সই করা এক চিঠিতে সরকারের কাছে নগদ সহায়তার আবেদন জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, আর্থিক সহায়তা না দিলে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে পারে রপ্তানি খাত।
নগদ সহায়তার অর্থ ছাড়করণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় এবং হিসাবরক্ষক মহাপরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও বেতন দিতে ১৫০০ কোটি টাকা সরকারি সহায়তা চায় বিকেএমইএ
বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সদস্য কারখানাগুলো ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ
বিজেএমইএ ও বিকেএমইএ-কে পর্যায়ক্রমে ঈদের ছুটি প্রদানের আহ্বান জানালেন কাদের
ব্যবসা-বাণিজ্যে এশিয়া অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এশীয় অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রবিবার বিকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ভুটান-বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তি সই: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বমানের ঔষধ উৎপাদন করে আফ্রিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশে রপ্তানি করছে। ঔষধ ছাড়াও আরও অনেক পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ সুনাম অর্জন করছে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ নিজস্ব ব্রান্ড তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। খুব শিগগিরই বাংলাদেশ এই অঞ্চলে বাণিজ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশের ব্যবসায়-বাণিজ্য এগিয়ে যাবে নতুন দিগন্তে। নতুন নতুন পণ্য ও সেবার উদ্ভাবন আমাদের রপ্তানির ঝুড়িকে আরও সমৃদ্ধ করবে। পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা আহরিত হবে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশ একটি আত্মনির্ভরশীল স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত হবে।
মন্ত্রী জানান, ২০২৬ সালে দেশ স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। এর ফলে প্রাথমিকভাবে আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাই অতিক্রম করে আমাদের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বিগত পাঁচ দশক দেশের রপ্তানি সম্প্রসারণে যেভাবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে এসেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাদের এ প্রচেষ্টা আরও বেগবান হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের উত্তরোত্তর প্রসার ঘটাতে ভূমিকা রাখবেন। ব্যবসায়ী সম্প্রদায় দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন এবং রেখে চলেছেন। বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে সরকার ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করছে জানান তিনি।
দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন এতে করে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হয় অন্যদিকে বেকারত্ব হ্রাস পায়। এ দেশটা আমাদের সকলের।
উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ব্যবসায়ীরা শুধু লাভের আশা না করে দেশের নানা খাতে অবদান রাখেন হলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপের ফলে যে সকল মেগাপ্রকল্প নেওয়া হয়েছে এসব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে দেশের অবকাঠামগত এবং সার্বিক অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এখন বাস্তবায়নের পথে।
জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিজয়ী সকল রপ্তানিকারককে অভিনন্দন জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় রপ্তানিতে রপ্তানিকারকদের স্বীকৃতির পাশাপাশি এই ট্রফি রপ্তানি খাতে একটি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ২৮টি পণ্য খাতে ৭১টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হয়। যারমধ্যে ২৮টি স্বর্ণ, ২৫টি রৌপ্য এবং ১৭টি ব্রোঞ্জ ট্রফি।
এছাড়া, রপ্তানিখাত নির্বিশেষে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে সেরা রপ্তানিকারক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নামে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি (স্বর্ণ)’- প্রদান করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
এছাড়া জাতীয় সংসদের সদস্যরা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা প্রধানেরা এবং ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইরান-বাংলাদেশ বাণিজ্য প্রসারে একত্রে কাজ করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক মানের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মিত হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
চিনির দাম কেজিতে ৩ টাকা কমছে: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
আগামী শনিবার (৮ এপ্রিল) থেকে খোলা ও প্যাকেট চিনির দাম কেজিতে ৩ টাকা কমবে।
২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি খোলা ও প্যাকেট উভয় চিনির দাম প্রতিকেজিতে ৫ টাকা বাড়ানো হয়।
বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন এবং পণ্যমূল্য পর্যালোচনা টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার চিনির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১০৭ টাকার পরিবর্তে ১০৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি প্রতিকেজি ১১২ টাকার পরিবর্তে ১০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি এবং মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয় চিনির দাম বাড়ায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মূল্য নির্ধারণের পরও বাজারে চিনির দাম বাড়ছে। বর্তমানে খোলা চিনি প্রতিকেজি ১১৫ থেকে ১১৮ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
চিনির কেজিতে আবারও বাড়বে ৫ টাকা, কার্যকর ১ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে চায় ভারত
বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে চায় ভারত।
সোমবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কার্যালয়ে বিডা’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়ী সংগঠন ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান ভারত চেম্বার অব কমার্সের নেতারা।
বিডা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব লোকমান হোসেন মিয়াঁ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি ও বন্দর খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সৌদি আরব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সভায় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, বিনিয়োগের বিভিন্ন খাত, বিনিয়োগ সুযোগ-সুবিধা এবং বিডা’র সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন বিডা’র মহাপরিচালক জনাব শাহ মোহম্মদ মাহাবুব।
এ সময়ে সভাপতির বক্তব্যে, বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, গত একযুগে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী সত্ত্বেও, দারুণ সফলভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বাংলাদেশকে বিনিয়োগের অন্যতম সেরা গন্তব্যে পরিণত করেছে। বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন মানুষের বৃহৎ এবং ক্রমবর্ধমান বাজার এবং আমাদের মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংখ্যা ও দিন দিন বাড়ছে।
এছাড়াও আমরা ইতোমধ্য ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ২৭টি হাইটেক পার্ক স্থাপনসহ নানাবিধ বিনিয়োগের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।
যার ফলে বাংলাদেশ এক দশক পরেই একটি উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে, তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার এখনই সেরা সময়।
এসময়ে ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট এন জি খইতান বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, ভারত বাংলাদেশ সবসময়ে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। গত দশ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন চোখে পড়ার মত, ভারতীয় বিনীয়গকারীগণ সব সময়েই বাংলাদেশের এই উন্নয়নের সহযোগী হতে আগ্রহী।
সভায় ভারত চেম্বার অব কমার্সের সেক্রেটারি অভিক রয় বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো যাচাইয়ের জন্য আমরা চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছি।
এছাড়া বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন খাত যাচাই করব। আমাদের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনয়োগ করতে আগ্রহী।
এ সময়ে বিডা’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির প্রকোপ কমলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরও বাড়বে: পিটার হাস
পর্তুগালের এআইসিইপি’র সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সমঝোতা স্মারক সই করল ইপিবি
সৌদিতে ২০২৪ সাল থেকে ওষুধ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ বিনিয়োগে বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস আগামী বছর থেকে সৌদি আরবে ওষুধ উৎপাদন শুরু করবে।
সেখানে যে জনবল ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট লাগবে তা বাংলাদেশ থেকে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
আরও পড়ুন: বেক্সিমকোর সাথে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে যাচ্ছে সরকার
শনিবার বিকালে সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শনে আসেন সালমান এফ রহমান। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা শতভাগ মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরির চেষ্টা করি। কারণ, ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। যে কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ওষুধের ওপর মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছে।
তারা বলছেন যে বাংলাদেশের ওষুধ মানসম্মত। শুধু মানসম্মতই নয়, অন্যান্য দেশের তুলনায় দামও বেশ পরিমিত।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মনে করেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশ ভালো এবং ইতোমধ্যে সারা বিশ্বে আমাদের একটা ভালো অবস্থান তৈরি হয়েছে। সরকার ওষুধ শিল্পপার্ক স্থাপন করে দিচ্ছে। খুব শিগগিরই সেখানে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন হবে। ফলে এ শিল্পের বিকাশ আরও সহজ হবে।’
বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এ যোগ দিতে শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে ঢাকায় আসেন সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি। পরে বিকালে গাজীপুরের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌদি মন্ত্রী।
এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। আমরা সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে খুঁজে দেখব। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও জনশক্তি রপ্তানিতে আমাদের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে চাই।
বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালকে বিশ্বমানের ওষুধ প্রস্তুতি কারখানা উল্লেখ করে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল উন্নত সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওষুধ উৎপাদন করছে।
আর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানান, যৌথ বিনিয়োগে সৌদিতে এ কারখানা নির্মাণ হচ্ছে। তবে এর বেশিরভাগই অর্থ বাংলাদেশের। আর ওখানে প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ তৈরি করা হবে।
বাংলাদেশ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে পৃথিবীর ১৬০টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানির হয়েছে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
আরও পড়ুন: মলনুপিরাভির জরুরি বাজারজাতকরণের অনুমোদন পেল বেক্সিমকো ও এসকেএফ
বেক্সিমকোর তৈরি ৬৫ লাখ পিপিইর প্রথম চালান যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরণ
১ কোটি পরিবারের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে পণ্য বিক্রি শুরু টিসিবির
রাষ্ট্র পরিচালিত ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে প্রায় এক কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারের কাছে পাঁচটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। বুধবার (৮ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টিসিবি বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) থেকে এক কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারের জন্য ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর, ছোলা ও মসুর ডাল বিক্রি শুরু করবে।
এই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দুটি ধাপে বিক্রি করা হবে। প্রথম ধাপে বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে পণ্য বিক্রি শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রমজানের আগে ওএমএসের ১ কোটি ৬০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে টিসিবি
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
কার্ডধারীরা টিসিবির নির্দিষ্ট সেলস পয়েন্ট এবং ডিলারের আউটলেট থেকে ভর্তুকি মূল্যে ছয়টি পণ্য কিনতে পারবেন।
একজন কার্ডধারী একবারে দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, চিনি, ছোলা এবং এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন।
কার্ডধারীরা প্রতি কেজি চিনি ৬০ টাকা, খেজুর ১০০ টাকা, মসুর ডাল ৭০ টাকা, ছোলা ৫০ টাকা এবং সয়াবিন তেল ১১০ টাকা লিটারে কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন: রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি
দেশজুড়ে এক কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারের কাছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি শুরু আজ
চট্টগ্রামে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন
চট্টগ্রামে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বন্দর নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে এই ৩০তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৩ এর উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি দেশের এবং ব্যবসায়ীদের সমৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, নিরবিচ্ছিন্নভাবে দেশের সমৃদ্ধির সঙ্গে যে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও সমৃদ্ধি আসছে সেটি যদি অব্যাহত রাখতে হয়, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অব্যাহতভাবে যদি দেশ পরিচালনা করতে পারেন তাহলে আমাদের দেশকে আমরা স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে পারবো। অন্যথায় আমরা দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে পারবো না।
তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালে যখন সারাদেশে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছিল মানুষের ওপর, তখন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মুরগি এবং গরু ছাগলের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এটার কারণ হচ্ছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুট হচ্ছে বাংলাদেশের ইকোনমিক লাইফলাইন, সেটাকে বন্ধ করে দেয়ার জন্য। তখন আমাদের সরকার সমস্ত প্রোটেকশন দিয়ে রপ্তানিসহ সবকিছু চালু রেখেছিল। তারা যদি আবার সুযোগ পায় দেশটাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিবে। আজকে দেশ সমৃদ্ধ হচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধি আসছে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এখন বিদেশে বিনিয়োগ করছে, এটি শেখ হাসিনা না হলে হতো না। এখানে যদি আবার অন্য সরকার আসে এগুলো সব বন্ধ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বিসিআই সভাপতি হিসেবে আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পুননির্বাচিত
চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এমএ লতিফ এমপি, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, বাণিজ্য মেলা কমিটির চেয়ারম্যান একেএম আক্তার হোসেন।
অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ও তাদের দোসররা পদ্মা সেতু দিয়ে ওপারে গিয়ে জনসভা করে। তবুও তারা বলে, দেশে কোন উন্নয়ন হয় নাই। অথচ তারা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়েই গেলেন। ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে গিয়ে বলেন কিছুই হয় নাই। যাদের চোখ থাকতে অন্ধ, কান থাকতে বধির তাদেরকে কেউ আলোও দিতে পারবে না, শ্রবণশক্তিও দিতে পারবে না। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন।
এফবিসিসিআই ও চট্টগ্রাম শিল্প বণিক সমিতিসহ সব সমিতিকে অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর সব দেশে দেখতে পাই যখন পূজা পার্বন-উৎসব হয় তখন পণ্যের দাম কমে। আমাদের দেশে যখন উৎসব হয় তখন পণ্যের দাম বাড়ে। যখন আমাদের কোন উৎসব হবে, সেটি ঈদ-রোজা-পূজা যেটিই হোক তখন যেন পণ্যের দাম কমানোর মানসিকতা ব্যবসায়ীরা রাখে। যারা মজুদদারি করবে তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এফবিসিসিআই ও বণিক সমিতি যদি ব্যবসায়ীদের ডেকে বলেন, যারা পণ্যের দাম কমাবে তাদেরকে ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে উৎসাহ দেয়া হবে। প্রয়োজনে পুরস্কৃত করা যেতে পারে। তাহলে আমাদের দেশে সেই সংস্কৃতিটা চালু হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে এ মেলার আয়োজন চলছে। ঢাকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা সরকারের তত্ত্বাবধানে হয়। চট্টগ্রামে সরকার সহযোগিতা করে, কিন্তু মেলার আয়োজন করে চট্টগ্রাম শিল্প বণিক সমিতি। চট্টগ্রামে মেলার স্থায়ী ভ্যানু দরকার। এটা দীর্ঘদিনের দাবি। খুব তাড়াতাড়ি আউটার রিংরোডের বে- টার্মিনালের উল্টোপাশে মেলার জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয়া হবে। আজ সকালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। নকশার কাজের প্রক্রিয়া চলমান আছে।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে হাইকমিশনের সহায়তা চায় বিজিএমইএ
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে হাইকমিশনের সহায়তা চায় বিজিএমইএ
সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) একটি প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লিতে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেছে এবং ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে সহায়তা চেয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, প্রেস, প্রকাশনা ও প্রচার বিষয়ক বিজিএমইএ’র স্থায়ী কমিটির সভাপতি শোভন ইসলাম এবং বিজিএমইএ’র বাণিজ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ’র আরও দুটি সবুজ কারখানার স্বীকৃতি ইউএসজিবিসি’র
প্রতিনিধি দলটি ভারতে বিজিএমইএ এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি দ্বারা যৌথভাবে আয়োজিত সোর্সিং মিট এবং রোডশোতে অংশ নিতে ৯-১২ ফেব্রুয়ারি ভারতে গিয়েছিল।
তারা বাংলাদেশ-ভারত বর্তমান বাণিজ্য পরিস্থিতি এবং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে বাংলাদেশ ও ভারত পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধা পেতে একে অপরকে সমর্থন করতে পারে।
তিনি বলেন, ভারত রাসায়নিক ও অন্যান্য কাঁচামালসহ মানবসৃষ্ট ফাইবারভিত্তিক কাপড়ের সম্ভাব্য উৎস, যেখানে দেশটি বাংলাদেশ আরএমজি রপ্তানির গন্তব্যের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অশুল্ক বাধা অপসারণে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তা কামনা করেন, যাতে সহজে আরও বাণিজ্যের পথ প্রশস্ত হয়।
রপ্তানি-আমদানি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে তিনি স্থলবন্দরের সমস্যা সমাধানে হাইকমিশনের সহযোগিতা কামনা করেন।
ফারুক হাসান ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য কনস্যুলার পরিষেবা সহজ এবং দীর্ঘমেয়াদী ভিসা সহজতর করার জন্য হাইকমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
২০২২ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর: বিজিএমইএ
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল অংশীদার: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭৪ গুণ বেড়েছে এবং এর পেছনে বিশ্বব্যাংকের ভূমিকা ছিল।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যা এখন বেড়ে ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিকে অসামান্য বলেছে আইএমএফ: অর্থমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি এবং দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশে নেমে এসেছে, মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৮২৪ ডলার এবং গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হবে ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা এবং ২০৪১ সালে একটি স্মার্ট ডেভেলপড বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশন) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক প্রমুখ।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে বাজেটের প্রথম ত্রৈমাসিক কর্মক্ষমতা সন্তোষজনক: অর্থমন্ত্রী
পাচারকৃত অর্থ দেশে আনার আইনি প্রক্রিয়া চলছে: অর্থমন্ত্রী