ক্রিকেট
আফগানিস্তান সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও খেলতে বদ্ধপরিকর তামিম
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানিয়েছেন যে তিনি শতভাগ ফিট না হলেও বুধবার থেকে চট্টগ্রামে শুরু হতে যাওয়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে অংশ নিতে চান।
মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ দলের একটি অনুশীলন সেশন ছিল, যেখানে তামিম উপস্থিত থাকলেও ব্যাটিং বা ফিল্ডিং থেকে বিরত ছিলেন।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘আমি ১০০ শতাংশ ফিট নই, তবে আগামীকাল খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি এখন ভালো বোধ করছি।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচই কঠিন: তামিম ইকবাল
তামিম অবশ্য জানিয়েছেন, ফিটনেস নিয়ে মেডিকেল টিমের সঙ্গে পরামর্শ করেই পরবর্তী ম্যাচে খেলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেব না যা দলকে সমস্যায় ফেলতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি আগামীকালের ম্যাচ খেলার জন্য আমি ফিট।’
সিরিজের প্রথম ম্যাচ আগামীকাল এবং বাকি ম্যাচগুলো একই ভেন্যুতে ৮ ও ১১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো ম্যাচই দিবা-রাত্রির এবং প্রতিদিন দুপুর ২টায় শুরু হবে।
আফগানিস্তান সম্প্রতি জুনে একটি টেস্ট খেলেছে এবং তারা এখন যথাক্রমে চট্টগ্রাম ও সিলেটে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে।
আরও পড়ুন: সাকিব ও আমি যখন মাঠে নামি, তখন আমাদের জন্য অন্য কিছু গুরুত্ব রাখে না: তামিম
৯০৯ দিন আগে
বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচই কঠিন: তামিম ইকবাল
বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছেন, ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ তার দলের জন্য একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। কারণ এটি এমন একটি আয়োজন, যেখানে কোনও ম্যাচই সহজ নয়।
বাংলাদেশ আগামী ৭ই অক্টোবর ভারতের ধর্মশালায় তাদের এশিয়ান প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে তাদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে।
আরও পড়ুন: আমাদের বড় কিছু পার্টনারশিপ দরকার: তামিম ইকবাল
বিশ্বকাপের লিগ পর্বে পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের ফাইনাল ম্যাচসহ বাংলাদেশের মোট ৯টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলাগুলো ছয়টি ভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে তিনটি ভেন্যু- ধর্মশালা, কলকাতা ও পুনে।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে পারেন তামিম।
তিনি মনে করেন, এই সংস্করণের বিশ্বকাপ সাদা বলে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ, ‘এটাই সর্বোচ্চ ইভেন্ট। ওয়ানডে বিশ্বকাপের সঙ্গে কোনোকিছুর তুলনা চলে না; কারণ, সাদা বলে এটাই সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং, যা আপনার ম্যাচ সচেতনতা ও টেম্পারামেন্টের পরীক্ষা নেবে।’
তবুও তিনি ভালো পারফরম্যান্সের জন্য আশাবাদী, কারণ ভারতের কন্ডিশন বাংলাদেশ দলের কাছে বেশ পরিচিত।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে আমাদের দল নিয়ে আমরা আশাবাদী। আমরা ওয়ানডেতে খুব ভালো করছি এবং বাছাইপর্বেও নেতৃত্বস্থানীয় দলগুলোর মধ্যে ছিলাম। দলে অভিজ্ঞতা ও প্রতিভার ভালো মিশেল আছে আর কন্ডিশনও আমাদের চেনা।’
গত তিন বছরে বাংলাদেশ দেশে ও বিদেশে মোট ৩৬টি ওয়ানডে খেলেছে, যার মধ্যে টাইগাররা ২৩টি ম্যাচ জিতেছে।
অন্যদিকে, বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড একই সময়ে ৩৩টি ম্যাচ খেলে ১৭টিতে জয়লাভ করেছে। যেখানে রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড ৩২টি ম্যাচ খেলে ১৮টিতে জয়ী হয়েছে।
আরও পড়ুন: এক ফরম্যাট থেকে অবসর নিতে চান তামিম ইকবাল
জেসিন্ডা আরডার্নের প্রতি কৃতজ্ঞ তামিম ইকবাল
৯১৫ দিন আগে
আইসিসি বিশ্বকাপ-২০২৩ সূচি প্রকাশ: প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) একদিনের ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩-এর বিস্তারিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে, যা চলতি বছরের অক্টোবর এবং নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৭ অক্টোবর নিজেদের প্রথম ম্যাচে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের উদ্বোধনী ম্যাচের দুই দিন আগে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। একই ভেন্যুতে ১৯ নভেম্বর চূড়ান্ত ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
ক্রিকেট বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন পর্বে মোট নয়টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। ১০ অক্টোবর ধর্মশালায় ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। পরবর্তী ম্যাচগুলিতে, বাংলাদেশ পুনে, মুম্বাই এবং কলকাতায় যথাক্রমে ১৯, ২৪ এবং ২৮ অক্টোবর ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং কোয়ালিফায়ার-১ এর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
আরও পড়ুন: আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি মুশফিক ও সাকিবের
৩১ অক্টোবর কলকাতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। শেষ দুটি ম্যাচে, বাংলাদেশ বাছাইপর্ব -২-এ অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে যথাক্রমে ৬ ও ১২ নভেম্বর দিল্লি এবং পুনেতে।
বাংলাদেশের ম্যাচগুলো পাঁচটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে: ধর্মশালা, চেন্নাই, পুনে, মুম্বাই এবং কলকাতা। এর মধ্যে ধর্মশালা, পুনে এবং কলকাতা বাংলাদেশের হয়ে দু’টি করে ম্যাচ আয়োজন করবে।
এবারের আইসিসি পুরুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপে মোট ১০টি দল অংশগ্রহণ করবে। স্বাগতিক দেশ ভারতসহ বিশ্বকাপ সুপার লিগের শীর্ষ ৮টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এদিকে, বর্তমানে জিম্বাবুয়েতে চলমান টুর্নামেন্টে তাদের স্থান অর্জনের জন্য একটি বাছাইপর্বের ইভেন্টে দু’টি অতিরিক্ত দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
ভারতে ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচগুলো:
৭ অক্টোবর: হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান
১০ অক্টোবর: হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড
১৪ অক্টোবর: চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড
আরও পড়ুন: আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু রবিবার
১৯ অক্টোবর: পুনের গাহুঞ্জে,মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম ভারত
২৪ অক্টোবর: মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
অক্টোবর ২৮: কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশ বনাম কোয়ালিফায়ার-১
৩১ অক্টোবর: কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান
৬ নভেম্বর: দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম কোয়ালিফায়ার-২
১২ নভেম্বর: পুনের গাহুঞ্জে, মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়াি
আরও পড়ুন: ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপের সেরা ৬ ক্যাপ্টেন
৯১৬ দিন আগে
আগামী নির্বাচনের পর বিপিএলের পরবর্তী আসর অনুষ্ঠিত হবে
বিপিএল গভর্নিং বডির সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বা ২০২৪ সালের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের পরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পরবর্তী মৌসুম অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত জানান।
বিবৃতিতে ইসমাইল জানান, এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ঘোষণা করেছিল যে ২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারি বিপিএল শুরু হবে। তবে, নির্বাচনের তারিখকে ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে, বিপিএলের সময়সূচির পুনর্নির্ধারণ করা হতে পারে।’
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে দল ঘোষণা বাংলাদেশের
তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমাদের বিপিএল শেষ করতে হবে, কারণ এর পরে আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ আছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে বিপিএলের আসন্ন মৌসুমের জন্য প্লেয়ার ড্রাফট সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি নিশ্চিত করেছেন যে ‘গত মৌসুমে আমরা শুধুমাত্র শেষ কয়েকটি ম্যাচে ডিআরএস প্রয়োগ করেছি, এই বছর আমাদের প্রথম ম্যাচ থেকে এটি থাকবে। বোর্ড আইসিসির মধ্যস্থতায় এই পরিষেবার জন্য তিন বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’
আরও পড়ুন: আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় বিপিএলের ৪ খেলোয়াড়, কোচের জরিমানা
শেষ পর্যন্ত বিপিএলে ডিআরএস!
৯১৮ দিন আগে
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে দল ঘোষণা বাংলাদেশের
আগামী মাসে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে সিরিজের জন্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ওয়ানডে সিরিজের জন্য সাকিব আল হাসানকে অন্তর্ভুক্ত করে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করা হয়েছে।
এবারে দলে ফিরেছেন ইনজুরির কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচ মিস করা তামিম ইকবাল এবং এই সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান টেস্ট: ৫৪৬ রানের রেকর্ড ব্যবধানে ঐতিহাসিক জয় পেল বাংলাদেশ
আগামী ৫, ৮ ও ১১ জুলাই চট্টগ্রামে আফগানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল।
এদিকে, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একক টেস্টে বাংলাদেশ ৫৪৬ রানের ব্যবধানে একটি দুর্দান্ত জয় পেয়েছে। যা এখন পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে তাদের সবচেয়ে বড় জয়।
এছাড়া এই জয়টি গত ৮৯ বছরে যে কোনো টেস্ট দলের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল:
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তৌহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়াইয়ে বড় জয়ের আশা বাংলাদেশের
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান টেস্ট: ৩৭০ রানে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ
৯২৬ দিন আগে
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান টেস্ট: ৫৪৬ রানের রেকর্ড ব্যবধানে ঐতিহাসিক জয় পেল বাংলাদেশ
রানের বড় ব্যবধানে বড় টেস্ট জয়ের জন্য যেন মঞ্চ তৈরি করাই ছিল এবং বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুযোগটি কাজে লাগাতে কোনো ভুল করেনি।
দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনে স্বাগতিকদের জয় নিশ্চিত করতে আট উইকেটের প্রয়োজন ছিল, আর অবশিষ্ট দুই দিনে ৬০০-র বেশি রান করার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তান।
আফগানিস্তান পিছিয়ে পড়তে থাকায় বাংলাদেশ ৫৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচটি জয়লাভ করে, যা ১৯৩৪ সালের পর টেস্ট ইতিহাসে একটি রেকর্ড ভাঙা জয়। কারণ সেসময় অস্ট্রেলিয়া ওভালে ইংল্যান্ডকে ৫৬২ রানে পরাজিত করেছিল। ফলে, এই শতাব্দীর রানের দিক থেকে এটিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় জয়।
আট উইকেট হাতে রেখে দিন শুরু করলেও সকালের সেশনেই সবকটি হারায় আফগানিস্তান।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়াইয়ে বড় জয়ের আশা বাংলাদেশের
আফগানিস্তানের পক্ষে রহমত শাহ সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন, অন্য কোনো আফগান ব্যাটসম্যান ২০ রান স্পর্শ করতে পারেনি।
বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ ৩৭ রান দিয়ে ৪টি এবং শরীফুল ইসলাম ৩টি উইকেট নেন।
নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরি ও মাহমুদুল হাসান জয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রান তোলে বাংলাদেশ।
অভিষেকম্যাচে নিজাত মাসুদ আফগানিস্তানের হয়ে পাঁচ উইকেট নেন। দ্বিতীয় আফগান বোলার হিসেবে টেস্ট অভিষেকে পাঁচ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
জবাবে আফগানিস্তান ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় এবং পেসারদের অনুকূলে থাকা পিচে ইবাদত হোসেন বাংলাদেশের পক্ষে চারটি উইকেট নেন। ফলস্বরূপ, প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান টেস্ট: ৩৭০ রানে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ
শান্ত দ্বিতীয় ইনিংসে তার শক্তিশালী পারফরম্যান্স অব্যাহত রেখে আরও একটি সেঞ্চুরি করেন। মুমিনুল হকের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টের উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়লেন তিনি।
বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেটে ৪২৫ রান করে আফগানিস্তানকে ৬৬১ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয়।
এই কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি আফগান ব্যাটসম্যানরা যথাযথ মনোবলের সঙ্গে তাদের ব্যাটিংয়ের দিকে এগিয়ে যেতে ব্যর্থ হয় এবং তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে দুটি উইকেট হারায়।
আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলে ইব্রাহিম জাদরানকে গোল্ডেন ডাকে আউট করেন শরীফুল ইসলাম। পরের ওভারে আবদুল মালিকের উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আগামী জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসবে আফগানিস্তান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান টেস্ট: নিজাতের পাঁচ উইকেটে প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট বাংলাদেশ
৯২৬ দিন আগে
আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়াইয়ে বড় জয়ের আশা বাংলাদেশের
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ম্যাচের দুই দিন বাকি থাকতে ৬০০ রানের কমান্ডিং লিড ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিন শেষে আফগানিস্তান দুই উইকেটে ৪৫ রানে ব্যাট করছে। এখন হয় তাদের ৬১৭ রান তাড়া করে জিততে হবে কিংবা আরও ২ দিন টিকে থেকে ড্র করতে হবে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুমিনুল হক ব্যতিক্রমী দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন, প্রত্যেকেই সেঞ্চুরি করেছেন।
তাদের সেঞ্চুরির মাধ্যমে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের জন্য ৬৬১ রানের বিশাল লক্ষ্য দিতে পেরেছে। যা একটি টেস্ট ম্যাচে দলের অর্জন করা সবচেয়ে বড় লিড।
আগের রেকর্ডটি ছিল ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৭৭ রানের লিড।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান টেস্ট: ৩৭০ রানে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ
চার উইকেটে ৪২৫ রানে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। মুমিনুল হক ১২১ রানে অপরাজিত থাকেন এবং লিটন দাসও ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রান করা শান্ত, দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৪ রান করে তার দুর্দান্ত ফর্ম অব্যাহত রাখেন।
এই অসাধারণ কৃতিত্বের মধ্য দিয়ে তিনি মুমিনুল হকের পরে দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ম্যাচের উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করার মাইলফলক অর্জন করেন। মুমিনুল হক ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই রেকর্ড করেন।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে, বাংলাদেশ মোট ৩৮২ রান সংগ্রহ করে। ওই ম্যাচে আফগানিস্তানের নিজাত মাসুদ পাঁচ উইকেট শিকার করে একটি দুর্দান্ত অভিষেক করেছিলেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান মাত্র ১৪৬ রানে আউট হয়; ম্যাচে এবাদত হোসেন ৪ উইকেট নেন।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রানের সুবিধা পেয়েছে, যা প্রাথমিক পর্যায়ে থেকেই ম্যাচে তাদের প্রভাবশালী অবস্থানকে পোক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান টেস্ট: নিজাতের পাঁচ উইকেটে প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট বাংলাদেশ
বাংলাদেশে বনাম আফগানিস্তান টেস্ট: আফগানিস্তানের বিপক্ষে শান্তর সেঞ্চুরি বাংলাদেশের আশার আলো
৯২৬ দিন আগে
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান টেস্ট: ৩৭০ রানে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ
ঢাকা টেস্টে আফগানিস্তানকে তাদের প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে এক উইকেটে ১৩৪ রানে পৌঁছেছে, প্রথম ইনিংসে ২৩৬ রানের সুবিধা নিয়ে ৩৭০ রান করে শীর্ষস্থানে আরোহন করেছে।
এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেন শান্ত দ্বিতীয় দিনে ফিফটিতে অপরাজিত থাকেন, জাকির হাসানও হাফ সেঞ্চুরি করেন। দ্বিতীয় দিনের শেষের দিকে দুই ব্যাটারই ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
দিনের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ঘন্টায় পাঁচ উইকেট হারিয়ে তাদের মোটে মাত্র ২০ রান যোগ করেছে মাত্র।
যাইহোক, তারা দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে সক্ষম হয় এবং এবাদত হোসেনের চারটি উইকেট শিকারের সুবাদে আফগানিস্তানকে ১৪৬ রানে আউট করে দেয়।
বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম, স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজের পাশাপাশি দুটি করে উইকেট নেন। এই প্রক্রিয়ায়, মিরাজ ১৫০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন, সাকিব আল হাসান এবং তাইজুলকে অনুসরণ করে এই কৃতিত্ব অর্জনকারী শুধুমাত্র তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার হয়েছেন।
দিনটি প্রধানত বোলারদের ছিল, যারা ৩০০ রানের বিনিময়ে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন, বেশিরভাগ আউটের কৃতিত্ব পেসারদের।
আরও পড়ুন: আইপিএল ২০২৩: ভবিষ্যতের চার প্রতিভা
বাংলাদেশের শেষ পাঁচ উইকেটের মধ্যে নিজাত মাসুদ তিনটি নিয়ে অভিষেকে তার প্রথম পাঁচ উইকেট লাভ করেন। নিজাত একমাত্র দ্বিতীয় আফগান বোলার যিনি অভিষেকে পাঁচ রানের রেকর্ড গড়েন। এর আগে তিনি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম বলে একটি উইকেট নিয়েছিলেন, যা তাকে ইতিহাসের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এই ভাগ্য নির্ধারণ করে।
খেলা শেষে এবাদত উইকেট নেয়া নিয়ে তার আনন্দ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘এটা দুর্দান্ত ছিল যে আমরা এমন একটি পিচ পেয়েছি’। ‘এটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের যে এমন একটি পিচ আছে যেটা পেসারদের পক্ষে যায়। আমরা শুধু এটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান টেস্ট: নিজাতের পাঁচ উইকেটে প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের প্রথম উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে আক্রমণের সূচনা করেন শরিফুল। তিনি এবং এবাদত প্রথম চার উইকেটের মধ্যে দুটি ভাগ করে নেন। আফগানিস্তানকে সমমানের স্কোরে আউট করার জন্য আরও দুটি উইকেট নেন এবাদত।
স্বাগতিকরা কার্যকরভাবে নতুন বলকে কাজে লাগায় এবং পিচ থেকে বাউন্স বের করে। ষষ্ঠ ওভারে শরিফুলের প্রথম সাফল্যের পর বাংলাদেশ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিতে থাকে।
আফগানিস্তানের পক্ষে, আফসার জাজাই সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন, আর একমাত্র ব্যাটসম্যান নাসির জামাল ৩০ রানের স্কোর অতিক্রম করেন।
তাদের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথমদিকে বাংলাদেশ মাহমুদুল হাসান জয়কে ১৭ রানে হারিয়েছিল। জয় প্রথম ইনিংসে ফিফটি করেছিলেন কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে পুঁজি সংগ্রহে ব্যর্থ হন।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে, শান্ত এবং জাকির ১১৬ রানের একটি অপরাজিত স্ট্যান্ড তৈরি করে, যা টেস্টে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় অবস্থানকে মজবুত করে।
আফগানিস্তানের প্রধান কোচ জোনাথন ট্রট, সফরকারীদের জন্য ম্যাচে ফিরে আসার চ্যালেঞ্জ স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বনাম আফগানিস্তান টেস্ট: আফগানিস্তানের বিপক্ষে শান্তর সেঞ্চুরি বাংলাদেশের আশার আলো
৯২৭ দিন আগে
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান টেস্ট: নিজাতের পাঁচ উইকেটে প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট বাংলাদেশ
আফগান পেসার নিজাত মাসুদের পাঁচ উইকেটের সুবাদে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
সাত ওভারের মধ্যেই শেষ পাঁচ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের সকালের সেশনে ৪৪ মিনিটে মাত্র ২০ রান যোগ করতে সক্ষম হয় তারা।
আমির হামজার পর দ্বিতীয় আফগান বোলার হিসেবে অভিষেকেই পাঁচ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়লেন নিজাত।
৪৮ রান করা মেহেদী হাসান মিরাজকে আউট করেন ইয়ামিন আহমেদজাই। পরের ওভারে নিজাত মুশফিকুর রহিমকে ৪৭ রানে আউট করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বনাম আফগানিস্তান টেস্ট: আফগানিস্তানের বিপক্ষে শান্তর সেঞ্চুরি বাংলাদেশের আশার আলো
রাতারাতি দুই ব্যাটসম্যানই পরপর ওভারে আউট হন।
শেষ পর্যন্ত ৮৬ ওভারে ৩৮২ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
নাজমুল হোসেন শান্ত তার তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি দিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন। অন্যদিকে ৭৬ রান করে মাহমুদুল হাসান দৃঢ় অবদান রাখেন।
আফগানিস্তানের পক্ষে নিজাত ৭৯ রানে ৫ উইকেট এবং ইয়ামিন ২ উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানের
ঢাকায় পৌঁছেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল
৯২৮ দিন আগে
বাংলাদেশে বনাম আফগানিস্তান টেস্ট: আফগানিস্তানের বিপক্ষে শান্তর সেঞ্চুরি বাংলাদেশের আশার আলো
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে সেঞ্চুরি করে স্বাগতিকদের জন্য আশার আলো জাগিয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত।
টেস্ট ম্যাচে তার তৃতীয় সেঞ্চুরি করে শান্ত অসাধারণ ব্যাটিং দক্ষতা প্রদর্শন করেন এবং বাংলাদেশের ইনিংসে ভালো অবদান রাখেন।
টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। মাত্র ১ রানে জাকির হাসানকে আউট করে তারা দ্রুত সাফল্য ছুঁতে পায়।
নিজাত মাসুদ স্টাম্পের লাইনে একটি লেংথ বল ডেলিভারি করেন, যা তীব্রভাবে সরে যায় এবং জাকিরের চেষ্টা করা শটটি এড়িয়ে যায়। আফগান খেলোয়াড়রা ক্যাচ-বিহাইন্ডের আবেদন করলেও আম্পায়ার সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল
এছাড়া, টেলিভিশন রিপ্লেতে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে যে বলটি ব্যাট স্পর্শ করেছে, যার ফলে নিজত তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই একটি উইকেট পান।
প্রথম দিকের এই ধাক্কা সত্ত্বেও, বাংলাদেশি ব্যাটিং লাইন আপ স্থিতিশীল ছিল। শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয় দ্বিতীয় উইকেটে ২১২ রানের অসাধারণ জুটি গড়েন। তাদের ব্যাটিং প্রদর্শন ওডিআই ইনিংসের মতো ছিল, তাদের দৃঢ় কৌশল এবং স্ট্রোক করার ক্ষমতা প্রদর্শন করে।
জয় ১৩৭ বলে ৭৬ রান করে আউট হয়ে গেলে শেষ পর্যন্ত এই জুটি ভেঙে যায়।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান ইনজুরির কারণে চিকিৎসাধীন থাকায় তাদের পারফরম্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দল। তাদের অনুপস্থিতি দলের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, তাদের শূন্যতা পূরণেঅন্যান্য খেলোয়াড়দের এগিয়ে আসতে হয়।
একইভাবে, আফগানিস্তানও তাদের তারকা খেলোয়াড় রশিদ খানের অনুপস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে, যিনি চোটের উদ্বেগের কারণে বাদ পড়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানের
৯২৯ দিন আগে