অন্যান্য
এশিয়ান ফাইভস হকি: অষ্টম স্থানে বাংলাদেশ মহিলা দল
বাংলাদেশ মহিলা হকি দল ১০ দলের মহিলা এশিয়ান হকি ফাইভ-এ-সাইড (৫ সদস্য) বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের অষ্টম স্থানে থেকে শোচনীয়ভাবে শেষ করেছে।
সোমবার ওমানের সালালায় তাদের শেষ খেলায় চাইনিজ তাইপেই এর কাছে ৮-৫ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
দুই দলের মধ্যে সপ্তম স্থান নির্ধারণী ম্যাচটি প্রথমার্ধে ৪-৪ গোলে অপারিজত থাকে উভয় দল।
দিনের লড়াই শেষে চাইনিজ তাইপেই নারীরা বাংলাদেশের আগে কেবলমাত্র সপ্তম স্থানেই শেষ করেনি বরং গত সপ্তাহে গ্রুপ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের ৫-১০ গোলের পরাজয়ের মিষ্টি প্রতিশোধও নিয়েছে।
তাদের প্রথম ফাইভ-এ-সাইড আন্তর্জাতিক হকি টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড় অর্পিতা পাল চারটি গোল করেন এবং ইরিন আক্তার রিয়া চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে একটি গোল করেন।
আরও পড়ুন: জাল্লিকাট্টুর অনুমতি দিল ভারতের উচ্চ আদালত, প্রাণী অধিকার গোষ্ঠীর সমালোচনা
এর আগে গ্রুপ ম্যাচে চাইনিজ তাইপে’র কাছে ১০-৫ গোলে, ইরানকে ৯-৩ গোলে এবং স্বাগতিক ওমানকে ৯-২ গোলে এবং ইন্দোনেশিয়ার কাছে ৪-৭ গোলে এবং হংকংয়ের কাছে ৭-১০ গোলে পরাজিত হয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ মহিলা দল: সুমি আক্তার, মুক্তা খাতুন, ফারদিয়া আক্তার রাত্রি, অর্পিতা পাল, সানজিদা আক্তার মনি, কনা আক্তার, রিয়াসা আক্তার ও ইরিন আক্তার রিয়া।
এদিকে, মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ওমানের সালালায় ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান হকি ফাইভ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তাদের অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ পুরুষ দল।
বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ হকি ২৯ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় বাছাই পর্বে অংশ নিতে শনিবার ওমানে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ পুরুষ দল: অসীম গোপ, সরোয়ার হোসেন, মাহবুব হোসেন, শফিউল আলম শিশির, দ্বীন ইসলাম ইমন, সরোয়ার মোর্শেদ শাওন, রাজু আহমেদ তপু ও আবেদ উল্লাহ।
আরও পড়ুন: আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের আরাফাত
আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের আরাফাত
আগামী ২৬ আগস্ট থেকে ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি ও মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে (আয়রনম্যান ৭০ দশমিক ৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, বার্লিন ম্যারাথন এবং আয়রনম্যান মালয়েশিয়া) অংশ নিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরাফাত।
বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত আরাফাত ‘লিমিটলেস লাইফ’-এর মূলমন্ত্র অনুসরণ করে ইতোমধ্যেই ৯বার বাংলা চ্যানেল অতিক্রম করে সাড়া ফেলেছেন।
এছাড়াও, মাত্র ২০দিনে দৌড়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দেওয়াসহ বিভিন্ন ব্যতিক্রমী অর্জনের জন্য বহুবার শিরোনামে এসেছেন তিনি। ইতোপূর্বে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, জার্মানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আয়রনম্যান ইভেন্টে অংশও নিয়েছেন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের এই যাত্রায় আরাফাতের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বনামধন্য নিউট্রিশন ব্র্যান্ড নিউট্রি প্লাস।
এ বিষয়ে আরাফাত বলেন, ‘আসন্ন ট্রায়াথলন চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমি এ পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি। আশা করি এই আসরগুলোতে অংশ নিয়ে আমি আমার দেশের জন্য গর্ব ও আনন্দ বয়ে আনতে পারব। এই যাত্রায় আমাকে সহযোগীতা করার জন্য কেয়ার নিউট্রিশন লিমিটেডের প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড নিউট্রি প্লাসকে অনেক ধন্যবাদ।’
আরও পড়ুন: আর্জেন্টাইন ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া
কেয়ার নিউট্রিশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এডি বেয়ারনট বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিভাবান ট্রায়াথলেট হিসেবে নতুন লক্ষ্যে অগ্রসর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরাফাতের পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অসাধারণ সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে তিনি দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন। এই তরুণ ক্রীড়াবিদের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। আমার বিশ্বাস, আরাফাতের সাথে আমরা ইতিহাস গড়ার সাক্ষী হতে যাচ্ছি।’
আয়রনম্যান ট্রায়াথলন হল ৩ দশমিক ৯ কিমি সাঁতার, ১৮০ দশমিক ২ কিমি সাইকেল রাইড এবং ৪২ দশমিক ২ কিমি ম্যারাথন দৌড় সমন্বয়ে একটি প্রতিযোগিতা, যা বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন একদিনের ক্রীড়া ইভেন্টগুলির মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: সৌদির আল হিলালে যাচ্ছেন নেইমার
এএফসি কাপ খেলতে সিলেটে পৌঁছেছে মালদ্বীপের ক্লাব ঈগলস ও ঢাকা আবাহনী
বাংলাদেশে কবে কাবাডি লিগ টুর্নামেন্ট হবে!
টানটান উত্তেজনা নিয়ে দর্শকরা ঘিরে রেখেছে ১০ বাই সাড়ে ১২ মিটারের একটি আয়তাকার ক্ষেত্র। দু’পাশে সাতজন করে খেলোয়াড়। এরমধ্যে হঠাৎ একজন একদমে হা-ডু-ডু-ডু-ডু করতে করতে বিপরীত পাশে থাকা দলের
দিকে এগিয়ে গেল। দম থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের ছুঁয়ে দিয়ে নিজের ঘরে ফিরতে হবে তার। দম আর শক্তির এই খেলায় সে কি ঘরে ফিরতে পারবে, না কি প্রতিপক্ষের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে নিজেই খেলা থেকে ছিটকে পড়বে?
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ও উত্তেজনাপূর্ণ হা-ডু-ডু খেলার এমন আয়োজন এখন বলতে গেলে আর চোখেই পড়ে না।
ইট-কাঠের নগরে খেলার জায়গা সংকুচিত হয়ে আসা আর নাগরিক ব্যস্ত জীবনের কারণে শহরে তো বটেই, গ্রামেও হা-ডু-ডু খেলা এখন আর খুব বেশি দেখা যায় না। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে একসময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে জাতীয় মহিলা কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
এই খেলাটিরই অনন্য সংস্করণ কাবাডি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে কাবাডিকে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন।
জাতীয় খেলার মর্যাদা আর ফেডারেশন প্রতিষ্ঠার বাইরে গ্রামাঞ্চলে তুমুল জনপ্রিয়তা থাকা সত্বেও কাবাডি নিয়ে আর আগের মতো উত্তেজনা নেই। অর্থায়ন আর পৃষ্ঠপোষকতা সংকটের মত নানান কারণে দেশে দক্ষ ও
পেশাদার কাবাডি খেলোয়াড় গড়ে উঠছে না। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিসরে এশিয়ান গেমসের কাবাডি খেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে। তবে ফলাফল হিসাব করলে দেখা যাবে সেখানেও তেমন দৃশ্যমান কোনো উন্নতি নেই।
১৯৯০, ১৯৯৪ ও ২০০২ সালের এশিয়ান গেমস আসরের কাবাডি (পুরুষ) খেলায় রৌপ্যপদক আর ১৯৯৮ ও ২০০৬ সালের আসরে ব্রোঞ্জ পদকজয়ী বাংলাদেশ, ২০১০ থেকে পরের আসরগুলোয় প্রথম চারেই থাকতে পারেনি।
বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হিসেবে সাধারণত ক্রিকেটকেই বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ফুটবল, টেনিস, হকি, ভলিবল, হ্যান্ডবল, গলফের মতো আন্তর্জাতিক খেলাগুলোও দেশে একদম কম জনপ্রিয় নয়।
বিনোদনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে খেলাধুলার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আবার হা-ডু-ডু’র মত খেলাগুলো দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যেরও প্রতিনিধিত্ব করে। দেশে কাবাডির পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, বলি খেলা ইত্যাদি।
ক্রীড়াপ্রেমীদের মাঝে কাবাডিকে জনপ্রিয় করে তুলতে এ সম্পর্কিত সব ধরণের খবর নিয়ে পারিম্যাচ নিউজ তো রয়েছেই।
শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, কাবাডি পুরো ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়েই জনপ্রিয় খেলা। প্রতিবেশি দেশ ভারত সাম্প্রতিক সময়ে কাবাডির মত আঞ্চলিকভাবে জনপ্রিয় খেলাগুলোকে বিশ্ব পর্যায়ে তুলে ধরতে বিভিন্ন
উদ্যোগ নিচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে পেশাদার কাবাডি টুর্নামেন্টের আয়োজন করা।
২০১৪ সালে ভারত প্রথমবারের মতো ‘প্রো কাবাডি লিগ’ আয়োজন করে। আইপিএল ও বিপিএল এসব ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের মতোই জনপ্রিয়তা অর্জন করে প্রো কাবাডি লিগ। করোনা মহামারির কারণে একবছর বাদ দিয়ে ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরই আয়োজিত হয়েছে এই তুমুল জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট।
এ বছরের ০৭ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে প্রো কাবাডি লিগের দশম আসর, যার টাইটেল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ভিভো।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঐতিহ্যবাহী কাবাডি প্রতিযোগিতা শুরু
এছাড়া, অ্যাসোসিয়েট স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ড্রিম১১ ও এ২৩ রামি। আয়োজনটির গর্বিত অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে পারিম্যাচ নিউজ, আলট্রাটেক সিমেন্ট ও জিন্দাল প্যানথার।
প্রো কাবাডি লিগের মত টুর্নামেন্ট আয়োজনের বেশ কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতে একদিকে আবার জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে কাবাডি, অন্যদিকে এর মাধ্যমে দক্ষ কাবাডি খেলোয়াড়রা বের হয়ে আসছেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজেদের কৌশল ও নৈপুণ্য দেখানোর সুযোগ পাচ্ছেন অনেক তরুণ খেলোয়াড়। এর সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয় পর্যায়েও এখন গড়ে উঠছে কাবাডি দল ও ক্লাব। জাতীয় খেলা কাবাডির জনপ্রিয়তা বাড়াতে প্রতিবেশি দেশের মতো বাংলাদেশেও এধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আয়োজন করা যেতে পারে। দেশে এ ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজন করার ক্ষেত্রে স্পন্সর না পাওয়াকে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তবে উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি ত্রিদেশীয় প্রো-বক্সিং টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়, যার স্পন্সর হিসেবে সহযোগিতা করে এক্সসেল। বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনও যদি এরকম স্পন্সরদের আকৃষ্ট করতে পারে, তাহলে প্রতিবছর ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আয়োজন করাও কঠিন হবে না।
দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হলে জেলা-উপজেলা পর্যায় থেকে খেলোয়াড়রা বের হয়ে আসার সুযোগ পাবে। প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সেরাদের বাছাই করার সুযোগ পাবে ফেডারেশন। এতে করে আন্তর্জাতিক
পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করার মতো জাতীয় দল গঠন করা আরও সহজ হবে।
একদিকে বিশ্বের সামনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। অন্যদিকে জাতীয় খেলাকেও আমরা দিতে পারব যথাযোগ্য মর্যাদা।
আরও পড়ুন: ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল
জাল্লিকাট্টুর অনুমতি দিল ভারতের উচ্চ আদালত, প্রাণী অধিকার গোষ্ঠীর সমালোচনা
প্রাণী অধিকার গোষ্ঠীগুলোর সমালোচনার মধ্যেই ভারতের উচ্চ আদালত জাল্লিকাট্টু (ষাঁড়-মানুষের লড়াই) খেলাকে অব্যাহত রাখার অনুমতি দেওয়ার রায় দিয়েছেন। এটি দেশটির দক্ষিণ রাজ্য তামিলনাড়ুতে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে উদযাপিত হয়।
বৃহস্পতিবার এই রায় দেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকেরা।
এসময় পাঁচজন বিচারক বলেছেন যে রাজ্য সরকার পশুদের ব্যথা ও কষ্ট কমাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে, দেশে খেলাধুলা এবং অন্যান্য ষাঁড়ের দৌড় অব্যাহত থাকতে পারে।
প্রাণী অধিকার সংস্থাগুলো আদালতে আবেদন করেছিল যে জাল্লিকাট্টু একটি রক্তের খেলা ও বিপজ্জনক। জনাকীর্ণ এলাকা থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ষাঁড়গুলো প্রায়ই তাদের আরোহী ও পথচারীদের আক্রমণ করে।
শতাব্দী পুরনো এই খেলাটি তামিলনাড়ুতে জানুয়ারি মাসে চার দিনের পোঙ্গল ফসলের উৎসবের সময় অত্যন্ত জনপ্রিয়, যেখানে শত শত ষাঁড় একটি উন্মুক্ত আনন্দ উৎসবে প্রতিযোগিতা করে।
ড্রামের বাজনা ও জনতার উল্লাসের মধ্যে একজন মানুষ একটি বড় ষাঁড়ের পিঠের উপর লাফিয়ে ওঠে এবং ষাঁড়টির কুঁজে শক্তভাবে ঝুলে থাকে।
যদি সে ৩০ সেকেন্ড বা তিনটি লাফ বা ১৫ মিটার (৪৯ ফুট) দূরত্ব যাওয়া পর্যন্ত ষাঁড়টির কাধে টিকে থাকতে পারে, তবে তার রান্নার হাঁড়ি, কাপড়, সাইকেল, মোটরবাইক বা গাড়ির মতো পুরস্কার জেতেন।
পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিম্যালস (পিটা) -এর ভারতীয় মুখপাত্র পূরবী জোশিপুরা বলেছেন, আদালতের এই রায় ‘আমাদের দেশকে বিশ্বের চোখে আরও পশ্চাৎপদ হিসেবে দেখাবে।’
পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিম্যালস, একটি বিশ্বব্যাপী প্রাণী অধিকার সংস্থা। এটি ভারতের শীর্ষ আদালতে অভিযোগ করে দেশে এ ধরনের খেলাধুলা বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
জোশিপুরা বলেন, মানুষ ও পশু মারা যাওয়া ও আহত হওয়া সত্ত্বেও আদালত এ রায় দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে কমপক্ষে ১০৪ জন পুরুষ ও শিশু এবং ৩৩টি ষাঁড় মারা গেছে। আরও মৃত্যু ঠেকাতে অন্যান্য দেশগুলো এই ধরনের খেলা নিষিদ্ধ করার জন্য অগ্রসর হচ্ছে।’
এর আগে ২০১৪ সালে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে জাল্লিকাট্টু প্রাণীদের অধিকার এবং নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইন লঙ্ঘন করেছে।
দুই বছর আগে ফেডারেল সরকার জাল্লিকাট্টু ও গরুর গাড়ি দৌড় অব্যাহত রাখার অনুমতি দেয়। প্রাণী অধিকার সংস্থাগুলো তখন এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়।
পরে, তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারও একটি আইন প্রণয়ন করে জানায় যে তারা প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা রোধ করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা জালিকাট্টুকে চালিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে।
বৃহস্পতিবার, শীর্ষ আদালত ফেডারেল ও রাজ্য সরকারের পদক্ষেপকেই বহাল রেখেছে।
আন্তর্জাতিক রেটিং দাবাতে শীর্ষস্থানে ৪ খেলোয়ার
চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচের পর চারটি করে পয়েন্ট নিয়ে ওয়ালটন ইন্টারন্যাশনাল রেটিং দাবা টুর্নামেন্টে যৌথভাবে চারজন খেলোয়াড় শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের হলরুমে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
খেলোয়াড়রা হলেন জিএম জিয়াউর রহমান, সিএম মানন রেজা নীর, এফএম মেহেদী হাসান পরাগ ও এফএম সুব্রত বিশ্বাস।
আইএম মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন, এফএম তাহসিন তাজওয়ার জিয়া, এফএম খন্দকার আমিনুল ইসলাম, সিএম নাঈম হক, শ. রাশেদুল হাসান, মো. নাসির উদ্দিন এবং মো. শরীয়তুল্লাহ সাড়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল যুব র্যাপিড দাবা শুক্রবার থেকে শুরু
আজকের খেলায় জিএম জিয়াউর রহমান এফএম মোহাম্মদ জাভেদকে, সিএম মানন রেজা নীরকে মো. মাসুম হোসেনকে, এফএম খন্দকার আমিনুল ইসলামকে আইএম মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন, এফএম মেহেদী হাসান পরাগ রুবেল হোসেনকে, এফএম সুব্রত বিশ্বাস মো. আবু হানিফকে, এফএম তাহেল হোসেনকে পরাজিত করেন। তাজওয়ার জিয়া মোহাম্মদ ও এনায়েত হোসেন, মো. নাসির উদ্দিন ও সিএম চঞ্চল কুমার ঘোষ, সিএম মাহতাবউদ্দিন আহমেদ ও ডব্লিউসিএম আহমেদ ওয়ালিজার সঙ্গে ড্র করেন এবং মো. মাহবুবুর রহমানকে পরাজিত করেন মো. শরীয়তুল্লাহ।
শুক্রবার একই ভেন্যুতে দুপুর ২টা থেকে পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ‘প্রথম আন্তর্জাতিক বীচ র্যাপিড দাবা প্রতিযোগিতা-২৩’ শুরু শুক্রবার
এশিয়া কাপ ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং আর্চারি: রিকার্ভ মিক্সড টিম ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ দল ২০২৩ এশিয়া কাপ ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং টুর্নামেন্টের রিকার্ভ মিক্সড টিম ইভেন্টে রবিবার চাইনিজ তাইপেইতে তাদের কাজাখস্তানের প্রতিপক্ষকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতেছে।
সোমবার বিকালে ইভেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশের মিশ্র দ্বৈত জুটি হাকিম আহমেদ রুবেল এবং দিয়া সিদ্দিকী তাদের কাজাখস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুলিন ইলফাত এবং ই আলিনা জুটিকে ৫-৩ সেটে হারিয়েছে।
সোমবারও ইভেন্টের একটি ব্রোঞ্জ পদকের নির্ধারক ম্যাচে মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম রুবেল রিকার্ভ পুরুষ এককে তার কাজাখস্তানের প্রতিপক্ষ আব্দুলিন ইলফাতকে ৬-৪ সেটে হারিয়ে বাংলাদেশের হয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন।
এছাড়া বাংলাদেশের দিয়া সিদ্দিকী সোমবার রিকার্ভ মহিলা এককের ব্রোঞ্জ পদক নির্ধারণী ম্যাচে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে তার মালয়েশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী মাশাকিখ সায়াকিয়েরার কাছে ৪-৬ সেটে হেরেছেন।
ছয় তীরন্দাজ ও তিন কর্মকর্তার সমন্বয়ে নয় সদস্যের বাংলাদেশ জাতীয় তীরন্দাজ দল গত মঙ্গলবার চাইনিজ তাইপের উদ্দেশে রাজধানী ছেড়েছে।
বাংলাদেশ দলের সদস্য: মোহাম্মাদ হাকিম আহমেদ রুবেল, এম সাগর ইসলাম, রাম কৃষ্ণ সাহা (রিকার্ভ পুরুষ তীরন্দাজ), দিয়া সিদ্দিকী (রিকার্ভ মহিলা তীরন্দাজ), মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান (কম্পাউন্ড পুরুষ তীরন্দাজ) এবং শ্যামলী রায় (কম্পাউন্ড মহিলা তীরন্দাজ)।
কর্মকর্তা: আয়নাল হক স্বপন (টিম ম্যানেজার), মার্টিন ফ্রেডরিক (প্রধান কোচ) ও মোহাম্মদ হাসান (কোচ)।
বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডি: ইরাককে ৪৯-৩৩ পয়েন্টে হারিয়ে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
ইরাককে ৪৯-৩৩ পয়েন্টে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৩ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে ‘গ্রুপ-এ’ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।
রাজধানীর শহীদ নূর হোসেন ভলিবল স্টেডিয়ামে এই জয় পায় বাংলাদেশ দল।
প্রথমার্ধে ২৮-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ।
দিনের জয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ টানা পাঁচটি ম্যাচ থেকে পূর্ণ ১০ পয়েন্ট অর্জন করে গ্রুপ এ-এর শীর্ষ স্লটে পাঁচটিতে পাঁচটি করেছে এবং সোমবার বিকাল ৪টায় প্রথম সেমিফাইনালে গ্রুপ বি রানার্সআপের মুখোমুখি হবে।
দুর্দান্ত ইরাক শনিবার বিকালে তিনটি পিছিয়ে জয় নিয়ে কোর্টে নেমেছিল। তবে গত দুইবারের চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের প্রথম পরাজয় স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ‘প্রথম আন্তর্জাতিক বীচ র্যাপিড দাবা প্রতিযোগিতা-২৩’ শুরু শুক্রবার
তবে, তারা এখনও গ্রুপ বি থেকে সেমিফাইনালের দৌড়ে চারটি ম্যাচে ছয় পয়েন্ট অর্জন করে এবং সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে রবিবার বি গ্রুপের বাকি ম্যাচে ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলবে।
দিনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের শুরুটা মন্থর হলেও সামগ্রিক টিমওয়ার্ক দিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দ ফিরে পেয়েছে।
প্রথম পাঁচ মিনিটে কিছুটা হাড্ডা-হাড্ডি দ্বৈরথ দেখা গেলেও ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম লোনা (অলআউট) করে বাংলাদেশ।
তুহিন তরফদার এবং মিজানুর রহমান তাদের অভিযানে বুদ্ধিমান ছিল এবং অভিজ্ঞ রেইডার আরদুজ্জামান দক্ষ আক্রমণ শুরু করেছিলেন।
ইরাকের অধিনায়ক সাবির আলোই সারি তার উচ্চতা এবং লম্বা হাতের লাথি দিয়ে বাংলাদেশের ডিফেন্সের জন্য কিছুটা মাথাব্যথা তৈরি করেছেন।
১৬তম মিনিটে ইরাকের সাতের বিপরীতে তিনে নেমে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু মিজানুর রহমানের সুপার রেইডে তিন ইরাকি খেলোয়াড়কে আউট এবং বাংলাদেশের তিনজন খেলোয়াড়কে কোর্টে ফেরত দেখতে পান।
শেষের পরিবর্তনের পর, বাংলাদেশ সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে লিড ধরে রাখার দিকে মনোনিবেশ করেছিল। ইরাক আপ্রাণ চেষ্টা করেও স্বাগতিকদের কৌশলগত জাল কাটিয়ে উঠতে ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন: শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদরাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা-২০২৩: ঢাকায় চূড়ান্ত পর্ব শুরু আজ
তুহিন তরফদার এবং আরদুজ্জামান উভয়েই ৯ পয়েন্ট করে পেলেও তুহিন ম্যান অব দ্য ম্যাচের জন্য জমকালো ট্রফি এবং বরাদ্দকৃত ১০ হাজার টাকার বরাদ্দ পায়।
শনিবার একই ভেন্যুতে দিনের অন্য ম্যাচে চাইনিজ তাইপেই টুর্নামেন্টের বি গ্রুপে একক লিড নিয়েছিল সব ম্যাচে পরাজিত মালয়েশিয়াকে ৭৯-৩৪ পয়েন্টে হারায়।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন চেন চি চিহ চ্যাং।
দিনের ভাল মেধাবী জয়ে চাইনিজ তাইপেই গ্রুপ বি-এর শীর্ষস্থানে তাদের অগ্রযাত্রা শেষ করেছে। পাঁচটি গ্রুপের সমস্ত লড়াই থেকে আট পয়েন্ট অর্জন করে দলটি।
তবে, চাইনিজ তাইপেকে এখনও তাদের সেমিফাইনালের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড উভয়েরই ছয় পয়েন্ট এবং একটি ম্যাচ খেলতে হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস হ্যান্ডবল শুরু বুধবার
স্বাধীনতা দিবস হ্যান্ডবল শুরু বুধবার
বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন (বিএইচএফ) আয়োজিত স্বাধীনতা দিবস হ্যান্ডবল (নারী ও পুরুষ) শুরু হচ্ছে বুধবার।
রাজধানীর শহীদ শহীদ ক্যাপ্টেন (অব.) এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে (ম্যাচ ১৫) শুরু হবে।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করবেনরাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএইচএফের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান।
দুটি গ্রুপে বিভক্ত ছয়টি দল পুরুষ ও নারী উভয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।
অংশগ্রহণকারী পুরুষ দল:
গ্রুপ এ- বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, টিম হ্যান্ডবল, ঢাকা এবং আইডিয়াল হ্যান্ডবল গার্ডেন (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)।
গ্রুপ বি- আনসার ও ভিডিপি, পুলিশ হ্যান্ডবল ক্লাব এবং চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ‘প্রথম আন্তর্জাতিক বীচ র্যাপিড দাবা প্রতিযোগিতা-২৩’ শুরু শুক্রবার
নারী দল:
গ্রুপ এ- আনসার ও ভিডিপি, বদলগাছি হ্যান্ডবল অ্যাসোসিয়েশন এবং তেতুলিয়া উপজেলা কে.এস।
গ্রুপ বি- জামালপুর স্পোর্টস একাডেমি, পুলিশ হ্যান্ডবল ক্লাব ও হ্যান্ডবল ট্রেনিং সেন্টার, ঢাকা।
উদ্বোধনী দিনে (বুধবার) আটটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদরাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা-২০২৩: ঢাকায় চূড়ান্ত পর্ব শুরু আজ
শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদরাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা-২০২৩: ঢাকায় চূড়ান্ত পর্ব শুরু আজ
শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদরাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর দুই দিনব্যাপী চূড়ান্ত পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে আজ।
আজ সোমবার থেকে রাজধানীর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে বিভাগীয় পর্যায়ের বিজয়ীদের নিয়ে চূড়ান্ত আসরটি শুরু হবে।
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের (বিএএফ) আয়োজনে দেশের সবচেয়ে বড় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন হবে আজ বিকাল ৩টায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও বিএএফ সভাপতি এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
গত জানুয়ারিতে শুরু হয় দেশব্যাপী অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব। প্রতিযোগিতার চারটি বিভাগে ৩২টি ইভেন্টে সমস্ত উপজেলা থেকে প্রায় ৫০ লাখ আত্মবিশ্বাসী ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন’ জিতেছেন কেনিয়ার কিপ্রোটিচ
‘এ’ এবং ‘বি’ গ্রুপে, ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ১০০-মিটার এবং ২০০-মিটার দৌড়, উচ্চ লাফ এবং লং জাম্পে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
‘সি’ এবং ‘ডি’ গ্রুপে, নবম এবং দশম-শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ১০০-মিটার, ২০০-মিটার, ৪০০-মিটার, ৮০০ মিটার, এক হাজার ৫০০ মিটার দৌড়, হাই জাম্প, লং জাম্প, ট্রিপল জাম্প, জ্যাভলিন থ্রো, শট পুট, ডিসকাস থ্রো এবং ৪×১০০-মিটার রিলে রেস করে।
আন্তঃউপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা জানুয়ারিতে, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ‘প্রথম আন্তর্জাতিক বীচ র্যাপিড দাবা প্রতিযোগিতা-২৩’ শুরু শুক্রবার
বঙ্গবন্ধু এশিয়ান সেন্ট্রাল জোন অনূর্ধ্ব-২৩ ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু
কক্সবাজারে ‘প্রথম আন্তর্জাতিক বীচ র্যাপিড দাবা প্রতিযোগিতা-২৩’ শুরু শুক্রবার
দেশে ‘প্রথম আন্তর্জাতিক বীচ র্যাপিড দাবা প্রতিযোগিতা ২০২৩’ শুরু হচ্ছে কক্সবাজারের লাবণী সমুদ্র সৈকতে।
শুক্রবার দেশে প্রথমবারের মতো এই আন্তর্জাতিক দাবার আসরটি উদ্বোধন করা হবে।
বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত আসরে দুইজন গ্রান্ডমাষ্টারসহ প্রায় ১০০ জন জাতীয় পর্যায়ের দাবাড়ু অংশগ্রহণ করবেন।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দু’জন গ্রান্ডমাষ্টার হলেন- গ্রান্ডমাষ্টার জিয়াউর রহমান এবং গ্রান্ডমাষ্টার এনামুল হোসেন রাজিব।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক মাষ্টার, ফিদে মাষ্টারসহ জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ র্যাংকিংয়ে থাকা খেলোয়াড়, তরুণ উদিয়মান দাবাড়ৃরাও এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন।
এ প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হলো-কক্সবাজারসহ সারাদেশে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে দাবা খেলাকে জনপ্রিয় করে তোলা।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল যুব র্যাপিড দাবা শুক্রবার থেকে শুরু
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন। অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাব উদ্দিন উপস্থিত থাকবেন বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল মেমোরিয়াল র্যাপিড দাবা টুর্নামেন্ট আয়োজন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের