অন্যান্য
দাবাগুরু রাণী হামিদ: আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশি নারীদের অনন্য অনুপ্রেরণা
আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের ভূমিকার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণার শতাব্দী ২১ শতক। সেখানে বাংলাদেশি নারীদের উপস্থিতি অনেকটাই সীমিত। এরপরেও বিস্তৃত এই মঞ্চে অল্প যে দুয়েকটি পদচিহ্ন পড়ছে তা অনেকখানি এগিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশকে। তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বর্ষিয়ান দাবাড়ু রাণী হামিদ। ৮০ বছর বয়সেও এই দাবাগুরু নিজের সপ্রতিভার সাক্ষর রেখে বিশ্ব দরবারে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে চলেছেন। ৪০ বছরের সুদীর্ঘ ক্রীড়া জীবনে দাবা খেলাকে ঘিরে তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে একাধিক বিশেষণ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নারী মাস্টার, কমনওয়েলথের শীর্ষ দাবা খেলোয়াড় এবং ব্রিটিশ নারী দাবা চ্যাম্পিয়ন। চলুন, রাণী হামিদের একজন সফল দাবাড়ু হয়ে ওঠার গল্প এবং তার অর্জনগুলো সম্বন্ধে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।
দাবাগুরু রাণী হামিদের ব্যক্তিগত জীবন
ভালো নাম সৈয়দা জসিমুন্নেসা খাতুন, পরিজনদের কাছে যিনি পরিচিত রাণী নামে। তার জন্ম ১৯৪৪ সালের ১৪ জুলাই ব্রিটিশ ভারতীয় শাসনামলে আসাম প্রদেশে (বর্তমান সিলেট)। বাবা সৈয়দ মমতাজ আলী ছিলেন তৎকালীন সময়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তা, আর মা মোসাম্মাৎ কামরুন্নেসা খাতুন ছিলেন গৃহিণী।
শৈশবে রাণীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় ১৯৫২ সালে চট্টগ্রামের নন্দনকানন গার্লস হাইস্কুলে। যেখানে তিনি সরাসরি দ্বিতীয় শ্রেনিতে ভর্তি হয়েছিলেন। বাবার চাকরির সুবাদে কয়েক বার স্কুল বদলের পর অবশেষে ১৯৬০ সালে সিলেট বালিকা বিদ্যালয় থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন। এরপর ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ডিগ্রি পরীক্ষা দেন।
১৯৫৯ সালে তার বিয়ে হয় তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং ক্রীড়া সংগঠক এম এ হামিদের সঙ্গে। সেই থেকে তিনি হয়ে যান রাণী হামিদ এবং পরবর্তীতে এই নামেই সবার কাছে পরিচিত হন।
হামিদ দম্পতির জ্যেষ্ঠ ছেলে কায়সার হামিদ ছিলেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের একজন ফুটবল খেলোয়াড়। ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকে তিনি অধিনায়কত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের। মেজো ছেলে সোহেল হামিদ ছিলেন জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়ন। কনিষ্ঠ ছেলে শাজাহান হামিদ ববি ছিলেন জাতীয় হ্যান্ডবল এবং ফার্স্ট ডিভিশন ফুটবল লীগ খেলোয়াড়। সর্ব কনিষ্ঠ সন্তান একমাত্র মেয়ে জাবিন হামিদ।
দাবাড়ু হিসেবে রাণী হামিদের পথচলা
১৯৭৪ থেকে ১৯৭৫ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কোয়ার্টারে থাকার সময় হামিদদের প্রতিবেশী ছিলেন জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়ন ড. আকমল হোসেন। তার সহযোগিতায় ১৯৭৬ সালে মহসিন দাবা প্রতিযোগিতায় নাম লেখান রাণী। এটিই ছিলো তার জীবনে প্রথমবারের মতো বড় কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ।
১৯৭৭ সালে নারীদের জন্য প্রথম পৃথক দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে নবদিগন্ত সংসদ দাবা ফেডারেশন। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সংগঠনটি ১৯৭৮ ও ১৯৭৯ সালেও একই আয়োজন করে, আর তিনবারই তাতে চ্যাম্পিয়ন হন রাণী।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত টানা ৬ বছর জাতীয় শিরোপা ছিল রাণীর দখলে। ১৯৭৯ সালে তিনি ঢাকার একটি ওপেন কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। আর তার জন্য এটিই খুলে দিয়েছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দুয়ার। দেশের বাইরে তার প্রথম পা রাখেন ১৯৮১ সালে ভারতের হায়দারাবাদে অনুষ্ঠিত এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ১৯৮৩ সালে তিনি হেলেন মিলিগানের সঙ্গে যৌথভাবে ব্রিটিশ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেন। ইউরোপের প্রসিদ্ধ দাবা প্রতিযোগিতাটিতে এটি ছিল প্রথম এক বাংলাদেশি নারীর শিরোপা জয়। এরপরের ১৯৮৫ এবং ১৯৮৯-এর বৃটিশ শিরোপা তিনি এককভাবেই জিতেছিলেন।
১৯৮৪ সালে তিনি যোগ দেন বিশ্বের সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন দাবা প্রতিযোগিতা ওয়ার্ল্ড দাবা অলিম্পিয়াডে। গ্রীসে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে ওপেন সেকশনে তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের থেকে আগত বিশ্বের ৪র্থ গ্র্যান্ডমাস্টারের। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই খেলাটি রাণীর দাবা ক্যারিয়ারে ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেখানে তাকে এক মজার অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। প্রথম দর্শনে তাকে দেখে খেলার মূল প্রাঙ্গনে তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। তাকে বলা হচ্ছিল যে, এই জায়গাটি শুধুমাত্র পুরুষ খেলোয়াড়দের জন্য। মূলত এই পুরুষ খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধেই যে তিনি ওপেন সেকশনে খেলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভাষাগত সমস্যার কারণে এই বিষয়টি বোঝাতে যেয়ে তার অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল।
রাণী ছিলেন দাবা অলিম্পিয়াডের ৫ম মহিলা, যিনি তার নিজ যোগ্যতায় অলিম্পিয়াডে জাতীয় পুরুষ দলে স্থান পেয়েছিলেন। ১৯৮৫ সালে তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয় ওমেন ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার (ডব্লিউআইএম) খেতাব।
১৯৮৯-এ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় কাসেদ আন্তর্জাতিক মহিলা দাবা, যেখানে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বেশ সুনাম অর্জন করেন রাণী। ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ স্পোর্ট্স প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নারীদের ক্রীড়াঙ্গনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য তাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে দিল্লিতে আয়োজিত কমনওয়েল্থ দাবা’য় দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য তিনি লাভ করেন স্বর্ণপদক লাভ করেন। এরপর রাশিয়ায় দাবা বিশ্বকাপ ২০১৮-তে জোনাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তিনি ‘জার্নালিস্ট চয়েস অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হন।
২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে ২০ বারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা শিরোপা জিতেন রাণী। এটি এখন পর্যন্ত অর্জিত দেশের সর্বাধিক নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়।
দাবা অলিম্পিয়াড ২০২৪-এ রাণী হামিদের সাফল্য
বিশ্বের তুখোড় তুখোড় দাবাড়ুদের স্বর্গরাজ্য হলো দাবা অলিম্পিয়াড, যে প্রতিযোগিতা প্রতি দুই বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজনের সংগঠক আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশন, যার ফরাসি ভাষায় সংক্ষিপ্ত রূপ ফিদে। এই ফিদে অলিম্পিয়াড টুর্নামেন্ট পরিচালনা এবং খেলাগুলো কোন দেশে হবে তা নির্ধারণ করে থাকে। বিভিন্ন দেশের ফিদে-স্বীকৃত দাবা সংস্থা থেকে কেবল একটি দল অলিম্পিয়াডে প্রবেশ করতে পারে। প্রতিটি দলে চারজন নিয়মিত এবং একজন রিজার্ভ খেলোয়াড় নিয়ে মোট পাঁচ সদস্য থাকে।
ফিদের অধীনে নারীদের জন্য রয়েছে আলাদা প্রতিযোগিতা, যেটি ওমেন্স চেস অলিম্পিয়াড নামে পরিচিত। বিভিন্ন দেশের জাতীয় মহিলা দলগুলোর কৃতিত্ব স্বরূপ দাবাড়ুদের ভূষিত করা হয় স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জ পদকে। চূড়ান্তভাবে বিজয়ী দলের জন্য থাকে বিশেষ ট্রফি, যার নাম ‘ভেরা মেনচিক কাপ’।
৪৫তম দাবা অলিম্পিয়াডের আসর বসে ২০২৪ সালের ১০ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বরে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে। টুর্নামেন্টের ৩য় রাউন্ডের ম্যাচে বার্বাডোসের লিশে স্প্রিংগারকে পরাজিত করেন রাণী। ম্যাচ জয়ী বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩ দশমিক ৫, অপরদিকে পরাজিত বার্বাডোসের পয়েন্ট ছিলো শূন্য দশমিক ৫।
এছাড়াও টুর্নামেন্টে পরপর ৬টি ম্যাচে একটানা জয় পান রাণী। অবশ্য গত শুক্রবার নবম রাউন্ডে বাংলাদেশ নারী দাবা দল হার মানে আর্জেন্টিনার কাছে। রাণী এককভাবে সারকিস মারিয়া বেলেনকে হারালেও বাকি তিন ডুয়েলে আর্জেন্টাইনদের সঙ্গে সুবিধা করে উঠতে পারেনি বাংলাদেশিরা।
এই আসরে দ্বীপরাষ্ট্র গার্নসির ৮৩ বছর বয়সী পোলিন উডওয়ার্ডের পরে রাণী ছিলেন দ্বিতীয় বর্ষিয়ান দাবাড়ু। তাই চেস কমিউনিটি থেকে তাকে ভালবেসে ‘দাদু’ সম্বোধন করা হয়।
এই অর্জনের নেপথ্যে রাণী হামিদের মূল শক্তি
দাবা খেলায় যাত্রার শুরু থেকেই প্রতিটা মুহূর্তে দাবার প্রতি এক অমোঘ আকর্ষণ ছিল রাণীর। বড় কোনো চ্যালেঞ্জ নয়, বরং সবসময় খেলে গেছেন আনন্দ নিয়ে। খেলার প্রতি নিগূঢ় ভালোবাসার কারণে বয়সের বিষয়টি একদমি আমলে নেন না এই বয়স্ক দাবাড়ু। বরং প্রতিটি চাল দেওয়ার সময় তার উদ্দীপনা থাকে একদম তরুণদের মতোই। প্রতিপক্ষ কতটা শক্তিশালী বা অভিজ্ঞ তা নিয়ে কখনোই কোনো চিন্তা কাজ করে না তার মাঝে। তার ভাষ্যমতে, এমনও সময় গেছে যে, তিনি তার প্রতিপক্ষকে ঠিক করে চেনেনই না।
এই অর্জনগুলোর মধ্য দিয়ে বেশ কয়েকজন তারকা দাবাড়ুদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠেছে রাণীর। এদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়ন সুসান ক্যাথরিন এবং হাঙ্গেরিয়ান-আমেরিকান দাবা গ্র্যান্ডমাস্টার সুসান পোল্গারসহ আরও অনেকে। সম্প্রতি পোল্গার তার সঙ্গে একটি ছবি তুলে তা তার এক্স প্রোফাইলে শেয়ার করেন।
পরিশিষ্ট
স্থানীয় মহসিন দাবা প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে ২০ বার জাতীয় নারী শিরোপা জয়। তারপর একে একে ব্রিটিশ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ, অলিম্পিয়াড, এবং কমনওয়েলথ স্বর্ণপদকপ্রাপ্তি। সব মিলিয়ে রাণী হামিদের এই দীর্ঘ যাত্রায় মূল শক্তি হিসেবে কাজ করেছে দাবা খেলার প্রতি তার অগাধ ভালবাসা এবং অসামান্য দক্ষতা। এই অর্জনগুলোর উপরি পাওনা হিসেবে তিনি পেয়েছেন বিশ্বখ্যাত দাবা তারকাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক; বিশেষ করে দাবা কমিউনিটিতে ‘দাদু’ সম্বোধন। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের নারী দাবা উৎসাহীদের জন্য তার এই অভাবনীয় সাফল্য নিঃসন্দেহে এক বিরাট অনুপ্রেরণা।
আরো পড়ুন: শেষ টেস্ট খেলে দেশ ছাড়ার ইঙ্গিত সাকিবের
২ মাস আগে
সেন নদীর তীরে ঐতিহাসিক প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধন
দীর্ঘ এক শতাব্দী প্রতীক্ষার পর প্যারিসে ফিরেছে অলিম্পিক গেমস। বৃষ্টি সত্ত্বেও সেন নদীর তীরজুড়ে বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক এই অনুষ্ঠানকে বরণ করেছে ফ্রান্স।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় অলিম্পিক গেমস ২০২৪ এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ। এরপর নদী ও এর দুই তীরজুড়ে দীর্ঘ আয়োজন শেষে অলিম্পিকের মশাল জ্বালান টেডি রাইনার ও মেরি-হোসে পেরেস।
এমন জমকালো আয়োজন দেখে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ আয়োজক ও ফরাসি নাগরিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘এই গেমসকে উন্মুক্ত করে আমাদের অলিম্পিকের অ্যাজেন্ডার সংস্কারকে প্রাণবন্ত করে তুলছেন আপনারা। আমরা সকলেই অলিম্পিক গেমসের অভিজ্ঞতা অর্জন করব যা আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, আরও শহুরে, নতুন ও আরও টেকসই হবে।’
পূর্ণ লিঙ্গ সমতা বজায় রেখে এটিই প্রথম অলিম্পিক গেমসের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্বাগতিক শহরের প্রধান স্টেডিয়ামের বাইরে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়েছে। অস্টারলিটজ ব্রিজ থেকে ট্রোকাডেরো পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ৮০০ ক্রীড়াবিদ তাদের নিজ দেশের পতাকাবাহকদের নিয়ে ৮৫টি নৌকায় করে সেন নদীর ৬ কিলোমিটার অতিক্রম করেন।
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও তা উপেক্ষা করে ক্রীড়াবিদদের দলগুলো একে একে লুভর, প্লেস দে লা কনকর্ড, গ্র্যান্ড প্যালাইস ও আইফেল টাওয়ারসহ প্যারিসের বিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে এগিয়ে যায়। এসময় সংগীত পরিবেশনার আয়োজনও করা হয়, যাতে বিশ্বের নামকরা সব সংগীতশিল্পীরা অংশ নেন।
এ নিয়ে ২০২৪ সালে তৃতীয়বারের মতো গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আয়োজন করছে প্যারিস। ১৯০০ সালে প্রথম খেলাধুলার এই বিশ্ব আসরের আয়োজন করে তারা, এরপর সবশেষ এক শতাব্দী আগে ১৯২৪ সালে অলিম্পিকের আয়োজন করে শহরটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগে, ফ্রান্সের রেলওয়েতে অগ্নিসংযোগের কারণে ইউরোপজুড়ে রেল পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটে। অনেক ট্রেনের সময়সূচি বাতিল হয়ে যায়, অনেকগুলো দেরি করে ছাড়ে।
অবশ্য অনুষ্ঠানের মেজাজকে দমাতে পারেনি এই হামলা। সেন নদীর দুই পাড়জুড়ে হাজার হাজার মানুষের ভীড়ে হামলার আশঙ্কা মিলিয়ে যায়।
৪ মাস আগে
২০৩০ সালের শীতকালীন ও প্যারা অলিম্পিক আয়োজন করবে ফ্রান্স
২০৩০ সালের শীতকালীন ও প্যারা অলিম্পিক আয়োজনেও আল্পস পর্বতমালার দেশ ফ্রান্সকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি ফ্রান্সে নবগঠিত সরকারের কাছ থেকে অর্থ প্রাপ্তির নিশ্চয়তার ওপর নির্ভর করছে।
কিছু শর্ত সাপেক্ষে বুধবার (২৪ জুলাই) ২০৩০ সালের শীতকালীন অলিম্পিকের আয়োজক হিসেবে ফ্রেঞ্চ আল্পসের নাম ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)।
তবে জাতীয় নির্বাচন মাত্র শেষ হওয়ায় ফরাসি সরকার এখনই আইওসিকে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক নিশ্চিয়তা দিতে পারছে না।
এদিকে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ বলেছেন, ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক শেষ হওয়ার আগে তিনি নতুন সরকারের নাম ঘোষণা করবেন না।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদী স্লোগান দেওয়ায় ৭ দেশের ওপর উয়েফার নিষেধাজ্ঞা
এর আগে, প্যারিসে আইওসি সদস্যদের কাছে দরপত্র উপস্থাপনের সময় ম্যাক্রোঁ অলিম্পিক কমিটিকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, প্যারিসে ২০২৪ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের পর নবগঠিত সরকার (শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজনে) সমস্ত সাংগঠনিক ও আর্থিক নিশ্চয়তা দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমি ফরাসি জাতির পূর্ণ প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করে আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে শুধু এই গ্যারান্টিই নয়, নতুন সরকারের অগ্রাধিকারে একটি অলিম্পিক আইনও অন্তর্ভুক্ত করতে বলব।’
‘সাত বছর আগে আমরা একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম (২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকের জন্য) এবং আমরা তা পূরণ করেছি। এবারও আমরা তা-ই করব।’
আইওসি সদস্যরা তার সেকথা বিবেচনায় নিয়েই ফ্রান্সের পক্ষে ভোট দেন।
আরও পড়ুন: পেলের রেকর্ড ভেঙে একগাদা রেকর্ডে লামিন ইয়ামাল
ফ্রান্সের বিড অনুসারে, দেশটির আউভার্ন-রোন-আল্পস ও প্রোভেন্স-আল্পস-কোট দে’আজুর অঞ্চলগুলো ২০৩০ সালের অলিম্পিক আসরের বড় ইভেন্টগুলোর আয়োজন করবে।
এর মাধ্যমে চতুর্থবারের মতো শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজন করবে ফ্রান্স, যা ১৯৯২ সালের পর প্রথম।
এছাড়া ২০৩৪ সালের শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের ইউটার সল্ট লেক সিটিকে নির্বাচন করেছে আইওসি।
৪ মাস আগে
হ্যান্ডবল সিরিজ: আসামকে ৪৭-২৪ গোলে হারিয়েছে ঢাকা
ঢাকা-আসাম পুরুষ ও মহিলা হ্যান্ডবল সিরিজ ২০২৪-এর উদ্বোধনী ম্যাচে আসাম পুরুষ দলকে ৪৭-২৪ গোলে হারিয়ে দারুণ শুরু করেছে ঢাকা পুরুষ হ্যান্ডবল দল।
রবিবার (৩০ জুন) শহীদ ক্যাপ্টেন (অব.) এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ঢাকা হ্যান্ডবল দলের মোহাম্মদ ফয়সাল।
আরও পড়ুন: কোহলির পর রোহিতেরও অবসরের ঘোষণা
এর আগে তিন দিনব্যাপী এ সিরিজের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব, বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক গোলাম কুদ্দুস চৌধুরী বাবু।
বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন আসাম হ্যান্ডবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অমল নারায়ণ পাটোয়ারী।
বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন (বিএইচএফ) ও আসাম স্টেট হ্যান্ডবল অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে সফরকারী আসাম পুরুষ হ্যান্ডবল দলের চারটি এবং আসাম মহিলা দল স্থানীয় দলের বিপক্ষে চারটি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে সুইজারল্যান্ড
৫ মাস আগে
জুনিয়র এএইচএফ কাপ হকিতে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ পুরুষ দল
জুনিয়র এএইচএফ কাপের (অনূর্ধ্ব-২১) পুরুষ হকির ফাইনালে চীনকে হারিয়ে রেকর্ড তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।
রবিবার (২৩ জুন) সিঙ্গাপুরের সেংকাং স্পোর্টস সেন্টারে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের ৪-২ গোলে হারায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
২০১১ ও ২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়ন চীনকে হতাশায় ফেলে ২০১৪ ও ২০২৩ সালের পর অল-উইনের রেকর্ড নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা অর্জন করলো ২০০৩ সালে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ।
এই টুর্নামেন্টের সপ্তম আসরের বাকি দুটি শিরোপা জিতেছে চাইনিজ তাইপে ও ওমান।
ফাইনাল ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারে ১৫ মিনিট ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে তিন গোল করে প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: এএইচএফ কাপ হকিতে বাংলাদেশের পুরুষদের তৃতীয় জয়, নারী দলের প্রথম হার
২২ ও ২৭ মিনিটে মোহাম্মদ রকিবুল হাসান দুটি ফিল্ড গোল করেন এবং ২৫ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আমিরুল ইসলাম একটি গোল করেন (৩-০)।
তৃতীয় কোয়ার্টারের ৩৩ ও ৪১ মিনিটে জোড়া গোল করে দারুণভাবে খেলায় ফেরে চীন (৩-২)।
অবশেষে ৬৩ মিনিটে চতুর্থ গোল করে বাংলাদেশকে চিন্তামুক্ত করে ৪-২ গোলের জয় নিয়ে শিরোপা জয় নিশ্চিত করেন ওবায়দুল হোসেন জয়।
১০ গোল করে স্কোরার র্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের আমিরুল ইসলাম। ১০ গোল করে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন কাজাখস্তানের ডুসেঙ্গাজি অগমটে।
এর আগে পুল 'এ' গ্রুপে নিজেদের ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ৭-০, শ্রীলঙ্কাকে ৫-০, থাইল্যান্ডকে ৪-২ এবং ইন্দোনেশিয়াকে ৭-০ গোলে হারিয়ে পুরো ১২ পয়েন্ট নিয়ে পুল 'এ' চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে ৫-১ গোলে হারায় আরেক সাবেক চ্যাম্পিয়ন চাইনিজ তাইপেকে।
এদিকে রবিবার একই ভেন্যুতে লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক সিঙ্গাপুরকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ নারী হকি দল।
প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে নাদিরা এমা ২টি, সানজিদা মনি, কনা আক্তার, আইরিন রিয়া, সোনিয়া খাতুন ও অধিনায়ক অর্পিতা পাল ১টি করে গোল করেন। অন্যদিকে স্বাগতিক সিঙ্গাপুরের হয়ে অধিনায়ক সাইফুল লানা ৪৫ মিনিটে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন।
থাইল্যান্ডকে ৫-৪, হংকং (চীন) ২-১, শ্রীলঙ্কাকে ৭-২, ইন্দোনেশিয়াকে ১০-১ গোলে হারিয়ে এবং চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে ০-৩ গোলে পরাজিত হওয়ার পর বাংলাদেশ নারী হকি দলের এটি পঞ্চম জয়।
ছয় ম্যাচের সাত দলের লিগ শেষে বাংলাদেশ ১৫ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ এবং চাইনিজ তাইপে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
এর আগে চলমান সাত জাতির জুনিয়র এএইচএফ কাপ (অনূর্ধ্ব-২১) হকি টুর্নামেন্টের সেরা পাঁচ দলের একটি হিসেবে প্রথমবারের মতো জুনিয়র এশিয়া কাপ (অনূর্ধ্ব-২১) হকির চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ নারী দল।
বাংলাদেশ মহিলা দল ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো জুনিয়র এএইচএফ কাপ (অনূর্ধ্ব-২১) হকিতে অংশ নিয়ে ছয় জাতির প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কাকে ২-০ গোলে পরাজিত করে ১ ম্যাচে জয় পেয়ে ৫ম স্থান অর্জন করে।
আরও পড়ুন: জুনিয়র এএইচএফ কাপ হকিতে অংশ নিতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে বাংলাদেশ দল
৬ মাস আগে
এএইচএফ কাপ হকিতে বাংলাদেশের পুরুষদের তৃতীয় জয়, নারী দলের প্রথম হার
জুনিয়র এএইচএফ কাপ (অনূর্ধ্ব-২১) হকি টুর্নামেন্টে টানা তৃতীয়বারের মতো জয় পেয়েছে বাংলাদেশ পুরুষ দল, অন্যদিকে প্রথম হারের স্বাদ পেল নারী দল।
সিঙ্গাপুরের সেংকাং স্পোর্টস সেন্টারে বুধবার বিকালে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ৪-২ গোলে পরাজিত করে পুল এ-তে এককভাবে এগিয়ে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ পুরুষ হকি দল। এছাড়াও তিন ম্যাচে অর্জন করেছে পূর্ণ নয় পয়েন্ট। অন্যদিকে পুল 'এ'তে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এটি থাইল্যান্ডের প্রথম পরাজয়।
বাংলাদেশের হয়ে একটি করে গোল করেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ ইসলাম, আমান শরিফ ও মোহাম্মদ হোসেন।
স্বাগতিক সিঙ্গাপুরকে ৭-০ গোলে ও শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে উড়ন্ত সূচনা করা বাংলাদেশ পুরুষ দল বৃহস্পতিবার (২০ জুন) পুল 'এ'তে পরের ম্যাচে ইন্দোনেশিয়ার মুখোমুখি হবে।
অন্যদিকে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে চাইনিজ তাইপের কাছে ০-৩ গোলে হেরে টুর্নামেন্টে প্রথম হেরেছে বাংলাদেশ নারী হকি দল।
দিনের খেলা শেষে চার ম্যাচ শেষে ৯ পয়েন্ট অর্জন করেছে বাংলাদেশ নারী দল।
থাইল্যান্ডকে ৫-৪ গোলে, হংকংকে ২-১ গোলে এবং শ্রীলঙ্কাকে ৭-২ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টে দারুণ সূচনা করা বাংলাদেশ নারী হকি দল ২২ জুন ইন্দোনেশিয়া ও ২৩ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে।
আরও পড়ুন: জুনিয়র এএইচএফ কাপ হকিতে অংশ নিতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে বাংলাদেশ দল
৬ মাস আগে
জুনিয়র এএইচএফ কাপ হকিতে অংশ নিতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে বাংলাদেশ দল
জুনিয়র এএইচএফ কাপ (অনূর্ধ্ব-২১) হকি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করছে ৪৫ সদস্যের বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী জুনিয়র হকি দল।
বুধবার (১২ জুন) রাত সাড়ে ১০টায় ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটযোগে টুর্নামেন্ট জেতার স্বপ্ন নিয়ে উড়াল দেবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ পুরুষ হকি দল ও নতুন যুক্ত হওয়া বাংলাদেশ নারী হকি দল।
টুর্নামেন্টটি জুনিয়র এশিয়া কাপ ২০২৪-এর বাছাইপর্ব হিসেবেও বিবেচিত হবে।
'এ' গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া ও স্বাগতিক সিঙ্গাপুর এবং পুল 'বি'তে রয়েছে ওমান, চাইনিজ তাইপে, চীন, হংকং (চীন), ইরান ও কাজাখস্তান।
দুই গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
প্রথম দুই দিন বিরতির পর রবিবার (১৬ জুন) স্বাগতিক সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ।
বাকি ম্যাচগুলোতে ১৭ জুন শ্রীলঙ্কা, ১৯ জুন থাইল্যান্ড ও ২০ জুন ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
নারীদের টুর্নামেন্টে ৭টি দল লীগভিত্তিক ম্যাচ খেলবে- চাইনিজ তাইপে, হংকং (চীন), থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং স্বাগতিক সিঙ্গাপুর।
এর মধ্যে শীর্ষ জয়ী দল হবে চ্যাম্পিয়ন।
১৫ জুন থাইল্যান্ড, ১৬ জুন হংকং (চীন), ১৮ জুন শ্রীলঙ্কা, ১৯ জুন চাইনিজ তাইপে, ২২ জুন ইন্দোনেশিয়া ও ২৩ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ নারী দল।
পুরুষদের জুনিয়র এএইচএফ কাপে ভারত, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া এবং পাকিস্তান বাদে সব এএইচএফ সদস্য জাতীয় অ্যাসোসিয়েশন থেকে এন্ট্রি নিবে।
এই দেশগুলো পুরুষদের জুনিয়র এশিয়া কাপ ২০২৩-এ তাদের চূড়ান্ত র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে পুরুষদের জুনিয়র এশিয়া কাপ ২০২৪-এ অংশগ্রহণের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ্যতা অর্জন করেছে।
অন্যদিকে নারীদের জুনিয়র এএইচএফ কাপের জন্য পাঁচটি দেশ - চীন, ভারত, জাপান, কোরিয়া এবং মালয়েশিয়া বাদে সব এএইচএফ সদস্য দেশগুলো জাতীয় অ্যাসোসিয়েশন থেকে এন্ট্রি নিবে।
পুরুষদের টুর্নামেন্টের মতো, এই পাঁচটি দেশ জুনিয়র এশিয়া কাপ ২০২৩-এ তাদের চূড়ান্ত র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে জুনিয়র এশিয়া কাপ ২০২৪-এ অংশগ্রহণের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ্যতা অর্জন করেছে।
৬ মাস আগে
জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবলে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি
এক্সিম ব্যাংক ৩৫তম জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ পুলিশ হ্যান্ডবল ক্লাবকে ৩৩-২৪ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি।
শুক্রবার (৭ জুন) ঢাকার শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নামে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি দল।
১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ আনসার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি ২৩তম জাতীয় মুকুট এবং টানা ৭ম জাতীয় শিরোপা।
এক্সিম ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এম ফিরোজ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে ফাইনাল খেলা দেখেন ও বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন।
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন চ্যাম্পিয়ন আনসার-ভিডিপির আলপনা আক্তার।
এর আগে শুক্রবার একই ভেন্যুতে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জামালপুর ডিএসএ যশোর ডিএসএকে ২১-১৪ পয়েন্টে হারিয়ে টুর্নামেন্টে তৃতীয় স্থান অর্জন করে।
সেমিফাইনালে বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি ৫৯-৯ গোলে যশোর ডিডিএকে এবং বাংলাদেশ পুলিশ ৩৯-১০ গোলে জামাল ডিএসএকে পরাজিত করে।
আরও পড়ুন: জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবল: ফাইনালে মুখোমুখি আনসার-ভিডিপি ও পুলিশ
৬ মাস আগে
জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবল: ফাইনালে মুখোমুখি আনসার-ভিডিপি ও পুলিশ
এক্সিম ব্যাংক ৩৫তম জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি এবং বাংলাদেশ পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রতিপক্ষদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়ে যায় এই দুই দল।
আগামীকাল শুক্রবার (৭ জুন) বিকাল সোয়া ৩টায় একই ভেন্যুতে ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষক এক্সিম ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান ও ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম নজরুল ইসলাম মজুমদার ফাইনাল খেলা উপভোগ করবেন এবং পরে শিরোপা তুলে দেবেন বিজয়ী দলের হাতে।
বৃহস্পতিবার দিনের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি ৫৯-৯ গোলে যশোর ডিডিএকে এবং বাংলাদেশ পুলিশ ৩৯-১০ গোলে জামাল ডিএসএকে পরাজিত করে।
এর আগে একইদিন সকালের ম্যাচে বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি ৩০-৩ গোলে নওগাঁ ডিএসএকে, পুলিশ ৩১-৩ পয়েন্টে ফরিদপুরকে, যশোর ৩৪-২৬ পয়েন্টে মাদারীপুরকে এবং জামালপুর ডিএসএ ৩০-২৪ গোলে ঢাকাকে পরাজিত করে।
৬ মাস আগে
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডিতে নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশের শিরোপা জয়
নেপালকে ৪৫-৩১ পয়েন্টে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডির শিরোপা জিতেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
সোমবার (৩ জুন) মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় ইনডোর স্টেডিয়ামে ১২ জাতি-টুর্নামেন্টটির ফাইনালে দুটি লোনাসহ দারুণ এই জয় পায় বাংলাদেশ।
ম্যাচের প্রথমার্ধে ২৪-১০ পয়েন্টে আধিপত্য বিস্তার করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ অধিনায়ক আরদুজ্জামান মুন্সি প্রথম রেইডেই বাংলাদেশের খাতা খোলেন। পরে তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। এই ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক কাবাডি থেকে অবসর নিয়েছেন এই তারকা খেলোয়াড়।
এছাড়া টুর্নামেন্টের সেরা রেইডার হয়েছেন বাংলাদেশের মিজানুর রহমান, সেরা ক্যাচার হয়েছেন বাংলাদেশের মোহাম্মদ রোমান হোসেন এবং টুর্নামেন্টের সেরা হয়েছেন নেপালি রাইডার ঘনশ্যাম রোকা মাগার।
এ ম্যাচে দক্ষতা এবং উচ্চতার সুবিধা বাংলাদেশকে নেপালের ওপর কর্তৃত্ব চালাতে সুযোগ দিয়েছিল।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটে লোনা জিতে নেপালের বিপক্ষে ১১ পয়েন্টের লিড নেয় বাংলাদেশ।
নেপালের পক্ষে পাল্টা আক্রমণ করেন তাদের টেক্কা আক্রমণকারী ঘনশ্যাম রোকা মাগার; তবে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় তাকে বাইরে পাঠাতে সফল হয় বাংলাদেশের রক্ষণভাগ।
ম্যাচজুড়ে বাংলাদেশ রেইডাররা নেপালের ওপর আধিপত্য ধরে রেখেছিল।
লাল-সবুজ জার্সিধারীরা দ্বিতীয় লোনা অর্জন করলেও স্কোরলাইন ছিল ২৯-১২। নেপাল অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজেদের ট্রেড মার্ক দেখালেও বাংলাদেশ দল ছিল অবিচল। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে একটি লোনা আদায় করে নেয় নেপাল।
আরও পড়ুন: ২৬ মে শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৪ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্ট
এর আগে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ৪১-১৮ পয়েন্টে থাইল্যান্ডকে তিনটি লোনা নিয়ে পরাজিত করে, অন্যদিকে নেপাল টাইব্রেকারে ৯-৫ (৫৯-৫৫) পয়েন্টে দুইবারের রানার্সআপ কেনিয়াকে পরাজিত করে।
চলতি টুর্নামেন্টে ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয়। এর আগে গত শুক্রবার 'এ' গ্রুপের ম্যাচে হিমালয়ের দেশটিকে ৪৬-৩১ পয়েন্টে হারায় বাংলাদেশ।
পাঁচ ম্যাচে পূর্ণ ১০ পয়েন্ট নিয়ে 'এ' গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এবং পাঁচ ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে 'এ' গ্রুপের রানার্সআপ হিসেবে সেমিফাইনালে উঠেছে নেপাল।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফাইনাল খেলা উপভোগ করেন এবং ট্রফি বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ এজাহার খান।
এ সময় আরও ছিলেন- বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
রোল অব অনার
বছর: চ্যাম্পিয়ন-রানার্স আপ২০২১: বাংলাদেশ-কেনিয়া২০২২: বাংলাদেশ-কেনিয়া২০২৩: বাংলাদেশ-চাইনিজ তাইপেই২০২৪: বাংলাদেশ-নেপাল
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কবে কাবাডি লিগ টুর্নামেন্ট হবে!
৬ মাস আগে