এশিয়া
এবার চিকিৎসা নিতে মিসরে যাওয়ার সুযোগ পেলেন ৫০ ফিলিস্তিনি
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার দীর্ঘদিনের যুদ্ধের অবসান হওয়ায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরছে গাজা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার রাফাহ ক্রসিং দিয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে মিসর গিয়েছেন ৫০ জন ফিলিস্তিনি।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিসরের একটি টেলিভিশনের খবর থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। মিসরে চিকিৎসার নিতে প্রথমধাপে ৫০ জন গুরুতর অসুস্থ রোগী রাফাহ সীমান্ত দিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে রবিবার: কাতার
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ফুটেজে দেখা গেছে, সীমান্ত দিয়ে রোগীরা একে একে মিসরে প্রবেশ করার পর অ্যাম্বুলেন্সে উঠছেন।
মিসরীয় রেড ক্রিসেন্টের একটি সূত্র সিনহুয়াকে জানিয়েছে, শনিবার সকালে শেখ জুয়েইদ, আরিশ ও সুয়েজ শহরের হাসপাতালে রোগীদের পরিবহনের জন্য ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স ক্রসিংয়ের মিসরীয় অংশে রাখা হয়েছিল। পরে রোগীদের নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সগুলো সীমান্ত ত্যাগ করে।
ওইসব ফিলিস্তিনিদের নির্ধারিত হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স, বার্ন, জেনারেল সার্জারি ও শিশু বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রাফাহ ক্রসিং মিসরসহ অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের একটি মূল প্রবেশদ্বার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে গত ১৯ জানুয়ারি মিসরের দিক থেকে রাফাহ ক্রসিং পুনরায় খুলে দেওয়া হয়।
২০২৪ সালের মে মাস থেকে ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিন অংশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় ইসরায়েল। সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার আগপর্যন্ত তা অবরুদ্ধ করে রাখে ইসরায়েল।
৩২৯ দিন আগে
ভারতে কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হয়ে ৭ জনের প্রাণহানি
ভারতের উত্তর প্রদেশের মহাকুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে সাতজনের বেশির মানুষের প্রাণহানি ও ১০ জনের মতো আহত হয়েছেন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দেশটির কর্মকর্তারা এমন তথ্য দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের ত্রিবেণী সঙ্গমে মৌনী অমাবশ্যায় পবিত্র স্নানের জন্য লাখ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছেন।
নাম প্রকাশে অপারগতা জানিয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, পদপিষ্ট হয়ে সাতজনের বেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ জন। স্থানীয় সময় রাত ১টার সময় এই পদদলন শুরু হয়েছে। কারণ এখনো জানা যায়নি। পরে পুণ্যার্থীরা বের হওয়ার চেষ্টা করলে তারা আরেকটি পদদলনের মুখে পড়েন।
আরও পড়ুন: সুদানে হাসপাতালে হামলায় নিহত ৭০
রাভিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমি বহু মানুষকে পড়ে যেতে দেখেছি, তাদের ওপর দিয়ে ভিড়ের লোকজন হেঁটে গেছেন। নারী-শিশুরা নিখোঁজ হয়েছেন। কেউ কেউ সাহায্য চেয়ে আর্তনাদ করছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, পদদলনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় একাধিক মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। আর হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে ১৫ জনের প্রাণহানির শঙ্কার কথা জানিয়েছে।
পদপিষ্ট হওয়ার ভিডিও ও ছবিতে স্ট্রেচারে করে মরদেহ নিয়ে যেতে দেখা গেছে। স্বজন হারিয়ে মাটিতে বসে লোকজন কান্নাকাটি করছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, মহাকুম্ভ মেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৌনী অমাবশ্য। এই বিশেষ দিনে বহু মানুষ পুণ্যস্নান করেন। এবার এই দিনটিতে ১৪৪ বছর পর ত্রিবেণী যোগ পড়েছে। এতে আগের তুলনায় কুম্ভমেলায় পুণ্যার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। ১৫ কোটি মানুষের অংশগ্রহণের কথা জানিয়েছেন কুম্ভ প্রশাসন।
অ্যাসিসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর বলছে, একটি অস্থায়ী হাসপাতালের বাইরে ব্যথিত পরিবারগুলোর লোকজন দাঁড়িয়ে আছেন। তারা হারানো স্বজনদের খোঁজ নিচ্ছেন। পুলিশ ভিড় সামলাতে ব্যস্ত, আর আহতদের নিরাপদ জায়গায় নিতে আসতে সহায়তা করছেন উদ্ধারকারীরা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ৩০
৩৩৪ দিন আগে
ফিলিপাইনে জাহাজে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২
ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার শিপইয়ার্ডে জাহাজ মেরামতের সময় অগ্নিকাণ্ডে জাহাজের স্টোরেজ রুমে আটকে পড়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দেশটির অগ্নিনির্বাপক ব্যুরো এই তথ্য জানিয়েছে।
দমকল কর্মী রোনালদো সানচেজ জানান, সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে আগুন লেগে নাভোটাস সিটির শিপইয়ার্ডে জাহাজ মেরামতের কাজে নিয়োজিত ২৫ শ্রমিকের মধ্যে দুই ওয়েল্ডার নিহত হয়েছেন।
সানচেজ আরও জানান, জাহাজের ব্যালাস্ট ট্যাঙ্কের কাছে স্টোরেজ রুমের ভিতরে নিহতদের লাশ পাওয়া গেছে।
আগুন নেভাতে দমকল কর্মীদের পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে বলেও জানান এই দমকল কর্মী।
সানচেজ বলেন, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ট্রাকচাপায় নিহত ৭
৩৩৫ দিন আগে
পাকিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ৩০
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সেনাবাহিনীর পৃথক তিনটি অভিযানে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শনিবার (২৫ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী প্রদেশের লাক্কি মারওয়াত, কারাক ও খাইবার জেলায় অভিযান চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: অক্টোবর পর্যন্ত ৩৪১ সন্ত্রাসী হত্যা করেছে পাকিস্তান
এতে আরও বিবৃতিতে বলা হয়, লাক্কি মারওয়াতে অভিযানে ১৮ সন্ত্রাসী নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন। কারাক জেলায় আরও ৮জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
সেনাবাহিনী আরও বলেছে, তাদের তৃতীয় অভিযানটিতে গোষ্ঠীটির নেতাসহ ৪ সন্ত্রাসী নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন।
অভিযানে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
এলাকায় অন্যান্য সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি নির্মূল করতে একটি ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালানো হচ্ছে।
সেনাবাহিনী বলেছে, দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের বিপদ নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।
আরও পড়ুন:আফগান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ পাকিস্তানি সেনাসহ নিহত ২২
৩৩৭ দিন আগে
আগুন আতঙ্কে ট্রেন থেকে লাফিয়ে ১২ জনের মৃত্যু
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে ট্রেনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের গুজবে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ে অন্তত ১২ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আতঙ্কিত যাত্রীরা লাফ দিলে অন্য একটি ট্রেনের বগির সঙ্গে ধাক্কা লেগে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ কর্মকর্তা দত্তাত্রয়া করালের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, আহত আরও অন্তত ৬ জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজধানী মুম্বাই থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে পারধাদে রেলওয়ে স্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুম্বাই ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবেও পরিচিত।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, হতাহতরা পুষ্পক এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন। তবে কয়েকজন যাত্রী জরুরি চেন টানতে টানতে ট্রেনটি থামিয়েছিলেন।
রেলওয়ের মুখপাত্র স্বপ্নিল নীলা জানিয়েছেন, ট্রেন থেকে যারা নেমেছিলেন তারা পাশের রেললাইনে থাকা অন্য একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কা খেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, 'আমাদের প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য হলো- পুষ্পক এক্সপ্রেসের একটি কামরায় 'হট অ্যাক্সেল' বা 'ব্রেক বাইন্ডিং' (জ্যামিং) এর কারণে আগুন দেখা দিয়েছিল। এতে কিছু যাত্রী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তারা শিকল টানেন এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন রেললাইনে ঝাঁপ দেন। রেলের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেসময় কর্নাটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি পাশের লাইন দিয়ে যাচ্ছিল।’
রেল নিরাপত্তার উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ভারতের রেলপথে প্রতি বছর শত শত দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বিশ্বে এটি একক ব্যবস্থাপনায় বৃহত্তম ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা।
২০২৩ সালে পূর্ব ভারতে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় ২৮০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়। কয়েক দশকের মধ্যে দেশের অন্যতম মারাত্মক রেল দুর্ঘটনায় শত শত লোক আহত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগের রেলপথ যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। ভারত ১৪২ কোটি মানুষ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হয়েছে।
সূত্র: বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা
৩৪০ দিন আগে
জাকার্তায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই ৫০০ ঘরবাড়ি
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার কেমায়োরান সাব-ডিস্ট্রিক্টে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে গেছে। এতে বাস্তুচ্যুত হয়ে ৬ শতাধিক পরিবার অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয় বলে জানিয়েছে জার্কাতা নগরীর কর্মকর্তারা।
নগরীরর দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মুখপাত্র মোহাম্মদ ইয়োহান জানান, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। লোকজন বর্তমানে নিকটবর্তী উপাসনালয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ভূমিধসে নিহত ৫
‘প্রচুর কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন’ উল্লেখ করে ইয়োহান বলেন, নগর প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা হিসেবে তাৎক্ষণিকভাবে খাবার, কম্বল এবং বোতলজাত পানি বিতরণ করেছে।
প্রায় ১৭০ জন দমকলকর্মী এবং ৩৪টি দমকল ইঞ্জিনের প্রায় ছয় ঘণ্টায় চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
সেন্ট্রাল জাকার্তার পুলিশ প্রধান সুসাত্ও পূর্ণোমো কন্দ্রো বলেন, একটি বাড়িতে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন।
তিনি বলেন, ‘তবে এটা প্রাথমিক অনুমান মাত্র। অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ নির্ধারণে আমরা ন্যাশনাল পুলিশের ফরেনসিক ল্যাবরেটরি সেন্টারের সহযোগিতায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করব।’
কন্ড্রো আরও জানান, সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ার সুবিধার্থে কিছু রাস্তা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প, আহত ২৭
৩৪২ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ভূমিধসে নিহত ৫
ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের একটি গ্রামে ভূমিধসে অন্তত পাঁচ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) স্থানীয় গণমাধ্যকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বালির প্রাদেশিক রাজধানী ডেনপাসারের উবুং কাজা গ্রামে তাদের আবাসনে সোমবার এই দুর্ঘটনা ঘটে। আরও তিনজন শ্রমিক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন। তারা এখন নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বালির তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান নিয়োমান সিদাকারিয়া জানান, হতাহতদের সরিয়ে নিতে উদ্ধারকারীরা একটি এক্সক্যাভেটর দিয়ে কাজ শুরু করেছেন।
নিহতদের পরিচয় শনাক্তের জন্য লাশ নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সিদাকারিয়া আরও বলেন, ভূমিধসের মূল কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে রবিবার এই অঞ্চলে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছিল। বর্ষাকালে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ইন্দোনেশিয়া এই মৌসুমে প্রায়ই অতিবৃষ্টির কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে।
৩৪২ দিন আগে
তাইওয়ানে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প, আহত ২৭
তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন।
তাইওয়ানের সেন্ট্রাল ওয়েদার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল চিয়াই কাউন্টি হল থেকে ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
অন্যদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) ভূমিকম্পটির মাত্রা ৬ ছিল বলে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: তীব্র ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও উদ্ধারকারী দল ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চালাচ্ছে।
তাইওয়ানের দমকল বিভাগ জানিয়েছে, ২৭ জনকে সামান্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে এক শিশুসহ ছয়জন তাইনান শহরের নানসি জেলায় একটি ধসে পড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া প্রাদেশিক মহাসড়ক বরাবর ঝুওয়েই সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত এপ্রিলে তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েন অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়। সেসময় ১ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছিল। ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পে শত শত আফটারশক হয়েছিল।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’ বরাবর অবস্থিত। তাইওয়ান প্রায়শই প্রধান টেকটোনিক ফল্ট লাইনে অবস্থানের কারণে ভূমিকম্প আঘাতের শিকার হয়।
আরও পড়ুন: তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৯৫, আহত ১৩০
৩৪২ দিন আগে
অবশেষে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি অবশেষে কার্যকর হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ১৫ মাস ধরে চলা ধ্বংসাত্মক গাজা যুদ্ধের অবসান হয়েছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও যথাসময়ে তিন নারী জিম্মির তালিকা দিতে ব্যর্থ হয় হামাস। ফলে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে তিন ঘণ্টা দেরি হয়।
মাজেদ আল-আনসারি বলেন, গাজায় জিম্মি তিন ইসরায়েলি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে।র তাদের মধ্যে একজন রোমানীয়, অন্য দুজন ব্রিটিশ নাগরিক।
আল-জাজিরার খবর বলছে, অস্ত্রবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে যেটুকু সময়ক্ষেপণ হয়, ওই সময়ে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৯ জন। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাহমুদ বাশাল এ তথ্য দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে মুখপাত্র বলেন, রাফায় একজন, খান ইউনিসে ৬ জন, গাজা সিটিতে ৯ জন ও উত্তর গাজায় ৩ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ জানুয়ারি) তিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে গাজা। সাত দিনের মধ্যে জীবিত আরও চার নারী জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
আল-জাজিরার খবর অনুসারে, ছয় সপ্তাহের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির সময়ে মধ্য গাজা থেকে ধীরে ধীরে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। আর উত্তর গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরাও নিজেদের ভূমিতে ফিরে যাবেন।
যুদ্ধবিরতির শর্তের মধ্যে আরও রয়েছে, প্রতিদিন ৫০ ট্রাক জ্বালানিসহ মানবিক সহায়তাবাহী মোট ৬০০ ট্রাক গাজায় ঢোকার অনুমতি দেবে ইসরায়েল।
উত্তর গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এসব ট্রাকের অর্ধেকই ওই অঞ্চলটিতে পাঠানো হবে।
৩৪৪ দিন আগে
গাজায় ১৫ মাসের বিয়োগান্তক উপাখ্যান শেষে যুদ্ধবিরতির বার্তা
টানা ১৫ মাস ধরে গাজাবাসী অপেক্ষায় ছিলেন যুদ্ধ বন্ধের। শত-সহস্র প্রাণ ঝড়ে যাওয়ার পর অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।যুক্তরাষ্ট্র, মিসর আর কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছে হামাস আর ইসরাইল। রোববার থেকে গাজার আকাশে দেখা যাবে না আর কোনো ইসরাইলি বোমারু বিমান।আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলো বলছে, ২০২৪ সালের মধ্যভাগ থেকে চলছিল যুদ্ধবিরতির আলোচনা। একদিকে গোলটেবিল বৈঠক আর অন্যদিকে গাজার ওপর মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ। ২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহত এক হাজার ২০০ ইসরাইলির লাশের কাফফারা দিতে হয়েছে ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনির জীবনের বিনিময়ে।মা হারিয়েছেন তার সন্তান, সন্তান হারিয়েছেন বাবা-মাকে, মৃত সন্তানের কফিন কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে পিতাকে, বাস্তুচ্যুত হয়ে থাকতে হয়েছে ক্যাম্পে ক্যাম্পে। অনাহারে অর্ধাহারে বেঁচে থাকা। সকালে যার সঙ্গে নাস্তা করেছেন, দুপুরে হয়তো সেই প্রিয়জনের লাশ কাঁধে নিয়ে যেতে হয়েছে গোরস্থানে। এইতো ছিল ১৫ মাস ধরে গাজাবাসীর জীবন।সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে গাজার আর্তনাদ। প্রতিটি মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, এটা আর কিছু না, নিরাপত্তার ধোয়া তুলে রীতিমতো প্রতিহিংসার খেলায় মেতে উঠেছে ইসরাইল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, স্রেফ গণহত্যা চালানো হয়েছে গাজায়। যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে।অবশেষে সেই খুশির খবর। প্রায় অর্ধলক্ষ নিরীহ ফিলিস্তিনির লাশের ওপর দাঁড়িয়ে বোধোদয় হলো বিশ্ব মোড়লদের, ঘোষিত হলো যুদ্ধবিরতি।রোববার থেকে গাজার রাতের আকাশে হয়তো আর যুদ্ধবিমান না, দেখা মিলবে জ্বলজ্বলে নক্ষত্রের। হয়তো স্বজনহারা গাজাবাসী আবারও নতুন উদ্যোমে বাঁচতে শুরু করবে। সব ভুলে হয়তো ফিলিস্তিনের ধ্বংসস্তূপের ওপর ফুটবে নতুন দিনের লাল গোলাপ।পাঁচ দিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের শেষ মুহূর্তে মুখ রক্ষা করলেন জো বাইডেন। জানালেন, রোববার থেকেই ইসরাইলের সৈন্যরা ছাড়তে শুরু করবে গাজার মাটি। যারা বাড়িছাড়া হয়ে এতদিন উদ্বাস্তুর মতো বেঁচে ছিলেন, তারা ফিরে যাবেন নিজ গৃহে। আবারও আন্তর্জাতিক সাহায্য আসবে গাজার মাটিতে, শিশুর শূন্য থালায় জায়গা করে নিবে শুকনো রুটি।জাতিসংঘেরও জোর সেদিকেই। যুদ্ধ তো শেষ হলো, এবার এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সামলানোর আহ্বান সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতারেসের।হামাসের হাতে এখনো বন্দি ৯৪ জন ইসরাইলের নাগরিক, চুক্তি মোতাবেক যাদের মুক্তি দিতে হবে শিগগিরই। যদিও ইসরাইল সরকারের ধারণা এদের মধ্যে ৩৪ জন হয়তো আর বেঁচেই নেই। তবে হামাস জানিয়েছে, যারা বেঁচে আছেন, তাদের সবাইকেই ফেরত পাঠানো হবে ইসরাইলে।বুধবার গাজার রাত ছিল ভিন্নরকমের। যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিমান হামলায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনি। শেষবেলায়ও শোধ তুলে নিতে ভুল করেনি আগ্রাসী ইসরাইল। তবুও রাতের আঁধার আর বোমার আঘাতকে তুচ্ছ করে তাবু ছেড়ে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ে গাজাবাসী। সবচেয়ে অবাককাণ্ড এত ক্ষয়, এত মৃত্যু, এত রক্ত; এরপরও ফিলিস্তিনিদের সৃষ্টিকর্তঅর প্রতি বিশ্বাসে ভাটা পড়েনি এতটুকু। রীতিমতো আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে আনন্দ উদযাপন করেছেন তারা।এই আনন্দ ঘরে ফেরার, নিজের টেবিলে বসে আহার করার, নিজের বিছানায় ঘুমানোর। হয়তো যে সন্তানকে কোলে নিয়ে মা ঘুমাতো সেই বুকের ধন বেঁচে নেই। হয়তো যে বাবার আঙুল ধরে স্কুলে যাতায়াত বোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে তার শরীর। যে ঘরে হয়তো প্রতিদিন বসতো চাঁদের হাট সেখানে ফিরতে হবে একা। তারপরও বেঁচে থাকাই যেন অনেক কিছু গাজাবাসীর জন্য। আর এই বেঁচে থাকার উদ্যোম নিয়েই এত আঘাতের পরেও মেরুদণ্ড সোজা করে মানচিত্র আঁকড়ে ধরে টিকে আছে ফিলিস্তিন, স্বপ্ন তাদের স্বাধীনতার।
৩৪৭ দিন আগে