এশিয়া
পাকিস্তানে রেল স্টেশনে বিস্ফোরণ: নিহত বেড়ে ২৫
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা শহরের একটি রেলস্টেশনে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সমন্বয়কারী ওয়াসিম বেগ হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গুরুতর আহতদের অন্তত পাঁচজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে ৬২ জন আহত হয়েছেন যাদের বেশ কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরের একটি সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আরও কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয় পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলুচ জানিয়েছেন, কোয়েটা থেকে রাওয়ালপিন্ডি শহরের উদ্দেশে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। এ সময় বিস্ফোরণটি ঘটে।
এদিকে বিবৃতি দিয়ে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি।
বিবৃতিতে তারা জানায়, রেল স্টেশনে অবস্থানরত সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা করে আত্মঘাতী হামলাকারীরা।
বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির এ দাবির বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের কুয়েটা রেল স্টেশনে বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
টিভি ফুটেজে দেখা যায়, প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের লাগেজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।
তেল ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ বেলুচিস্তান পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় কিন্তু সবচেয়ে কম জনবহুল প্রদেশ। দেশটির জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু বেলুচদের একটি কেন্দ্রও এটি। কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্য ও শোষণের শিকার হচ্ছেন বলে অনেকদিন ধরে তারা অভিযোগ করে আসছেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি প্রদেশটিতে ইসলামী জঙ্গি সংগঠনগুলোও সক্রিয়।
বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি প্রায়ই পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী এবং পাকিস্তানে বেইজিংয়ের বিলিয়ন ডলারের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অবকাঠামোগত প্রকল্প নির্মাণের কাজে নিয়োজিত চীনা নাগরিকসহ বিদেশিদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
৪১৪ দিন আগে
পাকিস্তানের কুয়েটা রেল স্টেশনে বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে শক্তিশালী বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। হামলায় আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
শনিবার বেলুচিস্তানের রাজধানী কুয়েটার রেল স্টেশনে এ বোমা হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলুচ জানিয়েছেন, কুয়েটা থেকে রাওয়ালপিন্ডি শহরের উদ্দেশ্যে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। এ সময় বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটে।
এদিকে বিবৃতি দিয়ে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি।
আরও পড়ুন: গাজার স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত
বিবৃতিতে তারা জানায়, আত্মঘাতী বোম্বাররা রেল স্টেশনে অবস্থানরত সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা করেছে।
বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির এ দাবির বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
টিভি ফুটেজে দেখা যায়, প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের লাগেজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।
কুয়েটা পুলিশের কর্মকর্তা আয়েশা ফয়েজ বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকজন যাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।
এর আগে, সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ বলেছিলেন, হামলায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। কারণ আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর ছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বোমা হামলায় অন্তত ২০ জন মারা গেছেন।
তেল ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ বেলুচিস্তান পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় কিন্তু সবচেয়ে কম জনবহুল প্রদেশ। এটি দেশটির জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু বেলুচদের একটি কেন্দ্রও। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্য ও শোষণের শিকার হচ্ছেন বলে অনেকদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি, প্রদেশটিতে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলোও সক্রিয় রয়েছে।
বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি প্রায়ই নিরাপত্তা বাহিনী এবং পাকিস্তানে বেইজিংয়ের বিলিয়ন ডলারের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অবকাঠামোগত প্রকল্প নির্মাণের কাজে নিয়োজিত চীনা নাগরিকসহ বিদেশিদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৭৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
৪১৫ দিন আগে
মিয়ানমারের রাখাইনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস জাতিসংঘের
মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও শক্তিশালী জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতে জর্জরিত এবং রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের আবাসস্থল রাখাইন রাজ্য শিগগিরই চরম দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বলেছে, ‘একটি মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে’, যা পশ্চিম রাখাইনকে ‘অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের কিনারায়’ ঠেলে দিয়েছে।
মিয়ানমার ও প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে পণ্য প্রবাহে সীমাবদ্ধতা, বাসিন্দাদের আয়-রোজগারের অভাব, মুদ্রাস্ফীতির উচ্চ হার, খাদ্য উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য হ্রাস এবং প্রয়োজনীয় সেবা ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার অভাবের মতো একাধিক পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত সমস্যার কথা বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
ইউএনডিপি জানিয়েছে, ‘অত্যন্ত বিপন্ন এই জনসংখ্যা আসন্ন মাসগুলোতে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারে।’
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার বহুদিন ধরেই রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বাংলাদেশ থেকে আসা ‘বাঙালি’ হিসেবে দেখে আসছে। যদিও তাদের পরিবার বহু প্রজন্ম ধরে দেশটিতে বসবাস করছে। ১৯৮২ সাল থেকে প্রায় সবাইকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের একটি গোষ্ঠীর হামলার পর সেনাবাহিনী নির্মম অভিযান শুরু করে তাদের বিরুদ্ধে। এতে অন্তত ৭,৪০,০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
২০২১ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে গণতন্ত্রপন্থি গেরিলা এবং বিভিন্ন জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত নভেম্বরে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকার থেকে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আরাকান আর্মি রাখাইনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে এবং রাজ্যের অর্ধেকেরও বেশি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। রাখাইন জাতিগত সংখ্যালঘু আন্দোলনের শসস্ত্র বাহিনী হিসেবে পরিচিত এই আরাকান আর্মি সামরিক বাহিনীকে উৎখাতের চেষ্টা চালানো সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর জোটেরও সদস্য।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) তাদের ২০২৩ ও ২০২৪ সালের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে জানায়, ‘রাখাইনের অর্থনীতি কার্যত অচল হয়ে গেছে, যেখানে বাণিজ্য, কৃষি ও নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো প্রায় স্থবির অবস্থায় রয়েছে।’
ইউএনডিপি জানায়, অবরোধের কারণে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানি বন্ধ থাকায় মানুষের আয় কমে গেছে এবং একই কারণে কৃষিখাতের চাকরিও হ্রাস পাচ্ছে।
এছাড়া, সিমেন্ট আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ‘ব্যাপক দাম বেড়েছে’ এবং চাকরির প্রধান কর্মস্থল হিসেবে পরিচিত নির্মাণ শিল্পও অচল হয়ে পড়েছে।
“রাখাইন: এক দুর্ভিক্ষের সূত্রপাত” শিরোনামের এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রাখাইন শিগগরিই চরম দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ রাখাইনের অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদন তার চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ পূরণ করতে পারবে।’
জাতিসংঘ বলছে, ‘বীজ ও সার সংকট, বৈরী আবহাওয়া, আর চাষাবাদ করতে পারছে না আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত এমন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং চলমান সংঘাতের কারণে চাল উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে গেছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্য প্রায় সম্পূর্ণই স্থবির হয়ে পড়া ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে অনাহারের ঝুঁকিতে ফেলবে।’
রাখাইনে পণ্য ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ, ত্রাণকর্মীদের অবাধ প্রবেশাধিকার, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং কৃষি খাত পুনরুদ্ধারে জরুরি অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছে ইউএনডিপি।
ইউএনডিপি সতর্ক করে বলেছে, ‘জরুরি ব্যবস্থা না নিলে ৯৫ শতাংশ জনগণ বেঁচে থাকার সংগ্রামে পিছিয়ে পড়বে। তারা দেশীয় উৎপাদনে ব্যাপক হ্রাস, চরম মূল্যবৃদ্ধি, ব্যাপক বেকারত্ব এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে নিজেদের মতো করে টিকে থাকতে বাধ্য হবে।’
সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘বাণিজ্য রুট বন্ধ এবং ত্রাণ কার্যক্রমে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে রাখাইন গভীর মানবিক সংকটাপন্ন সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।’
৪১৬ দিন আগে
ট্রাম্পকে অভিনন্দন শির, দুই দেশের একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সঠিক পথ খোঁজার আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
দুই দেশের মধ্যে নতুন যুগে সঠিক সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বান জানান শি। তিনি বলেন, এটি উভয় দেশ ও বৃহত্তর বিশ্বের জন্য কল্যাণকর হবে।
শি বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার মাধ্যমে লাভবান হয় এবং সংঘাতের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়‑ইতিহাস থেকেই এই শিক্ষাই পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় প্রশাসন গঠনে ট্রাম্পের ব্যাপক পরিকল্পনা
তিনি বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের স্থিতিশীল, সুদৃঢ় ও টেকসই সম্পর্ক দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা করে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে।
উভয় পক্ষ পারস্পরিক সম্মান, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক সহযোগিতার নীতিগুলো বজায় রাখবে, সংলাপ ও যোগাযোগ জোরদার করবে, মতপার্থক্যগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করবে এবং পারস্পরিক সুবিধাজনক সহযোগিতার প্রসার ঘটাবে বলে আশাবাদী শি।
একই দিনে, যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় জে.ডি. ভ্যান্সকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের উপরাষ্ট্রপতি হান ঝেং।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের অভিনন্দন
৪১৭ দিন আগে
১৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দেরিতে এবার মাউন্ট ফুজিতে তুষারপাত
জাপানের মাউন্ট ফুজিতে এই মৌসুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছে বৃহস্পতিবার। অস্বাভাবিক উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে গত ১৩০ বছরের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে দেরিতে তুষারপাত হলো বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
প্রতি বছর ফুজি তুষারে ঢেকে যাওয়ার ঘটনা সরকারিভাবে ঘোষণা করে কোফুর স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জাপানি সংবাদপত্র আসাহী শিম্বুনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৬টায় মাউন্ট ফুজির শিখর তুষারে ঢেকে যায়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে এবার নির্ধারিত সময়ের পরে ফুজির শিখর তুষারে ঢেকেছে। এর আগে ১৯৫৫ ও ২০১৬ সালে ২৬ অক্টোবর এটি হয়েছিল। এবার আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল। ১৮৯৪ সাল থেকে এই রেকর্ড রাখা শুরু হয়।
স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে শিযুওকা ও ইয়ামানাশি অঞ্চলের ৩ হাজার ৭৭৬ মিটার উঁচু পর্বতের চূড়ায় তাপমাত্রা মাইনাস ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
বুধবার কিছু স্থান থেকে তুষারপাত দেখা গিয়েছে। কিন্তু মেঘের কারণে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় তুষারপাত নিশ্চিত করতে পারেনি ইয়ামানাশির দিকের কোফু পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, অক্টোবরে পর্বতচূড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডে গড়েছে। এ কারণে বৃষ্টিপাত হয় এবং তুষারপাত হয়নি।
সাধারণত মাউন্ট ফুজিতে প্রথম তুষারপাত ২ অক্টোবর হয়। তবে ২০২৩ সালের রেকডেৃ দেখা গেছে প্রথম তুষারপাত ৫ অক্টোবর।
৪১৭ দিন আগে
পাকিস্তানে সেনা অভিযানে ৭ সন্ত্রাসী নিহত
দেশব্যাপী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পৃথক অভিযানে সাত সন্ত্রাসী নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর জানিয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের উপজাতীয় জেলায় গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক অভিযানে এক সন্ত্রাসী নিহত হয়।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে পাশের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলায়। সেনারা পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা সন্ত্রাসীদের বাধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় গুলি বিনিময় শুরু হয়। এতে পাঁচ সন্ত্রাসী নিহত হয় এবং আরও তিনজন আহত হয়।
এ ছাড়াও সোমবার পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
৪১৮ দিন আগে
ভারতের উত্তরাঞ্চলে বাস খাদে পড়ে নিহত ৩৬
ভারতের উত্তরাঞ্চলে রাস্তা থেকে উল্টে গভীর খাদে বাস পড়ে অন্তত ৩৬ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
রাজ্য সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দীপক রাওয়াত জানান, সোমবার উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য রাজ্য আলমোড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন এবং ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
উদ্ধার ও ত্রাণকর্মীরা ভেতরে আটকা পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে থাকা সাত যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার আশ্রয়কেন্দ্রে গাছ পড়ে নিহত ৯
রাজ্য সরকারের কর্মকর্তা বিনীত পাল জানান, রাজ্য সরকার দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তথ্যে ধারণা করা হচ্ছে, জরাজীর্ণ বাসটি ৬০ মিটার (২০০ ফুট) গভীর গিরিখাতে পড়ে যাওয়ার আগে পিছলে যায়।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, বেশ কয়েকজন যাত্রী বাস থেকে বের হতে সক্ষম হন আর কিছু যাত্রী ছিটকে পড়েন। আহত যাত্রীদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গুরুতর আহতদের হেলিকপ্টারে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জরাজীর্ণ এই বাসের অনুমোদন দেওয়ায় দুই পরিবহন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। বেশিরভাগ দুর্ঘটনা বেপরোয়া গাড়ি চালানো, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল রাস্তা এবং পুরানো যানবাহনের কারণে হয়ে থাকে।
গত জুলাইয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি দোতলা যাত্রীবাহী বাস ও দুধের ট্রাকের সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে মে মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি বাস পাহাড়ি মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে গিয়ে ২১ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: সার্বিয়ায় রেলস্টেশনের ছাদ ধসে নিহত ১৩
৪২০ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ার আশ্রয়কেন্দ্রে গাছ পড়ে নিহত ৯
ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশে আশ্রয়কেন্দ্রের ওপর একটি বিশাল গাছ ভেঙে পড়ায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও আটজন আহত হয়েছেন।
রবিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে প্রদেশের সোপ্পেং জেলার মাত্তাবুলু গ্রামের বুলু মাতানরে সাংস্কৃতিক অঞ্চলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তীব্র বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া থেকে বাঁচতে ওই আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন দর্শনার্থীরা।
সোপ্পেংয়ের পুলিশ প্রধান মুহ ইউসুফ উসমান এক লিখিত বিবৃতিতে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে মৃতের সংখ্যা নয়জন এবং আহত হয়েছেন আটজন।’ আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য।
প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে পুরোনো গাছটি উপড়ে গিয়ে ছোট ঘরগুলোর ওপর পড়ে, যেখানে মানুষজন আশ্রয় নিয়েছিলেন।
দুর্ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে এবং উদ্ধার কাজ শুরু করে।
৪২০ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ায় ভোজ্যতেল কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৯
ইন্দোনেশিয়ার বৃহত্তম শহর জাকার্তার কাছে একটি ভোজ্যতেল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেকাসির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমন সংস্থার পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন ইউনিটের প্রধান ইধম খোলিদ জানিয়েছেন, শুক্রবার বেকাসি শহরের একটি শিল্প কমপ্লেক্সে আগুন লাগে।
‘আগুনে নয়জন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনসহ বেশিরভাগ হতাহত কারখানার শ্রমিক ছিলেন। আর চতুর্থ আহত ব্যক্তি হলেন একজন দমকলকর্মী যিনি ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে নতুন করে আবারও আগুন লাগার সম্ভাবনা রয়েছে।’
জাকার্তা সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অফিসের প্রধান আগুং প্রিয়াম্বোদো বলেন, আহতদের দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
৪২১ দিন আগে
পাকিস্তানে রাস্তায় বোমা বিস্ফোরণ ৫ শিশুসহ নিহত ৭
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পুলিশ কর্মকর্তাদের বহনকারী একটি গাড়ির কাছে মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংযুক্ত শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে পাঁচ শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বেলুচিস্তানের মাসতুং জেলায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান ফতেহ মোহাম্মদ জানান, বেলুচিস্তান প্রদেশের মাসতুং জেলায় এ হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, বোমা হামলার সময় স্কুলের বাচ্চাদের বহনকারী একটি মোটরচালিত রিকশা কাছাকাছি ছিল। এতে পাঁচ শিশু, একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং একজন পথচারী নিহত হন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে ব্যালট ড্রপ বক্সে বিস্ফোরণ, পুড়ল শত শত ব্যালট
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এ হামলার দায় স্বীকার না করলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিকদের ওপর হামলা জোরদার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো। তাই তাদেরকেই এই হামলার জন্য সন্দেহ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি উভয়ই বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের দেশ থেকে নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।
বেলুচিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্রোহ চলছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো প্রধানত নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালিয়ে আসছে। বেলুচ লিবারেশন আর্মিসহ গোষ্ঠীগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে স্বাধীনতা দাবি করে।
বিএলএ বিদেশিদেরও আক্রমণ করেছে। গত মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর করাচির একটি বিমানবন্দরের বাইরে চীনা নাগরিকদের লক্ষ্য করে বোমা হামলায় চীনের দুই শ্রমিক নিহত ও আটজন আহত হওয়ার দায় স্বীকার করেছেন তারা।
বেইজিংয়ের বহু বিলিয়ন ডলারের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসাবে হাজার হাজার চীনা শ্রমিক পাকিস্তানে বড় অবকাঠামো প্রকল্প নির্মাণ করছে।
বেইজিং বারবার পাকিস্তানে তার নাগরিকদের জন্য উন্নত নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে আসছে।
পাকিস্তানে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত জিয়াং জাইডং এই সপ্তাহে একটি সেমিনারে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর সম্পর্কিত প্রকল্পগুলোতে কাজ করা চীনা নাগরিকদের উপর ‘অগ্রহণযোগ্য’ হামলার জন্য দায়ী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এই বিস্তৃত প্রকল্পের আওতায় রাস্তা নির্মাণ, বিদ্যুৎ, গাছপালা ও কৃষি রয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বৃহস্পতিবার বালুচ রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, সেমিনারে অংশ নেওয়া উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, 'পাকিস্তানে চীনা নাগরিক, প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠানকে পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে পাকিস্তান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীন সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি জানানো হয়েছে ‘
তিনি বলেন, ‘ইতিবাচক কূটনৈতিক ঐতিহ্যের পরিপ্রেক্ষিতে জিয়াংয়ের বক্তব্য বিভ্রান্তিকর।’
পাকিস্তানের একটি হোটেল চেইন আভারি বলেছে, সরকার নির্দেশ দিয়েছে যে চীনা অতিথিদের জন্য পরিবহন এবং বিমানবন্দরে যাতায়াত অবশ্যই হোস্ট বা স্পনসরকে সুরক্ষা প্রোটোকল সহ ‘বোমা / বুলেট-প্রুফ গাড়ির মাধ্যমে’ ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: চিলির রাজধানীতে স্কুলে বিস্ফোরণ, ৩৫ শিক্ষার্থী আহত
৪২৩ দিন আগে