সিনেমা
এর আগে আমি পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করিনি: বাঁধন
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এর পর দেশের কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধনকে। তবে সেই বিরতি ঘুচতে যাচ্ছে এবার।
সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হলেন সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হতে যাওয়া ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ সিনেমায়। এতে প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে এই তারকাকে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বনানীর একটি রেস্টুরেন্টে সিনেমার নাম ঘোষণা ও লোগো উন্মোচন করা হয়।সেখানে সিনেমা প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘সিনেমার নাম পড়েই বোঝা যাচ্ছে যে এটি একটি খুনের গল্প। তবে এর পরতে পরতে রয়েছে রহস্য। গল্প নিয়ে এর বেশি কিছু বলব না। ছবিটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি, যাতে নিজের সেরাটা দিতে পারি। শুটিং শেষ করে, মুক্তির আগে বাকি সব অনুভূতি জানাব।’
আরও পড়ুন: খুফিয়া: চোখ আটকে গেল বাঁধনে
বাঁধন চলতি সময়ে নারীপ্রধান চরিত্রকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। এই সিনেমাতেও তেমনটা হতে যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘আমি পরিচালককে সব সময় বলেছি যে আপনি কেন সবসময় কোনো পুলিশ হিসেবে ছেলেকে দেখেন? কোনো নারীকে কেন ইনভেস্টিগেটিভ অফিসার হিসেবে দেখেন না? সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী আর পুলিশে অনেক নারী কর্মচারী–কর্মকর্তা আছেন। তাদেরও তো চরিত্র আছে। আছে গল্প। সে রকম জায়গা থেকে পরে ভাইয়া এই গল্প ঠিক করেন। এর আগে আমি পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করিনি। এটা আমার জন্য নতুন একটা অভিজ্ঞতা হবে। তাই কাজ করার আগে মন্তব্য করতে চাই না।’ সংবাদ সম্মেলনে সিনেমার পরিচালক সানী সানোয়ার বলেন, ‘অ্যাকশন থেকে বের হয়ে এবার খুনের রহস্যে ঢুকে গেলাম। ২০০৯ সালে ঘটে যাওয়া এই কেসের তদন্তে আমি নিজে যুক্ত ছিলাম। সেটা নিয়ে সিনেমা বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম ‘ঢাকা অ্যাটাক’ মুক্তির পরপরই।’ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ডিসেম্বরে ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ ছবির শুটিং শুরু হবে। মুক্তি পাবে আগামী বছরের রোজার ঈদে।
সিনেমাটিতে বাঁধন ছাড়াও আরো অভিনয় করবেন মিশা সওদাগর, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমিত সেনগুপ্তসহ অনেকে।
আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্সে বাঁধনের ‘খুফিয়া’ আসছে ৫ অক্টোবর
চরিত্রটি আমি আড়াই বছর বহন করেছি: ‘গুটি’-তে অভিনয় প্রসঙ্গে বাঁধন
৭৬৭ দিন আগে
কড়ক সিং: জয়ার প্রথম হিন্দি সিনেমা আসছে ওটিটির পর্দায়
বলিউড সিনেমায় অভিষেক ঘটতে চলেছে ৫ বার বাংলাদেশের জাতীয় পুরষ্কার জয়ী অভিনেত্রী জয়া আহসানের। চলচ্চিত্রের নাম কড়ক সিং। যার প্রথম পোস্টার প্রকাশিত হয় ৯ নভেম্বর। তবে কোনো প্রেক্ষাগৃহে নয়, ছবিটি শিগগিরই মুক্তি পেতে চলেছে ভারতের ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ) প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে।
২০২২-এর শেষের দিকে প্রজেক্টটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন দুই বাংলার এই জনপ্রিয় তারকা। শুটিং ও নির্মাণের যাবতীয় কাজ শেষে ফার্স্ট লুক পোস্টারের মাধ্যমে তার হিন্দি সিনেমার ব্যাপারটি চূড়ান্ত হলো।
শুধু ক্যারিয়ারের একটি নতুন অধ্যায়ই নয়; এর মাধ্যমে ভারতের প্রতিভাবান সব চলচ্চিত্র কর্মীদের সাহচর্য পেলেন চির তরুণ এই অভিনেত্রী। চলুন, জয়ার এই নতুন যাত্রার বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কড়ক সিং নির্মাণের নেপথ্যের মানুষেরা
এই মুভির মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো হিন্দি ভাষায় নির্দেশনা দিলেন ভারতের বাঙালি নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি অনুরণন (২০০৬) দিয়েই তিনি দর্শকদের কাছে নিজের একটি আলাদা পরিচয় তৈরি করেছিলেন। অনুরণনসহ অন্তহীন (২০০৮) এবং পিঙ্ক (২০১৬ ফিল্ম) তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দেয়।
কড়ক সিং-এর কাস্টিং পরিচালনার কাজ করেছেন যোগী মল্লং, যিনি পূর্বে অস্কার জয়ী আরআরআর মুভির কাস্টিং ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি নিজেও ছবির একটি ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তার সঙ্গে কাস্টিংয়ে সহপরিচালক হিসেবে রয়েছেন অভিষেক বাগচী।
আরও পড়ুন: অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিনেমাটি করতে হয়েছে: জয়া আহসান
প্রোডাকশন ডিজাইনের দায়িত্বে ছিলেন নাতাশা গৌউবা, যিনি এর আগে সালমান খানের রেস-৩ (২০১৮) ও দীপিকার রামলীলা (২০১৩) এর প্রোডাকশন ডিজাইন করেছিলেন।
সঙ্গীত আয়োজন করেছেন ভারতের খ্যাতিমান সুরকার, গায়ক ও সঙ্গীত পরিচালক শান্তনু মৈত্র।
চিত্রগ্রহণ সম্পন্ন করেছেন অভিক মুখোপাধ্যায়, যিনি অনিরুদ্ধর পিঙ্ক মুভির সিনেমাটোগ্রাফি করেছিলেন।
ছবির সামগ্রিক সম্পাদনায় নিয়োজিত ছিলেন অর্ঘকমল মিত্র।
কড়ক সিংয়ে জয়ার সহঅভিনয় শিল্পীরা
ছবির নাম ভূমিকায় এখানে দেখা যাবে বলিউড অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠী। যদিও চলচ্চিত্রের ভাষা বাংলা নয়; কিন্তু একজন বাঙালি পরিচালকের সঙ্গে এ নিয়ে পঙ্কজ তৃতীয়বারের মতো কাজ করলেন।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে 'দিল বেচারা'(২০২০) খ্যাত অভিনেত্রী সঞ্জনা সাংঘী, এবং মালায়ালাম অভিনেত্রী পার্বতী থিরুভোথু। এছাড়াও রয়েছেন দিলীপ শঙ্কর, পরেশ পাহুজা, বরুণ বুদ্ধদেব সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: ‘বিউটি সার্কাস’ টিমের প্রতি কৃতজ্ঞ: জয়া আহসান
৭৭৫ দিন আগে
বিজয়ীদের হাতে উঠল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২
জমকালো আয়োজনে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ । ২৭টি বিভাগে এই পুরষ্কার দেওয়া হয়।
আজ (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই পুরষ্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। প্রতি বছরের এবারও এই পুরস্কারের ঘোষণা হয় ৩১ অক্টোবর। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এবারের বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্যসচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
এবার ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান চঞ্চল চৌধুরী। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার যৌথভাবে পেয়েছেন ‘বিউটি সার্কাস’র জন্য জয়া আহসান ও ‘শিমু’র জন্য রিকিতা নন্দিনী শিমু।
আরও পড়ুন: ইন্ডাস্ট্রির অন্যদের মতো রাফসানও আমার বন্ধু: জেফার
অন্যদিকে, যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে মুহাম্মদ আব্দুল কাইউম প্রযোজিত চলচ্চিত্র ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ও মো. তামজিদ উল আলম প্রযোজিত ‘পরাণ’।
আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন অভিনেতা খসরু (বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম খান খসরু) ও অভিনেত্রী রোজিনা (রওশন আরা রোজিনা)।
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে সেরার পুরস্কার পেয়েছে এস এম কামরুল আহসান প্রযোজিত চলচ্চিত্র ‘ঘরে ফেরা’। শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া প্রযোজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’।
পার্শ্বচরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন খান (পরাণ), পার্শ্বচরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী আফসানা করিম (আফসানা মিমি) (পাপ-পূণ্য), খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা সুভাশিষ ভৌমিক (দেশান্তর), কৌতুক চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা মো. সাইফুল ইমাম (দীপু ইমাম) (অপারেশন সুন্দরবন) পুরস্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিনেমাটি করতে হয়েছে: জয়া আহসান
এছাড়া শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী যৌথভাবে বৃষ্টি আক্তার (রোহিঙ্গা) ও মুনতাহা এমিলিয়া (বীরক্ব), শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার মোছা. ফারজিনা আক্তার (কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক মাহমুদুল ইসলাম খান (রিপন খান) (পায়ের ছাপ) পুরষ্কার পেয়েছেন।
যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ গায়ক শুভাশীষ মজুমদার বাপ্পা (বাপ্পা মজুমদার) (অপারেশন সুন্দরবন, গান- এ মন ভিজে যায়...) ও চন্দন সিনহা (হৃদিতা, গান- ঠিকানা বিহীন তোমাকে)। শ্রেষ্ঠ গায়িকা আতিয়া আক্তার আনিসা (পায়ের ছাপ, গান- এ শহরের পথে পথে...), শ্রেষ্ঠ গীতিকারের পুরষ্কার পেয়েছেন রবিউল ইসলাম জীবন (পরাণ, গান-ধীরে ধীরে তোর স্বপ্নে...)।
এবার শ্রেষ্ঠ সুরকার শওকত আলী ইমন (পায়ের ছাপ, গান- এ শহরের পথে পথে...), শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার ফরিদুর রেজা সাগর (দামাল), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার মুহাম্মদ আব্দুল কাইউম (কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া), শ্রেষ্ঠ সংলাপ এস এ হক অলিক (গলুই), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক সুজন মাহমুদ (শিমু), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক হিমাদ্রি বড়ুয়া (রোহিঙ্গা), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক আসাদুজ্জামান (মজনু) (রোহিঙ্গা), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক রিপন নাথ (হাওয়া), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জায় তানসিনা শাওন (শিমু), শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান মো. খোকন মোল্লা (অপারেশন সুন্দরবন) এ পুরষ্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহ কপাট বিতর্ক: অবশেষে ক্ষমা চাইলো টিম ‘পিপ্পা’
৭৭৫ দিন আগে
অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিনেমাটি করতে হয়েছে: জয়া আহসান
প্রতি বছরের মতো এবারও নভেম্বরের শেষে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৫৪তম আসর। যেখানে ‘ফিচার ফিল্ম’ বিভাগের প্রতিযোগিতায় রয়েছে জয়া আহসান অভিনীত ইরানি সিনেমা ‘ফেরেশতে’।
এটি পরিচালনা করেছেন মুর্তজা অতাশ জমজম। এছাড়া ইরানের সঙ্গে ‘ফেরেশতে’র যৌথ প্রযোজনায় রয়েছে জয়া আহসানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘সি তে সিনেমা’।
আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজে জুটি বাঁধলেন শুভ ও সোহিনী
সিনেমাটি প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে জয়া আহসান বলেন, ‘আমাদের দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর জীবন কাটে সংগ্রাম করে। এমনই এক চরিত্রে আমাকে দেখা যাবে।’
জয়া আরও বলেন, ‘অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিনেমাটি করতে হয়েছে। কারণ পুরো টিম ইরানি ভাষায় কথা বলে। এটি একটি বিষয় ছিল। কিন্তু সিনেমার তো ভাষা সব এক। সে কারণেই এটি বাধা হতে পারেনি।’
সিনেমাটিতে জয়া আহসান ছাড়া বাংলাদেশ থেকে আরও অভিনয় করেছেন- শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহীন মৃধা ও শিশুশিল্পী সাথী।
প্রসঙ্গত, এই উৎসব ছাড়াও আসন্ন জানুয়ারিতে ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪-এর উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে দেখানো হবে ‘ফেরেশতে’।
আরও পড়ুন: টাইম ফ্লাইস: ফ্রিদা কাহলো চরিত্রে আসছেন অ্যাডল্ফ খান
ইন্ডাস্ট্রির অন্যদের মতো রাফসানও আমার বন্ধু: জেফার
৭৭৫ দিন আগে
টাইম ফ্লাইস: ফ্রিদা কাহলো চরিত্রে আসছেন অ্যাডল্ফ খান
কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো চরিত্রে আসছেন প্রতিভাবান স্টাইল ডিজাইনার অ্যাডল্ফ খান। সাধারণত পর্দার পেছনেই কাজ করা এই ফ্যাশন শিল্পী তার নৈপুণ্য প্রদর্শন করবেন টাইম ফ্লাইস নামক একটি ফ্যাশন চলচ্চিত্রে।
পুরুষ হয়েও একজন নারী ব্যক্তিত্বকে চিত্রায়নের দুঃসাহসিক কাজটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন অ্যাডল্ফ। শ্যুটিংসহ নির্মাণের যাবতীয় কাজ শেষে ইতোমধ্যে বেরিয়ে গেছে চলচ্চিত্রের টিজার পোস্টার। খুব কাছের মানুষজন ছাড়া অনেকেই চিনতে পারেননি ফ্রিদা কাহলোর মেকাপে থাকা অ্যাডল্ফকে।
অবশেষে ব্যক্তিগত সাক্ষাতকারের মাধ্যমে ভক্তদের সামনে তিনি প্রকাশ করেন নিজের অভিনয়ের কথা। চলুন, মুক্তির জন্য অপেক্ষমান এই সৃষ্টিশীল কাজটির ব্যাপারে কিছু জেনে নেয়া যাক।
টাইম ফ্লাইস: ফ্রিদা কাহলোর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি
ফ্রিদা কাহলোর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্মিত ফ্যাশন ফিল্ম টাইম ফ্লাইস-এর পরিচালক স্বনামধন্য ফ্যাশন ডিজাইনার শাহরুখ আমিন টিঙ্কু। প্রতি বছরই বাংলাদেশ ফ্যাশন উইকে তার ডিজাইনের প্রদর্শনী থাকে। তার অন্যান্য ফিল্মগুলোর মধ্যে রয়েছে- আলমিরা, ফ্লাওয়ার পাওয়ার ও ইভিনিং রোজ।
অ্যাডল্ফ খানের মেকাপে কাজ করেছেন মনির্স বিউটি লাউঞ্জ-এর মনির হোসেন। আর পুরো সিনেমাটোগ্রাফির কাজ করেছেন মামুনুর হোসেন বিপু।
আরও পড়ুন: সালমান-ক্যাটরিনার 'টাইগার থ্রি' নিয়ে কেন এত বিতর্ক
মডেল হিসেবে অ্যাডল্ফকে নেওয়ার মূল কারণ তার চেহারার সঙ্গে এক অদ্ভূত মিল আছে ফ্রিদার চেহারার। এছাড়াও বিশ্ব জোড়া লাখ লাখ ডিজাইনারের মত অ্যাডল্ফও মনে প্রাণে লালন করেন এই মার্কিনী চিত্রশিল্পীকে।
চলতি সপ্তাহেই দর্শকদের দেখার জন্য উন্মুক্ত করা হবে ফিল্মটি।
অ্যাডল্ফ খান: প্রতিভাবান স্টাইল ডিজাইনার
পড়াশোনা কম্পিউটার প্রকৌশল নিয়ে হলেও মিডিয়ার প্রতি ভালবাসা থেকেই ফ্যাশন জগতে পদার্পণ অ্যাডল্ফ খানের। শুরুটা হয় প্রথমে মডেলিং দিয়েই। পাশাপাশি বেশ কিছু র্যাম্প শো’তে কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করতে থাকেন।
কয়েক বছর ধরে তিনি চিত্রনায়িকা নিপুণের ছবিগুলোর স্টাইল ডিজাইনার ছিলেন। এছাড়া ‘অটোগ্রাফ’ নামে তার নিজেরও একটি ফ্যাশন হাউজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন চমক নিয়ে ‘দ্য মার্ভেলস’ আসছে বাংলাদেশে
মডেলিংয়ে সহজাত হয়ে ওঠার সময়েই ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন তার নিজের অ্যাডলফ খান গ্রুমিং স্টুডিও। ধীরে ধীরে তিনি একাধারে হয়ে ওঠেন কোরিওগ্রাফার, ডিজাইনার ও গ্রুমার।
এর বাইরে তার আরও একটি পরিচয় আছে, আর তা হচ্ছে অভিনয়। আবু সাইয়ীদ পরিচালিত ‘জীবনমৃত্যু’, পার্থ সরকারের ‘আমাদের শার্লক হোমস’, নরেশ ভূঁইয়ার নির্দেশনায় ‘নীল অপরাজিতা ও উইপোকা’সহ বেশকিছু টিভি নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন।
ইলোরা গহরের টেলিফিল্ম ‘উষ্ণীষ’ ও চলচ্চিত্র ‘উপনিষদ’-এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন তিনি।
বর্তমানে নিজের নতুন ডিজাইনিং ফার্ম- রয়্যাল রেওয়াজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন অ্যাডল্ফ।
আরও পড়ুন: সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি: তিশা-ফারুকীর জীবনের প্রতিচ্ছবি?
ফ্রিদা কাহলো: যিনি আত্ম-প্রতিকৃতিতে আঁকতেন জীবনের ছবি
পুরো নাম ম্যাগডালেনা কারমেন ফ্রিদা কাহলো ই ক্যালডেরোন। জন্ম ১৯০৭ সালের ৬ই জুলাই, মেক্সিকোতে।
নিজের প্রতিকৃতি আঁকার মধ্য দিয়ে তিনি বিশ্ব জুড়ে খ্যাতি লাভ করেন। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তাঁর মনের উপর যে প্রভাব ফেলতো সেগুলোকেই কাহলো ফুটিয়ে তুলতেন নিজের প্রতিকৃতিতে।
তিনি আজীবন বিভিন্ন স্বাস্থ্যজনিত জটিলতায় ভুগেছেন, যার বেশিভাগেরই মুল কারণ তার শৈশবে ঘটে যাওয়া এক সড়ক দুর্ঘটনা। এমনকি তাকে মাতৃত্বও হারাতে হয়েছিলো। সব মিলিয়ে শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার কারণে তিনি সব দিক থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁর একমাত্র বন্ধু ছিলো রঙ-তুলি আর ক্যানভাস।
মেক্সিকোর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্বলিত তাঁর চিত্রগুলো আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত হয়েছিলো। শুধু তাই নয়; কাহলোর বিষাদ মাখা ছবিগুলো ভিন্ন ভিন্ন অন্তদৃর্ষ্টির অবতারণা করেছিল। নারীর অভিজ্ঞতা ও রুপের আপোষহীন প্রকাশের জন্য কখনো সেগুলোর অর্থ দাড়িয়েছে নারীত্বের প্রতীক হিসেবে। কখনো চিত্রকর্মগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে অর্বাচীন শিল্প বা লোকশিল্প হিসেবে। এমনকি রাজনৈতিক বেড়াজালেও জড়ানো হয়েছিলো তাঁর কাজগুলোকে।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ আয়কারী ১০ দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র
পরাবাস্তববাদ হিসেবে আখ্যা দেওয়া এক মতবাদকে কাহলো স্পষ্টভাবে অস্বীকার করে বলেছিলেন যে, তাঁর ছবিগুলো বাস্তব অবস্থার প্রবল প্রতিফলন।
১৯৫৪ সালের ১৩ জুলাই মাত্র ৪৭ বছর বয়সে মারা যান এই চিত্রশিল্পী।
শেষাংশ
একদম প্রাথমিক পর্যায়ের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হলেও বাংলাদেশে ফ্রিদা কাহলোর এটিই প্রথম চিত্রায়ন। এই পরিপ্রেক্ষিতে, অভিনয়টি অ্যাডল্ফ খানের ক্যারিয়ারের জন্য নিঃসন্দেহে এক তাৎপর্যপূর্ণ কাজ হয়ে থাকবে। বেশভূষা অলঙ্করণের শিল্পী ও এই অঙ্গনে আগত নতুন অনুসারীদের জন্য এক বিস্তৃত মাইলফলক তো বটেই! সেই সাথে মুলধারার অথবা নিদেনপক্ষে স্বাধীন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের আবেদন রেখে যাবে এই ফ্যাশন চলচ্চিত্রটি।
আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজে জুটি বাঁধলেন শুভ ও সোহিনী
৭৭৬ দিন আগে
সালমান-ক্যাটরিনার 'টাইগার থ্রি' নিয়ে কেন এত বিতর্ক
সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফের জুটি মানেই ছবি সুপার হিট হওয়ার শতভাগ সম্ভাবনা। এরসঙ্গে আবার যখন যুক্ত হলো শাহরুখ খান, হৃত্বিক রোশন ও ইমরান হাশমির মতো তারকা; তখন প্রত্যাশা দ্বিগুণ হওয়ার কথা বলাই বাহুল্য। সিনেমাপ্রেমীরা ঠিক এই সহজাত অভিজ্ঞতারই সম্মুখীন হলেন ১২ নভেম্বর ‘টাইগার থ্রি’ মুক্তির মাধ্যমে। 'এক থা টাইগার' (২০১২), 'টাইগার জিন্দা হ্যায়' (২০১৭), 'ওয়ার' (২০১৯) ও 'পাঠান' (২০২৩) নিয়ে যশ রাজ ফিল্মসের সৃষ্টি করা স্পাই ইউনিভার্সের পঞ্চম ছবি এটি।
মনীশ শর্মা পরিচালিত ভারতের সর্বাধিক প্রত্যাশিত চলচ্চিত্রটির এই মুক্তিলগ্নে ছবিটিকে ঘিরে জন্ম নিয়েছে কিছু বিতর্ক। কী সেই বিতর্ক! আর তা কতটুকুই বা প্রভাব ফেলছে ফিল্মের জনপ্রিয়তায়, চলুন- জেনে নেওয়া যাক।
যে কারণে 'টাইগার থ্রি' নিয়ে এত বিতর্ক
৩টি দেশে ‘টাইগার থ্রি’ মুক্তির নিষেধাজ্ঞা
৩০০ কোটি রুপি বা প্রায় ৩৯৭ কোটি বাংলাদেশি টাকার (১ ভারতীয় রুপি = ১.৩২ বাংলাদেশি টাকা) সমান বাজেটে তৈরি করা মুভিটি কয়েকটি দেশে নিষিদ্ধ হওয়ার শোরগোল উঠেছে। দেশগুলো হলো: ওমান, কুয়েত ও কাতার।
চলচ্চিত্রের খলনায়ক ইমরান হাশমি একটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এই সংগঠনগুলো সরাসরি মুসলিম ধর্ম-প্রধান দেশগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করায়, একটি নেতিবাচক পটভূমির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ফলশ্রুতিতে, চিত্রায়নটির মাধ্যমে দেশগুলোর ধর্মীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে মুক্তির অপেক্ষায় বাংলাদেশি যেসব চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজ
তবে চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধকরণের বিষয়টি এখনও রটনার মাঝেই সীমাবদ্ধ। অপরপক্ষে, দেশগুলোতে এখনও চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে ছবির কাহিনি নিয়ে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শিগগিরই মুক্তি দেওয়া হবে দেশগুলোর প্রেক্ষাগৃহে।
তবে বিনা কর্তনে ভারতে মুক্তির ছাড়পত্র পাওয়া ছবিটির মধ্যপ্রাচ্যে নিষিদ্ধ হওয়ার পেছনে আরেকটি স্পর্শকাতর বিষয়কে দায়ী করা হচ্ছে।
আর সেটি হচ্ছে, জোয়া চরিত্রে অভিনীত ক্যাটরিনা কাইফের তোয়ালে পরিহিত একটি অ্যাকশন সিকুয়েন্স।
তোয়ালে পরিহিত অবস্থায় ক্যাটরিনা কাইফের অ্যাকশন দৃশ্য
যশ রাজ ফিল্মসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই প্রকল্পের সিংহভাগই খরচ হয়েছে অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য। ধুন্ধুমার দৃশ্যগুলোর একটি ছিল ক্যাটরিনা ও জনপ্রিয় হলিউড মুভি ব্ল্যাক উইডো বা বুলেট ট্রেনখ্যাত মিশেল লি’র তোয়ালে পরা অবস্থায় মার্শাল আর্ট।
চলচ্চিত্রের অ্যাকশনকে আলাদাভাবে প্রতিনিধিত্ব করা সিকুয়েন্সটি স্থান পেয়েছিল মুভির ট্রেইলারেও। তারপর থেকেই দুই নারীর এমন মুষ্ঠিযুদ্ধ নিয়ে শুরু হয়ে যায় হৈচৈ।
আরও পড়ুন: নতুন চমক নিয়ে ‘দ্য মার্ভেলস’ আসছে বাংলাদেশে
৭৭৬ দিন আগে
আগামী বছর আসবে ‘কিল হিম ২’
চলতি বছর রোজার ঈদে মুক্তি পেয়েছিল অনন্ত জলিল অভিনীত ‘কিল হিম’।
যেটির পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল। মুক্তির পর থেকেই বেশ আলোচনায় ছিল সিনেমাটি। এবার ঘোষণা এল আগামী বছর আসবে সিনেমাটির সিক্যুয়াল ‘কিল হিম ২’।
খবরটি গণমাধ্যমে জানিয়েছেন পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল।
আরও পড়ুন: নতুন সিনেমায় আরিফিন শুভ
তিনি বলেন, ‘সিনেমাটির সফলতা থেকেই সিক্যুয়ালের পরিকল্পনা করা। মনে হয়েছে এটির পরবর্তী গল্পটিও দর্শক গ্রহণ করবে। এরইমধ্যে গল্প লেখার কাজ শেষ। এ নিয়ে অনন্ত ভাইয়ের সঙ্গে কথাও হয়েছে। আগামী বছর কোরবানি ঈদে পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী বছরের শুরুর দিকে শুটিং শুরু করব।’
ইকবাল আরও জানান, দেশের পাশাপাশি বিদেশেও সিনেমাটির শুটিং হবে।
অন্যদিকে, ইকবাল ব্যস্ত আছেন তার পরবর্তী সিনেমা ‘ডেডবডি’ নিয়ে। এতে শ্যামল মাওলার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন কলকাতার চিত্রনায়িকা অন্বেষা।
এ ছাড়া আরও রয়েছেন- ওমর সানী, রোশান, রাশেদ মামুন অপু, মিষ্টি জাহানসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: নতুন চমক নিয়ে ‘দ্য মার্ভেলস’ আসছে বাংলাদেশে
সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি: তিশা-ফারুকীর জীবনের প্রতিচ্ছবি?
৭৭৬ দিন আগে
নতুন সিনেমায় আরিফিন শুভ
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা মুক্তির পর দেশজুড়ে চলছে আরিফিন শুভ বন্দনা।
সিনেমায় তার অভিনয় দেখে হল থেকে বের হতে হতে কেউ চোখ মুছছেন, তো কেউ প্রশংসায় পঞ্চমুখ। দর্শকের এমন ভালোবাসায় সিক্ত হতে থাকা আরিফিন শুভ এবার জানালেন নতুন কাজের খবর।
নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার এই হ্যান্ডসাম হাঙ্ক। সিনেমার নাম ‘নীলচক্র’। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন মিঠু খান। সিনেমাটির চিত্রনাট্য ও কাহিনী বিন্যাস করেছেন নাজিম উদ দৌলা ও মিঠু খান। দ্রুতই সিনেমাটির শুটিং শুরু হতে যাচ্ছে।
নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন আরিফিন শুভ।
আরও পড়ুন: শুভ’র প্রশংসায় নাসিরুদ্দিন শাহ
তবে বরাবরের মতই সিনেমাটির কাজ শেষ না করে বিস্তারিত কথা বলতে নারাজ এই নায়ক। শুধু এটুকুই জানালেন, ‘দর্শক সমসাময়িক একটি গল্প দেখতে পাবেন। গল্পের প্যাটার্ন ডার্ক, সঙ্গে আরও কিছু আছে।’
এরই মধ্যে সিনেমাটির অ্যানাউন্সমেন্ট পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে রক্তের সঙ্গে প্রযুক্তির এক মিশেল দেখা যাচ্ছে।
ফিল্ম ফায়োস প্রোডাকশন প্রযোজিতও ফিল্ম লাইফ প্রোডাকশন নিবেদিত এই সিনেমায় আরিফিন শুভর সঙ্গে আরও অভিনয় করছেন- মন্দিরা চক্রবর্তী, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, শাহেদ আলী, টাইগার রবি, মনির আহমেদ শাকিল, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান, ডলার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: এই সিনেমার গল্প কখনো জানতে চাইনি: আরিফিন শুভ
শেষ হচ্ছে শুভ-বিন্দুর অপেক্ষা
৭৭৯ দিন আগে
নতুন চমক নিয়ে ‘দ্য মার্ভেলস’ আসছে বাংলাদেশে
মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের ছবি ‘ক্যাপ্টেন মার্ভেল’-এর কথা ভুলে যাননি নিশ্চয়ই দর্শকেরা। এমন একটি ছবি ভুলে যাওয়ার কথাও নয়। মার্ভেল সিরিজের প্রথম নারীকেন্দ্রিক ছবি ছিল এটি।
যেখানে ব্রি লারসন ইউএস এয়ারফোর্সের পাইলট ক্যারল ডানভার্সের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। বিশ্বের একটি শক্তিশালী চরিত্র হয়ে উঠেছিল এটি।
স্যামুয়েল এল জ্যাকসন, বেন মেন্ডেলসন ও জ্যামা চ্যান অভিনীত ছবিটি বিশ্বজুড়ে ১ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। সেই সাফল্যের পথ ধরেই নির্মিত হয়েছে মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের নতুন সিনেমা ‘দ্য মার্ভেলস’।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবিটি। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে আলোচিত এই ছবি।
আরও পড়ুন: ১০ নভেম্বর আদর-সায়মা জুটির ‘যন্ত্রণা’ মুক্তি
‘দ্য মার্ভেলস’ মূলত ক্যাপ্টেন মার্ভেলের দ্বিতীয় কিস্তি। তবে এখানে যুক্ত হয়েছে আরও দু’টি সাবপ্লট ও চরিত্র। এর মধ্যে প্রধান হিসেবে রয়েছে মিস মার্ভেল চরিত্রটি। টেলিভিশন সিরিজের মাধ্যমে মিস মার্ভেলকে পরিচয় করানো হয়েছিল। প্রধান চরিত্রে ছিলেন ইমান ভেলানি। সেখানেই জানানো হয়েছিল কামালা খান ফিরবেন ‘দ্য মার্ভেলস’ সিনেমায়। যথারীতি ক্যাপ্টেন মার্ভেল চরিত্রে থাকছেন ব্রি লারসন। তাকে কেন্দ্র করেই এগিয়েছে ছবির গল্প। সিনেমাটি শুরু থেকেই দর্শক আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে। এমনকি বিলিয়ন ডলার বাজেটের সিনেমাটিতে অস্কারজয়ী ব্রি লারসন আবারও নতুন চমকে সুপারহিরো অবতারে হাজির হতে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তার সঙ্গে সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ দু’টি চরিত্রে যুক্ত হয়েছেন অভিনেত্রী ইমান ভেলানি ও তেয়োনাহ প্যারিস। এই তিন সুপারপাওয়ার ত্রয়ীকে দলবদ্ধ হয়ে বিশ্বকে বাঁচাতে দেখবেন দর্শকরা। গত এপ্রিল সিনেমাটির টিজার এবং সম্প্রতি প্রকাশিত ট্রেলারে সেই আভাস দিয়েছেন নির্মাতা।
ট্রেলারে উঠে এসেছে, ক্যাপ্টেন মার্ভেল, মিসেস মার্ভেল ও মনিকার সুপারপাওয়ারগুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। বিশ্বকে বাঁচানোর জন্য মহাজাগতিক অনুসন্ধানে নেমেছে তারা। কিন্তু কীভাবে তারা একত্রিত হবে এবং তাদের শক্তিগুলোর মিশ্রণ ঘটাবে তা ট্রেলারটিতে উন্মোচন করা হয়নি।
এক সাক্ষাৎকারে ব্রি লারসন বলেন, ‘আমরা নিজের ক্ষমতা ধরে রাখা এবং অন্যের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে সবসময়ই ভয়ে থাকি। যে কারণে সব ভার বা ক্ষমতা নিজেরাই ধরে রাখতে চাই। তাই আমি মনে করি, সিনেমাটিতে তিন শক্তির মিশ্রণ থেকে শেখার অনেককিছু আছে। কেন নিজের ক্ষমতা একে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে হবে তা সিনেমাটি দেখলেই বুঝতে পারবেন। অপ্রত্যাশিত একটি সিনেমা হতে যাচ্ছে দ্য মার্ভেলস। আমার বিশ্বাস, সারাবিশ্বের দর্শকরা সিনেমাটি দেখার জন্য মুখিয়েছে আছে।’
২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ সিনেমার পর দ্য মার্ভেলস ছবিতেই মার্ভেল একটি নতুন ‘টিম’কে পরিচয় করিয়ে দিতে যাচ্ছে।
এ সিনেমার মাধ্যমে মার্ভেলের সুপারহিরোদের মধ্যে আবার ফিরছেন নিক ফিউরি। কামালা খানকে নিয়ে সিরিজ বা সিনেমা এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রভাব রাখবে এ সিনেমার প্রতিক্রিয়া। তাই সিনেমাটি মার্ভেলের জন্যও এক ধরণের পরীক্ষা বটে। তবে এই পরীক্ষা যে মার্ভেল সহজেই পার হয়ে যাবে তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ আয়কারী ১০ দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র
৭৮০ দিন আগে
সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি: তিশা-ফারুকীর জীবনের প্রতিচ্ছবি?
৫ নভেম্বর রবিবার রাত ৯টায় মুক্তি পেলো ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ এর দ্বিতীয় টিজার। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চরকি তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে টিজারটি শেয়ার করে। তার কিছুক্ষণ পরই নিজের ফেসবুক পেজে টিজারটি শেয়ার করেন ফিল্মটির পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
ভিন্ন ধারার এই চলচ্চিত্র নির্মাতা নিজেও থাকছেন চলচ্চিত্রটির মূখ্য চরিত্রে। আর এর মধ্য দিয়েই অভিনয় জগতে পদার্পণ করতে যাচ্ছেন ফারুকী। সঙ্গে থাকছেন সহধর্মিনী জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। প্রথম টিজারটি প্রকাশ পেয়েছিল ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। তখন থেকেই মিডিয়া পাড়াসহ সকল ভক্তদের মধ্যে হৈচৈ শুরু হয়ে গেছে অটোবায়োগ্রাফি নিয়ে।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক- এবার কী চমক অপেক্ষা করছে তিশা-ফারুকীর ভক্তদের জন্য।
আরও পড়ুন: সিনেমা নির্মাণের অনুপ্রেরণা পাচ্ছি না: অমিতাভ রেজা
সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি নির্মাণের পটভূমি
বাংলাদেশে জনপ্রিয় ওটিটি (ওভার-দ্যা-টপ) প্ল্যাটফর্ম চরকি তার দর্শকদের জন্য নির্মাণ করতে যাচ্ছে ১২ জন দেশ সেরা নির্মাতার ১২টি চলচ্চিত্র। ভালোবাসার গল্পগুলোকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরা হবে এই সিনেমাগুলোতে।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত প্রজেক্টটির নাম ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’। ইতোমধ্যে প্রজেক্টের ২টি মুভির কাজ শেষ হয়েছে, যেগুলোর পরিচালক ফারুকী নিজেই। এই সম্পন্ন হওয়া মুভি দুটোর একটি চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত লাস্ট ডিফেন্ডার অফ মনোগ্যামী এবং আরেকটি এই সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ আয়কারী ১০ বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
৭৮৩ দিন আগে