অন্যান্য
ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষার্থীর জন্য অর্থ সংগ্রহে জবিতে কনসার্ট করবেন তাসরিফ খান
ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অনুষ্ঠেয় কনসার্টে গাইবেন তাসরিফ খান ও তার ব্যান্ড 'কুরেঘর'।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের জহির উদ্দিন সাখাওয়াত ব্লাড ক্যান্সারে (নন-হজকিন লিম্ফোমা) আক্রান্ত।
ওইদিন বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে এ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
'কুরেঘর'-এর পাশাপাশি মেট্রোলাইফ, ওডিডি সিগনেচার, প্রতিবিম্ব চান্দেরগাড়িসহ জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলো এই কনসার্টে অংশ নেবে।
আরও পড়ুন: গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে গাজায় যুদ্ধবিরতি চান অ্যানি লেনক্স
আয়োজকদের পক্ষ থেকে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার শাওন বলেন, 'জহির ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এখন তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকার প্রয়োজন। এই বিষয়টি চিন্তা করেই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা এবং বহিরাগতদের জন্য ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাপ্পার সংগীতায়োজনে ফিরলেন দেবাশীষ সমদ্দার
৬৮৬ দিন আগে
নাট্যকারদের মধ্যে একাত্মতাবোধ নেই: বিদ্যুৎ রায়
তরুণ নাট্যকার বিদ্যুৎ রায়। প্রায় দুই শতাধিক নাটক তার রচনায় প্রচার হলেও এই মানুষ আড়ালেই রয়ে গেছেন। ক্যামেরার পেছনে যারা থাকেন তারা লাইমলাইটের বাইরেইথেকে যান সাধারণত। গ্ল্যামার দুনিয়ার চাকচিক্যের ভিড়ে এই পেছনের মানুষেরা শুধু পেছনেই থেকে যান।
বিদ্যুৎ রায়ের মাথায় নাটকের পোকা ঢুকে প্রয়াত নাট্যজন ড. ইনামুল হকের পরামর্শে। যুক্ত হোন ‘নাগরিক নাট্যাঙ্গন’ দলে। সেই থেকেই শুরু। দলটির ‘সেইসব দিনগুলি’ নাটক দিয়ে প্রথমবার মঞ্চে উঠেন বিদ্যুৎ। এরপর পথটা আরও প্রসারিত হতে থাকে। এক সময় প্রয়াত অভিনেতা দিলীপ চক্রবর্তীর হাত ধরে তিনি স্বনামধন্য নাটকের দল ‘দেশনাটক’ এর সঙ্গে যুক্ত হন।
থিয়েটার চর্চার সঙ্গে টিভি নাটক লেখা শুরু করেন বিদ্যুৎ রায়। তার লেখায় উঠে আসে বাস্তব জীবনের চিত্র। আবার কখনও লেখেন দর্শককে আনন্দ দিতে। তবে অনেকদিন ধরেই টিভি নাটকের বাজেট নিয়ে সংকট চলছে। এরমধ্যে বেশিরভাগ নাটকের চিত্রনাট্যকার পরিচালকরা নিজেই। এমন অবস্থায় শুধু নাট্যকার হিসেবে ক্যারিয়ারকে কীভাবে দেখছেন এই তরুণ নাট্যকার।
আরও পড়ুন: বাপ্পার সংগীতায়োজনে ফিরলেন দেবাশীষ সমদ্দার
এ প্রসঙ্গে ইউএনবিকে বিদ্যুৎ বলেন, ‘নাটক লেখা যাদের একমাত্র পেশা তাদের জন্য সারভাইভ করাটা কঠিন। সবার ক্ষেত্রে না হলেও বেশির ভাগের ক্ষেত্রে এটাই সত্য। কারণ আমরা মুখে যতোই প্রফেসনালিজমের কথা বলি না কেন, সত্যিকার অর্থে ততোটা প্রফেশনাল আমরা হতে পারিনি এখনও। সততার ক্ষেত্রেও ঘাটতি আছে অনেক।’
তিনি বলেন, ‘প্রচুর নাটক হচ্ছে, প্রচুর নাটক লেখার সুযোগও আছে, কিন্তু নাট্যকারের পারিশ্রমিক দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই অনিহা লক্ষ্য করা যায়। একটা নাটক তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রথম ইনভেস্টমেন্ট হয় নাট্যকারের গল্প বা চিত্রনাট্য লেখার মাধ্যমে, ‘কিন্তু সব শেষে দেখা যায় তার সম্মানিটা বাকি থেকে যায় বিভিন্ন অজুহাতে। আর সম্মানির পরিমাণটাও তুলনামূলক ভীষণ অল্প। আমরা এই কালচার থেকে এখনও পুরোপুরি বের হতে পারিনি। আবার বেশিরভাগ সময় দুই লাখ টাকা বাজেটের নাটকে নাট্যকারের যে সম্মানি নির্ধারণ করা হয়, নাটকের মূল বাজেট দশ লাখে পৌঁছালেও নাট্যকারের বাজেট একই থাকে। অথচ বড় বাজেটের নাটক লিখতে নাট্যকারের কমপক্ষে কয়েকগুন বেশি মেধা খাটাতে হয়, শ্রম দিতে হয়।’
বিদ্যুৎ আরও বলেন, ‘তবে এই দায় শুধু পরিচালক বা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের উপর চাপানো ঠিক হবে না। এর জন্য তাদের সঙ্গে সঙ্গে নাট্যকাররাও সমানভাবে দায়ী। এর কারণ হচ্ছে, নাট্যকারদের সবার মাঝে একাত্মতা না থাকা। ফলে একটা নাটকে নাট্যকারের সম্মানি যেটা হওয়া উচিত, সেটা চাওয়া হলে, অপর কোনো নাট্যকার সেটা তিন ভাগের এক ভাগ টাকায় করতে রাজি হয়ে যায়। এই সুযোগটাই পরিচালক বা প্রযোজক নিয়ে থাকেন এবং যে কারণে বড় বাজেটের নাটকেও নাট্যকারের বাজেট থাকে তলানিতে। তবে এই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক ভালো পরিচালক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে, যারা সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন এবং তাদের কাছে নাট্যকাররা কখনো প্রতারিত হন না। তবে আশা রাখি, একটা সময় এই অন্ধকার দূর হয়ে যাবে। নাট্যকাররা তাদের সঠিক সম্মানি ও সম্মান পাবে। আর নাটক লিখেই জীবিকা নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হবে না।’
বিদ্যুৎ রায়ের উল্লেখযোগ্য একক নাটকগুলো সিগন্যাল, টাইমল্যাপস, লক্ষ্মীসোনা, চিৎকার, বাঁচি তোমার খেয়ালে, ভালোবাসার মায়াজাল, সানাই, গ্রামের বন্ধু, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন, সুমি তুমি কোথায়, দায়িত্ববোধ ইত্যাদি।
ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে রয়েছে লতিফ ভাইরাস, পণ্ডিতের আখড়া, ফ্যামিলি প্রবলেম উল্লেখযোগ্য। এছাড়া সামনে প্রচারের অপেক্ষায় লেগুনাপ্রেম, হকারের সংসার, হুইল চেয়ার, অনুভবে তুমি, চোরের সুন্দরী বউ, চাকরের ছেলে, আমি কোটিপতি হবই, মিনি ধারাবাহিক সোনার সংসার, মোরগলড়াইসহ আরও অনেক।
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায় জন্ম বিদ্যুৎ রায়ের। লেখালেখির আগ্রহ তৈরি হয় শৈশবে। বেড়ে উঠেছেন সংস্কৃতমনা পরিবারে। নাট্যকার হয়ে উঠার প্রথম অনুপ্রেরণা পান বাবার কাছ থেকে। যা তাকে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সবচেয়ে সাহস যুগিয়েছে।
আরও পড়ুন: আহমেদ রুবেল: একজন প্রথিতযশা অভিনয়শিল্পী
৬৮৬ দিন আগে
বাপ্পার সংগীতায়োজনে ফিরলেন দেবাশীষ সমদ্দার
কথাপ্রধান গানের জন্য সমাদৃত দেবাশীষ সমদ্দার। গানের আঙিনায় খুব একটা নিয়মিত না হতে পারলেও তার পথচলাটা সেই নব্বইয়ের দশক থেকে।
জীবনমুখী বেশ কিছু গান তিনি উপহার দিয়েছেন যেগুলো শ্রোতাদের মন ভরিয়েছে। গেল কয়েক বছর ধরে ব্যক্তিগত জটিলতায় গান থেকে দূরে ছিলেন এই গানের মানুষ। একই বছরে পরপর হারিয়েছেন বাবা, মা, ছোট ভাই ও স্ত্রীকে।
প্রিয়জন হারানোর বিষাদে বিদ্ধ হয়ে জীবনের চরম প্রতিকূলতা পেরিয়ে গানকে আঁকড়ে ধরেই টিকে থাকার চেষ্টা করছেন দেবাশীষ। এরই ধারাহাহিকতায় দীর্ঘদিন পর হাজির হলেন ভিন্নধর্মী একটি রোমান্টিক গান নিয়ে। গানের শিরোনাম ‘এখন নামবে শ্রাবণ’।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় কণ্ঠশিল্পী দেবাশীষ সমদ্দারের এই গানের ভিডিও প্রকাশনা উৎসব হয়ে গেল তেজগাঁওয়ের ইয়ামাহা ফ্ল্যাগশিপ সেন্টারে।
আরও পড়ুন: চঞ্চল-বাপ্পার হাতে টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড ২০২৩
অনুষ্ঠানে শিল্পীকে শুভাশিস জানাতে হাজির হয়েছিলেন বরেণ্য সংগীত পরিচালক পার্থ মজুমদার, কন্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার, সন্দীপন দাশ, অভিনেতা ও নির্মাতা তানভির হোসেন প্রবাল প্রমুখ।
‘এখন নামবে শ্রাবণ’ গানের কথা ও সুর করেছেন শিল্পী নিজেই। এর সংগীত পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার। মাস্টারিং করেছেন অমিত মল্লিক।
শিল্পী তার অকাল প্রয়াত স্ত্রী টেলিভিশন সংবাদ উপস্থাপক, সমাজকর্মী ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর (আইইডিসিআর) ড. এন. কে. নাতাশার স্মৃতির উদ্দেশ্যে গানটি উৎসর্গ করেছেন।
দেবাশীষ বলেন, ‘এই গান আমার নিঃসঙ্গ জীবনের নির্যাস। গানটি শ্রোতারা শুনলে আমি তৃপ্তি পাব। বাপ্পা মজুমদারকে ধন্যবাদ চমৎকার শ্রুতিমধুর সংগীতায়োজন করার জন্য। গানটির ভিডিও থেকে অর্জিত সমস্ত অর্থ ‘প্রকৃতি নির্ভর হাসপাতাল’ এর কাজে ব্যয় করা হবে। বরিশাল বিভাগের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা গ্রামে হাসপাতালটির স্থাপন প্রক্রিয়াধীন।’
গানটি নিয়ে বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘দারুণ কিছু কথায় সাজানো গানটি। দেবাশীষ সমদ্দার আমার খুব কাছের ছোট ভাই। অসাধারণ লেখে সে। ওর সহজ সরল কিন্তু মাদকতাপূর্ণ গলায় গাওয়া এই নিখাঁদ প্রেমের গানটি সবার অনেক ভালো লাগবে।’
গানটির ভিডিও পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা রনি আহসান। ভিডিও চিত্রে দেবাশীষের সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া। রাঙামাটির বৈচিত্র্যময় লোকেশনে নির্মিত গানটির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন জুলকার আহমেদ সায়েম। সম্পাদনা ও রং বিন্যাস করেছেন আকতারুল আলম তিনু।
দেবাশীষ সমদ্দার এর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজ 'দেব সিন্ধু'তে অবমুক্ত করা হয়েছে গানটি।
আরও পড়ুন: প্লেব্যাকে প্রথমবার একসঙ্গে পার্থ, বাপ্পা ও পান্থ কানাই
৬৮৭ দিন আগে
সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন নুসরাত ফারিয়া
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ফারিয়া।
শুক্রবার রাতে ফারিয়া বিষয়টি তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্টে নিশ্চিত করেছেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুল্লিাহ, এখন আমি ভালো আছি। আপনাদের সবার দোয়া ও ভালোসাবার জন্য ধন্যবাদ।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েন নুসরাত। তাকে দ্রুত রাজধানীর বনানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গেছে, শারীরিক দুর্বলতার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারিয়া। এরপর চিকিৎসক তাকে ইনজেকশন ও স্যালাইন দিলে কিছুটা সুস্থতা বোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: অনম বিশ্বাসের সিনেমায় শুভর বিপরীতে ফারিয়া
জীবনে উত্থান-পতন তো থাকবেই: নুসরাত ফারিয়া
৬৮৭ দিন আগে
আহমেদ রুবেল: একজন প্রথিতযশা অভিনয়শিল্পী
হুমায়ূন আহমেদের ‘বৃক্ষমানব’, অথবা ‘ঘোড়া মজিদ’, প্রথমদিকে এই নামগুলোতেই জনপ্রিয়তা পেলেও এমন আরও অনেক নামে পরিচিত অভিনেতা আহমেদ রুবেল। সফলতার একের পর এক সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার মাঝপথে আকস্মিকভাবে যেন যবনিকাপাত ঘটল তার জীবন গল্পের।
৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ৫৫ বছর বয়সী এই অভিনয়শিল্পী।
বসুন্ধরা সিটিতে অবস্থানকালে হঠাৎ পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পাওয়ায় সেখানে থেকে দ্রুত তাকে স্কয়ার হাসপাতালের নেওয়া হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার জানান- হাসপাতালে আনার পথেই মৃত্যু হয়েছে আহমেদ রুবেলের। গুণী অভিনেতার এমন অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা মিডিয়া পাড়ায়।
কেমন ছিল অভিনেতা আহমেদ রুবেলের বর্ণাঢ্য অভিনয় জীবন, চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: বিষাদের আবহে মুক্তি পেল ‘পেয়ারার সুবাস’
আহমেদ রুবেলের অভিনয় জীবন
১৯৬৮ সালের ৩ মে রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রাজারামপুর গ্রামে জন্ম আহমেদ রাজিব রুবেল ওরফে আহমেদ রুবেলের। অভিনয়ের হাতেখড়ি হয়েছিল প্রখ্যাত নাট্যকার ও গবেষক সেলিম আল দীনের নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’এর মাধ্যমে। মঞ্চে তার অভিনীত প্রথম নাটক ছিল সেলিম আল দীনের ‘হাতহদাই’।
নাটকের মানুষ হলেও চলচ্চিত্রে ডাক পেয়ে যান রুবেল। ১৯৯৩ সালে নাদিম মাহমুদ পরিচালিত ‘আখেরী হামলা’এর ছোট্ট একটি চরিত্র দিয়ে বড় পর্দায় তার পথচলা শুরু হয়। এরপর থেকে বাণিজ্যিক ছবিসহ একে একে মোট ৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ফেলেন। এর মধ্যে কয়েকটিতে তিনি খলনায়কের ভূমিকায়ও অভিনয় করেছিলেন।
মঞ্চের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা তখনও ছিল। বনঘাসফুল নামের মঞ্চ নাটকে কাজ করার সময় তার পরিচয় হয় নাট্যপরিচালক আতিকুল হকের সঙ্গে। তার মাধ্যমেই রুবেলের অভিষেক ঘটে টেলিভিশন নাটকে।
আরও পড়ুন: আহমেদ রুবেলকে উৎসর্গ করা হয়েছে ‘পেয়ারার সুবাস’
গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নযাত্রা’ নাটকের মাধ্যমে তিনি প্রথমবারের মতো টিভি দর্শকদের সামনের হাজির হন। এরপরেই তিনি সুযোগ পান গল্পের যাদুকর হুমায়ুন আহমেদের নাটকে কাজ করার। ঈদ নাটক ‘পোকা’তে তার অভিনীত ‘ঘোড়া মজিদ’ চরিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর থেকে তিনি হুমায়ূন আহমেদের নাটক ও চলচ্চিত্রের নিয়মিত অভিনয় শিল্পীদের একজন হয়ে ওঠেন।
তন্মধ্যে ২০০৩ সালে ‘চন্দ্রকথা’ সিনেমায় তার কাজ মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের নজর কাঁড়ে। এখানে ‘আমিন’ চরিত্রের জন্য ২০০৪ সালে সমালোচকদের বিচারে তিনি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পান। একই বছরে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছবি ‘শ্যামল ছায়া’তেও নিজের অভিনয় দিয়ে তিনি মুগ্ধতা ছড়ান ভক্তদের মাঝে।
৬৮৮ দিন আগে
আহমেদ রুবেলের বর্ণাঢ্য জীবন
আহমেদ রুবেল একজন দরাজ কণ্ঠের অভিনেতা। তাই পর্দায় তার অভিনয়ের সঙ্গে সংলাপ বলার কৌশল তাকে অন্য অনেকের থেকে আলাদা করা যায়। ৫৫ বছর বয়সে বিদায় জানালেন এই পৃথিবীকে এই মানুষটি।
সেলিম আল দীনের ‘ঢাকা থিয়েটার’ এর মধ্য দিয়ে অভিনয়ের দুনিয়ায় পা রাখেন আহমেদ রুবেল। পরে টিভি নাটকে তার শুরু হয় গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নযাত্রা’ দিয়ে। প্রথম টিভি নাটক দিয়ে দর্শকের নজরে আসেন তিনি।
এরপর তার তুমুল জনপ্রিয়তা আসে মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘প্রেত’ দিয়ে। কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের নাটকে নিয়মিত দেখা যেত তাকে।
আরও পড়ুন: অভিনেতা আহমেদ রুবেল আর নেই
১৯৯৩ সালে ‘আখেরী হামলা’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন রুবেল। এরপর ‘চন্দ্রকথা’, ‘ব্যাচেলর’, ‘গেরিলা’, ‘দ্য লাস্ট ঠাকুর’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
২০০৫ সাল থেকে টেলিভিশন নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন রুবেল।
ঢাকা থিয়েটারের সদস্য হিসেবেও দীর্ঘদিন মঞ্চে কাজ করেছেন দাপুটে এই অভিনেতা। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক ‘অতিথি’, ‘নীল তোয়ালে’, ‘বিশেষ ঘোষণা’, ‘প্রতিদান’, ‘নবাব গুন্ডা’, ‘এফএনএফ’ প্রভৃতি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষ আমাকে কলকাতার চেয়ে বেশি ভালোবাসে: স্বস্তিকা
অভিনেতা আহমেদ রুবেলের পুরো নাম আহমেদ রাজিব রুবেল। ১৯৬৮ সালের ৩ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রাজারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতার নাম আয়েশ উদ্দিন। রুবেলের বেড়ে উঠা ঢাকা শহরেই। পরিবারের সঙ্গে সবশেষ গাজীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, নির্মাতা নুরুল ইসলাম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমাটিতে ৮ বছর আগে অভিনয় করেছিলেন আহমেদ রুবেল।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ছবিটি মুক্তি পাবে। এর আগে আজ (বুধবার) সন্ধ্যা ৭টায় বসুন্ধরা সিটির লেভেল-৮-এর স্টার সিনেপ্লেক্স উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে যাওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এই গুণী অভিনেতা।
আরও পড়ুন: আহমেদ রুবেল: একজন প্রথিতযশা অভিনয়শিল্পী
৬৯০ দিন আগে
অভিনেতা আহমেদ রুবেল আর নেই
অভিনেতা আহমেদ রুবেল ইন্তেকাল করেছেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন পরিচালক নুরুল আলম আতিক।
আরও পড়ুন: আহমেদ রুবেল: একজন প্রথিতযশা অভিনয়শিল্পী
পরিচালক নুরুল আলম জানান, ‘পেয়ার সুবাস’র একটি বিশেষ প্রদর্শনী ছিল। এ প্রদর্শনীতেই যোগ দিতে হলে যাওয়ার আগ মুহূর্তে আহমেদ রুবেল অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে আহমেদ রুবেলের বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
আরও পড়ুন: গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে গাজায় যুদ্ধবিরতি চান অ্যানি লেনক্স
তেহরানে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জয়া আহসান
৬৯০ দিন আগে
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে গাজায় যুদ্ধবিরতি চান অ্যানি লেনক্স
রবিবারের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন স্কটিশ গায়ক-গীতিকার অ্যানি লেনক্স।
এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, গত অক্টোবরের শেষের দিকে ‘আর্টিস্ট ফর সিজফায়ার ডট ওআরজি’এর মাধ্যমে মার্কিন কংগ্রেস এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে গাজা ও ইসরায়েলে জরুরি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায় তারা। সংগঠনটির দেওয়া একটি বিবৃতিতে সই করা ৩০০ জনের বেশি শিল্পী, অভিনেতা ও প্রচারকদের মধ্যে লেনক্স একজন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই চিঠিতে সই করেছেন আমেরিকা ফেরেরা, জর্ডান পিল, গ্রেসি আব্রামস, জেনিফার লোপেজ, বেন অ্যাফ্লেক, আমান্ডা গোরম্যান, ডুয়া লিপা, জন স্টুয়ার্ট ও ড্রেক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষ আমাকে কলকাতার চেয়ে বেশি ভালোবাসে: স্বস্তিকা
‘আর্টিস্ট ফর সিজফায়ার অর্গানাইজেশন’-এর বিবৃতিতে বলা হয়,‘আমরা এখানে তাৎক্ষণিক ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, সমস্ত জিম্মিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন এবং গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা সরবরাহের জন্য বিশ্বব্যাপী আহ্বানকে জোরদার করতে চাই।’
‘আমরা মানবতার পক্ষে এবং সব মানুষের জন্য স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, মর্যাদা ও শান্তির ভিত্তিতে নিহিত ভবিষ্যৎ বলে মনে করি। আমরা চুপ থাকতে পারি না। সহানুভূতির জয় হওয়া উচিত।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্র্যামির রেড কার্পেটে দাঁড়িয়ে গায়িকা ও সোশ্যাল মিডিয়া তারকা মন্টানা টাকার ইসরায়েলি জিম্মিদের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
সিএনএনকে টাকার বলেছিলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি এখন যা চলছে তা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক নয় কেবল মানবিক হতে হবে।’
আরও পড়ুন: তেহরানে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জয়া আহসান
৬৯১ দিন আগে
তেহরানে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জয়া আহসান
বাংলাদেশ-ইরানের যৌথ প্রযোজনায় ‘ফেরেশতে’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। এটি ‘ফেরেশতে’ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২২তম আসরে প্রদর্শন করা হয়েছে।
আর অভিনয়ের জন্য বরাবরের মতো বেশ প্রশংসিত হয়েছেন জয়া।
এবার ইরানের বৃহৎ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী ছবি হিসেবেও দেখানো হলো ‘ফেরেশতে’।
আরও পড়ুন: শেষ হলো জয়া আহসানের প্রথম বলিউড সিনেমার শুটিং
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ইরানের তেহরানে শুরু হয়েছে ৪২তম ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব।
এটি চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ উৎসবে ৩৭টি সিনেমা তিনটি ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে প্রতিযোগিতা করছে।
এরমধ্যে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে আছে ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম পরিচালিত ‘ফেরেশতে’।
ফজর চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ফেরেশতে’র উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন- তেহরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান, ছবির নির্মাতা অতাশ জমজম এবং ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা জয়া আহসান, সুমন ফারুক ও রিকিতা নন্দিনী শিমু।
আরও পড়ুন: অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিনেমাটি করতে হয়েছে: জয়া আহসান
৬৯৫ দিন আগে
সব সময় আমাকে সংগ্রাম করতে হয়েছে: স্বস্তিকা মুখার্জি
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এবারের আসরে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তনে দেখা যাবে কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জির ‘বিজয়ার পরে’ সিনেমা। এটির পরিচালক অভিজিৎ শ্রী দাস। সিনেমাটির প্রদর্শনের সময় ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা।
এই উপলক্ষে এরইমধ্যে ঢাকায় পা রেখেছেন স্বস্তিকা মুখার্জি। রবিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জে আয়োজিত ‘উইমেন ইন সিনেমা’ বিষয়ক কনফারেন্সে যোগ দেন এই তারকা। যেখানে গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের কাজ নিয়মিত দেখেন স্বস্তিকা। মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী ও আফরান নিশোর বেশ ভক্ত তিনি। বিশেষ করে আফরান নিশোর অভিনয় এই তারকার বেশি পছন্দ বলেও জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আসছে ৭৪ দেশের ২৫২ সিনেমা
স্বস্তিকা বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে আসার সময় এক বিজ্ঞাপনে আফরান নিশোর ছবি দেখে লাফিয়ে উঠি। তার সুড়ঙ্গ সিনেমাটি আমি দুইবার দেখেছি। এছাড়াও তার ওয়েব সিরিজগুলোও দেখা হয়েছে।’
সিনেমায় নিজের চরিত্র বেশ চিন্তা করেই বাছাই করেন স্বস্তিকা। তার কাজগুলোকে অন্য ১০ জনের থেকে আলাদাও করা যায়। নিজের এই চরিত্র নির্বাচন প্রসঙ্গে স্বস্তিকা বলেন, ‘বিভিন্ন সিনেমায় আমি এমন চরিত্রগুলো করেছি, যারা নিজেদের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে জানে। যে চরিত্ররা গতানুগতিক নয়। এমন একটা সময়ও এসেছিল, যখন আমার কোনো সিনেমা সেন্সর বোর্ডে গেলে, সেটা না দেখেই রিভিশন বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। সব সময় আমাকে সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিল্পীদেরও একটা দায়িত্ব থাকে, শিল্পী হিসেবে তারা কী ধরনের ন্যারেটিভের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে অথবা চাইছে না। অসংখ্য তরুণ দর্শক আমার সিনেমা দেখে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলো করে, অনুসরণ করতে চায়। সুতরাং মাথায় সব সময় থাকে, এমন চরিত্র আমার বেছে নেওয়া উচিত, যা সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে। যদিও অভিনয়ই আমার রুটি-রোজগার। তবে, শুধু রোজগারের জন্য আমাদের সিনেমা করা উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: নাম্বার ওয়ান কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হলাম: শাকিব খান
রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের পরিবেশনায় মঞ্চে আসছে ‘ক্রীতদাসের হাসি’
৭০৬ দিন আগে