ফ্যাশন
পশমিনা শাল আসল না নকল চিনবেন কীভাবে?
আরামদায়ক উষ্ণতা ও নান্দনিক কারুকাজের মেলবন্ধনে চাদর বা শাল প্রতি শীতেই থাকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। এগুলোর মধ্যে অভিজাত শ্রেণির আলাদা দৃষ্টি থাকে পশমিনা শালের দিকে। দেহাবরণটির প্রধান উপাদান পশমিনার নমনীয় বৈশিষ্ট্যের জন্য এর রয়েছে জগৎ জোড়া খ্যাতি। কাপড়টি বোনা হয় চাংথাং মালভূমিতে চড়ে বেড়ানো চাংথাঙ্গি নামক পাহাড়ি ছাগলের পশম থেকে। মালভূমিটির অবস্থান ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরের অঞ্চল লাদাখে, আর সেখান থেকেই মূলত এই পশমিনা বস্ত্রের উৎপত্তি। বর্তমানে আসলগুলোর পাশাপাশি নানা বৈচিত্র্যে অনেক আধুনিক সংস্করণও তোলা হয় বাজারগুলোতে। এগুলোর মধ্য থেকে কীভাবে আসল পশমিনা শালটি চিনে নেবেন চলুন, তা জেনে নেওয়া যাক।
আসল পশমিনা শাল চেনার কার্যকরী উপায়
.
নমনীয়তা যাচাই
পশমিনা কাপড়ের প্রধান ও অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর সুক্ষ্ম কোমলতা। অথচ এর উষ্ণতায় কোনো ঘাটতি পড়ে না। এর উপর আলতো করে হাত বুলিয়ে গেলে পাখির পালকের মতো হাল্কা অনুভূত হবে। একই সঙ্গে পুরো পৃষ্ঠে পাওয়া যাবে মসৃণতার সরব উপস্থিতি।
পুরুষদের ফরমাল পোশাক ও স্যুট বানানোর জনপ্রিয় কিছু দেশি ব্র্যান্ড
অপরদিকে, সিন্থেটিক বা মিশ্রিত উপাদানের শালগুলোর অধিকাংশই থাকে মোটা, অমসৃণ ও তুলনামূলকভাবে স্বল্প নমনীয়।
বুননের কাজ পর্যবেক্ষণ
এই শাল ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে হাতে বোনা হয়, যার ফলে বুননগুলো সামান্য অসমান হয়। মেশিনে তৈরি সিন্থেটিক শালগুলোর বুনন হয় ত্রুটিহীন এবং একই ধরনের। এই সূক্ষ্ম তারতম্যটি বোঝার জন্য কাপড়টি হাতে ধরে ভালোভাবে খুঁটিয়ে দেখতে হবে।
অবশ্য খাঁটি পশমিনার বুননের রেখাগুলোতে অসঙ্গতির নমনীয়তা এবং উষ্ণতার মানে কোনো প্রভাব ফেলে না। বরং তা যুগ যুগ ধরে কারুশিল্পীদের দক্ষতার কথা গর্বের সঙ্গে প্রকাশ করে আসেছে।
গহনায় ব্যবহৃত মূল্যবান কিছু রত্নপাথর
কাপড়ের চকচকে ভাব যাচাই
সরাসরি সূর্যের আলোয় ধরলে যদি কাপড় চকচক করে, তবে বুঝতে হবে এতে সিল্ক, নাইলন বা অন্যান্য কৃত্রিম উপাদানের মিশ্রণ আছে। কারণ চাংথাঙ্গি ছাগলের পশম থেকে বানানো পশমিনা আলোকে প্রতিফলিত করার বদলে শোষণ করে নেয়। তাই সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে এগুলো চকচকে দেখাবে না।
সুক্ষ্ম হলেও এই কাপড় স্বচ্ছ নয় অর্থাৎ সূর্যালোক এতে প্রতিসরিত হয় না। বরং এটি রোদের আলোকে ঢেকে দিতে পারে।
উলের স্থির বিদ্যুৎ সংবেদনশীলতা নিরীক্ষা
শালের প্রান্ত দু’আঙ্গুলে ধরে আলতোভাবে ঘষে দেখতে হবে কাপড়ে থাকা উলের পশম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে কি না। কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় বানানো কাপড়ে ঘর্ষণের ফলে স্থির বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। এতে করে উলের ফাইবারগুলো সংবেদনশীলতার কারণে সোজা দাঁড়িয়ে যায়।
হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
কিন্তু আসল পশমিনা প্রাকৃতিক পশম দিয়ে তৈরি হওয়ায় ঘর্ষণ কোনো স্থির বিদ্যুতের সৃষ্টি করতে পারে না। তাই ঘর্ষণের জায়গায় উলের সূক্ষ্ম পশম না দাঁড়িয়ে যথাস্থানে অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকে।
শিখা পরীক্ষা
অন্যান্য পদ্ধতিগুলো প্রয়োগের পরে সন্দেহ থাকলে তবেই এই পরীক্ষাটি ব্যবহার করা উচিত। অন্যথায় এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। খাঁটি পশমিনা শাল যাচাইয়ের জন্য একটি সর্বাপেক্ষা কার্যকর পদ্ধতি। তবে পরীক্ষাটি করার সময় সতর্ক থাকা জরুরি।
খুব সতর্কতার সঙ্গে শাল থেকে একটি ছোট সুতা টেনে বের করে আগুনে পোড়াতে হবে। প্রকৃত পশমিনা পোড়ার সময় চুল পোড়ার মতো গন্ধ ছড়াবে। ধীরে ধীরে পুড়ে সুক্ষ্ম সুতাটি গুঁড়া ছাইতে পরিণত হবে। অন্যদিকে সিন্থেটিক ফাইবারগুলো পোড়ালে সেগুলো ধীরে ধীরে গলে যাওয়া শুরু করবে। এ সময় গলতে থাকা অংশগুলো থেকে প্লাস্টিকের মতো গন্ধ বের হবে।
নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
শেষাংশ
পশমিনা শাল আসল না নকল তা চেনার জন্য স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলোর দিকে খেয়াল দেওয়াই যথেষ্ট। কেননা সুক্ষ্ম নমনীয়তা, সূর্যালোক শুষে নেওয়া এবং স্থির বিদ্যুতের প্রতি অসংবেদনশীলতা উপাদানগত দিক থেকে একে অতুলনীয় করে তোলে। আর এই বিশেষত্বটিই ফুটে উঠে উপরোক্ত পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে কাপড় যাচাইয়ের সময়। মূলত প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার বাইরে যেয়ে কৃত্রিমতা সংযোজনের ফলে কাপড়ে চাংথাঙ্গি ছাগলের পশমের স্বকীয়তা লোপ পায়। আর এই বিষয়টি যাচাই করার মাধ্যমে শালের উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
১ মাস আগে
ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
পোশাক বিপণনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ঈদের মৌসুম। বিশেষ করে ঈদুল ফিতরকে উদ্দেশ্য করে রোজা শুরু হতে না হতেই সরব হতে শুরু করে পোশাকের বাজার। নতুন কাপড়ের উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে নিজেদের প্রিয় ব্র্যান্ডের শরণাপন্ন হন ফ্যাশন সচেতন ক্রেতারা। এই শৌখিন শ্রেণিটিকে উদ্দেশ্য করে নিজেদের নতুন শৈলী নিয়ে হাজির হয় দেশ সেরা ব্র্যান্ডগুলো। এই উপলক্ষে চলুন, দেশের জনসমাদৃত ১০টি পোশাক ব্র্যান্ডের ঈদ সংগ্রহ দেখে নেওয়া যাক।
ঈদের বাজারে লোকপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
আড়ং
বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের সামাজিক উদ্যোগ হিসেবে আড়ংয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর। প্রতিষ্ঠাতা আয়েশা আবেদ এবং আমেরিকান শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী মার্থা চ্যান।
প্রতিবারের মতো এবারও দেশীয় সিল্ক ও মসলিনের মতো দামি ফেব্রিকের সংমিশ্রণ ঘটাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। স্বভাবতই এক্সক্লুসিভ কালেকশনের অন্যতম আকর্ষণ হ্যান্ড এম্ব্রয়ডারি। কাট, প্যাটার্ন ও নকশার সমন্বয়ে করা প্রতিটি পোশাকেই ফ্যাব্রিক নির্বাচনে গুরুত্ব পেয়েছে উৎসবমুখরতা ও স্বস্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পুরুষদের পোশাকের সেরা ব্র্যান্ডসমূহ
মেয়েদের সালোয়ার কামিজে প্রাধান্য পেয়েছে লেয়ারিং ডিজাইন। পরিচিত রঙের সঙ্গে রয়েছে সাগর নীল, ল্যাভেন্ডার, টিল, প্লাম, মিন্ট গ্রিন, আইভরি, ময়ুর নীল, ও প্যাস্টালের মতো ভিন্নধর্মী রঙের ব্যবহার।
পুরুষদের পাঞ্জাবিতে থাকছে বয়সভিত্তিক বিচিত্র ডিজাইন। গরমকে কেন্দ্র করে তরুণদের পাঞ্জাবিগুলো প্রায় সবই খুব হালকা নকশার।
কে-ক্র্যাফট
১৯৯৩ সালে দেশের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র ও শৈলীকে উপজীব্য করে খালিদ মাহমুদ খান এবং শাহনাজ খান প্রতিষ্ঠা করেন কে-ক্র্যাফট।
প্রতি উৎসবের মতো এবারও পুরুষদের জন্য নিজস্ব স্টাইলের রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবির সংগ্রহ রেখেছে কে-ক্র্যাফট। পাশাপাশি রয়েছে কাট নির্ভর একরঙা পাঞ্জাবিও।
আরও পড়ুন: এই গরমে ট্যানিং এড়াতে কিছু টিপস
নারীদের জন্য নির্ধারিত পোশাক সারিতে দেখা গেছে ঐতিহ্য, ক্ল্যাসিক, রেট্রো, ফিউশন, ও লং প্যাটার্ন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম ডাবল লেয়ার্ড সালোয়ার কামিজ, ডাবল লেয়ার্ড কুর্তি, টিউনিক, কাফতান, এবং টপ্স-পালাজো সেট। এ ছাড়া শাড়ির ক্যাটাগরিকে সমৃদ্ধ করেছে কটন, মসলিন, সিল্ক, খাদি মসলিনের বৈচিত্র্যগুলো।
প্যাটার্ন, ফ্যাব্রিক এবং রঙের দিক দিয়ে বড়দের মতো বাচ্চাদের পোশাকেও মিলছে একই বৈশিষ্ট্যের দেখা।
রঙ বাংলাদেশ
বিপ্লব সাহা, সৌমিক দাস, মামুন আল কবির এবং জাকিরুল হায়দার। ১৯৯৪ সালে সদ্য স্নাতক পাশ করা এই চার বন্ধু মিলিত প্রচেষ্টায় জন্ম নেয় রঙ। কবির এবং হায়দার কয়েক বছরের মধ্যে তাদের অংশীদারিত্ব ছেড়ে দেন। কিন্তু বিপ্লব এবং সৌমিক টানা ২১ বছর ধরে চালিয়ে যান কাপড়ের ব্যবসা। অতঃপর ২০১৬ সালে, রঙ ‘বিশ্ব রঙ’ এবং ‘রঙ বাংলাদেশ’- এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়। এখানে ‘বিশ্ব রঙ’-এর কর্ণধার বিপ্লব সাহা, আর ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর একমাত্র মালিক সৌমিক দাস। প্যারেন্ট কোম্পানি ‘রঙ’-এর দৌলতে বর্তমানে দুটোই বেশ স্বনামধন্য ব্র্যান্ড।
আরও পড়ুন: প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
ঈদুল ফিতর ২০২৪ কে উপলক্ষ করে ‘রঙ বাংলাদেশ’ নিয়ে এসেছে ৪ উপাদান বিশিষ্ট ক্লাসিক্যাল থিম।
এগুলো হচ্ছে বাতাস, আগুন, পানি ও মাটি। এই থিমের সঙ্গে সব ধরনের পোশাকের নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেশীয় সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় আবহকে।
গ্রীষ্মের উষ্ণতার সঙ্গে মানিয়ে চলতে পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন হালকা ওজনের ফেব্রিক। এগুলোর মধ্যে আছে স্লাব কটন, লিনেন, জ্যাকার্ড কটন, হাফসিল্ক, বারফি, জর্জেট ও ভিসকস। আর রঙের ভিত্তিতে প্রাধান্য পেয়েছে মেরুন, ফিরোজা, নীল, আকাশী, লাল, খয়েরি, হালকা কমলা, গাঢ় সবুজ ও কফি রঙগুলো।
অঞ্জন্স
১৯৯৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহীন আহমেদের হাত ধরে শুরু হয় অঞ্জন্সের পথ চলা। এবারের ঈদে অঞ্জন্সের নকশা শৈলী, রঙ ও ফেব্রিকে থাকছে বসন্ত থেকে গ্রীষ্মে রূপান্তরের আবহ।
সালোয়ার কামিজ ও ওড়নার মুল উপাদান লিনেন, জ্যাকার্ড কটন, রেয়ন, ডুপিয়ান, ও হাল্কা সিল্ক।
আরও পড়ুন: হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
শাড়ি বিভাগে ঠায় পেয়েছে মসলিন, রাজশাহী বলাকা সিল্ক, টাঙ্গাইল কটন, লিনেন কটন, ও ভয়েল কাপড়। কামিজের পাশাপাশি শাড়ির নকশারও বিশেষ বিষয় ব্লকপ্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন প্রিন্ট, কারচুপি ও ডিজিটাল প্রিন্ট।
কাপড় ও নকশার একই রকম হাল্কা কাজ দেখা যাচ্ছে পুরুষদের সেরা পোশাক পাঞ্জাবিতেও। স্লিম ফিট, কলিদার কাট, ও রেগুলার ফিট সব ধরনের আকারই মিলবে এবারের ঈদ আয়োজনে।
এক্স্ট্যাসি
১৯৯৭ সাল থেকে শুরু হওয়া দেশের স্বনামধন্য রেডিমেড পোশাক ব্র্যান্ড এক্স্ট্যাসির প্রতিষ্ঠাতা তানজিম আশরাফুল হক। এক্স্ট্যাসির অধীনে পুরুষদের জন্য স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড ‘তানজিম’ এবং নারীদের জন্য ‘জারজাইন’। শুধুমাত্র তরুণদেরকে উদ্দেশ্য করে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠানের সর্বাঙ্গীন মনোনিবেশ থাকে হাল ফ্যাশনের প্রতি।
সাধারণত পার্টি পরিধান, বোতাম-সমেত লম্বা হাতা, পিনস্ট্রিপ্ড শার্ট, ক্যাজুয়াল টি-শার্ট, ডেনিম জিন্স, এবং স্পোর্টস জ্যাকেট পুরুষদের মুল আকর্ষণ। এর সঙ্গে উৎসবগুলোতে যুক্ত হয় তানজিম স্কোয়াডের টি-শার্ট ও তানজিম পাঞ্জাবিগুলো। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে জারজাইনের কাফতান, শ্রাগ, টপস, শার্ট, এবং টপ-বটম সেট সর্বাধিক বিক্রয়ের তালিকায়। বিশেষ করে যারা এক রঙের পোশাক পরতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই এক্স্ট্যাসি সেরা।
আরও পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
৯ মাস আগে
বিয়ের শাড়ি, লেহেঙ্গা ঢাকার যেখানে পাবেন: বধূ সাজের সেরা গন্তব্য
বিয়ে মানেই একজন নারীর অনন্যা হয়ে ওঠার সাতকাহন। অলঙ্কার ও বস্ত্রের আভরণ অন্দরমহলের দেবীকে যেন উজাড় করে তুলে ধরে সুন্দরের পূজারিদের সামনে। পরিচ্ছেদের আড়ম্বরে যেখানে সম্ভ্রম ও মর্যাদার চিরমুক্তি, সেখানে প্রত্যাশিত দিনটির মধ্যমণি হয়ে থাকে সেই পোশাকটি।
সেই সূত্রে, বাংলা ভূ-খন্ডের কারিগররা যুগ যুগ ধরে ঐশ্বর্যমন্ডিত করেছেন ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়িকে। সময় বিবর্তনে বিশ্বায়নের প্রভাবে এখন বউ সাজে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। বিগত তিন দশকে শুধুমাত্র এই বিয়ের সজ্জাকে ঘিরেই অনেকটা সমৃদ্ধ হয়েছে পোশাক শিল্প। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাল ফ্যাশনে ভর করে ব্র্যান্ডে রূপ নিয়েছে বেশ কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে, চলুন, দেখে নেয়া যাক- বিয়ের শাড়ি ও লেহেঙ্গার জন্য ঢাকার সেরা কয়েকটি মার্কেট ও ব্র্যান্ড।
বিয়ের শাড়ি ও লেহেঙ্গার জন্য ঢাকার সেরা ১০টি মার্কেট ও ব্র্যান্ড
মিরপুর বেনারসি পল্লী
শাড়ি শব্দটির সঙ্গে সবচেয়ে পরিচিত বিশেষণটি হলো বেনারসি। আর ঢাকার মিরপুরস্থ বেনারসি পল্লীর ঠিকানা আলাদা করে মনে রাখা দরকার হয় না। বহু বছর ধরে অনেকটা পরিপূরক শব্দের মতই যেন লেগে আছে ঢাকাবাসীর মুখে।
মিরপুর ১০-এ অবস্থিত এই মার্কেটের প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৫ সাল। বেনারসির পাশাপাশি এখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় কাতান ও সিল্ক। এখানে সব মিলিয়ে শাড়ির দোকানের সংখ্যা প্রায় ২০০ টি।
অন্যান্য শাড়ির মধ্যে আছে ঢাকাই মসলিন, জামদানি, টাঙ্গাইল তাঁত, রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইল হাফ সিল্ক, কাটা শাড়ি, ও জর্জেট। প্রতিটি শাড়িতেই রয়েছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। পরিণত রং, হাল্কা ওজন, আর ন্যায্য দামের কারণে উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নমধ্যবিত্ত সবারই ভীড় হয় এখানে। বধূ সাজসজ্জায় শাড়ির জন্য প্রথম পছন্দ মিরপুরের এই বেনারসি পল্লী।
আরও পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেট
মধ্যবিত্ত রাজধানীবাসীর সাধ্যের মধ্যে উপযুক্ত গন্তব্য হচ্ছে ধানমণ্ডির হকার্স মার্কেট। গাউছিয়া মার্কেটের উল্টো পাশে অবস্থিত এই মার্কেটে প্রচুর দোকান থাকায় একসঙ্গে অনেক সংগ্রহ থেকে পছন্দ করা যায়।
ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল ও জামদানি শাড়ির প্রসিদ্ধ দোকান তো আছেই। সেই সঙ্গে মসলিন, নেটশাড়ি, পার্টি শাড়ি, অলগেঞ্জ, পার্টি লেহেঙ্গা, ফ্লোরাল প্রিন্ট, ও টিশ্যুসহ বাহারি রকমের শাড়ি আকৃষ্ট করে ক্রেতাদের। কাতানের মধ্যে রয়েছে মন্থানের কাতান, বেনারসি কাতান, ভেলোর কাতান, ও বেলগা কাতান।
আরও পড়ুন: শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্ন
নিউ মার্কেট
কেনাকাটা যখন বিয়ের জন্য তখন নিউ মার্কেটে অবশ্যই একবার ঘুরে আসা উচিত। আজিমপুরের উত্তরাংশের এই বিশাল মার্কেটটি স্থাপিত হয়েছিলো ১৯৫৪ সালে।
সেই শুরু থেকেই সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের সংগ্রহ থাকার কারণে সবার কাছে এক নামে পরিচিত এই পুরনো মার্কেটটি। আর তাই শুধু শাড়ির জন্যই নয়, বিয়েতে দরকারি যাবতীয় জিনিসপত্রের জন্যও আসতে হবে এখানে।
এখানে কেনাকাটায় সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্য এবং স্বাধীনভাবে দর কষাকষির সুযোগ। বড় বড় শপিং মলের হাজার টাকার পণ্যও মাত্র কয়েকশো টাকাতেই কেনা সম্ভব এখান থেকে। এছাড়া এখানকার বেশ কিছু ব্যবসায়ী অনেক বছর ধরে কাপড় বিক্রি করে আসছেন। ফলশ্রুতিতে, এখানে দীর্ঘ মেয়াদী ক্রেতা-বিক্রেতা সুসম্পর্ক দেখা যায়।
বেইলি রোড
দীর্ঘ ২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে গড়ে ওঠা শতাধিক শাড়ির দোকান বেইলি রোডকে শাড়ির বিশাল বাজারে পরিণত করেছে। এখানে পরিধেয় যেমন বাহারি, দামটাও তেমন মেলানো মেশানো।
বেইলি রোডের আশপাশ সহ দূর-দূরান্ত থেকে এখানে ক্রেতারা আসেন প্রধানত টাঙ্গাইলের তাঁত ও ঢাকাই জামদানির টানে। তবে মিরপুর, কুমিল্লা, ডেমরা, সিরাজগঞ্জ, ও পাবনাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তাঁতের শাড়িও এখানে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
এছাড়া দোকানগুলোতে মসলিন, রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইলের সিল্ক, মিরপুরের কাতান, পাবনার কাতানের চাহিদাও আছে। জামদানি, বালুচুরি, সুতি, জুট কটন, জুট কাতান এবং হাফ সিল্কও কোন অংশে পিছিয়ে নেই।
বিদেশি শাড়ির মধ্যে দেখা যায় কাঞ্জিভরম, পঞ্চমকলি, শিফন, ক্র্যাফট, জর্জেট, অপেরা কাতান, কাঁঠাল কাতান, আলাপ কাতান, খাদি কাতান, ভোমকা কাতান। হাতের কাজ করা এবং ভেজিটেবল ডাই করা শাড়িও পাওয়া যায় এখানে।
জ্যোতি
১৯৯০ সাল থেকে শুরু হওয়া জ্যোতি মূলত রেডিমেড পরিধান বিক্রি করে থাকে। প্রথমে ভারতীয় শাড়ি, কামিজ এবং বধূ সজ্জার সরঞ্জাম নিয়ে নূর ম্যানশন শোরুমের মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে তারা তাদের বিয়ের সাজসজ্জায় দোপাট্টা যুক্ত করে।
তাদের বিশেষ পণ্যগুলো হলো বিয়ের শাড়ি, লেহেঙ্গা, এবং প্রসাধনী। ঢাকা শহর জুড়ে জ্যোতির মোট ১১টি শাখা রয়েছে।
আনজারা
২০১৪ সালে একটি অনলাইন শপ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় আনজারার। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন নওরীন ইমান ইরা এবং আবিরুল ইসলাম চৌধুরী। খুব ছোট থেকে ইরার ডিজাইনার হতে চাওয়ার স্বপ্নের ফসল এই আনজারা। আবির সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠানটির অর্থায়ন এবং বিপণনের কাজটি দেখাশোনা করেছেন।
তাদের দক্ষতার জায়গা হচ্ছে লেহেঙ্গা, গাউন, শাররা, এবং ঘাররাসহ বিভিন্ন ধরনের বধূর পোশাকে।
আরও পড়ুন: লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে টুর্যাগ অ্যাক্টিভের অংশীদারিত্ব
আনজারা এখন কেবল ইন্টারনেটেই সীমাবদ্ধ নেই। তাদের এখন ঢাকায় তিনটি শাখা, যার প্রত্যেকটিরই রয়েছে ভিন্ন শৈলীর পোশাক। প্রধান শাখাটি থেকেই মূলত বিয়ের পোশাক বিক্রি করা হয়। আর অন্য দুটিতে তোলা হয়েছে বিভিন্ন পার্টিতে পরিধানের পোশাক।
১ বছর আগে
পুরুষদের ফরমাল পোশাক ও স্যুট বানানোর জনপ্রিয় কিছু দেশি ব্র্যান্ড
শুধু কর্মক্ষেত্রেই নয়, নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের ধরন ভেদেও প্রয়োজন পড়ে ফরমাল পোশাকের। কার্যক্ষেত্রের ভাব-গাম্ভীর্যের অনেকাংশই নিজেদের পরিধানে বজায় রাখার চেষ্টা করেন পুরুষেরা। কেউ কেউ এমন পরিপাটি পরিধেয় নিজেদের স্টাইলের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে বেধে নেন।
ফলশ্রুতিতে নৈমিত্তিক জমায়েতেও তাদের প্রায় সময়ই দেখা যায় স্যুট বা অন্যান্য ফরমাল বেশভূষায় হাজির হতে। রেডিমেড বা টেইলারিং যেমনি হোক না কেন, এমন পোশাক শিল্পের গ্রাহক শ্রেণি মোটেই সংকীর্ণ নয়। তাই এদেরকে উদ্দেশ্য করে দেশ জুড়ে গড়ে উঠেছে নানা প্রকার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। চলুন, এগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় দেশি ব্র্যান্ডগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পুরুষদের ফরমাল পোশাক বানানোর সেরা ১০টি দেশি ব্র্যান্ড
ক্যাট্স আই
বর্তমানের এই স্বনামধন্য ব্র্যান্ডটি নেপথ্যে রয়েছে ১৯৮০ সালে গ্রীন সুপার মার্কেটে ছোট্ট একটি দোকান। সেখানে ক্যান্ডি থেকে শুরু করে অলঙ্কার পর্যন্ত প্রায় সবকিছুই বিক্রি করা হতো।
দোকানের একটি ছোট অংশ শার্টের জন্য রেখেছিলেন প্রতিষ্ঠাতা দম্পতি সাঈদ সিদ্দিকী রুমি এবং আশরাফুন সিদ্দিকী ডোরা, যেগুলোর নকশা তারা নিজেরাই করতেন।
আরও পড়ুন: সাদমুআ: বাংলাদেশের প্রথম পুরুষ বিউটি ব্লগার
১৯৮৩ সালে তারা এলিফ্যান্ট রোডের মনসুর ভবনে একটি ফ্লোর স্পেস ভাড়া নিয়ে আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটান ক্যাট্স আইয়ের। সে সময় বিশেষ করে পুরুষদের ফ্যাশন মার্কেটে কর্মজীবীদের জন্য ফরমাল বলতে তেমন ভালো কিছুই ছিল না। তখন সিদ্দিকী দম্পতির এই প্রতিষ্ঠানটিই ছিল তাদের একমাত্র ভরসা। এরপর থেকে কয়েক দশক ধরে দাপটে ব্যবসা করেছেন সিদ্দিকী দম্পতি।
পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে অবশ্য তারা পুরুষদের ক্যাজুয়াল পণ্যগুলোর সংগ্রহ নিয়ে চালু করে মনসুন রেইন। ১৯৯৮ সালে এই গ্রাহক শ্রেণিটিকে আরও সংকীর্ণ করে আবির্ভাব হয় ক্যাট্স আই আনলিমিটেডের।
সাধারণ ক্যাট্স আই সংগ্রহ বলতে ফরমাল সাদা ও নীল রঙের শার্ট এবং ফরমাল প্যান্টগুলোকেই বোঝানো হয়। এছাড়া তাদের শেরওয়ানি, পাঞ্জাবি এবং ম্যান্ডারিন ভেস্টগুলো তাদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট ধারণ করে।
আরও পড়ুন: গহনায় ব্যবহৃত মূল্যবান কিছু রত্নপাথর
রিচম্যান
দেশের সমসাময়িক ফ্যাশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রিচম্যানের শুরুটা হয়েছিল ২০০৩ সালে ৩ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের হাত ধরে। তারা হলেন- মোহাম্মদ জুনায়েদ, নাজমুল হক খান এবং নাইমুল হক খান। রিচম্যানের উদ্ভূত হয়েছিল লুবনান ট্রেড কনসোর্টিয়াম লিমিটেড কোম্পানি থেকে।
বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে শুরু হওয়া প্রথম রিচম্যানে পুরুষের ফরমাল ও ক্যাজুয়াল দুটো পরিধেয়ই তোলা হয়েছিল। কিন্তু নকশা অনবদ্য হওয়ায় শিগগিরই সেগুলোর আলাদা অবস্থান তৈরি হয়ে যায় বাজারের অন্যান্য পোশাকগুলো থেকে।
তরুণদের পক্ষ থেকে ধারাবাহিক ইতিবাচক সাড়াগুলোর ওপর ভিত্তি করে একের পর এক চালু হতে থাকে তাদের আউটলেটগুলো। বর্তমানে তাদের শাখা ঢাকার বাইরে চট্টগাম ও সিলেটে বিস্তৃতি লাভ করেছে।
তাদের সংগ্রহে রয়েছে নৌবাহিনীর জ্যাকেট, নেভি স্ট্রাইপ করা সুতির ফুল হাতা সোয়েটার, ধূসর প্রিন্টের হাফ হাতা হাওয়াই শার্ট, এবং হাই নেক মেরুন রঙের সোয়েটার। সাধারণ ফরমাল শার্ট ও প্যান্টের সঙ্গে রয়েছে শ্যু এবং পুরুষের ব্যবহৃত প্রসাধনী।
আরও পড়ুন: শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্ন
বেলমন্ট ফেব্রিক্স
ফরমাল পরিধেয়ের ক্রমবর্ধান চাহিদার বিপরীতে বেলমন্ট ফেব্রিক্স লিমিটেডের আগমন ছিল বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে এক অনন্য সংযোজন। দেশে স্যুট ও ব্লেজারসহ ফরমাল প্যান্ট ও শার্টের টেইলারিং সেবা নিয়ে এর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর।
বেলমন্ট ফেব্রিকস লিমিটেডের উদ্যোক্তা মোহাম্মদ বাদশা শরীয়তপুরে জন্ম নেওয়া একজন প্রতিভাবান ব্যবসায়ী। বেশ ছোট পরিসরে শুরু করা কোম্পানিটির এখন তার জন্মস্থান ছাড়িয়ে গোটা বাংলাদেশ ব্যাপী বিস্তৃত। শরীয়তপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর মিলে বেলমন্টের মোট ১৯টি আউটলেট রয়েছে।
গাজীপুরে ৮ হাজার বর্গফুটের ওপর এই কাস্টমাইজড সেলাই প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব একটি টেইলারিং ফ্যাক্টরি রয়েছে, যা সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিতে পরিপূর্ণ।
আরও পড়ুন: এই গরমে ট্যানিং এড়াতে কিছু টিপস
ফিট এলিগেন্স
বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ফিট এলিগেন্স-এর জন্ম ২০০১ সালের ২৬শে মার্চ। স্যুট, ব্লেজার এবং ট্রাউজারের চাহিদা পূরনে নিবেদিত এই প্রতিষ্ঠান মুলত ইস্ট-ওয়েস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেডের একটি সহযোগী উদ্যোগ। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত এক্সেকিউটিভ পরিচ্ছদ খাতের অন্যতম পথপ্রদর্শক ইস্ট-ওয়েস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ১৯৮৫ সাল থেকে স্যুট তৈরি করে আসছে।
ফিট এলিগেন্ডের বর্তমানে ঢাকায় ৯টি এবং চট্টগ্রামে একটি এক্সক্লুসিভ স্টোর রয়েছে। তাদের বিশেষ সংগ্রহ তালিকায় রয়েছে প্রিন্স কোট, ওয়েইস্ট কোট, ব্লেজার, মুজিব কোট, ট্রাউজার, ওভারকোট, শেরওয়ানি এবং সাফারি।
১ বছর আগে
গহনায় ব্যবহৃত মূল্যবান কিছু রত্নপাথর
প্রকৃতির বুকে পরম মায়ায় লালিত ঝকঝকে ঐশ্বর্য্যগুলো দীর্ঘকাল ধরে বিমোহিত করেছে মানব মনকে। সেই সঙ্গে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জীবনে রেখে গেছে বিলাসিতার পরশ। হীরার উজ্জ্বল মোহন থেকে শুরু করে নীলকান্তমণির রঙ গহনার মাধুর্যে এনেছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। গহনায় ব্যবহৃত সেই মূল্যবান রত্নপাথরগুলো নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের নিবন্ধটি। চলুন, গহনা তৈরির শিল্পে যুগান্তকারী অবদান রাখা চিত্তাকর্ষক পাথরগুলোর ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
যে বিষয়গুলো একটি পাথরকে মূল্যবান করতে পারে
রঙ
একটি রত্নপাথরের মান নির্ধারণের প্রাথমিক কারণগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এর রঙ। রঙের আভা, কতটুকু গাড় অথবা হালকা, এবং রঙের স্পন্দন সামগ্রিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই রঙের উপর ভিত্তি করেই বিশেষ করে বিরল পাথরগুলোর চাহিদা এবং মূল্য আকাশচুম্বি হয়ে যায়।
স্বচ্ছতা
স্বচ্ছতা বলতে পাথরের মধ্যে অন্যান্য খনিজ উপাদান বা দাগের অনুপস্থিতিকে বোঝায়। অধিক স্বচ্ছ রত্নপাথরগুলো বিরল হয়ে থাকে। সেই সাথে এদের দামও হয়ে থাকে অবিঃশ্বাস্য। বিভিন্ন উপাদানের আধিক্য পাথরের সৌন্দর্য্য ও উজ্জ্বলতাকে প্রভাবিত করে। এর সঙ্গে সঙ্গে ওঠানামা করে এদের মূল্যমানও।
কাট
একটি রত্নপাথর কিভাবে কাটা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে পাথরটির উজ্জ্বলতাসহ সামগ্রিক চেহারা প্রভাবিত হয়। একটি ভালভাবে কাটা পাথর আলোকে এমনভাবে প্রতিফলিত করে, যে এর চকচকে ভাবটি বেড়ে যায়। আর এই প্রতিফলিত সৌন্দর্য্যের সঙ্গে মূল্যও উপরে উঠতে থাকে। বিভিন্ন ধরণের কাট, যেমন ফেসেড বা ক্যাবোচন, পাথরকে রীতিমত চিত্তাকর্ষক ও সংবেদনশীল করে তোলে।
আরও পড়ুন: যশোরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩ কোটি টাকার সোনার বার উদ্ধার
ক্যারেট ওজন
ক্যারেট ওজন রত্নপাথরের আকার-আকৃতি নির্ধারণের সাধারণ পরিমাপক। সাধারণত বড় আকারের রত্নপাথরগুলো বেশি মূল্যবান হয়ে থাকে। অবশ্য এর সঙ্গে সেগুলোর রঙ, স্বচ্ছতা এবং কাটাও সম্পৃক্ত। বিরল হলেও এরকম বড় ও উচ্চ গুণাগুন সম্পন্ন রত্নপাথরগুলো বিশ্বব্যাপি শৌখিন সংগ্রাহক ও উৎসুক ব্যক্তিরা হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ান।
দুষ্প্রাপ্যতা
যে রত্নপাথরটি যত বেশি দুর্লভ, সেটি তত বেশি মূল্যবান। সীমিত পরিমাণে বা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু স্থানে পাওয়া যায় এমন রত্নপাথরগুলো তাদের অভাবের কারণে মূল্যমানের সর্বোচ্চ সীমা ছাড়াতে থাকে।
স্থায়িত্ব
যে রত্নপাথরগুলো দীর্ঘদিন যাবত অটুট অবস্থায় থাকে সেগুলো তুলনামুলক ভাবে নমনীয়গুলোর চেয়ে অধিক দামি। যে কোন প্রতিকুল পরিবেশে টিকতে পারা নীলকান্তমণি বা রুবির মতো পাথরগুলোর মূল্য ও চাহিদা উভয়ই বেশি। কেননা এগুলোর অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না।
আরও পড়ুন: এই গরমে ট্যানিং এড়াতে কিছু টিপস
চাহিদা এবং গ্রহণযোগ্যতা
উপরোক্ত বিষয়গুলো রত্ন বাজারে একটি রত্নপাথরের জনপ্রিয়তা নিশ্চিত করে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় ফ্যাশন প্রবণতা, সাংস্কৃতিক তাৎপর্য, এবং ঐতিহাসিক সমীক্ষা। সব মিলিয়ে ক্রেতাদের আবেগের বিষয়টি পাথরগুলোর ঊর্ধ্বগামী দামের পেছনে এক বিরাট প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
উৎপত্তি এবং পরিবর্ধন
উৎপত্তিস্থলটি একটি রত্ন পাথরে অতিরিক্ত মূল্য যোগ করতে পারে, বিশেষ করে জায়গাটি যদি বেশি সংখ্যক উচ্চ মানের পাথর উৎপাদন করে থাকে। উপরন্তু, কোন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে (যেমন, গরম করা, ফিলিং) রত্ন উন্নত করা হলে পাথরের মান কমে যায়। অর্থাৎ পাথরটি যত বেশি অকৃত্রিম, তা তত বেশি মূল্যবান।
বিশ্বের অতি মূল্যবান রত্ন পাথরগুলো
হীরা
হীরা যুক্তিযুক্তভাবে পরিচিত সবচেয়ে বিখ্যাত এবং উচ্চ মূল্যের রত্নপাথর। এগুলো একটি স্ফটিক জালি কাঠামোতে সাজানো কার্বন পরমাণু দ্বারা গঠিত, যা এদের মন্ত্রমুগ্ধ উজ্জ্বলতা তৈরির জন্য দায়ী। প্রাথমিকভাবে হীরা বর্ণহীন হলেও এদের অভিনব রঙের সংস্করণের খ্যাতি আছে। যেমন লাল রঙের হীরা সবচেয়ে দামি।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ বনাম হীরা: কোন বিনিয়োগটি বেশি লাভজনক?
১ বছর আগে
এই গরমে ট্যানিং এড়াতে কিছু টিপস
গ্রীষ্ম; দীর্ঘ ছুটি, উদ্বেল সৈকত আর সোনালি রোদ গায়ে মাখার সময়। দারুণ এই সময়টার জন্য আমরা সকলেই অপেক্ষায় থাকি, তবে গ্রীষ্মের সবচেয়ে বড় ভীতি হলো সানট্যান।
চমৎকার এই ঋতুর পর দীর্ঘদিন পর্যন্ত আমাদের রোদেপোড়া ত্বক নিয়ে ভুগতে হয়। সেজন্য সূর্যের রশ্মি থেকে সুরক্ষা অপরিহার্য।
আর চিন্তা করবেন না, আমাদের কাছে সেরা কিছু টিপস আছে, যা দিয়ে আপনি এই গ্রীষ্মে ট্যানিং এড়াতে পারবেন:
পিক আওয়ারে সূর্য এড়িয়ে চলুন:
গ্রীষ্মে বাইরে যাওয়ার সেরা সময় হল সন্ধ্যা। সাধারণত সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে সূর্য যখন সর্বোচ্চে তাপ ছড়ায়, তখন বাইরে না যাওয়ার চেষ্টা করুন। যদি যেতেই হয় যথাসম্ভব রোদ এড়িয়ে চলুন। এই সময়ে শরীরে ট্যানড হওয়ার এবং রোদে পোড়া হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। জ্বলন্ত সূর্যের তাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ছায়ায় থাকুন।
সানস্ক্রিন আবশ্যক:
বাইরে যাওয়ার সময় সবচেয়ে ভালো ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো সানস্ক্রিন লাগানো। মেঘলা আবহাওয়া থাকলেও এসপিএফ ৫০+ সানস্ক্রিন লাগানোর চেষ্টা করুন এবং প্রতি দুই ঘন্টা পর পর পুনরায় লাগান।
যদি ৫০+ নাও হয়, তাহলে অন্তত এসপিএফ ৩০+ সানস্ক্রিন বেছে নিন। দিনের বেলা নিজেকে রক্ষা করার জন্য এসপিএফযুক্ত লোশন, লিপবাম ও আইক্রিম লাগাতে পারেন।
আরও পড়ুন: শীতে বাড়তি যত্ন: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায়
হাইড্রেটেড থাকুন:
হাইড্রেটেড থাকা ট্যানিংয়ের প্রভাব কমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতি। বাইরে চলাফেরা করার সময় আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন।
প্রতিদিন ১৫-২০ গ্লাস পানি পান করা ট্যানিং প্রতিরোধে সহায়তা করে। পানি আপনার ত্বককে শুষ্ক হতে বাধা দেয় এবং এটিকে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল করে তোলে।
পারফিউম এড়িয়ে চলুন:
বাইরে থাকার সময় রোদে কড়া গন্ধের পারফিউম ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। পারফিউম ত্বকে লাগালে এটি সূর্যের তাপে আরও কড়া হয় এবং ত্বক আরও ট্যান হয়ে যায়। এর বদলে প্রাকৃতিক বিকল্প যেমন- গোলাপ জল বা একটি ভাল রিফ্রেশিং ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
ছাতা, সানগ্লাস ও আচ্ছাদিত পোশাক:
সূর্যের আলোতে বের হওয়ার সময় ছাতা ও সানগ্লাস আবশ্যক।
হাতে ছাতা নিয়ে ইউভি -সুরক্ষিত সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢেকে রোদে বের হোন।
এছাড়াও, গা ঢেকে রাখে এমন পোশাক পড়ুন। হালকা রঙের পোশাক বেছে নিন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার:
স্বাস্থ্যকর ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার উজ্জ্বল ও সতেজ ত্বকের জন্য সহায়ক।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার ত্বকের ভিতরে কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা আপনার ট্যানিং কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে সুস্থ ও পুষ্ট রাখার সমৃদ্ধ উৎস, যা আপনাকে সুস্থ ত্বক অর্জনে সহায়তা করে।
টমেটো, বেরি, ব্রকলি ও অলিভ অয়েল ইত্যাদি সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বককে দারুণ সুরক্ষা দেয়।
আরও পড়ুন: ঘরোয়া উপায়ে ব্ল্যাকহেডস দূর করার উপায়
চুলের যত্নে তেলের বিকল্প নেই
১ বছর আগে
পরিবেশবান্ধব লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘বর্ণন’ এর যাত্রা শুরু
বর্ণন একটি পরিবেশবান্ধব লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড। বর্ণনের পথচলা শুরু হয়েছে দেশীয় উপকরণ দিয়ে আরামদায়ক পরিবেশ উপযোগী ভিন্ন ধরনের পোশাক ও পণ্য নিয়ে।
সমসাময়িক আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিবেশবান্ধব পণ্যের কাঁচামাল ব্যবহারে বর্ণনের মনোযোগ থাকবে সবসময়।
আরও পড়ুন: চিপসের পরিবর্তে কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প খাবার
বর্ণন লাইফস্টাইল লিমিটেডের ডিরেক্টর ও ডিজাইনার ফারজানা মঈন মিহান ইউএনবিকে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য নতুনত্ব, পণ্যের স্থায়ীত্ব, শিল্পী ও শ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন, উন্নত ও সৃজনশীল দিকনির্দেশনা ও ক্রেতাদের অনুপ্রেরনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্ণনের উদ্বোধনী মাসজুড়ে বিভিন্ন পণ্যে আকর্ষনীয় মূল্যছাড় রয়েছে সরাসরি আউটলেটের পাশাপাশি ই-কমার্স ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে।’
পরিবেশবান্ধব লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড বর্ণন-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে ১৪ এপ্রিল (শুক্রবার) বনানীতে নিজস্ব অফিসে।
আরও পড়ুন: 'এসো হে বৈশাখ': বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ স্বাগত জানাচ্ছে বাংলাদেশ
পার্বত্য চট্টগ্রামে বৈসাবি উৎসবের ২য় দিন, বাড়িতে বাড়িতে পাঁজনের সুঘ্রাণ
১ বছর আগে
শীতে বাড়তি যত্ন: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায়
শীত এসে গেছে! যদিও শীতল বাতাস উৎসবের আমেজ নিয়ে আসে, তবে ঠাণ্ডায় ত্বক নিস্প্রাণ হয়ে যায়। কেউ কেউ অভিযোগ করেন শীতে তাদের ত্বকে কিছুটা কালো ছোঁপ পড়ে যায়।
তবে প্রত্যেকেই চায় সকল ঋতুতেই স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর ত্বক পেতে। আর তাই শীতকালে ত্বকের বাড়তি যত্ন নেয়া প্রয়োজন।
শীতে অল্প কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে এবং তারুণ্য বজায় রাখা সম্ভব হবে।
১.সঠিকভাবে আপনার ত্বক পরিষ্কার করুন ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
নারী-পুরুষ প্রত্যেকের জন্যই স্কিনকে পরিষ্কার করা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তবে, শীতের আসার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়, তাই সবার আগে দরকার একটি ভালো মানের ক্লিনজার ব্যবহার করা। এরপর শীতকালে উজ্জ্বল ত্বক পেতে ময়েশ্চারাইজিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ময়েশ্চারাইজার আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধরে রাখে। শীতকালে আমাদের ত্বক শুকিয়ে যায়, কারণ বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে।
এই পরিস্থিতিতে আপনার ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে এবং বাড়তি ক্ষতি এড়াতে হাইড্রেটিং ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
২. একটি ভারী ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করুন
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ত্বকের যত্নের পরিবর্তন বাধ্যতামূলক, কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আর্দ্রতার মাত্রা পরিবর্তিত হয়। কারণ আমরা যে বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি এবং ত্বক শ্বাস নিচ্ছে; তার আর্দ্রতা পরিবর্তিত হয়। তাই গ্রীষ্মের ঋতুটিতে আমরা হালকা জেলভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু শীতকালে এমন একটি ময়েশ্চারাইজার বাছাই করা উচিৎ; যাতে ভিটামিন ই ও হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের মতো উপাদানগুলো থাকে।
এছাড়া নারকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল, বাটারমিল্ক ও শসার মতো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এডেলউইসের পণ্যের সমাহার নিয়ে এলো দ্য বডি শপ
১ বছর আগে
লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে টুর্যাগ অ্যাক্টিভের অংশীদারিত্ব
ফিটনেস, ফ্যাশন ও ফ্যাব্রিকেশনের জগতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সমন্বয় ঘটিয়েছে ওয়েভ রাইডার্স লিমিটেডের ব্র্যান্ড টুর্যাগ অ্যাক্টিভ।
সম্প্রতি, ব্র্যান্ডটি ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
ওয়েভ রাইডার্সের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, এখন থেকে ক্যাটস আইয়ের সবগুলো আউটলেটে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে টুর্যাগ অ্যাক্টিভওয়্যারের বিস্তৃত পণ্যের সমাহার।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে ঊর্মি গ্রুপের নতুন পণ্য ‘টুর্যাগ অ্যাক্টিভ’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দু’পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: টুর্যাগ অ্যাক্টিভ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ফাইয়াজ রহমান এবং ক্যাটস আইয়ের পরিচালক সাদিক কুদ্দুস।
চুক্তি অনুযায়ী, এলিফ্যান্ট রোড, বসুন্ধরা সিটি, গোল্ডেন এইজ (গুলশান), আরএকে টাওয়ার (উত্তরা), আফমি প্লাজা (চট্টগ্রাম), যমুনা ফিউচার পার্ক, মিরপুর ১০ এবং বাণিজ্য ভবন শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত ক্যাটস আইয়ের আউটগুলোতে টুর্যাগ অ্যাক্টিভ মেন’স কালেকশন-গো ইজি, পারফর্মার ও ইনটেন্স এবং উইমেন’স কালেকশন ভাইটালিটি, অপ্টিমাম, ফ্রিমুভ ও ফ্লেক্স৩৬০ পাওয়া যাচ্ছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ক্যাটস আইয়ের পরিচালক সাদিক কুদ্দুস বলেন, ‘টুর্যাগ অ্যাক্টিভ সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বের ব্যাপারে জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। টুর্যাগের সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের অ্যাথলেটিক পোশাকের বিস্তৃত পরিসরের পণ্য রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা যে ক্যাটস আই ও টুর্যাগের এই যাত্রা সফলতা অর্জন করবে।’
এ বিষয়ে টুর্যাগ অ্যাক্টিভ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ফাইয়াজ রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ক্লথিং ব্র্যান্ড ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে চুক্তি করা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। সাম্প্রতিক সময়ে মানুষ পোশাকের মাধ্যমে এমন স্টাইল করতে চাচ্ছে, যা একইসঙ্গে তাদের অ্যাক্টিভ হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে, স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক হবে, পাশাপাশি ফ্যাশনেবলও হবে। অ্যাক্টিভওয়্যার এখন শুধুমাত্র লাইফস্টাইল চয়েজই নয়, এটি বৈশ্বিক ফ্যাশনে প্রভাব বিস্তারকারী ভূমিকা রাখছে। আমাদের প্রত্যাশা, টুর্যাগ অ্যাক্টিভ ও ক্যাটস আইয়ের এ অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হবে এবং দেশের ফ্যাশন সচেতন মানুষদের কাছে পৌঁছে যাবে আমাদের পোশাক।’
পারফরমেন্স বৃদ্ধি করবে, স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক ও ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরির মাধ্যমে অ্যাথলেইজার ও লাইফস্টাইল খাতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রত্যাশী টুর্যাগ অ্যাক্টিভ।
এর ধারাবাহিকতায়, দেশের ফ্যাশন সচেতন মানুষের কাছে বিস্তৃত পণ্যের সমাহার পৌঁছে দেয়ার নিরলস চেষ্টার অংশ হিসেবে ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করলো ব্র্যান্ডটি।
আরও পড়ুন: প্যাকেটজাত আলুর চিপস কেন শরীরের জন্য ক্ষতিকর?
আন্তর্জাতিক নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন ২০২২: ‘হেলথ ও ওয়েলনেস’ সেশনে গুরুত্ব পেয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য
২ বছর আগে
বাংলাদেশে এডেলউইসের পণ্যের সমাহার নিয়ে এলো দ্য বডি শপ
বিশ্বজুড়ে সমাদৃত ব্রিটিশ কসমেটিক ব্র্যান্ড দ্য বডি শপ বাংলাদেশি ক্রেতাদের জন্য নিয়ে এসেছে এডেলউইসের পণ্যের বিস্তৃত সমাহার। প্রত্যেকদিনের দূষণ ও ধুলা থেকে ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে সুরক্ষিত রাখতে নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডটির বিশাল পণ্য সমাহারে যুক্ত হয়েছে নতুন কিছু পণ্য। অথেনটিক এডেলউইস স্কিনকেয়ারের বিভিন্ন পণ্য এখন থেকে পাওয়া যাবে দ্য বডি শপের তিনটি স্টোরে।
ত্বকের মলিনতা ও শুষ্ক ভাবের মতো সমস্যাগুলোর ৮০ ভাগই দূষণ ও ধুলার মতো পরিবেশগত বিষয়গুলো কারণে সৃষ্টি হয়। এসব প্রাকৃতিক কারণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দ্য বডি শপ নিয়ে এসেছে এডেলউইস ফুল থেকে প্রাপ্ত শক্তিশালী ও প্রাকৃতিক অ্যান্টি-এইজিং উপাদান সমৃদ্ধ পণ্য। এডেলউইস পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে-এডেলউইস ডেইলি সেরাম কনসেনট্রেট, এডেলউইস আই সেরাম কনসেনট্রেট, এডেলউইস লিকুইড পিল, এডেলউইস বাউন্সি স্লিপিং মাস্ক, এডেলউইস বাউন্সি আই মাস্ক, এডেলউইস বাউন্সি জেলি মিস্ট, ইনটেন্স স্মুথিং ক্রিম ও এডেলউইস সেরাম কনসেনট্রেট শিট মাস্ক। এছাড়া, নতুন করে যুক্ত হয়েছে – এডেলউইস কনসেনট্রেট ও দ্য এডেলউইস ইনটেন্স স্মুথিং ক্রিম।
আরও পড়ুন: প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
সুইস আল্পসের রুক্ষ আবহাওয়ায় বেড়ে ওঠা এডেলউইস আকারে ছোট ফুল হলেও নানান গুণে সমৃদ্ধ। লিওনটোপোডিক অ্যাসিড সহ প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানের কারণে ফুলটি নিজেই নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। রুক্ষ আবহাওয়ায় জন্মানোর কারণে এই ফুলে তৈরি হয় লিওনটোপোডিক অ্যাসিড। এডেলউইস ফুলের প্রাকৃতিক এই উপাদান ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখার পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্যসুরক্ষায়ও কাজ করে, যা বয়স নির্বিশেষে সবার জন্য নিখুঁত ও প্রাণবন্ত ত্বক নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। দ্য বডি শপের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গাছপালা থেকে প্রাপ্ত নির্যাস মানুষের মাঝে পৌঁছে দেয়া। এই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শুধুমাত্র বিশ্বস্ত সরবরাহকারীদের কাছ থেকে এডেলউইস ফুল সংগ্রহ করে থাকে দ্য বডি শপ।
এছাড়া, আলপাইন অঞ্চলের জীববৈচিত্র যেন হুমকির মুখে না পড়ে এজন্য কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় সাবধানতার সঙ্গে এ ফুল চাষ এবং সংগ্রহ করা হয়।
যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স ও গুলশান ইউনিমার্টে দ্য বডি শপের তিনটি ফ্ল্যাগশিপ রিটেইল স্টোর রয়েছে, যেখানে ইতোমধ্যে এই পণ্যগুলো পাওয়া যাচ্ছে। এডেলউইস পণ্যের পাশাপাশি স্টোরগুলোতে রয়েছে স্কিনকেয়ার, বাথ অ্যান্ড বডি, কসমেটিকস, হেয়ার, ফ্রেগরেন্স, গিফট ও এক্সেসরিজ সহ বিস্তৃত পরিসরের পণ্যসামগ্রী।
আরও পড়ুন: হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকে ট্রান্স মডেল হিসেবে বাংলাদেশের তাসনুভা আনান শিশির
২ বছর আগে