ঢাকা
জাবি ক্যাম্পাসে ধর্ষণ: ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ২ জনের সনদ বাতিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ সাত শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রধান আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সহযোগী মুরাদ হুসাইনের একাডেমিক সনদ বাতিল করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী সাগর, ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ পরান, ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর। তবে বহিষ্কৃতদের মধ্যে আরেক শিক্ষার্থীর নাম জানা যায়নি।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির সুপারিশ করতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার মীর মশাররফ হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ক্যাম্পাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন আশুলিয়া এলাকার এক নারী।
এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর হচ্ছে আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব: পর্যটনমন্ত্রী
সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
সোমবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ তার পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেয়। আর সেই লক্ষ্য মাথায় নিয়েই সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর এ অঞ্চলের যোগাযোগ ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মন্ত্রী বলেন, নেপাল সবসময়ই বাংলাদেশের ভালো বন্ধু। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে পর্যটন উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও নেপাল যৌথভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। পর্যটনের প্রসারে বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও ভুটানের মধ্যে যে আঞ্চলিক সার্কিট তৈরি করা হয়েছিল তা পূর্ণরূপে কার্যকর করা প্রয়োজন।
নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটন শিল্প বাংলাদেশ ও নেপালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের বন্ধুত্ব আরও গভীর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আঞ্চলিক হাব হিসেবে প্রস্তুত হলে তা এই অঞ্চলের যোগাযোগ ও অর্থনীতিতে একটি সত্যিকারের গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, অতি সম্প্রতি নেপাল কাঠমান্ডুর বাইরেও পোখারা ও ভৈরবাতে দুটি বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করেছে। ঢাকা থেকে নেপালের নতুন এই দুটি বিমানবন্দরে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালিত হলে তা দুই দেশের পর্যটকদের যোগাযোগ সহজ করবে। পর্যটনের প্রসারের জন্য যে আঞ্চলিক সার্কিট তৈরি করা হয়েছিল তা কার্যকর করতে নেপাল কাজ করবে। দুই দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে যৌথভাবে উদ্যোগ গ্রহণেও নেপাল আগ্রহী।
বাংলাদেশে সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্রে ৫৫ কোম্পানিকে আমন্ত্রণ
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেছেন, সমুদ্রে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান ব্যাপক সাড়া ফেলবে।
সোমবার (১১ মার্চ) ঢাকায় পেট্রোবাংলার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দরপত্র আরও আকর্ষণীয় করতে এ বছর, আমরা কিছু নতুন বিষয় চালু করেছি- যেমন ব্রেন্টের সঙ্গে গ্যাসের দাম সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ ব্যয় পুনরুদ্ধারের বিষয়টিও যুক্ত করা হয়েছে।’
‘বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড ২০২৪-এর অধীনে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান’ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। যেখানে পেট্রোবাংলা আন্তর্জাতিক তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলোকে (আইওসি) আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানিসচিব মো. নুরুল আলম এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।
আরও পড়ুন: অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা
রবিবার বিদেশে বাংলাদেশি মিশনসহ স্থানীয় সংবাদপত্র এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইটে দরপত্র আহ্বানের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এটি জমা দেওয়ার জন্য চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় মাস দেওয়া হয়েছে।
দরপত্র অনুসারে, মোট ২৪টি অফশোর ব্লক- যার মধ্যে নয়টি অগভীর ব্লক- এবং ১৫টি গভীর সমুদ্র ব্লক দরপত্রের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
নয়টি অগভীর সমুদ্র ব্লক হলো এসএস-০১, ০২, ০৩, ০৫, ০৬, ০৭, ০৮, ১০, ১১ ও ১৫টি গভীর সমুদ্র ব্লক হলো ডিএস-০৮, ০৯, ১০, ১১,১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১ ও ২২।
দরদাতা এককভাবে বা অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে এক বা একাধিক ব্লকের জন্য দরপত্র আহ্বান করতে পারেন।
দরপত্রে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট ২০২৩-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সফল দরদাতাদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে।
তৌফিক এলাহী চৌধুরী জানান, সম্ভাব্য দরদাতা হিসেবে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এমন ৫৫টি আইওসিকে দরপত্রের আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভূ-রাজনীতি সম্পর্কে একটি প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন যা নিলাম রাউন্ডে আইওসির অংশগ্রহণের একটি কারণ হতে পারে।
নসরুল হামিদ বলেন, এটি একটি উন্মুক্ত আহ্বান এবং যোগ্য কোম্পানি যেকোনো ব্লকের জন্য দরপত্র জমা দিতে পারবে। আগ্রহী দরদাতাদের নিয়ে রমজানের পর একটি প্রাক-নিলাম সভার আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান ১০ মার্চ
অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে অফশোর দরপত্র আহ্বান করেছে তেল ও গ্যাস করপোরেশন পেট্রোবাংলা।
রবিবার (১০ মার্চ) 'অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস এক্সপ্লোরেশন আন্ডার বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড ২০২৪' শীর্ষক দরপত্রটি আহ্বান করেছে সংস্থাটি।
বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় সংবাদপত্র ও ওয়েবসাইটে দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
আহ্বান করা দরপত্রে মোট ২৪টি অফশোর ব্লক রয়েছে- এর মধ্যে ৯টি অগভীর সমুদ্র ব্লক এবং ১৫টি গভীর সমুদ্র ব্লক।
আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হলে পেট্রোবাংলার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: নসরুল হামিদ
৯টি অগভীর সমুদ্র ব্লক হলো- এসএস-০১, ০২, ০৩, ০৫, ০৬, ০৭, ০৮, ১০ ও ১১) এবং ১৫টি গভীর সমুদ্র ব্লক হলো- ডিএস-০৮, ০৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১ ও ২২।
দরদাতা এককভাবে বা অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে মিলে এক বা একাধিক ব্লকের জন্য দরপত্র জমা দিতে পারেন।
আহ্বান করা দরপত্রের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট-২০২৩ অনুযায়ী সফল দরদাতাদের সঙ্গে চুক্তি সই হবে।
প্রস্তাবিত চুক্তির বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে- মুনাফার পূর্ণ প্রত্যাবর্তন, কোনো অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা বা রয়্যালটি না থাকা, আন্তর্জাতিক নির্দেশকের আলোকে অপরিবর্তিত আকর্ষণীয় গ্যাসের দাম, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাজারমূল্যের ভিত্তিতে তেলের দাম নির্ধারণ করা হবে।
এতে পেট্রোলিয়াম পরিচালনার জন্য আমদানি করা যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতির ওপর কোনো শুল্কারোপ করা হবে না। ঠিকাদারের করপোরেট আয়কর দায় পেট্রোবাংলা বহন করবে এবং ন্যূনতম অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ব্যাংক গ্যারান্টি বহন করবে।
মুনাফাভিত্তিক শেয়ার হস্তান্তর এবং শতভাগ ব্যয় পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা থাকবে, যার বার্ষিক সীমা ৭৫ শতাংশ।
আনুপাতিকভাবে বাধ্যতামূলক কাজের বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি পেতে ঠিকাদারের অবশ্যই ২ডি সিসমিক সার্ভে থাকতে হবে। একই সঙ্গে বিডযুক্ত ব্লকগুলোর বিপরীতে ২ডি মাল্টি-ক্লায়েন্ট সিসমিক ডেটা ক্রয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রতিটি অনুসন্ধান সময়কালে তাদের ন্যূনতম কাজের বাধ্যবাধকতা থাকবে এবং বাধ্যতামূলক কর্মসূচির উপরে অংশগ্রহণযোগ্য কাজের কর্মসূচির প্রতিশ্রুতি থাকবে।
নিলামযোগ্য সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমাসহ আর-ফ্যাক্টরের ভিত্তিতে পেট্রোলিয়াম মুনাফা ভাগাভাগি হবে। তবে বিদেশি কোম্পানি যদি গ্যাস বিক্রি করতে চায়, তাহলে প্রথমে পেট্রোবাংলাকে প্রস্তাব দিতে হবে। পেট্রোবাংলা যদি তা প্রত্যাখ্যান করে তবেই তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির সুযোগ পাবে বিদেশি কোম্পানি।
অগভীর ও গভীর সমুদ্রে উভয় ধরনের ব্লকের জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) জন্য ১০ শতাংশ শেয়ার নিশ্চিত করতে হবে।
দরদাতাদের যোগ্যতার মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে- একক বা যৌথ উদ্যোগের ক্ষেত্রে কমপক্ষে একজন সদস্যের দৈনিক কমপক্ষে ১৫ হাজার ব্যারেল তেল বা ১৫০ এমএমএসসি গ্যাসের অফশোর উৎপাদন ক্ষমতা থাকতে হবে। দরদাতাদের অবশ্যই তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে কমপক্ষে একটি বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা (স্বদেশ ব্যতীত) থাকতে হবে।
আগ্রহী দরদাতা বা কোম্পানি ৩০০ মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা খরচ করে তথ্য প্যাকেজটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
সংস্থাগুলোর প্রস্তাবিত ব্লকগুলোর ভূতাত্ত্বিক সম্ভাবনাগুলো মূল্যায়ন করতে সক্ষম করার জন্য প্রচারমূলক ও ডাটা প্যাকেজ পেমেন্টের ভিত্তিতে পাওয়া যায়।
সংস্থাগুলো প্রস্তাবিত ব্লকগুলোর ভূতাত্ত্বিক সম্ভাবনাগুলো মূল্যায়নে সক্ষম করতে প্রচারমূলক ও ডেটা প্যাকেজগুলো অর্থ প্রদান সাপেক্ষে পাওয়া যাবে। প্রচারমূলক প্যাকেজগুলোতে দরপত্রের প্রয়োজনীয় নথি, ভূমিকম্প বিভাগের নমুনা, মাধ্যাকর্ষণ, চৌম্বকীয়, ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র রয়েছে। নিলামের যোগ্যতা অর্জনের জন্য কোম্পানিগুলোকে প্রমোশনাল প্যাকেজ কেনার কথা বলা হয়েছে দরপত্রে।
প্রমোশনাল প্যাকেজের ক্রয়মূল্য ১০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা। ডেটা বিক্রয় প্যাকেজ ক্রয় ঐচ্ছিক। বিভিন্ন মূল্যে বিভিন্ন ডাটা সেলস প্যাকেজ পাওয়া যায়।
দরপত্রে বলা হয়েছে, প্রমোশনাল ও ডাটা সেলস প্যাকেজের দরপত্র ক্রয়ে আগ্রহী কোম্পানিগুলো ঢাকার কাওরান বাজারের পেট্রোসেন্টারে অবস্থিত বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট-এর পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: পেট্রোবাংলার সঙ্গে এক্সেলারেট এনার্জির এলএনজি সরবরাহ চুক্তি সই
রেমিট্যান্স নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে: অর্থমন্ত্রী
দেশের রেমিট্যান্স নিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, প্রতি মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়ছে। এমনকি গত মাসে (ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ রেমিট্যান্স পেয়েছে ২১৬ কোটি ডলার।
শনিবার (৯ মার্চ) দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত খানসামা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে কাব স্কাউটসের হলিডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি মানুষের প্রধান উদ্বেগ কি না- নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশ স্কাউটস, খানসামা উপজেলার আয়োজনে কাব হলিডে প্রোগ্রামে ৫৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০০ কাব স্কাউট, স্কাউট ও কর্মকর্তা অংশ নেন।
খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আজম চৌধুরী লায়নসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সব সূচক বাড়ছে, অনিশ্চয়তা-হতাশার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী
নারীকে উন্নয়নের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী: সাঈদ খোকন
নারীকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে পুরান ঢাকার ওয়ারীর শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে নারীর অগ্রগতী অনেক দূর এগিছে। আজ থেকে বিশ বছর আগে নারীদের সামাজিক প্রেক্ষাপট কেমন ছিলো; আজ কোন অবস্থানে রয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধাঞ্জলী দিতে গেলে দেখবেন সেখানে নারীদের রাখেন, আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে এ দৃশ্য দেখা যেত না। এভাবে চিকিৎসা, ট্রাফিক ব্যবস্থা, অর্থনীতিসহ সব সেক্টরে নারীদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন বাস্তবে নারী-পুরুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। নারীরাও যে পারে এটা প্রমাণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, এক সময় আমরা কেউ থাকব না, কিন্তু আমাদের কর্মময় জীবন থাকবে। আমাদের নেত্রী যা রেখে যাচ্ছেন সেসব থাকবে। দেশটাকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে গেলেন, বৈদেশিক সম্পর্ক কীভাবে গড়ে তুললেন; একটা অনুন্নত দেশকে কীভাবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুললেন। শত বছর পরেও প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে গবেষণা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মমতাজ বেগমের সভাপতিত্বে এবং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জোবেদা বেগমের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ সময় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।
‘মূলধারায় নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন’
জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য নারীকে মূলধারায় আরও বেশি করে সম্পৃক্ত করতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন বক্তারা।
তারা বলেন, নারীর অংশগ্রহণ ছাড়া সুষম জাতীয় উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
শনিবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেমিনার, মিট দ্য প্রেস ও আন্তর্জাতিক লিয়াজোঁ উপকমিটির আহ্বায়ক ও এপি’র ব্যুরো প্রধান জুলহাস আলমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
এ সময় ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজও সত্য সুন্দর’ রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে ক্লাবের সদস্য ও অতিথিরা প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
আরোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বক্ষেত্রে নারীদের যুক্ত করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী এবং তাদের পেছনে রেখে বাংলাদেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সেই চিন্তা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের সর্বস্তরে নারীর অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের ডিপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে যে সংবিধান জাতিকে উপহার দিয়েছেন তাতে নারীর অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। জাতীয় নারী নীতিমালাসহ যেসব আইনকানুন ও বিধিবিধান প্রণয়ন করা হয়েছে, তাতেও নারী অধিকার রক্ষা ও উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, অনেক ক্ষেত্রে নারী এগিয়ে গেলেও বাংলাদেশে এখনও তারা পিছিয়ে আছেন। জাতিসংঘ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে নারীর উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ ধারা যেন অব্যাহত থাকে তিনি সে বিষয়ে জাতিসংঘের অঙ্গীকার পুণর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ছিলেন- জাতীয় সংসদের হুইপ সানজিদা খানম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি হাসান হাফিজ, যুগ্ম সম্পাদক মো. আশরাফ আলী, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ফরিদ হোসেন, কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা, কল্যাণ সাহা, মোহাম্মদ মোমিন হোসেনসহ ক্লাবের সিনিয়র নেতারা।
জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চট্টগ্রামের উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রামের অবদান অনস্বীকার্য। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অতি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সবসময় সারা বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।’
শনিবার (৯ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করতে শুধু বরাদ্দকেই বোঝায় না বরং নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের আয় বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে বোঝায়।
তিনি বলেন, প্রতিটি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদকে তাদের নিজ নিজ এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার বিষয়ে ভাবতে হবে। মানুষের আয় বাড়লে এবং সহজে নাগরিক সেবা পেলে মানুষ রাজস্ব দিতে উৎসাহ বোধ করবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সে বরাদ্দের সুফল যাতে জনগণ সঠিকভাবে পায় সেজন্য সিটি করপোরেশনের সব স্তরের সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আসন্ন বর্ষাকালে এডিস মশা ও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, বাসা বাড়ি, স্কুল কলেজ, হাসপাতাল ও থানা থেকে শুরু করে যেসব জায়গায় পরিষ্কার স্বচ্ছ পানি জমাট বাঁধতে পারে, সেখানে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করতে হবে। যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে। এ বিষয়ে উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের তাদের নিজ নিজ এলাকায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
চট্টগ্রাম নগরীর যানজট নিরসনে রাস্তা প্রশস্তকরনের জন্য নেওয়া যেকোনো উদ্যোগে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তাজুল ইসলাম।
ইনসিনারেশন পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, কর্নফুলি নদী ও বঙ্গপসাগরকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে এছাড়া বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাস্তাগুলো সংস্কার করার জন্য আইডি নম্বর দিয়ে কাজ করা হবে যাতে একই রাস্তায় বরাদ্দ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এবং আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ, মহিউদ্দিন বাচ্চু এবং আব্দুস সালাম, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম, ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাই কমিশনার রাজিব রঞ্জন।
দেশে রাজবন্দি নেই, যারা আছেন তারা বিএনপির কর্মী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি বলছে যে, হাজার হাজার রাজবন্দি। আমি বলব দেশে রাজবন্দি বলতে এখানে কেউ নেই। আমাদের কাছে যারা বন্দি আছেন তারা বিএনপির কর্মী।
শনিবার (৯ মার্চ) পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে পুলিশ স্টাফ কলেজের কনভেনশন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রাজবন্দি বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা পুলিশ-আনসার পিটিয়ে হত্যা করেছে, মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। যেটা পুলিশ করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালেও বিএনপি একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেছে। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। ২০০৮ সালে ৩০টি, ২০১৮ ছয়টি সিট পেয়েছে।
তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ইংল্যান্ডে বসে থেকে তিনি এদেশে তার দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। তিনি শুধু এ দেশের জনগণ নয় তার দলীয় নেতা-কর্মীদেরও তিনি ভালো চান না। দিন দিন এই দল জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যতদিন প্রধানমন্ত্রী বেঁচে থাকবেন ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
ভাঙ্গায় বাস উল্টে নিহত ৩, আহত ১০
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস উল্টে তিনজন নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
শুক্রবার ভোর রাতের দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার সদরদী বাবনা তলা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তিনি হলেন- পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার পানদুড়িয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম সুরুজ।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কলেজছাত্রের মৃত্যু
খবর পেয়ে ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যরা ও হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার আবু জাফর জানান, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী ইমরান ট্রাভেলস নামের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপর উল্টে যায়। বাসটি সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীরা আটকা পড়ে ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত হয়।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ যাত্রী। আহতদেরকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু সাঈদ বলেন, বাসটি রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে দুইজন নিহত ও ১০ জন যাত্রী আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, নিহত একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। অপর দুইজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
গাইবান্ধায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২