ঢাকা
বেঞ্চে বসা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫
গাজীপুরের শ্রীপুরে গাড়ারণ খলিলিয়া বহুমুখী ফাজিল মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে ওই মাদ্রাসার পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের ওই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম সিয়াম, আর আহতরা হলো— রিফাত, নাদিম, মুহিন, রিফাত ও রাশিদুল।
আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, মাদ্রাসায় চুড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা চলছে। গতকাল (বুধবার) পরীক্ষার হলে বেঞ্চে বসা নিয়ে সিয়ামের সঙ্গে মুহিনের ঝগড়া হয়। পরে মাদ্রাসার শিক্ষকরা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এ নিয়ে ক্ষোভের জেরে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মাদ্রাসা চত্বরে আসে সিয়াম। সে সময় বাকিরা পরীক্ষা দিয়ে বের হচ্ছিল। হঠাৎ সিয়াম ছুরি নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে রিফাত, নাদিম, মুহিন, রিফাত ও রাশিদুলকে জখম করে। পরে আহত অবস্থায় তাদের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাদিম, মুহিন ও রিফাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাসরিন জামান বলেন, পাঁচজন শিক্ষার্থীকে ছুরিকাহত অবস্থায় আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক জানান, মাদ্রাসার বেঞ্চে বসাকে কেন্দ্র করে জখম হওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছে। এ ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩১ দিন আগে
ভুমিকম্প: হুড়োহুড়িতে গাজীপুরে শতাধিক পোশাককর্মী আহত
ভূমিকম্পের সময়ে গাজীপুরের টঙ্গী, গাজীপুর সদর ও শ্রীপুরে কয়েকটি পোশাক কারখানা থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক পোশাককর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারখানাটি ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষরা।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার পর ভূমিকম্প শুরু হলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ভুমিকম্পের সময় উঁচু ভবনগুলো দুলতে শুরু করলে ঘরবাড়ি, অফিস, শিল্পকারখানা, দোকানপাট থেকে মানুষ দ্রুত খোলা জায়গায় ছুটে আসে। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ভূমিকম্পে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার টঙ্গী, জয়দেবপুর ও জেলার কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়াজুড়ে হঠাৎ মোবাইল নেটওয়ার্কে চাপ বৃদ্ধি পায়। কলড্রপ ও নেটওয়ার্ক অস্থিরতার পাশাপাশি কোনাবাড়ী, বোর্ডবাজার, চান্দনা চৌরাস্তা, কড্ডা ও সালনাসহ বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানায়ও আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনায় বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়নি। অনেক প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু সময়ের জন্য কার্যক্রম স্থগিত রাখে।
অনেক কারখানায় ভুমিকম্প অনুভূত হতেই শ্রমিকরা আতঙ্কে নিচে নেমে আসেন। এ সময় সাইরেন বাজিয়ে শ্রমিকদের নিরাপদ জায়গায় দাঁড় করানো হয়।
ভূমিকম্পের পর টঙ্গী সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে অন্তত শ’খানেক পোশাককর্মী আহত হয়ে ভর্তি হন ও চিকিৎসা নেন।
এদিকে, টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় একটি ছয় তলা ভবন এলাকাবাসী হেলে পড়ার দাবি করলেও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি।
৩৮ দিন আগে
ভূমিকম্প: নরসিংদীতে দেয়ালচাপায় ছেলে নিহত, আইসিইউতে বাবা
ভূমিকম্পের নরসিংদীর গাবতলী এলাকায় একটি ভবনের দেয়াল চাপা পড়ে ওমর (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা উজ্জ্বল গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে সাড়ে দশটার পর ভূমিকম্প অনুভূত হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে দুপুরে ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন, আর তার বাবাকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) পাঠানো হয়েছে।
নিহত শিশুর চাচা জাকির জানান, ভূমিকম্পের সময় তারা বাবা-ছেলে বাসায় ছিলেন। ওই সময় বাসার দেয়াল চাপা পড়ে বাবা এবং ছেলে গুরুতর আহত হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢামেকে গেলে চিকিৎক শিশু ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার বাবাকে ঢামেকের আইসিইউকে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহত শিশু ওমর একটি মাদ্রাসায় হেফজখানায় লেখাপড়া করত এবং তার বাবা জাতীয় গৃহায়নে অফিস সহকারী হিসেবে চাকরি করেন। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানা এলাকায়। বর্তমানে নরসিংদী সদরের গাবতলী এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন তিনি।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক বলেন, ভূমিকম্পে নিহত শিশুর মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
৩৮ দিন আগে
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে ভাঙচুর
কিশোরগঞ্জের হাওর বেষ্টিত মিঠামইনে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পৈতৃক বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডাদেশে সন্তুষ্টি জানিয়ে মিঠামইন উপজেলা বিএনপি আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলে প্রায় ৬০-৭০ জন নেতা-কর্মী অংশ নেন।
মিছিলটি মিঠামইন বাজার থেকে কামালপুর গ্রামের দিকে অগ্রসর হলে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আলমগীর শিকদারের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন কর্মী হঠাৎ সাবেক রাষ্ট্রপতির পৈতৃক বাড়িতে হঠাৎ হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের দরজা, জানালা, আসবাবসহ বিভিন্ন মালপত্র ভাঙচুর করে।
এই ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। একই সময়ে উপজেলা যুবলীগ নেতা কায়সার আহমেদ পাভেলের বাড়িতে ঢিল ছোড়া হয়, তবে সেখানে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ওসি আলমগীর কবির বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
৪১ দিন আগে
নরসিংদীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২ ভাইকে কুপিয়ে ‘হত্যা’
নরসিংদীর রায়পুরায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিহতদের চাচা ও চাচাতো ভাই-বোনদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চরসুবুদ্ধি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ফুরা মিয়া (৪০) ও তার ছোট ভাই শাকিল (৩০)। তারা চরসুবুদ্ধি গ্রামের আবু তাহেরের পুত্র বলে জানা গেছে।
নিহতদের পরিবার জানায়, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শনিবার সকাল থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছিল। পরে দুপুরে আউয়াল, তার পুত্র শিপন, রিপন, মেয়ে শাহানা, আজিনা, আছমা ও সুমাইয়াসহ ১০-১২ জন দা ও লাঠি নিয়ে ফুরা মিয়াদের বাড়ির টিনের বেড়া ভাঙতে আসে।
এ সময় ফুরা মিয়া, তার ভাই শাকিল ও পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে আউয়াল, রিপন, শিপনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফুরা মিয়া ও শাকিলসহ চারজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ফুরা মিয়া ও শাকিলকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের স্ত্রীদেরও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফরিদা গুলশান আরা জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক জখম হয়ে দুই ভাই নিহত হয়েছেন। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
৫৭ দিন আগে
শ্রমিকদের বিক্ষোভ: আশুলিয়ার ছয়টি পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা
শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে সাভারের আশুলিয়ার ছয়টি তৈরি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে এসব কারখানায় আজকের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
শ্রমিকরা জানান, শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে গেল বৃহস্পতিবার জামগড়ার আইডিএস গ্রুপের ফ্যাশান ফোরাম গার্মেন্টস অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। পরে আজ সকালে ওই কারখানার শ্রমিকরা বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কারখানার সামনে অবরোধ করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সেখানে উচ্চ ফ্যাশন, এফ এন এফ, টেরড ফ্যাশন ও প্রিটি গ্রুপে ইট-পাটকেল ছুড়লে আজকের মতো পাঁচটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।
এ ছাড়া শাহরিয়ার গার্মেন্ট কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে শ্রমিকরা সড়কে বিক্ষোভ করলে ওই কারখানাটিও আজকের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হান্নান।
৭০ দিন আগে
ফরিদপুরে বাস উল্টে শিশুসহ নিহত দুই, আহত ১৫
ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলায় একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার পূর্বসদরদী নামক স্থানে অপর একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত শামসুন্নাহার (৪০) নামে এক নারী বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার নজরুল ইসলামের স্ত্রী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় জাবি ছাত্রী নিহত
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকিবুজ্জামান জানান, ঢাকা থেকে বরিশালগামী ইউরো লাইন নামের একটি পরিবহন বাস ও শ্যামলী পরিবহন একে অপরকে ওভারটেক করার সময় শ্যামলী পরিবহনের ধাক্কায় ইউরো লাইন বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পানি ভর্তি খাদে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শামসুন্নাহার নিহত হন।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় জনতা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও হাইওয়ে পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিহতদের লাশ এবং আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে শ্যামলী পরিবহনের বাসটিকেও আটক করা হয়েছে।
৭৫ দিন আগে
মানিকগঞ্জে এক দিনে ৫ মরদেহ উদ্ধার
মানিকগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে এক দিনে নারীসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানিকগঞ্জ সদর, ঘিওর, সিংগাইর ও সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
সদর থানা পুলিশ জানায়, দুপুরে মানিকগঞ্জ শহরের পশ্চিম দাশড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে দরজা ভেঙে আবু হানিফ (২৮) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার জয়রা এলাকার মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের মানসিক ভারসাম্যহীন এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত আবু হানিফ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আবুল বসরের ছেলে। তিনি বিদেশে লোক পাঠানোর কাজ করতেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, নিহতের সাবেক স্ত্রী জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশ ও বাড়ির মালিকসহ আশপাশের মানুষের সহযোগিতায় ঘরের দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি আমিনুল ইসলাম।
এদিকে ঘিওর থানা পুলিশ জানায়, আজ সকালে উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের দেওভোগ এলাকা সোনা মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোনা মিয়া ঘিওরের সিংজুরী ইউনিয়নের বেড়াভাঙ্গা এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কোহিনুর ইসলাম জানান, সোনা মিয়া তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান এবং রোববার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর সকালে ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিহত সোনা মিয়ার স্ত্রী জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকায় নিহত হন বলে জানান ওসি কোহিনুর ইসলাম।
অপরদিকে, আজ সকালে সিংগাইর উপজেলায় বিষপানে রোজিনা (৩২) নামের এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত রোজিনা আক্তার সিংগাইর উপজেলার জয়মণ্ডপ ইউনিয়নের দেউলি এলাকার আয়নাল মিয়ার স্ত্রী।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম জানান, রোববার দিবাগত রাতে দেউলি এলাকার রোজিনা আক্তার বিষপান করেন এবং গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রাতেই তাকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোররাতে তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এ ছাড়া, সাটুরিয়া উপজেলায় একটি কারখানায় কাজ করার সময় ড্রামের চাপায় রাসেল মাহমুদ (৩৫) এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
নিহত রাসেল মাহমুদ জামালপুর সদর উপজেলার রুহুল্লী এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। তিনি ইনসেপ্টা ফার্মিসিউক্যালসের কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সাটুরিয়া থানার ওসি শাহিনুল ইসলাম জানান, রোবাবর ইনসেপ্টা ফার্মিসিউক্যালসের কারখানায় কাজ করার সময় শ্রমিক রাসেল মাহমুদের ওপর ছাদ থেকে একটি প্লাস্টিকের ড্রাম পড়ে এবং তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে রোববার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও ওসি জানান।
৭৬ দিন আগে
নরসিংদীতে অবৈধ ব্যাটারি কারখানায় বিস্ফোরণ, ৭ শ্রমিক দগ্ধ
নরসিংদীতে সীসা তৈরির একটি কারখানায় বিস্ফোরণে ৭ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচদোনা এলাকায় অবস্থিত কারখানাটিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গুরুতর আহত শ্রমিকরা হলেন— দক্ষিণ শীলমান্দি এলাকার কাদির মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হোসেন (১৯), সাদ্দাম মিয়ার ছেলে হোসেন আলী (২৪) এবং সাদ্দাম হোসেনের ছেলে তাইজুল ইসলাম (২৫)। এ ছাড়াও আরও চার শ্রমিক আহত হয়েছেন যাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই পাঁচদোনা এলাকায় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে ব্যাটারি কারখানা পরিচালনা করে আসছে একটি চীনা প্রতিষ্ঠান। কারখানাটিতে পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা সংগ্রহ ও তৈরি করা হয়ে থাকে।
রবিবার সকালে কাজ করার সময় কারখানাটিতে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ৭ জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাকি তিনজনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকার জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ফরিদা গুলশানারা কবির জানান, সকালে পাঁচদোনা থেকে ৭ জন অগ্নিদগ্ধ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। এর মধ্যে দুইজনের শরীরের ৬০ ভাগ এবং ১ জনের ৫০ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। বাকী চারজনকে সাধারণ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, আগুনের খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
৭৭ দিন আগে
জিরানী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১৭ দোকান ভস্মীভূত
আশুলিয়ার জিরানী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুনে টিনের দোকান, লাইব্রেরি, কাপড়ের দোকান, জুতার দোকান ও মুদি দোকানসহ অন্তত ১৭টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এবং দোকানে থাকা সমস্ত মালামাল ভস্মীভূত হয়েছে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকানমালিকরা।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আশুলিয়ার ও গাজীপুর মহানগরীর সীমান্তবর্তী জিরানী বাজারে আগুনের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে আগুন নির্বাপণ করতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লেগে যায় বলে রোববার সকালে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী জানান।
তিনি জানান, আগুনের খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস থেকে প্রথমে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় পরে সারাবো ফায়ার সার্ভিস থেকে আরও দুটি ইউনিটসহ মোট ৫টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে এবং প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে মুদি দোকান, বইয়ের লাইব্রেরি, কাপড়ের দোকান, জুতার দোকান ও টিনের দোকান সহ অন্তত ১৭টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়েছে বলে জানান তিনি।
দোকানমালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করে বাড়ি চলে যান তারা। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে যান বাজারে। তারপর প্রথমে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
সামি লাইব্রেরির মালিক আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তার দোকানে অন্তত এক কোটি টাকার উপরে বইখাতাসহ স্টেশনারি মালামাল ছিল বলে দাবি করেন তিনি।
এছাড়া বাজারের বাইরে কেরু বেপারী মার্কেটের ইমরুলের কাপড়ের দোকান, লিজু মোল্লার কাপড়ের দোকান, মঞ্জুর কাপড়ের দোকান, আব্দুস সবুরের জুতার দোকান এবং আরিফের জুতার দোকানে আগুন লাগে। সেসব দোকানেরও সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
দোকানমালিকরা জানান, তারা বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দোকানে মালামাল তুলেছিলেন।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব কুমার চৌধুরী বলেন, ‘আগুনের খবর পেয়ে ডিইপিজেড থেকে তিনিটি এবং পরে সারাবো ফায়ার সার্ভিস থেকে আরও দুটি ইউনিট যোগ দেওয়ার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে সময় লাগে প্রায় আড়ায় ঘণ্টা। আগুনে প্রায় দুই কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না, তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে।’
৭৮ দিন আগে