ঢাকা
ফরিদপুরে ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে ২ ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়েছে গেছে বলে জানা যায়।
ঝড়ে শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলেও জানা গেছে। এতে চলতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এলাকা বিদ্যুতবিহীন হয়ে পড়েছে।
বুধবার দিবাগত গভীর রাত (১টার দিকে) উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় সড়কের উপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অন্ধকার হয়ে যায় দুটি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত
বানা ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন জানান, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া, টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়া গ্রামে ঝড় আঘাত হানে। ঝড়ে কাচাঁ-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মশুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গ্রামগুলোতে বিদ্যুত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।
পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বিদ্যুৎহীন ঝালকাঠি, গাছপালা-ফসলের ক্ষতি
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত (দিবাগত) একটার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক কাঁচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশ গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সেখানে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে, কয়েকটি খুঁটি ভেঙ্গে অনেকগুলো আঁকাবাঁকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: পটুয়াখালীতে ঘরবাড়ি ও আমনের ক্ষতি
মাদারীপুরে হাতবোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২
মাদারীপুরের কালকিনিতে হাতবোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত আরও দুইজন। আহতদেরকে উদ্ধার করে বরিশালের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত মো. মোদাচ্ছের শিকদার রবিশালের মুলাদি উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের মোছলেম শিকদারের ছেলে।
বুধবার(২৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সিডিখাঁন ইউনিয়নের নতুন চরদৌলা খান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, সকাল থেকে সিডিখান গ্রামের ইউনুছ সরদার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বসে হাতবোমা বানাচ্ছিলেন মোদাচ্ছের হাওলাদারসহ তিন থেকে চারজন। দুপুরের দিকে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে গুরুতর আহত হয় তিনজন। পরে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মোদাচ্ছেরের মৃত্যু হয়। আহত হারুন ঢালী ও দাদন ঢালী নামে আরও দুইজন গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে বরিশালের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, কোন কারণে তারা হাতবোমা তৈরি করছিলেন সে বিষয় এখনও জানা যায়নি। তবে ঘটনার পরে কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নরসিংদীতে নিজ ঘর থেকে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
নরসিংদীর পলাশে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরনগরদী এলাকায় নিজ ঘরের একটি খাটের উপর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত দেলোয়ারা বেগম মৃত মালেক দেওয়ানের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: পাবনায় ২ ট্রেনের সংঘর্ষ, ৭ ঘণ্টা পর চলাচল শুরু
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার তার শোবার ঘরের বিছানায় গলাকাটা লাশ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। পরে পুলিশে খবর দিলে পলাশ থানা পুলিশ এবং পিআইবি পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহতের সন্তানদের অভিযোগ, প্রতিবেশী হাবিল মিয়ার পরিবারের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে তাদের। এ নিয়ে আদালতে একাধিক মামলাও রয়েছে। তারাই এই ঘটনা ঘটনা ঘটাতে পারে।
পশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে নিজ ঘর থেকে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
ভারত থেকে ৪ চালানে ১০০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি
গাজীপুরে বালু-খোয়ার স্তপ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
গাজীপুরের খোয়া-বালুর স্তুপের ভেতর থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার(২৬ মার্চ) সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, নগরীর ভোগড়া বাইপাস এলাকায় মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চলছে। এজন্য প্রতিদিনই খোয়া-বালু এনে ফ্লাইওভারের নিচে রাখা হয়। সোমবার রাতেও খোয়া বালু এনে রাখা হয়। মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা কাজ করতে শুরু করলে লাশ বেরিয়ে আসে। পরে শ্রমিকরা আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
বাসন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, খোয়া ও বালুর মধ্যে কে বা কারা লাশটি রেখে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তবে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। লাশটির ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পূবাইলে ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে মো. ফজল মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯
ফজল মিয়া ফরিদপুর জেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে এবং পূবাইলের করমতলা এলাকার মনোয়ার হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে ফজল মিয়া রেললাইন ধরে হাঁটার সময় ট্রেন চলে আসলে তিনি সরতে পারেননি। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রেলওয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: নওগাঁর নিতপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত
কক্সবাজারে ট্রাকচাপায় সেনা সদস্য নিহত
গাজীপুরে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত
গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় এক ভ্যানচালক নিহত ও এক পথচারী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রাকচাপায় সেনা সদস্য নিহত
স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঢাকাগামী প্রাইভেটকার ও বেকারি ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালক নিহত হন। আহত হন এক পথচারী।
জিএমপির সদর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাফিউল করিম বলেন, আহত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনায় জড়িত গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছে। নিহতের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: নওগাঁর নিতপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত
মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯
রূপগঞ্জে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ও গুলিবিদ্ধ ৮
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ার নাওড়া গ্রামে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আটজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাজীবাড়ির সামনে এ সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয়রা জানায়, সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
এ সময় গুলিবিদ্ধদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- আকবর (২৪), তাজেল (৩৬), জয়নাল (৩৫), শামীম (২৫), মুক্তার হোসেন (৬০), নুর হোসেন (২৪), আরিফ (৯) ও রোমান (২০)।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, প্রায় আটজনের মতো হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমরা আহতদের চিকিৎসা চলমান রেখেছি।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার সাহা জানান, আমরা ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এই ঘটনায় এখনও কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মঙ্গলবার ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে জাতি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মঙ্গলবার ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করবে বাংলাদেশ।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার পর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ নারীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ অর্জন করে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
এদিন সরকারি ছুটি হলেও দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। সকাল ১০টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী
পরে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা এবং সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধা জানাবে।
পরে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগণ শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং সরকারি, আধা-সরকারি ভবন ও উন্মুক্ত স্থানেও আলোকসজ্জা করা হবে।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি রেডিও স্টেশন ও টেলিভিশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে হাসপাতাল, কারাগার, বৃদ্ধাশ্রম ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, শিল্পকলা ও পোস্টার প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করবে।
দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশে সব শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনামূল্যে খোলা রাখা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সমর্থক, বিদেশি বন্ধুসহ সর্বস্তরের জনগণকে; যারা আমাদের অধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদান রেখেছেন।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, 'আমি আশা করি, বিগত বছরগুলোতে দেশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং আর্থ-সামাজিক সূচকে সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্যের উপর ভিত্তি করে আগামী দিনগুলোতে আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।’
‘দেশের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে জাতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথ সুগম হোক- মহান স্বাধীনতা দিবসে এটাই আমার প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, 'এই শুভক্ষণে আমি দেশে এবং বিদেশে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার সুদৃঢ় ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে বিশ্বাসী। সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দেশের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা সরকার পরিচালনা করছি। তাছাড়া আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারের বাস্তবায়ন অগ্রগতি আমরা নিয়মিত মনিটরিং করি। এসব কারণে আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা ও দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি বলেন, 'আসুন, মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলার শপথ নিই, যে স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেখেছিলেন।’
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি
২২ ঘণ্টা পর মুন্সিগঞ্জের সুপার বোর্ড কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার হোসেন্দির সিকিরগাঁওয়ে সুপার বোর্ড কারখানার আগুন অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস।
রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে সোমবার বেলা ১১টায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুন
এই আগুন নিয়ন্ত্রণে রোবটিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রও ব্যবহার করা হয়। পুরোপুরি নেভাতে এখনো চলছে কাজ।
১০ বছরের ব্যবধানে এমন ভয়াবহ আগুনের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এর কারণ অনুসন্ধানে সোমবার সকাল থেকে কাজ করছে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, আশপাশের ফ্যাক্টরিগুলোতে আগুন ছড়াতে পারেনি। এতে কোটি কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা হয়েছে, আর তাই আগুন অপেক্ষাকৃত কম সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। এর আগে এই ফ্যাক্টরির আগুন নেভাতে সময় লেগেছিল পাঁচ দিন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ক্ষতি ১৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো মাসুদুল আলম বলেন, আগুনের এই পুনরাবৃত্তির কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের পাঁচ সদস্যদের কমিটি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। কমিটি সাত কর্মদিবসে মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে আগুনে ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই
বনানী বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভা
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর গণহত্যা দালিলিকভাবে প্রমাণিত উল্লেখ করে দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
সোমবার (২৫ মার্চ) জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এ দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী তাদের দেশীয় দোসরদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ‘অপারেশন সার্র্চলাইট’ নামে যে গণহত্যা চালিয়েছিল তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সরাসরি লংঘন। এ নৃশংস গণহত্যার চিত্র দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচার হয়েছিল। এছাড়া নানা দালিলিক প্রমাণ দ্বারা এ গণহত্যা প্রমাণিত। কিন্তু স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দীর বেশি পার হয়ে গেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে একাত্তরের সেই ভয়াল গণহত্যার স্বীকৃতি মেলেনি। এটি আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের অবজ্ঞা বলে মনে করেন তারা।
‘১৯৭১ এর গণহত্যা ও বিশ্ব স্বীকৃতি’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
জাতীয় সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূইয়া, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদসহ ক্লাবের সিনিয়র নেতারা।
স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেমিনার, মিট দ্য প্রেস ও আন্তর্জাতিক লিয়াঁজো উপ-কমিটির আহ্বায়ক জুলহাস আলম।
প্রধান অতিথি শাহজাহান খান বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, ২৫ মার্চের গণহত্যার জাতীয় স্বীকৃতি পেতে ৪৭ বছর লেগেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে দীর্ঘদিন যেসব সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। তারা সুপরিকল্পিতভাবে ২৫ মার্চের কালরাতে সংঘটিত হওয়া গণহত্যার ইতিহাসও মুছে ফেলতে চেয়েছে।
তিনি বলেন, গণহত্যার জাতীয় স্বীকৃতি মিললেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি। সেজন্য দেশের সাংবাদিক সমাজকে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গণহত্যার ইতিহাসকে আরও বেশি করে তুলে ধরতে হবে।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ২৫ মার্চের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য তথ্য উপাত্তসহ নতুন প্রজন্মের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে যেসব বধ্যভূমি রয়েছে সেগুলোর তথ্য উপাত্তসহ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে উপস্থাপন করতে হবে।
প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রতি বছর এ ধরনের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যাকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় তার প্রতিটি মানদণ্ডে ২৫ মার্চের গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি রাখে। এ দাবির সঙ্গে সাংবাদিক সমাজ একাত্মতা প্রকাশ করছে।
সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, দেশের বধ্যভূমিগুলোর করুণ অবস্থা এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে এখনও কোনো জেনোসাইড মিউজিয়াম স্থাপন করা যায়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য জাতীয় পর্যায়ে আরও বেশি করে উদ্যোগ নিতে হবে।
আরও বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব সদস্য চপল বাশার, মাহফুজা জেসমিন প্রমুখ।
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মো. আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, সদস্য কাজী রওনাক হোসেন ও কল্যাণ সাহা।