চট্টগ্রাম
চাঁদপুরে লঞ্চ সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চাঁদপুরে হাইমচরের সীমান্তবর্তী এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ১০ জনসহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের কর্মচারী মিন্টু, সোহেল, মহিন হাওলাদার ও মনিরুজ্জামানকে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এরপর আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামের দুই লঞ্চের সংঘর্ষে এক নারীসহ ৪ যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও অনেকে।
এরপর গতকাল (শনিবার) রাত ১১টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর নদীবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) বাবুলাল বৈদ্য বাদী হয়ে হাইমচর থানায় মামলা করেন।
মামলায় নামীয় ৮ আসামি হলেন: মো. ফিরোজ খান (৫৩), মো. কামাল হোসেন (৫৫), মো. মনিরুল ইসলাম (৪৩), মো. সুলতান খান (৪৫), মো. মিন্টু (২৮), মো. সোহেল (৪০), মহিন হাওলাদার (২৫) ও মো. মনিরুজ্জামান (৪০)। এই আটজন এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের কর্মচারী।
হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হাসান বলেন, বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর নদীবন্দরের পক্ষে করা মামলাটি তদন্ত ও পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করবে নৌ-পুলিশ।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের গ্রেপ্তার ৪ আসামিকে ঝালকাঠি থেকে গতকাল (শনিবার) চাঁদপুর নৌ থানায় আনা হয়। আজ তাদের চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
২২ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
কুমিল্লায় দুটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়েতে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় কার্গো ট্রাকের চালক ও সহকারী মারা যান। নিহতদের বাড়ি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ ও চর জব্বারে।
চৌদ্দগ্রাম হাইওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি কাভার্ড ভ্যানকে পেছন থেকে আসা একটি কার্গো ট্রাক সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকের চালক মোহাম্মদ আজিজ (৩১) ও সহকারী শামীম (২৯) গুরুতর আহত হন। তাদের চৌদ্দগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপর দুর্ঘটনায়, জেলার বুড়িচং উপজেলায় আক্তার হোসেন নামে একজন নিহত হন। উপজেলার পাচোরা সিন্দুরিয়া এলাকায় মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় একটি ড্রাম ট্রাক তাকে চাপা দিলে তিনি দুর্ঘটনাস্থলে নিহত হন।
দুর্ঘটনা দুটির ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম ও ময়নামতি হাইওয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
২২ ঘণ্টা আগে
রাঙ্গামাটিতে নারীদের আয় বাড়ছে, স্বাবলম্বী হওয়ার পথে পাহাড়ি সমাজ
রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে রাঙ্গামাটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে আয়োজিত ৯ দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তা মেলা–২০২৫। এই আয়োজনের মাধ্যমে পাহাড়ি অঞ্চলের বহু নারী নিয়মিত আয়ের সুযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় রাঙ্গামাটি চেম্বার ভবনে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেলার সফল সমাপ্তি ঘটে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আলী বাবর ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন রাঙ্গামাটির ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নারী উদ্যোক্তা মেলার আহ্বায়ক ও চেম্বারের সহ-সভাপতি নেছার আহমেদ।
১ দিন আগে
কক্সবাজারে নোঙর করা সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে আগুন, নিহত ১
কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনগামী একটি জাহাজে আগুন লেগেছে। অগ্নিকাণ্ডে জাহাজের এক কর্মচারী নিহত হয়েছেন।
যাত্রী তোলার জন্য কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নোঙর করা দ্য আটলান্টিক ক্রজ নামের জাহাজে শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন লাগে।
নিহত নূর কামাল (২৫) টেকনাফের বাসিন্দা ও জাহাজটির স্টাফ ছিলেন। তিনি জাহাজে ঘুমন্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
বাঁকখালী নদীতে ‘দ্য আটলান্টিক ক্রুজ’ নামের জাহাজটিতে আগুন লাগে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোরশেদ বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে আমরা খবর পেয়ে এখানে আসি। তিনটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিলা তাসনিম বলেন, নোঙর করা অবস্থায় জাহাজটিতে আগুন লাগে। সেটি তখন সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তবে জাহাজে কোনো পর্যটক ছিল না।
সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ওই জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা থাকা ছিল প্রায় ১৮০ জন যাত্রীর। তারা বোর্ডিং শুরুর আগেই আগুনের সূত্রপাত হয়। যাত্রীদের নিরাপদে অন্যান্য জাহাজে স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, আগুনের সূত্রপাত জানতে কাজ চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
২ দিন আগে
চাঁদপুরে লঞ্চ দুর্ঘটনা তদন্তে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন
চাঁদপুরের হরিণা এলাকায় মেঘনা নদীতে দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে চার যাত্রী নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ বের করা এবং দায়ীদের শনাক্ত করতে এ কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ৮ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিদুল ইসলামকে।
কমিটির সদস্যরা হলেন— নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ এমরান হোসেন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি (পরিচালক পদমর্যাদার), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর একজন প্রতিনিধি (পরিচালক পদমর্যাদার), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের একজন প্রতিনিধি ও নৌপুলিশের একজন প্রতিনিধি। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এ টি এম মোর্শেদ।
তদন্ত কমিটিকে মেঘনা নদীতে সংঘটিত এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও এডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণ অনুসন্ধান এবং এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তি বা পক্ষগুলো চিহ্নিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চাঁদপুর জেলার হরিণা এলাকায় মেঘনা নদীতে এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও এডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনায় লঞ্চটির চারজন যাত্রী নিহত এবং পাঁচজন যাত্রী আহত হন।
২ দিন আগে
চট্টগ্রামে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ও নবগঠিত জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে শতাধিক লোক এ হামলা-ভাঙচুর চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে।
তবে ঘটনার সময় আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ পরিবারের লোকজন বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে দুজন গৃহপরিচারিকা ছিলেন।
আগুনে বাড়ির গ্যারেজে রক্ষিত ব্যারিস্টার আনিসুলের চাচা আকবর হায়দার চৌধুরীর ব্যাক্তিগত গাড়িটিও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম ব্যারিস্টার আনিসের বাড়িতে আগুন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শতাধিক লোক পৌনে ১২টার দিকে এসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। প্রায় ১৫ মিনিটের মতো তারা তাণ্ডব চালায়। তবে হামলাকারীরা জিনিসপত্র লুট করেনি বলে জানিয়েছেন গৃহপরিচারিকারা।
বাড়ির গৃহপরিচারিকা রোকেয়া বেগম বলেন, শতাধিক লোক এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বাড়িতে ভাঙচুর আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে তার ব্যাক্তিগত প্রাইভেট কারটি পুড়ে গেছে। আগুনে ব্যারিস্টার আনিসের বাড়িঘর জিনিসপত্র পুড়ে যাওয়া পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসেছে বলে উল্লেখ করে চাচা আকবর হায়দার চৌধুরী বলেন, তারা যখন এসেছে, ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে গেছে।
৯ দিন আগে
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগ, শিশুকন্যা নিহত, দ্বগ্ধ আরও ৩
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা বেলালের ঘরে বাইরে থেকে তালা মেরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার ৭ বছর বয়সী মেয়ে নিহত হয়। একই সঙ্গে বেলালসহ আহত হন তার আরও ২ মেয়ে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতারগোপ্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বেলাল একই ইউনিয়নের বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সুতারগোপ্তা বাজারের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী।
আগুনে পুড়ে নিহত হওয়া শিশুটির নাম আয়েশা আক্তার। আর দগ্ধরা হলেন— বেলাল হোসেন (৫০) ও তার দুই মেয়ে বীথি আক্তার (১৩) ও স্মৃতি আক্তার (১৮)।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, রাতে নিজের ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন বেলাল হোসেন। গভীর রাতে তার ঘরের দরজায় অজ্ঞাত কেউ তালা মেরে চারদিকে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহুর্তেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘরে থাকা তার ৩ মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে আয়েশা নিহত হয়।
স্থানীয়রা জানান, আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বেলাল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে বাকি ২ মেয়েকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। বড় মেয়ে স্মৃতির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তারা জানান।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা রঞ্জিত কুমার সাহা বলেন, গভীর রাতে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ পারভেজ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থলেই ১ শিশু নিহত হয়েছে এবং আরও ৩ জন দগ্ধ হয়েছেন। পরিকল্পিতভাবে ওই ঘরে কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
৯ দিন আগে
কুমিল্লায় থানা থেকে নারী আসামির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কুমিল্লায় সতীনের ছেলেকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আটক এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হোমনা থানা হেফাজতে থাকা ববিতা নামের ওই নারী আসামির মরদেহ থানার নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কের একটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে ওই কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ববিতার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত ববিতা হোমনা উপজেলার ঘনিয়ারচর গ্রামের খলিল মিয়ার স্ত্রী।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্শেদুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, বুধবার সকালে ববিতা তার সতীনের ১১ বছর বয়সী ছেলে সায়মনকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করেন। এ সময় শিশুটির নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সায়মনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পর স্থানীয়রা ববিতাকে আটক করে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আহত সায়মনের চাচা স্বপন মিয়া বাদী হয়ে রাতে হোমনা থানায় একটি মামলা করেন।
ওসি বলেন, ‘ববিতাকে রাতে থানার নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কে রাখা হয়েছিল। ওই কক্ষে তার সঙ্গে আরও একজন নারী আসামি ও একজন নারী গ্রাম পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। ভোরের দিকে স্টাফ রুমে যাওয়ার সুযোগে ববিতা আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, সকালে বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
১০ দিন আগে
কুমিল্লায় বাস ধর্মঘট, যাত্রীদের ভোগান্তি
দাবি আদায়ে নগরীর তিনটি বাস টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতি। এতে কুমিল্লা নগরীসহ জেলার প্রায় ৪০টি সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নগরীর জাঙ্গালিয়া, শাসনগাছা ও চকবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। ফলে কুমিল্লা-ঢাকা, কুমিল্লা-চট্টগ্রাম, কুমিল্লা-সিলেট, কুমিল্লা-চাঁদপুরসহ অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সড়কগুলোতে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কে আইদি পরিবহন চলাচল বন্ধের দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। পরিবহন নেতাদের দাবি, কুমিল্লা নগরীর তিনটি বাস টার্মিনাল ব্যবহার করে প্রতিদিন কয়েক হাজার বাস ও মিনিবাস চলাচল করে। তবে যথাযথ রুট পারমিট ছাড়াই টার্মিনাল ব্যবহার করতে চাইছে আইদি পরিবহন।
তবে আইদি পরিবহনের চেয়ারম্যান মীর পারভেজ আলমের অভিযোগ, ২০২৩ সালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অনুমতি নিয়েই কুমিল্লা-চাঁদপুর রুটে তাদের বাস চলাচল শুরু হয়। কিন্তু শুরু থেকেই কুমিল্লা বাস মালিক গ্রুপের একটি সিন্ডিকেট তাদের চলাচলে বাধা দিয়ে আসছে। এ কারণে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন বাসটিকে রুট পারমিট দেয়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বাধ্য হয়ে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল বাদ দিয়ে দুই কিলোমিটার দূরের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে বাস সার্ভিস চালু করা হয়। আইনি কোনো বাধা না থাকলেও এখনো কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়নি বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে, কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আইদি পরিবহন চাঁদপুর জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি পেলেও কুমিল্লা থেকে রুট পারমিট নেয়নি। এরপরও তারা কুমিল্লার বাস টার্মিনাল ব্যবহার করতে চাচ্ছে। এর আগে একাধিকবার তাদের বাধা দেওয়া হলেও বিজয় দিবসের দিন হঠাৎ করে কিছু বাস টার্মিনালে আনা হয়। বুধবারও সেখান থেকে বাস চলাচল করেছে। বৃহস্পতিবার আবার বাস আনার চেষ্টা করলে সকাল থেকে নগরীর তিনটি টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় কর্মস্থলগামী মানুষ, শিক্ষার্থী ও দূরপাল্লার যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেককে বিকল্প যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
১১ দিন আগে
ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির নতুন কমিটির কোষাধ্যক্ষ হলেন ইউএনবির রিপন
ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির ২০২৬ সালের কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সভাপতি ও দিদারুল আলম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
শাহাদাত হোসেন দৈনিক নয়া দিগন্তের ফেনী অফিস প্রধান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসের ফেনী প্রতিনিধি ও দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। অপরদিকে দিদারুল আলম এটিএন নিউজের ফেনী প্রতিনিধি।
নতুন কমিটিতে কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পেয়েছেন বার্তা সংস্থা ইউএনবি ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের ফেনী প্রতিনিধি মো. শফি উল্লাহ রিপন।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়। তবে সব পদে একক প্রার্থী থাকায় নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খাঁন ১৯ সদস্যবিশিষ্ট প্যানেলের প্রত্যেককে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশনের অপর দুই সদস্য হলেন মোহা. আলমগীর চৌধুরী ও তৌহিদুল ইসলাম তুহিন।
কমিটির নির্বাচিত অন্য সদস্যরা হলেন: সহ-সভাপতি মো. মাঈন উদ্দিন (দৈনিক স্টারলাইন), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তোফাফেল আহমদ নিলয় (দেশ টিভি) ও জসিম উদ্দিন ফরায়েজী (গাজী টিভি), দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (সাপ্তাহিক নীহারিকা), প্রচার সম্পাদক আজিজ আল ফয়সাল (দৈনিক স্টার লাইন ও দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ), ক্রীড়া সম্পাদক তানজিদ উদ্দিন শুভ (ফেনীর প্রত্যয়), সাহিত্য সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান (দৈনিক আমার সংবাদ), প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক হাবীব উল্যাহ মিয়াজী (দৈনিক ইত্তেফাক), সাংস্কৃতিক সম্পাদক আলাউদ্দিন (দৈনিক আমার কাগজ)।
এ ছাড়াও কমিটির নির্বাহী সদস্য হয়েছেন শুকদেব নাথ তপন (সাপ্তাহিক ফেনীর আলো), আরিফুল আমিন রিজভী (দৈনিক ফেনী), এনামুল হক পাটোয়ারী (দৈনিক নয়াপয়গাম), যতীন মজুমদার (দৈনিক যুগান্তর), আলী হায়দার মানিক (দৈনিক ফেনীর সময় ও নয়া শতাব্দী), মো. ওমর ফারুক (দৈনিক ইনকিলাব) ও নুর উল্যাহ কায়সার (দৈনিক বণিক বার্তা ও দৈনিক স্টার লাইন)।
ফেনী জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরে পদার্পণ করেছে। ২০১০ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে আসছে সংগঠনটি। বর্তমানে জেলায় পেশাদার সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন এটি।
১৩ দিন আগে