চট্টগ্রাম
নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং দলটির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে গণঅধিকার পরিষদ, কুমিল্লা জেলা শাখা।
শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লা কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এ সময় দলীয় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা নুরের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
অবরোধ চলাকালে বক্তারা বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমাতে সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আজ সারা দেশে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ, ঢাকায় সমাবেশ
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নুরুল হক নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের কোনো নেতাকর্মীর ওপর আবারো হামলা হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
এ সময় আন্দোলনকারীরা টায়ার জালিয়ে বিক্ষাভ করেন। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে এবং এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করে।
পুলিশের হস্তক্ষেপে আধঘণ্টা পর আন্দোলনকারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। তবে তুলে নেওয়ার আগে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা না করলে আবারও রাজপথ অচল করে দেওয়া হবে বলে জানান। এরপর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১২০ দিন আগে
কুমিল্লা কারাগারে হত্যা মামলার আসামির কন্যাসন্তান প্রসব
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের হত্যা মামলার এক আসামি সন্তান প্রসব করেছেন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে মা ও নবজাতক সুস্থ আছেন এবং কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কারাবন্দি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন। তিনি জানান, ওই নারী আসামি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাসিন্দা। গত ১১ আগস্ট তাকে হত্যা মামলায় আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।
জেল সুপার আরও বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে প্রসববেদনা শুরু হলে তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত দেন। তখন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও জরুরি পরিস্থিতিতে জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ অপারেশনের অনুমতি দেয়। বিকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
তিনি আরও জানান, মা ও নবজাতকের চিকিৎসাসেবা ও যত্ন নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং কারা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। শিশুর জন্য পোশাক থেকে শুরু করে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকেও তারা সুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
১২৩ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগে দুদকের অভিযান
বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৭ আগস্ট) কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালকের কার্যালয় এবং খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে এই অভিযান চালানো হয়। দুদকের হটলাইন নম্বর ১০৬-এ প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়।
রাঙামাটি অঞ্চলের দুদকের সহকারী পরিচালক আহমেদ ফরহাদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
দুদক সূত্রে জানা যায়, কৃষি বীজ বিতরণে অনিয়ম, কর্মশালার অর্থ আত্মসাৎ, কৃষি সরঞ্জাম বিতরণ প্রকল্পে অনিয়ম এবং ধান কাটার মেশিন বিতরণে জটিলতা সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তে অভিযান চালানো হয়।
অভিযান শেষে রাঙ্গামাটি অঞ্চলের দুদকের সহকারী পরিচালক আহমেদ ফরহাদ বলেন, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রতিবেদন দুদক কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য.খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক মোহাম্মদ বাছিরুল আলমের বিরুদ্ধে নিম্ন মানের বীজ ক্রয় সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে কিছুদিন আগে জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
১২৩ দিন আগে
পারকি সৈকতে নির্মাণাধীন পর্যটন কমপ্লেক্সের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে: উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন
চট্টগ্রামের আনোয়ারা পারকি সৈকতে নির্মাণাধীন পর্যটন কমপ্লেক্সের কাজ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র,পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারান পারকি সৈকতে চলমান ‘পারকিতে পর্যটন সুবিধাদি প্রবর্তন (২য় সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘পানি সমস্যাসহ নানা কারণে প্রকল্পের কাজে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। তবে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প পরিচালক নিশ্চিত করেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সব ধরনের অবকাঠামোগত কাজ শেষ হবে।’
এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম নাসরীন জাহান বলেন, ‘পারকি সমুদ্রসৈকতের পর্যটন কমপ্লেক্স একটি সম্ভাবনাময় প্রকল্প। স্থানীয়দের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হলেন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন
পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, প্রকল্প পরিচালক মাজেদুর রহমান, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পারকি সমুদ্রসৈকত আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ১৩ দশমিক ৩৬ একর জমিতে ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে এই পর্যটন কমপ্লেক্স নির্মাণ শুরু হয়। প্রকল্পের প্রথম মেয়াদ দুই বছর ধার্য করা হলেও ২০২০ সালের নভেম্বরেই মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে মাত্র ২০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করতে পারায় দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের সময়সীমা এবং বরাদ্দ বাড়িয়ে ৭১ দশমিক ২৫ কোটি টাকা করা হয়। এর পরও ধীরগতির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ পুনরায় মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছে।
১২৩ দিন আগে
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ ও দ্রুত সংস্কারের দাবিতে কুমিল্লার ময়নামতি থেকে কংশনগর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়কের মোট নয়টি পয়েন্টে এই বিক্ষোভ অবরোধ হয়। যার ফলে মহাসড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।
বিক্ষোভের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে জেলা প্রশাসন ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করনের জন্য প্রস্তাবিত হয়। এ ছাড়া সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ থাকলেও তা মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাতায়াতকারী ও সাধারণ মানুষ। তাই আমরা চাই খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হোক।
তারা আরও বলেন, সড়কটি সংকীর্ণ হওয়ার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণহানি এবং মানুষের অঙ্গহানির ঘটনাও ঘটছে। তাই সড়ক নিরাপদ করতে দ্রুত মেরামত করা দরকার। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হলে আবারও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
দেবপুর এলাকায় বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন ময়নামতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, যুবদল নেতা মোস্তফা কামাল, সমাজকর্মী আনোয়ারুল আজিম, হারুনুর রশিদ মেম্বারসহ আরও অনেকে।
এদিকে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা ও বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।
খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার বিষয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয় রয়েছে। তবে সড়কটি মেরামতের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে বলে আমরা আশা করছি।’
১২৪ দিন আগে
কক্সবাজারে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় ছয় বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় মো. সোলেমান নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মোহাম্মদ ওসমান গনি এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি মো. সোলেমান টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল এলাকার বাসিন্দা।রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে আদালত থেকে হাজতে নেওয়ার পথে সোলেমান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আরও পড়ুন: ডা. নিতাই হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
নিহত শিশুটি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা। সে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
মামলার বাদী ও মেয়েটির বাবা জানান, ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর দুপুরে স্কুল থেকে ফেরার পর বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তার মেয়ে। পরে পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের করিয়ারদিয়া বাঁধ এলাকা তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ৩ ডিসেম্বর মহেশখালী থানায় মামলা করেন তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন টিটু রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নৃশংস খুনিকে দণ্ডিত করার ফলে অপরাধীরা আর এ ধরনের অপরাধ করার সাহস পাবে না।
১২৪ দিন আগে
ফেনীতে নদীর করাল গ্রাসে বিদ্যালয় ভবন
ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার কাটাখালী নদীর ভাঙনে মাতুভূঞা ইউনিয়নের করিম উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিপাত ও নদীর তীব্র স্রোতে ধুয়ে গেছে ভবনের নিচের মাটি। এতে ভবনের উত্তর পাশের একটি অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে যেকোনো সময় ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে ভবনটি।
এমনকি ভাঙন অব্যাহত থাকায় যেকোনো সময় পুরো ভবনটি নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের উত্তর পাশের অংশ ভেঙে নদীর দিকে ঝুলছে এবং ভবনের পাশে লাগোয়া শহীদ মিনারের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।
শিক্ষক ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অতিবৃষ্টির কারণে নদীর তীব্র স্রোতে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। নদী ভাঙনের কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
জানা গেছে, বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা রহিম উল্যাহ চৌধুরীর দুই ছেলে তারেক মাহতাব রহিম ও জাবেদ সালাম রহিম তাদের ব্যক্তিগত অর্থায়নে ২০১৬ সালে পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট ভবনটি নির্মাণ করেন। ভবনটিতে সপ্তম শ্রেণির পাঠদান ছাড়াও নবম ও দশম শ্রেণির গ্রুপ বিষয়গুলোর পাঠদান, বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ও ছাত্রীদের জন্য নামাজ স্থান রয়েছে।
আরও পড়ুন: কাজ শেষ হওয়ার আগেই রংপুরে নদী তীর রক্ষা বাঁধে ধস
দশম শ্রেণির ছাত্র আদনান বিন আলম বলে, ওই ভবনে আমাদের দশম শ্রেণির গ্রুপ বিষয়গুলোর পাঠদান চলে। কখন পুরো ভবন নদীতে তলিয়ে যায়, তা নিয়ে আমরা আতঙ্কিত। বিদ্যালয়ের এই ভবনটি রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
১২৪ দিন আগে
চট্টগ্রামে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে পটিয়া উপজেলার আশাই ইউনিয়নের একটি বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সোলাইমান চৌধুরীর ছেলে মো. নাজিম (২৪) এবং আব্দুল আলীমের ছেলে মো. তারেক (২০)।
তারা উপজেলার আশাই ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং পেশায় রাজমিস্ত্রি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় চাচাতো ভাইয়ের কোপে বাবা-ছেলের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকাল ৯টার দিকে ইউনিয়নের দক্ষিণ আশিয়া এলাকার ডিলার আহমেদের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ পরিত্যক্ত অবস্থায় ট্যাংকটি পরিষ্কার করতে তারা দুজনে নেমেছিলেন।
দীর্ঘক্ষণ ট্যাংকের ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন এবং তারা লাশগুলো উদ্ধার করেন।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১২৪ দিন আগে
ভারতে অনুপ্রবেশ করা ৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা পাঁচ বাংলাদেশিকে ফেনী সীমান্তে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। কাজের সন্ধানে ভারতে যাওয়ার পর ওই দেশের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে ছিলেন তারা।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিজিবির নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে রাতে তাদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি।
সীমান্তে অপমানজনক পুশইনের ঘটনা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হওয়ায় এবার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকদের হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
হস্তান্তর করা বাংলাদেশিরা হলেন— ফেনীর পরশুরাম উপজেলার উত্তর গুথুমা গ্রামের খায়েজ আহাম্মদের ছেলে সাইদুজ্জামান ভূঞা (২৯), একই উপজেলার নিজকালিকাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. এমদাদ হোসেন (২৭), ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দূর্গাপুর সিংহ নগরের ফয়েজ আহাম্মদের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন (২৯), নওগা জেলার আবু জাফরের ছেলে মো. রাফি (২৫) ও চাঁদপুর জেলার কদরা গ্রামের হেদায়েত উল্লাহর ছেলে আবুল বাশার (৫৫)।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর সীমান্তে ৩৯ নারী পুরুষকে হস্তান্তর বিএসএফের
পুলিশ ও বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, ওই পাঁচজনের মধ্যে সাইদুজ্জামান, এমদাদ, গিয়াস ও রাফিকে ১২ এপ্রিল ভারতের মনুমুখ এলাকা থেকে আটক করে দেশটির পুলিশ। ভারতের অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে আটকের পর তারা ৩ মাস যাবৎ সেখানে কারাগারে ছিলেন। মুক্তির পর ১৬ আগস্ট পর্যন্ত তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়, পরে বিএসএফের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
অন্যদিকে, আবুল বাশারকে ৯ জুন ভারতের উদয়পুর থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ১ মাস যাবৎ ভারতীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।
ফেনী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, বিজিবির মাধ্যমে ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আমরা তাদের নাম ঠিকানা যাচাই করে দেখছি। তাদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।
এর আগে, ফেনীর বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে আইনবহির্ভূতভাবে ৪ দফায় ৬৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করে বিএসএফ।
১২৫ দিন আগে
ফরিদগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রাইভেট হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকের অবহেলায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে উপজেলার কেরোয়া এলাকায় অবস্থিত ফরিদগঞ্জ ডায়াবেটিক ও জেনারেল (প্রাইভেট) হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত (বৃহস্পতিবার) রাতে ফরিদগঞ্জের কেরোয়া গ্রামের ইসহাক মিয়ার স্ত্রী কোহিনুর বেগম (৬৫) অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার সকালে তিনি মারা যান। স্বজনদের দাবি, চিকিৎসকের অবহেলার কারণেই কোহিনুর বেগমের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে হাসপাতালের কিছু কর্মচারী স্বজনদের সঙ্গে স্বজনদের গায়ে হাত তোলে বলে অভিযোগ ওঠে। এতে উত্তেজিত স্বজনরা ও স্থানীয় কিছু লোক মিলে হাসপাতাল ভাঙচুর করেন।
খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ, সাবেক পৌর মেয়র মঞ্জিল হোসেন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার সময় হাসপাতালের ভেতরে প্রায় দুই শতাধিক রোগী ও স্বজন আটকা পড়েন এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: বরিশালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
মৃত রোগীর বাবা বিল্লাল হোসেনও আক্রমনকারীদেরকে নিবৃত্ত করতে ব্যর্থ হন বলে জানান।
মৃত কোহিনুর বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলেন, ‘রোগীকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাতে অনুমতি দেয়নি। একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও হাসপাতালের অন্যতম পরিচালক ও সিনিয়র চিকিৎসক ডা. সাদিক হাসপাতালে আসেননি। চিকিৎসকের এসব অবহেলায় আমাদের রোগী মারা গেছেন।’
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. হুমায়ুন কবীর ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি কয়েকবার রোগীকে দেখেছি। আমাদের কোনো অবহেলা ছিল না। উপজেলা পর্যায়ে যতটুকু সম্ভব আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। শুক্রবার সকালে এই রোগীকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছিল কিন্তু তিনি সকালেই মারা যান।’
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব চক্রবর্তী ইউএনবিকে বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আমাদের পুলিশ সদস্যরা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাহায্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।’
১২৮ দিন আগে