বরিশাল
বরিশালে শিক্ষকের লাশ উদ্ধার, ‘মৃত্যু’ নিয়ে সন্দিহান পরিবার
বরিশাল নগরীর ভাড়া বাসা থেকে মো. মহিউদ্দিন নামে এক স্কুলশিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই শিক্ষককে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তার স্বজনরা। মৃত্যুর আগে মহিউদ্দিন হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন বলেও জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাতে নগরের করিম কুটির মসজিদ গলির একটি ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
মৃত মহিউদ্দিন নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তিনি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হরিদ্রাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মাঝির ছেলে।
নগরের আলেকান্দা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা জানান, করিম কুটির মসজিদ গলির স্মরণিকা ভিলার নিচতলায় ভাড়া বাসায় একা বসবাস করতেন মহিউদ্দিন। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে তাকে বিছানার ওপর শুয়ে থাকতে দেখেন আশপাশের লোকজন। রাত পর্যন্ত একই অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখে ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানান তারা।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখানে খাটের ওপর মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় মহিউদ্দিনকে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি মিজানুর রহমান জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ বলা যাবে। তাছাড়া স্বজনরা অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ী তদন্তের ব্যবস্থাও করা হবে।
ওই শিক্ষকের বড় ভাই, পিরোজপুর জিলা স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিমউদ্দিন বলেন, ‘আমার ভাইয়ের হঠাৎ মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছে না। তাকে হত্যা করা হয়ে থাকলে আল্লাহ যেন হত্যাকারীর বিচার করেন। মহিউদ্দিনের মৃত্যুর খবর আমরা সবাই পেয়েছি, ওর স্কুলের সবাইকে জানিয়েছি কিন্তু তারা কেউ এলো না।’
মৃতের ছোট ভাই বরিশাল বিএম স্কুলের শিক্ষক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দুর্নীতিসহ নানা অনিয়ম নিয়ে ভাইয়ের বিবাদ ছিল। কিছুদিন আগে স্কুলের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন, সাংবাদিকদেরও জানিয়েছেন তিনি।’
তিনি আরও জানান, মহিউদ্দিনকে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল, এমনকি তাকে থামানোর জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কয়েক মাস আগে মহিউদ্দিনকে বহিরাগতদের দিয়ে মারধর করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
আলাউদ্দিন বলেন, ‘এসব ঘটনা পরিবারের কাউকে বলতে চাইতেন না ভাই, নিজেই সমাধান করতে চাইতেন। সম্প্রতি স্কুলের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে কোনো সুরাহা না পেয়ে চাকরি থেকেও পদত্যাগ করেন। আমাদের ধারণা, ওর আকস্মিক মৃত্যুর সঙ্গে হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করার বিষয়টির সম্পর্ক আছে।’
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
তিনি জানান, তার ভাইয়ের মৃত্যু অস্বাভাবিক বলেই তাদের মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় পরিবারের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে সামনের দিকে এগোবেন। আপাতত লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হবে।
এদিকে, মৃতের স্ত্রী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার রিপা আক্তার জানান, তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। যাকে নিয়ে তিনি নগরের আলেকান্দা বুক ভিলা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। তবে সম্প্রতি তার স্বামী করিম কুটির এলাকার ওই বাসা ভাড়া নেন এবং সেখানে থাকাও শুরু করেন। তবে তাদের মধ্যে কোনো পারিবারিক কলহ ছিল না।
অন্যদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কুলের এক শিক্ষক জানান, সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুজ্জামানের নিয়মবহির্ভূত কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেন শিক্ষক মহিউদ্দিন। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে অনেকেই জোটবদ্ধ হন এবং নানাভাবে হয়রানি করতে শুরু করেন। এ নিয়ে তিনি বেশ চিন্তিত থাকতেন। পাশাপাশি তিনি শারীরিকভাবেও বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।
১৬৪ দিন আগে
এক সপ্তাহ পর ভোলা থেকে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল শুরু
লঘচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বিরাজমান থাকায় ভোলা থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে টানা ৭ দিন পর সমুদ্রবন্দর থেকে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত তুলে নেওয়ায় আজ থেকে ফের নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে জেলার ১০টি নৌ-রুটে লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল শুরু হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে ভোলার ইলিশা লক্ষ্মীপুর, দৌলতখান আলেকজান্ডার, তজুমুদ্দীন-মনপুরাসহ ১০টি রুটে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ও সি-ট্রাক গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
টানা কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর এসব রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র ভোলা নদীবন্দর ট্রাফিক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে সমুদ্র বন্দর থেকে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত তুলে নিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ কারণে ভোলার বন্ধ থাকা ১০টি রুটে লঞ্চ ও সি-ট্রাক চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ভোলা-বরিশাল সেতুর দ্রুত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দাবি
এদিকে, শুক্রবার সকালেও উপকূলীয় এই জেলার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে; কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিপাতও হয়েছে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ইউএনবিকে জানিয়েছেন, গত ৮ দিনে ভোলায় ৪২৬.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় (আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত) ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রের্কড করা হয়।
১৭১ দিন আগে
বরিশাল বোর্ডে পাসের হারে এগিয়ে পিরোজপুর
এবার এসএসসিতে বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৫৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ, যার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ১১৪ শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২ টার দিকে ফলাফলের পরিসংখ্যান ঘোষণা করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকী।
এ বছরের পরীক্ষায় শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন বিভাগের ছয় জেলার মোট এক হাজার ৪৯১টি বিদ্যালয় থেকে ৮৪ হাজার ৭০২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে ছাত্র ৩৯ হাজার ৫৪৮ জন এবং ছাত্রী ৪৫ হাজার ১৫৪ জন। আর মোট ১৯৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছিল। এর মধ্যে পাস করেছে ৪৬ হাজার ৭৫৮ জন।
বিভাগে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে পিরোজপুর জেলা। প্রতিবারের মতো এবারও এ শিক্ষা বোর্ডে ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পাস ও জিপিএর হারে এগিয়ে। গত বছর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। গত বছরের চেয়ে এবার পাশের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমেছে ।
১৭২ দিন আগে
বরিশালে বেপড়োয়া গতির ট্রাক উল্টে নিহত ২, আহত ২১
বরিশালে বেপড়োয়া একটি ট্রাক উল্টে পুকুরে পড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১ জন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. বিপুল হোসেন জানান, আজ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বেঁদে সম্প্রদায়ের লোকজন নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে যাচ্ছিল একটি ট্রাক। দ্রুতগতির ওই ট্রাকটি দুর্ঘটনাস্থল অতিক্রমকালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের পুকুরে উল্টে পড়ে।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২৩ জনকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরে তাদের উজিরপুর উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
১৮৬ দিন আগে
বরগুনায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ২, নিখোঁজ ৪
বরগুনার পাথরঘাটায় সাগর থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে দুটি ট্রলিং ট্রলার আটক, চাঁদা দাবি, আহরিত মাছ ছিনতাইসহ মৎসজীবীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে কোস্টগার্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুই মৎসজীবী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ ছাড়াও ট্রলার থেকে খালে পড়ে ৪ জন নিখোঁজ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন পাথরঘাটার মৎসজীবীরা।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর ভাড়ানি খালে কোস্টগার্ডের বোর্ট কূলে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে, গতকাল (মঙ্গলবার) সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় আলম কোম্পানি ও মাসুম কোম্পানির দুটি মডিফাইড ট্রলিং ট্রলার আটক করে কোস্টগার্ড।
আটক হওয়া একটি ট্রলারের মালিক ও বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুম আকন জানান, ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে মাছ ধরার জন্য যান উপকূলের হাজার হাজার মৎসজীবীরা।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আমার একটি ট্রলার ঘাটের দিকে আসে। এ সময় কোস্টগার্ড ট্রলারটি আটক করে। এর পরপরই আলম কোম্পানি আরেকটি ট্রলার আটক করে কোস্টগার্ড।’
মাসুম আকন অভিযোগ করেন, ‘ট্রলার আটক করার পর আমাদের উপস্থিতিতে কোস্টগার্ড সদস্যরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তখন আমরা বৈধ কাগজপত্র দেখালেও তা গ্রহণ না করে ট্রলার ধ্বংসের চেষ্টা করেন তারা। এ সময় পাথরঘাটা মৎস্য কর্মকর্তা আমাদের বৈধ কাগজপত্র ও হাইকোর্টের আদেশ দেখে ট্রলার ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে চলে যান।’
তবে কোস্টগার্ড সদস্যরা বিষয়টি না মেনে মঙ্গলবার রাতে ট্রলার ধংস করা শুরু করেন বলে জানান তিনি।
মাসুম আরও বলেন, ‘ট্রলার ধংস করা শুরু করলে মৎসজীবীরা আপত্তি জানান। তখন দুজন মৎসজীবীকে মারধর করা হয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষ শুরু হয়।’
এ ঘটনায় ২ জেলে আহত হয়েছেন এবং আরও ৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান তিনি।
মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরও জানান, ঈদের ছুটির আগেও কোস্টগার্ড কর্মকর্তাকে এক লাখ টাকা দিয়েছেন তিনি। ঈদের ছুটির পর বাড়ি থেকে এসে আবারও তাদের স্টেশনে ডেকে নিয়ে ট্রলিং ট্রলারের তালিকা চাওয়া হয়। সেই তালিকা থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা। এর আগেও কয়েক দফা টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানা গেছে, উত্তেজনার একপর্যায়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা মৎসজীবীদের লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি ছোড়েন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় মৎসজীবীরাও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ ছাড়াও আটক ট্রলারে থাকা মৎসজীবীদের মারধরের অভিযোগও উঠেছে কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: সাম্য হত্যা: ঢাবির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা
এদিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, তারা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
১৯৪ দিন আগে
পটুয়াখালীতে আগুনে পুড়ে ছাই ৫ দোকান, ক্ষতি প্রায় ৩৫ লাখ টাকা
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
রবিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের পুরান বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের ভাষ্যে, আগুন মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে দোকানগুলো পুরোপুরি ছাই হয়ে যায়। আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত পাঁচজন আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা হলেন— সুভাষ ধুপি (৭৫) লন্ডি ও সেলুন দোকান, রফিকুল ইসলাম মোল্লা (৫৫) বসতঘরসহ মুদির দোকান, ইব্রাহিম সরদার (৬০) মুদিমাল ও চায়ের দোকান, জাকির সরদার (৬০) চায়ের দোকান। তাদের দোকানঘর, মালামাল, আসবাবপত্র—সবকিছুই পুড়ে গেছে।
স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে ছাই বরগুনায় দুই বসতবাড়ি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে হঠাৎ আগুনের শিখা দেখে স্থানীয়রা ছুটে এসে পানি ও বালতির সাহায্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বাজারটিযা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে নদী-বেষ্টিত একটি বিচ্ছিন্ন চরে অবস্থিত। এই এলাকায় কোনো ফায়ার সার্ভিস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বড় ধরনের বাধার সম্মুখীন হন স্থানীয়রা।
তবে অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত না হলেও প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মো. রফিক মোল্লা বলেন, ‘রাতের আঁধারে সব কিছু শেষ হয়ে গেল। দোকানের পুঁজি, মালামাল— সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন আমাদের পথে বসা ছাড়া উপায় নেই।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান মোল্লা।
তিনি বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের প্রশাসনিক সহায়তা জরুরি প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান জানান, ক্ষতিগ্রস্তরা লিখিতভাবে আবেদন করলে সরকারিভাবে তাদের সহায়তা দেওয়া হবে।
১৯৬ দিন আগে
শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক সেনাসদস্য নিহত, বাসে আগুন
শেরপুর সদর উপজেলায় বাসচাপায় মোটরসাইকেলচালক মজনু মিয়া (৫০) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রবিবার (১৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেরপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভাতশালা ইউনিয়নের বাঁশতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পরপরই সাম্মি ডিলাক্স নামের বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে ছয় যানবহনের সংঘর্ষ, নিহত ২
দুর্ঘটনার পর থেকে শেরপুর-ঢাকা মহাসড়ক চলাচল বন্ধ রয়েছে বলেও জানান তারা।
শেরপুর সদর থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
১৯৭ দিন আগে
শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে ছাই বরগুনায় দুই বসতবাড়ি
বরগুনা সদর উপজেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সৃষ্ট ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুটি বসতবাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় সাত লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তারা।
শনিবার (১৪ জুন) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরীচন্না ইউনিয়নের টিলাবাড়ী গ্রামের (৪ নম্বর ওয়ার্ড) মৃত সেন্টু মিয়ার বসতবাড়িতে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে পাশেই সেন্টু মিয়ার ভাতিজা মো. মোতালেব মিয়ার বাড়িতে।
বরগুনা সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। তবে এলাকাটির দুর্গম হওয়ার কারণে ফায়ার ট্রাক সরাসরি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। স্থানীয়দের সহায়তায় পুকুর থেকে পানি এনে রাত ৯টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’
তিনি বলেন, ‘আগুনে দুটি বসতবাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। মারা গেছে তিনটি গৃহপালিত ছাগল। ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৬-৭ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ঝুট গুদামে আগুন
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য মোতালেব মিয়া (৪৫) বলেন, ‘হঠাৎ করে বিদ্যুতের তার থেকে আগুন বের হয়ে পুরো ঘরটাকে ঘিরে ফেলে। কিছুই বাঁচাতে পারিনি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কাশেম বলেন, এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সময়মতো পৌঁছাতে পারেনি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জেনেছি।
স্থানীয়দের দাবি, এমন ঘটনা যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
১৯৭ দিন আগে
ভোলায় বরের আনা শাড়ি অপছন্দ হওয়ায় কনে পক্ষের হামলা, আহত ১৫
ভোলার সদর উপজেলায় বিয়ের কনের জন্য আনা শাড়ি ও প্রসাধনী পছন্দ না হওয়ায় বর ও কনে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বর মো. সজিবসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। গুরুতর আহত ছয়জনকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের শেরে বাংলা এলাকায় কনের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের সময় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের জেরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ভেস্তে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরকালি গ্রামের আবুর ছেলে সজিব এক বছর আগে বিয়ে করেন পাশের ইউনিয়নের শাহাবুদ্দিনের মেয়ে রিপাকে। সজিব নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। নতুন বউ ঘরে তোলার উদ্দেশ্যে শুক্রবার দুপুরে শাড়ি ও অন্যান্য উপহারসামগ্রী নিয়ে তিনি কনের বাড়িতে যান।
তবে বরপক্ষের আনা কাপড় ও প্রসাধনী কনে পক্ষের অপছন্দ হলে সজিবের বড় ভাইয়ের সঙ্গে কনে পরিবারের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে কথাকাটাকাটি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
কনে পক্ষের লোকজন বর ও তার স্বজনদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। সংঘর্ষ চলাকালীন কনে পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে বরসহ তার সঙ্গীদের মারধর করে বের করে দেয়। এ সময় বর সজিব, জাহিদ, অন্তু, মো. সোহেল, ফাতেমা ও ময়না গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ আহত ৩০, আটক ৫০
বর সজিব বলেন, ‘ছোট একটি বিষয় নিয়ে কনে পক্ষ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ঘটনার পর থেকে কনের বাবা শাহাবুদ্দিন ও তার পরিবারের পুরুষ সদস্যরা আত্মগোপনে রয়েছেন। শাহাবুদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।’
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদৎ মো. হাছনাইন পারভেজ জানান, এ ঘটনায় এখনও কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৯৮ দিন আগে
ঝালকাঠিতে পর্যটককে মারধর, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার ছৈলার চর পর্যটন কেন্দ্রে এক পর্যটককে শিশু সন্তানের সামনে মারধর করায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।
বুধবার (১১ জুন) ছৈলার চর পর্যটন কেন্দ্রের ডিসি লেকের সামনের রাস্তায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে মারধরের শিকার পরিবারের সদস্যরা সহ এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।
গত ৬ জুন বিকালে আবু হাসান নামে এক পর্যটক তার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ছৈলার চরে ঘুরতে যান। এসময় নিষিদ্ধ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মো. অলিউল্লাহ আহাদ ও তার ভাগিনা সায়েম এর নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল আবু হাসানের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা আবু হাসানের সঙ্গে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। একই সন্ত্রাসীরা আবু হাসানের বড় হায়দার আলীকে মারধর করে। হায়দার বর্তমানে উপজেলার আমুয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং পর্যটন কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানববন্ধনে অংশ নেন ভুক্তভোগী আবু হাসান, তার বড় বোন মাহমুদা বেগম, শিশু সন্তান আদিবা ও রুবায়েত সারাপ, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নিজাম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য মো. পান্না মিয়া, সমাজসেবিকা মনোয়ারা বেগম, সমাজকর্মী হাবিব মিয়া, মিলন হাওলাদার, মহিবুল্লাহসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
২০১ দিন আগে