খুলনা
নওগাঁয় হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
নওগাঁয় স্কুলছাত্র অপহরণ ও হত্যার মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে পৃথক একটি ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত চার আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— মিশু (১৯) ও পিংকি (৩০)। এ মামলায় আরও দুই কিশোর আসামি হুজাইফা ও সাজু আহমেদের ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ায় তাদের ১০ বছর আটকাদেশ দেওয়া হয়।
আরেক মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন— মোরশেদ আলী (৩৫) রবিউল ইসলাম (৩৮)। এ মামলায় সুলতানা পারভিন নামে এক নারীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
হত্যা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৭ নভেম্বর নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার খাদাইল গ্রামের নাজমুল নামের এক স্কুল ছাত্রকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে তার বাবার কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন কয়েকজন যুবক। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে পরের দিন আসামিরা নাজমুলকে হত্যা করে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে আক্কেলপুর রেলগেটের উত্তর পাশে ডোবার মধ্যে ফেলে রাখেন। পরে নাজমুলের বাবা বদলগাছী থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) দুই আসামি মিশু ও পিংকিকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে, ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মান্দা উপজেলার চকদেবীরাম গ্রামের এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে উপজেলার বালুবাজার গ্রামের মোরশেদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে রবিউল ইসলাম। এ সময় তিনি মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রেখে দেন। পরবর্তীতে ওই মেয়েকে রবিউল বিয়ে না করলে মেয়ের পরিবার তাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিলে আসামি রবিউল মেয়ের স্বামীর কাছে ধর্ষণের ভিডিও পাঠান, ফলে তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
এর কিছুদিন পরে বিক্রমপুরে ওই মেয়ের দ্বিতীয় বিয়ে হলে রবিউল আবারও একই কাজ করলে দ্বিতীয় স্বামী আইনি পরামর্শের কথা বলে ওই মেয়েকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুলছাত্র হত্যা: সাইফুলসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
এরপর ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ে নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করলে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে সংশ্লিষ্টতা থাকার রিপোর্ট দেয় মান্দা থানা পুলিশ।
পরে দীর্ঘদিন ধরে চলা এ মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) মোরশেদ আলী এবং রবিউল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ মামলায় সুলতানা পারভিন নামে আরেক আসামির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে খালাস প্রদান করেন।
উভয় মামলার রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
১৫১ দিন আগে
মাগুরায় সাপের কামড়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
মাগুরা সদরের শ্রীকান্তপুর গ্রামে সাপের কামড়ে শাওন শিকদার নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৭ জুলাই) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত শাওন শ্রীকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, শাওন বাড়ির পাশে মোবাইলে গেম খেলছিলেন। এ সময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে বাড়ির দিকে ফেরার পথে একটি সাপ তাকে কামড় দেয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু
এরপর প্রথমে তাকে স্থানীয় দুই ওঝার কাছে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাত ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতাল পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৫৪ দিন আগে
মাগুরায় কলা ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা, একজন আটক
মাগুরায় শহরের ছায়াবিথী সড়কে ভজন গুহ (৫৫) নামের এক কলা ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ আবি হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সড়কের পাশে তার লাশটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
নিহত ভজন গুহ ওই এলাকার সন্তোষ কুমার গুহের ছেলে। তিনি একজন ফল ব্যবসায়ী ছিলেন।
নিহতের চাচাতো ভাই রথিন গুহ বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কে বা কারা ভজনকে গলা কেটে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় মামলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বৃদ্ধা ও যুবতীকে গলা কেটে হত্যা, কিশোরীকে জখম
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী জানান, ভজন নামের এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করে সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশের খবর দেয়। পরে লাশটি উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবির হোসেন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কীভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
১৫৫ দিন আগে
ঘরে ঝুলছিল গৃহবধূর দেহ, দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে উধাও স্বামী
নড়াইল সদর উপজেলার নিজ ঘর থেকে মাধবী বিশ্বাস (৩৪) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী হীরামন বিশ্বাস ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সুদেবী পলাতক রয়েছেন।
বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, নিহত মাধবী বিশ্বাস কালিয়া উপজেলার শুক্ত গ্রামের অরবিন্দু বিশ্বাসের মেয়ে এবং হীরামন বিশ্বাসের প্রথম স্ত্রী। ১৮ বছর আগে তাদের বিয়ে হয় এবং সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। সাত-আট মাস আগে হীরামন দ্বিতীয় স্ত্রী সুদেবীকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন, এরপর থেকেই পারিবারিক কলহ বাড়তে থাকে।
বুধবার বিকালে হীরামন তার চাচাতো ভাই মিঠুনকে ফোন করে জানান, তিনি ছোট বউকে বাপের বাড়িতে দিতে যাচ্ছেন।
এ সময় বড় বউ মাধবীকে মারধর করেছেন জানিয়ে মিঠুকে তিনি আরও বলেন, বাড়িতে গিয়ে যেন তিনি দেখেন যে বড় বউ গলায় ফাঁস নিয়েছেন কি না। পরে সন্ধ্যায় মাধবীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা পুলিশে খবর দেন। এরপর পুলিশ ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে জঙ্গল থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মাধবীর ফুফাতো ভাই শ্মশান বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বোনকে নিয়মিত তার স্বামী হীরামন মারধর করত। দ্বিতীয় বিয়ে করে আনার পর থেকে বোনের ওপর অত্যাচার বাড়িয়ে দেয়। আমার বোনকে পিটিয়ে মেরে ঝুলিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে পাালয়ে গেছে। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমরা চাই।’
তবে মাধবীকে ‘হালকা’ মারধরের কথা স্বীকার করলেও হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে হীরামনের পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি, হত্যা নয় মাধবী আত্মহত্যা করেছেন।
তবে ঘটনার পর থেকে হীরামন ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সুদেবী পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ছাড়া তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৫৮ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় অস্ত্রের মুখে প্রবাসীর বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চাঁদার দাবিতে অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে হংকং প্রবাসী মো. শরিফুল ইসলামের (৪২) বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কসবা গ্রামের আতিয়ার রহমান বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রবাসী শরিফুল ওই এলাকার মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কুমারখালী থানা পুলিশ।
শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি প্রায় ১১ বছর হংকংয়ে ছিলেন। বছরখানেক হলো দেশে ফিরেছেন। বিদ্যালয়ের সামনের নিজস্ব তিনতলা ভবনে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে চাঁদাবাজির সময় দুই ভুয়া মেজর আটক
তার দাবি, দেশে ফেরার পর থেকে এলাকার কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী তার কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। তা না দেওয়ায় গতকাল (বুধবার) রাত ৯টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জন দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ তার পাকা বাড়ির তিনতলায় ঢুকে পড়েন। বাড়িতে ঢুকেই তারা প্রথমে শরিফুলকে মারধর করেন। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ প্রায় ১৫ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।
শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদার টাকা না পেয়ে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই ভাঙচুর করে সবকিছু নিয়ে চলে যায় চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীরা। অনেকেরই মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা থাকলেও কয়েকজনকে আমি চিনতে পেরেছি। তবে এখনই নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে চাই না। মামলার পরে সবাই জানতে পারবেন।’
খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক বিল্লাল হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘ঘরের ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুরের আলামত রয়েছে। শরিফুল ইসলাম ভাঙচুর ও নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুটপাটের অভিযোগ মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।’
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদা না পেয়ে এক প্রবাসীর বাড়িতে রাতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৫৮ দিন আগে
নওগাঁয় নিজ বাড়ি থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার
নওগাঁর পোরশায় নিজ বাড়ি থেকে এক দম্পতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের শীতলী ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— শীতলী ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল হাই বাবু (৫৫) ও তার স্ত্রী মোমেনা বেগম (৪৫)।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও দম্পতি তাদের দুই মেয়েকে নিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ছোট মেয়ে দেখে তার মা বিছানায় পড়ে আছেন এবং বাবা গলায় রশি দিয়ে ঝুলছেন।
আরও পড়ুন: পুলিশের ভয়ে নদীতে লাফ, দুদিন পর কিশোরের লাশ উদ্ধার
এই দৃশ্য সে তাৎক্ষণিকভাবে আশপাশের প্রতিবেশীদের খবর দেয়। প্রতিবেশীরা ঘরে ঢুকে দুজনকেই মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।
পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে রাতের কোনো একসময় স্ত্রী মোমেনা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তার স্বামী। পরে আব্দুল হাই বাবু নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’
এ ঘটনায় পোরশা থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে বলেও জানান ওসি মিন্টু রহমান।
১৫৯ দিন আগে
মেহেরপুরে মৃত গরুর মাংস বিক্রির চেষ্টা, কসাইয়ের ৩ মাসের কারাদণ্ড
মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামে মরা গরু জবাই ও মাংস বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে মো. হামজা নামের এক মাংস বিক্রেতাকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে পিরোজপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত এই দণ্ড দেয়। মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খায়রুল ইসলাম এই আদালত পরিচালনা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত মো. হামজা সদর উপজেলার পিরোজপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বরকত আলীর ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পিরোজপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মরা গরু জবাই ও মাংস শহরে সরবরাহের প্রস্তুতির সময় মাংস বিক্রেতা মো. হামজাকে মাংসহ আটক করা হয়। পরে পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১১-এর ২৪(১) ধারায় তাকে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় মেহেরপুর সদর উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তরিকুল ইসলাম ও সদর থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
১৬০ দিন আগে
খুলনায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে যুবকের মৃত্যু
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দীপ রায় (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ বছরের মধ্যে খুলনায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এটিই প্রথম মৃত্যু।
দীপ রায় খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার স্বপ্নপুরী এলাকার বাসিন্দা।
রবিবার (২০ জুলাই) দিবারাত ৩টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেন খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এবং ডেঙ্গু-করোনার ফোকাল পার্সন ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াত।
আরও পড়ুন: করোনা: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১
ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াত জানান, করোনা আক্রান্ত অবস্থায় দীপ খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে রবিবার বিকালে তাকে খুমেক হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
১৬১ দিন আগে
বিজিবি দেখে মোটরসাইকেল ফেলে পালাল চোরাকারবারি, প্রায় ৩২ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় এক স্বর্ণ চোরাকারবারি। পরে সেখান থেকে দুটি স্বর্ণের বার জব্দ করেছেন বিজিবি সদস্যরা, যার বাজারমূল্য প্রায় ৩২ লাখ টাকা।
ঘটনাটি শুক্রবারের (১৮ জুলাই)। দুপুরে উপজেলার গয়েশপুর কাদাবাগান এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) সদস্যরা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন মেদিনীপুর বিওপির নায়েব সুবেদার মো. ফারুক হোসেন।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মুন্সী ইমদাদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফের বুলেটে ভারতীয় চোরাকারবারি নিহত
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সীমান্ত থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে বিজিবির টহল দলটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানটি পরিচালনা করে। এ সময় সন্দেহভাজন একটি মোটরসাইকেলকে থামতে বললে চালক দ্রুত মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। পরে মোটরসাইকেলটি তল্লাশি করে সিটের নিচ থেকে বের করা হয় ২৩২ গ্রাম ওজনের দুই পিস স্বর্ণের বার।
উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজারমূল্য ৩১ লাখ ৫৬ হাজার ৭০৮ টাকা। জব্দ করা মোটরসাইকেলসহ এই মূল্য মোট প্রায় ৩৩ লাখ টাকা দাঁড়ায় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জব্দ করা স্বর্ণের বারদুটি চুয়াডাঙ্গা জেলা ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
১৬৩ দিন আগে
গাংনীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১
মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার মেহেরপুর–কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের তেরাইল ওলিনগর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— গাংনী উপজেলার ওলিনগর গ্রামের কাতর মোল্লার ছেলে মন্টু মোল্লা (৫০) এবং তেরাইল গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার রতন আলির ছেলে রনি (১৮)।আহত হয়েছেন— ছাতিয়ান গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে মোস্তাক হোসেন (২০)। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনি ইসরাইল জানান, মন্টু মোল্লা একটি দোকান থেকে চা পান করে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় মেহেরপুরগামী একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় তিনি গরুবোঝাই একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলির নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। মোটরসাইকেলে থাকা তিনজনই গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, চালক-হেলপার আটক
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মন্টু মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে রনি ও মোস্তাককে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত সাড়ে ১০টার দিকে রনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আহত মোস্তাক হোসেনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওসি বনি ইসরাইল জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় জড়িত মোটরসাইকেল ও চালককে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
১৬৩ দিন আগে