ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাকের চাপায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সে থাকা তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরও দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মুনসরাবাদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার রহমতুল্লাহর ছেলে সাকিবুর রহমান নিশান (২৭) ও তার বোন রুকাইয়া আক্তার নীলা (৩২) এবং রুকাইয়ার স্বামী মিজানুর রহমান (৪০)।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অ্যাম্বুলেন্সচালক কৃষ্ণ দাস (৫৫)। তিনি যশোর জেলার সোনাডাঙ্গা থানার বিষ্ণু দাসের ছেলে। অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।
ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মিজানুর রহমান কিছুদিন আগে স্ট্রোক করেন। তারপর থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে তার স্ত্রী ও শ্যালক অ্যাম্বুলেন্সে করে যশোর থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মুনসরাবাদ এলাকায় খুলনাগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে ওই অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন এবং চালকসহ আহত হন আরও দুইজন।
খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ, স্থানীয় থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার পর কিছু সময় মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হলেও পরবর্তীতে তা স্বাভাবিক হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।