সিলেট
সিলেটে পাথর লুটের ঘটনায় মামলা: ২ হাজার আসামির সবাই অজ্ঞাত
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও লুটের ঘটনায় মামলা করেছে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিএমডি মহাপরিচালক আনোয়ারুল হাবিব বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এই মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অজ্ঞাতনামা কিছু দুষ্কৃতিকারীর মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময় থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গেজেভুক্ত পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রতি কোটি কোটি টাকার পাথর লুট করা হয়েছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, পাথর লুটপাটে অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ ব্যক্তি জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়নি। সরকারের গেজেটভুক্ত কোয়ারি থেকে লুট বা চুরি এ ধরনের কর্মকাণ্ড খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২-এর ধারা ৪(২) (ঞ) এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা ২০১২-এর বিধি ৯৩ (১)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় মৌখিক নির্দেশনায় খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এর ৫ ধারা অপরাধে ও দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৩৭৯ নম্বর ধারা ও ৪৩১ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় সরকারি স্বার্থে ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকে পাথর লুট ও চুরির ঘটনায় দায়ী অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাদাপাথর-জাফলংয়ে লুট: দুই দিনে ১ লাখ ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার
সম্প্রতি সিলেটের দুই পর্যটনকেন্দ্র কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং থেকে পাথর লুটের ঘটনা ঘটে। সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করা এ ঘটনায় হাইকোর্ট পাথর উদ্ধার করে যথাস্থানে প্রতিস্থাপন এবং লুটেরাদের তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।
এরপর সিলেটসহ সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযানে নামে র্যাব, পুলিশসহ যৌথবাহিনী। গত তিন দিনে জাফলং ও সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথরের মধ্যে মোট ১ লাখ ৯ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে অবশ্য নারায়ণগঞ্জ থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হওয়া ৪০ হাজার টন পাথরও রয়েছে।
সর্বশেষ সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানাধীন আসাম পাড়া এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধার করেছে র্যাব। র্যাব-৯-এর টহল দল, সাদা পোশাকধারী সদস্য এবং সিলেট জেলা প্রশাসনের সহায়তায় একটি যৌথ আভিযানিক দল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আসাম পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
১৩৫ দিন আগে
সাদাপাথর-জাফলংয়ে লুট: দুই দিনে ১ লাখ ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার
সিলেটের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া আরও ৪৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার দিনভর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব পাথর জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতেই জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল এ তথ্য নিশ্চিত করে। এতে জানানো হয়, গত দুই দিনে মোট প্রায় ১ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত পাথরের অর্ধেক ইতিমধ্যে সাদাপাথরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাকিগুলো প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (গোপনীয় শাখা, মিডিয়া সেল) মো. মাসুদ রানা বলেন, শুক্রবার দিনভর কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। গত বুধবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত মোট প্রায় ১ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ হয়েছে। উদ্ধারকৃত পাথর পর্যায়ক্রমে সাদাপাথরে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
পাথর ব্যবসায়ীরা অভিনব কৌশলে এসব লুট হওয়া পাথর লুকিয়ে রাখছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসন কোম্পানীগঞ্জের কলাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মাটিচাপা অবস্থায় বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধার হয়।
এর মধ্যে সাত ট্রাক পাথর ইতোমধ্যে সাদাপাথর এলাকায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও আনুমানিক পাঁচ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে, যা আজ শনিবার ফেরত পাঠানোর হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (রাজস্ব শাখা, জেলা ব্র্যান্ডিং ও পর্যটন সেল) মাহমুদ আশিক কবির।
আরও পড়ুন: এক রাতের অভিযানে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর ফিরল সাদাপাথরে
এদিকে, গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পর্যটন স্পট জিরো পয়েন্ট থেকে চুরি হওয়া পাথর উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে অভিযান শুরু করেছে।
পিয়াইন নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান থেকে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা পাথর পূনরায় নদীতে প্রতিস্থাপনের লক্ষে জাফলং জিরো পয়েন্টে নৌকা দিয়ে ফেলা হয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, ‘জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে কিছু দুষ্কৃতকারী রাতের আধারে বৃষ্টির মধ্যে কিছু পাথর সরিয়ে ফেলছিল। আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ নিই। এরপর থেকে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ ও বিজিবির টহল অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেখান থেকে যে পাথরগুলো সরানো হয়েছে আমরা সেই পাথরগুলো খুঁজে বের করে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছি।’
তবে পাথর লুটপাটের সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই অভিযান আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।’
১৩৫ দিন আগে
সিলেটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার
সিলেটে জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩৫ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা পাথরগুলো সাদাপাথর ও জাফলং এলাকার নদীতে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে ও বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দিনভর সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়। এতে সেনাবাহিনীও অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবারের অভিযানে প্রায় ১৩০টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। এর মধ্যে ৭০টি ট্রাকে থাকা প্রায় ৩৫ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়।
এর আগে, বুধবার সাদাপাথর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ হাজার ফুট পাথর জব্দ করা হয়। এগুলো রাতে সাদাপাথরে পুনঃস্থাপন করা হয় বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া পাথরের বড় অংশ ধলাই নদীতে ফেরত পাঠানোর কাজ চলছে যাতে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ ও পরিবেশ পুনরুদ্ধার করা যায়। একই সঙ্গে রাতের মধ্যেই পাথর লুটের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাদা পাথর লুটকারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মিতা বলেন, ‘প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা ও পরিবেশ বাঁচাতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন, মজুদ বা পাচারে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও জানান, চেকপোস্টে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় ১৩০টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়েছে। এ সময় ৭০টি গাড়িতে সাদাপাথর এলাকার পাথর শনাক্ত হলে সেগুলো জব্দ করে পুনরায় প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে ব্যাপক লুটপাটের পর গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) তিন সদস্যের তদন্ত একটি কমিটি গঠন করে সিলেট জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিকে ১৭ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৩৬ দিন আগে
সিলেটে বাসচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত, বাসে আগুন
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল-আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঘাতক বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ইলাশপুর বটেরতল নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের বড় ইশবপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মোটরসাইকেলচালক নাজমুল ইসলাম (৩২ ও একই গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে আরশ আলী (৩১)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে গোয়ালাবাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে সিলেট যাচ্ছিলেন নাজমুল ও আরশ আলী। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ইলাশপুর বটেরতল নামক স্থানে পৌঁছালে পেছন থেকে আসা ঢাকা এক্সপ্রেস নামের দ্রুতগামী একটি বাস সজোরে তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে তারা দুজনই সড়কে ছিটকে পড়েন। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নাজমুল ইসলাম নিহত হন এবং ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার পর সন্ধ্যায় মারা যান আরশ আলী। খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নাজমুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
এদিকে, দুর্ঘটনার পর সন্ধ্যায় উপজেলার তাজপুর বাজারে ঘাতক বাসটি আটক করে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে বাসটি জব্দ করেন।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছি। বাস রেখে চালক পালিয়ে যাওয়ায় বিক্ষুদ্ধ জনতা বাসে অগ্নিসংযোগ করে। পরে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর পর আমরা বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে এসেছি।’
১৩৬ দিন আগে
এক রাতের অভিযানে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর ফিরল সাদাপাথরে
সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে গতকাল বুধবার রাতভর অভিযান পরিচালনা করেছে যৌথবাহিনী। অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে লুট হওয়া ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করে ফের সাদাপাথর এলাকাসহ ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লুট হওয়া পাথর পরিবহনকারী বেশ কয়েকটি ট্রাক জব্দ করেছে প্রশাসন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে সিলেট নগরী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ এলাকায় জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার বলেন, বুধবার রাতে ৬ সদস্যের একটি দল যৌথবাহিনীর সহায়তায় বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করে ফের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরসহ ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ফের অভিযান পরিচালনা করা হবে। লুট হওয়া পাথর উদ্ধার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
১৩৭ দিন আগে
সাদাপাথরে লুটপাট, পরিদর্শনে দুদক টিম
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ থেকে লুট হওয়া পাথর লুটের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোলাগঞ্জের সাদাপাথরে পরিদর্শনে যায় সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয় দুদকের উপপরিচালক নাজমুস সাদাত রাফির নেতৃত্বাধীন টিম। দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের কিছু অসাধুদের যোগসাজশে সাদাপাথর এলাকার পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। ওই পর্যটন এলাকায় দুদকের সিলেট জেলা সমন্বিত কার্যালয় অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযান শেষে এ নিয়ে বিস্তারিত জানানোর আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলে দেওয়া হয়েছে সিলেটের সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র
প্রাকৃতিকভাবে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ধলাই নদের উৎসমুখে ভেসে আসা পাথরের বিশাল স্তুপের কারণে প্রায় পাঁচ একর জায়গা জুড়ে সিলেটের ভোলাগঞ্জ পর্যটনের স্থান হিসেবে গত কয়েক বছরে বেশ সাড়া ফেলেছিল। তবে গত এক বছরে সে জায়গাটি থেকে অবাধে পাথর লুটের ঘটনায় মনোরম সৌন্দর্যের এই স্থানটি বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরের ৭৫ শতাংশই গায়েব। আছে মাত্র ২৫ শতাংশ। একসময় প্রচুর পরিমাণে সাদা পাথর দেখা যেত বলে জায়গাটার নামই হয়ে যায় ‘সাদাপাথর’। কিন্তু বর্তমানে পর্যটনকেন্দ্রটি অস্তিত্ব সংকটে।
এর আগে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাদাপাথর নামক ওই স্থান থেকে পাথর লুট হওয়ার সংবাদ প্রকাশ হলে তা সারা দেশে আলোচিত হয়। দেশের বিভিন্ন মহল থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধংস করার প্রতিবাদ জানানো হয়।
১৩৭ দিন আগে
সিলেটে রায়হান হত্যা: জামিনে মুক্ত প্রধান আসামি এসআই আকবর
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের পর নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন।
রোববার (১০ আগস্ট) সকালে জামিন পাওয়ার পর ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক।
তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালত হয়ে জামিনের কাগজ গতকাল (রোববার) আমাদের কাছে পৌঁছায়। পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলেই এসআই আকবরকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে বেরিয়ে যান।’
তিনি আরও জানান, এর আগে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন এসআই আকবর। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর কার্যক্রম শুরু হলে ২৫ মার্চ তাকে সেখানে আনা হয়। জামিনে মুক্তির আগ পর্যন্ত আকবর এই কারাগারেই ছিলেন।
এদিকে, আকবরের জামিনের খবর পেয়ে নিহত রায়হানের মা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এখন এই আসামি দেশ ত্যাগ করতে পারেন। তার জামিনে আমরা হতাশ হয়েছি।’
রায়হানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং রায় ঘোষণার প্রস্তুতি চলছিল। তবে প্রধান আসামির জামিন পাওয়ায় তার দ্রুত দেশ ত্যাগের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
মামলার অন্য আসামি আশেক এলাহীও কয়েক দিনের মধ্যে জামিন পেতে পারেন বলে জানা গেছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন আমেরিকায়, একজন ফ্রান্সে এবং দুইজন মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। পরদিন (১১ অক্টোবর) তিনি মারা যান। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছিল। এ ঘটনার পর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।
পরে ১২ অক্টোবর এসআই আকবর হোসেনসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এসআই আকবরকে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২১ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। সেখানে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)।
১৪০ দিন আগে
সিলেটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
সিলেটের শাহপরান এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের দুই শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন— পারভেজ, তার স্ত্রী ফারহানা, বড় ছেলে মোহাম্মদ (৬), ছোট ছেলে মারওয়ান (২) এবং আত্মীয় হেনা।
রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রাখায় ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা
দগ্ধদের ঢাকায় নিয়ে আসা সাইদুল ইসলাম জানান, গতকাল (শনিবার) রাতে শাহপরান এলাকার একটি দোতলা বাসায় রান্নার সময় সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পরিবারের সদস্যরা আগুনে দগ্ধ হন। স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘দগ্ধদের মধ্যে পারভেজের শরীরের ১৫ শতাংশ, ফারহানার ১০ শতাংশ, মারওয়ানের ১৭ শতাংশ, মোহাম্মদের ৪ শতাংশ এবং হেনার শরীরের ৭ শতাংশ পুড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘দগ্ধদের মধ্যে তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকি দুইজনকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।’
১৪১ দিন আগে
পর্তুগালের ভিসার নামে অর্থ আত্মসাৎ, সিলেটে প্রতারক গ্রেপ্তার
পর্তুগালে পাঠানোর নামে জাল ভিসা দিয়ে দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সিলেটে আজহার আহমদ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব)।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুর সোয়া ২টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানাধীন কুচাই এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব-৯।
গ্রেপ্তার আজহার আহমদ (৪২) কুচাই পশ্চিমপাড়ার জুনেদ আহমদের ছেলে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা-সুবিধা চালু করল মালয়েশিয়া
র্যাব জানায়, ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি তামিম নামের এক ব্যক্তি পর্তুগালে রেস্তোরাঁ ব্যবসার কথা বলে শ্রমিক নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে এই টাকা সংগ্রহ করেন। পরে ভিসা প্রক্রিয়ার তারা ১৮ জনকে দিল্লিতে নিয়ে যায়। ২০২৪ সালের ২০ মার্চ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে ধরা পড়লে জাল ভিসার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
প্রতারণার শিকার হওয়ার পর ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্তরা তা ফেরত না দিয়ে উল্টো হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনার পর গত ২৮ এপ্রিল তামিমকে প্রধান আসামি করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) দক্ষিণ সুরমা থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা।
মামলার পর র্যাব-৯ সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দক্ষিণ সুরমা থানার কুচাই জামে মসজিদের সামনে অভিযান চালিয়ে আসামি আজহার আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাকে দক্ষিণ সুরমা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৯ এর গণমাধ্যম কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।
১৪২ দিন আগে
সিলেটে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মহানগরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করে।
বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর বালুচর নয়াবাজার এলাকার কিং ফুটসাল স্পোর্টস সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী তিন শিক্ষার্থীর দাবি, নয়াবাজারের কিং ফুটসাল স্পোর্টস সেন্টারে কলেজ আয়োজিত ‘জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫’ চলছিল। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও অতিরিক্ত কয়েক মিনিট মাঠ ব্যবহার করার জেরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। এতে অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। একসময় ছাত্রলীগের আশ্রয়ে থাকা জায়গীরদার আল মামুন ওরফে বুলেট মামুনের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন যুবক এই হামলা চালান।
অন্যদিকে, পুলিশ বলছে, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একদল শিক্ষার্থী এক ঘণ্টার জন্য ফুটসাল মাঠ ভাড়া নিয়ে খেলা শুরু করেন। তবে নির্ধারিত সময় শেষে তারা আরও দেড় ঘণ্টা অতিরিক্ত মাঠ দখলে রেখে খেলা অব্যাহত রাখেন। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ের জন্য ভেন্যু বুকিং করা অন্য খেলোয়াড়রা মাঠে প্রবেশ করে আপত্তি জানান। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। পরে তা রূপ নেয় সংঘর্ষে।
এ সময় সেন্টারের অফিস কক্ষও ভাঙচুর করা হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটান পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুল ইসলাম।
তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল। হামলাকারীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় থাকার কারণেই আমাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলার সময় একজনকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকেই ছাত্ররা জানতে পেরেছে যে হামলাটি হয়েছে ওই মামুনের নেতৃত্বে এবং এরা একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিএনপির গণমিছিলে হামলা, আহত ১০
আহত ১১ শিক্ষার্থীকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছে।
শিক্ষার্থী ও কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতে আটক একজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তারা অভিযোগ দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।
তিনি জানান, অভিযুক্ত মামুনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ছাত্রলীগের পদ-পদবি তার নেই, তবে তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। পুলিশ তাকে আটক করতে বালুচর এলাকায় বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেছে।
১৪৪ দিন আগে