বৈদেশিক-সম্পর্ক
অর্থ পাচার ও চুরি যাওয়া সম্পদ উদ্ধারের সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা
দুর্নীতি দমন, অর্থপাচার রোধ এবং চুরি যাওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে সহযোগিতা জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন ও ওয়াশিংটনে বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক শেলবি স্মিথ-উইলসনের মধ্যে বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনায় সংস্কারের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা, মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স (এমএলএ) চুক্তি এবং ক্রয় ব্যবস্থা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং গণমাধ্যমের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময়ের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে 'অংশীদার', রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তাদের নেতৃস্থানীয় অংশীদার এবং প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) শীর্ষ উৎস হিসেবে মূল্য দেয়।
আরও পড়ুন: অনলাইনে জুয়া-বেটিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচারের মহোৎসবে টিআইবির উদ্বেগ
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা শেয়ার করেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ মানবিক সহযোগিতা, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং শ্রম অধিকারের প্রতি সমর্থন নিয়ে জসিম উদ্দিনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।’
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পররাষ্ট্র সচিব ও আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহিতা, মানবিক সাড়া এবং রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান ও শ্রম অধিকার বিষয়ে 'ফলপ্রসূ আলোচনা' করেছেন।
তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী রিচার্ড ভার্মার সঙ্গে একটি ‘ফলপ্রসূ বৈঠক’ করেছেন। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর ও সম্প্রসারণ, পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি নবায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।
পররাষ্ট্র সচিব ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জন বাসের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা গভীর করার উপায় এবং অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলোতে কার্যকর সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেন।
হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সহকারী ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক লিন্ডসে ডব্লিউ ফোর্ডের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
তারা সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কর্মসূচি, গণতান্ত্রিক উত্তরণ, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ইস্যু, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, রোহিঙ্গা সংকট এবং শ্রম আইন নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ইউএসটিআর ব্রেন্ডন লিঞ্চের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণে পারস্পরিক সহযোগিতা, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা থেকে উৎপাদিত আরএমজির ডিএফকিউএফ প্রবেশাধিকার, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের নিবন্ধন সহজীকরণ ও নিবন্ধন ফি কমানো, শ্রম আইন সংস্কার এবং ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কোঅপারেশনে (ডিএফসি) প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব এবং প্রধান কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থের বিস্তৃত বিষয়গুলোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল।
মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যাম্বাসাডর ডোনাল্ড লু, ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি মার্তা সি ইয়ুথ, অ্যাসিসট্যান্ট ডেপুটি সেক্রেটারি নিকোল চুলিক, অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি মনিকা অ্যাগার জ্যাকবসেন এবং পরিচালক আল্লা পি কামিনস।
ওয়াশিংটন সফরের আগে পররাষ্ট্র সচিব নিউইয়র্ক সফর করেন এবং ১৪ অক্টোবর ওয়াশিংটন ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্তের আদেশ আপিল বিভাগে বাতিল
৩ ঘণ্টা আগে
হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আহ্বান ভারতের
হিন্দু ও সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং তাদের উপাসনালয়ের, বিশেষ করে দুর্গা পূজার এই উৎসবের সময়ে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারত সরকার।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, 'আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি ঢাকার তাঁতীবাজারের পূজামণ্ডপে হামলা হয়েছে এবং সাতক্ষীরায় যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে।’
বাংলাদেশে পূজামণ্ডপে হামলা, হিন্দু মন্দির ভাঙচুর ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এগুলো নিন্দনীয় ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে তারা একইভাবে বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ও দেবদেবীদের অবমাননা ও ক্ষয়ক্ষতি করছে।’
এর আগে গত ৫ অক্টোবর বাংলাদেশে প্রতিমা ভাঙচুর ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, “এ ধরনের কর্মকাণ্ড 'ঠিক নয় এবং এগুলো ভালো নয়'।”
সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এই উৎসব প্রত্যেকের জীবনে সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে বলে তারা আশা করছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের রক্ষার বিষয়ে তারা একাধিকবার এবং তাদের উচ্চ পর্যায় থেকেও এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে।
মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আশা করি যে সেখানে (বাংলাদেশে) সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের নিরাপত্তা দেবে এবং তাদের চাহিদা পূরণ করবে।’
১ দিন আগে
পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে 'ফলপ্রসূ' আলোচনা
পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিচার্ড ভার্মার সঙ্গে একটি ‘ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর ও সম্প্রসারণ এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন তারা।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব এই বৈঠক করেছেন।
তাদের আলোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, রোহিঙ্গা ইস্যু, শ্রম আইন সংস্কার ইত্যাদিতে যুক্তরাষ্ট্রের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তার ওপর আলোকপাত করা হয়।
পররাষ্ট্র সচিব ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জন বাসের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের গতিতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা গভীর করার উপায় এবং অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলোতে কার্যকর সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সহকারী ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক লিন্ডসে ডব্লিউ ফোর্ডের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত’
তারা সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার এজেন্ডা, গণতান্ত্রিক উত্তরণ, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ইস্যু, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, রোহিঙ্গা সংকট, শ্রম আইন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী ইউএসটিআর ব্রেন্ডন লিঞ্চের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণে পারস্পরিক সহযোগিতা, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা থেকে উৎপাদিত আরএমজির ডিএফকিউএফ প্রবেশাধিকার, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের নিবন্ধন সহজীকরণ ও নিবন্ধন ফি হ্রাস, শ্রম আইন সংস্কার এবং ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কো-অপারেশনে (ডিএফসি) প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থের বিস্তৃত বিষয়গুলোর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল।
মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড লু, ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি মার্টা সি ইয়ুথ, ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল চুলিক, ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি মনিকা অ্যাগার জ্যাকবসেন এবং ডিরেক্টর আল্লা পি প্রমুখ।
ওয়াশিংটন সফরের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিউইয়র্ক সফর করেন এবং ১৪ অক্টোবর ওয়াশিংটন ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে জেলে নিহতের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ
১ দিন আগে
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী নিহন হিদানকিওতে অধ্যাপক ইউনূসের অভিনন্দন
২০২৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ায় জাপানের পারমাণবিক বোমা থেকে বেঁচে যাওয়াদের নিয়ে গড়ে তোলা সংগঠন নিহন হিদানকিওকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ায় নিহন হিদানকিওকে অভিনন্দন। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও শান্তির প্রতি আপনাদের অবিচল অঙ্গীকার আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণা।’
আরও পড়ুন: রিসেট বাটন চেপে একাত্তরের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি অধ্যাপক ইউনূস
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, 'হিরোশিমা ও নাগাসাকির ভয়াবহতা মানুষ যেন কখনো ভুলে যায় তা নিশ্চিত করতে আপনাদের নিরলস প্রচেষ্টা ও পরিশ্রম তা আমাদের নিরাপদ পৃথিবীর জন্য যে চেষ্টা তাকে প্রতিধ্বনিত করে।
বার্তায় ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আপনাদের সাহস ও উৎসর্গের জন্য ধন্যবাদ। আরও একবার উষ্ণ অভিনন্দন।’
পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টার জন্য ২০২৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে নিহন হিদানকিও।
নিহন হিদানকিও সংগঠনটি হিবাকুশা নামেও পরিচিত। ১৯৪৫ সালে হিরোশিমা-নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলা বিপর্যয়ের প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে নিয়ে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব অর্জনের প্রচেষ্টায় ‘পারমাণবিক অস্ত্র আর কখনো ব্যবহার করা উচিত নয়’- এই প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে সংগঠনটি পাচ্ছে ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর অর্থমূল্য প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এছাড়াও একটি মেডেল, সনদপত্রও দেওয়া হবে।
ডিসেম্বরের ১০ তারিখ আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুদিবসে বিজয়ীদের হাতে নোবেল পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: স্পেনের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চান ড. ইউনূস
২ দিন আগে
মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে জেলে নিহতের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ
সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে এক বাংলাদেশি জেলে নিহতের ঘটনায় মিয়ানমার সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার(৯ অক্টোবর) কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহ পরী দ্বীপের কোনা পাড়ার বাসিন্দা উসমান (৬০) নিহত হন।
ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসে পাঠানো একটি কূটনৈতিক নোটে বাংলাদেশ এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের কাছে মাছ ধরার সময় প্রায় ৫৮ জন বাংলাদেশি জেলে এবং উসমানের নৌকাসহ ৬টি মাছ ধরার নৌকা অপহরণ করায় বিষয়টি আরও জটিল করে তুলেছেন তারা।
আরও পড়ুন: স্পেনের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চান ড. ইউনূস
অবশেষে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও মিয়ানমার নৌবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের পর বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুই দফায় নৌকাসহ জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে মিয়ানমারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। মিয়ানমারকে বাংলাদেশের জলসীমার অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন এবং ভবিষ্যতে আর কোনো উসকানি থেকে বিরত থাকার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত’
২ দিন আগে
‘বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত’
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগের প্রতি জাতিসংঘের জোরালো সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘের পলিটিক্যাল অ্যান্ড পিসবিল্ডিং অ্যাফেয়ার্স আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রোজমেরি ডিকার্লো।
'এক্স' এর মাধ্যমে এক বার্তায় তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে, দেশের উত্তরণ, আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ এবং জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (ইউএসজি) রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের উদারতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এর সংস্কার প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে।
বহুপাক্ষিকতার প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার এবং জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করে পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের প্রথম সফরে ১০ অক্টোবর নিউইয়র্কে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জাতিসংঘের সমর্থনকে 'গুরুত্বপূর্ণ' উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব সমর্থনের নিশ্চয়তা পুনর্ব্যক্ত করার জন্য ডিকার্লোকে ধন্যবাদ জানান।
সাক্ষাৎকালে তারা জাতিসংঘ শান্তি কাঠামোতে বাংলাদেশের অবদান এবং দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করেন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব ইউএসজির মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর অনুরোধ জানান।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে 'বৈশ্বিক মনোযোগের পাশাপাশি বৈশ্বিক পদক্ষেপের' ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি মিয়ানমারের বর্তমান সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন, যা বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে রোহিঙ্গাদের নতুন করে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি করছে।
পুরো অঞ্চলে সম্ভাব্য ছড়িয়ে পড়ার দিকে ইঙ্গিত করে পররাষ্ট্র সচিব মিয়ানমারের সংকট সমাধান এবং বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সহজতর করতে জাতিসংঘকে বৃহত্তর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
তিনি মহাসচিবের বিশেষ দূতকে বাংলাদেশের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
পররাষ্ট্র সচিব রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তুলে ধরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রস্তাবের কথা স্মরণ করেন এবং এ বিষয়ে জাতিসংঘের সহযোগিতা কামনা করেন।
জবাবে আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের মধ্যে চলমান সহযোগিতার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা ড. ইউনূসের
তিনি মূল ক্ষেত্রগুলোতে সংস্কার উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে আরও সহযোগিতার প্রস্তাব দেন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে, তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সেক্রেটারি জেনারেলের নতুন বিশেষ দূত জুলি বিশপ এই সমস্যাটি সামগ্রিকভাবে সমাধানে সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করবেন।
এর আগে পররাষ্ট্র সচিব সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে 'নারীর অগ্রগতি' শীর্ষক একটি বক্তব্য দেন।
তিনি তার বক্তব্যে নারী শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সংস্থান সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি নারী শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, ডিজিটাল বিভাজন বন্ধ, নারীর কল্যাণ ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্র সচিব ১৯৯৫ সালের বেইজিং ঘোষণা ও প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশন, সিইডিএডব্লিউ এবং উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি (ডব্লিউপিএস) এজেন্ডার প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন। ২০০০ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন রেজুলেশন ১৩২৫ প্রণয়নে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত এ সময় আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্পেনের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চান ড. ইউনূস
২ দিন আগে
স্পেনের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চান ড. ইউনূস
বছরের পর বছর ধরে শোষণের পর দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তার জন্য বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে স্পেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বাংলাদেশ থেকে কারিগরি ও অন্যান্য খাতে আরও কর্মী নিয়োগের জন্য স্পেনের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্তিয়াগা বুধবার (৯ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বর্তমানে স্পেনে প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি কর্মরত।
স্পেনের রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছিলেন যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তার সংস্কার উদ্যোগে স্পেন তার অভিজ্ঞতার আলোকে সহায়তা করতে পারে কিনা।
প্রধান উপদেষ্টা এই প্রস্তাবের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে যেসব সংস্কার বাস্তবায়ন করছে তা এগিয়ে নিতে স্পেনের যেকোনো সহযোগিতাকে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে।
আরও পড়ুন: ইতালির ভিসা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে, আশা উপদেষ্টা তৌহিদের
অধ্যাপক ইউনূস স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টো রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘স্পেন আমাদের বিভিন্নভাবে সমর্থন দিতে পারে। এখানে আরও বিনিয়োগ আনতে পারে এবং আমাদের পোশাক পণ্যের আমদানি সম্প্রসারণ করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি আমাদের উন্নয়ন খাতে স্পেনের সহায়তা পেলে তা লাভজনক হবে।’
রাষ্ট্রদূত সিস্তিয়াগা স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজের একটি চিঠি ড. ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাকে অভিনন্দন জানান স্পেনের প্রেসিডেন্ট।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, রাষ্ট্রদূত ২০২৫ সালের ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত স্পেনে অনুষ্ঠিতব্য উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্পেনের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
প্রধান উপদেষ্টা স্পেনের রানী সোফিয়ার কাছে তার শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান এবং তার বাংলাদেশ সফরকালে তার সঙ্গে তার মধুর স্মৃতির কথা স্মরণ করেন।
তিনি তাকে আবারও বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা ড. ইউনূসের
৪ দিন আগে
সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদ, পুনরাবৃত্তি বন্ধে ভারতের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
সর্বশেষ সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার বুধবার ভারতের সরকারকে এই ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আটক পাঁচ বাংলাদেশি
গত সোমবার (৭ অক্টোবর) ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হন কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার কামাল হোসেন।এ ঘটনার পর আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সীমান্ত হত্যা 'শূন্যের কোঠায়' নামিয়ে আনতে বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়ে বলেছে, সীমান্ত হত্যার এই ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অযৌক্তিক। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ১৯৭৫ সালের যৌথ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকার শর্তাবলীর লঙ্ঘন।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৩১ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ। এর মধ্যে ২৮ জনই গুলিতে নিহত হয়েছেন।
এতে বলা হয়, ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিএসএফের হাতে নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬৩ জনে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
শার্শা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় আটক ৪
৪ দিন আগে
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা ড. ইউনূসের
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশে গম ও সার সরবরাহকারী হিসেবে রাশিয়ার ভূমিকার কথাও স্বীকার করেন তিনি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি বুধবার (৯ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতের সময় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রূপপুর প্রকল্পের বকেয়া-সংক্রান্ত জটিলতা সমাধান করবে এবং বাংলাদেশে আরও রাশিয়ান বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়। 'আমরা একসঙ্গে কাজ করব।'
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার অবস্থান জানে না সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বৈঠক চলাকালীন, ম্যান্টিটস্কি রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার তিন বছরেরও বেশি মেয়াদে তার ঘটনাবহুল সময়ের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন।
তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, যা আগামী বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রাথমিকভাবে রাশিয়ার অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর বিশেষজ্ঞরা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন।
বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্যাজপ্রমের বাংলাদেশে অনুসন্ধান কার্যক্রম, রাশিয়ার গম ও সার রপ্তানি এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধ নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এ সময় সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. আবুল হাসান মৃধা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইতালির ভিসা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে, আশা উপদেষ্টা তৌহিদের
৪ দিন আগে
ইতালির ভিসা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে, আশা উপদেষ্টা তৌহিদের
ইতালির ভিসা প্রত্যাশীদের দ্রুত ভিসা ইস্যুর দাবি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ওপর অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা হলে নেতিবাচক পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, 'প্রচণ্ড চাপের মধ্যে যদি তারা হুমকি অনুভব করে, তাহলে আশঙ্কা থেকে যায় যে তারা বৈধভাবে লোকজনকে নেওয়ার জন্য যে ভিসা দিচ্ছে সেই কর্মসূচি থেকে আমাদের বাদ দিতে পারে।’
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ইতালির ভিসা প্রত্যাশীদের একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করার পর সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মিছিল, সমাবেশ ও অফিস ঘেরাও করার মতো কর্মসূচির সম্ভাব্য প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি প্রতিনিধি দলের সদস্যদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।
তিনি বলেন,‘তারা ভিসা দেবে কি দেবে না সেটা তাদের সার্বভৌম অধিকার। কেন ভিসা দেননি তা আমরা বলতে পারব না। এটা জিজ্ঞেস করাও যায় না।’
উপদেষ্টা বলেন, সরকার ভিসা প্রার্থীদের অবস্থা জানে এবং তারা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে সরকার কী করছে এবং প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে তারা কী করতে পারে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অগ্রগতি ধীর হওয়ায় প্রায় ২০ হাজার মামলা দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে এবং সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই মামলাগুলো নিষ্পত্তি করার তাগিদ দিচ্ছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ভিসাসহ দ্রুত পাসপোর্ট সরবরাহের দাবিতে ভিসা প্রত্যাশীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের মধ্যে ঢাকার ইতালি দূতাবাস জানায়, আবেদনকারীদের জাল বা মিথ্যা নথি জমা দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
ইতালি দূতাবাস জানায়, তারা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সক্রিয়ভাবে অনিয়মিত অভিবাসন বন্ধ এবং বৈধ পথকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ২০ অক্টোবরের মধ্যে সেন্টমার্টিন নিয়ে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
অভিবাসন ও গতিশীলতা ইস্যুতে সহযোগিতা আরও উন্নত করার জন্য একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে, যা শিগগিরই চূড়ান্ত হবে বলে তারা আশা করা হচ্ছে।
দূতাবাস প্রক্রিয়াজাত অ্যাপ্লিকেশনগুলোর আউটপুট বাড়ানোর প্রতিশ্রুতির আশ্বাস দিয়েছে এবং একটি নিবেদিত টাস্কফোর্স গঠনসহ রোমের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ লক্ষ্যে গৃহীত কিছু উদ্যোগ উপস্থাপন করেছে।
আবেদনকারীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে একবার আবেদন জমা দেওয়ার পরে বা অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য অনুরোধ করার পরে তাদের 'নুলা ওস্টা'র মেয়াদ শেষ হবে না। নুলা ওস্টা হলো ইতালীয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষের জারি করা নথি যা কোনো নন-ইইউ নাগরিককে তাদের বসবাসের দেশে ইতালীয় দূতাবাস / কনস্যুলেটে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করার অনুমতি দেয়।
বৈঠকে দূতাবাস ইতালিতে ওয়ার্কিং ভিসা প্রসেসিংয়ে বিদ্যমান বিলম্বের জন্য আইন ও প্রযুক্তিগত এবং লজিস্টিক ব্যাখ্যা দেন।
ভিসাপ্রার্থীরা বিষয়টি সমাধানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবি তুলে ধরতে চেয়েছেন।
দুর্নীতি এবং মিথ্যা বা জাল নথি বা বিবৃতি উপস্থাপন করা ইতালি এবং বাংলাদেশি উভয় আইনে গুরুতর অপরাধ, যাতে ইতালিয়ান দূতাবাস এবং সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার অবস্থান জানে না সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
৫ দিন আগে