বৈদেশিক-সম্পর্ক
এন্টিগা অ্যান্ড বারবুডার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতায় আগ্রহী বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ও এন্টিগা অ্যান্ড বারবুডার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার(১৪ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সফররত এন্টিগা অ্যান্ড বারবুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ই. পি. শেত গ্রিন।
পাঁচদিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন এন্টিগা অ্যান্ড বারবুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ই. পি. শেত গ্রিন
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন খাতের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান ড. হাছান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পর্যটন বিভাগের সঙ্গে ‘টেকনিক্যাল কো-অপারেশনে’র মাধ্যমে এ খাতে প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতার সম্ভাবনার বিষয়ে কথা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমেরিকা-কানাডা-ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের ১৪০টি দেশে রপ্তানি হয়, এন্টিগা অ্যান্ড বারবুডাকেও আমদানির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি তৈরি পোশাক, সিরামিকস, ও চামড়াজাত পণ্য এ দেশ থেকে আমদানি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশিদের জন্য তাদের দেশে ভিসা ফ্রি করলে আমরাও 'রিসিপ্রোসিটি' ভিত্তিতে তাদের জন্যও একই ব্যবস্থা বিবেচনায় নিতে পারি।’
এ সময় এন্টিগা অ্যান্ড বারবুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ই. পি. শেত গ্রিন তাদের দেশের বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটার ভিভিয়ান রিচার্ডসের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনার কথা জানান।
মন্ত্রী গ্রিনের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন দেশি শিল্পগ্রুপ পিএইচপি ফ্যামিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এবং এন্টিগা অ্যান্ড বারবুডার কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা এবং দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংয়ের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম, মন্ত্রীর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এন্টিগা অ্যান্ড বারবুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকা ত্যাগের আগে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন শিল্প স্থাপনা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিরসনসহ গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসন এবং গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষে এবং আমরা চাই, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিরসনে যে সব রাষ্ট্রের ভূমিকা রাখার কথা, তারা কার্যকর ভূমিকা নিক এবং গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হোক।’
রবিবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয়মকালে এ কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার বদলা হিসেবে শনিবার রাতে তেল আবিব, পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরায়েল জুড়ে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মত জানতে চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আশা করি পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় ড. হাছান বলেন, ‘ইসরায়েল সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে হামলা করায় ইরান এ আক্রমণের সুযোগ পেয়েছে, অন্যথায় এটি হতো না, ইরান 'রিটালিয়েট' করেছে -ইরানের বক্তব্য তাই।’
তিনি আরও বলেন, যেসব রাষ্ট্রের ভূমিকা রাখার কথা, তারা ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিরসনে এবং গাজায় যে নির্বিচারে মানুষ হত্যা হচ্ছে, অবিলম্বে সেই হত্যাযজ্ঞ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে বলে প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ। ড. হাছান বলেন, ‘আমরা কখনোই যুদ্ধ-বিগ্রহের পক্ষে নই, আমরা শান্তির পক্ষে।’
আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা মানব সভ্যতার কলঙ্কজনক অধ্যায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অপহৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার ও সংশ্লিষ্টদের সর্বাত্মক তৎপরতায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে জিম্মি নাবিক ও জাহাজ নিরাপদে উদ্ধার হয়েছে। জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিকে ১০০ নটিক্যাল মাইল এগিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর সহযাত্রী হয়েছে।
সক্রিয় ভূমিকার জন্য জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরঅএম গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দক্ষিণ সীমান্তে মিয়ানমারের আরও ৯ বিজিপি সদস্যের দেশে প্রবেশ নিয়ে মন্ত্রী হাছান বলেন, পূর্বের ১৮০ জনসহ সবাইকে ফেরত পাঠানো নিয়ে কাজ চলছে।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ংকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছে টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা, তাদের পরিবারের সদস্য এবং জাপানে বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রা শেষে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ অতিথিদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে কাজ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
পরে স্থানীয় বাংলাদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সহায়তায় উপকূলের সুবিধাবঞ্চিত ১২শ’ তরুণীর কর্মসংস্থান করেছে ব্র্যাক
ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ংকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি অনেক বেশি ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সোমালিয়ার জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের উপর কোনো নির্যাতন চালায়নি। তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেনি। কিন্তু বিএনপি তো মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীদের নেতৃত্বে বিএনপি অনেক সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে।’
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের লালদিঘী চত্বরে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যাদের জন্মই অগণতান্ত্রিক তারাই গণতন্ত্রের কথা বলে: বিএনপির উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়ে বাংলাদেশের দস্যুরা বেশি ভয়ংকর’- বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বলেছেন, 'দেশের মানুষ খুব দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে আছে, সাধারণ মানুষ ভালোভাবে ঈদ পালন করতে পারেনি।’
এ বিষয়ে ড. হাছান বলেন, ‘হয়তো মির্জা ফখরুল সাহেবদের মনে শান্তি নেই, উনাদের মনে অশান্তি বিধায় বাংলাদেশের মানুষের মনে শান্তি নেই বলছেন। কিন্তু মানুষের মনে সম্প্রীতি ও উৎসব আছে।’
তিনি বলেন, ‘এবার ঈদ অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন হয়েছে এবং হচ্ছে। মানুষ এখনো ঈদ উৎসবের মধ্যে আছে। আপনারা দেখেছেন ঈদযাত্রাও এবার অনেক নির্ঝঞ্ঝাট ছিল। ঈদের সময় অনেক ঘটনা ঘটে। সে ধরনের দুর্ঘটনা এবার অপেক্ষাকৃত অনেক কম ঘটেছে। মানুষ অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়েই ঈদ উদযাপন করছে।’
আরও পড়ুন: নাবিকদের উদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাইজ্যাক করা জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আছে। খুব শিগগিরই আপনারা সুখবর শুনতে পাবেন। আমি শুধু এটুকুই বলি, নাবিকরা খুব শিগগিরই মুক্তি লাভ করবে ইনশাআল্লাহ। আমরা জাহাজটাও মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব। গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এরই মধ্যেই হয়েছে।'
এর আগে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান বলেন, 'আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন এবং আমরাও বলি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আজকে ঈদ উৎসবকে উপলক্ষ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই শামিল হয়েছে। অর্থাৎ ধর্ম যার যার উৎসব যে সবার সেটি আসলে বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে এই উৎসবের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, এই দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তির স্থান হবে না। কেউ সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের প্রতিহত করা হবে, সবসময় করেছি, ভবিষ্যতেও করব। এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
“চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” আয়োজক কমিটির সভাপতি জহরলাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্তা, মো. শাহাবুদ্দিনসহ আযোজক কমিটির নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশ থেকে অপরাজনীতি চিরতরে দূর হওয়ার প্রার্থনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
রাশিয়ায় পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও পাটজাত পণ্য রাশিয়াতে আরও বেশি রপ্তানির সুযোগ নিতে চায় সরকার।
তিনি বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্যের বড় রপ্তানি বাজার হতে পারে দেশটি।
আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি ম্যান্টিটস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের বিষয়টি সম্পর্কে জানান জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বড় অবদান রয়েছে রাশিয়ার। রাশিয়া আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। তারা আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং যুদ্ধ পরবর্তী দেশ পুনর্গঠনে যেমন সহযোগিতা করেছে তেমনি বর্তমান সময়েও তা অব্যাহত রেখেছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি মূলধারার রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে: পাটমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর শেখ হাসিনাকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাশিয়ার সহযোগিতায় রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশটিতে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে গুরুত্ব দিচ্ছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়। এ ক্ষেত্রে ২ দেশে বাণিজ্য মেলা করার বিষয়ে আলাচনা হয়েছে। এর পাশাপাশি রাশিয়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।’
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাগের জন্য প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা বড় বাধা হলেও আমরা জয়ী হব: পাটমন্ত্রী নানক
বাংলাদেশের পাটখাতে রাশিয়ান বিনিয়োগ আসবে কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আলোচনা চলছে। তাদের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা আসছে। আশা করি রাশিয়ার বিনিয়োগকারীরা পাটখাতে বিনিয়োগ করবে।’
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অনেক বড় বড় কোম্পানি রাশিয়া থেকে চলে গেছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ। বিশেষ করে আমরা গার্মেন্টস, ট্যোবাকো, কৃষি পণ্য ও চামড়াজাত পণ্য নিতে চাই বাংলাদেশ থেকে। পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়েও যথেষ্ট আগ্রহ আছে রাশিয়ার।’
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব তসলিমা কানিজ নাহিদা, যুগ্ম সচিব গোপাল চন্দ্র দাস এবং ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাসের ৩য় সচিব ওলেগ কোজিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
জি-২০ আলোচনায় বাংলাদেশের অবদানের জন্য ব্রাজিলের কৃতজ্ঞতা: সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা বলেছেন, ‘বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংযোগ রয়েছে এবং কেবল পুনরুজ্জীবিত বহুপাক্ষিকতা, সংস্কার ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমেই তা মোকাবিলা করা সম্ভব।’
সোমবার ব্রাজিলের জি-২০ সভাপতিত্বের অগ্রাধিকার বিষয়গুলো নিয়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ' ব্রাজিল বিশ্বাস করে গ্রুপটির এমন একটি জাতিগত সংস্থা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করা উচিত যা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় মূল বৈষম্যগুলো মোকাবিলা করেই নিজের উদ্দেশ্যগুলোতে সফল হবে।’
এ সময় জি-২০ আলোচনায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এরই মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈশ্বিক শাসন কাঠামো অভিযোজন ও বিকশিত করার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘জি-২০ জোটটি নিজেই বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকটের ঠিক পরপরই তৈরি হয়েছিল। তবে এরই মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য একটি মূল্যবান কাঠামো হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমান বৈশ্বিক শাসন কাঠামো নিয়ে গুরুতর আলোচনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে জি-২০ এর নিজস্ব অবদান রাখার সময় এসেছে।’
ভিয়েরা আরও বলেন, বিশ্বে বর্তমানে যেসব সমস্যার সমাধান সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে কাজ করতে উৎসাহিত করার জন্য জি-২০ বিশ্বের অন্যতম সেরা প্ল্যাটফর্ম বলা যায়। জি-২০ বহুপাক্ষিক শাসনের প্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত সংস্কারের জন্য যে সমর্থন দরকার, তা অর্জনে একটি অমূল্য হাতিয়ার হতে পারে।
দুই দেশের মধ্যে ৫২ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের ইতিহাসে এই প্রথম ব্রাজিলের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন।
ব্রাজিলের মন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ যে অসাধারণ অর্থনৈতিক অগ্রগতি দেখিয়েছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের যে দীর্ঘ সময়ের সম্পর্ক তা আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। বিষয়টিকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি, ঢাকায় আমার উপস্থিতি তারই সাক্ষ্য দেয়।’
২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর ভারতের কাছ থেকে জি-২০-র সভাপতির দায়িত্ব পায় ব্রাজিল।
প্রেসিডেন্ট লুলার নেতৃত্বে ব্রাজিল ২০২২ সাল থেকে ৪টি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে তৃতীয় দেশ (ইন্দোনেশিয়া, ভারত, ব্রাজিল এবং আগামী বছর দক্ষিণ আফ্রিকা) হিসেবে এই জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
বৈষম্য বিষয়টিকে অগ্রাধিকারের দিক থেকে সবক্ষেত্রে জি-২০ এর এজেন্ডার কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছে ব্রাজিল।
জি-২০ জোটের সভাপতি হিসেবে ‘একটি ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব এবং টেকসই গ্রহ নির্মাণ’ নীতির অধীনে রাষ্ট্রপতি লুলা তিনটি বিষয়ে সাধারণ অগ্রাধিকার দিয়েছেন- (১) সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই; (২) শক্তি রূপান্তর এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের প্রচার এবং (৩) বৈশ্বিক শাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার।
সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনাগুলো দীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলে মন্তব্য করেন ভিয়েরা।
তিনি বলেন, ‘ক্রমাগত ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্য; বিপর্যয়কর মানবিক পরিণতিসহ সশস্ত্র সংঘাত; জীবনযাত্রার মানে ব্যাপক বিপর্যয়; বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ও ঋণের দুর্বলতা; খাদ্য ও জ্বালানির দামে উচ্চ অস্থিরতা এবং জলবায়ু সংকট তাদের মধ্যে অন্যতম।’
ভিয়েরা আরও বলেন, ‘যদিও এই সংকটগুলো আমাদের সবাইকে প্রভাবিত করে তবে সমানভাবে প্রভাবিত করে না। উন্নয়নশীল দেশগুলোই তাদের ফল ভোগ করে। এমনকি দেশের অভ্যন্তরেও, দরিদ্রতম ব্যক্তিরাই সবসময় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।’
ব্রাজিল বিশ্বাস করে যে জি-২০ হলো এমন একটি ফোরাম যা বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য সম্মিলিত সমাধানকে উৎসাহিত করতে বিশেষভাবে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের জনসংখ্যা এবং জিডিপিতে সম্মিলিত অংশ রাখার পাশাপাশি এর বৈচিত্র্যময় সদস্যপদের কারণে এবং ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বিশ্বব্যাপী এজেন্ডা গঠনে গ্রুপটির অনন্য এবং প্রভাবশালী ভূমিকা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, এই প্রত্যাশা পূরণের জন্য, ব্রাজিল বিশ্বাস করে, জি-২০কে অবশ্যই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতার পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচন করতে হবে।
ব্রাজিল বিশ্বাস করে, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট (ইউএনএফসিসিসি) এবং এর প্যারিস চুক্তির অধীনে সাধারণ লক্ষ্য অর্জনে জি-২০ এর অর্থনীতি-বিস্তৃত প্ল্যাটফর্মগুলোর ভূমিকা এবং আর্থিক খাতের নতুন করে জড়িত হওয়া উচিত।
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আন্তঃসরকারি প্যানেল (আইপিসিসি) নিশ্চিত করেছে যে বিশ্ব একটি জরুরি জলবায়ু পরিস্থিতির মুখোমুখি।
ভিয়েরা বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প স্তরের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়া রোধ করতে মানবজাতির হাতে কেবল এই দশকের শেষ পর্যন্ত সময় রয়েছে। এটি এমন একটি পরিণাম যা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, বাস্তুতন্ত্র ও অবকাঠামোর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকির।
তিনি বলেন, যেভাবে অর্থনীতির কাঠামো এবং আর্থিক ক্ষেত্রগুলো একত্রিত ও পরিচালিত সেক্ষেত্রে গভীর ও ব্যাপক রূপান্তর ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের বিপজ্জনক হুমকির পর্যাপ্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে লড়াই করতে হবে মানব সমাজকে।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী তিন-চতুর্থাংশ গ্রিনহাউস গ্যাসের (জিএইচজি) নির্গমনের জন্য দায়ী এমন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলোকে একত্রিত করার মাধ্যমে অংশীদারিত্ব, উচ্চ স্তরের সমন্বয় এবং নতুন নীতি ঐকমত্যের জন্য অনুঘটক হতে পারে জি-২০ জোট।
এর আগে আজ তিনি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ব্রাজিল ও প্রেসিডেন্ট লুলার প্রতি তার শ্রদ্ধা রয়েছে জেনে আমি আনন্দিত হয়েছি।’
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট লুলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি, নীতি ও অগ্রাধিকার, বিশেষ করে উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার মধ্যে সাদৃশ্যই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ-যুক্তরাষ্ট্রের গেটি ইমেজের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংক্রান্ত ফুটেজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ও যুক্তরাষ্ট্রের ভিজ্যুয়াল মিডিয়া সংস্থা গেটি ইমেজের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত ৫ এপ্রিল নিউ ইয়র্কে গেটি ইমেজ অফিসে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ‘দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে মুক্তিযুদ্ধের অডিও ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল এবং গেটি ইমেজের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির এশিয়া প্যাসিফিক টিভি অ্যান্ড সেলস ডিরেক্টর অ্যারান বার্চেনো সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি জরুরি: নসরুল হামিদ
এ সময় ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সমঝোতা স্মারক সইয়ের আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার গেটি ইমেজেরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশেষ করে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদটি প্রচার হয়। এছাড়াও, মহান মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাসে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানা ছবি ও সংবাদ প্রকাশ করে। এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে গেটি ইমেজ, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভকে এসব অমূল্য দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণের বিষয়ে সহযোগিতা করবে।
এর ফলে, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের প্রকৃত ইতিহাস ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট তুলে ধরার সক্ষমতা অর্জন করবে।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশের আগ্রহকে স্বাগত জানালেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কিউবার রাষ্ট্রীয় পদক পেলেন বাংলাদেশের ২ চিকিৎসা বিজ্ঞানী
কিউবার রাষ্ট্রীয় পদক পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই চিকিৎসা বিজ্ঞানী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল ও জাপানের ঔতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেন্টার ফর গ্লোবাল অ্যান্ড লোকাল ইনফেকশাস ডিজিজেজ-এর ভিজিটিং রিসার্চার ডা. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর।
এ বছরের ১ এপ্রিল কিউবায় রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত তারা।
কিউবার ভারাদেরো শহরে আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেদেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষে তাদের হাতে ‘কার্লোস জে. ফিনলে অর্ডার’ তুলে দেন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী এডওয়ার্ডো মার্টিনেজ ডায়েজ।
‘কার্লোস জে. ফিনলে অর্ডার’ বিজ্ঞানে গবেষণায় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক। এর আগে কিউবার রাষ্ট্রপতি এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারি করেন।
ইয়েলো ফিভারের আবিস্কারক ও নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনিত প্রথম কিউবান নাগরিক কার্লোস জে. ফিনলের নামে কিউবান সরকার এই পদকটি প্রবর্তন করেছেন।
বিজ্ঞানে অবদানের জন্য কিউবার সরকার প্রতি বছর দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানীদের ‘কার্লোস জে. ফিনলে অর্ডার’-এ সন্মানিত করে থাকেন। এছাড়াও ২০১৮ সালে রসায়নে নোবেল বিজয়ী মার্কিন বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জর্জ পি. স্মিথও পদক লাভ করেছেন।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কো পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: মহিবুল হাসান
পদক প্রাপ্তির পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল বলেন, ‘চিকিৎসক এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানীর দ্বৈতসত্তা বজায় রাখাটা এদেশে বিশেষ করে খুবই চ্যালেন্জিং। কিউবার সরকারের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। কারণ এ ধরনের স্বীকৃতি সমস্ত কষ্টকে ভুলিয়ে দিয়ে নতুনভাবে এগিয়ে যেতে উৎসাহ যোগায়।’
উল্লেখ্য, ‘ন্যাসভ্যাক’ নামক হেপাটাইটিস বি’র একটি নতুন ওষুধ উদ্ভাবনের জন্য কিউবান একাডেমি অব সাইন্সেস ২০১৯ সালে অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল ও ডা. আকবরকে কিউবান ও জাপানি কো-রিসার্চারদের সঙ্গে একাডেমি অব সাইন্সেসের সর্বোচ্চ পদক ‘প্রিমিও ন্যাশনাল’ দেয়। এ ছাড়াও অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল ২০২১ সালে বাংলাদেশ একাডেমি অব সাইন্সেসর সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘বাস গোল্ড মেডেল এওয়ার্ড’-এ ভূষিত হন।
‘ন্যাসভ্যাক’ ছাড়াও অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল ফ্যাটি লিভার, লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যন্সার চিকিৎসায় স্টেম সেল এবং হার্বাল মেডিসিন নিয়ে গবেষনা করছেন।
আরও পড়ুন: 'ট্রি অব পিস' পুরস্কার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইউনূস সেন্টার
জুলাইয়ে ব্রাজিল সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রাজিল সফরের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েইরার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান এ সম্ভাবনার কথা জানান।
এর আগে দুই দেশের পক্ষে সামগ্রিক সহযোগিতা বিষয়ে 'টেকনিক্যাল কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট' সই করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. নজরুল ইসলাম, ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা, বাংলাদেশে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্ডো দিয়াস ফারসে এবং উভয় দেশের পদস্থ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশের আগ্রহকে স্বাগত জানালেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘এই প্রথম ব্রাজিলের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন। আমাদের মধ্যে খুব সফল আলোচনা হয়েছে। ব্রাজিল থেকে আমদানি করা তুলা দিয়ে তৈরি পোশাক ব্রাজিলে রপ্তানির ক্ষেত্রে কর মওকুফ ও অন্য পোশাক রপ্তানিতে কর হ্রাসের অনুরোধ জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার গেটওয়ে বাংলাদেশে স্পেশাল অর্থনৈতিক অঞ্চলে চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনসহ নানামুখী বিনিয়োগে এবং আইটি পার্কগুলোতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ব্রাজিলিয়ানদের বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন এবং গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর এমনকি পশ্চিমা এইড-ওয়ার্কারদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর হামলা এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে ইসরাইলের তোয়াক্কা না করার সংকট নিয়েও কথা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রাজিল সফরের সম্ভাবনা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একযোগে কাজ করা, এন্টার্কটিকা কাউন্সিলে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের কাজ ও গবেষণার সুযোগ দান এবং ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশকে ব্রাজিলের সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েইরা তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। আগামীতে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাজিলের সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হবে।
এর আগে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্রাজিল থেকে পশু আনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে শুল্কজনিত সুবিধা দিতে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহ্বান জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
যৌথ সংবাদ সম্মেলন শেষে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরসঙ্গীসহ তার সম্মানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রদত্ত ইফতার ও নৈশভোজে যোগ দেন।
এ দিন সকালে ঢাকায় অবতরণের পর দুপুরে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর মন্ত্রী ভিয়েরা গাজীপুরে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শন ও বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জি২০ এর বর্তমান সভাপতি হিসেবে ব্রাজিলের অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলোর ওপর বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
সোমবার রাতে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সম্মানে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংস্থা এফবিসিসিআই আয়োজিত ইফতার ও নৈশভোজে যোগদান শেষে রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েরার ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আজ
অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশের আগ্রহকে স্বাগত জানালেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কোসার-বাংলাদেশ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিতে (পিটিএ) পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে উভয় পক্ষ একমত প্রকাশ করেন।তারা মনে করেন, এই চুক্তির প্রচেষ্টা বাংলাদেশ, ব্রাজিল ও অন্যান্য মার্কোসার রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ব্যবসার সুযোগ বাড়াবে এবং বেসরকারি খাতের যোগাযোগ জোরদার করবে, যা সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন বাড়াতে অবদান রাখবে।
বৈঠকে যত দ্রুত সম্ভব হয় মার্কোসার-বাংলাদেশ পিটিএ নিয়ে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করার লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মার্কোসার বা সাউদার্ন কমন মার্কেট মূলত আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ে নিয়ে গঠিত একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্লক। এর আগে সহযোগী সদস্য থাকা বলিভিয়া ২০২৩ সালে পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মাউরো ভিয়েরা ও হাছান মাহমুদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে কারিগরি সহযোগিতাবিষয়ক মৌলিক চুক্তি সইকে স্বাগত জানান দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ব্রাজিল থেকে এই প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সফর।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দৈত্যের দল বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈঠকে বাংলাদেশ-ব্রাজিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক উদ্যোগ এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
কৃষি, পশুসম্পদ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, শিক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি রূপান্তর এবং কারিগরি সহযোগিতাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও বিনিময় বাড়ানোর গুরুত্বের বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দুই দেশের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সই হতে যাওয়া ক্রীড়া সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের আলোচনা সম্পন্ন হওয়ায় মন্ত্রীরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান।
প্রস্তাবিত সমঝোতাপত্রটি দীর্ঘ সময় ধরে লালিত জনসাধারণের মধ্যকার স্থায়ী বন্ধনের প্রতিফলন।
বাংলাদেশসহ ব্রিকসের জন্য গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান আগ্রহের কথা স্মরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান।
গ্লোবাল সাউথের উদীয়মান কণ্ঠস্বর হিসেবে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে ব্রিকসে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে বলে আশ্বাস দেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক জোরদার করতে রবিবার সকালে ঢাকায় আসেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাউরো ভিয়েরাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি রবিবার বিকেলে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুও ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করেন হাছান মাহমুদ।
আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর মাউরো ভিয়েরা গাজীপুরে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ফ্যাসিলিটিজ এবং বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শন করবেন।
সোমবার বিকেলে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে জি-২০তে ব্রাজিলের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে একটি বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে। বিকেল ৩টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকায় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে বর্ণনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার সাম্প্রতিক নির্বাচনে জয়লাভের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছিল ব্রাজিল সরকার।
ব্রাজিল উভয় দেশের উন্নয়ন, সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন এবং দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও জলবায়ু সংকটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পক্ষে বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক অব্যাহত রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রাজিল-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হয়েছে।
২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট লুলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক করেন।
গত বছর বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
সোমবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
তাকে বিদায় জানাতে ঢাকা বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (দ্বিপক্ষীয়) ড. নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আজ
নাবিকদের উদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী