বৈদেশিক-সম্পর্ক
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে ভারতে পালিয়ে থাকা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হানিসার প্রত্যর্পণের চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
প্রত্যর্পণের আনুষ্ঠানিক অনুরোধের প্রায় এক বছর পরেও হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের ব্যর্থতার জন্য কোনো অনুশোচনা আছে কিনা—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কে কতটা অনুতপ্ত, তবে আমরা বিষয়টি এভাবেই দেখি- প্রয়োজনে, বিষয়টি (প্রত্যর্পণের অনুরোধ) অনুসরণ করা হবে।’
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতে একটি কূটনৈতিক নোট (নোট ভার্বাল) পাঠিয়েছিল—যেটির সঙ্গে কিছু প্রাসঙ্গিক নথিও ছিল। এতে আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: গুমের সঙ্গে সেনা সদস্যদের জড়িতের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা: সেনা সদর দপ্তর
তিস্তা চুক্তি ও ৩০ বছরের পুরনো গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবায়নের বিষয়ে তৌহিদ হোসেন জোর দিয়ে বলেন, এই ধরণের বিষয়গুলো দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
ঢাকা, বেইজিং এবং ইসলামাবাদের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠক সার্কের বিকল্প জোট হিসেবে করা হয়েছিল—গণমাধ্যমের এমন প্রতিবেদন সম্পর্কে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন স্পষ্ট করে বলেন, এই ব্যাখ্যাটি সঠিক নয়।
তিনি বলেন, বৈঠকটি কখনই সার্কের বিকল্প জোট হিসেবে মনে করা হয়নি। এটি সহযোগিতার কিছু ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি বৈঠক ছিল এবং এটি কোনোভাবেই কোনো জোট ছিল না বলেও জানান তিনি।
১৭৮ দিন আগে
যৌথ চেষ্টায় ডেঙ্গু মহামারিকে জয় করবে বাংলাদেশ: চীন
সরকার, সমাজিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথ চেষ্টায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু মহামারি থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে মনে করছে চীন। ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. লিউ ইউইন বলেন, ‘আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি, প্রতিটি ডেঙ্গু রোগী সর্বোত্তম চিকিৎসা পাবে এবং দ্রুত সেরে উঠবে।’
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ সময় চীন বাংলাদেশের জন্য ডেঙ্গু প্রতিরোধ সামগ্রী হস্তান্তর করে। চীনা সরকার বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ পাওয়ার পরপরই ‘দ্রুত পদক্ষেপ’ নেয় বলেও জানান ড. লিউ।
তিনি বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ৭৮৯ বক্স (১৯ হাজার ৭০০ ইউনিট) ডেঙ্গু র্যাপিড টেস্ট কিট সংগ্রহ করেছি। এ সহায়তা শুধু মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে নয়, বরং দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলনও।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আমাদের বিস্তৃত কৌশলগত সহযোগিতার এটি আরেকটি বাস্তব উদাহরণ।’
চীনা চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বলেন, ডেঙ্গু এখন বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বাংলাদেশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ও বিস্তৃত জলাধার থাকায় এখানে প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ আরও বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাংলাদেশের সরকার যে সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছে—যেমন কীটনাশক ব্যবস্থাপনা, নজরদারি ব্যবস্থা উন্নয়ন, জনসচেতনতা বাড়ানো—তা আমরা আন্তরিকভাবে প্রশংসা করি।’
চীন বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে এবং আরও বেশি মানুষের উপকারে স্বাস্থ্যসেবায় পারস্পরিক বিনিময় ও অংশীদারিত্ব জোরদার করবে বলেও জানান ড. লিউ।
এ সময়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর উপস্থিত ছিলেন।
১৭৮ দিন আগে
বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ভুয়া খবরই আমাদের প্রধান সমস্যা: অধ্যাপক ইউনূস
জাতিসংঘকে বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থা তৈরি করতে এবং নৈতিক মান বজায় রেখে গণমাধ্যমকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইউনেস্কোর কার্যালয় প্রধান ও ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ এবং ইউনেস্কোর সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা মেহেদী বেনচেলাহ।
ইউএনডিপি এবং ইউনেস্কোর যৌথভাবে প্রস্তুত করা 'বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অবস্থার একটি মূল্যায়ন: মুক্ত, স্বাধীন ও বহুমাত্রিক গণমাধ্যমের উপর গুরুত্বারোপ' শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে ইউনেস্কোর কর্মকর্তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সত্যিই প্রতিবেদনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান সমস্যা হলো বিভ্রান্তিকর তথ্য, ভুয়া খবর...এই বিভ্রান্তিকর তথ্যের কিছু অংশ বাইরে বসবাসকারী লোকেরা ছড়িয়ে দেয়। এর সঙ্গে কিছু স্থানীয় মানুষ জড়িত। এটি একটি ক্রমাগত তথ্যবোমা।’
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি নিয়মিত গণমাধ্যমও অনেক বিভ্রান্তির উৎস উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাতিসংঘের ভূমিকা কামনা করেন। বলেন, ‘আপনারা শুধু সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন না, গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলেন।’
আরও পড়ুন: আদালত অবমাননার দায়ে হাসিনার ছয় মাসের কারাদণ্ড
স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি কোনো গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দিতে থাকে—তাহলে সেই গণমাধ্যমকে মনে করিয়ে দেওয়া উচিত যে এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জাতিসংঘ। আপনার কথা খুবই গুরুত্বপূর্ণ...আপনাদের সমর্থন আমাদের প্রয়োজন।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিজস্ব নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি তুলে ধরা হবে বলে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটিতে কী কার্যকর হচ্ছে, আর কী হচ্ছে না—তা তুলে ধরা হয়েছে। এটি মূল্যায়নে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ রয়েছে। এই মানের সঙ্গে অনুশীলনগুলোকে আরও ভালোভাবে মানিয়ে নিতে কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য এবং বিচার বিভাগের সদস্যদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হবে।’
ইউনেস্কোর জ্যেষ্ঠ প্রকল্প কর্মকর্তা মেহেদী বেনচেলাহ বলেন, প্রতিবেদনে সাংবাদিকদের কর্মপরিবেশ সম্পর্কে কিছু সুপারিশ করা হবে—যা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের বিষয় এবং সংবাদ কক্ষে নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত।
তিনি বলেন, এই বিষয়গুলোতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।
কর্মকর্তারা জানান, প্রতিবেদনটি ইউএনডিপির ‘প্রতিষ্ঠান, নীতি ও সেবার সক্ষমতা উন্নয়ন (এসআইপিএস)’ প্রকল্পের আওতায় এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম বিকাশে ইউনেস্কোর দায়িত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে।
১৭৯ দিন আগে
বাংলাদেশকে ডেঙ্গু প্রতিরোধী উপকরণ দিচ্ছে চীন
ডেঙ্গু মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে ডেঙ্গু প্রতিরোধী উপকরণ দিচ্ছে চীন সরকার।
এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে এসব উপকরণ বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে (ডিজিএইচএস) অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. লিউ ইউইন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বর্ষা শুরু হওয়ার পর দেশে ডেঙ্গু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। জুন মাসে মশাবাহিত এই রোগে ১৯ জনের মৃত্যু এবং ৫ হাজার ৯৫১ জন আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা রেকর্ড হয়েছে। এ ছাড়া মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন আক্রান্ত ও ৩ জনের মৃত্যু হয়।
১৮০ দিন আগে
জাতীয় এমএসডিআই প্রতিষ্ঠা সময়োপযোগী ও উপকারী: রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই
সমুদ্র অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নে সহায়তার লক্ষ্যে সামুদ্রিক স্থানিক তথ্য পরিকাঠামো (এমএসডিআই) প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই। বাংলাদেশের ভূপৃষ্ঠ পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ সক্ষমতা অর্জনের পরিকল্পনার প্রেক্ষাপটে তিনি এটিকে সময়োপযোগী ও উপকারী উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধি ও এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন (ইইজেড) পর্যবেক্ষণে ভূপৃষ্ঠ পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ ব্যবস্থার সম্ভাবনাময় অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় এমএসডিআই প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত সময়োপযোগী ও উপকারী হবে।’
গত জুনে ফ্রান্সের নিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনের (ইউএনওসি৩) পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেলের (আইকিউএসি) সহযোগিতায় ‘ব্লু টক’ সিরিজের এই তৃতীয় আয়োজনটি করে ফরাসি দূতাবাস।
গত বছরের নভেম্বরে ‘সমুদ্র অর্থনীতি’ ও এ বছরের এপ্রিলে ‘স্যাটেলাইট তথ্য প্রয়োগ’ বিষয়ে দুটি আলোচনার পর তৃতীয় দফার এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হলো।
বুধবার (২ জুলাই) ফরাসি দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশে এমএসডিআই উন্নয়ন বিষয়ক এই সেমিনারে নীতিনির্ধারক, গবেষক, জলসীমা জরিপ বিশেষজ্ঞ (হাইড্রোগ্রাফার) ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
আরও জানানো হয়, এমএসডিআই প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্যাটেলাইট ও সামুদ্রিক তথ্যের মানসম্মতকরণ, একীভূতকরণ ও সংরক্ষণ সম্ভব হবে এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক খাতে ব্যবহার উপযোগী তথ্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর জন্য সহজলভ্য হবে।
১৮০ দিন আগে
আগামী বছরের শুরুর দিকেই নির্বাচন: রুবিওকে প্রধান উপদেষ্টা
আগামী বছরের শুরুর দিকেই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাও কামনা করেন তিনি।
সোমবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের সময় এসব বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, আগামী বছরের শুরুর দিকেই নির্বাচন হবে এবং সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপ দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রত্যাশিত সংস্কারে সহায়ক হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার পুনর্গঠনে নির্বাচন কমিশন নিরলস পরিশ্রম করছে, যা পূর্ববর্তী সরকার সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছিল। আমাদের তরুণরা এবার জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দেবে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অধ্যাপক ইউনূস ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ফোনালাপ করেন। এ সময় তারা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ, আন্তরিক ও গঠনমূলক আলোচনা করেন, যা দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে তুলে ধরে বলে জানান তিনি।
আলোচনায় তারা পারস্পরিক আগ্রহের বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। এর মধ্যে ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা, চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া, গণতন্ত্রে উত্তরণের রূপরেখা, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচি এবং আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগকে সমর্থন জানান।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য এবং রেমিট্যান্স আয়ের শীর্ষ উৎস। এ পরিপ্রেক্ষিতে উভয় নেতা শিগগিরই শুল্ক বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের আরও প্রসার ঘটাবে।
অধ্যাপক ইউনূস জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যান্ডাউয়ের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন এবং উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এ ছাড়াও, বাংলাদেশের ওপর পাল্টা শুল্ক ব্যবস্থা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটি কার্যকর পদক্ষেপ প্যাকেজ চূড়ান্ত করতে আপনাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করছি, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।’
রোহিঙ্গা সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের উদার সহায়তার প্রশংসা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র এই মানবিক সহায়তায় সবচেয়ে বড় দাতা হিসেবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান এবং মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে উজ্জ্বল এবং বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে কাজ করছে।
ফোনালাপে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধান উপদেষ্টা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ‘নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি’র জন্য তাদের যৌথ প্রতিশ্রুতিও নিশ্চিত করেন।
দুই নেতা ভূরাজনৈতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন, যার মধ্যে ছিল শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রয়োজনীয়তা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ সফরের জন্য রুবিওকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘এমন সফর আমাদের তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।’
১৮১ দিন আগে
অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো আন্তোনিও রুবিও। এসময় উভয় পক্ষই দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে নিজেদের 'অংশগ্রহণযোগ্য প্রতিশ্রুতি' নিশ্চিত করেন।
ফোনালাপে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধান উপদেষ্টা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে 'নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি’র জন্য তাদের যৌথ প্রতিশ্রুতিও নিশ্চিত করেন।
টেলিফোনে কথোপকথনের পর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করা এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য তাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’
সোমবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তারা এই ফোনালাপ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অধ্যাপক ইউনূস ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৫ মিনিট ধরে ফোনালাপ করেন।
এসময় তারা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ, আন্তরিক ও গঠনমূলক আলোচনা করেন, যা দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে তুলে ধরেন বলে জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্যের শিল্প কৌশল: সারা কুক
১৮১ দিন আগে
বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাটসহ কয়েকটি পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনার মধ্যেই এবার বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে কাপড় ও পাটজাতসহ কিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত।
শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থলপথে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রের নভোসেবা বন্দর ব্যবহার করা যাবে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাটজাত পণ্য, একাধিক ভাঁজের বোনা কাপড়, একক শণ সুতা, পাটের একক সুতা ও ব্লিচ না করা পাটের বোনা কাপড়।
ডিজিএফটি জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। তবে, এসব পণ্য পুনরায় রপ্তানি করা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে ভারতের কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের আমদানি তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
এ বছরের শুরুর দিকেও ভারত একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা
গত ১৭ মে নিজেদের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল দেশটি।
তার আগে, ৯ এপ্রিল মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও অন্যান্য অঞ্চলে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানির জন্য দেওয়া ট্রান্স-শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে দেশটি। তবে ওই সিদ্ধান্ত নেপাল ও ভুটানের জন্য প্রযোজ্য নয় বলে জানিয়েছিল ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ছিল প্রায় ১ হাজার ২৯০ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ১৪৬ কোটি ডলারের, আর বাংলাদেশ থেকে আমদানি হয়েছে ২০০ কোটি ডলারের পণ্য।
১৮৪ দিন আগে
শুল্ক চুক্তি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে ঢাকা
পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি চূড়ান্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অব্যাহত আলোচনায় রয়েছে বাংলাদেশ।
সর্বশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার, যেখানে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চ।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাডের সাবেক বাণিজ্যনীতি প্রধান ড. রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় খুব ভালো অগ্রগতি হয়েছে। উভয় পক্ষ দ্রুততম সময়ে চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: চীন-মার্কিন শুল্ক হ্রাসে বাজারে স্বস্তি এলেও কাটছে না অনিশ্চয়তা
১৮৪ দিন আগে
ঢাকার সঙ্গে সব বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনায় প্রস্তুত ভারত: রণধীর জয়সওয়াল
পারস্পরিক লাভজনক সংলাপের অনুকূল পরিবেশে বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
শুক্রবার (২৭ জুন) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি নবায়ন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রণধীর বলেন, ‘আমরা গঙ্গাসহ একে অপরের সঙ্গে ৫৪টি নদীর পানি ভাগাভাগি করি। আর এসব নিয়ে আলোচনার জন্য দুই দেশের যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি) রয়েছে।’
পানি বণ্টনসহ এ ধরনের ইস্যুতে ভারতের অভ্যন্তরে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ করে নিজেদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয় বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি কলকাতায় জয়েন্ট রিভার কমিশনের ৮৬তম বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের কর্মকর্তারা ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি নবায়নের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। আগামী বছর এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান বৈঠক প্রসঙ্গে ভারত
গত ১৯ জুন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। চীনের কুনমিংয়ে ‘নবম চায়না-সাউথ এশিয়ান এক্সপজিশন অ্যান্ড দ্যা সিক্সথ চায়না-সাউথ এশিয়া কো-অপারেশন’ শীর্ষক বৈঠকের সাইডলাইনে তিন দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ আমাদের মূল্যবান অংশীদার: ড. ইউনূসকে কসোভোর রাষ্ট্রদূত
ওই ত্রিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘আশপাশের অঞ্চলের ঘটনাপ্রবাহে আমরা সবসময় নজর রাখি। কারণ এগুলো আমাদের স্বার্থ ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক, তা আলাদা আলাদা ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু সেই সম্পর্ক বিচার করার সময় আমরা পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটও বিবেচনায় নিয়ে থাকি।’
ওই বৈঠক নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন নিশ্চিত করেন, চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো নতুন জোট গঠনের উদ্যোগ নেই এবং এটি ভারতের বিরুদ্ধেও কিছু নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো জোট করছি না। এটি রাজনৈতিক নয়, কেবল দাপ্তরিক পর্যায়ের একটি বৈঠক। এখানে কোনো জোট গঠনের বিষয় নেই।’
বৈঠকটি ভারতের ওপর কৌশলগত চাপ তৈরির উদ্দেশ্যে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই না। এটি আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি। টার্গেট করার বিষয় এখানে নেই।’
বাণিজ্য ইস্যুতে ভারতের অবস্থান
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রণধীর বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ন্যায়বিচার, সমমর্যাদা এবং পারস্পরিক চাওয়ার ভিত্তিতেই ভারতে সংশোধিত বাণিজ্যিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্যের শিল্প কৌশল: সারা কুক
তিনি জানান, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা এসব বিষয়ের সমাধানের অপেক্ষায় রয়েছে ভারত।
মুখপাত্র বলেন, ‘এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আগেও বহুবার গঠনমূলক বৈঠকে আলোচনা করেছি, এমনকি সচিব পর্যায়েও।’
সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের প্রতিক্রিয়া
ঢাকার খিলক্ষেতে দুর্গা মন্দির ধ্বংস প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, কট্টরপন্থিরা সেখানে একটি মন্দির ভাঙার দাবি তুলেছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকার মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে উল্টো অবৈধ জমি ব্যবহারের যুক্তিতে সেটি ভাঙার অনুমতি দিয়েছে।’
মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত হতাশ যে বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়, তাদের সম্পত্তি ও উপাসনালয়গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তী সরকারেরই দায়িত্ব।’
১৮৫ দিন আগে