বৈদেশিক-সম্পর্ক
বাংলাদেশ আমাদের মূল্যবান অংশীদার: ড. ইউনূসকে কসোভোর রাষ্ট্রদূত
‘জুলাই অভ্যুত্থানের’ চেতনার কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কসোভোর জনগণের স্বাধীনতা, শান্তি ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত লুলজিম প্লানা।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কসোভোর রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের মূল্যবান অংশীদার।’
ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের গ্রামীণ ট্রাস্ট কসোভোর স্বাধীনতা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে সশস্ত্র সংঘাতের পর আমাদের জীবন পুনর্গঠনে গ্রামীণ কসোভো বড় ভূমিকা রেখেছে। সেই সময় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরাও আমাদের পাশে ছিল।’
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কসোভো বর্তমানে দেশটির সর্ববৃহৎ মাইক্রোক্রেডিট প্রতিষ্ঠান, যা ২০টি পৌরসভায় ২১৯টি গ্রামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং এর ৯৭ শতাংশ ঋণগ্রহীতা নারী। বাংলাদেশের গ্রামীণ ট্রাস্ট এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: সেন্ট মার্টিনকে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ওই সময় কসোভো ছিল একেবারে বিপর্যস্ত। পুরুষেরা তখনও ফেরেনি, কোনো মুদ্রা-ব্যাংকিং ব্যবস্থা ছিল না। আমরা সেখানে শূন্য থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করি।’
সাক্ষাৎকালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে উভয়পক্ষ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব দেন।
প্রধান উপদেষ্টা তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও হালকা প্রকৌশল খাতে পারস্পরিক বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি কসোভোর বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত প্লানা দুই দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদার এবং পারস্পরিক বাণিজ্য-অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়ানোর আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগ এবং কসোভোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ ও সম্পর্ক জোরদার করা প্রয়োজন। এ জন্য স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও শিক্ষাবৃত্তি চালুর প্রস্তাবও দেন তিনি।
১৮৭ দিন আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্যের শিল্প কৌশল: সারা কুক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, যুক্তরাজ্যের আধুনিক শিল্প কৌশল বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিদ্যমান শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও বৃদ্ধি সহায়তা করবে।
নতুন কৌশল সম্পর্কে মঙ্গলবার (২৪ জুন) মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দশ বছরের পরিকল্পনায় যুক্তরাজ্যের আধুনিক শিল্প কৌশল হলো অবকাঠামো শক্তিশালী করা ও ব্যবসায়িক খরচ কমানো এবং নিয়ন্ত্রণ সহজ করা। কৌশলটি যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ককে জোরদারে সহায়তা করবে।’
২৩ জুন প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের আধুনিক শিল্প কৌশলে যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি এবং যুক্তরাজ্যকে ব্যবসায় শীর্ষস্থানীয় করে তুলতে একটি দশ বছরের পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে।
এতে নির্দিষ্ট খাতে সহায়তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেটি বাড়ার সর্বাধিক সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে এমন সংস্কার প্রবর্তন করা—যা সব ধরনের ব্যবসার জন্য এগিয়ে যাওয়াকে সহজ করে তুলবে।
আটটি খাতকে নিয়েই যুক্তরাজ্যের এই পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনায় দেশটির শক্তিশালী এবং দ্রুত প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। খাতগুলো হলো- উন্নত উৎপাদন, ক্লিন এনার্জি ইন্ড্রাস্ট্রি, সৃজনশীল শিল্প, প্রতিরক্ষা, ডিজিটাল ও প্রযুক্তি, আর্থিক পরিষেবা, জীবন বিজ্ঞান এবং পেশাদার এবং ব্যবসায়িক পরিষেবা।
প্রতিটি প্রবৃদ্ধি ক্ষেত্রের নির্দিষ্ট ১০ বছরের পরিকল্পনা রয়েছে, যা বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে, প্রবৃদ্ধি সক্ষম করবে এবং উচ্চমানের ভালো বেতনের কর্মসংস্থান তৈরি করবে।
পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ব্যাপক সহযোগিতা আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমি: সারা কুক
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, এই শিল্প কৌশলটি যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং অতীতের স্বল্পমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি ও অস্থায়ী সমাধান থেকে একটি স্পষ্ট বিরতি।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতার এই যুগে এটি যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিশ্চয়তা ও দিকনির্দেশনা দেবে—যা তাদের বিনিয়োগ, উদ্ভাবন এবং ভালো কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সহায়তা করবে। ফলে পরিবর্তনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মানুষের পকেটে আরও টাকা আসবে।
সারা কুক বলেন, ‘এভাবেই আমরা যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যতকে শক্তিশালী করি। আমরা যে খাতগুলোতে নেতৃত্ব দিচ্ছি—সেগুলোকে সমর্থন করে, আমাদের পেছনে থাকা বাধাগুলো সরিয়ে শ্রমজীবীমানুষের জন্য একটি কার্যকর ও শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য একটি স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করে। আমাদের বার্তা স্পষ্ট—যুক্তরাজ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে, ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত।’
কৌশলের সাহসী কর্মপরিকল্পনায় যা রয়েছে-
২০২৭ সাল থেকে বৃদ্ধির খাত এবং মৌলিক শিল্পে বিদ্যুৎ ব্যবহারে নির্ভরশীল উৎপাদকদের জন্য বিদ্যুৎ খরচ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হবে। এর ফলে ইউরোপের অন্যান্য প্রধান অর্থনীতির সঙ্গে খরচের পার্থক্য কমে আসবে।
ব্রিটিশ বিজনেস ব্যাংকের(বিবিবি) আর্থিক সক্ষমতা ২ হাজার ৫৬০ কোটি পাউন্ডে উন্নীত করে উদ্ভাবনী ব্যবসার জন্য বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য শত শত কোটি পাউন্ডের তহবিল উন্মুক্ত করা, বেসরকারি মূলধনে আরও কয়েশ’ কোটি পাউন্ড জমা করা। এর মধ্যে রয়েছে—শিল্প কৌশল খাতের জন্য অতিরিক্ত ৪০০ কোটি পাউন্ড, বেসরকারি মূলধনে আরও শতকোটি পাউন্ড জমা করা। মূলত, বিবিবি ভেঞ্চার ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগ করে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে উচ্চ-প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাময় কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করবে। ব্যবসার জন্য নিয়ন্ত্রণের প্রশাসনিক খরচ ২৫ শতাংশ কমিয়ে ও নিয়ন্ত্রকের সংখ্যা কমিয়ে বোঝা কমানো।
২০২৯-৩০ সালের মধ্যে গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যয় প্রতি বছর ২ হাজার ২৬০ কোটি পাউন্ডে উন্নীত করা—যাতে আইএস-৮ জুড়ে উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। ব্যয় পর্যালোচনা অনুসারে এআই-এর জন্য ২০০ কোটি পাউন্ডেরও বেশি এবং আগামী ১০ বছরে উন্নত উৎপাদনের জন্য ২৮০ কোটি পাউন্ড থাকবে।
এটি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শত শত কোটি ডলারের বেশি লাভ করবে। নিয়ন্ত্রক পরিবর্তনগুলো দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প এবং জৈবপ্রযুক্তি এআই এবং চালকবিহীন যানবাহনের মতো উদ্ভাবনী পণ্যগুলোর পথকে আরও প্রশস্ত করবে।
আমাদের মূল খাতে ভিসা, অভিবাসন সংস্কার এবং নতুন গ্লোবাল ট্যালেন্ট টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রতিভা আকর্ষণ করা। টাস্কফোর্স ও ৫৪০ কোটি পাউন্ডের একটি গ্লোবাল ট্যালেন্ট ফান্ড শীর্ষ প্রতিভাদের যুক্তরাজ্যে স্থানান্তরে সহায়তা করবে।
আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও শিল্প সহযোগিতা গভীরতর করতে জাপান এবং সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে করা চুক্তিগুলোর উপর ভিত্তি করে শিল্প কৌশল অংশীদারত্ব গড়ে তোলা।
১৮৭ দিন আগে
আগস্টে ইন্দোনেশিয়া সফর করতে পারেন অধ্যাপক ইউনূস
আগামী আগস্টে ইন্দোনেশিয়ায় একটি সরকারি সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের। বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম দেশটির মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে দেশ দুটি।
দেশ দুটির কর্মকর্তারা উভয় পক্ষের জন্য সুবিধাজনক একটি তারিখ নির্ধারণের জন্য কাজ করছেন বলে একটি কূটনৈতিক সূত্র সোমবার (২৩ জুন) ইউএনবিকে জানিয়েছে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ঢাকার সঙ্গে জাকার্তা তার সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী।
কর্মকর্তাদের মতে, সফরে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা প্রধান হিসেবে গুরুত্ব পাবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে মতামত চেয়েছে।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ সিপিসির
প্রধান উপদেষ্টা তার অন্যান্য ব্যস্ততার পাশাপাশি পরিকল্পিত সফরের সময় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রাবোও সুবিয়ান্তোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশ সফরকারী ইন্দোনেশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরমানাথ ক্রিশ্চিয়াওয়ান নাসির বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে তাদের 'কৌশলগত' এবং 'গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার' হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বাংলাদেশে ভবিষ্যতে বিনিয়োগের জন্য উভয়ের লাভজনক ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণে তার দেশের প্রস্তুতি ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন, জ্বালানি সঞ্চয় এবং জ্বালানি অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
গত ২ জুন নাসিরের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে প্রধান উপদেষ্টা হিসেব দায়িত্ব গ্রহণের আগে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বেশ কয়েকবার ইন্দোনেশিয়া সফর করেছিলেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে ঢাকা এবং জাকার্তা তাদের ধর্মীয়, ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক পটভূমি সত্ত্বেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেনি।
‘আমাদের অবশ্যই সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে হবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক সফরসহ আরও বেশি করে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে বিনিময়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে প্রস্তুত।’
১৮৮ দিন আগে
আগামী সপ্তাহে ইরান থেকে প্রথম দফায় দেশে ফিরবেন বাংলাদেশিরা
ইরান থেকে প্রথম দফায় কয়েকজন বাংলাদেশি আগামী সপ্তাহে দেশে ফিরে আসতে পারেন।
রবিবার (২২ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাহ আসিফ রহমান জানান, ইরান-ইসরায়েলের সংঘর্ষের কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।কিভাবে তাদের আনা হবে, সেটাও নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, সোমবার (১৬ জুন) ইরানে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু করেছে তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা
ইরানে বসবাসরত সকল বাংলাদেশি নাগরিক ও বাংলাদেশে তাদের স্বজনদের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে তেহরানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকায় স্থাপন করা হটলাইনে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
হটলাইন নাম্বারগুলোর হোয়াটসঅ্যাপে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস, তেহরান- হটলাইন:১. +৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮২। +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা- হটলাইন:+৮৮০১৭১২০১২৮৪৭
১৮৯ দিন আগে
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
রবিবার (২২ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাহ আসিফ রহমান বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা ইতোমধ্যে অস্থির একটি অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি বাড়াচ্ছে।’
বাংলাদেশ তার দীর্ঘদিনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে সংলাপ ও কূটনীতির কোনো বিকল্প নেই।
আসিফ রহমান বলেন, ‘আমরা সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি এবং এমন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার অনুরোধ করছি, যা এই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।’
আরও পড়ুন: আদর্শ নাকি নমনীয়তা, কোন পথে যাবেন খামেনি
তিনি একটি লিখিত বিবৃতি পড়ে শোনান, যেখানে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে—তারা যেন সক্রিয়ভাবে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে কার্যকর উদ্যোগ নেয়।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, গঠনমূলক সংলাপ, পারস্পরিক সম্মান এবং আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি মেনে চলাই দীর্ঘস্থায়ী শান্তির একমাত্র পথ।’
আরও পড়ুন: মার্কিন হামলার শিকার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সম্পর্কে যা জানা প্রয়োজন
এদিকে, ইরান থেকে প্রথম ধাপে বাংলাদেশিদের একটি দল আগামী সপ্তাহে দেশে ফিরতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
১৮৯ দিন আগে
নির্বাচনের প্রস্তুতি: ইসি ও সুশীল সমাজের সঙ্গে কাজ করছে ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও সুশীল সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
রবিবার (২২ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকায় ইউরোপীয় দূতাবাস এমন তথ্য জানিয়েছে।
ইইউ দূতাবাস বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশের জন্য আরও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে সুশীল সমাজকে ক্ষমতায়নে কাজ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি ও এর অংশীদাররা।
ইউরোপীয় পার্টনারশিপ ফর ডেমোক্রেসির (ইপিডি) সহায়তায় এর অংশীদার সংগঠন আনফারেল ১৮ থেকে ২০ জুন ঢাকায় তিনদিনব্যাপী একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করে। এর বিষয়বস্তু ছিল নাগরিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে নতুন প্রস্তাবে তিনটি বাদে সব দল একমত: জোনায়েদ সাকি
ইইউ দূতাবাস জানায়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সক্রিয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে সব অংশগ্রহণকারী একমত পোষণ করেছেন।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের জন্য সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রণয়নে সহযোগিতা এবং এতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনের কথা স্বীকার করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন।
১৮৯ দিন আগে
ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তুরস্কের ইস্তানবুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা—ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ৫১তম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তার বক্তব্যে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বেআইনি ও আগ্রাসী সামরিক হামলার তীব্র নিন্দা জানান। এ আগ্রাসনকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং ইরানের সার্বভৌমত্বের মারাত্মক লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের এ ধরনের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করার হুমকি সৃষ্টি করেছে।’
তিনি অবিলম্বে এ ধরনের উস্কানি বন্ধের আহ্বান জানান এবং কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে শান্তি নিশ্চিত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার সময় ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র: টামি ব্রুস
অবিলম্বে ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে বন্ধেরও আহ্বান জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) ও আইসিসির মাধ্যমে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার দাবিতে ওআইসিকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার থাকতে হবে। আমাদের সংহতিকে অবশ্যই কৌশলগত এবং টেকসই পদক্ষেপে রূপান্তরিত করতে হবে।’
এ সময় রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টিও তার বক্তব্যে উঠে আসে। আইসিজেতে ওআইসির আইনি উদ্যোগ এবং ওআইসি টেন ইয়ার প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনে রোহিঙ্গা ইস্যুকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত লক্ষ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য ওআইসির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি আইসিজেতে চলমান আইনি কার্যক্রমে অর্থায়নে সহায়তা করতে তিনি আহ্বান জানান।
মুসলিম বিশ্বের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও ইসলামভীতি মোকাবিলায় আরও বিস্তৃত ও কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য ওআইসিকে আহ্বান জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের উচিত ওআইসির প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, জবাবদিহিতা এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করা।’
সম্মেলনের সাইডলাইনে মালয়েশিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি উটামা হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসান, ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফুয়াদ হোসেন, উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইদভ বাখতিয়র ওদিলোভিচ এবং পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন মো. তৌহিদ হোসেন।
১৯০ দিন আগে
আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র: টামি ব্রুস
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং দুদেশের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান ব্যবসা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ জুন) ওয়াশিংটন ডিসিতে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টামি ব্রুস। সম্প্রতি বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফার ল্যান্ডোর মধ্যকার বৈঠক নিয়ে কথা বলেন তিনি।
পড়ুন: সন্তান জন্মদানের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে ভিসা নবায়নের ঝুঁকি: দূতাবাসের সতর্কতা
টামি ব্রুস বলেন, ‘বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছেন ল্যান্ডো এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। তারা বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণসহ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন।’
ড. খলিলুর রহমান এবং মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময়ে বাংলাদেশের প্রতি অব্যাহত মার্কিন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।’
তারা রোহিঙ্গা সংকট, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান শুল্ক আলোচনা, দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
১৯০ দিন আগে
বাংলাদেশকে চাপে রাখতেই পুশইন করছে ভারত: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করতে ও এ দেশের সরকারকে চাপে রাখতেই সীমান্ত দিয়ে অব্যাহত পুশইন করছে ভারত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২০ জুন) রাতে ঠাকুরগাঁও শহরে নিজের কালিবাড়িস্থ বাসভবনে জেলার আলেম-ওলামাদের নিয়ে নৈশভোজের আয়োজনে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সামনে এখন একটি কঠিন সমস্যা দেখা দিয়েছে। সীমান্ত দিয়ে ভারত নিয়মিত পুশইন করে যাচ্ছে। জনগণকে ধরে নিয়ে এসে জোর করে আমাদের দেশে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’
‘ন্যায্য পানির হিস্যা ভারত আমাদের দেয়নি। তার ওপর তারা আমাদের বর্ডারে পাখির মতো মানুষ মারে ও অবৈধ পুশইন করে। এতদিন এগুলো তারা করেনি, যেহেতু আওয়ামী সরকারকে এদেশ থেকে উৎখাত করা হয়েছে এবং হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, তাই তারা এসব শুরু করেছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী সরকারের আমলে সারা বাংলাদেশে জঙ্গি নাটক সাজানো হয়েছে। র্যাবের লোকদের মাধ্যমে জঙ্গি মতবাদ দিয়ে মাদ্রাসার এতিম ছেলেদেরকে নিয়ে গিয়ে তাদের হাতে লিফলেট ঢুকিয়ে তাদের হত্যা করেছে। এসব ঘটনা বিগত আওয়ামী সরকার একটা না হাজারটা ঘটিয়েছে।’
আরও পড়ুন: লন্ডন বৈঠকের পর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আশা বাড়ছে: ডা. জাহিদ
মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের সময়ে শেখ হাসিনা সরকার যে হত্যাকান্ড চালিয়েছে, এরকম হত্যাকান্ড তারা আগেও একটি ঘটিয়েছিল। সেটি হলো—শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ড। রাতের অন্ধকারে মেশিনগান দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তারা।’
‘যেসব ছেলেরা অভ্যুত্থানের সময় বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে, সেসব ছেলেদের রক্তের বিনিময়ে সাধারণ জনগণের রক্তের বিনিময়ে আমরা সেই অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছি। তাদের রক্তের বিনিময়ে আল্লাহ আমাদের একটা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন,’ যোগ করেন তিনি।নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে প্রফেসর ইউনূসের যে বৈঠক হয়েছে, তাতে সম্ভাব্য একটি নির্বাচনের সময় উঠে এসেছে। ফেব্রুয়ারি মাস সে সময় হিসেবে ঘোষণা হয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সঠিক দেশ নেতাকে বেছে নেওয়ার অধিকার ফিরে পাবো।’
এসময় আরও ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরীফসহ জেলার আলেম-ওলামারা।
১৯০ দিন আগে
ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের অঙ্গীকার
ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতা বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তান। সেই সঙ্গে পরস্পরের প্রতি প্রতিবেশীসুলভ আচরণ, পারস্পরিক আস্থা, সমতা, উন্মুক্ততা, অন্তর্ভুক্তি ও যৌথ উন্নয়নের নীতির ভিত্তিতে এই সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে দেশ তিনটি।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের কুনমিং শহরে গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে তিন দেশই জোর দিয়ে বলেছে, চীন-বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ সহযোগিতা সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতা ও উন্মুক্ত আঞ্চলিকতাকে অনুসরণ করে। এই সম্পর্ক যে তৃতীয় কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে নয়, তা-ও উল্লেখ করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী, চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইদং এবং পাকিস্তানের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী অংশ নেন। বৈঠকের প্রথম ধাপে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালোচও অংশগ্রহণ করেন।
তবে বৈঠকের ফলাফলের বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য আসেনি।
সান ওয়েইদং বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভবিষ্যতের এক অভিন্ন সমাজ গড়তে চীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তান—উভয়ই চীনের ভালো প্রতিবেশী, বন্ধু ও অংশীদার। পাশাপাশি তারা উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারও বটে।’
চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্লোবাল সাউথের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং আঞ্চলিক অন্যতম প্রধান দেশ হিসেবে এই তিন দেশের সামনেই রয়েছে জাতীয় পুনরুত্থান ও আধুনিকায়নের লক্ষ্য, যা অর্জনে প্রয়োজন শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ।
ওয়েইদং বলেন, ‘চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ সহযোগিতা তিন দেশের জনগণের অভিন্ন স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং তা আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।’
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এই ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতার মূল লক্ষ্য বলে জানান তিনি।
তিনটি দেশই শিল্প, বাণিজ্য, সামুদ্রিক বিষয়, পানিসম্পদ, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি, মানবসম্পদ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও তরুণ সমাজসহ বিভিন্ন খাতে প্রকল্প অনুসন্ধান ও বাস্তবায়নে একমত হয়েছে।
বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য একটি কর্মী দল (ওয়ার্কিং গ্রুপ) গঠন করতেও সম্মত হয়েছে তারা।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বৈঠক ছিল বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান ত্রিপাক্ষিক ব্যবস্থার ‘প্রথম বৈঠক’।
দেশটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এই বৈঠকে আঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদার এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নানা ক্ষেত্র, যেমন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কৃষি, ডিজিটাল অর্থনীতি, পরিবেশ সুরক্ষা ও সমুদ্রবিজ্ঞান, সবুজ অবকাঠামো, সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সহযোগিতা গভীরতর করার বিষয়ে একমত হয়েছে তিন দেশ।
আরও পড়ুন: এশিয়ায় নেতৃত্ব দেবে জাপান, বাংলাদেশকে সহযোগিতা বাড়ানোর আশায় ড. ইউনূস
বৈঠকের ফাঁকে কুনমিংয়ে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপ-প্রধানমন্ত্রী হাজি মৌলবি আব্দুল সালাম হানাফির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সান ওয়েইদং। তিনি রুহুল আলম সিদ্দিকী ও ইমরান আহমেদ সিদ্দিকীর সঙ্গেও পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
১৯১ দিন আগে