বৈদেশিক-সম্পর্ক
প্রবাসীদের হাত ধরে দেশের ভবিষ্যৎ গড়বে ‘ব্রিজ টু বাংলাদেশ’: হাইকমিশনার
বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক বাংলাদেশি প্রবাসীদের পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে ‘ব্রিজ টু বাংলাদেশ’ নামে নতুন একটি উদ্যোগ চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত দেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম।
শনিবার (২৪ মে) লন্ডনে অক্সফাম বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই উদ্যোগ চালু করা হয়। আবিদা ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রবাসীরা শুধু টাকা পাঠান না, তারা কমিউনিটি গড়েছেন, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছেন, আর সব সংকটে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন।’
প্রবাসীদের এই অবদানকে ব্রিজ টু বাংলাদেশ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ রচনায় অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো বলে মত দেন তিনি। বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত প্রবাসী কমিউনিটি হিসেবে ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা এবং বাংলাদেশ উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের প্রবাসী ও অক্সফাম একসঙ্গে কাজ করছে।
যুক্তরাজ্যে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ বাংলাদেশির বসবাস। রাজনীতি, ব্যবসা, একাডেমিয়া— সবক্ষেত্রে তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি রয়েছে।
টাওয়ার হ্যামলেটস, বার্মিংহাম, লুটন প্রভৃতি এলাকায় তারা নীতি-নির্ধারক, রাজনীতিক, উদ্যোক্তা, একাডেমিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, স্বাস্থ্যকর্মী ও জননেতা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন: ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে থাইল্যান্ডের গ্র্যান্ড মুফতির সাক্ষাৎ
যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে বছরে ১৫০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসে, যা যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ব্রিজ টু বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য প্রবাসীদের সম্পদ, দক্ষতা, বিনিয়োগ ও সমর্থন বাংলাদেশের জাতীয় অগ্রাধিকারের সঙ্গে যুক্ত করা। এর মধ্যে রয়েছে জলবায়ু সহনশীলতা, লিঙ্গ সমতা, মানবিক কর্মকাণ্ড এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি।
প্রবাসী সম্পর্ককে আবেগ ও রেমিট্যান্সের বাইরে নিয়ে যাওয়া উদ্দেশ্যে এই অনুষ্ঠানে নীতিনির্ধারক, কূটনীতিক, প্রবাসী নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্য, একাডেমিক, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের সমাজ-পরিবর্তকরা একত্রিত হন।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, প্রবাসী সম্পৃক্ততা এখন নতুনভাবে বিকশিত হওয়া উচিত।
অক্সফাম ও বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের কাছে বৈশ্বিক নাগরিকদের ক্ষমতা কাজে লাগানোর কোনো শক্তিশালী কাঠামো নেই। ব্রিজ টু বাংলাদেশ সেই শূন্যতা পূরণ করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য ব্যারোনেস পোলা উদ্দিন এই উদ্যোগকে ‘সমষ্টিগত স্বপ্নের একটি সময়োপযোগী কাঠামো’ বলে প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা বাংলাদেশের সম্প্রসারণ নয়, বাংলাদেশেরই অংশ।’
স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের (এসওএএস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন) অধ্যাপক নওমি হোসেন বলেন, ‘মর্যাদা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্তি হতে হবে সমতার ভিত্তিতে।’
অক্সফাম জিবির প্রধান নির্বাহী হালিমা বেগম বলেন, ‘পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে অক্সফাম বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। আজ আমরা গর্বের সঙ্গে প্রবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশ সবসময় যাদের হৃদয়ে জায়গা পেয়েছে।’
এ সময় প্রজন্মগত সেতুবন্ধন গড়তে এ উদ্যোগে দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্রিটিশ বাংলাদেশিদেরও আহ্বান জানানো হয়। জ্ঞান বিনিময়, বিনিয়োগ, যুবসম্পৃক্ততা, কূটনীতি ও বৈশ্বিক সমর্থনের মাধ্যমে এই উদ্যোগটি একটি বহুমুখী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশে যুক্ত হওয়ার স্পষ্ট ও বাস্তব পথ তৈরি করবে বলে উদ্যোগ সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেন।
অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশীষ দমলে বলেন, ‘এটি শুধু অতীতের স্মৃতিচারণ নয়—এটি দেশগড়ার প্রয়াস। প্রবাসীরা কেবল অর্থ নয়, নতুন ধারণা, নেটওয়ার্ক ও প্রভাবও দিতে পারে। আমরা সেই সম্ভাবনা উন্মুক্ত করে টেকসই প্রভাব তৈরি করতে চাই।’
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অক্সফাম জিবির প্যাট্রন আজিজ-উর-রহমান। উপস্থাপনায় ছিলেন সংস্থাটির অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের হেড অব ইনফ্লুয়েন্সিং মো. শরিফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে গেছেন ৮২ রোহিঙ্গা: ইউএনএইচসিআর
এতে অংশগ্রহণকারীরা ব্রিজ টু বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হওয়ার অঙ্গীকার করেন। এই উদ্যোগের ওয়েবসাইট ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে। অক্সফাম ও তাদের অংশীদাররা ব্যবসায়ী থেকে শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সব বাংলাদেশিকে এই প্ল্যাটফর্মে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
২১৮ দিন আগে
ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে থাইল্যান্ডের গ্র্যান্ড মুফতির সাক্ষাৎ
থাইল্যান্ডের মুসলিম সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা ও দেশটির গ্র্যান্ড মুফতি আল্লামা আরুন বুনচমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
শুক্রবার (২৩ মে) বিকালে থাইল্যান্ডে গ্র্যান্ড মুফতির দপ্তরে অনুষ্ঠিত এ সাক্ষাতে তারা ধর্ম, সংস্কৃতি, নৈতিকতা, মূল্যবোধের বিকাশ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরিতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ধর্ম উপদেষ্টা গ্র্যান্ড মুফতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি শিগগিরই এদেশ সফরে সম্মতি জানান। এ সময় থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফাইয়াজ মুরশিদ কাজি ও শ্রম কাউন্সিলর ফাহাদ পারভেজ বসুনিয়া উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শায়খ আরুন বুনচম থাইল্যান্ডে সকল ইসলামিক বিষয় তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি আন্তঃধর্মীয় সংলাপ এবং দেশের অভ্যন্তরে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ধর্মীয় দায়িত্বের পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) রমজান প্রচারণা এবং তুরস্কে অধ্যয়নরত থাই মুসলিম শিক্ষার্থীদের সহায়তার মতো উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। সহিংসতা ও দারিদ্র্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থী ও অন্যান্য বাস্তুচ্যূত মানুষের প্রয়োজনীয় সহায়তা করাই এই প্রচারণার লক্ষ্য।
মদিনা ইসলামি বিশ্নবিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রিপ্রাপ্ত এ মনীষী ২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের ১৯তম শাইখুল ইসলাম হিসেবে নিয়োগ পান।
২১৮ দিন আগে
স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে গেছেন ৮২ রোহিঙ্গা: ইউএনএইচসিআর
মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বেশ কিছু রোহিঙ্গা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মংডুতে ফিরে গেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসির)।
সংস্থাটির প্রকাশিত একটি নথি অনুসারে, নিজেদের ব্যবসা শুরু করতে এবং জমিতে চাষাবাদের আশায় ১২ থেকে ১৮ মে সময়ের মধ্যে প্রায় ৮২ জন রোহিঙ্গা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মিয়ানমারের মংডুতে ফিরে গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) প্রকাশিত নথির উল্লেখ করে ইউএনএইচসিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ২০১৭ সালের পর এটিই প্রথম রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ঘটনা।
রাখাইন ও কক্সবাজারের আন্তঃসীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে ইউএনএইচসিআরের সবশেষ তথ্যানুসারে, আশা করা হচ্ছে আরাকান আর্মি (এএ) কিছু নথিপত্র সরবরাহ করবে এবং আরও ৩০ থেকে ৪০ জন রোহিঙ্গা ফিরে যাবে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযানের ফলে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এই বিশাল আকারের বাস্তুচ্যুতির ফলে বাংলাদেশে আগে থেকে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থী জনসংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। যার ফলে মোট রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা দশ লাখ ছাড়িয়েছে।
জানা গেছে, তাদের মধ্যে কয়েকজন তরুণ ২০২৪ সালে জোরপূর্বক নিয়োগের কারণে পালিয়ে আসেন। এখন তারা বিশ্বাস করেন মংডুর পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত যাওয়ার জন্য আরাকান আর্মি ঘুষ গ্রহণ করছে বলে জানা গেছে। তারা কক্সবাজার ক্যাম্পের পরিস্থিতি ও সংগঠিত গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: ইউএনএইচসিআরের সহায়তা চাইলেন অধ্যাপক ইউনূস
ইউএনএইচসিআরের নথি উদ্ধৃত করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রত্যাবর্তনকারীদের সঙ্গে যদিও কোনো জোরজবরদস্তির খবর পাওয়া যায়নি, তবুও আরাকান আর্মি তাদের কী আশ্বাস দিয়েছে—তা এখনও স্পষ্ট নয়।’
এই সপ্তাহে আরাকান আর্মি পাঁচজন ব্যক্তিকে আটক করেছে বলে জানা গেছে—যারা মিয়ানমারে প্রবেশ করেছিলেন। আটকদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি ও একজন নিবন্ধিত শরণার্থী রয়েছেন।
চার বাংলাদেশিকে মুক্তি দেওয়া হলেও রোহিঙ্গা সংগঠিত গোষ্ঠী আরএসও এবং আরসার সঙ্গে যোগসূত্র থাকার সন্দেহে আরাকান আর্মি শরণার্থীকে আটকে রেখেছে। এই ঘটনাটি বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে সীমান্ত পারাপারের ক্ষেত্রে আরাকান আর্মির সন্দেহের তীব্রতার বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে ইতিবাচক মিয়ানমার
২১৮ দিন আগে
কুমিল্লা সীমান্তে ১৩ নারী-শিশুকে পুশ-ইন বিএসএফের
কুমিল্লা সীমান্তে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৩ বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে ভারত থেকে ঠেলে দিয়েছে(পুশ-ইন) ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বৃহস্পতিবার (২২ মে) কুমিল্লা সদর উপজেলার গোলাবাড়ি সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা ১০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএসএফের পুশইন করার চেষ্টা অনাকাঙ্ক্ষিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি জনান, ভোর ৪টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার গোলাবাড়ি সীমান্ত এলাকার দিয়ে অবৈধভাবে বিএসএফ নারী-শিশুসহ ১৩ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করে।
অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় ৬০ বিজিবি টহলদল তাদের আটক করে। এদের মধ্যে পুরুষ ৩ জন, নারী ৩ জন এবং ৭জন শিশু রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে। আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের বিজিবি’র হেফাজতে রাখা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে বিজিবির এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
২২০ দিন আগে
চলতি মাসেই চীনে আম রপ্তানি শুরু
চলতি মাসে চীনে আম রপ্তানি শুরু হবে। টেকসই ও যুগোপযোগী করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ২০৫০ সাল পর্যন্ত সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চয়তা দিতে এ পরিকল্পনার গ্রহণ করা হচ্ছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের মেয়াদেই এ পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে।
বুধবার (২১ মে) বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশের কৃষিকে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তি নির্ভর করতে সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল প্রতিষ্ঠানের সেবাগুলো একটি ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের(এম আই এস) আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিটি ভূমি মৌজাকে ডাটাবেজের আওতায় এনে সার, বীজ, বালাইনাশক, সেচ, ফসল বৈচিত্র্য, আবহাওয়া, রোগবালাই কৃষি সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য সন্নিবেশিত একটি মোবাইল অ্যাপস 'খামারী' চালু করা হচ্ছে। এই অ্যাপসের মাধ্যমে কৃষক তার জমিতে কোন মৌসুমে কী ফসল চাষ করতে হবে—তার পরিচর্যা থেকে শুরু করে ফসল উঠানো পর্যন্ত সকল তথ্য ও সেবা পাবে।
দেশের শিক্ষিত নারী ও তরুণদের কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করবে। কৃষি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বাড়াতে সরকার সচেষ্ট বলেও ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: আম রপ্তানি বাড়াতে এফএও’র সহায়তা চান খাদ্যমন্ত্রী
সচিব জানান, চলতি বছরে দেশে ফসলের উৎপাদন ভালো হয়েছে। ধান ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদন সন্তোষজনক। পঁচনশীল শাক-সব্জি, আলু ও পেঁয়াজ সংরক্ষণে আধুনিক হিমাগার ও সংরক্ষণাগার তৈরি করা হচ্ছে।
গত বছর আগস্টে আকস্মিক বন্যায় দেশের ২৩টি জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। বিশেষ প্রণোদনা ও তদারকির মাধ্যমে সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের সহযোগিতা করা হয়েছে।
সরকারের সঠিক পদক্ষেপ ও নেতৃত্বের কারণ সার ক্রয়ের বিশাল অঙ্কের বকেয়া পরিশোধ করে দেশে সারের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। দেশে বর্তমানে কোনো সার সংকট নেই।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফরের পর বাংলাদেশ থেকে চীনে কৃষি পণ্য বিশেষ করে আম রপ্তানির বিষয়ে সরকার জোড়ালোভাবে কাজ শুরু করে। চলতি মাসেই দেশ থেকে আমের চালান চীনে যাবে। দেশে আম উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ২৭ লাখ টন। বর্তমানে কয়েকটি দেশে আম রপ্তানি হচ্ছে। আমের নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান ও রপ্তানির লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
আমের পাশাপাশি কাঁঠাল ও অন্যান্য ফল রপ্তানির জন্য সরকার কাজ করছে।
চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রণোদনার মাধ্যমে আম চাষে কৃষকদের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে বলে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
২২১ দিন আগে
বাংলাদেশে প্রাণিজ আমিষ রপ্তানিতে আলজেরীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি
বাংলাদেশে প্রাণিজ আমিষ রপ্তানির লক্ষ্যে আলজেরিয়াভিত্তিক বালাত ব্রাদার্স স্লটারহাউস কোম্পানি ও বাংলাদেশের আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মধ্যে একটি রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বুধবার ঢাকায় আলজেরিয়ান দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এ চুক্তির আওতায় প্রতিবছর রপ্তানির পরিমাণ ৩৫ লাখ মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আলজেরিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্য ও রপ্তানি উন্নয়ন মন্ত্রী অধ্যাপক কামাল রেজিগ।
আরও পড়ুন: কালো টাকা সাদা করার সব সুযোগ বাতিলের আহ্বান টিআইবির
চুক্তিতে বালাত গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার লাখদার বালাত ও আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষর করেন।
প্রাথমিকভাবে ১২ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের প্রাণিজ প্রোটিন রপ্তানির জন্য এই চুক্তি করা হয়।
গত তিন বছরে বালাত ব্রাদার্স স্লটারহাউস কোম্পানি বাংলাদেশে মোট ২৫ লাখ মার্কিন ডলারের প্রাণিজ প্রোটিন রপ্তানি করেছে বলে জানায় দূতাবাস।
২২২ দিন আগে
পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে নরওয়ের স্টেট সেক্রেটারির বৈঠক
নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রীর স্টেট সেক্রেটারি স্টাইন রেনাটে হাহেইমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রতিনিধি দলটি সাক্ষাৎ করেন।
এসময় নরওয়ের দূতাবাসের সিনিয়র উপদেষ্টা গানহিল্ড এরিকসেন, ক্রিস্টিন লুন্ডেন ও রাষ্ট্রদূত আরাল্ড গুলব্রাডসেন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, নবায়নযোগ্য শক্তি, বন সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী নবায়নযোগ্য শক্তি নীতির প্রশংসা করে নরওয়েজিয়ান দল।
রিজওয়ানা হাসান জানান, জলবায়ু তহবিলের সুষম বণ্টন, লবণাক্ততা ও বন্যার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সুপেয় পানি ও অভিযোজন প্রকল্পে মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: বড় প্রকল্প অনুমোদনে পরিবেশ রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
বন ও নদী সংরক্ষণ বিষয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশের নদী ও বনাঞ্চল রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। জলবায়ু তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি বড় অংশ এখানেই ব্যয় করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য, ভূমি পুনরুদ্ধার ও বনায়নের মাধ্যমে প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা। এছাড়া কৃষকদের জন্য ক্ষুদ্র কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের পরিবেশগত ও মানবাধিকার সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন রিজওয়ানা হাসান। তিনি উল্লেখ করেন, এই শিল্পে শ্রমিকদের নিরাপত্তা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ দূষণ এখনও উদ্বেগজনক। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংস্কার ছাড়া এটিকে 'সবুজ' হিসেবে প্রচার করা যায় না। এ বিষয়ে যৌথ গবেষণা ও নীতিগত সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন নরওয়ের প্রতিনিধিরা।
নরওয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি ও পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। রিজওয়ানা হাসান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দুর্নীতি কমানোর মাধ্যমে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হলো দুর্বল জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা। আমরা নদী ও বন রক্ষায় কাজ করছি, কিন্তু জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের মতো ক্ষেত্রে পরিবেশ ও মানবাধিকারের প্রশ্নে আপস করব না।
স্টাইন রেনাটে হাহেইম বলেন, নরওয়ে বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজন ও নবায়নযোগ্য শক্তি খাতের অগ্রগতিতে গভীরভাবে সমর্থন জানায়। আমরা টেকসই উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
উভয় পক্ষ জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, বন সংরক্ষণ ও সবুজ শিল্পের প্রসারে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
২২২ দিন আগে
জামায়াতের নারী নেত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক
জামায়াতে ইসলামীর নারী নেত্রীদের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক।
সোমবার (১৯ মে) ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানানো হয়।
এসময় পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
পোস্টে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর নারী সম্প্রদায়ের ব্যস্ততা এবং নীতি সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে তাদের মধ্যে অর্থবহ আলোচনা হয়েছে। যা দলটির নারী সদস্যদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসায় অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলছে ইতালীয় দূতাবাস
২২৩ দিন আগে
পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসায় অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলছে ইতালীয় দূতাবাস
পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসার আবেদনগুলো প্রক্রিয়াকরণে নিয়মিত কাজ করছে বলে জানিয়েছে ইতালি দূতাবাস। চলতি বছরের পারিবারিক নথিগুলো নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রক্রিয়াকরণ ভিসা অফিসের একটি অগ্রাধিকার বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসা আবেদন নিয়ে এ সুখবর দিয়েছে ঢাকার ইতালি দূতাবাস।
কয়েকজন আবেদনকারীর জিজ্ঞাসার পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, পারিবারিক ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াকরণে তাদের ভিসা অফিস ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বর্তমানে চলতি বছরের পারিবারিক ফাইলগুলো নির্ধারিত সময়সীমার প্রক্রিয়াকরণ করা ভিসা অফিসের একটি অগ্রাধিকার, যা এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইনের অধীনে সম্পন্ন হচ্ছে। একইসঙ্গে দূতাবাস ২০২৪ সালের ব্যাকলগ (পিছিয়ে থাকা আবেদন) দূরীকরণের জন্য ধারাবাহিক এবং বিষয়ভিত্তিক অগ্রাধিকার নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করছে।
এর মধ্যে রয়েছে জরুরি নথিগুলোর প্রক্রিয়াকরণ, যেমন শিশু বা মানবিক পরিস্থিতির বিষয়। কিছু আবেদন বিচারিক সিদ্ধান্ত এবং আইনি বিবেচনার কারণে বিশেষ গুরুত্বসহকারে প্রক্রিয়া করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিসা প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ ইতালি দূতাবাসের
দূতাবাস জানায়, কিছু আবেদন বিচারিক আদেশ বা আইনি কারণে বিশেষ গুরুত্বসহকারে প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।
এ ছাড়া, আবেদনকারীদের ধৈর্য ধরতে এবং ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে ভিসা প্রক্রিয়া সংক্রান্ত সর্বশেষ আপডেটের জন্য অপেক্ষা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে ইতালির দূতাবাস।
এ সময় সব আবেদন যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি করা হবে এবং ইতালিতে পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলনের লক্ষ্যে যেসব আবেদন জমা পড়েছে, তা যথাসম্ভব দ্রুত সম্পন্ন করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।
২২৩ দিন আগে
পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে ‘গভীর ও ফলপ্রসূ’ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট সূত্র।
রবিবার (১৮ মে) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন ও ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এ সময় তারা ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় পারস্পরিক স্বার্থ এবং দুই দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয়েও মতবিনিময় হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: জামায়াত আমিরের সাথে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
এদিকে, পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনকে পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে চলছে আলোচনা। তবে এ বিষয়ে এখনো সরকারিভাবে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে, সম্প্রতি জাপানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ফরেন অফিস কনসালটেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) ড. মো. নজরুল ইসলাম।
দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও উচ্চ পর্যায়ের সফর নিয়ে ভবিষ্যতে আরও অগ্রগতি আশা করা হচ্ছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে।
২২৪ দিন আগে