বৈদেশিক-সম্পর্ক
রোহিঙ্গা সংকট সমাধান না হলে পুরো অঞ্চলের সমস্যা হবে: তৌহিদ হোসেন
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি হুঁশিয়ারি করে বলেন, ‘যদি ওই সংকটের সমাধান করা না হয়, তাহলে এটা কেবল বাংলাদেশ না, পুরো অঞ্চলের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।’
রবিবার (৪ মে) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) ‘বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন: আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর প্রভাব এবং ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এমন কথা বলেন।
রোহিঙ্গারা যাতে প্রত্যাশিত অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে নিজভূমিতে ফিরে যেতে পারেন, সেই উপায় খুঁজে বের করার প্রতি জোর দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পরই তারা ফিরে যাবেন।’
‘মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধ, দেশটির অভ্যন্তরে বিভক্তি এবং বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও নাগরিকত্বের নিশ্চয়তার অব্যাহত অনুপস্থিতির কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা এখন সুদূরপরাহত,’ যোগ করেন তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এই সংকটের আমরা এখনো একটি কার্যকর সমাধান খুঁজে পাইনি। রোহিঙ্গাদের ফেরানোর দুটি দিক রয়েছে, একটি হলো অধিকার, অন্যটি নিরাপত্তা। এই বিষয়গুলো নিশ্চিত না হলে রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে না।’
‘তবে আমরা কোনো অযৌক্তিক প্রত্যাশায় নেই। যে-ই নির্যাতন থেকে তারা বাঁচতে চেয়েছিলেন, আমরা কি তাদের সেই জায়গায় ফেরত পাঠাব,’ প্রশ্ন রাখেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান চাইলে মধ্যস্থতায় ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান দেখছেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এ বিষয়ে বাস্তব কোনো ফল আসবে না। দ্বিপাক্ষিক কূটনীতির ওপর বাংলাদেশের প্রাথমিক নির্ভরতা ছিল। আমিসহ অনেকেই সতর্ক করেছিলাম যে, এই ধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।’
‘বছরের পর বছর ধরে চলা দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়াটি নিরর্থক, কেননা একজন রোহিঙ্গাকেও প্রত্যাবাসন করা যায়নি।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘মিয়ানমারে অবশ্যই বাস্তব পরিবর্তন আনতে হবে। সেই পরিবর্তন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হতে হবে। যদিও এটি কঠিন ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। ঐক্যবদ্ধ না হলে এটা সম্ভব হবে না।’
‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অন্যান্য বৈশ্বিক সংঘাতের মধ্যে রোহিঙ্গা সংকটের ওপর থেকে মনোযোগ যেন সরে না যায়, সেটি নিশ্চিত করা জরুরি। রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়ে একটি রোডম্যাপ থাকা দরকার।’
মিয়ানমারে কখনও গণতন্ত্র ছিল না বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশের এই শীর্ষ কূটনীতিক। তিনি বলেন, ‘অং সান সু চির অধীনেও এটি একটি আধা-সামরিক শাসনব্যবস্থা হিসেবে কাজ করেছিল। আমরা এখন যা দেখছি, তা হলো পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধ।’
‘মিয়ানমারের এখন মূল অংশীদার সামরিক জান্তা, আরাকান আর্মি এবং জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি)। যেকোনো স্থায়ী সমাধানে এই তিন পক্ষকেই যুক্ত হতে হবে। বিশেষ করে আরাকান আর্মিকে, যারা এখন রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ করছে,’ বলেন তৌহিদ হোসেন।
২৩৮ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় ‘ভুল সংবাদ’ প্রচারে প্রেস উইংয়ের নিন্দা
ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল আজ তাক বাংলায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদেরকে প্রধান উপদেষ্টার পদক প্রদানের ছবিকে গোপন ছবি বলে প্রচার করা হয়েছে।
রবিবার (৪ মে) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেরিভায়েড ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ঘটনাকে পরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ ও চরম নিন্দনীয় বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রচারিত ওই প্রতিবেদনে পুলিশের ইউনিফর্মকে পাকিস্তানের জেনারেলের পোশাকের সঙ্গে মিল রয়েছে রয়েছে এমন দাবি করে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস কাদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন এমন প্রশ্ন তোলা হয়।
মূলত গত ২৯ এপ্রিল পুলিশ লাইন্সে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের ৬২ জন সদস্যকে পদক প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের অবস্থার পরিবর্তন না হলে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠন সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা
তাদের মধ্যে এই ছবিতে রয়েছেন, তিনজন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক খন্দকার রফিকুল ইসলাম, মোসলেহ উদ্দিন আহমদ ও ছিবগাত উল্লাহ এবং উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক কাজী ফজলুল করিম। তারা প্রত্যেকেই নিজ দায়িত্বে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক পেয়েছেন।
এটি কোন গোপন ছবি নয়। এই ছবিটি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছিলো। আজ তাক বাংলার এই প্রতিবেদন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে জড়িয়েও মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে।
এগুলো সবই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ এবং চরম নিন্দনীয়।
২৩৯ দিন আগে
সরকারি সফরে কাতার গেলেন সেনাপ্রধান
সরকারি সফরে কাতারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার (৩ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সফরকালে কাতারের সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন সেনাপ্রধান। সেইসঙ্গে সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার লক্ষ্যে মতবিনিময়ও করবেন তিনি।
সফর শেষে আগামী ৫ মে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল সরকারি সফরে রাশিয়া এবং পরবর্তীতে গত ১০ এপ্রিল ক্রোয়েশিয়া সফর করেছিলেন ওয়াকার-উজ-জামান।
সফরকালে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর প্রধান, উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এছাড়া ক্রোয়েশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছিল তার।
২৪০ দিন আগে
ভারত নিয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তার মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার
বিডিআর কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এএলএম ফজলুর রহমান তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট থেকে যে মন্তব্য করেছেন, তা একান্তই তার ব্যক্তিগত বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (২ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই মন্তব্যের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই মন্তব্য বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান বা নীতির প্রতিফলন নয়। সরকার কোনোভাবেই এ ধরনের বক্তব্য সমর্থন করে না বা এর সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে না।
এ ছাড়া মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এএলএম ফজলুর রহমানের ব্যক্তিগত মন্তব্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারকে সম্পৃক্ত করা থেকে বিরত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ সব দেশের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, পারস্পরিক সম্মান ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতির প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ফজলুর রহমানের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে না সরকার: শফিকুল আলম
২৪০ দিন আগে
আলজেরিয়ার সঙ্গে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য আলজেরিয়ার সঙ্গে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুলওয়াব সাইদানির সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তিটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকটি মন্ত্রিপরিষদে ইতোমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে। দু'পক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে সুবিধাজনক দ্রুততম সময়ে এটি সই হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশ ছিল আলজেরিয়া। সেজন্য বাংলাদেশ আলজেরিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ।
বৈঠকে দুদেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ইস্যু, পুলিশের প্রশিক্ষণ, আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাস দমন, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ, আলজেরিয়ায় কৃষি শ্রমিক রপ্তানির সম্ভাব্যতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আলজেরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুপ্রতিম দেশ। আমরা পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করতে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা দু'দেশের মধ্যে একটি ফলপ্রসূ সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই। কেননা, পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও এক ধাপ উন্নীত হবে।
উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ, আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাস দমন, নিরাপত্তা ইস্যু, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়সহ বিভিন্ন বিষয়ে দু'দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। বিশেষ করে মানবপাচার প্রতিরোধ ও পারস্পরিক আইনি সহায়তা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠানোর অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দু'দেশের পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পারস্পরিক সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি নিরাপত্তা ও পুলিশিং সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক উন্নত প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, আয়তনে আলজেরিয়া আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় দেশ। দেশটিতে অনেক ভূমি তথা চাষাবাদযোগ্য জমি রয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ আয়তনে ছোট হলেও পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল দেশ।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে কৃষকের সংখ্যা অনেক বেশি। দু'দেশ সম্মত হলে বাংলাদেশ আলজেরিয়াতে দক্ষ কৃষিশ্রমিক রপ্তানি করতে পারে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৪২ দিন আগে
পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা
কাতার সফর ও সদ্য প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে বাংলাদেশ সময় রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ইতালির রোম ত্যাগ করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এমন তথ্য জানিয়েছেন।
শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসও পোপের শেষকৃত্যে যোগ দেন।
গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল )কাতারের দোহা থেকে রোমে যান প্রধান উপদেষ্টা । শনিবার রোমে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ক্যাথলিক চার্চের শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা কার্ডিনাল সিলভানো মারিয়া তোমাসি এবং কার্ডিনাল জ্যাকব কুভাকাড ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
দুই কার্ডিনাল পোপ ফ্রান্সিসের আজীবন দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, যুদ্ধ এবং পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন পৃথিবীর স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন।
তারা অধ্যাপক ইউনূসের কাজের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাকে পোপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সাথে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘পোপ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে আপন করে নিতে পারতেন। তিনি একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন।’
এদিকে, শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যোগদানের পর রোমের একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও লুবেটকিন। তিনি পারস্পরিক সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ করে ঢাকা ও মার্কোসুর সদস্য(দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্য ব্লক) দেশগুলোর মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
বৈঠকে উভয় নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বর্তমান বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি, ল্যাটিন আমেরিকা ও এশিয়ার মধ্যে সহযোগিতার সেতুবন্ধনের বিষয়টিও তাদের আলোচনায় স্থান পায়।
২৪৫ দিন আগে
ভারত-পাকিস্তান চাইলে মধ্যস্থতায় ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি চায় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমনের পক্ষে বাংলাদেশ। দেশদুটি চাইলে বাংলাদেশ তাদের মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে তার আগে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা।’
রোববার (২৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। ‘আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, আমরা শান্তি চাই দক্ষিণ এশিয়ায়। আমরা জানি, বিভিন্ন ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতময় সম্পর্ক আছে,’ বলেন উপদেষ্টা।
‘কিন্তু আমরা চাই না এখানে বড় কোনো সংঘাত সৃষ্টি হোক, যাতে এটা এ অঞ্চলের মানুষের কোনো বিপদের কারণ হয়ে উঠতে না পারে। ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের সঙ্গেই আমাদের সুসম্পর্ক বিদ্যমান।’
আারও পড়ুন: যেকেউ সরকারের সমালোচনা করতে পারছেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চাইব, তারা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান করে ফেলুক। এরইমধ্যে, দুয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব এসেছে। যেভাবেই হোক, মধ্যস্থতার মাধ্যমে বা দ্বিপক্ষীয় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে, আমরা চাই উত্তেজনা প্রশমিত হোক এবং শান্তি বজায় থাকুক।’
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। এক্ষেত্রে বাংলাদেশও মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করতে পারি কি না, প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমি মনে করি না এই মুহূর্তে আমাদের মধ্যস্থতা করার মতো কোনো ভূমিকা নেওয়া উচিত।’
‘আমরা চাইব, তারা নিজেরা সমস্যার সমাধান করুক। তারা যদি আমাদের সহায়তা চায়, আপনারা মধ্যস্থতা করুন তাহলে হয়ত আমরা যাব। কিন্তু তার আগে আমরা আগবাড়িয়ে কিছু করতে চাই না।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে কি না– জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আধুনিক জামানায় সবকিছু সবাইকে কমবেশি প্রভাবিত করে। কাজেই কোনো কিছু আমাদের একটুও প্রভাবিত করবে না, সেটা আমি বলি না। তাদের যেই সংঘাত সেটা আমাদের সরাসরি প্রভাবিত করার কিছু নাই। কারণ, আমরা এতে কোনো পক্ষ নিইনি। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যেকোনো সংঘাত বা সম্পর্ক খারাপ হলে প্রভাব পড়ে।
‘তবে তাদের কাছ থেকে আমাদের যদি কোনো স্বার্থ থাকে আমদানি করার, আমরা করব,’ বলেন তিনি।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে উপদেষ্টা জানান, ‘এটা হয়ত নিরাপত্তা নিয়ে যারা সরাসরি কাজ করেন তারা বলতে পারবেন। এই মুহূর্তে আমার কাছে এরকম কোনো তথ্য নেই।’
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। এ ঘটনায় পাকিস্তান জড়িত বলে অভিযোগ করেছে চিরবৈরী ভারত। যদিও হামলার সঙ্গে কোনোরকম সংশ্লিষ্টতার দায় অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।
পহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।
আারও পড়ুন: দুই মাসের মধ্যে তুলাকে কৃষি পণ্য ঘোষণা করা হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এতে ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকেরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে শুরু করেন।
চলমান উত্তেজনা নিরসনে দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে মিত্র দেশ সৌদি আরব ও ইরান। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দেশদুটির মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। পাশাপাশি দুই প্রতিবেশীর মধ্যকার এই উত্তেজনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
২৪৫ দিন আগে
ঢাকার উদ্দেশে রোম ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদান শেষে ঢাকার উদ্দেশে রোম ছেড়েছেন। বাংলাদেশ সময় রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ইতালির রোম ত্যাগ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এমন তথ্য জানিয়েছেন। শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসও পোপের শেষকৃত্যে যোগ দেন।
এর আগে গত শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা কাতারের দোহা থেকে রোমে যান। শনিবার রোমে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ক্যাথলিক চার্চের শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা কার্ডিনাল সিলভানো মারিয়া তোমাসি এবং কার্ডিনাল জ্যাকব কুভাকাড ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
দুই কার্ডিনাল পোপ ফ্রান্সিসের আজীবন দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, যুদ্ধ এবং পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন পৃথিবীর স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন।
তারা অধ্যাপক ইউনূসের কাজের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাকে পোপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সাথে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘পোপ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে আপন করে নিতে পারতেন। তিনি একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন।’
ইউনূস উল্লেখ করেন, পোপ ফ্রান্সিসের দায়িত্ব পালনকালে বহুবার তার সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে এবং কীভাবে ভ্যাটিকান ব্যাংকের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তার লেখা একটি সমালোচনামূলক চিঠি ভ্যাটিকানের সরকারি পত্রিকা এল ওসারভেটরি রোমানোর প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল, তা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি লিখেছিলাম কিভাবে ভ্যাটিকান তার ব্যাংককে দরিদ্রবান্ধব করে তুলতে পারে। আমি ব্যাংকের কার্যকারিতা ও বিতর্ক নিয়ে সমালোচনা করেছিলাম। তবুও, পোপ সম্পূর্ণ চিঠিটি প্রকাশ করেছিলেন।’
অধ্যাপক ইউনূস আরও জানান, পোপ ফ্রান্সিস তাকে ভ্যাটিকান ব্যাংকের সংস্কার এবং চার্চের দরিদ্রবান্ধব উদ্যোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেন।
২৪৬ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
উরুগুয়ে ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও লুবেটকিন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রোমের একটি হোটেলে বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি পারস্পরিক সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ করে ঢাকা ও মার্কোসুর সদস্য(দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্য ব্লক) দেশগুলোর মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যোগদানের পর রোমে তারা এই বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
বৈঠকে উভয় নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বর্তমান বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি, ল্যাটিন আমেরিকা ও এশিয়ার মধ্যে সহযোগিতার সেতুবন্ধনের বিষয়টিও তাদের আলোচনায় স্থান পায়।
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ ইউএনবি জানান, অধ্যাপক ইউনূস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুবেটকিন সামাজিক ব্যবসা উদ্যোগ ও তরুণ সমাজের জন্য বিনিয়োগ কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তারা ‘তিন শূন্যের’ পৃথিবী গড়ে তোলার দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্ব্যক্ত করেছেন- শূন্য বেকারত্ব, শূন্য সম্পদ মজুদ ও শূন্য কার্বন নির্গমন।
অধ্যাপক ইউনূস নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার ওপর জোর দেন এবং যতদ্রুত সম্ভব পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুবেটকিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, ভ্যাটিকানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আরিফুল ইসলাম এবং ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক উপস্থিত ছিলেন।
২৪৬ দিন আগে
পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সদ্যপ্রয়াত ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি যোগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স স্কয়ারের বাসিলিকা গির্জার সামনের চত্বরে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কিসহ বিশ্বনেতারা যোগ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন অধ্যাপক ইউনূসের কাজের একজন বড় ভক্ত। তিনি বারবার ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
বিশেষ করে, অধ্যাপক ইউনূসের ‘তিন শূন্য’ নীতি, যেখানে পৃথিবীতে কোনো দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ থাকবে না, তা পোপ ফ্রান্সিস গভীরভাবে সমর্থন করতেন। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে ড. ইউনূসের সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাটিকানে ‘তিন শূন্য উদ্যোগ’ চালু করেন পোপ।
আরও পড়ুন: রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
এর আগে, পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে এবং তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল (শুক্রবার) ইতালির রোম পৌঁছান অধ্যাপক ইউনূস। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি রোমে পৌঁছায়। সেখানে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।
এরপর গতকালই বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান তিনি।
শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি যোগ দিয়েছেন ক্যাথলিক ধর্মানুসারী থেকে শুরু করে শোকাহত হাজারো মানুষ।
ভ্যাটিকানের তথ্য অনুসারে, সেন্ট পিটার্স স্কয়ারের চারপাশে প্রায় ২ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছেন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অন্তত ১৬২টি প্রতিনিধি দল উপস্থিত রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৫০ জন রাষ্ট্রপ্রধান ও ১০ জন ক্ষমতাসীন রাজা রয়েছেন। আরও উপস্থিত রয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি কার্ডিনাল এবং প্রায় ৪ হাজার ধর্মযাজক।
বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত সোমবার (২১ এপ্রিল) ৮৮ বছর বয়সে পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে তার মরদেহ সেন্ট পিটার্স বাসিলিকায় আনা হয়। ভক্তরা যাতে এই ধর্মগুরুকে শেষবারের মতো দেখতে পারেন, সে লক্ষ্যে ওইদিন সারা রাত খোলা রাখা হয়েছিল বাসিলিকা।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জনসাধারণের জন্য প্রদর্শন শেষ হয়। এই তিন দিনে আড়াই লাখের বেশি মানুষ পোপ ফ্রান্সিসকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ভ্যাটিকান।
এদিকে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান শেষে আগামীকাল (রবিবার) স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) ড. ইউনূস রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। এরপর সোমবার ভোরে তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন উপ-প্রেস সচিব।
আরও পড়ুন: ব্যর্থ প্রেমিক থেকে যেভাবে পোপ ফ্রান্সিস হয়ে ওঠেন হোর্গে বারগোগ্লিও
২৪৬ দিন আগে